নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র-
বড়ই আফসোস লাগে আজ সেদিনের কথা ভেবে। সেদিন দেখেছিলাম রাজপথে র্যালী- যে করেই হোক, সুন্দরবনকে সপ্তাশ্চর্য বানাতে হবে। আজ সুন্দরবনকে গলাটিপে হত্যা করার পাঁয়তারা চলছে। আপনারা কই ভাই?
আন্দাজে কথা বলবেন না।
না, আমি আন্দাজে কথা বলছি না। একটি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে রামপালে। প্রচুর পরিমাণে পানির দরকার হবে। ক্ষতিগ্রস্থ হবে পুরো এলাকার কৃষি ব্যবস্থা। নদী দিয়ে কয়লা আনার সময় কয়লা ছড়িয়ে পড়বে নদীতে! বিদ্যুৎকেন্দ্রের শব্দ এবং সমগ্র কর্মপ্রক্রিয়া একটা বিরাট নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে সুন্দরবনের ইকোসিস্টেমে।
কোথায় হবে বিদ্যুৎকেন্দ্র?
ভাবা যায়! সুন্দরবন থেকে শুধুমাত্র প্রায় চৌদ্দ কিঃমিঃ দূরে স্থাপিত হবে কয়লাভিত্তিক এই তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র।
যদি বলেন-তাতে কি এমন হবে? অনেকেই তো সুফল ভোগ করবে।
তাহলে বলি-
ভাই আমি ইমানুয়েল কান্টকে ভুলে যাইনি।
ভুলে যাইনি কান্টের কথা – গ্রেটেস্ট গুড ফর দ্যা গ্রেটেস্ট নাম্বার অব পিপল।
আমাজন বন যদি পৃথিবীর ফুসফুস হয়ে থাকে, তবে বাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবন। ফুসফুস হাত দিতে সাহস পান কোথা থেকে?
আমাদের কতিপয় মন্ত্রী এর আগেও আবোল-তাবোল মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন, এখনও হচ্ছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন-
একটু ক্ষতি হবে। কিন্তু, কোনভাবেই বিদ্যুৎ কেন্দ্র রামপাল থেকে সরবে না।
চেতনা আসে কার নাম শুনলে? না বলব না। পরে আবার রাজাকার বানায় দেয়! অধ্যাপক আনু মুহম্মদ, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা আর কয়েকজন পরিবেশবাদী ছাড়া আর কাউকেই তো কথা বলতে দেখি না! চেতনা দিয়া মুড়ি খাও।
সুন্দরবন বাঁচাতে ১০ মার্চ থেকে রামপালের দিকে পথযাত্রার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
একটু আগে চলে যাই।
ভারতের রিলায়েন্স কোম্পানির সাথে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি হয়। যার মধ্যে ছিল তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। অথচ এর আগে অন্ধ্রপ্রদেশে রিলায়েন্সেরই একটি তেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র অতিরিক্ত খরচের জন্য অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে!
এইসব ভর্তুকিই যাবে জনগণের পকেট থেকে।
চলুন আমরা না দেখার ভান করি- যেভাবে পাশের ফ্লাটে ওহ-আহ শব্দ শুনেও আমি না শুনার ভান করেছিলাম। বিষয় দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন, বুঝতে পারছেন?
সকালে বিকেলে শুধু উন্নয়ন দেখি,দেখি উন্নয়নের জোয়ার। জোয়ারে ভাসছি আমরা সবাই।
আমাদের দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্র খুবই প্রয়োজন। কিন্তু, এর জন্য আমাদের সুন্দরবনের বিকল্প খুঁজতে হবে। আমরা কখনোই সবুজ বিক্রি করে সভ্যতা চাই না। বেঁচে থাকুক সুন্দরবন, হাজার বছর ধরে। বিপন্ন হতে দেব না হাজারো বৃক্ষ আর প্রাণে ভরা আমাদের সুন্দরবন।
আপনিও সাথে থাকুন সুন্দরবন রক্ষার এই আন্দোলনে। নিচের লিংকে গিয়ে সাইন করুন। জানিয়ে দিন আপনিও সুন্দরবন ধ্বংসের বিপক্ষে। এগিয়ে নিয়ে যান, এই মহান আন্দোলকে।
লিংক- Stop coal-based Rampal power plant and save Sundarban.
আপডেট পেতে এই ফেসবুক পেইজের সাথে থাকুন - সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চাই না
১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মারুফ তারেক বলেছেন: আর পকেট ভকেটে টাকা যাচ্ছে তো
সেই কত আগে থেকেই।
তাই বলে সুন্দরবনকে মেরে ফেলবে? মানে নেয়া যায়?
সাইন করেছেন তো?
২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭
কল্লোল পথিক বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯
মারুফ তারেক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
সাইন করেছেন তো?
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮
আমিই মিসির আলী বলেছেন: ভালো একটা বিষয়ে আলোক পাত করেছেন।
ভালো লাগলো।
২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৩
মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ আমিই মিসির আলী।
৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬
নেক্সাস বলেছেন: আমাদের দেশ নিয়ে সিদ্ধান্ত আমরাই নিব। আর আমাদের সিন্ধান্ত
আগুনের চাইতে আঁধার ঢের ভালো
আঁধারে তবুও তো পাই চাঁদের আলো।
আলোর লোভে চাইনা লেলিহান শিখা
আমার কান্তারে আঁধারে ফুটুক চন্দ্রমল্লিকা।
ময়ুর পেখম নাচাক গরান- সুন্দরীর ছায়ায়
হরিণের বাসরে আগুন জ্বালিওনা কেউ হায়।
বাওয়ালীরা বাঁচুক বানরের সাথে হেসে খেলে
সভ্য না হয় নাহি হলাম বিজলী বাতি জ্বেলে।
আঁধারেে বুক চিরে বাঘের ভয়ানক হুংকার
বুক চিতিয়ে তবু বলি সে আমার অহংকার
২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৬
মারুফ তারেক বলেছেন: আপনার মন্তব্য ভালো লাগল নেক্সাস।
আমাদের দেশ নিয়ে আমরাই সিন্ধান্ত নেব।
আমাদের সুন্দরবনকে আমরাই বাঁচাব।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: কিছু লোকের পকেট ভারি হবে তো?