নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রোহিঙ্গা মুসলমানরা কিভাবে এল মায়ানমার
১ম খন্ড ( আরবী বনিক আর এক যুবরাজ)
এ কদিন রোহিঙ্গা নিয়ে অনেকগুলো লেখা পড়লাম,,রোহিংগা মুসলমানরা কিভাবে মায়ানমার এল সেটা নিয়ে,,প্রথম
মুসলমানরা বাংলা থেকে না,,, বরং আরব থেকে এসে সেই ৮ম /৯ম শতাব্দীতে বসতী স্থাপন করে মায়ানমারে,তাই কোন ভাবেই মায়ানমার সরকারের,,
'রোহিঙ্গারা বিদেশি,, বার্মিজ না, বাংলাদেশি এ দাবী মানা জায় না
খ্রিস্টীয় ৮ম/৯ম শতাব্দীতে #চন্দ্র বংশীয় রাজারা আরাকান শাসন করতো।এই বংশের রাজা মহত ইং চন্দ্রের রাজত্ব কালে (৭৮৮-৮১০ খ্রিস্টাব্দ) কয়েকটি বাণিজ্য বহর #রামব্রী দ্বীপের তীরে এক সংঘর্ষে ভেঙে পড়ে।
জাহাজের আরবী যাত্রীরা তীরে এসে ভিড়লে পর রাজা তাদের আরাকানে বসতি স্থাপনের অনুমিত দেন।
তো সেই আরবীয় মুসলমানগণ স্থানীয় মহিলাদের বিয়ে করেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
বলা হয়, আরবী মুসলমানেরা ভাসতে ভাসতে কূলে ভিড়লে পর ‘#রহম’ ‘#রহম’ বলে স্থানীয় জনগণের সাহায্য চাইতে থাকে।
‘#রহম’ অর্থ ‘#দয়া করা’। কিন্তু জনগণ মনে করে এরা রহম জাতির লোক #রহম থেকে #রোয়াং,, #রোয়াং থেকে #রোহিঙ্গা ।
আরব ভৌগোলিক সুলায়মান ৮৫১ খ্রিস্টাব্দে রচিত তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘সিলসিলাত উত তাওয়ারীখ; নামক গ্রন্থে বঙ্গোপসাগরের তীরে #রুহমী নামক একটি দেশের পরিচয় দিয়েছিলেন।
এবার আসি এক যুবরাজ এর গল্পে,
#সাল_১৪০৪
যুবরাজ নরমিখলা মাত্র ২৪ বছর বয়সে পিতার সিংহাসনে আরোহণ করেন। তার রাজধানী ছিলো লংগ্রেত।
তো সিংহাসনে আরোহণ করেই নরমিখলা একজন দেশীয় সামন্ত রাজার মেয়েকে অপহরণ করে রাজধানী লংগ্রেতে নিয়ে আসেন।
.....হঠাত পাওয়া ক্ষমতা,, কি করিব দিশেহারা!!
ফলাফল আরাকানের সামন্ত রাজাগণ একত্রিত হয়ে বার্মার রাজাকে আরাকান দখল করার জন্য আহ্ববান জানান।
#সাল_১৪০৬
বার্মার রাজা #ত্রিশ হাজার সৈন্য নিয়ে আরাকান আক্রমণ করলে #নরমিখলা পালিয়ে তদানিন্তন বাংলার রাজধানী #গৌড়ে এসে আশ্রয় নেন।
(বেচারা মাত্র ২ বছর ক্ষমতায় ছিল :/ )
তখন ইলিয়াস শাহী রাজবংশ গৌড় থেকে বাংলা শাসন করতো
[স্কুলের সমাজ বইয়ে এই ইলিয়াস শাহ কে নিয়ে অনেক লেখা ছিল,,মনে করেন ]
নরমিখলা গৌড়ে এসে সুফী হযরত মুহম্মদ জাকির (রহ দরবার শরীফ-এ আশ্রয় নেন।
নরমিখলা চব্বিশ বছর গৌড়ে থাকেন এবং শিখেন ইসলামের ইতিহাস, সভ্যতা ও রাজনীতি।
চব্বিশ বছর পর ১৪৩০ খ্রিস্টাব্দে গৌড়ের সুলতান নাসিরউদ্দিন শাহ কারো মতে জালালুদ্দিন শাহ এর সেনাপতি #ওয়ালী খানের নেতৃত্বে #বিশ হাজার সৈন্যবাহিনী দিয়ে নরমিখলাকে নিজ রাজ্য আরাকান উদ্ধারের জন্যে সাহায্য করেন।
নরমিখলা ইতোমধ্যে নিজের বৌদ্ধনাম বদলিয়ে #মুহম্মদ_সোলায়মান_শাহ নাম ধারণ করেন। ফলে বার্মার ইতিহাসে তিনি #মুহম্মদ_সোলায়মান হিসেবে পরিচিত । গৌড়ীয় সৈন্যের সহায়তায় নরমিখলা ওরফে সোলায়মান শাহ আরাকান জয় করেন।
১৪৩০ খ্রিস্টাব্দে আরাকান জয় করার এক বছরের ভিতর,,সেই সেনাপতি #ওয়ালী_খান এবার নিজেই বিদ্রোহ করে,, নিজেই আরাকান দখল করে নেয়!!
বেপারটা মেনে নেয় না বাংলার সুলতান..
গৌড়ের সুলতান জালালুদ্দিন শাহ এবার সেনাপতি #সিন্ধিখানের নেতৃত্বে আবার #ত্রিশ হাজার সৈন্য পাঠিয়ে সোলায়মান শাহকে (নরমিখলা) সাহায্য করেন।
গৌড় থেকে আগত সেই সকল সৈন্যরা আরাকানেই বিশেষ রাজকীয় আনুকূল্যে স্থায়ী বসতি গড়ে তোলেন।
আর এ সাথে শুরু হয় বঙ্গোপসাগরে উপকূলে এক শ্রেষ্ঠ সভ্যতার। এক রেনেসাঁ। আরাকানী রেনেসাঁর।
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:০৮
আজীব ০০৭ বলেছেন: চলুক.........
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৪:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো, তারপর?