নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয় নগর উপজেলার ঘটনা।
আক্রান্ত ব্যক্তির স্যাম্পল নিতে গিয়ে উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত এক ডাক্তার নিজেই আক্রান্ত হন।
পজিটিভ হবার পর তারা স্বামী স্ত্রী যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সেখানে কোয়ারেন্টাইন্ড হন।
এলাকাবাসী জানতে পেরে লাঠিসোটা নিয়ে তেড়ে আসে। তারপর অভুক্ত অবস্থায় তাদেরকে বাড়ি ছাড়া করে।
২)টাংগাইলের এক সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধাকে তার পুত্ররা সখীপুর জংগলে ফেলে রেখে যায়।
সারারাত জংগলে থেকে আর্তচিৎকার করে অসহায় জননী। চিৎকার শুনে এলাকাবাসী খবর দেয় পুলিশকে। ইউএনও, পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পলেক্সের ডাক্তার মিলে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করে বৃদ্ধাকে। এম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জননীর চিকিৎসা চলছে।
আচ্ছা, সুস্থ হলে তিনি কি ফিরে যাবেন তার পুত্রদের কাছে? আবার সেই সংসারকে সংসার ভেবে মায়ামমতায় মাখামাখি হবেন?
৩)কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের চিকিৎসকদের ১০০ খাবারের পেকেট ছিনতাই করে দুই মোটরসাইকেল আরোহী..
৪)একজন পুলিশ কর্তার বয়ানঃ
গত ০৯ ই এপ্রিল পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা এলাকা থেকে করোনা রোগ সনাক্ত হওয়া ওমর আলীকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠাই। এরপর ফৌজদারহাটে যোগাযোগ করে ওদের পরিবারের আরো বাকী পাঁচ সদস্যকে করোনা টেষ্টের ব্যবস্থা করি। আজ ওদের চারজনের রেজাল্ট পজেটিভ আসে। শুধুমাত্র তিন বছরের বাচ্চা মেয়ে ইকরার করোনা রেজাল্ট নেগেটিভ আসলে একটা হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সম্মুখীন হই আমি। এখন এই বাচ্চাটাকে কার কাছে কোথায় রাখবো? সিভিল সার্জন স্যারের সাথে আলাপ করলাম, কোন কুল কিনারা পাচ্ছিলাম না। ওমর আলীর কোন আত্মীয় বাচ্চাটাকে রাখতে রাজী হচ্ছে না। আমার নিজের কাছে আনাও সম্ভব হচ্ছে না। ইকরার একজন মামার খোঁজ পেয়ে তাকে ফোন করলাম, বুঝালাম। তিনি রাজী হলেন, এখন অনেক রাত, প্রায় দেড়টা বাজে। মেয়েটাকে ওর মামার কাছে বুঝিয়ে দিয়ে বাকীদের হাসপাতালে পাঠাতে পারলাম। করোনা এই পৃথিবীতে অনেক করুণ কাহিনীর জন্ম দিবে, সেই কাহিনীগুলোর ভীড়ে এই ছোট্ট কাহিনীটা একদিন হারিয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.