নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশের তথাকথিত মুক্তমনাদেরকে আমি মুক্তমনা বলব না। এতে প্রকৃত মুক্তমনাদের (ন্যায়চিন্তক) অপমান হয়।
আসলে মুক্তচিন্তা বলতে আমরা কী বুঝি? শুধুই কি বিভিন্ন ধর্মের নামে কুটুক্তি করা। যদিও আমাদের দেশের বিকারগ্রস্থরা শুধুমাত্র এই কাজটিই করতে পারে। অভিজিৎ রায় বলেছিলেন ধর্মের ভিতরে থেকে নাকি মুক্ত চিন্তা করা সম্ভব নয়। আসলেই কি তাই?
এখন মুক্তচিন্তা শব্দটি নিয়ে আলোচনা করব।মুক্তচিন্তা কি আসলেই মুক্ত?
মুক্তচিন্তা মানে চিন্তার স্বাধীনতা।
চিন্তার আবার স্বাধীনতা কী?আপনি কি কোন দিন স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পেরেছেন?না কখনোই পারেননি।
একটু বুঝিয়ে বলি।
মনে করুন আপনি বাসে করে মতিঝিল যাচ্ছেন।বাসের মধ্যে হঠাৎ মারামারি লেগে গেল। আপনি নির্দোষ। কিন্তু, দুই দলের মারামারিতে আপনিও মার খেলেন। তাহলে কী হবে? সারাদিনে আপনি কতটুকু মুক্ত চিন্তা করতে পারবেন? আরে ভাই খালি পেটে থাকলে তো খাবারের চিন্তা ব্যতীত অন্য কোন চিন্তাই আসে না। আপনি মুক্তচিন্তা করেন কীভাবে?আমাদের প্রত্যেকটি চিন্তাই আমাদের কাজকর্ম আর পরিবেশের সাথে সম্পর্কিত। একমাত্র তিনিই মুক্তচিন্তা করতে পারেন যিনি এই জাগতিক সবকিছুর উদ্ধে। আমাদের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি থাকলেও পুরপুরি মুক্তচিন্তা আমাদের দ্বারা সম্ভব নয়।
তবে আমরা ন্যায় চিন্তা করতে পারি।আর এই ন্যায় চিন্তা কী শুধুই বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের চিন্তা? আর বাইরে এর অস্তিত্ব নেই? আমি বলব অবশ্যই আছে।আর এই ন্যায়চিন্তার কারনেই আমাদের সমাজ আজও টিকে আছে।
এই ন্যায়চিন্তা করেছিলেন টমাস একুইনাস আর ইমানুয়েল কান্টের মত দার্শনিকেরা।উনারা কিন্তু ধর্মকে গালি দেননি। কা'বা শরীফের ছবির দেয়ালে রং মাখাননি।
ঈশ্বরের অস্তিত্ব অনস্তিত্ব নিয়ে অনেক কিছু লিখেছিলেন ইমানুয়েল কান্ট।
তবে ইমানুয়েল কান্ট জীবনের শেষভাগে এসে বলেছিলেন, "এই নক্ষত্রখচিত রাতের মহাকাশ,এর পিছনে রয়েছে মহারহস্য- কোন এক মহাশক্তি। সেই মহাশক্তিকে যে নামেই ডাকা হোক। "
কতিপয় নাস্তিক বিভিন্ন কটুক্তি করে ধর্ম নিয়ে। আমি আসলে এদেরকে নাস্তিক বলব না। নাস্তিক হওয়া সহজ নয়। ওরা বিকারগ্রস্থ।
ডারউইনিজমে তো অবশ্যই বিশ্বাস করেন।শুধু আপনি না, রিচার্ড ডকিন্সও উনার একজন ভক্ত।ডারউইন মৃত্যুর সময় বলেছিলেন, "সাম পাওয়ার হ্যাভ"। এইতো অবিশ্বাসীর দর্শন।
আপনার বিশ্বাস নিয়ে যখন অন্য কেউ মাথা ঘামাচ্ছে না, তখন আপনি কেন অন্যদের সমস্যা সৃষ্টি করছেন?
