নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চেইন রিএকশন
বাংলাদেশের দক্ষিনের কোন একটি গ্রামের গন্য মান্য ব্যাক্তি , রহমত মুন্সি।
মুন্সি বাড়ির ভিতর প্রায় বারটা ঘড়, জমি জমা নিয়ে কাইজ্জা ( ঝগড়া) লেগেই থাকে,
এমনি এক বিবাদের মিমাংসা করতে, রহমত মুন্সি কোর্টে যাচ্ছে,,
একি নায়ে নৌকায় যাচ্ছে তার চাচাত ভাই, হারুন ,
রহমত এরই সাথেই লড়বেন আদালতে,
পথে এক হাটে ভিড়ে নৌকা,
হারুন কিছু খাবার কিনে আনে,
রহমতকে খাওয়ায়,,
শত হলেও ভাই, না করে না রহমত।
মাঝির মতে,
এর কিছুক্ষন পরই,
রহমত ' বুকে হাত দিয়ে ছটফট করতে করতে মারা জায়'
রহমতের বড় ছেলে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ে, বাকি সব খুব পিচ্চি
-- দুই,চার, আট বছর।
লাশ জানাজা হয়ে যায় এবং সেই চাচাতো ভাই হারুনের তত্তাবধানেই,
একি বাড়ির, শতো হলেও ভাই তো,, রহমতের পর সেই বাড়ির কর্তা- মুরব্বি!
সাত / আট দিন পর খবর পেয়ে ছুটে আসে রহমতের ছেলে রুহুল,
মামলা করতে চায়,,
বাঁধ সাধে গ্রামের মুসুল্লি শ্রেনী,
"বাপ,যা হইছে ভুইল্লা জাও,
তোমার বাপরে তো আর ফিরা পাবানা,
তার উপর পুলিশ লাশ উঠাইব, ডোমে কাটা ছিড়া কইরব,,, হুন্সি ভিতরের অনেক কিছু,, কিডনি, ফিডনি রাইখা দেয়,, হুদা খোসাটা ফেরত দেয়,......আর জানইতো মরনের পর ব্যাথা ব্যাদনা অনেক বাইড়া যায় "
দমে যায় তরুন রুহুল ..
গল্প কিন্তু এখানেই শেষ না,,
খুনে হারুনের যন্ত্রনায় ভিটে ছাড়া হয় রহমতের বিধবা স্ত্রী,
বিধবাকে নিয়ে অনেক মুখরোচক গল্প ছড়ায় হারুন, , এটাকে ভিলেজ পলিটিক্স বলতে পারেন।
বিধবার পক্ষে যে দাঁড়াবে, তাকেই জড়িয়ে দেয়া হয় অশ্লীল উষ্ণ গল্পে...
ফলাফল, রহমতের সব জমিতে এখন সেই লোভী হারুনের ছেলেরা চাষ দেয়।
বন্ধুরা গল্প কিন্তু সবে শুরু, ,
খুনি হারুনের দুই ছেলে, মানিক আর রতন।
নামে মানিক- রতন হলেও, সমর্পকে
' সাপে নেঊেল'
,, কেও দেখতে পারেনা কাওকে, অবস্থা আরো খারাপ হল যখন ঘরে নতুন বউ এল,, জায়ে জায়ে চুলাচুলি, ভাইয়ে ভাইয়ে লাঠা লাঠি,,
তার উপর রতনের শালা গুলা সব ডাকাত!
হারুন খুইজা খুইজা এমন ঘড় থেকেই ছেলের জন্য মেয়ে এনেছে,
আহা, বেপারটা বুঝতে হবে!
এলাকায় কি আর ওদের শত্রুর অভাব আছে, তাই আত্মীয়তা করে শক্তি বৃদ্ধি!
একদিন সকালে, সামান্য বিষয়ে, , মানিকের মুন্ডু এক কোপে ধড় থেকে আলাদা করে দেয় রতন।
গ্রামে গ্রামে সবার মুখে এক্টাই কথা ...
