নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ এর মধ্যে একজনও হুজুর নাই, আটষট্টিজন বীরউত্তমের মধ্যে একজনও মাওলানা নাই, ১৭৫ জন বীরবিক্রমের মধ্যে একজন মুফতি নাই, ৪২৬ জন বীরপ্রতীকের মধ্যে একজনও আন্তর্জাতিক খ্যাতি-সম্পন্ন মুফাচ্ছের নাই, তবে দুইজন মহিলা আছেন! দেশ কে স্বাধীন করতে কত ধরণের মুক্তি বাহিনী গঠিত হয়েছে! কিন্তু একজন হুজুরের নেতৃত্ব ০৫-১০ জন মাদ্রাসার ছাত্র নিয়ে কোন প্রতিরোধ যুদ্ধের নজির পাওয়া যায়নি। নজির পাওয়া গেছে পাকিস্তানি কর্তৃক বাংলার মা বোনদের ধর্ষণে সহযোগিতায়।
অথচ ১১ বছরের শহীদুল যুদ্ধ করেছে, উপজাতিরা যুদ্ধ করেছে, তারামন বিবিরা যুদ্ধ করেছে, বিদেশিরা যুদ্ধ করেছে।
তখন কেউ দাবি করেনি ৯০% মুসলমানদের দেশ। এখন দেশ প্রেম চুইয়া পড়ে।
©সংগৃহীত.
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: এরা আসলেই মুসলমান কিন্তু মানুষ না।
৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭
শাহ আজিজ বলেছেন: এমনভাবে কেউ বলেনি । আসলেই ব্যাপারটা সত্য । যারাই হাজারো মানুষের রক্তের বিনিময়ে আনা এই স্বাধীন বাংলাদেশের লালন পালন করেছেন তারা কম বেশি অদ্ভুতরকম ধর্মাশ্রয়ী হয়ে দেশটাকে ৯০% এ ঠেলে দিয়েছেন । ৭১ সালে ৯মাসে ছাড়া পেয়েছিলাম , এবার কিছু হলে ৯০ বছরেও সুরাহা হবেনা । আসুন ঘুরে দাড়াই ।
৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪
স্থিতধী বলেছেন: তখনও এদের অনেকেই দেশপ্রেমিক ই ছিলো আসলে। রাজাকার শব্দের অর্থ তো স্বেচ্ছাসেবী । তারা তাদের দেশ পাকিস্তানের প্রেমে ছিলো তখনো, এখনো তাই। এখন তাদের দেশপ্রেমের লক্ষ্য বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ও অধ্ম বাংলাস্তানে পরিণত করে ফেলা।
৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
১৯৭১ আমার নিজ চোখে দেখা। আমি কিছু তথ্য সংগ্রহ করছি আশা করছি এগুলো প্রিন্টাকারে প্রকাশ করবো এবং ব্লগেও পোস্ট দিবো। আপনি যেভাবে বলেছেন এমনটি হয়নি তবে মসজিদের বহু ইমাম মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর হাতে বিনা কারণে নিহত হয়েছেন। কি আর করা বলেন, তাদের শিক্ষিত কেউ ছিলো না - তাই তাদের হয়ে গল্প লিখার কেউ নেই। যারা যুদ্ধে যায়নি তাদেরও মজাদার মুখরোচক গল্প আছে।
আপনি ১৯৭১ দেখেন নি। আমার বিশ্বাস আপনার ঘনিষ্টজনও ১৯৭১ দেখেনি। দেখে থাকলে তামাম হুজুর মোল্লাহ নিয়ে এভাবে লিখতে পারতেন না। এক হেফজতের কারণে আর জামাতের কারণে দেশের তামাম হুজুর খারাপ হয়ে যাবে এমন কথা কোন ডিকশনারীতে লেখা আছে?
৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
চাঁদগাজী ভাই ও শাহ আজিজ ভাই, আমাদের জেলাতে কালিশিমা নামের গ্রামে জুম্মাঘরের আবুল কাশেম হুজুর ও তার পরিবারের সাত সদস্যকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মারে পাকিস্তানি মিলিটারি। এচাড়া অসংখ্য হুজুর মরেছেন যুদ্ধে। আপনারা যখন হ হ হু হু করেন তখন জানতে ইচ্ছে করে সত্যি সত্যি ১৯৭১ এর মাঠে ছিলেন?
হারামজাদা হেফাজত আর হারামজাদা জামাতের কারণে সারা দেশের হুজুর খারাপ? - এই কলঙ্ক নিয়ে অশিক্ষিত থাকাই ভালো, তাতে বাংলা অক্ষরে এসব পড়তে হবে না।
৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১
ফটিকলাল বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। সুপার লাইক
৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০
স্থিতধী বলেছেন: @ ঠাকুরমাহমুদ
আপনি নিশ্চয়ই লেখাটির প্রথম প্যারাগ্রাফ ভালোমতো পড়ে নিয়েছেন বোধকরি ? লেখাটি যে মুক্তিযুদ্ধে ওই হুজুর শ্রেনী থেকে উল্লেখ করার মতো পাক বাহিনীর প্রতিরোধ / পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার মতো মানুষ দেখা যায়নি সেই কথাটি বলছে। আর আপনি এখানে যে উদাহারণ দিচ্ছেন সেটা পাক বাহিনীর এ দেশে জঘন্য হত্যাযজ্ঞের ভিক্টিম দের উদাহারণ, যোদ্ধাদের নয়। আপনি নিজেই বলছেন, "মসজিদের বহু ইমাম মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর হাতে বিনা কারণে নিহত হয়েছেন " । বিনা কারনে নিহত হওয়াটা ট্র্যাজেডি হতে পারে বীরত্ব নয়।
পাক বাহিনীর নৃশংসতার ভিক্টিম অনেকেই হয়েছেন যারা যোদ্ধা ছিলেন না । আমার নিজের বাবাও নিতান্ত বালক অবস্থায় তখন পাক বাহিনীর হাতে নিহত হতে যাচ্ছিলেন, এলাকার অন্যদের অনেক অনুরোধে তার প্রাণ ভিক্ষা দেয়া হয়, তিনিও যোদ্ধা ছিলেন না যদিও তার প্রাপ্ত বয়স্ক বড় ভাই তখন যুদ্ধের ময়দানে। অন্যদিকে আমার দাদা তখন মসজিদের ইমাম যিনি যুদ্ধে যাননি এবং রাজাকারও হননি।
যদি আপনি একান্তই সঠিক তথ্যাদি সংগ্রহ করে মুক্তিযূদ্ধে হুজুর , মাওলানা, ইমাম শ্রেনীর মানুষদের মধ্যে থেকে মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিণির প্রতিরোধ যুদ্ধের তথ্যাদি সংগ্রহ করে জাতিকে অবগত করতে পারেন তবে তা ভালো। তবে এই নির্দিষ্ট পোস্টের বিরোধিতা করার মতো উপাদান আপনি এখনো দিতে পারেন নি। অন্যদিকে, কেউ যদি শিক্ষিত না হয়, তবে তাকে হুজুর, ইমাম, মাওলানা আসলে বলাই ঠিক না, তার কারন সত্যিকার ভাবে হুজুর, ইমাম, মাওলানা হতে গেলে শিক্ষিত হওয়াটা বাধ্যতা মূলক হবার কথা। তাই অশিক্ষার কারনে যোদ্ধা হবার কথা গুলো জানাতে না পারাটা হতাশাজনক।
৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
স্থিতধী
World Ex Muslim Alem Organization - WEMAO উক্ত পোস্ট কপিপেস্ট দোষে দুষ্ট। লেখকের এখানে নূণ্যতম কোনো কৃতিত্ব নেই। লেখাটি যারা শেয়ার করেছেন তাদের নাম লিংকে দেয়া হলো। তাদের পরিচয় পওয়ার পর আশা করি বুঝতে পারবেন আলেমদের প্রতি তারা কিরূপ ঘৃণা পোষণ করেন - তারা নাস্তিক তারা মুসিলিম বিদ্বেষী। একটি কপিপেষ্ট লেখাকে অত্যন্ত মূল্যবান তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে চাচ্ছি না। আসছে ডিসেম্বর মাস আমার লেখা আসবে নিয়মিত। পড়ার জন্য দাওয়াত রইলো। তারপরও কিছু তথ্য দিয়ে যাচ্ছি।
