নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আসলে বুঝতে পারছি না আমি কে বা কি ?

মাধুকরী মৃণ্ময়

কিংকর্তব্যবিমুড়

মাধুকরী মৃণ্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবি মুহাম্মদের ২৩ বছরঃ আলি দস্তি

৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৮



লিখবো না , লিখবো না করেও এই বইটা নিয়া লিখতে বসছি। কারন, প্রথমত, আমার খায়া দায়া কাম নেই। দ্বিতীয়ত, এই বই টা পড়তে পড়তে অসংখ্যবার আমার আব্বার কথা মনে পড়েছে।
আমার আব্বা ছিলো অত্যন্ত ধর্ম ভীরু মানুষ। তেমন কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও ইসলাম সম্পর্কে ছিলো বিস্তর পড়াশোনা। তার ফলে, আমি ইসলামের যেকোন একটা শাখা ধরে উনার সংগে নানা আজাইরা আলাপ করতে পারতাম। আমি ইসলামের তিনশো ষাট ডিগ্রি বিপরিতে গিয়ে কথা বললেও উনি রাগতেন না। বরং উনার বিদ্যা বুদ্ধি প্রয়োগ করে বোঝানোর চেষ্টা চালাতেন। আব্বা মরে যাওয়ার আমার সবথেকে বড় ক্ষতি হইছে যে, আমি পরিচিত কারো সাথে ধর্ম নিয়া ক্রিটিক্যালি কথা বলতে পারি না।

আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ধর্ম কর্ম না করলেও , সেটা নিয়ে আমার বিস্তর আগ্রহ আছে। কারন আমার কাছে সবসময় মনে হয়েছে, ধর্ম আসলে ম্যাজিক। এইটা এতোই শক্তিশালি ম্যাজিক যে , এইটা ব্যাবহার করে মানব সভ্যাতার ইতিহাস বারে বারে পাল্টায়া গেছে। কিন্তু সব ম্যাজিকের পেছনে একটা চতুর ম্যাকানিজম থাকে, সেই ম্যাকানিজম ই আমার আগ্রহের বিষয়।
আলি দস্তি এই নামের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় আমার বউ। আমার চোত্রিশতম জন্মদিনে আমার বউ আমাকে সমান সংখ্যক বই উপহার দেয়। তার ভেতর এই বই ছিলো, নবি মোহাম্মদের ২৩ বছর। সারা জীবন আমরা "নবী" এইভাবে লিখে এসেছি। এই বই তে "নবি" - এইভাবে লেখা। গুরুত্ব কমানোর জন্য কিনা জানিনা।

আলি দস্তি বলেছেন এই বই লেখার অনুপ্রেরনা তিনি পেয়েছেন কোরয়ান থেকে। সেখানে নবীকে রক্ত মাংশের মানুষ এবং বার্তা বাহক রুপে বার বার দেখানো হয়েছে। বই লেখা হয়েছে মানুষ মুহাম্মদকে নিয়ে।
যেহেতু তিনি মানুষ তাই মানবিক দোষ ত্রুটির উর্ধে নয়। সেইসব মানবিক দোষ এবং গুনের ক্রিটাক্যাল বিশ্লেষন এই বই।
বইতে খুব ই কম সংখ্যক হাদিস ব্যাবহার করা হয়েছে ঘটনা ব্যাখ্যা করার জন্য কারন হাদিস নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। কোরয়ানের আয়াত ব্যাবহার করা হয়েছে, কোরানের আয়াত ব্যাখার জন্য তাফসীর আল জালালাইন সাহায্য নেয়া হয়েছে, যেটা সুন্নিদের কাছে অন্যতম গ্রহনযোগ্য তাফসীর।
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, সহজ কথা যায় না বলা সহজে। এই বই এর সারমর্ম সহজে আমি বলতে পারবো না। তবে নবি জীবনের কয়েকটা ঘটনার কথা বললে ধারনা পেতে পারেন।