আহারে!! কি করল এইডা ,রতইন্না! "
বউয়ের কথায় ভাইরে খুন করল, আহহারে! !
নতুন বউডার হাতের মেহেন্দিও হুগাইল(শুকাইল) না ভালা মতন'
পুলিশ আসল, মামলা করল মানিকের বউ,
একা মহিলা পেরে উঠে না,
তার উপর বৃদ্ধ পাপী হারুন পক্ষ নেয় রতনের,
এক পোলাতো গেসে, আরেকটারে খুয়াইতে(হারাতে) চাই না,...."
জেল হয় রতনের,
মেয়াদ শেষে ফিরে আসে রতন,
যোগদেয় ক্ষমতাসীন দলে,
এ ধরনের ডেয়ারিং টাইপ লোকের কদর, সব দলই করে ভায়া!!
খুনের আসামি, রিজার্ভ বেঞ্চে এমন কয় জন থাকলে, এলাকা আপনার! !
বুঝতে হবে ভায়া! এটা Village politics, ...
আগে শুন্সেন না, Every thing is right , in love n war,, এক্টু এডিট হবে,,love, war & politics হবে
[ example :এরশাদ কাকু, প্রাক্তন এই সৈরাচারিকে দলে টানতে, দুই প্রধান জোট,, কি লবিংটাই না করেছিল,মনে আছে!! ]
রতনের ছেলে রাজিব,
স্থানীয় কলেজের মানবিক শাখার ছাত্র, স্যাররা পর্যন্ত সামঝে চলে,
মামারা ডাকাত, শোনা যায় - দিনে দুপুরে মানুষ জবাই দেয় !
বাপে এক কোপে কল্লা নামাইছে !
এলাকায় রাজনীতি করে,
দাদা'য়ো জীবনে কম আকাম করে নাই! !
সেই রাজিবের সাথে টক্কর দেয়, কামলা কাশেইম্মার পোলা ফয়সাল!
কাহিনি হইল, ফয়সাল বেচারা নিরীহ , সাত চড়ে রা নাই" টাইপ,, কিন্তু সেই ফয়সালের ক্লাসমেট লাকি, তাও যাকে বলে বেস্ট ফ্রেন্ড !
ওহ! লাকি আবার রাজিবের অতি দূরের ' চাচাত না কি জানি,,ভুলে গেসি ,,মানে কাজিন আরকি!
আর, লাকি'র একমাত্র হকদার নাকি রাজিব !
তাই,, হাবা গোবা ফয়সাইল্লারেই ডলা ' দিতে হবে,,যাতে, ,পুরা, ,সাইন্স গ্রুপের কেও ভুলেও লাকির আসে পাশে না জায়!
সামনে H,s,c ,,, ফয়সাল এর জন্য প্রভাত ফেরিতে যাবে না! ! নাহ,, অসম্ভব! !
প্রভাত ফেরী শেষে বাড়ি ফেরার সময়, রাজিবের সামনে পড়ে যায় ফয়সাল, ,
আর, কই যায়,, রাজিবের পোলা পান এক সাথে হামলা করে,, মাটিতে শুয়ায় ফেলে মারতে মারতে,,
অতি উৎসাহি এক জন , লাথি মারে মাথার পিছনে,,
,, মট করে এক্টা আওয়াজ হয়,,
বিশ্বাস করেন, ফয়সাল ছেলেটা আর এক্টুও নড়ে নাই! !
রাজিবরা হতভম্ব , কি হইল এইটা! ! শুওরের বাচ্চা নড়ে না কেন! !
এ পরিস্থিতিতে বেশি ক্ষন হতভম্ব হলে চলেনা..
তাই সেই কন কনে' শীতে, ইট ভড়া বস্তায় করে, হিন্দু পাড়ার পুরান কার্লভারটের উপর থেকে ফয়সাল কে ঠান্ডা পানিতে ফেলে দিতে এক্টুও দয়া হয় না কারো ....
