নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“Behind this mask there is more than just flesh. Beneath this mask there is an idea... and ideas are bulletproof.”
-Alan Moore, V for Vendetta
আমরা সাধারণত বিভিন্ন ঘটনা সমূহের বাইরের অংশটুকু দেখতে পাই। শুধু একটি মুখোশ , যদিও মুখোশের আড়ালে যে থাকেন তার সম্পর্কে আমাদের হয়ত কিছুই জানিনা।
বর্তমান বাংলাদেশের ঘটনা অঘটন সমূহের বর্ননা দিতেই আমার এই প্রচেষ্টা। মতের মিল অমিল থাকতেই পারে।
বাংলাদেশীদের পাসপোর্টে লিখা থাকে- THIS PASSPORT IS VALID FOR ALL COUNTRIES OF THE WORLD EXCEPT ISRAEL.
মানে বাংলাদেশের সাথে ইসরায়েলের কূটনীতিক সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশ ইসরায়েলকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে না। এমনকি ইসরায়েল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবার পরও বাংলাদেশ তা গ্রহণ করেনি। বুঝাই যাচ্ছে ঘোলা জল।
ইসরায়েলের ভয়ংকর গোয়েন্দা সংগঠনের নাম মোসাদ।
শুরু করছি এডলফ হিটলারের উক্তি দিয়ে-
"Don't kill all jews so that next generation can realise how the jews look like."
এই জিউসদের বংশধরেরাই আজকের পৃথিবীতে ত্রাস সৃষ্টি করেছে।
১৯৫৬ সালেই মোসাদের সক্ষমতা বুঝতে পারে সিআইএ।সোভিয়েত ইউনিয়নে ২৮তম কম্যুনিস্ট
সম্মেলনে যখন নিকিটা ক্রুশ্চেভ এক
গোপন মিটিংয়ে 'স্টালিনকে' অভিযুক্ত ও অস্বীকার করে নিজেই প্রেসিডেন্ট বলে ঘোষনা করে। ঐ বক্তব্যের এক কপি মোসাদ সিআইএর হাতে দিয়ে দেয়। এই প্রথম সিআইএ মোসাদের কার্যক্রম উপলব্ধি করে যাতে সিআইএ অবিভূত হয়। কারন সিআইএর মত সংস্হাটিও এই রকম একটা সেন্সেটিভ সংবাদ সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছিল।
২০০৭ সালের ১৫ জানুয়ারি ইরানের পারমাণবিক বিজ্ঞানী ড. আরদেশির হোসেনপুরকে হত্যা করে মোসাদ।এছাড়াও খালিদ মিশালকে হত্যার ব্যার্থ প্রচেষ্টা মোসাদেরই।
টুইন টাওয়ার হমলার পেছনেও মোসাদের হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হয়। যেহেতু প্রায় ৪০০০ ইহুদি টুইনটাওয়ারে কাজ করত, যদিও টুইনটাওয়ার হামলার সময় প্রায় সব ইহুদি অনুপস্থিত ছিল। প্রথমে মাত্র একজন ইহুদির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। পরে অবশ্য আরো দু'জন যুক্ত হয়। সি আই এ এই হামলার পেছনে মোসাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে। সিআইএ তাদের নিজেদেরই পূর্বেকার সহযোগী ওসামা বিন লাদেনের পেছনে লেগে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ আফগানিস্তানকে নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়।
মাঝে মাঝেই সিআইএ এবং মোসাদ একই সাথে কাজ করে। একদা এই মোসাদের এজেন্ট বিভিন্ন ছদ্মপরিচয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলাপ করে বলেন, তারা শেখ মুজিবুর রহমানের সকল হত্যাকারীকে গুপ্তহত্যা করবে এই শর্তে-
ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত দিতে হবে। যদিও শেখ হাসিনা এই সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করেন। (শেখ হাসিনা এবং মোসাদ বিষটির সত্যতা যাচাই করতে পারিনি)
মোসাদের আরো অনেক ব্যার্থ সফল অভিযানের উইকিপিডিয়াতে একটু ঘুরে আসতে পারেন।
এই মোসাদ যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে, সেটা এনএসআই এবং সেনাবাহিনীর ডিজিএফআই খুব ভালো করেই জানে। যদিও আমাদের গোয়েন্দাসংস্থাগুলো সিআইএ থেকে ট্রেনিং পায়, তবুও ভেতরের খবর বলা সহজ নয়। যেহেতু পাকিস্থান অথবা আফগানিস্তানকে দিয়েই আমরা শিক্ষা লাভ করতে পারি।
যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র যার বন্ধু, তার শত্রুর প্রয়োজন পড়ে না।
ওদের সাম্রাজ্যবাদ নীতি যে কতটা ভয়াবহ তা ১৯ বছর যুদ্ধ করে ভিয়েতনামীরা দেখিয়ে দিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের সাংবাদিক সায়েদ সেলিম শেহজাদ, যাকে ২০১১ সালে হত্যা করা হয়। যিনি লিখেছিলেন INSIDE AL-QAEDA AND THE TALIBAN BEYOND BIN LADEN AND 9/11.
