নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি বিপ্লব স্মরণে

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২


একটি বিপ্লব(আগামীকাল ৭ ই নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অক্টোবর বিপ্লব স্মরণ প্রসঙ্গে)
আজ থেকে ৯৯ বছর ৩৬৪ দিন আগের কথা,রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে শ্রমিক আর মেহনতি মানুষেরা তাদের সত্যিকারের অধিকার আদায়ের জন্য বিপ্লব করেছিল।যা ছিল মানব জাতির ইতিহাসে প্রথমবারের মত একটি মানুষের রাষ্ট্র গঠনের জন্য বিপ্লব। ৭ ই নভেম্বর(জুলিয়ান বর্ষপঞ্জী অনুসারে ২৫ অক্টোবর ১৯১৭) বলশেভিক পার্টির এই বিপ্লব, মেহনতি মানুষের গৌরবগাঁথা সফল হয়েছিল; রাশিয়ার মানুষ পেয়েছিল একটি আদর্শ রাষ্ট্র, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যার সফলতা পৃথিবীর মানুষকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে।
পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হচ্ছে সম্পদের একীভূতকরণ। এটাকে চুম্বকের সাথে তুলনা করা যায়। যার যত বড় চুম্বক সে ততো বেশী আকর্ষণী ক্ষমতা রাখে; মানে যার যত টাকা, তার ততো টাকা বাড়বে।
বর্তমান পৃথিবীতে পৃথিবীর মোট সম্পদের ৫০ শতাংশ রয়েছে পৃথিবীর পাঁচ জন্য ধনী ব্যক্তির হাতে! আগামী দশ বছরে পৃথিবীর মোট সম্পদের ৫০ শতাংশ সম্পদ যাবে একজন ব্যক্তির হাতে! মানে ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে, গরীবরা আরো গরীব হচ্ছে! আর এই চলমান ধারায় মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯১৭ সালে রাশিয়াতে মুদ্রাস্ফীতি স্বাভাবিক স্ময়ের চেয়ে চার গুণ বেশী বৃদ্ধি পেয়েছিল। সাধারণ কৃষকেরা খাদ্য পণ্য কম দামে বিক্রি করলেও তাদের কিনে নিতে হতো চওড়া দামে। মানুষের পেটে খাবার জুটতো না। মানুষ এই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজেছে কার্ল মার্ক্স আর এঙ্গেলস এর দেয়া অর্থনৈতিক তত্ত্বের মধ্য দিয়ে। মানুষ বিপ্লব ঘটিয়েছিল, আর সৃষ্টি করেছিল একটি শোষণহীন সমাজ।
আজকে আমাদের ৯০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে খেতে হয়, যে কৃষক ধান উৎপাদন করে তার ঘরে ধান নেই!
শুধুমাত্র আমি নই, সারা দুনিয়ার অর্থনীতিবিদেরা পুঁজিবাদকে টিকিয়ে রাখার জন্য উঠে পরে লেগেছে। আমাদের ড. মুহম্মদ ইউনুসও 'Social business' বা 'সামাজিক ব্যবসা' নামে নতুন এক ধরনের ব্যবসার কথা বলেছেন, যেখানে শুধু একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি নয়, সমাজের অন্যান্য ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে, তাদেরকে অংশীদার করে ব্যবসা পরিচালনা করা হবে; এতে করে হয়তো কিছুটা সমস্যার সমাধান হবে! কিন্তু,আমরা হলফ করে বলতে পারি শোষণ সম্পূর্ণ শেষ হবে না। কেননা তখন এটা অভিজাত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হবে, যা বর্তমান ব্যবস্থারই নতুন সংস্করণ।
যে ভাবনা আমাদেরকে ভাবতে শিখিয়েছিল রাশিয়া, যে ভাবনায় গঠিত হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন, যে ভাবনায় গঠিত হয়েছিল কিউবা; সেই ভাবনা, সেই মানব মুক্তি সংগ্রাম আমাদেরকে আবারও ডেকে ফিরছে। সেই মেহনতি মানুষের দুঃখ যা আমাদেরকে প্রতিটিদিন যন্ত্রণা দিচ্ছে;
আগামীকাল সেই মহান বিজয় স্মরণে বাংলাদেশের বামপন্থীরা জাতীয় শহীদ মিনারে একত্রিত হচ্ছে। আমার কাছে বাম, ডান,উদার,কট্টর কোন মানে রাখে রাখে না। যে জীবন মানুষের, যে জীবন একটি জীবন্ত প্রাণীরূপে শুধু অর্থহীনভাবে বেঁচে থাকা নয়, সেই জীবনে পৃথিবীর সকল মানুষের পক্ষে দাঁড়ানোটাই মূখ্য; কেননা জন্ম নিয়েছি একদিন চলে যাবো বলে।
এই ছোট্ট জীবনে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মেহনতি মানুষের জন্য সংগ্রাম করার চেয়ে বড় আর কি থাকতে পারে?
যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা মানুষকে দাসে পরিণত করে, তার বিরুদ্ধাচারণ ছাড়া মানুষের মুক্তি আর কোথায়? আগামীকাল শহীদ মিনারে আবারও মানুষ মানুষের জন্য গান গাইবে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