.কেও এক বারও ভাবলো না,, বেচারার বারটি মাস সর্দি লেগে থাকে,, এই ঠান্ডায় তো নিউমোনিয়া হয়ে যাবে! !
কি বুঝলেন,, ??
এত কিছুর, কিছুই হত না, ,যদি সেদিন,,আত্মা কস্ট পাবে, ,এই ভন্ডামির জন্নে,, post martum, করতে সায় দিত, মামলা দায়ের করত,,
আর এদেশে ক্রিমিনাল আর ক্রাইম,,অনেক খানেই বংশগত ঐতিহ্য,,বেপারটা অনেক ক্ষেত্রেই চেইন রিএকশন, একটা অপরাধ জন্ম দেয় আরো অনেক গুলো,সেগুলো আরো,,, চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে বাড়তে পচন ধরায় সমাজে।
সেদিন যদি, হারুনের বিচার হত, post martum করে আসল ঘটনা বের করে আনা হত,, তাহলে,,
রহমানের বউকে ভিটে ছাড়া হতে হত না,,কিনবা মরত না ফয়সাল,,,
আমাদের দেশে গ্রাম গঞ্জে অনেক মার্ডার /রেপ কেস কখনো solve হয়না,, কারন,, জনগনের ভিতর post martum/ফরেন্সিক এক্সামিনেশন নিয়ে, এক ধরনের Tabu কাজ করে...
অনেক ক্ষেত্রে গ্রাম সালিশে, আশি/ নব্বই হাজারের ক্ষতি পুরন দিয়ে পার পেয়ে যায় ক্রিমিনালরা,,
সেই টাও কিন্তু পুরাটা ভিক্টিম পায় না!!
সালিশিরা অনেকটাই মেরে দেয় !
তাই
আপনি যখন ভাল মানুষ সেজে একটা ক্রাইম কে পার পেতে দেন,,ভাবেন 'আমার কি?' বা আমি তো ভালই আছি!
আপনি আসলে দশটি ক্রাইমের জন্য playing ground করে দিচ্ছেন,, উদাহরণ তৈরি করে দিচ্ছেন,অপরাধ করে পার পাওয়াই যায় ,
আমাদের মনে রাখা উচিত,
আমার/আপনার / আপনার পরিবারের সাথে হওয়া অন্যায় ক্ষমা আমি/আপনি করতেই পারি,, কিন্তু, ,,
আরো, দশটা পরিবারকে পথে বসাবার অধিকার আপনাকে কেও দেয় নাই...
তাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন, নিজের জন্যে নয়, সমাজের জন্যে..
১০ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০০
মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী) বলেছেন:
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৭
আজমান আন্দালিব বলেছেন: সুন্দর উদাহরণের মাধ্যমে অপরাধের চেইন রিঅ্যাকশন তুলে ধরেছেন।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৭
সোহানী বলেছেন: অসাধারন। চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন এদেশের সত্যিকারের চিত্র। কিন্তু কথা হলো, যেই সে যাবে কেইস করতে অমনি সে ও নিখোঁজ হে..... বাপ ও গলে ছেলে ও গেল সেই শোকে মা ও যাবে......
প্রতিবাদ শব্দটার মূল্য অনেক অনেক বেশী দেশে। আইনের শাসন যতদিন নিশ্চিত না হবে ততদিন এভাবে চেইন রিয়াক্শান চলতে থাকবে...........।
+++++
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৪
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: লেখাটা বড় হয়েছে। পড়তে খুব কষ্ট হল।
লেখার সারমর্ম:
"এদেশে ক্রিমিনাল আর ক্রাইমের বেশীরভাগই বংশগত ঐতিহ্য। আর বেপারটা চেইন রিএকশনের মত।" ও শেষ বাক্য।।
৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
গল্প যখন শুরু হবে, তখন ডাইকেন, এসে পড়ে যাবো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
গল্প যখন শুরু হবে, তখন ডাইকেন, এসে পড়ে যাবো