নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্কুলে থাকতে আমাদের একটা হিন্দু ফাস্ট বয় ছিল। পুরো জীবনে একটা ছোটো পরীক্ষাতেও আমরা ওকে টপকাতে পারি নাই।ক্লাস শেষে হাসতে হাসতেই একদিন বলেছিলাম আমরা , 'এই শালার মালুকে এবারো ধরতে পারলাম না ' প্রশংসা আর ঠাট্টার ছলে করা কথাটার মানে তখনো কেউ জানতাম না। কিন্তু আমি সেদিন আমার বন্ধুকে কাঁদতে দেখেছিলাম।আপনি হয়ত ভাবছেন আমরা এই শব্দের প্রয়োগ শিখলাম কিভাবে? আপনাদের থেকেই, আর নতুন শব্দ প্রয়োগ, সে তো কৈশরে বয়সের জন্য অনেক কুল' একটা বিষয়। হিন্দুদের আরেক নাম মালু- এটুকুই বুঝতাম।
মালাউন' শব্দটা একান্ত আমাদের। ওপার বাংলার বই খাতা,দলিলে আপনি খুজে পাবেন না।মালাউন’ শব্দটি এসেছে আরবি ভাষা থেকে, অর্থ 'অভিশপ্ত' বা 'স্রষ্টার করুনা থেকে বঞ্চিত'
''আমি পৃথিবীতে তোমাদের বিভিন্ন জাতিতে গোত্রে ভাগ করে পাঠিয়েছি , যাতে তোমরা পরস্পরকে বুঝতে ও জানতে পারো ”
মুসলিমদের কুরআনে খোদা যখন নিজেই তাদের সৃষ্টির দায়িত্ব নিচ্ছেন , এরা কারা এদের অভিশপ্ত ট্যাগ দেবার। আবার এটা দিয়ে তারা শুধু হিন্দুদের বোঝায়, শিখ,খৃষ্টান কিংবা বুদ্ধদের না !!বাহ!!
১৯৪৭-এ ভারত বিভাগের পর থেকে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মুখে ‘মালাউন’ সম্বোধন দ্রুতহারে বাড়তে থাকে। বেশিরভাগ উর্দুভাষী পাকিস্তানী হিন্দু শব্দের পরিবর্তে ‘মালাউন’ শব্দটি ব্যবহার করতে থাকে।
১৯৭১। এই সময়ে মালাউন' ব্যাবহার হয় সর্বত্র, আরো বিস্তৃত। মুক্তিযুদ্ধারাও এবার এর অন্তর্ভুক্ত। রাজাকার, আলবদরা তখন বাড়ী বাড়ি মালাউন খুজে বেড়ায়। পাকিস্তান আর্মি মালাউন' তাড়াতে মহিলাদের গর্ভে 'সাচ্চা দিলসে পাকিস্তানি' বীজ ' বপনে ব্যাস্ত।
দেশ স্বাধীনের পরেও, শব্দটি লালিত পালিত হয়েছে ৪% পাকপ্রেমী বাংলাদেশী বাঙ্গালীদের ঘরে বাইরে। শব্দ স্রোতের মত। ভেসে যায়, ছড়িয়ে যায়।
আমার মনে হয় এদেশে হিন্দুদের উপস্থিতি এখনো মুসলমানরা মেনে নেয়নি বা হয়ত হিন্দরাও হয়ত এদেশকে নিজেদের ভাবছে না।
জন্মগত ভাবেই মুসলমানরা খুব by book বা according to book টাইপ।বিজ্ঞানবিমুখী এ জাতী তাবত সমস্যায় আবাবিল পাখির আশায় বসে থাকে। অন্য ধর্মের কারো সাথে সম্পর্ক তারা ভাল ভাবে নেয় না,
“তোমাদের মধ্য হতে যে ওদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই দলভূক্ত বলে গণ্য হবে। নিশ্চয় আল্লাহ যালেমদেরকে হেদায়াত দান করেন না”। [সূরা মায়েদা : ৫১]
কিন্তু যালেম কি হিন্দুরা?
শব্দের প্রয়োগে সাথে আছে লক্ষ শহীদের আত্মদানের কথা কিংবা স্বাধীন বাংলাদেশে হিন্দু ধর্ষন আর লুন্ঠনের ইতিহাস।
কাজ গুলো কিন্তু 'কলেমা পড়া যালেমদে'রই।
হিন্দু তাড়াতে এদেশীয় কলেমাপড়ারা খুব সুন্দর একটা সূত্র ফলো করে - 'গৃহ হামলা - অগ্নিসংযোগ - রেপ - তুই মালাউন'। এলাকায় এমন ত্রাস ছড়িয়ে পড়বে, ব্যাটারা বাপ বাপ করে পালাবে। ফলাফল শেষ দশ বছরে শুধু 'জাতির পিতা'র জেলাতেই হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ১৮ হাজার। সারা দেশে ৯ লাখ।
কথা হচ্ছে, সূত্রের প্রসেসিংয়ে দু'য়েকটা মারা গেলে তারা তখন বলবে -
''ফি নারি জাহান্নামা খালিদিনা ফিহা । ( ﻓِﻲ ﻧَﺎﺭِ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﺧَﺎﻟِﺪِﻳﻦَ ﻓِﻴﻬَﺎ ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ ﻫُﻢْ ﺷَﺮُّ ﺍﻟْﺒَﺮِﻳَّﺔِ)
তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম । সুরা বাইয়িনাহ : ৬
শালার মালুদের মরেও শান্তি নাই
বলবেন রাস্ট্রকে এই বিষয়ে ভুমিকা নেওয়া উচিত, আসেন দেখি আইন কি বলে?
