নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেমিংওয়ে, তুমি যেন আজও বেঁচে আছো।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭



কবিতাপ্রেমী অথচ হেমিংওয়েকে চিনবে না এমন পাঠক খুব কমই আছে। হেমিংওয়ে আমেরিকান সাহিত্যিক। বিশ শতকের ফিকশনের ভাষার ওপর তাঁর নির্মেদ ও নিরাবেগী ভাষার ভীষণ প্রভাব ছিল। আর এই ভাষার শিক্ষা হয়ত তিনি পেয়েছিলেন তার নিজের জীবন থেকেই।

হেমিংওয়ে এই মানুষে মানুষে হানাহানি পছন্দ করতেন না। কিন্তু, নিয়তি তাকে পাঠালো যুদ্ধে। তিনি খুব কাছে থেকে দেখলেন মৃত্যুকে। আর সমাজকে ধিৎকার দিয়েই হয়ত লিখলেন,

The age demanded বা 'সময়ের দাবি'

সময় দাবি করেছিল আমাদেরকে
গলা ছিড়ে ফেলে গাইতে
The age demanded that we sing
And cut away our tongue.

সময় দাবি করেছিল আমাদের প্রবাহিত
সমাজটাকে নাড়িয়ে দিতে
The age demanded that we flow
And hammered in the bung.

সময় দবি করেছিল আমাদের লৌহ
পোশাকে মৃত্যুনৃত্যে ঝাপিয়ে পড়তে
The age demanded that we dance
And jammed us into iron pants

আর শেষ পর্যন্ত সময়ের পরিবর্তনে
এ সমাজ চেয়েছিল সাজানো বৃষ্ঠা
And in the end the age was handed
The sort of shit that it demanded.


হেমিংওয়ে কখনও চিৎকার করেছেন আবার কখনও ভালোবেসেছেন।ওই যে বলে না কবিরা জন্ম থেকেই প্রেমিক।
তাই এ প্রেমিক কবি লিখলেন,

'Valentine'

যদি নাই হও মোর প্রেয়সী
তবে পাবে আমার শুন্য দেহ
তোমার ওই বড়দিনের বৃক্ষের ডালে
If my Valentine you won't be,
I'll hang myself on your Christmas tree.

কবির জীবনটা ছিল দুঃখভারাক্লান্ত। একটা সময় কবির মায়ের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়।তারপর ১৯১৮ সালের প্রথম দিকে হেমিংওয়ে কানসাস সিটিতে রেড ক্রসের নিয়োগ কার্যক্রমে সাড়া দেন এবং ইতালিতে অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে নিয়োগ পান।বারবার মৃত্যুকে দেখেন। যুদ্ধশিবিরের ক্যান্টিনে সিগারেট ও চকোলেট দিয়ে ফেরার সময় মর্টারের গুলিতে হেমিংওয়ে আহত হন।

যখন তার বয়স ১৮ তখন হেমিংওয়ে তাঁর দুর্ঘটনার ব্যাপারে বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন,
“যখন বালক হিসেবে যুদ্ধে যাও তখন অমরত্ব লাভের জন্য একটা মোহ কাজ করে। অন্য যোদ্ধারা মারা যাবে, আমি মরবো না,
এমন মনোভাব থাকে। কিন্তু যখনি প্রথম বারের মত মারাত্মভাবে আহত হবে তখনই সেই মোহ কেটে যাবে এবং ভাবতে শুরু করবে, আমিও মরে যেতে পারি।"


হেমিংওয়ে জীবনে কখনও স্থির হয়ে থাকতে পারেননি। দাম্পত্য জীবনে বারবার বিপর্যয় এসেছে। কেউ যেন তাকে বারবার তাড়িয়ে নিয়ে গেছে মৃত্যু পর্যন্ত। অবশেষে ১৯৬১ সালে হেমিংওয়ে আত্মহত্যা করেন।

ইয়ানসুরি কাওবাতা, সিলফিয়া পাথ অথবা মাইকভোস্কির মত হেমিংওয়েও আত্নহত্যা করেছিলেন। এই পৃথিবী হয়ত এই মানুষগুলোকে জন্ম দিয়েছে ঠিকই কিন্তু আগলে রাখতে পারেনি।

হেমিংওয়ে চলে গেছেন। কিন্তু, তার সৃষ্টিকর্ম আজও বেঁচে আছে,বেঁচে থাকবে হাজার বছর।
আর তিনি থাকবেন পাঠকের অন্তরে।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

