নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাকের চোখে ঈশ্বর(একটি ধারণার খোঁজে)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৮


ঈশ্বর একটি ধারণা, যা একটি মানুষ জন্মের পর তার সচেতন মস্তিষ্ক একটি উন্নততর পরম সত্ত্বার সন্ধান করে তারই স্বরূপ।
আমরা অতীতে ফিরে গিয়ে কোন কাজ করে আসতে পারলে তা একটি প্যারাডক্স(স্বয়ংবিরুদ্ধ) সৃষ্টি করবে। ঐ কাজের ফলাফল আমাদের বর্তমানের উপর প্রভাব ফেলবে। মনে করুন আজ থেকে একবছর আগে গিয়ে আপনাকে আমি হত্যা করে আসলাম। কিন্তু আজ তাহলে এক বছর পরে আপনি আমার লেখা পড়ছেন কীভাবে? পৃথিবীতে তো আপনার অস্তিত্ব থাকারই কথা না! সময় আমাদের মহাবিশ্বের চারটি মাত্রার ভেতরে একটি। সময়কে পরিবর্তন করে আমাদের নিজেদের ভাবাটাই চলে না। এই পরম মাত্রাই সকল কার্যকারণের জন্ম দিয়েছে; জন্ম দিয়েছে আমাকে আপনাকে। ভ্রম বলতে যা বুঝানো হয় তা আমরা কম বেশী জানি। তাই পূর্বে একটি দার্শনিক মতবাদ ছিল আমরা যা দেখি তা সত্য নয়। কিন্তু একথার মাধ্যমে আমাদের আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয়। যেমনটা আমাদের প্রচ্যের সাধক সন্ন্যাসীরা বলতেন যে, "জগতের সবকিছুই ভ্রম, মায়া মোহের জাল"। কিন্তু একথাটাও একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। কেননা মৌমাছিরা আমাদের চেয়ে বেশী বর্ণ দেখতে পায়, আবার গরু দেখে সাদাকালো। প্রশ্ন হচ্ছে আমরা সাদাকে কেনই বা সাদা দেখব, লালকে কেন লাল? বিভিন্ন ব্যাখ্যার ভেতর একটি ব্যাখ্যা হচ্ছে, আমাদের দর্শনাভূতির মূলে কাজ করে কোয়ান্টা, যা আমাদেরকে নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বর্ণের জন্য লাল, আবার নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের জন্য নীল দেখার দর্শানুভূতি জাগায়। আর এটাই অনান্য প্রাণীর জন্য অন্যান্যভাবে কাজ করে। তাই দেখা এবং বুঝার বিষয়টা আপেক্ষিক। আমরা ঈশ্বরকে নিয়ে প্রশ্ন করি, ঈশ্বরকে নিয়ে ভাবি। কাকেরা কী ভাবে? কাকের কি ঈশ্বরকে নিয়ে ভাবার অবকাশ আছে? আমরা একটি গনিতের আলোচনায় ডুব দেই। একটি সংখ্যাকে শূন্য দ্বারা ভাগ করলে ভাগফল অসীমে হয়ে যায়। আসলে অসীম কী? অসীম মূলত কোন সংখ্যা না, এটা একটা ধারণা। It's just an idea. অনন্তকাল ধরে অসীমের খোঁজ করলেও আমরা অসীমকে খুঁজে পাব না। আপনি যখন বসে বসে অসীমের কথা চিন্তা করছেন তখন আপনি এর বিশালত্বের চিন্তা আনতে পারছেন না, কেননা আপনার দৃঢ়(Consistent) মস্তিষ্ক এরকমের একটা সদা পরিবর্তনশীল (Inconsistent) বিষয় নিতে পারে না। মানে এই মহাবিশ্বের অথবা আপনার মস্তিষ্কে অসীম বলতে কোন বিষয়কে আবদ্ধ করতে পারে না, অবশ্য করার কথাও না। এ নিয়ে গণিতবিদ কার্ট গডেল তার ইনকম্পিলিটনেস থিওরিয়াম(incompleteness theorem) দাড় করিয়েছিল এবং প্রমাণ করেছিলেন, মানুষের জ্ঞান অসম্পূর্ণ। মানে নির্দিষ্ট কোথাও গিয়ে আমরা থামতে বাধ্য, আমাদেরকে সেভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে। বার্ট্রান্ড রাসেল ইনকম্পিলিটনেস থিওরিয়ামের বিরোধিতা করেছিলেন। যাইহোক, অসীমতা নিয়ে আমাদের ভারতীয় গণিতবিদ রমানুজানও কাজ করেছিলেন, তিনি