নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এই লোকটিকে চিনতাম সেই কলেজে থাকাকালীন সময় থেকে। তখন একটা বিজ্ঞান ম্যাগাজিনে অভিজিৎ রায়ের লিখা ছাপা হত। প্রায় সময়ই ম্যাগাজিনের প্রথম দিকেই থাকত অভিজিৎ রায়ের লেখাগুলো। আমি পড়তাম, আমার ভালোই লাগত। তারপর অনেকদিন কেটে যায়, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। এরপর অভিজিৎ রায়কে তেমন একটা পড়া হয়নি। এরপর একদিন শুনলাম অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়েছে। আমি মেলানোর চেষ্টা করলাম, এই অভিজিৎ রায় কি সেই অভিজিৎ রায়,যাকে আমি কয়েকবছর আগে পড়তাম? আমি নিশ্চিত হলাম। অভিজিৎ রায়ের 'বিশ্বাসের ভাইরাস' বইটি পড়ার জন্য মনস্থির করলাম। লোকটি লিখে, একারনেই নাকি লোকটিকে হত্যা করা হয়েছে। আমি পুরো বইটি পড়িনি, কিন্তু যেটুকুই পড়েছি- আমি সেখানো কোন গালাগালি পড়িনি। আমরা যেমন আমাদের বিশ্বাসের কথা প্রচার করি, এই লোকটি তার অবিশ্বাসের কথা প্রচার করেছে, যুক্তি উপস্থাপন করেছে। বলেছে অন্ধ বিশ্বাসের কথা।
একজন মানুষ কাউকে আঘাত ছাড়া তার যুক্তি উপস্থাপন করতেই পারে, আমি যদি পারি তাহলে তার বিপরীতে যুক্তি দেব। মেরে ফেলা তো কোন সমাধান হতে পারে না। তবু আজ থেকে একবছর আগের এই দিনে অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়। এই সমাজ দেখেছে নির্দিধায় কিছু লোক ছুড়ি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিরস্ত্র লোকটির উপর।
কেউ কিছু বলেনি, কোন আইন রক্ষাকারী বাহিনী কিছুই করতে পারেনি। আমরা দেখেছি হুমায়ূন আজাদের উপর ছুড়ির আঘাত। আমারা দেখেছি আমরা কিছুই করতে পারিনি। লজ্জা! লজ্জা!
ইতিহাস কি ক্ষমা করবে?
শুধু চাপাতি নিয়ে ঝাপায় পড়লে বেহেস্তে যাওয়া যায় না, আগে মানুষ হতে হয়। অভিজিৎ রায় একজন নাস্তিক ছিলেন। কিন্তু, তার আগে তিনি একজন মানুষ ছিলেন।
অভিজিৎ রায়ের এই লিখাটি পড়লেই বুঝা যায় তিনি কেমন মানুষ ছিলেন।
"আমি নাস্তিক। কিন্তু আমার আশে পাশের বহু কাছের মানুষজন বন্ধু বান্ধবই মুসলিম। তাদের উপর আমার কোন রাগ নেই, নেই কোন ঘৃণা। তাদের আনন্দের দিনে আমিও আনন্দিত হই। তাদের উপর নিপীড়ন হলে আমিও বেদনার্ত হই। প্যালেস্টাইনে বা কাশ্মীরে মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর অত্যাচার হলে তাদের পাশে দাঁড়াতে কার্পণ্য বোধ করি না। অতীতেও দাঁড়িয়েছি, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবো। এটাই আমার মানবতার শিক্ষা।”
-অভিজিৎ রায়।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৯
মারুফ তারেক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৮
অগ্নিপাখি বলেছেন: "আমরা যেমন আমাদের বিশ্বাসের কথা প্রচার করি, এই লোকটি তার অবিশ্বাসের কথা প্রচার করেছে, যুক্তি উপস্থাপন করেছে। বলেছে অন্ধ বিশ্বাসের কথা।
একজন মানুষ কাউকে আঘাত ছাড়া তার যুক্তি উপস্থাপন করতেই পারে, আমি যদি পারি তাহলে তার বিপরীতে যুক্তি দেব। মেরে ফেলা তো কোন সমাধান হতে পারে না। "
সহমত
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৩
মারুফ তারেক বলেছেন: কেউ কোন কথা বলে না, বইমেলাও স্মরণ করেনা।
ধন্যবাদ অগ্নিপাখি।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:১২
বিজন রয় বলেছেন: হয়তো কোন একদিন বিচার হবে।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১