ততকালীন আলেম হুজুর ইমাম মাদ্রাসার ছাত্র যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন। হয়তো শিক্ষিত সংঘঠনের সাথে সংঘঠিতভাবে তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেননি হয়তো তাদের টিমে গল্প লেখার মতো কেউ ছিলেন না - যে কারণে তাদের নাম চাপা পরে গেছে ইতিহাসের পাতায়। তারা বীরত্বের সাথে লড়াই করেছেন। বিস্তারিত আমার পোস্টে আমি লিখবো। বরং আমি বলতে পারি পেন্ট শার্ট পরা ক্লিনশেভড ইউনিভার্সিটির অনেক ছাত্র রাজাকার ছিলো - এ বিষয়ে ব্লগার চাঁদগাজীকে জিজ্ঞেস করে নিবেন আমার কথার সত্যতা। যুদ্ধ লড়েছেন মূর্খ, অর্ধ শিক্ষিত, স্বল্প শিক্ষিত, কৃষকের ছেলে, শ্রমিক টাইপের লোকজন। শিক্ষিত লোকজনের দল ভারতে পালিয়েছেন কেউ আগরতলা, কেউ আসামে গিয়ে আর ফিরে আসেন নি, এখন মোদি সরকার ঘাড় ধরে তাদের দেশে পাঠাতে চাচ্ছেন। কেউ কোলকাতা রঙ মহলে বসে বসে ইতিহাস লিখেছেন।
স্থিতধী এতো দ্রুত হতাশ হবেন না। ঠাকুরমাহমুদ ইতিহাসের মানুষ, ঠাকুরমাহমুদ ইতিহাস দেখা মানুষ। আপনি প্রশ্ন করেছেন আশা করি কিছুটা হলেও উত্তর পেয়েছেন বাদবাকী আমার পোস্টের জন্য অপেক্ষা করুন।
১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার দাদা, দাদি, ফুফুরা ৭১ সালে আগুনে পুড়ে মারা যেত যদি রাস্তার মাথার মসজিদের ইমাম সাহেব পাকিস্তানি হানাদারদের কথার মাদ্ধমে না ঠেকাতেন। বীর শ্রেষ্ঠ ৭ জনের একজনও গণবাহিনীর না। ৬৯ জন বীরউত্তম পদক পেয়েছেন যাদের মধ্যে ৬৭ জনই সামরিক বাহিনীর। ১৭৫ জনকে বীরবিক্রম পদক দেয় হয়েছিল যার মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ জন মাত্র সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা ছিল। সেক্টর কমান্ডার কর্নেল কাজী নুরুজ্জামানকে বীরউত্তম পদবি দেয়া হয়েছিল।কিন্তু গণযোদ্ধাদের সঠিক মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি দেয়া হয়নি বলে কাজী নূরুজ্জামান তা নিজের নামের শেষে ব্যবহার করতেন না। তাই বীরত্বপূর্ণ পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা দেখলে নতুন প্রজন্ম ভাবতে পারে যে সকল বীরত্ব করেছিল সামরিক বাহিনীর লোকেরা। কিন্তু আসলে এর মধ্যে কিছু ফাঁকি আছে। সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কয়েক টাকা রিকশা/ বাস ভাড়া দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলো তখনকার নেতারা। এদের কোনও তথ্যও কারও কাছে ছিল না। ফলে বীর বলতে আমরা বুঝি সামরিক বাহিনীর খেতাব প্রাপ্তদের। একইভাবে হুজুরদের নাম নাই পদক তালিকায় তার মানে হুজুররা সবাই রাজাকার ছিল এই রকম মনে করা ঠিক না। ourislam.com এ কিছু হুজুরের কথা বলা হয়েছে যাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা ছিল। অনেকে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন। নীচে দিলাম তার অংশ বিশেষ -
মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ: আব্দুর রশিদ ২৪৩ দিন আত্মগোপন থেকে স্বাধীনতার যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। তার পরামর্শে অসংখ্য মানুষ যুদ্ধে অংশ নেয়, এবং এই কারণে পাকিস্তানী হানাদাররা তার বাড়ি-ঘর সব জ্বালিয়ে দেয়।