সাধারণ একটি সংখ্যা দিয়ে অসীম সিরিজ তৈরি করেছিলেন। যাইহোক, মূল কথায় ফিরে আসি, গডেলের চৌদ্দটি সিন্ধান্তের ভেতরে তিনটি সিন্ধান্ত লিখছি: a. There are other worlds and rational beings of a different higher kinds. b. The world we live on which is not only one in which we shall live or lived. c. There is incomparably more knowable prior than is currently known. আর প্রথম সিন্ধান্তটি ছিল, The world is rational. এই সিন্ধান্তটি ছাড়া পরবর্তী কোন সিন্ধান্তের দিকেই আমরা এগুতে পারি। যাইহোক, উপরেই তিনটি সিন্ধান্ত মোটামোটি একই কথা বলে যে, আমরা একা নই, আমাদের চাইতে উন্নত সত্ত্বা আছে। আমাদেরকে এই অসীমরা নির্দিষ্ট কোন একটা দিকে ফিরিছে নিচ্ছে, আমাদের নির্দিষ্ট কিছু একটা মুখাপেক্ষী করছে। এখন আসি ইনকম্পিলিটনেস থিওরিয়ামে- থিওরি লিখছি কিন্তু না বুঝলেও চলবে। ব্রাকেটে লিখছি- [1. No consistent system of axioms whose theorems can be listed by an effective procedure (i.e., an algorithm) is capable of proving all truths about the arithmetic of the natural numbers. For any such formal system, there will always be statements about the natural numbers that are true, but that are unprovable within the system. 2. An extension of the first, shows that the system cannot demonstrate its own consistency.] মূল বিষয় {১},{২}{৫,৬}.... এভাবে পৃথিবীর সকল ন্যাচারাল নাম্বার নিয়ে একটি সেট {n...} গঠন করা হল। তাহলে এই সেট কি নিজেই নিজের সেট হিসেবে এর ভেতরে অবস্থান করবে। আসলে,The set of all set that don't contain themselves. এটাকে axioms দ্বারা বুঝতে গেলে, আমরা কোন কিছু প্রমাণের ক্ষেত্রে যে axiom। ব্যাবহার করি, তারা কি নিজেরা নিজেদেরকে প্রমাণ করে? আসলে যে সত্যগুলোকে ধরে নিয়ে আমরা সামনে এগুই, যেগুলোকে বলা হয় মৌলিক স্বীকার্য ( postulate)। বস্তুত মৌলিক স্বীকার্যের কোন প্রমাণ হয় না। আমাদের চতুর্মাত্রিক মহাবিশ্বে ঈশ্বর একটি ধারণা। মূল বিষয় হচ্ছে মহাবিশ্ব পরম নয়, কিন্তু মহাবিশ্ব পরম একটা কিছু থাকার নিদর্শন। আমরা ঈশ্বরকে দেখিনি, শুনিনি এসব বলে লাভ নেই, এই প্রশ্ন করা অবান্তর। Every moving needs a prior mover to make the first move that we call God, বলেছিলেন এ্যাকুইনাস।
Who created God?
এই প্রশ্নও অবান্তর। কেননা ঈশ্বর হওয়ার শর্ত হচ্ছে, To be Creator, Creator must not to be created. মানে যে ঈশ্বরকে সৃষ্টি হতে হয়, সে ঈশ্বর ঈশ্বরই নন। কথা হচ্ছে, কাকের ঈশ্বর আর মানুষের ঈশ্বর কি এক? এক হবারই তো কথা, কী বলেন? সসীম জ্ঞান নিয়ে অসীম ধাঁধা ভাঙাও তো যে সম্ভব নয়। তবু জ্ঞানের খোঁজে হারিয়ে গেলে দোষ কোথায়?
তবু যারা এই চতুর্মাত্রিক মহাবিশ্বে ঈশ্বরকে দেখা আশা করেন তাদের চোখে গুড়েবালি। ঈশ্বর একটি ধারণা, ঈশ্বরকে ধরা ছোঁয়া যায় না।বরং সবকিছু কিছু একটার দিকে নিশানা দেয়, কোন এক পরম সত্ত্বার ঠিকানার দিকে তাক করে, যাকে আমরা ঈশ্বর বলে থাকি।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৫