মারুফ তারেক বলেছেন: আমরা আশা করেই যাই, স্বপ্ন দেখেই যাই। কোথায় বিচার হয়? হয়েছে কোনদিন? অপরাধীদের নামই তো প্রকাশিত হয়নি। অথচ পুলিশ জানত কারা হুমকি দিয়েছিল, কারা মারার চেষ্টা করেছিল। মানুষের হত্যা হয়,সাংবাদিক দম্পতির হত্যারকারীদের গ্রেপ্তার করার জন্য ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম আর শেষ হয় না। মানুষ ভুলে গেছে আজ, মানুষ ভুলে যাবে।ইতিহাস তো কেবল জয়ীদেরই গুণগান করে।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪২
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: এটা একটা সরকারী নাটক, যেখানো অভিজিৎকে হত্যা করা হয়েছে ঐ এলাকা সব সময় নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে। সরকার একটা ইস্যু বানানোর জন্য অথবা বিরোধীদের ফাসানোর জন্য এই ধরনের নাটক সবসময় করে আসতেছে....।
ধন্যবাদ আপনাকে
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮
মারুফ তারেক বলেছেন: এই রকমের নাটক একবার নয়, বারবার দেখেছি আমরা। কয়েকজন মুক্তমনা এবং কিছু মানবাধিকার কর্মী ছাড়া কেউ মুখ খোলে না, হয়ত খোলার সাহস পায় না। আমার অবাক লাগে এই ভেবে যে, বাংলাদেশের জেলগুলো নাকি ভরে যায় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দিয়ে। অথচ প্রকৃত অপরাধীদের নাগাল পাওয়া যায় না!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৬
কল্লোল পথিক বলেছেন: "আমি নাস্তিক। কিন্তু আমার আশে পাশের বহু কাছের মানুষজন বন্ধু বান্ধবই মুসলিম। তাদের উপর আমার কোন রাগ নেই, নেই কোন ঘৃণা। তাদের আনন্দের দিনে আমিও আনন্দিত হই। তাদের উপর নিপীড়ন হলে আমিও বেদনার্ত হই। প্যালেস্টাইনে বা কাশ্মীরে মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর অত্যাচার হলে তাদের পাশে দাঁড়াতে কার্পণ্য বোধ করি না। অতীতেও দাঁড়িয়েছি, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবো। এটাই আমার মানবতার শিক্ষা।”
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪
মারুফ তারেক বলেছেন: আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, কিছু হত্যাকারীদের জন্য যেমন সমগ্র মুসলিম সমাজকে দোষ দেয়া যাবে না। ঠিক তেমনি কিছু উগ্র নাস্তিকের জন্য নাস্তিক মানেই মেরে ফেল, এই ধারণা পোষণ করা যাবে না।
অনেক হয়েছে, এর একটা সুরহা কি কাম্য নয়?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪১
আশরাফুল মাহিন বলেছেন: আপনি বলেছেন,আপনি অভিজিৎ রায়ের 'বিশ্বাসের ভাইরাস' বইটি পুরো পড়েননি।যদি পুরো বইটি পরতেন তবে হয়তো মহানবী হযরত মুহাম্মাদের নামে কিছু অরুচিশিল কথা আপনার চোখে পড়ত,যেখানে তিনি মহানবি ছাড়াও গৌতম বুদ্ধ ও হিন্দুদের কিছু দেবতাদের নামেও বাজে কথা লিখেছেন।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৯
মারুফ তারেক বলেছেন: কতটুকু বলতে পারে?
তাই বলে মেরে ফেলতে হবে?
মানুষ মানুষকে মেরে ফেলে কীভাবে?
৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩২
আশরাফুল মাহিন বলেছেন: ভাই আমি কিন্তু একবারও বলি নি,আমি উনাকে মারা সমর্থন করেছি,কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ সমর্থন করার কথা নয়;মানুষ মানুষকে মারে কিভাবে সেটি আমার কাছেও প্রশ্ন,আমি শুধু আপনার কথার ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ঐ কথা লিখেছিলাম, এর চাইতে বেশি কিছু নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭
অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