নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বড়দের জন্য।।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বের হলাম । আজ ১৬ই ডিসেম্বর। আমাদের বাংলাদেশের বিজয় দিবস।
রাস্তায় নামার পরই পঙ্গু শিশুটি হাত বাড়িয়ে দিল। আমি দুই টাকার একটা নোট দিতেও ইতঃস্তত বোধ করলাম। যাইহোক, যাত্রা শুরু করলাম, গন্তব্যস্থান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান।
বিশেষ আলোচনা সভার দিকে চেয়ে আছি আমি,এই দেশের চাটুকার।আরও আছেন নগ্ন নারীরা। দামি গাড়িতে করে এসেছেন, তবুও তার কাপড় কেনার টাকা নেই বলে আক্ষেপ করছেন। মঞ্চে আছেন সেই ব্যক্তি যিনি নিজেকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পরিচালক বলে দাবি করেন।
আর আছেন দালালেরা,কুকুরের মত পায়ে নাক ঘষছেন।
সামনের সারি ভন্ডদের জন্য।ভন্ডরা নিজেদেরকে জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে দাবি করেন।আমদের চারপাশে রয়েছেন বিশেষ পোশাকধারীরা। জনগণ এদেরকে পেটোয়াবাহিনী নাম দিয়েছে।
বিশেষেরা তাদের কথামালা প্রসব করলেন।বলে গেলেন সুন্দরবনের বাঘেরা ঘাস খেতে শুরু করেছে।
অতঃপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হল। একি, এতো সেই, ওইদিন না ডিস্কোবারে মাতাল হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন! তাকে নিয়ে তো সাতদিন ধরে সংবাদ হল।
আমরা এসেছি সম্মান জানাতে। আমরা জাতির অমুক।
স্বাধীনতার অর্থ কী?
তিনি শুনিলেন জনগনের অবস্থা ভালো নয়। অতঃপর উত্তর দিলেন, ইহা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
আমি তো স্বাধীনতা দেখছি না। আমার মুখ বন্ধ।।
মূত্র বিসর্জন আর রক্ত বিসর্জন যে এক নয়।এই কথাটি বুঝতে বুঝতে যারা কুরুক্ষেত্র তৈরী করে। তাদেরকে দিয়ে আর কী আশা করা যায়।
অনেক হয়েছে নোংরা কথামালা।তোমরা উদ্যানকে বানিয়েছ পতিতালয়।ভাগ্য এখনও সুপ্রসন্নঃ সংসদকে এখনও নীলছবির পর্দা বানানো হয়নি।
কিছু হওয়ার পরে শিরোনাম, আমরা অনুষ্ঠানের নামে যৌন হয়রানি নিশ্চয়ই চাইব না।
সবিশেষ,এতটুকু বলতে পারিঃ স্তনযুগল হালকা বের করে সম্মান জানানো অথবা বুদ্ধির বাত্তি দিয়ে হ্যারিকেন জ্বালানোর জন্য শহীদেরা এদেশ স্বাধীন করেননি।
আর কিছু বলব না, পরে আবার গুতা না খাই!
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৯
সপ্ন বালক বলেছেন: কি ভাই! তাদেরও তো নগ্ন হবার স্বাধীনতা আছে।