এলে বেলে বলেছেন: খাইসে আমারে, এইটা ত দেখতাছি কঠিন গোলকধাধা।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

মারুফ তারেক বলেছেন: মাঝে মাঝে জীবনটাকেই ধাঁধা মনে হয়।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৬

আশরাফুল এষ বলেছেন: ঈশ্বর যদি একটা ধারনা মাত্রই হয় , তবে সৃষ্ট জগতের স্রষ্ট্রা কে .।????

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

মারুফ তারেক বলেছেন: জগতের স্রষ্টা কে তার বর্ননা দিতে আমি এই লেখাটি লিখিনি;
ব্যক্তিভেদে এটা নির্ভর করে;
কোন এক সত্ত্বা, মহাশক্তি।

কিন্তু, আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাকার কারনে আমরা অসীমের চোখে চোখ মেলতে পারি না, মানে ঈশ্বরসূচক বিষয়গুলোকে আমরা ঠিক প্রমাণ করতে পারি না।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:৩৪

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ভাল লেগেছে। কিন্তু শিরোনাম কাকের চোখে ঈশ্বর কেন?

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

মারুফ তারেক বলেছেন: কাকের চোখ লিখেছি মূলত মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা বুঝাতে। কাকের চিন্তা মানুষের চিন্তা আবার আপনার চিন্তা আর আমার চিন্তা, এক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতে পারে।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:১০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: “If you wish to make an apple pie from scratch, you must first invent the universe.” ― Carl Sagan

তাই সব কিছুর প্রথম প্রশ্নটাই হলো সৃষ্টি সম্পর্কে -অর্থাৎ ঈশ্বর সম্পর্কে | এটা শুধু ধারণা নয় | তবে আপনার কথার সাথে "যারা এই চতুর্মাত্রিক মহাবিশ্বে ঈশ্বরকে দেখা আশা করেন তাদের চোখে গুড়েবালি" একমত | এটাইতো ধর্মগ্রন্থগুলো বলছে -ঈশ্বর কে বিশ্বাস করতে হবে | তাকে কেউ দেখবে না |

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

মারুফ তারেক বলেছেন: আমি বুঝাতে চেয়েছি, শুধু ধর্মের মধ্যে নয়; একটি ধর্মহীন মানুষের মধ্যেও এক মহান সত্ত্বার চেতনা আসতে পারে। এটা নিয়েও গবেষণা হয়েছে হার্ভাড ইউনিভার্সিটির এ্যান্থ্রোপলজি ডিপার্টমেন্টে। গবেষকরা বিভিন্ন দেশের মানুষ থেকে শুধু করে নৃতাত্ত্বিক মানুষদেরকে, আমাজান জঙ্গলে বাস করা মানুষদেরকে তাদের গবেষনার আওতায় এনেছিলেন। দু'টি বিষয় মানুষের ইন্ট্রিক্ট,
১) মহান কোন সত্ত্বার উপরে বিশ্বাস।
২)মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে বিশ্বাস।
জন্মমাত্র এগুলো অনেকটা বায়ডিফল্ট থাকে।

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

জেন রসি বলেছেন: একজন অদৃষ্টবাদীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মানুষকে বুঝার চেষ্টা করলে মনে হয় সব মানুষই কোন একটা এক্সটার্নাল ফোর্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে সেই ফোর্সটাও আসলে মানুষের একটা কালেক্টিভ বিশ্বাস ছাড়া আর কিছুই না। এই কালেক্টিভ বিশ্বাসটাকেই আসলে সমাজ, কালচার কিংবা ধর্ম বলা যেতে পারে যা মানুষ নিজেরাই নিজেদের উপর আরোপ করে। ইশ্বরের ধারনাকেও তেমনই মনে হয়।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

