নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের সূর্যসন্তানঃ ছাত্রলীগ

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১০

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই কথাটি বার বার বলতে হয়ঃ সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি।আমরা আজও মানুষ হতে পারিনি। গত রবিবার (৩০ আগস্ট) শাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর হামলা চালায়। বরেণ্য শিক্ষাবিদ-লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, তার স্ত্রী ড. ইয়াসমীন হকসহও বেশ কয়েকজন শিক্ষককে এ সময় আহত ও লাঞ্ছিত করা হয়। এই ঘটনাটি আমাদেরকে লজ্জিত করে দেয়।আমাদের দেশে এসব অঘটন নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রমাণিত হয়েছে আমাদের দেশে মায়ের পেটের শিশুটিও আজ নিরাপদ নয়। শুধু ছাত্রলীগ বলে কথা নয়, রাজনের বেদনাদায়ক হত্যাকাণ্ড অথবা পশ্চাতদেশের মধ্য দিয়ে বায়ু ঢুকিয়ে সেই শিশুটির হত্যাকাণ্ড আমাদেরকে কোন পথে নিয়ে যাচ্ছে?এসব ঘটনা কি আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের স্পষ্ট ধারনা দেয় না? তাহলে কোথায় যাচ্ছে আমাদের সোনার বাংলাদেশ? আর এইভাবে দু-চার লাইন লিখে প্রতিবাদ করে কী হবে? আজ প্রতিবাদের ভাষা নেই আমার কাছে। কার কাছে আমি ফরিয়াদ জানাব? মনে হয় অদৃশ্যের দরবার ছাড়া এই প্রতিবাদ আর কারো কাছে পৌছাবে না । আমরা কি এই অন্যায়গুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারিনা? আমরা কি পারিনা এই অশুভ শক্তিগুলোকে শক্ত হাতে দমন করতে? আমি জানি, আমারা অবশ্যই পারি। আর এর জন্য চাই সবার মিলিত চেষ্টার প্রয়াস। একটু এগিয়ে আসুন সবাই। জয় আমাদের হবেই ইনশাআল্লাহ্‌।
সর্বশেষে বলব, ক্ষমা করবেন জাফর ইকবাল স্যার।আমরা সময়মত আপনার পাশে দাঁড়াতে পারিনি। তাই হুমায়ূন আজাদ স্যারের কথগুলো মনে পড়ে যায়, "সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে"। তাই আওয়াজ তুলুন সত্যের পথে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪২

বেরসিক কথক বলেছেন: ছাত্রলীগ কতৃক জাফর সুতরাং আমরা মজাইকবাল মাইর খেয়েছে এটাতো খুব ভালো নিউজ। কারণ ছাত্রলীগ এবং জাফর ইকবাল দুটিই বিশ্বখারাপ।


ওরা সবাই আমলিগ। সুতরাং ভালো না লেগে পারেই না

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৪

মারুফ তারেক বলেছেন: কিছু মনে করবেন না, আপনি মনে হয় জাফর ইকবাল স্যার সম্পর্কে একটু কম জানেন। যখন প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়, তখন মোমবাতি হাতে শহীদ মিনারে উনিই বসেন, আপনি বসেন না। এ কারনেই এ লোকটা খারাব। যখন জাপানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার আসে জাপানে যাওয়ার জন্য। তখন লোকেটি বলেন,দেশের ছেলেমেয়েদের কিছু শিখাই। এ কারনেই এ লোকটি খারাব। যখন বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড হয়, তখন এই লোকটিই কথা বলেন। তাই তিনি খারাব। উনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধীদের বিরুদ্ধে কলম ধরেন। তাই তিনি খারাব। আমরা আসলে এরকমই। যদি এই কারনগুলো উনাকে খারাব বানায়। বানাক তাহলে আমি তবুও উনার পক্ষে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.