নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রদায়িকতার উপাখ্যানঃ

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

আমি লজ্জিত,এই একুশ শতকে এসেও আমাদের মাঝ থেকে সাম্প্রদায়িকতার বিষ গেল না।এমন তো হওয়ার কথা ছিল না।ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় উপমহাদেশে আসার পূর্বে সাম্প্রদায়িকতা ছিল কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র।ব্রিটিশরা এলো শাসন করতে। কিন্তু,ব্রিটিশরা এত বড় রাজ্যে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা নিয়ে ভয় পেতে লাগলেন,ক্ষমতা হারানোর ভয়।তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশ শাসনাধীন উপমহাদেশের জনসংখ্যা ছিল বিশ কোটি।ব্রিটিশদের বিশ কোটি গুলিও ছিল না।তখন ব্রিটিশরা বিভিন্ন পরিকল্পনা করতে থাকেন। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি যার অন্যতম।তারা "ডিভাইড এন্ড রুল" নীতি প্রণয়নে সচেষ্ট হন।হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিতে যে ব্যক্তি প্রধান ভুমিকাপালন করেন তার নাম লে: কর্নেল জেমস টড এবং তার লেখা দুই খন্ডের বই " এনাল এন্ড এন্টিকুইটিস অব রাজস্থান"।
ব্রিটিশদের এই নীতি সফল হয়েছিল।তারা অবিভক্ত বাংলার স্বাধীনতাকে আটকে দিয়েছিল ১৯০ বছর ৬ মাস ১৬ দিনের জন্য।ভারত,পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সৃষ্টি,যা এই নীতিরই ফলাফল মাত্র।এখানেই শেষ নয়,আমাদের বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতার প্রভাব এখনও কাটেনি।আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজও এর বাইরে নয়।কেউ কেউ শিক্ষিত হয়েও অন্ধ।আর কতদিন আমরা সাম্প্রদায়িকতার বোঝা নিয়ে চলব?সেইম অন আস।এখন সময় হয়েছে রুখে দাড়ানোর।চাই সাম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্তি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ব্রিটিশ চলে গেছে- কিন্তু তাদের বিষ রেখে গেছে!
চিন্তা চেতনার মূল শিক্ষা ব্যবস্থাইতো ধ্বংস করে সৃজনশীল মানুষের বদলে তাদের কেরানী আর অনুগত দাস বানানোর কারিকুলাম দিয়ে গেছে- তাই বহন করছি আজো!
বিচার প্রশাসন সবক্ষেত্রে রাজা-প্রজার বিভেদ বোধ আজও প্রতন্ত্রের কর্মচরীদের মাঝেও দৃশ্যমান।
ধর্মীয় উদারতার প্রকৃত জ্ঞান তো বহুদূরের বাদ্য!!!

বদলাবেটা কে? প্রধান মাধ্যম মিডিয়া! তারা হল বড় বেনিয়া! বেনিয়া মুনাফা ছাড়া কিসু বোঝে না। মুনাফা দিতে পারে যারা তারা ব্রিটিশ বিষে জর্জর.... আবারও সেই পুরানো চক্র! অবিরাম!

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:১০

মারুফ তারেক বলেছেন: ভাল একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু। ব্রিটিশরা কখনও চায়নি আমাদের মাঝ থেকে ভালো যোগ্যতা সম্পন্ন কেউ বের হয়ে আসুক। ওরা এদেশের ছেলেমেয়েদের শিক্ষাটাকে সীমিত পর্যায়ে রেখেছিল, যাতে এদেশের মানুষ সামনের দিকে এগুতে না পারে।স্থাপন করেছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নামে কিছু কেরানী বানানোর কারখানা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.