মাওলানা আবুল হাসান যশোরী: তিনি ছিলেন যশোর রেল স্টেশন মাদরাসার মুহতামিম। তার মাদরাসার ছাত্ররা মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল তার মাদরাসায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হামলা করে ২১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে কে শহিদ করে, যাদের মধ্যে একজন ছিলেন সম্মানিত আলেম মাওলানা হাবীবুর রহমান এবং তার সাথে ছিলেন ৫ জন শাগরেদ আর বাকীরা ওখানে আশ্রয় নেয়া মুক্তিযোদ্ধা। পরে মাদরাসা প্রাঙ্গনেই শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর দেয়া হয়। ওই হামলায় যাশোরী গুলিবিদ্ধ হয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
মাওলানা মুহাম্মদ কামরুজ্জামান চিশতী: পুরান ঢাকার জুরাইনের পীর হিসেবে যিনি পরিচিত। কথা সাহিত্যিক আনিসুল হকের “মা” উপন্যাসে আজাদের মা সফিয়া বেগম তার ছেলে আজাদকে এই পুরান ঢাকার জুরাইনের পীরের নির্দেশেই মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণ করেছিলেন। জুরাইনের পীরের বহু মুরীদ মুক্তিযোদ্ধা ছিল এবং জুরাইনের পীর সাহেব নিজে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দিয়েছিলেন। তথ্য সূত্র: আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে।
মাওলানা মোহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জি হুজুর রহ.: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টা ঢাকার লালবাগ মাদরাসায় ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দিয়েছিলেন। সে সময় কওমি মাদরাসার কয়েক জন ছাত্র হুজুরকে জিজ্ঞাস করেছিল, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আপনার কি অভিমত?
তিনি বলেন, এটা হচ্ছে জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের যুদ্ধ। পাকিস্তানিরা জালেম আর আমরা হচ্ছি মজলুম। হাফেজ্জি হুজুরের এই কথা শুনে অনেক আলেম দেশের টানে ও নির্যাতীত নারীদের পাকিস্তানী হানদার বাহিনীর লালসার হাত থেকে বাঁচাতে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছিল। দেশ স্বাধীন হবার পর বঙ্গবন্ধু নিজে হাফেজ্জি হুজুরের সাথে দেখা করে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন।
শায়খুল ইসলাম আমীমুল এহসান রহ.: তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রধান মুহাদ্দিস ছিলেন। তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যা ও নারী ধর্ষণের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ইয়াহিয়া সরকার উনাকে জোর করে সৌদিআরব পাঠিয়ে দেয়।
দেশ স্বাধীন হবার পর শায়খুল ইসলাম আমীমুল এহসান রহ. বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং বঙ্গবন্ধু তাকে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রধান খতীব হিসাবে নিযুক্ত করেন। তথ্য সূত্র: শায়খুল ইসলাম আমীমুল এহসান রহমাতুল্লাহ আলাইহি এর জীবন ও কর্ম।
ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম রহ.: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সবচেয়ে বড় কওমি মাদরাসা জামিয়া ইউনুসিয়া মাদরাসার মুহতামিম ছিলেন তিনি। তাকে মধ্যপ্রাচ্যের আলেমরা একনামে চিনতেন। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়, তার ফতোয়া শুনে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার অনেক বড় বড় আলেম মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন।