এই বইটিতেও যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নীতি সম্পর্কে কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়। বারবার বাংলাদেশের নাম এসেছে একটা টার্গেট হিসেবে, যা মোটেও সুখের খবর নয়।এই বইটি লিখার কারনেই হয়ত তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বর্তমান সরকার নিয়ে যে হোয়াইট হাউজ খুশি নয় তা কারো অজানা থাকার কথা নয়।
বাংলাদেশের পিছনে মোসাদের লেগে থাকাটাও অস্বাভাবিক কিছু না।
আই এস বস্তুত কী চায়? কী করে?
তারা খিলাফতের নাম করে যে কাজ করে তা কোনভাবেই ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়।
যারা মসজিদে হামলা করে, ঈদগাহে হামলা করে, তারা কীভাবে ইসলামে পথে থাকতে পারে? ভাবতে পারেন, মসজিদে নবাবীর পাশে হামলা হয়!
যদিও আইএস ইসলামের নাম নিয়ে চলে,
কিন্তু তারা কোনোভাবেই ইসলামিক সংগঠন হতে পারে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আইএস কখনো ইসরায়েলে হামলা চালায়নি।অথচ এই ইসরায়েল ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ঘুম হারাম করে ফেলেছে।
হ্যাঁ বিষয়গুলো আসলেই আশ্চর্যজনক। তাই আইএস কখনোই ইসলামিক সংগঠন হতে পারে না।যুক্তরাষ্ট্র যেমন আল-কায়েদা সৃষ্টি করেছিল, তেমনি
আইএস সৃষ্টির পেছনে যদি মোসাদের হাত থেকে থাকে তাহলে অবাক হব না।
আবার আইএস প্রধান যে ইহুদী থেকে এসেছিলেন সে সম্পর্কেও জানা গেছে।
গুলশানে হামলার বিষয়টি থেকে দেখুন, আইএস এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র করার প্রচেষ্টা, যদিও বাংলাদেশ সরকার আইএস এর নাম মুখেও আনেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন দেশেরই জঙ্গী।
আসলে আমাদের কথায়ই সাম্রাজ্যবাদীরা চলে আসতে পারে। এদিক থেকে বিবেচনা করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা ঠিকই আছে।
আমরা একটা আফগানিস্তান হতে চাই না।
সারা বিশ্বের জঙ্গীবাদ সব একই সূত্রে বাঁধা। কিন্তু হাজারো সুতোর মিশেলে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত বের করা সম্ভব নয়।
আর যাই হোক, আমাদের দেশের শত্রুরা দেশকে বিপদে ফেলে দিতে চাইছে, ফলাফল ভয়ংকর।
আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করুন।
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০৩
মারুফ তারেক বলেছেন: পড়েছি
ভয় হয় দেশের ভবিষ্যত নিয়ে।
আশাকরি পরবর্তী পর্বগুলোও শীঘ্রই লিখবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৫১
অসভ্য রাইটার বলেছেন: [link|www.somewhereinblog.net/blog/IwasSocial/30134982|u can also read
read 2