মেজদা বলেছেন: জানলাম অনেক কিছু। ভাল লাগলো। ধন্যবাদ

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

মারুফ তারেক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট। হি ইজ রিয়েলি গ্রেট!++

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

মারুফ তারেক বলেছেন: হ্যাঁ
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বস পাবলিক ছিলেন!!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

মারুফ তারেক বলেছেন: বারবার জন্মায় না
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

দরবেশমুসাফির বলেছেন: হেমিংওয়ের কবিতা তেমন পড়ি নি। আমি উনাকে চিনি "ওল্ড ম্যান এন্ড দি সি পড়ে"। অসাধারন লোক ছিলেন, তার লেখা পড়লেই বোঝা যায়।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০০

মারুফ তারেক বলেছেন: হ্যাঁ
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আনু মোল্লাহ বলেছেন: হেমিংওয়েকে নিয়ে লিখার জন্য ধন্যবাদ জানাই :)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৩

মারুফ তারেক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যখন বালক হিসেবে যুদ্ধে যাও তখন অমরত্ব লাভের জন্য একটা মোহ কাজ করে। অন্য যোদ্ধারা মারা যাবে, আমি মরবো না,
এমন মনোভাব থাকে। কিন্তু যখনি প্রথম বারের মত মারাত্মভাবে আহত হবে তখনই সেই মোহ কেটে যাবে এবং ভাবতে শুরু করবে, আমিও মরে যেতে পারি।

এর চেয়ে সত্যি কথা আর কী আছে? হেমিংওয়ের জন্য অশেষ শ্রদ্ধা। আপনাকে ধন্যবাদ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৬

মারুফ তারেক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

ওরা ব্যার্থ হতে পারে না, মারা যেতে পারে না।
আমি জানি হেমিংওয়ে বেচেঁ আছেন।

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: অনেক কিছু জানালেন ভাই । ভাল লাগলো। ধন্যবাদ
+++++++

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৭

মারুফ তারেক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন জগৎ বিখ্যাত কবি নিয়ে । আত্মহত্যাগুলো মেনে নেয়া কষ্টকর, কেউ তাদের বুঝতে পারে নি এটাই তার প্রমাণ ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

মারুফ তারেক বলেছেন: সেটাই বোধয়।

ওদের কাছে হয়ত জীবনের একটা অন্য মানে ছিল।

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ বেশীর ভাগই ভুল কারণে যুদ্ধ করেছে; সৈনিকেরা অকারণ চরম মুল্য দিয়েছে; সৈনিকেরা লিখক হলে, সেই লেখা শক্তিশালী হয়।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১

মারুফ তারেক বলেছেন: মানুষ আজও বুঝতে পারে না যে, বন্দুকের নলের ডগায় কখনো শান্তি আসে না।

ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: বস মানুষ । পোস্টের জন্যে শুভেচ্ছা মারুফ তারেক ভাই

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

মারুফ তারেক বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: গ্রেট
পোস্ট ভালো লাগলো :)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
ভাল থাকবেন।

১২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৩

রাজ বিদ বলেছেন: আমিও উনাকে চিনি "ওল্ড ম্যান আন্ড দ্যা সি" এর বদৌলতে। উনার আত্মহত্যার ব্যাপারে যা জানি, উনি এক বিরল কিসিমের রোগের শিকার ছিলেন।জেনেটিক সমস্যা, উনার বংশে কয়েকজন পূর্বপুরুষেরও আত্মহত্যার রেকর্ড আছে পড়েছিলাম।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৫

মারুফ তারেক বলেছেন: হেমিংয়ের বাবাও আত্নহত্যা করেছিলেন, উনিও করেছেন।এর ভেতরেও একটা বিষয় আছে।
উনার রোগ ভাল হচ্ছিল না, এটাও একটা কারন হতে পারে।
দাম্পত্য এবং পারিবারিক জীবনে আসুখী ছিলেন।
আবার কবির মনে একটা অন্যরকমের শুন্যতা ছিল।

কেবা জানে কেন এর উত্তর।

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো লেগেছে ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫০