বহু মুক্তিযোদ্ধাকে ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম রহ. তার নিজ বাসায় আশ্রয় দিয়েছেন। দেশ স্বাধীন হবার পর বঙ্গবন্ধু উনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন। তথ্য সূত্র: ফখরে বাঙাল আল্লামা তাজুল ইসলাম রহ. ও উনার সাথীবর্গ।
এ রকম আর অনেক আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ রয়েছে যাদের অবদান বাংলার মানুষ ভুলেনি। হয়ত ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম নেই, কিন্তু তাদের নাম রয়েছে মাানুষের মনে।
পরিতাপের বিষয় হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক যত নিবন্ধ, প্রবন্ধ এবং বই প্রকাশিত হয়েছে, তাতে আলেমদের নেতিবাচক ভাবেই তুলে ধরা হয়েছে এবং হচ্ছে। বর্তমান প্রজন্ম এসব বই, নাটক, সিনেমা দেখে আলেমদের বা দাড়ি টুপি দেখলেই রাজাকার মনে করে।
তাই নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। এদেশের শত্রু-মিত্রদের চিনিয়ে দিতে হবে। সেজন্য মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের যে বীরত্ব ও অবদান রয়েছে তা মাানুষের কাছে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৪
আমি সাজিদ বলেছেন: ভালো লাগে নি কথাগুলো।
১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১১
আমি সাজিদ বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর এর কমেন্ট পড়েন। বেশ।
১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২০
রাজীব নুর বলেছেন: কে কি মন্তব্য করেছে সেটা পড়তে আবার এলাম।
১৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই যুদ্ধে শহীদ হলে যদি হুর পরীর ব্যবস্থা থাকতো তাহলে মোল্লা মৌলভীর অভাব থাকতো না।বরং পাকিদের পক্ষে থাকায় কিছু গনিমতের নারী ভাগে পেয়েছেন।
১৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৩
ডাব্বা বলেছেন: ব্যাপারটা এভাবে কখনো ভাবিনি। চিন্তার খোরাক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৪
ডাব্বা বলেছেন: মন্তব্য পর্যবেক্ষণে গেলাম।
১৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৬
স্থিতধী বলেছেন:
@ ঠাকুরমাহমুদ
১) লেখাটা যে ‘সংগৃহীত’ তা লেখার নিচেই বলে দেয়া আছে। একে কপি-পেস্টের দোষে দুষ্ট আখ্যা দিয়ে লেখাটাকে মূল্যবান তথ্যাদি দিয়ে কাঊন্টার না করার বাসনাটি গ্রহণযোগ্য নয়। যেকোন লেখার মূল্যায়ন বা প্রতিক্রিয়া সে লেখার বিষয়বস্তু ও লেখার ধারা নিয়েই হওয়া উচিৎ । সেটা কে লিখেছে কারা লিখেছে এটা গৌণ বিষয়। আমার মহা শত্রুও যদি বলে “ সূর্য পূর্ব দিকে ঊঠে” ; একান্ত বিরোধিতার খাতিরে আমি নিশ্ছয়ই বলবোনা সে কথা ভুল ।
২) বরং আমি বলতে পারি পেন্ট শার্ট পরা ক্লিনশেভড ইউনিভার্সিটির অনেক ছাত্র রাজাকার ছিলো
এই যে আপনি এই কথাটি বললেন , এখন কি আমি এটা ধরে নিবো যে তৎকালীন সকল পেন্ট শার্ট পরা ক্লিনশেভড ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা রাজাকার ছিল? এমনটা ধরে নিলে সেটা ভুল হয়ে যায় । নয় কি ?
