নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পর্ব-১ঃ Click This Link
পর্ব-২ঃ Click This Link
গত পর্বে ভিয়েতনাম যুদ্ধ, কোরীয় যুদ্ধ, চে গুয়েভারার স্বপ্ন এবং হান্টিংটন তত্ত্বের আলোচনা করে ইতি টেনেছিলাম। এই পর্বে ইরাক যুদ্ধ আফগানিস্তান যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচের অস্থিরতা নিয়ে আলোচনা করব।
ইরাক যুদ্ধঃ
মানুষের মানবিক গুণাবলী নষ্ট হওয়ার সীমাকে যে অতিক্রম করা যায়, যুক্তরাষ্ট্র তার সাক্ষী।একটি দেশ যে মিথ্যার আশ্রয় কত আয়োজন করে নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রমাণ। ২০০৩ সালের ২০শে মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিচালিত বাহিনীর ইরাক আগ্রাসনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল।ইরাক আক্রমণ করার জন্য তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশ ও কোয়ালিশন বাহিনী যে কারণ দেখিয়েছিল তা হল: ইরাক ১৯৯১ সালের চুক্তি অমান্য করে গণবিধ্বংসী অস্ত্র নির্মাণ করছে এবং তাদের কাছে এ ধরণের অস্ত্রের মজুদও আছে। তখন সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছিল, ইরাক যুক্তরাষ্ট্র, এর জনগণ এবং মিত্র রাষ্ট্রগুলোর জন্য বড় ধরণের হুমকি। পরবর্তীতে এএ সমর্থক কর্মকর্তাদের প্রচণ্ড সমালোচনা করা হয়। কারণ আগ্রাসনের পরে পরিদর্শকরা ইরাকে গিয়ে কোন ধরণের গণবিধ্বংসী অস্ত্র খুঁজে পায়নি। তারা জানায়, ইরাক ১৯৯১ সালেই গণবিধ্বংসী অস্ত্র নির্মাণ ত্যাগ করেছে, ইরাকের উপর থেকে আন্তর্জাতিক অনুমোদন সরিয়ে নেয়ার আগ পর্যন্ত তাদের নতুন করে গণবিধ্বংসী অস্ত্র নির্মাণের কোন পরিকল্পনাও ছিল না।এর দ্বারা যা প্রমানিত হয় তা কার কষ্ট বলার দরকার নেই।
যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্ররা ইরাক আক্রমণ করার পরপরই ইরাকী রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হোসেন পালিয়ে বেড়ায়।অবশেষে ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে তাকে আটক করা হয় এবং ২০০৬ এর ডিসেম্বরে সাদ্দামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এরপর সুন্নি এবং শিয়া দলগুলোর মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় এবং আল-কায়েদা ইরাকে তাদের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করে। এই যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা আনুমানিক ১৫০,০০০ থেকে ১০ লক্ষের বেশী।মানুষ যেন আর মানুষ থাকে না।
আফগানিস্থান যুদ্ধঃ
যুদ্ধের আগে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আফগানিস্থানের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালই ছিল।যুদ্ধ আফগানিস্থানকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
আফগানিস্থান যুদ্ধ শুরু ১৯৭৯ সালে “ইউনিয়ন অফ সোভিয়েত সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক্স” (USSR) এর সামরিক বাহিনী এবং আফগানিস্তানের কম্যুনিস্ট-বিরোধী গেরিলাদের মধ্যে।মুক্তির আন্দোলন হিসেবে যুদ্ধ শুরু হলেও পরবর্তীতে এই যুদ্ধ আফগানিস্থানকে খাদে ফেলে দেয়।যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি করা জঙ্গীরা দেশটিকে যেন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে। এখন নাকি মার্কিনীরাই আফগান সরকারকে সহায়তা করছে জঙ্গীদের থেকে বাঁচতে।এ যেন হাস্যকর ব্যাপার।
বর্তমান সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে না বললেই নয়। আরব বসন্ত শুরু হয়েছে শত মানুষের রক্তপাত ঘটিয়ে। হোসনি মোবারকের পতন, গাদ্দাফীর হত্যাকাণ্ড যার সাথে সিরিয়ার ক্ষুধার্ত শিশুরা চিৎকার করে উঠে। এদিকে জার্মানির বিরোধীদলীয় উপমন্ত্রী সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন।
আইএস এর নাম যেন মিডিয়ার সৃষ্টি। যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কসহ ন্যাটোর ১২ টি দেশ প্রায় এক বছর যাবত যুদ্ধ করছে আইএস এর বিরুদ্ধে। অথচ তারা কিছুই করতে পারছে না। আইএস কি এতই শক্তিশালী?
তাহলে দেখা যাক রাশিয়ার হস্তক্ষেপ।সপ্তাহখানেকে মাঝে আইএসকে প্রায় কোণঠাসা করে ফেলেছে রুশ বাহিনী। এর মধ্যেই শোনা যায় যুক্তরাষ্ট্রের আহাজারি। যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ আর কতভাবে উন্মোচন করতে হবে?
প্রতিবাদঃ
ভাবতে অবাক লাগে যে, ইতিহাসের অনেক যুদ্ধবাজদেরকেই আমরা কিংবদন্তি হিসেবে আখ্যা দিয়েছি। আলেকজেন্ডার অথবা চেঙ্গিস খাঁন যারা সারাটি জীবন যুদ্ধ করে গেছেন।কারনে অথবা অকারনে।
উপরের ছবিটি ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার। অস্টিয়ার শিশুটি নতুন জুতো পেয়েছে, তার মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে। আর এই জুতো দ্বারাই বুঝায়ঃ হিটলার,আলেকজেন্ডার, চেঙ্গিস খাঁন, বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল যুদ্ধবাজদের গালে জুতো।
All war is a symptom of man's failure as a thinking animal- JOHN STEINBECK.
এতটুকু বলতে পারি, ক্ষুধার্ত, অসহায়, পঙ্গু শিশুদের আর্ত চিৎকার কাউকে ক্ষমা করবে না।
পরিশেষে বলব,
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, প্রথম আলো, ছবি গুগল থেকে।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাদের মূখোশ তো উন্মোচিতই !
কিন্তু ধমকটা দেবে কোন শেখের পো! যথেষ্ট হয়েছে ! এবার থাম!
সেইতো নাই। সবাই আত্মস্বার্থের ঠুলিতে জন্মান্ধ হয়ে বসে আছে। কেবল নিজের গায়ে আঁচ লাগলেই কে রে বলে খেকিয়ে ওঠে!
তবে প্রকৃতির নিত্যতা সূত্রে তাদের পতনও কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র!!
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮
মারুফ তারেক বলেছেন: পতনের প্রতীক্ষায়ই আছি।
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২
দ্যা আহমেদ মামুন বলেছেন: আমেরিকা আসলে ফুরিয়ে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪
প্রামানিক বলেছেন: সপ্তাহখানেকে মাঝে আইএসকে প্রায় কোণঠাসা করে ফেলেছে রুশ বাহিনী। এর মধ্যেই শোনা যায় যুক্তরাষ্ট্রের আহাজারি। যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ আর কতভাবে উন্মোচন করতে হবে?