নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্মমৃত্যুর আনন্দে আমার মুখ ভাসে;
আমার সব বোধ লীন হয়,সব শান্তি।
❏ দর্শনের ঘোর প্রভাব ব্যতীত মহৎ সাহিত্য সৃষ্টি হয় না; অবশ্য মৌলিকতার দিক থেকে সাহিত্য দর্শনেরই অংশ। প্রথম দিকে প্লেটে বিশ্বাস করতেন কবিরা জ্ঞানী হয় না। তিনি ভাবতেন কবিরা শুধুমাত্র নিছক কিছু শব্দের দিয়ে ছন্দের গাঁথুনি তৈরী করে; যদিও পরবর্তীতে প্লেটো নিজেও কবিতা রচনা করেছেন। কবিতা সাহিত্যের মৌলিক এবং আদি শাখা। কবিতার প্রতিটি পদে জীবনের বোধ, ভাবের অবকাশ থাকে। কবিতার বিভিন্ন শাখা যেমন আছে, তেমনি কবিতার বিভিন্ন দর্শনগত দিক রয়েছে।
❏ কবি তার ভেতরে বোধকে লালন করেন। কবির দুঃখবোধ, কবির বেদনা, কবির নিগূঢ় দর্শন, কবির চোখে পৃথিবীর বিস্ময় কবি প্রকাশ করেন কবিতায়।
❏ কবিতা শুধুমাত্র শব্দ, কবিতা দিয়ে কী হয়? প্রথমেই কবিতা যে শুধুমাত্র শব্দ নয়, সে বিষয় আলোকপাত করেছি। কবিতা দর্শন, কবিতা কবির দুঃখবোধ। মানুষ কবির কবিতা পাঠ করে, আনন্দ এবং বোধে ভাসে। কবি যে জীবনের বোধ লেখেন, তা পড়ে মানুষ জীবন দর্শন উপলব্ধি করে; যেখানে কবিতা এবং জীবন একই বিষয় হিসেবে ধরা দেয়।
❏ সাধারণ ক্ষেত্রে ছন্দময় শব্দের বাক্যগুলো মিলে ছড়া তৈরী করে। কিন্তু, ছড়া কবিতা এক বিষয় নয়। কবিতায় বোধ থাকতে হয়, একটির পর অন্য একটি শব্দে মাদকতা থাকতে হয়। তাই কবিতায় মহৎ সাহিত্য হতে পারে। কবিতা মানুষকে তার জীবনবোধের বিভিন্ন বিষয় শেখাতে পারে।
❏ দর্শনের ইতিহাস সেই বস্তুবাদী দার্শনিক হেটারোক্লিটাস,ডেমোক্রিটাস থেকে শুরু করে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছরের। আর যদি সাহিত্যের কথা বলতে হয়, তাহলে নাম আসে খ্রিষ্টপূর্বের প্রায় আড়াইশ কবি- যাদেরকে হোমার নামে ডাকা হয়। অনেকে অবশ্য হোমার বলতে শুধুমাত্র একজন অন্ধ কবির কথা বলে থাকেন। এর দ্বারা বোঝা যায়, দর্শন একধরণের সৌন্দর্যবোধ হিসেবে কবিতা তথা সাহিত্যের মাধ্যমে প্রথম প্রকাশ পায়।
❏ কবির দর্শন শব্দের এক জাদুময়তায় কবি তার কবিতায় দর্শনকে তুলে ধরেন। বস্তুগত জগতের সাথে শিল্প জগতের যে দ্বন্দ্ব, কবি তার কবিতায় তা তুলে ধরেন। কবির কবিতায় সবসময় তার নিজের যে থাকবে তার বাধ্যবাধকতা নেই, কবিতায় কবি ভিন্ন কোন দর্শনও তুলে ধরতে পারেন।
❏ কবির জীবন এবং কবির কবিতা মিলিয়ে ফেললে বড় ভুল হবে। কবির কবিতা কবির শিল্পী জীবনের অভিক্ষেপ, ব্যক্তিগত জীবন নয়। বহু শিল্পী রয়েছেন, যারা তাদের ব্যক্তিগত অথবা বস্তজগতকে মেনে নিতে পারেন না। আর এ কারনেই ফেড্রিক নিৎসে বলেছিলেন, "No artist can tolerates reality." শিল্পী তার শিল্প জগতে বাস করতে চান। শিল্পী এই শিল্প জগত তার নিকট চরম সৌন্দর্যের, শাশ্বত। কিন্তু, নিয়তির নিয়ম শিল্পী কখনোই সম্পূর্ণরূপে তার শিল্প জগতকে কাছে পান না। তিনি যতোই তার শিল্প জগতের নিকটে যেতে থাকেন, বস্তুজগত ততোই বেশী বিদ্রোহ ঘোষণা করতে থাকেন। কিন্তু, কবির জীবন যাই হোক না কেন, একজন সাধারণ মানুষকে সাধারণ হতে হয়। অতোটা বস্তুগত নয়, অতোটা শিল্পগত নয়।
একজন মানুষকে তো একজন সাধারণ মানুষ হতে হবে, লালন ফকীরের 'সহজ মানুষ'।
তবু প্রশ্ন রয়ে যায় জন লেলনের কথায়- “When I was 5 years old, my mother always told me that happiness was the key to life. When I went to school, they asked me what I wanted to be when I grew up. I wrote down ‘happy’. They told me I didn’t understand the assignment, and I told them they didn’t understand life.”
২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০২
মারুফ তারেক বলেছেন: হ্যাঁ, সবচেয়ে গুরু বিষয়।
ধন্যবাদ
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর একটি পোস্ট। তবে দু'বার হয়ে গেছে।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০২
মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ,
ঠিক করে দিয়েছি।
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০৩
জাহিদ অনিক বলেছেন: ভাল লিখেছেন বেশ । কবিতা ও কবি নিয়ে লিখেছেন । ভাল লেগেছে
৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৪০
মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মারুফ তারেক ,
কবিতা হ’লো সাহিত্যের রাজমুকুটটি.....................