ঠিক সেই ভেইগ জেনারাইলেজেশনটাই আপনি করছেন এই লেখাটি নিয়ে। লেখাটি হুজুরদের মধ্য থেকে যুদ্ধে অংশ নেয়ার নজীর পাওয়া যায়না সেই কথাটি বলেছে। নজীর মানে হচ্ছে ‘উদাহারণ’, সেটা সেন্সাস ডাটা তো নয় যে তৎকালীন দেশের সকল হুজুরদের কথাই এখানে বলা হচ্ছে! ঠিক যেমনটা তৎকালীন দেশের সকল পেন্ট শার্ট পরা ক্লিনশেভড ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা রাজাকার ছিলোনা, তাদের মধ্যে কিছুর রাজাকার হবার নজীর আছে । প্রতিরোধ কারী হুজুর/ আলেম সমাজের তথ্য সূত্র দিয়ে বরং ১০ নং কমেন্টে ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তুর সঠিক ভাবে জানাতে পারছেন যে তেমন প্রতিরোধের নজীর আসলে আছে। আপনি যে সেই কাজটাই এ লেখার মন্তব্যেই করতে পারতেন শুধুমাত্র ভিক্টিমদের কথা না বলে, আমি সেই কথাটাই ৮ নং কমেন্টে বলেছি । একই সাথে আপনারই মতো “ অনেকে” শব্দটা ব্যবহার করে ৪ নং কমেন্টে ওই শ্রেনীর এক অংশ যে তখন রাজাকার হয়েছিলো এবং এখনো আছে সে কথাই বলেছি, সেটা অবশ্যই “সকল” কে বোঝায়না।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ যে গণযুদ্ধ তা আমি খুব ভালভাবেই জানি। ফলে যুদ্ধে যে অশিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত, শ্রমিক, কৃষক মানুষেরাই অধিক সংখ্যায় অংশগ্রহণ করেছেন দেশ রক্ষায় সেটা জানা জিনিশ । এদেশের শিক্ষিতরা বেশীরভাগ পলায়নপর ও সুবিধাবাদী মানসিকতার হয়, ফলে সম্মুখ সমরের যোদ্ধা হবার যোগ্যতা ও সাহস তাদের বেশীরভাগের ছিলোনা। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী তথাকথিত “পেন্ট শার্ট পরা ক্লিনশেভড” শিক্ষিত এবং আলেম / হুজুর শ্রেনীকে স্মমিলিত ভাবে হিসেব করলেও সেটা মুক্তিযোদ্ধা কৃষক- শ্রমিক শ্রেনীর ধারেকাছেও যাবেনা।
৩) এবার আসি আসল কথায়, আলেম/ হুজুর/মাওলানা দের থেকে কত % তখন মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের হয়ে লড়েছিলো / সহযোগী হয়েছিলো আর কত % পাকিস্তানী ভাবধারায় কোন না কোন ভাবে পাক বাহিনীর সহযোগী হয়েছিলো বা তাকে “গন্ডগোলের বছর” আখ্যা দিয়েছিলো সেরকম কোন চিত্র আপনার ইতিহাস গবেষণাতে উঠে আসবে কি? তা থাকলে সেটা এই লেখার যে মূলভাব তা ঠিক ভাবে খন্ডনে সুবিধা হতো। কেননা যদি ওই শ্রেনীর মাঝে পাক বাহিনীর সহযোগী বা পাক বাহিনীর সিম্পেথাইজার রাই অনেক বেশী থেকে থাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও সহযোগী আলেম/ হুজুর দের তুলনায়, তবে তা এই লেখার মূলভাবটিকে সত্য প্রমাণ করবে। ১০০ জনের মধ্য থেকে ১০ জন কোন কাজ করলে তাদের ব্যাতিক্রম বলতে হবে, উদাহারণ নয়।
এই যে মাওলানা তর্ক বাগীশের নাম আসলো ১০ নং মন্তব্যে । আজকের যে হুজুরেরা ভাস্কর্যের প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে তারা কতজন এই তৎকালীন আওমিলীগার কে আসলে একজন “ মাওলানা “ বলে মেনে নিবে? তাদের কতজন মাওলানা ভাসানী কে “ মাওলানা” হিসেবে গণ্য করে? কিংবা এই যে লালবাগ মাদ্রাসার মাওলানা হাফেজ্জি তখন পাক বাহিনী কে জালেম আর আমাদের মজলুম বলেছিল সেরকম ভাবে তখন দেশের কতগুলো মাদ্রাসার