নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"কোথাও, অবিশ্বাস্য অথচ পরিচিত কোন কিছু অপেক্ষা করছে, আবিষ্কারের প্রতীক্ষায়।"
হ্যাঁ এ আর কেউই নন, মহান জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল সেগানের কথাই বলছি। আজ ২০ শে ডিসেম্বর, সেগানের মৃত্যুবার্ষিকী।
এই মৃত্যু আর অসীম শূন্যতা নিয়েই কার্ল সেগান বলেছিলেন, "For small creatures such as we the vastness is bearable only through love."
অর্থাৎ, “আমাদের মত এতো ক্ষুদ্র প্রাণীদের জন্য মহাশূন্যের এই বিশালতা সহ্য করার একমাত্র উপায় হলো ভালোবাসা”।
আমাদের জ্যোতির্বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার পেছনে অন্যতম অবদান তিনি কার্ল সেগানের।
'কসমস: আ পারসোনাল ভয়েজ' টিভি সিরিজের মাধ্যমে তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানের সৌন্দর্যকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেন।
বর্তমান সময়কার অন্যতম জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিল ডিগ্রেস টাইসন বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছেন কার্ল সেগানের দ্বারা। তিনি বারবার সেগানের স্মৃতিচারন করেন।
একনজরে সেগানঃ
সেগান ১৯৩৪ সালের ৯ নভেম্বর নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে এক ইহুদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৯ সালের কোন এক রবিবারে তার বাবা তাকে পাটিগণিতে শূন্যের ভূমিকা বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছিলেন এবং বলেছিলেন বড় সংখ্যা বলে কিছু নেই। কারণ যেকোন সংখ্যার সাথে এক যোগ করলেই আরেকটি বড় সংখ্যা পাওয়া যায়। বাবার কথায় তিনি এই বিষয়ে বিশেষ উৎসাহিত হয়ে পড়েন। শিশুসুলভ জিদের বশে তখনই ১ থেকে ১০০০ পর্যন্ত সংখ্যা লিখে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে লিখেও ফেলেন।
সেগান কিছুটা বড় হওয়ার পরপরই বাবা-মা তাকে প্রথম একটি লাইব্রেরি কার্ড ইস্যু করে দেন।আর একটু একটু করে জ্ঞান বাড়াতে থাকেন সেগান। সেগান জ্যোতির্বিজ্ঞান পড়েছেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে।
অধ্যাপনা করেছেন হার্ভার্ড এবং কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষক সারা জীবন এই অসীম মহাকাশ আর রহস্যের ব্যবচ্ছেদ করার চেষ্টা করে গেছেন।যার অন্যতম বিষয় ছিল 'বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তার অনুসন্ধান'। সারাটি জীবন আলোকবর্তিকা হাতে সন্ধান করে গেছেন এই অসীম রহস্যের।
আজ কার্ল সেগানের ১৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী।ডিসেম্বর ২০, ১৯৯৬ সালে ওয়াশিংটনের সিয়াটলে প্রয়ান ঘটে সেগানের।শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি অসীম পথের এই সাওয়ারীকে।
আমি জানি, তুমি আমাদের মাঝেই আছো।তুমি আছো ভালোলাগায়, ভালোবাসায়।।
"Imagination will often carry us to worlds that never were,
but without it we go nowhere. - Carl Sagan."
সেগানের বিশ্বাসকে ব্যাখ্যা করা যায় তার এই উক্তিটি দিয়ে, "I don't want to believe.I want to know."
আমরা নিচের ছবিটি পেয়েছি সেগানের জন্যই,
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া,ছবি গুগল থেকে।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬
মারুফ তারেক বলেছেন: কি আর বলার আছে: আলবার্ট আইনস্টাইন ইহুদি বলে জার্মানরা পদার্থবিজ্ঞানকে বলত ইহুদিদের পদার্থবিজ্ঞান। ধর্মের নাম নিয়ে কিছু কানারা অন্ধকার যুগ সৃষ্টি করেছিল ৮০০ থেকে ১৪০০ শতকে।ওরা জানেনা ধর্ম কি।
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২১
শাহ আজিজ বলেছেন: সবারি উচিত কার্ল সেগানের আবিস্কার নিয়ে পড়ার ।। সংশোধনী ।।
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাল লাগলো আপনার পোষ্ট। +++
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮
মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারি অথর্ব।
৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪
প্রসন্ন প্রহর. বলেছেন: চমৎকার। +++
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রসন্ন প্রহর।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০
শাহ আজিজ বলেছেন: যারা নোবেল পেয়েছিলেন তাদের নিয়ে চায়না ডেইলিতে নিয়মিত ব্লগ লিখতাম। কার্ল সেগানকে নিয়ে লিখতে গিয়ে বেশ অবাক হলাম তার অসাধারন আবিস্কার আর মেধার প্রকরন যা বাংলাদেশে জানা যায়নি বোধকরি ইহুদি বলে। কার্ল সেগান সেই থেকে মনের মাঝারে ঠাই নিয়েছে। সবারি উচিত কার্ল সেগানের আবিস্কার নিয়ে। ইংরেজি বলে অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, তবুও চেষ্টা করুন। এক ভিন্ন ধরনের লেখা নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য মারুফ তারেককে ধন্যবাদ।