প্রামানিক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৭

মারুফ তারেক বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: “যখন বালক হিসেবে যুদ্ধে যাও তখন অমরত্ব লাভের জন্য একটা মোহ কাজ করে। অন্য যোদ্ধারা মারা যাবে, আমি মরবো না,
এমন মনোভাব থাকে। কিন্তু যখনি প্রথম বারের মত মারাত্মভাবে আহত হবে তখনই সেই মোহ কেটে যাবে এবং ভাবতে শুরু করবে, আমিও মরে যেতে পারি।"

-মনকে নাড়া দেবার মত সত্য কথা।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২০

মারুফ তারেক বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৪

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: দরবেশমুসাফির ও রাজ বিদ- এর মন্তব্যের সাথে সহমত। এ সমস্ত লেখা, আর কিছু ব্লগারের মন্তব্য দেখলে হাসিও পায় আবার কষ্টও হয়। ব্লগ মানে পার্কের বসার বেন্চে বসে আবোল-তাবোল গল্প করার স্থান নয়। বাহ্যিক দৃষ্টিতে কেউ নজরে না আসলেও,পরে সবার দৃষ্টিতেই আসে। হ্যামিংওয়ে-এর সাহিত্য কর্ম নিয়ে লিখতে গেলে “দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সী”র কথা প্রথমেই আসতে হবে। এই বিষয়ে আর কিছু বলবো না,শুধুমাত্র একটি সত্য কাহিনী বলবো। আমি তখন ইংরেজী অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র। আমার পাশের বাড়ীর এক ছেলে স্কুল জীবনেই হিজরত করে বড় বিদ্যা অর্জনের জন্য ঢাকায় চলে যায়। মাঝে মধ্যে বাড়ীতে চিঠি লেখে ত্ও আবার ইংরেজীতে। পিতা-মাতা চিঠির মাথামুন্ড না বুঝলেও ছেলে খাটি ইংরেজ হয়েছে দেখে খুশিতে আট বা নয় দশ খান হওয়ার ভাব। কিছু প্রয়োজনে এবং অনেকটা আমাকে চিকা শিক্ষা দেয়ার জন্য ঐ লোকটি ছেলের সেই মহান চিঠিটা মাঝে মধ্যেই আমার কাছে নিয়ে আসতেন। শেষে ঐ বাংলিশ ছাত্র ম্যাট্রিক পরীক্ষায় আমার জানা মতে বাংল ইংরেজী সহ কয়েকটি বিষয়ে ফেল করে। এ যেন--লালন মরলো জল পিপাসায়,কাছে থাকতে নদী মেঘনা।আমরা সুকুমার রায়ের সেই রামগরুরের ছানা, তাই হাসলাম না।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২০

মারুফ তারেক বলেছেন: পোষ্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
হেমিংওয়ে ওল্ডম্যান এন্ড দি সি এর জন্য নোবেল পান। স্বভাবতই হেমিংওয়ে কে নিয়ে লিখলে এই উপন্যাসটির নাম প্রথমেই আসে। কিন্তু, আপনি বোধয় খেয়াল করেননি, এই লিখায় একজন কবি হিসেবে হেমিংওয়েকে উপস্থাপন করা হয়েছে।তাই হয়ত হেমিংওয়ের নোবেল প্রাপ্তির বিষয়টিও বলা হয়নি। বলা হয়নি এক বৃদ্ধের সমুদ্রযাত্রা সম্পর্কে।

আরও একটি বিষয়,
আমি সামু ছাড়াও অন্য ব্লগে লিখি। আমরা একে অন্যের লিখায় মন্তব্য করি। বাস্তবে না হলেও ভার্চুয়াল জগতে একটা সম্পর্ক হয়ে যায়।
ব্লগে মন্তব্য দেখলে আপনার হাসি পায়, কষ্টও লাগে!
আপনি কি কোন ভাডাইম্যা টাইপের মন্তব্য পেয়েছেন?
যদি পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনিই হবেন প্রথম ব্যাক্তি।
সমালোচনার জন্য আবারো ধন্যবাদ।

১৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০০

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: শুধু আপনি নন,হয়তো অনেকেই লেখেন।আর মন্তব্য,- এখানেই তিনজন বাদে সবাই “(কোট)-ভ্যাডাইমা” মন্তব্য করেছেন। আমার বিশ্বাস প্রকাশ্যে না হলেও অন্তরে সহমত হবেন।ধন্যবাদ,আপনার মতো লেখকের কাছে আমার প্রত্যাশা ছোট নয়,অনেক বড়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.