মাওলানারা পাক বাহিনীকে জালেম হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলো? কিংবা আজকের এই আন্দোলন কারী হুজুরদের কত ভাগ প্রকাশ্যে ও গোপনে ৭১ এ পাকিস্তানের কর্মকাণ্ডকে জালেমের কাজ হিসেবেই মেনে নিতে পারছে? কতভাগ ৭১ এ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম কে কেবলমাত্র এক শত্রু দেশের ষড়যন্ত্রের ফল হিসেবে দেখছেনা? এই প্রশ্ন গুলো ও তার উত্তর দুটোই এই পোস্টের মূলভাবটিকে বোঝার এবং তা খন্ডন করার ক্ষেত্রে গুরুত্ব পূর্ণ ।
১৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৮
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: শহিদুল, তারামন বিবি কি অমুসলমান? বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তমের মধ্যে মাওলানা টাইটেল না থাকলেই রাজাকার? ব্রেইনের অবস্থান মাথায় না থেকে পশ্চাৎদেশে থাকলেই এরকম পোস্ট প্রসব হবে।
১৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৯
আমি নই বলেছেন: লেখক পোষ্ট খানা প্রসব করে ঘুমিয়ে গেছে, আরে ভাই আলোচনা করার সাহস না থাকলে পোষ্ট দ্যান কেন?
২০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখক একটা মন্তব্যের প্রতিউত্তর দেয়নি। এতে বুঝে নিবেন সবাই। যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা কি জামাত করে নামাজ পড়েনি
২১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট দিয়ে উধাও হয়ে গেলেন!!!
মন্তব্যের উত্তর দিবেন না?
২২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: তখন ৯০% মুসলিম ছিলো না, এখন হয়েছে। আমিও অনলাইনে এই মাত্রই চেক করেছি ভুল কিছুতো বলেনি। মুক্তিযোদ্ধা হওয়াটাই দেশপ্রেমিক হওয়ার একমাত্র পরিচায়ক নয়, আর কয়েক বছর যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা আর জীবিত না থাকেন তার মানে কি দেশে আর কোন দেশ প্রেমিক নেই? যে কোন ধর্মের লোকই দেশ প্রেমিক হতে পারেন।
২৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২
তারেক ফাহিম বলেছেন: পোস্টে যতটুকু জেনেছি, মন্তব্যগুলো পড়ে আরো বেশি জানা হলো।
২৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
এই পোস্টে যারা তাদের মূল্যবান মতামত রেখেছেন সকলকে ধন্যবাদ। ঠাকুর মাহমুদ ভাইয়ের প্রয়াস অত্যন্ত ধন্যবাদার্হ। সফলতার প্রার্থনা থাকলো। সাড়ে চুয়াত্তুর ভাইকে তথ্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য বিশেষ মোবারকবাদ। এই বিষয়ে যাদের জানার আগ্রহ, তাদেরকে শাকের হোসাইন শিবলি সম্পাদিত নিচের লিঙ্কযুক্ত বইটি পড়ে দেখতে অনুরোধ করছি-
আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে
২৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভাল মন্দ সবসময় সব দলেই ছিল।
২৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:২০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। মুক্তিযোদ্ধা বা বীর শ্রেষ্ঠের তালিকায় ক'জন পুরোহিত, পাদ্রী আছেন সেটাও জানালে ভালো হতো। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটাই আসল ইতইহাস।