বলুন তো এ পর্যন্ত মুক্ত চিন্তার নাম (মুক্ত চিন্তা বলা যায় না) করে আপনি সমাজের কি কি ফেলেছেন?অভিজিৎ দীপনের রক্ত ছাড়া এ সমাজকে আর কী দিয়েছেন?
আমাদের দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষেরা ধর্মের নামে কুটুক্তি শুনলে মর্মাহত হয়।এতে করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। যারা এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তারা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। একারনেই জাকির তালুকদার পাকা পায়খানা তত্ত্ব দিয়েছিলেন।
যারা বিকারগ্রস্থ তাদের তো আর সমাজ থেকে বের করে দেওয়া যাবে না এরা আমাদের সমাজেরই অংশ। হোক না একপ্রকারের মানুসিক রোগী। এদের জন্য সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মূলত যারা ন্যায় চিন্তা করেন তাদেরকে সবার আগে হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের সমাজে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। এই লেখাটি লেখা কি ঠিক হয়নি? কান্টের উক্তি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। আর তা হলঃ"Greatest good for the greatest number of people."
এই মুহূর্তে জন লেননের imagine শুনতে ইচ্ছে করছে। ভাল থাকবেন।
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০
জাওয়াদ স্পিকিং বলেছেন: এদের মধ্যে ইভাঞ্জেলিকাল খ্রিষ্টান মার্কেলের খ্রিষ্টান ইউনিয়ন অব জার্মানি শাসিত জার্মানির সিটিজেনশীপ পাবার লোভ বেশী কাজ করে।
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
যাক, মুক্তচিন্তা নামে আপনি যা বলছেন, এটা মুক্তচিন্তার ডেফিনেশন নয়; মুক্তিচিন্তা হচ্ছে, কোন বিষয়ে উপর নতুন লজিক্যাল ভাবনা ভাবার সময়, অতীতের প্রতিস্টিত সত্যকে প্রথমে 'ধ্রূব হিসেবে না' নিয়ে, ভাবতে, যাতে নতুন সতয় এসে গেলে তারও সাংকুলান হয়।'
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯
মারুফ তারেক বলেছেন: প্রত্যেকটি চিন্তাশীল মানুষের ভেতরেই হয়ত ঈশ্বরকে নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়।হতেই পারে, সেটা তো দোষের নয়।কিন্তু,যখন এরা মনে করে নাস্তিক ট্যাগ লাগিয়ে বিভিন্ন ধর্মের নামে দু'চারটা কুটুক্তি করে মস্তবড় মুক্তমনা হয়ে গেল।ঠিক তখনই শুরু হয় সমস্যা।মুক্তচিন্তার নাম দিয়ে যখন ধর্মকেই প্রধান সমস্যা হিসেবে গণ্য করা হয়,তখন তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবেই।যা কোন ভাবেই কাম্য নয়।
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১০
মারুফ তারেক বলেছেন: #হাতুড়ে লেখক
পৃথিবীতে ৪২০০ এর উপরে ধর্ম রয়েছে।ধার্মিকেরা তাদের ধর্ম নিয়ে সুখে আছে।আপনি তাদের ধর্মের নামে কুটুক্তি করার কে? আপনি শুধু তাদের বলতে পারেন ধর্মের প্রতি সম্মান রেখে।যখন সব ধর্মের প্রতি সম্মান দিতে শিখবেন, তখনই ন্যায়চিন্তা সম্ভব।এর আগে নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আপনি ধর্মের নামে ব্যবসা চালিয়ে যাবেন!
ধর্মের দোহাই দিয়ে হত্যা করে যাবেন!
আপনি সুস্থ মানব!
আর আমি ধর্মের ভুলগুলো ধরিয়ে দিলেই বিকারগ্রস্থ??