মারুফ তারেক বলেছেন: মানুষের বিশ্বাসের জন্যই মানুষ সর্বোচ্চ প্রাণীরূপে টিকে আছে। এটা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে, জগতের সব মানুষই বিশ্বাস করে দোকানে টাকা দিলে খাবার কেনা যাবে। এর থেকে মানুষের মিথেরও জন্ম হয় ,আমরা যখন আকশের দিএক তাকাই, আমাদের মনে হয়, কোন এক রহস্যের কথা, আসলে আমরা এই রহস্যকে ভালোবাসি।
আর আমরা অদৃষ্টের বিশ্বাসকে উড়িয়েও দিতে পারি না, আমাদের চিন্তায় জ্ঞানে অপরিপূর্ণতা রয়েছে, আর গডেলই এটা প্রমাণ করেছিলেন। পরিপূর্ণ

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

বক বলেছেন: আপনার অনেক কথার মধ্যে সচেতন ভাবেই হোক বা অবচেতন ভাবেই হোক মহান আল্লাহপাকের দুটি বানীর প্রতিধ্বনি

প্রথমটি
============
"যারা এই চতুর্মাত্রিক মহাবিশ্বে ঈশ্বরকে দেখা আশা করেন তাদের চোখে গুড়েবালি"

ওলাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ

অর্থটা অনেকটা এরকম - উনার মত কোন কিছুই নাই
বা
এবং উনার সমতুল্য কেউ নেই।

আমরা মানুষ হিসাবে, আল্লাহ পাককে কল্পনা করতে গিয়ে, আমাদের মন এবং মস্তিস্কে কোনো কিছু যদি এসেই পরে - সাথে সাথে তা বাতিল। কারন উপরের আয়াতে ঘোষনা করা হয়েছে - কোন কিছুই উনার মত না।

২য়টি
================

দু'টি বিষয় মানুষের ইন্ট্রিক্ট,
১) মহান কোন সত্ত্বার উপরে বিশ্বাস।
২)মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে বিশ্বাস।

আল্লাহপাক বলেছেন মানুষ ইসলামের ফিতরাতের উপর জন্মগ্রহন করে। তারপর তার মাতাপিতা এবং আশেপাশের পরিবেশ তাকে খ্রিস্টান বানায়, ইহুদি বানায়। ফিতরাত বলতে আপনার বলা উপরের দুটির বিশ্বাস মূলত বোঝায়।

[আমি যা বললাম এগুলো তাফসির না - আলোচনা। আল্লাহ পাক আমার ভুল ক্ষমা করুন]

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

মারুফ তারেক বলেছেন: আপনার মন্তব্য যুক্তিযুক্ত;
মহাবিশ্বের স্ফীতি তত্ত্ব এবং মহাসংকোচন তত্ত্ব দু'টি, দু'টি বড় বড় ধর্মের ব্যাখ্যার সাথে মিলে যায়। স্ফীতি তত্ত্ব ইসলাম ধর্মের সাথে, মহাসংকোচন হিন্দু ধর্মের সাথে।
সত্যই ভাবার বিষয়!

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

জেন রসি বলেছেন: আমিও সেটাই বললাম। যে মানুষ কল্পনা করে। গল্প বানায়। তারপর তা বিশ্বাস করে। মেনে চলতে চায়। এইটা সে নিজের অস্তিত্বের প্রয়োজনেই করে।

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

গরল বলেছেন: মানুষ যেটা জানে না বা পারে না সেটাকে ইশ্বরের নামে চালিে দেয়, গনিতেও ঠিক সেরকম যেটা সমাধান করতে পারে না অসীম নামে চালিয়ে দেয়।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

মারুফ তারেক বলেছেন: সবকিছুর সমাধান আছে কি? অথবা সমাধান থাকাটাওক কি জরুরি? সেটা নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন করা যায় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.