নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর।কলিংবেল বেজে উঠল ডা. ফজলে রাব্বির বাসায়।
বাবুর্চি ঘরে ঢুকে ফিসফিস করে বলল, ‘ সাহেব বাড়ি ঘিরে ফেলেছে '
তিনি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালেন। দেখলেন একটা কাদা মাখানো সাদা মাইক্রোবাস আর একটি জিপ দাঁড়িয়ে আছে তাঁর বাসার সামনে। নিচু গলায় পেছন না ফিরেই তিনি বললেন, 'টিঙ্কুর আম্মা, ওরা আমাকে নিতে এসেছে।' তিনি দারোয়ান ইদ্রিসকে ডেকে সদর দরজা আর সিঁড়ির দরজা খুলে দিতে বললেন। দারোয়ান দরজা খুলে দিল। পাঁচ-সাত জন সশস্ত্র সৈন্য চারপাশ দিয়ে তাঁকে ঘিরে ফেলল। তিনি ওদের সঙ্গে হাঁটতে শুরু করলেন। স্ত্রী জাহানারা বাধা দিতে চেষ্টা করলেন। ওদের মধ্যে থেকে দুজন এগিয়ে এসে জাহানারার বুকে বন্দুক চেপে ধরল। জাহানারা স্থানুর মতো স্থির দাঁড়িয়ে গেলেন।
ডা. ফজলে রাব্বি মাথা নিচু করে গাড়িতে উঠে গেলেন। সেই যাওয়াই ছিল ডা:রাব্বির শেষ যাওয়া।
রায়েরবাজারে পাওয়া গিয়েছিল তার লাশ।ছিলেন পেশায় কারডিওলজিস্ট ,,মানে হার্টের ডাক্তার। বেপারটা মনে রেখেছিল পাকিস্তান আর্মি,, লাশের বুকে ছিল বিশাল এক গর্ত,বুক চিড়ে ওনার হৃদপিন্ড বের করে আনা হয়ে ছিল..................
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফজলে রাব্বী হলটা ওনার নামেই | একজন বীর বাঙ্গালিকে মনে রাখার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রয়াস।
আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস তারা নিজেদের মেধা, মনন ও লেখনীর মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছেন। পথ দেখিয়েছেন মুক্তির। উদ্দীপ্ত করেছেন অধিকার আদায়ে। আর সেটিই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য।
পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে হত্যা কাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল মেজর জেনারেল রাও ফারমান আলী ।
আর তার বাস্তবায়ন করে জামায়াতে ইসলামীর সশস্ত্র ক্যাডার গ্রুপ কুখ্যাত আলবদর ও আল শামস । ডিসেম্বরের ১০ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত সে তালিকা ধরে বুদ্ধিজীবী হত্যার ইতিহাসের ঘৃণ্যতম অপকর্মটি করে এই ঘাতক চক্র |
স্বাধীনতার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত বঙ্গভবন থেকে রাও ফারমান আলীর হাতে লেখা ডায়েরী পাওয়া যায় , যাতে ছিলো অনেক নিহত ও জীবিত বুদ্ধিজীবীর নাম পাওয়া যায়।এছাড়া আইয়ুব শাসন আমলের তথ্য সচিব আলতাফ গওহরের এক সাক্ষাৎকার হতে জানা যায় যে, ফরমান আলীর তালিকায় তার বন্ধু কবি সানাউলহকের নাম ছিল। আলতাফ গওহরের অনুরোধক্রমে রাও ফরমান আলি তার ডায়েরীর লিস্ট থেকে সানাউল হকের নাম কেটে দেন। এছাড়া আলবদরদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা তিনিই করেছিলেন বলে তার ডায়েরীতে একটি নোট পাওয়া যায়।
এছাড়া তার ডায়েরীতে হেইট ও ডুসপিক নামে দুজন মার্কিন নাগরিকের কথা পাওয়া যায়। এদের নামের পাশে ইউ.এস.এ এবং ডি.জি.আই.এস লেখা ছিল। এর মধ্যে হেইট ১৯৫৩ সাল থেকে মিলিটারী ইন্টিলিজেন্সে যুক্ত ছিল এবং ডুসপিক ছিল C.I.A এজেন্ট। বোঝাই যায়, ঘটনার পরিকল্পনায় সিআইএ'র ভূমিকা ছিল।
যে আমেরিকা আমাদের শায়েস্তা করতে সপ্তম নৌবহর পাঠালো , পাকিস্থান কে মুফতে কামান,গুলি,গ্রেনেড পাঠালো আমাদের মারতে, আমাদের বুদ্ধিজীবিদের তালিকা করে হত্যা করল , আমাদের জাতীর পিতাকে হত্যার পিছনেও যাদের সহযোগিতা - তারপরো আমাদের এদেশীয় বেইমান-দালালরা মার্কিনীদেরই উজির নাজির মেনে নালিশ নিয়ে যায় |
ইচ্ছে করে , যে সব রাজাকাররা সে দিন বাড়ি বাড়ি পাক আর্মিদের পথ চিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো,, ওদের হ্রৃদপিন্ড গুলো আজ ওভাবে বের করে আনি|
আর আজ যারা মিন মিন ' করে নয়া মানবতাবাদী ভাবসম্প্রসারন করে,সব জেনে বুঝেও তোমরা যারা ছাত্রশিবিরের পতাকা ওড়াও - তোমাদের জন্যও অনুভুতি একই.. সম্পূর্ণ অভিন্ন।
উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,
"ভয় নাই, ওরে ভয় নাই--
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।'
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১১
রাজীব নুর বলেছেন: আহারে----
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
যুদ্ধ লেগে গেলে যুদ্ধ করতে হয়, সবাইকে যুদ্ধ করতে হয়।