" কিন্তু,আমরা হলফ করে বলতে পারি শোষণ সম্পূর্ণ শেষ হবে না। "

-তা'হলে, প্রথমে হলফ করেন, তারপর পোষ্ট দেন।

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



"আমার কাছে বাম, ডান,উদার,কট্টর কোন মানে রাখে রাখে না। "

-সবকিছু সমান?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

মারুফ তারেক বলেছেন: আপনি আরেকবার পড়ে দেখুন।

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:

"লেখক বলেছেন: আপনি আরেকবার পড়ে দেখুন। "

-আরেক কাপ চা খেয়ে নিই, তারপর চেষ্টা করবো; একবার পড়েই ক্লান্ত হয়ে গেছি!

৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: লেখাটি সাহিত্যিক বিচারে ভাল।

তবে বাস্তব অবস্থা হল তৎকালীন সময়ে পৃথিবীর শাক্তিশালী রাষ্ট্র যার শাসক জারেররা কখনো ক্যাপিটালিস্ট ব্যংকারদের সেখানে স্থান দেয় নাই। সেখানে জেসুইটসদের প্রভাব ছিল কম ১৮১৫ সালের ভিয়েনা কংগ্রেস ১৮৬১ সালের আমেরিকার সিভিল ওয়ার এবং ক্যাটিালিস্টদের ক্রিমিনাল ব্যাংকিং ব্যবস্থার ঘোর বিরোধীতা করেছিল জারেরা। পৃথীবরি সমগ্র জায়গায় বৃটিশ-ফরাসী প্রভাব শোষন ও সামাজিক-কালচারাল ম্যানিপুলেশন চললেও রাশিয়ার অর্থডক্স খিস্টান(অনেকটাই মুল খিস্ট ধর্মমতে বিশ্বাসী) থেকেেছে ্সবের বাইরে। ফলে সোসাল-কালচারাল ম্যানিপুলেশন করার জন্য সমাজতন্ত্র বা সোসালিজম কম্যুনিজম তাদের উদ্দেশ্য ছিল না সেটা ছিল টোপ। ফলে শিকারকে কুপোকাত করতে নিজের পক্ষে রাখে যুদ্ধ হয় মহা পরাশক্তি মিত্র পক্ষ যুদ্ধে জয় পায় অথচ কয়েকহাজার শ্রমিক শেনীর কাছে ৯ ঘন্টা সুর্য দূরত্বের দেশ সর্ম্পন নিয়ন্ত্রিত হল।

আর যারা লেলিন আসল সুইজারল্যান্ড (পূজিবাদী পূজির স্বর্গ) ট্রটস্কি সক তার কাফেলা কয়েকশত লোক আসল নিউইয়র্ক (পূজিবাদী লোকদের স্বর্গ) এসে বিপল্ব করল। ৭৫ বছর ক্ষমতায় থাকল ১০০% সেসালিজম বা সব কিছু রাষ্ট্রের বা মাত্র ১০ জনের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর টোপ বা কম্যুনিজম বা রাষ্ট্রের বিলোপ এবং সাম্যবাদ প্রতিষ্টা না করেই কোন প্রকার যুদ্ধ ছাড়াই নিজেরাই ভেঙ্গ দিল।....................
যাই হোক অনেক কিছু বললাম। পূজিপতিরাও শত রকমের ডেভিল হতে পারে । এসব প্রশ্নের সঠিক উত্র পাই না শুধু ভাবি।

এটাও ভাবি যে সকল প্রকার উন্নয়নের এজেন্ট ও ব্যাংক ব্যবস্থা না থাকলে মানুষ এমনিতেই ফ্রি ও স্বচ্ছল হবে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩২

মারুফ তারেক বলেছেন: ভালো বলেছেন;
তবে এই সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য একটি শক্তিশালী বিরোধী শক্তি প্রয়োজন আছে; আর এই ব্যাকিং সিস্টেম তো পুঁজিবাদীরা তাদের টাকার সুরক্ষার জন্যই সৃষ্টি করেছে।

৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪২

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: " আর এই ব্যাকিং সিস্টেম তো পুঁজিবাদীরা তাদের টাকার সুরক্ষার জন্যই সৃষ্টি করেছে। "
ধন্যবাদ আপনার সাথে আমিও একমত।

পূজিবাদীর বিরোধী শক্তি অর্থ পুজিবাদকেই শক্তিশালী করা। কারণ আপনি তাদে;র সাথে যতই যুদ্ধ করে জেতেনা কেন লাভ তাদেরই হবে। হ্যাঁ যকন সবাই এটা বুঝতৈ পারবে যে আমরা সকলেই তাদের স্লেভ (সকল দেশকেই যত নুতন নোট ছাপায় তার ন্য তার সম-পরিমাণ স্বর্ণ বা ডলার তাদের ফেডারেল রজিার্ভে রাখতৈ হয় আর এই টাকা দিয়েই তারা আবার আপনাদের ঋণ দিচ্ছে। আর আপনার-আমার জীবনের বড় অংশই যাচ্ছে তাদের জন্য) থেকে বেরিয়ে আসবে এবং জানবে যে এটাই সকল সমস্যা ও যুদ্ধ এবং অস্ত্র ব্যবসার মূল কারণ তখন তাদের ভিত এমনিতেই দুর্বল হয়ে যাবে। শেষ দিকে কিছু ধাক্কা দিলেই মুক্তি। কিন্তু বিশ্ববাসীর অনেকেই এই বিষয়ে উদাসীন এবং উ;দাসীন রাখা হয়েছে।.....................

৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: এটা নিয়ে ভাবতে হবে বিস্তর।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৬

মারুফ তারেক বলেছেন: এবং কাজ করে যেতে হবে, একসাথে।

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৩৬

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ, আমরা নিয়ন্ত্রকের কিছু অপশনের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত হই। তবে পৃথিবীর সকলকেই সমতার অপশনের পথেই চলা উচিত। যেখানে প্রকৃত্ব সুখ থাকে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৫

মারুফ তারেক বলেছেন: সমতার বিষয়টাই সকলের কাম্য। আপনাকেও ধন্যবাদ

৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

জেন রসি বলেছেন: মার্ক্স, এঙ্গেলস কিংবা লেনিনরা ইতিহাসকে দেখার বা বুঝার একটা কার্যকরী অ্পশন ক্রিয়েট করতে পেরেছিলেন। একটা সমস্যার সমাধান তারা করতে চেয়েছিলেন।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৪

মারুফ তারেক বলেছেন: সবচেয়ে বড় বিষয়ই এটা; সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে না গিয়ে সমাধানের চেষ্টা। সব সমস্যার যে প্রতিকার হতেই হবে এমন তো কোন কথা নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.