নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বড় লেখা পড়তে অনেকেরই অসুবিধা হয়। এ কারনে ছোট করে লিখার চেষ্টা করেছি। কতটুকু হয়েছে কে জানে।।
মহান বিজ্ঞানী চার্লস রবার্ট ডারউইনের মেয়ে বলতেন, বাবা মিথ্যা গল্প শুনব না , সত্য গল্প শুনব। আর ডারউইন শুরু করতেন বিজ্ঞানের গল্প। শুরু করতেন প্রকৃতির রহস্য উদঘাটনের গল্প। ওরা বলে আমরা চাঁদে যাইনি। কিন্তু, আমাদের ভয়েজার সৌরজগত ছাড়িয়ে ইন্টারসেলে প্রবেশ করেছে। আজকের গল্প সত্য গল্প। মানুষের সক্ষমতার গল্প।
১৯৭৭ সালের ২০ অগাস্ট
মানব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনে পৃথিবী ছেড়ে যায় মানুষের মহাকাশযান ভয়েজার-২। সেপ্টেম্বর ৫, ১৯৭৭ পৃথিবী ছেড়ে যায় ভয়েজার-১। ভয়েজার-১ পরে প্রেরন করা হলেও গতি বেশী থাকার কারনে ভয়েজার-২ এর চাইতে এগিয়ে গেছে।
ভয়েজার-১ এর দিকেই আমাদের দৃষ্টি সবচেয়ে বেশী। ১৯৭৯ সালে বৃহস্পতি এবং ১৯৮০ সালে শনি সিস্টেমের সম্মুখীন হত্তয়ার পর ১৯৮০ সালের ২০ নভেম্বর এর প্রাথমিক মিশন শেষ হয়। এটিই ছিল প্রথম প্রোব যা দুটি গ্রহের এবং এদের উপগ্রহের বিশদ তথ্য এবং ছবি দিতে সক্ষম হয়। ভয়েজার ১ হল ভয়েজার প্রোগ্রাম এর অংশ এবং ভয়েজার ২ সাদৃশ্য যার কাজ সৌরজগতের সীমানা কুইপার বেল্ট, হিলিওস্ফেয়ার এবং নক্ষত্রমন্ডলের মধ্যবর্তী এলাকার তথ্য প্রেরণ করা।
চিত্রঃ ভয়েজার
এখন সৌরজগত ছাড়িয়ে গেছে ভয়েজার। পৃথিবী থেকে ২২.১ বিলিয়ন কিঃমিঃ দূরে।
ভয়েজার অসীম মহাকাশ পাড়ি দিচ্ছে শান্তির বার্তা নিয়ে।এই অসীম মহাবিশ্বে নিঃসঙ্গ মানুষেরা জীবনের সন্ধানে।
গোল্ডেন গ্লুব রেকর্ডঃ
টাইম ক্যাপস্যুলে করে পাঠানো হয়েছে গোল্ডেন গ্লুব রেকর্ড।এই রেকর্ডে করে পাঠানো হয়েছে আমাদের গ্রহের সংক্ষিপ্ত বিবরন। ৫৫ টি ভাষায় শুভেচ্ছা বার্তা। আর রয়েছে ১১৫ টি ছবি। পাখির ডাক, তিমির গান, মানুষের ডিএনএ প্রকৃতি।
রয়েছে মোজার্ট, বেটোফেন।
আর কসমিক ভয়েসে বলা হয়েছে পৃথিবীর কথা, আমাদের কথা। দুইটি লাইন শুনে আমার ভালো লেগেছে-
নমস্কার, বিশ্বের শান্তি হোক
Hello from the children of planet Earth.
চাইলে রেকর্ডটিকে শুনতে পারেন নিচের লিংকে-
https://www.youtube.com/watch?v=DpptII291aI
https://www.youtube.com/playlist?list=PLE6C7C244110DA56A
গবেষকেরা ধারণা করছেন, এ নভোযানটি ২০২০ সাল পর্যন্ত সংকেত পাঠাতে সক্ষম হবে। এরপর অজানার পথে পাড়ি দেবে ভয়েজার।সবিশেষ, এসি+৭৯৩৮৮ নামক নক্ষত্রের দিকে ছুটতে থাকবে এ নভোযানটি। কোনো দুর্ঘটনা ছাড়া ৪০ হাজার বছরের পথ পাড়ি দিয়ে দুই আলোকবর্ষ দূরের এই নক্ষত্রটির দিকে ছুটে যাবে মানুষের তৈরি এ নভোযান।
আমরা ছাড়িয়ে গেছি মহাকাশ। এটা কল্পগল্প নয়, বাস্তব সত্যি।
নিকোলা টেসলা টেসলা কয়েল বানিয়ে বলেছিলেন, "মানুষের কাজ তাদের কল্পনাকে অতিক্রম করেছে।"
তথ্যসূত্রঃ https://www.nasa.gov/
উইকিপিডিয়া।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২২
মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ গ্যাজিলিয়ন স্টারস ইন মাই স্কাই!
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০
পুলহ বলেছেন: অল্প কথায় সত্যি দারুণ একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
সময় নিয়ে গোল্ডেন রেকর্ডটা শুনে দেখার ইচ্ছা আছে...
শুভকামনা জানবেন ভাই
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫
মারুফ তারেক বলেছেন: আপনাকেও শুভকামনা পুলহ।।
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯
প্রামানিক বলেছেন: অল্প কথায় চমৎকার একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪
মারুফ তারেক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।।
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
মহা সমন্বয় বলেছেন: তারপর ... তারপর কি হল / হবে ??
চমৎকার চিন্তনীয় পোষ্ট, পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৮
মারুফ তারেক বলেছেন: এই মহাবিশ্বে এক ক্ষুদ্র প্রজাতি, আমরা মানুষ। বিজ্ঞানের হাত ধরে চলছি অসীমের সন্ধানে।
ধন্যবাদ মহা সমন্বয়।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৩
মারুফ তারেক বলেছেন: বিজ্ঞানের যাত্রা থামবে না।। ওরা গুনীদের মেরে সভ্যতাকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়ে ছিল। ৮০০-১৪০০ শতাব্দী পর্যন্ত। কিন্তু, সভ্যতা আবার উঠে দাঁড়িয়েছে।। আবার চলছে মানুষের সংগ্রাম। বেঁচে থাকুক বিজ্ঞান, প্রকৃতির কোলে।
৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: সংক্ষিপ্ত কিন্তু সুন্দর।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ অলওয়েজ ড্রিম।।
৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫১
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: চমৎকার একটা সবলীল লেখা ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৮
মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ shahadath hossain.
৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভয়েজার চড়ে সৌরজগৎ ছাড়তে পারলে ভাল হত| মহাজাগতিক হওয়া খেয়ে আসতাম একটু!
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৮
মারুফ তারেক বলেছেন: হয়ত নিকট ভবিষ্যতেই আন্তঃনাক্ষত্রিক যাত্রার সুযোগ পাবে মানুষ। আমরা আশাবাদী।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫
গ্যাজিলিয়ন স্টারস ইন মাই স্কাই! বলেছেন: ভাল লেখা