নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ কার নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল—এই প্রশ্ন যদি আমাকে করা হয়, আমি বলব, গত ১৫ বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রির সাথে সাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও বিকৃত করে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনের মিথ ছড়ানো হয়েছে। সত্য হলো, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছিল
শেখ মুজিবের নেতৃত্বে, কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে। কেন একথা বলছি, তার যথেষ্ট ব্যাখ্যাও আমার আছে।
শেখ মুজিবুর রহমান কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধের সরাসরি নেতৃত্ব দেননি। সেই সময় তিনি বাংলাদেশের জনগণ বা যুদ্ধরত সরকারকেও নেতৃত্ব দেননি। কিভাবে দেবেন! নেতৃত্ব দেয়া, সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা তো দূরের কথা, সেসময়তো তিনি বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানেই ছিলেন না। তিনি ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি।
শেখ মুজিব কিন্তু সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণাও দেননি। একথা কেন বলছি তারও যুক্তি আছে। যদি তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিতেন, তাহলে জিয়াউর রহমানের সেই বিখ্যাত "আমি মেজর জিয়া বলছি..." ঘোষণার প্রয়োজন পড়ত না। রেডিওতে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান, যা পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের চাপে শেখ মুজিবের পক্ষে "আমি মেজর জিয়া, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি" বলে পুনরায় প্রচারিত হয়।
বিভিন্নভাবে এই কথাও শোনা যায় যে ২৫ মার্চ রাতে তাজউদ্দীন আহমদ শেখ মুজিবের কাছে স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করার জন্য টেপ রেকর্ডার নিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু শেখ মুজিব তা করেননি। তিনি স্বেচ্ছায় পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। আমার মনে হয়, যদি সেই সময় "আমি মেজর জিয়া বলছি..." ভাষণ না হতো, তবে জনগণ ঠিক সেই ২৫ মার্চের কালরাতের পরপরই স্বাধীনতার স্পষ্ট বার্তা পেত না। কেননা, অস্থায়ী সরকার কিন্তু আরও পরে ১০ এপ্রিল গঠন হয়। সেই সরকার এবং পুরো মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন তাজউদ্দীন আহমদ।
স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া এক জিনিস, আর যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ন্যাটো তথা পুরো পশ্চিমা বিশ্বের সহায়তা নিয়েও তার দেশকে পুরোপুরি রক্ষা করতে পারছেন না। অথচ তাজউদ্দীন আহমদ কিন্তু আমেরিকার মতো বিশাল শক্তির সরাসরি বিরোধিতা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। সুতরাং, আমার মতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন শেখ মুজিবের নেতৃত্বে হয়েছিল সত্যি, কিন্তু স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে।
এই বক্তব্য আমার নিজের জানার জায়গা থেকে আমার ব্যক্তিগত মতামত। এই সম্পর্কে ভিন্ন কোনো ইতিহাস কারো যদি জানা থাকে তাহলে সোর্স সাপেক্ষে জানানোর আহ্বান থাকল। আর কেন এত কথা আজকে বলছি! আজ ঐতিহাসিক ২৬শে অক্টোবর। ১৯৭৪ সালের এই দিনে শেখ মুজিবের নির্দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী তাজউদ্দীন আহমদ শেখ মুজিবের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন, যখন তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন।
আরেকটি বিষয় হলো, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনো একক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মাধ্যমে অর্জিত হয়নি। এখানে যেমন জেনারেল ওসমানী, মেজর জিয়া, কাদের সিদ্দিকী এবং ডা. জাফরউল্লাহর মতো ব্যক্তিবর্গ আছেন, তেমনি ক্র্যাক প্লাটুনের মত কমান্ডোসহ সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারাও রয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা সারা বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার ফলেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমার এই লেখায় আমি যুদ্ধকালীন সরকার এবং হেড অব স্টেট বিষয়েও আলোচনা করেছি।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:২৪
মেহেদী তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। অবশ্যই ৫ আগস্টের আগে এই ধরনের লেখার কথা ভাবাই যেত না কিন্তু অস্বীকার করে ঐতিহাসিক ফ্যাক্ট তো আর পরিবর্তন করা যাবে না। মুদ্রার দুই পাশটাই দেখতে হবে৷
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:২১
প্রহররাজা বলেছেন: দেশ স্বাধীন হয়েছে টোকাই আর কিশোর গেংদের নেতৃত্বে
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১:৩৮
সোনাগাজী বলেছেন:
রাজাকারদের নেতৃত্বে!
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ২:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৫১
আহরণ বলেছেন: স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর টোকাইদের কাছ থেকে শিখতে হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছিল কার নেতৃত্বে? আপনার আর কোন কাজ নেই!! গরুর দালালি ব্যবসা শুরু করেন, প্লিজ ভাইয়া।
৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৬
রায়হান চৌঃ বলেছেন:
দশ হাজারের ও বেশী ওয়ার চাইল্ড/যুদ্ব শিশুরা কে কোথায় কী করছে? দেশের জন্য নেতৃত্বে দিচ্ছে না কী দেশদ্রহীতায় কাজ করছে ?
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল তা নিয়ে ২০২৪ সালে আলোচনা জাতির জন্য সুখকর নয়। ২০২৪ সালের ৫ই আগস্টের আগে আমি ড শিউর আপনি এই টপিক নিয়ে লিখতেন না। পরাজিত শক্তি বারবার এসব স্মরণ করিয়ে নিজেদের কালিমা দূর করার চেষ্টা করে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইমপ্যাক্ট নিয়ে লিখুন। যে উদ্দেশ্যে আমরা ভাগ হলাম তা কি অর্জিত হয়েছে?