নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয় বাংলাদেশী ভাইবোনেরা,
আমাকে চিনতে পারছ? আমি সেই মেঠো পথ ধরে হেঁটে যাওয়া মেয়েটি। একটি চিঠি লিখে তোমাদের মূল্যবান সময়ের অপচয় করলাম। আশা করি ক্ষমা করে দিবে।কি করব বল, তোমাদের কথা যে খুব মনে পড়ে। একটু না হয় আমার কথা বলি।
আমিও তো চেয়েছিলাম তোমাদের মত করে বাঁচতে। আমার বাহুযুগল ঝুলে ছিল কাঁটাতারের উপর থেকে। আমি কোন করুনা চাইনি। আমি চেয়েছিলাম বাঁচার অধিকার। এখন হয়ত আমার নশ্বর দেহ মাটিতে মিশে গেছে। আমার শেষ মুহূর্তের ঝুলন্ত ছবিটিকে নিয়ে তোমার অজস্রবার কথার অপচয় করেছিলে। রক্ত ঝরে পড়া লাশটি সেদিন কথা বলেছিল। কিন্তু, সেই কথা কি তোমরা শুনতে পেয়েছিলে? শুনতে পেয়েছিলে কি এক পৃথিবীর আত্নার সংগ্রামী কথামালার সংগ্রামী ভাষা? আজ পুরনো ছবিটি কথা বলে। স্মরণ করিয়ে দেয় রক্তাক্ত ইতিহাস। আমি জানি, ওরা সামান্য পাঁচ লক্ষ রুপি দিতে অবাধ্য হয়েছে। কিন্তু, তাতে আমি কিছু মনে করিনি। কারন, ওরা তো আমার সোনার বাংলার ভাই না। ওদের দেওয়া না দেওয়াতে আমার কিছু যায় আসে না। তাই বলে ভেব না আমি কষ্টে আছি। তোমাদের দোয়ায় খুবই ভালো আছি এই পরপারে। কিন্তু, তখন আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে, যখন শুনি আমার আর এক একজন ভাইকে বুলেটে বিদ্ধ করা হয় গরু পাচারকারী নাম দিয়ে। তোমারা কি রক্তাক্ত সবুজ ঘাসের কথা শুনতে পাও? শুনতে কি পাও আমাদের স্বাধীন বাংলার আর্তনাদ? সে বলে আমার সন্তানেরা কোন দোষ করেনি। দোষ করেছে এই মানব জাতির বানানো কাঁটাতার। কেন এমন হয়? আমার ভাইদের লাশে ভরে যায় সমুদ্র। বার্মা থেকে শুরু করে থাইল্যান্ড অথবা মালেশিয়ায়। সবখানে আজ আমার ভাইদের লাশে ভরে গেছে। বলতে কি পার কি দোষ ছিল ওদের? এই সমুদ্র, আকাশ, পৃথিবী জানে একটি কথা,ওরা বাঁচতে চেয়েছিল? তোমরা কি পারনা আমার ভাইদের বাঁচাতে। আমার বোনদেরকে রক্ষা করতে? আমি চাই না আমার মত করে, আমার আর কোন বোনের মৃত্যু হোক। আমি চাই না আমার ভাইদের লাশে ভরে যাক সমুদ্র থেকে বনাঞ্চল। তাই দেশমাতাকে বলি, দেখে রেখো তোমার সন্তানদেরকে।তুমি না বলেছিলে, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।
পরিশেষে,আমাদের সোনার বাংলার সাফল্য কামনা করে শেষ করছি। ভালো থেকো সবাই।
ইতি
তোমাদের ফেলানি।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ মহান অতন্দ্র । কিন্তু, দুঃখের বিষয় আমরা কিছু করতে পারিনা। শুধু আমাদের ভাইবোনদের আর্তনাদ শুনি। নির্লজ্জভাবে লিখি তাদের দুঃখের ইতিহাস।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০০
শিপন মোল্লা বলেছেন: ফেলানিকে নিয়ে শুধু এক আকশ কষ্ট দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কিছুই নেই অবশিষ্ট।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২
মারুফ তারেক বলেছেন: বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বলা হল, পাঁচ লক্ষ রুপি পাবে ফেলানির পরিবার। কিন্তু, সেটাও দিতে রাজি নয় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪১
মানবী বলেছেন: ভারতীয় সাধারণ মানুষের প্রতি কোন বিদ্বেষ অথবা বিরূপ মনোভাব নেই তবে কোন ভাবেই ভারতের অর্থনীতি কে সাহায্য করে ফেলানীদের হত্যার বুলেটের অর্থ জোগানো সমর্থন করিনা।
আর সেই কারনে শুধু ভারতীয় পণ্য ক্রয়ই নয় বরং ভারতে ট্যুরিজমও বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য নেতিবাচক।
সীমান্তে দাঁড়িয়ে ফেলানীদের রক্ষা করা সম্ভব না হলে তাদের হত্যার বুলেট টি কিনতে সাহায্য করা থেকে আমরা বিরত থাকতে পারি।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮
মারুফ তারেক বলেছেন: হ্যাঁ, আমরা চাইলেই পারি। তবুও কেন আমাদের নীতিনির্ধারকরা ভারত ভারত করেন? আমরা কি এতটাই অসহায়? মোটেই নই।
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১০
মানবী বলেছেন: নীতি নির্ধারকরা করে কারন তাদের কোন নীতি নেই। নীতিবর্জিত এই সব কীটের কাছে নিজ দেশের স্বার্থের চেয়ে ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতার মসনদে টিকে থাকাই প্রধান ও একমাত্র নীতি।
আর এক্ষেত্রে ভারতের পদলেহন কারো কারো মূলমন্ত্র!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২১
মারুফ তারেক বলেছেন: ভালোই বলেছেন মানবী। ক্ষমতার লোভে মত্ত রাজনিতিবিদদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না। নাগরিক অধিকার তো আকাশের তারা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
মহান অতন্দ্র বলেছেন: " মানব জাতির বানানো কাঁটাতার" সুন্দর লেখা তবে কষ্টের ও বিষণ্ণের।