বাংলাদেশ পেনাল কোর্ট, ধারা ২৯৮
ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার জন্য শব্দ ইত্যাদি উচ্চারণ করা (Uttering words, etc. with deliberate intent to wound religious feelings)
কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে
কোন ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার উদ্দেশ্যমূলক অভিসন্ধিক্রমে
# সে ব্যক্তির শ্রুতিগোচর হয় এমনভাবে কোন কথা বলে বা শব্দ করে অথবা
# সে ব্যক্তির দৃষ্টিগোচর হয় এমনভাবে কোন অঙ্গভঙ্গি করে অথবা
# সে ব্যক্তির দৃষ্টিগোচর হয় এমনভাবে কোন বস্তু স্থাপন করে,
- তবে সে ব্যক্তি এক বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে অথবা অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।
তাই কলেমা পড়া জালেমরা সাবধান!
২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: কোনো মানুষকেই মালাউন বলা উচিত নয়। হোক সে হিন্দু।
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: কিছুটা পড়লাম।
৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২
আমিনভাই বলেছেন: আপনার বোজতে আরো সময় লাগবে মনে হয় । পড়া গবেষনা চালিয়ে যান।
৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০৯
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: মালাউন শব্দের অর্থ অভিশপ্ত। অনেক প্রাচীন কাল থেকেই উচ্চ বর্ণের হিন্দুরা নিন্মবর্ণ হিন্দু এবং অন্যান্য জাতিকে মারাত্মক কষ্ট দিয়ে এসেছে। বিভিন্ন পীর-মাশায়েক দুর দুরান্ত থেকে এ দেশে এসে আশ্রম তৈরী করে এবং ইসলামের সুবাতাসে ঐ সকল মজলুম মানুষরা পরশ নিতে থাকে। এভাবেই মূলত ইসলামের আবির্ভাব এই তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে।
যার ফলে মুসলিমদের কে যবন, নেড়ে , শ্লেষ সহ বিভিন্ন নিকৃষ্ট নামে ডাকতে থাকে তথাকথিত হিন্দুরা। আর তারই পরিপ্রক্ষিতে মালাউন শব্দের উদ্ভব। যার ফলে মুসলিমদের এখন একটা বড় অংশ হিন্দুদেরকেও অচ্ছুত মনে করে। উভয়ই খারাপ।
মুক্তচিন্তা-বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় , ইসলাম অনেক বেশী আপডেটেড ধর্ম । কিন্তু এ অঞ্চলের মুসলিমরা ইসলামের নামে হিন্দুদেরকেই কপি করে। অনেক লেখা যাবে কিন্তু মন্তব্য বেশী বড় করতে নেই। ধন্যবাদ্।
৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:১০
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: গালি হিসেবে মালাউন শব্দটা আমারও পছন্দ নয়।
ভারতের/মিয়ানমারের মুসলিমদের চেয়ে বাংলাদেশের হিন্দুরা/বৌদ্ধরা আরামে আছে।
৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:০৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মালাউন শব্দটি আরবি মালউন শব্দের পরিবর্তিত রূপ। মালাউন শব্দটি আরবি শব্দ থেকে উদ্ভূত যার অর্থ অভিশপ্ত বা আল্লাহর অভিশাপপ্রাপ্ত। হিন্দুদের কোরান হাদিসে কোথাও মালাউন শব্দে ডাকা হয়নি। এমনকি ইহুদী নাসারাদেরও কোরান একটা স্থান দেয়া হয়েছে আহলে কিতাব বা কিতাবে বিশ্বাসী। আল্লাহ তালা কোন ধর্মের মানুষ সম্পর্কেই কোরানে অভিশাপ প্রদান করেনি । তবে শুধু একজনকেই আল্লাহর অভিশপ্ত বলা হয়েছে সে হল মারদুদ শয়তান । তাকেই মালাউন ঘোষণা করা আছে । কেননা, সেই ইবলিস হল আল্লাহর নিয়ামত থেবে বঞ্চিত। তার সন্মান সুখ্যাতি সকল কিছুই ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে তাই সে আল্লাহর অভিশাপপ্রাপ্ত।
মালাউন” “মাল্লু” একটা নতুন গাল। কিছু অজ্ঞ, উগ্র মুসলিম অমুসলিম বিশেষ করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই শব্দ গুলো ব্যবহার করছে।
৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:০২
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: @নুরু ভাই, কেন ব্যবহার করছে???
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১৭
ম্যাড ফর সামু বলেছেন: হুম জানলাম, ছোটবেলায় প্রাইমারীতে পড়ার সময় অনেকেই এ শব্দটি ব্যবহার করত। এখনও এর ব্যবহার আছে কি না জানি না।
আপনার তথ্যবহুল পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ।