নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাধ্যমিকে বৃত্তের ক্ষেত্রফল আর সিলিণ্ডারের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্রে পাই(π) এর সাথে পরিচয়।তাও একটু মনে করিয়ে দেই,
বৃত্তের পরিধিকে ব্যাস দ্বারা ভাগ করলে যে মানটি পাওয়া যায় - সেটাই পাই (π)
আজ কিন্তু বিশ্ব পাই (π)দিবস
গাণিতিক ধ্রুবক পাই (π) এর সম্মানে প্রতিবছর ১৪ মার্চ দিবসটি পালিত হয়।
পাই-এর মান প্রায় ৩.১৪১৫৯২৬.....বলেই বিশ্বের গণিতবিদরা প্রতিবছর ৩য় মাসের ১৪তম দিনকে পাই দিবস আর দুপুর ১ টা ৫৯ মিনিটি ২৬ সেকেন্ডকে পাই সেকেন্ড বলে, আর এই সময়েই দিবসটি উদযাপিত হয়।ইয়ে, আজ কিন্তু আবার আইনস্টাইনেরও জন্মদিন।
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির উদ্যোগে দেশের বেশকিছু গণিত ক্লাব ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে নানা আয়োজনের মধ্যে ২০০৬ থেকে দেশে এই দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।
পাই কিন্তু ব্যাপক সেলিব্রেটি রুপসী এক ধ্রুবক।
ত্রিকোণমিতির জনক টলেমি কিংবা আপেল বিজ্ঞানী নিউটন বা গনিতের লিজেন্ড ফিবোনাক্কি বা আর্কিমিডিস!
কে পড়েনি তার প্রেমে!
, প্রায় ৪০০০ বছর পূর্বেই প্রাচীন ব্যবিলনীয়রা পাই এর অস্তিত্বের কথা জানত। ব্যাবিলনীয় ট্যাবলেটে (পাথর দ্বারা নির্মিত এক ধরনের ফলক যাতে নকশা খোদাই করা থাকে) পাই এর মান ৩.১২৫ হিসেব করা ছিল।মানে,,যিশুর জন্মেরো আগের বেপার!!
১৬৫০ অব্দে মিশরীয় গণিতবিদ π এর মান বের করেছিলেন ৩.১৬০৫। (এটা নিয়ে আমি একটু কনফিউজড)
৮০০ অব্দের বাইবেল (1 kings 7:23) থেকে জানা গিয়েছিল পাই এর মান ৩।
আর প্রথম জ্যামিতিক উপায়ে পাই এর মান নির্ণয় করার চেষ্টা করেছিলেন আর্কিমিডিস।
কিন্তু বেচারা সুনির্দিষ্টভাবে বের করতে ব্যর্থ হন।বলা হয়, তিনি পাই এর মান নির্ণয় করতে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে ঘরে শত্রু প্রবেশ করে তাকে হত্যা করে!
আর ত্রিকোণমিতির জনক টলেমি পাই এর মান ১৫০ সালেই বলেছিলেন ৩.১৪১৬৬৬।
আমাদের আর্যভট্ট পাই এর মান নির্ণয়ের সূত্র দেন ৫০০ সালে। তাঁর সূত্র থেকে প্রাপ্ত মান ৩.১৪১৬ যা এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে।
পাই এর মান নির্ণয়ে ১২২০ সালে কাজ করেছিলেন ফিবোনাক্কি আর ১৬৬৫ সালে আইজ্যাক নিউটন।
উইলিয়াম জোনস সর্বপ্রথম ১৭০৬ সালে Pi (π) প্রতীকটির প্রচলন করেন।
তবে এই প্রতীকটিকে জনপ্রিয় করেন সুইস গণিতবিদ লিওনার্দো ইউলার।
১৯৮৮ সালে সানফ্রানসিসকোর বিজ্ঞান জাদুঘরের পদার্থবিদ ল্যারি শ’ পাই দিবস এর ধারণার প্রবর্তন করেন। ল্যারি শ’ কে তাই হয়ত বলা হয় ‘পাই-এর রাজপুত্র’।
২০০৯ সালে ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ মার্চকে জাতীয় পাই দিবস হিসেবে পালনের অনুমোদন দেয়।
২০০৫ সালে পাই এর মান বলে গিনেস বুকে নাম ওঠান চীনের লু চাও। তিনি পাই এর ৬৭ হাজার ৮৯০ টি সংখ্যা পর্যন্ত বলেছিলেন নির্ভুল ভাবে
বর্তমানে কম্পিউটারের সাহায্যে ধ্রুবক π এর মান দশমিকের পর ১ ট্রিলিয়ন পর্যন্ত বের করা সম্ভব হয়েছে।
১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫
মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী) বলেছেন: আপনার লেখাটা অপূর্ব!!
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২০
বারিধারা ৩ বলেছেন: আসলেই, পাই না হলে পরিধি এবং ব্যাসের অনুপাত নির্ণয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হত।
১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭
মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী) বলেছেন: ভালই হত!! গনিতে চাপ কমতো
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: যখন বৃত্তের ব্যাস ১, এর পরিধি হয় পাইয়ের সমান।
পাই এর আসল মান বের করার জন্য কত কে কত দিয়ে ভাগ করা হয়?
পাই-এর মান প্রায় ৩.১৪ বলে প্রতি বছর মার্চ ১৪ (৩/১৪) পাই দিবস হিসাবে পালিত হয়।
১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬
মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী) বলেছেন: এইতো ধরে ফেলছেন
৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
পাই'এর বাইবেলে ছিলো; কোরানেও ছিলো?
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেষ লাইনের শেষ রিলেসানশীপটা কি শুদ্ধ?
১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫
মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী) বলেছেন: নাহ!! সমীকরণ টি আধা আধি আসল!! লেখাটা আরো বড়ো ছিল..বার বার এডিট করছি,, কিন্তু সমীকরনের ও পর্যন্ত এসেই শেষ হচ্ছে
৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৭
বারিধারা ৩ বলেছেন: আমার মতে পাই দিবস পালন করা উচিত ছিল ২২শে জুলাই।
৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: সুন্দর লেখার চেষ্টা করেছেন, তবে কিছু ভুল হয়েছে। প্যাপিরাস নামে প্রাচীন মিসরীয় কোনো গণিতবিদ ছিলেন না। আপনি সম্ভবত আহমোসের কথা বলছেন যিনি কাগজের মতো প্যাপিরাসে লিখতেন। ব্যাবিলনীয় নিদর্শনটি আজ থেকে প্রায় ৪০০০ বছর আগের, যীশূখ্রিস্টের নয়।
১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৯
মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভুল গুলো দেখিয়ে দেয়ার জন্য,
৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১২
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকেও। লিখতে থাকুন আরও।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫১
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: তাইতো। আজ যে চৌদ্দ। পাই দিবস নিয়ে একটি লেখা লিখেছিলাম। Click This Link
পাই নিয়ে তখন বেশ কিছু লেখা পড়েছিলাম। মুসলিম বিজ্ঞানী খাওয়ারিজমীও পাইয়ের মান অনেকটাই সঠিকভাবে করেছিলেন। আমি অবশ্য আর্কিমিডিসের পদ্ধতিতে বেশী মুগ্ধ হয়েছিলাম। আর্কিমিডিসেরটা বেশী সঠিক মনে হয়েছিলো।