ঘটনা ১ঃ উষর মরুভুমিতে কুরাইশ বংশে যে বাচ্চাটা জন্মগ্রহন করলো । তার চোখ ফোটার আগেই তার জন্মদাতা মারা গেলেন। মা মারা গেলেন কিছুদিন পর। বংশে অনেক ধনী চাচারা থাকলেও এইরকম এতিম একটা শিশুর দায়িত্ব নিলেন তার চাচা আবু তালিব। সেও অতি দরিদ্র। শিশুটি একটু বড় হলে তার প্রধান কাজ ছিলো মরুভুমিতে উট, মেষ , ছাগল চড়ানো। রাতের পর রাত , দিনের পর দিন সেই অকরুন মরুভুমিতে থাকতে হতো তাকে। এর ফলে তিনি আকাশ, নক্ষত্রমন্ডলি, পাহাড় এইগুলা নিয়া ভাবার বিস্তর সুযোগ পেয়েছিলেন।
ফলে মাক্কি সুরাগুলাতে দেখবেন, খুব সাহিত্য সাহিত্য ভাব, খুব শ্রুতিমধুর।
মাক্কি সুরা আরো একটি বৈশিষ্ট হলো, এইটা নরম নরম। যেমন উপদেশ, পরোপকার, ধৈর্য। যার ধর্ম তার তার ইত্যাদি ইত্যাদি। কারন মক্কাতে অবস্থা খুব নাজুক ছিলো। আদেশ নিষেধ আয়াত বলতে গেলে মস্তক ছিন্ন হওয়ার ভয় ছিলো।
ঘটনা ২ঃ মদিনাতে যখন রাষ্ট্র গঠন করে ফেললেন তখন কোরানের আয়াতের চরিত্র পরবর্তন হওয়া শুরু করল। সেখানে গনিমতের মাল, কেনো জিহাদ উত্তম, শহিদ হওয়া কেন ভালো ইত্যাদি ইত্যাদি আয়াত আসলো। কারন তখন হাতে শক্তি এবং অর্থ ছিলো। শক্তি এসেছিলো আন্সার আর মুহাজির থেকে আর অর্থ এসেছিলো বানিয্য কাফেলায় হামলা করে এবং ইহুদি গোত্র ডাকাতি , অবরোধ করে।
ঘটনা ৩ঃ নবি বলেছিলেন, পৃথিবীতে আমার তিনটা জিনিস প্রিয়। এক, সুগন্ধি, দুই, নারী, তিন, নামাজ। এইকথা সবাই বুঝেছিলো কিন্তু সাহস করে বলেছিলো হজরত আয়েশা।
যুদ্ধে করে পাওয়া মেয়েদের গনিমতের মাল হিসাবে বিবেচনা করা হতো। অনেক নারী নিজের প্রান রক্ষার্ত্রে নিজেকে নবির কাছে সমর্পন করতেন। সেইরকম তিনজন নারী ছিলেন। তাদের মধ্যে উম্মে শরিক ছিলেন অতীব সুন্দরী। নবির কাছে উম্মে শরিক আসার সাথে সাথে তিনি তাকে গ্রহন করেন। এতে আয়েশা রাগান্বিত হন। কিছুক্ষনের মধ্যে আয়াত নাজিল হয়ঃ তুমি ওদের যাকে ইচ্ছা গ্রহন করতে পারো , যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারো (৩৩ঃ৫১)। আয়েশা তখন বলেনঃ হে আল্লার নবি, আপনাকে খুশি করেতে আপনার প্রভু তো খুব একটা দেরি করেন না। (বুখারী; ভ্লিউম ৭ , বুক ৬২, নম্বর ৪৮)

আরবের একটা দরিদ্র বালক শুধুমাত্র নিজের চিন্তা শক্তি, দুরদৃষ্টি, প্রজ্ঞা, রাজনৈতিক বিচক্ষনতা, বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে একটা বর্বর জাতিকে পৃথিবীর মানুষের কাছে বীর হিসবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। এই অর্জনও তো কম না। নবি জন্মের একশো বছরের মধ্যে পুরো পৃথিবীর ইতিহাস যখন বদলাতে শুরু করেছে তখন কে জানতো ঠিক একশো বছর আগে একটা এতিম মেষ পালক এই ইতিহাসের স্রষ্টা।

মন্তব্য ১১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৪

নতুন বলেছেন: আলি দস্তি সাহেব কি তার কল্লা নিয়ে কবরে যেতে পেরেছিলেন না কি সেটা তার সাথে প্যাকেট করে দিতে হয়েছিলো? #:-S

২| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪০

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: আলি দস্তি ইরানের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং লেখক। তিনি ফার্সি ভাষায় একখান বই লিখেন যখন তার বয়স আশি ছুই ছুই। কিন্তু বই এর প্রকশের সময় এবং স্থান সম্পর্কে পৃথিবীর মানুষকে ধুম্রজালের ভেতর রাখা হয়। কারন বই এর বিষয়বস্তু অতি স্পর্ষকাতর। ইরানে কথিত ইসলামী বিপ্লবের পর এই বই লেখার জন্য আলি দস্তিকে গ্রেফতার করা হয় এবং রিমান্ডে নিয়ে এই আশি বছরের মানুষটাকে নির্যাতন করে উরুর হাড় ভেংগে দেয়া হয়। তারপর তেহরানের অদূরে একটা ছোট্ট কূটিরে এই লেখককে নজর বন্দি করে রাখা হয়। তারপর একদিন তিনি মারা যান। কোন মেইন মিডিয়া সেই খবর ছাপার সাহস দেখায় নি।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেদুইনদের সামন্তবাদী জমিদারীতে তিনি আরব জাতির ১ম সাম্রাজ্য গঠন করতে পেরেছিলেন।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৬

সাসুম বলেছেন: আলি দস্তি, কল্লা নিয়ে কবরে যেতে পারবেনা, এটা ভাবতে ভাবতে কমেন্ট সেকশনে এসেই উত্তর পেয়ে গেলাম। এরকম ই তো হবার কথা ছিল, তাই নয় কি?
অভিজিৎ থেকে তার প্রকাশক- সিলেট থেকে মতিঝিল, বইমেলা থেকে হাটহাজারী এমন ভাবেই তো আমরা ও চালিয়েছি! তাই নয় কি??


যাই গোক- দস্তি সাহেবের নিজের মায়া ছিলনা। আমাদের নিজের প্রাণের মায়া আছে- তাই আপাতত চুপ রই।

সুন্দর বই, আরো সুন্দর রিভিউ

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪৩

বারবোসা বলেছেন: মাধুকরী মৃণ্ময় ভাই,
একখানা হাইস্যকর বিষয় দেখতে পাচ্ছি,
ঘটনা৩ঃবলা হয়েছে,অনেক নারী নিজের প্রান রক্ষার্ত্রে নিজেকে নবির কাছে সমর্পন করতেন। সেইরকম তিনজন নারী ছিলেন। :#) আচ্ছা,,অনেক বলতে তিনজন বুঝায়,,।নাইস।তিন জনের প্রোপোজাল নবীজি কিভাবে হ্যান্ডেল করেছিলেন সেটা সংক্ষেপে বললে জাতি উপকৃত হত।
আর একখানা বিষয়,
ইসলামকে ব্লেইম করার সময়, সবাই এই কাজটা করে,সেটা হলো,তারা বোঝানোর চেষ্টা করে যে ইসলামই দাসপ্রথার প্রবর্তক।কিন্তু আসল কথা হল,অনেক আগে থেকেই দাসপ্রথা ছিলো,ইসলামের প্রথমিক যুগে মুসলমানরা ওই অসামাজিক দাসপ্রথা কিছুটা মডিফাই করে অনুশীলন করলেও, আরো কয়েকটি নিয়মের মাধ্যমে ইসলামে দাসপ্রথা বিলুপ্ত করার পথ সুগম করা হয়।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪৯

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: @বারবোসা ভাই। আসলেই বিষয়টা হাইস্যকর হইছে তার জন্য দুঃখিত। তবু আমি এইটা এডিট করবো না। কারন এখানে আমি বোঝাতে চেয়েছি নবি নারী বা স্ত্রীলোক পছন্দ করতো। এবং সেটা নির্মোহ দৃষ্টিতে এবং সেই সময়কার সামাজিক প্রেক্ষিতে খারাপ চোখেও দেখা হতো না। যেমনঃ পালিত পুত্রের স্ত্রী এবং নবির ফুফাতো বোন ছিলেন জয়নব। জয়নবের সাথে জায়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরও নবি জয়নব কে পছন্দ করেছেন এবং বলেছেন, সকল প্রশংসা তার যিনি আমার হৃদয়ে কম্পন সৃষ্টি করেছেন।তৎকালীন সমাজ ব্যাবস্থা যতই বহু বিবাহ বা দাসির সাথে যৌন সংগম এপ্রুভ করুক কিন্তু পালিত পুত্রকে তারা নিজের পুত্র ই মনে করতো । এমনকি জায়দে ইবনে মুহাম্মদ বলেও সাহাবিরা ডাকতো । সেক্ষেত্রে কোরয়ানের আয়াত নাজিল করা ছাড়া সমাজের চক্ষুশুল থেকে বাচার আর কোন উপায় ছিলো না। সেটাই হলো। আল্লাহ জয়নবকে বিয়া করার ব্যাপারে অনুমতি দিলেন এমনকি জোর করলেন , কারন প্রথম জায়েদ যখন জানতে পারলো নবি জয়নব কে বিয়া করতে চাই তখন মুক্তদাস হওয়ার কৃতজ্ঞতা স্বরুপ জয়নবকে তালাক দিতে চাইলো , তখন নবি বললেন, এইটা সম্ভব না। কারন সেখানে সমাজ পরিপন্থি ব্যাপার ছিলো। কিন্তু নিজের ইচ্ছাকে চরিতার্থ করার জন্য পরক্ষনেই আয়ান নাজিল করলেন। এইটা এতো স্ট্রং আয়াত মনে হইছে আল্লাহ এই বিয়ার ঘটকালি করছেন।
আর স্মরণ কর, আল্লাহ যার উপর নিআমত দিয়েছিলেন এবং তুমিও যার প্রতি অনুগ্রহ করেছিলে, তুমি যখন তাকে বলেছিলে ‘তোমার স্ত্রীকে নিজের কাছে রেখে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর’। আর তুমি অন্তরে যা গোপন রাখছ আল্লাহ তা প্রকাশকারী এবং তুমি মানুষকে ভয় করছ অথচ আল্লাহই অধিকতর হকদার যে, তুমি তাকে ভয় করবে; অতঃপর যায়েদ যখন তার স্ত্রীর সাথে বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করল তখন আমি তাকে তোমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম, যাতে পালক পুত্রদের স্ত্রীদের ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে; যখন তারা তাদের স্ত্রীদের সাথে বিবাহসম্পর্ক ছিন্ন করে।* আর আল্লাহর নির্দেশ কার্যকর হয়ে থাকে। (আল আযহাব; ৩৭)
লং স্টোরি শর্টঃ এতো আলাপের মানে হলো, নবি মানবিক দোষ ত্রুটির উর্ধে ছিলো না। প্রত্যেক মানুষের দুর্বলতা থাকে। সেটা যদি সমাজে খারাপ কিছু প্রভাব না ফেলে বা বৃহত লক্ষ অর্জনে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তাহলে , সেটা তুলানামুলক কম ক্ষতিকর।

এইবার দাসঃ যারা বলে দাস ইস্লামের সৃষ্টি , হয় তারা মিথ্যা বলে , না হলে জানে না। দাস ইসলাম আসার বহু যুগ আগে থেকেই চলে আসছে। তবে একটা অপরাধ কে মডিফাই না করে তুলে দিলে ভালো হতো না? যেমন , মদ তুলে দিছে। তুলে দিতে পারে নাই ক্যান ? কারন, জিওপলিটিক্যাল কারনে। যদি তুলে দিতো , তাহলে অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধ বাধলে , তারা মুসলিমদের দাস দাসি বানাতো , আর মুসলিমরা হাত গুটায়া বসে থাকতো। ব্যাবসা তথা গনিমতের মাল লস হয়ে যেতো। সুতরাং পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকতে গিয়ে একটা অপরাধ কে অপরাধ বানিয়ে গেছে। এইটা দুনিয়ার কেউ কোনভাবে জাস্টিফাই করতে পারবে না।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মক্কাতে মুসলমানরা চরমভাবে নিপীড়িত ছিল। তাদের অনেকের উপর অমানুষিক পাশবিক নির্যাতন করা হত, হত্যা করা হত। তিন বছর পর্যন্ত সকল মুসলমান ও রসূলের (সা) গোত্রকে একঘরে করে রাখা হয়েছিল। ক্ষুধা নিবারণ করতে গাছের পাতা খেতে হয়েছিল। বহু নারী, শিশু, বৃদ্ধ না খেয়ে মারা যায় তখন। কাফেরদের দৃষ্টিতে তাদের ও রসূলের (সা) দোষ ছিল যে তারা মূর্তি পুজা করতো না এবং এক আল্লাহর এবাদত করতো। রসূলকে (সা) আল্লাহ পৃথিবীতে একটা মিশন নিয়ে পাঠিয়েছিলেন। সেই মিশন হোল আল্লাহর ধর্মকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া। আল্লাহর বিধান পৃথিবীতে আসবেই। কারণ স্বয়ং আল্লাহর ইচ্ছা এটা। কেউ এটা থামাতে পারবে না। আল্লাহ তাই পরবর্তী সময়ে মুসলমানদের জন্য অনুকুল পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিলেন। মদিনাকে মুসলমানদের রাজধানী বানিয়ে দিয়েছেন। তারপর থেকেই পার্থিব জীবন সংক্রান্ত পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয় নিয়ে অনেক বিধি বিধান আল্লাহ নাজিল করেন। মক্কায় থাকা কালীন অনুকুল পরিবেশ না থাকাতে বেশীর ভাগ কোরআনের আয়াত ছিল আকিদা (বিশ্বাস) সংক্রান্ত। মদিনাতে স্বাধীন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার কারণে তখন অন্যান্য বিধানও নাজিল হতে শুরু করে। বদরের যুদ্ধ সম্পর্কে আল্লাহতালা সুরা আল- হাজ্জ এর ৩৯ নং আয়াতে বলেন;

"যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে যারা আক্রান্ত হয়েছে; কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আর নিশ্চয় আল্লাহ্ তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম।"

এছাড়া সুরা বাকারার ২১৭ নং আয়াতে আল্লাহ বদর যুদ্ধের প্রাক্কালে মুসলমানদের যুদ্ধ করার কারণ সম্পর্কে বলেন;
"পবিত্র মাসে যুদ্ধ করা সম্পর্কে লোকেরা আপনাকে জিজ্ঞেস করে বলুন, এতে যুদ্ধ করা কঠিন অপরাধ। কিন্তু আল্লাহর পথে বাধা দান করা, আল্লাহ্র সাথে কুফরী করা, মসজিদুল হারামে বাধা দেয়া ও এর বাসিন্দাকে এ থেকে বহিস্কার করা আল্লাহ্র নিকট তারচেয়েও বেশী অপরাধ। আর ফিতনা হত্যার চেয়েও গুরুতর অপরাধ। আর তারা সবসময় তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে, যে পর্যন্ত তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন থেকে ফিরিয়ে না দেয়, যদি তারা সক্ষম হয়। আর তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ নিজের দ্বীন থেকে ফিরে যাবে এবং কাফের হয়ে মারা যাবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের আমলসমূহ নিস্ফল হয়ে যাবে। আর এরাই আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে।"

উপরের দুইটি আয়াত থেকে দেখা যায় যে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর যুদ্ধের মূল কারণ ছিল;
১। মুসলমানদেরকে মক্কার বাড়ি ঘর থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং তাদের সম্পদ জবর দখল করা হয়েছিল
২। মুসলমানদের মসজিদুল হারামে যেতে বাঁধা দেয়া
৩। আল্লাহর পথে বাঁধা দান করা
৪। মুসলমানরা আক্রান্ত ও অত্যাচারিত হয়েছিল।

এছাড়া মদিনার প্রাক্তন প্রধানকে কোরাইশরা বলেছিল তোমরা যদি রসূলকে (সা) বহিষ্কার না করো তবে আমরা মদিনা আক্রমন করবো। রসূল (সা) বদরের যুদ্ধের আগে পর্যন্ত রাতে নিরাপত্তার জন্য প্রহরী ব্যবহার করতেন। কারণ তার জীবনের উপর হুমকি ছিল।

ইহুদিদের সাথে মুসলমানদের তথাকথিত আপত্তিকর আচরণের কোন নির্দিষ্ট বর্ণনা দিলে তার ন্যায্য কারণ বলতে পারবো ইনশাল্লাহ। আপনি ঢালাওভাবে বলেছেন।

রসূল (সা) যে তিনটি জিনিস পছন্দ করতেন তা সহি হাদিসে এসেছে। হাদিসটি আয়শা (রা) বর্ণনা করেননি বরং হজরত আনাস (রা) বর্ণনা করেছেন। তাই এটা কোন গোপন বিষয় না। হাদিস মানুষকে জানানোর জন্যই। গোপন করার জন্য না। হাদিসে নারী বলতে স্ত্রী বুঝানো হয়েছে। তাই এই হাদিসে কোন খারাপ কিছু দেখি না।

ঐ সময় যুদ্ধ দলে নারীরা অংশ নিত এবং পুরুষদের সাহায্য করতো। ফলে তারা যুদ্ধ দলেরই অংশ। যুদ্ধে হেরে গেলে এরা যুদ্ধাপরাধী হত এবং প্রয়োজনীয় শাস্তি পেত। যুদ্ধ দলের বাইরে কোন নারীকে দাসী বানানো হতো না। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষেত্রে তখন তিনটা নিয়ম ছিল।
১। হত্যা করা
২। অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া
৩। দাস/ দাসী বানানো
উপরের তিনটার মধ্যে কোনটা করা হবে এটা রাষ্ট্রের/ যুদ্ধ দলের প্রধান নির্ণয় করবে। গনিমতের নিয়ম তখনকার প্রতিষ্ঠিত ও সর্বজন স্বীকৃত নিয়ম ছিল। এটা নিয়ে ঐ সময় কাফেরদের কোন আপত্তি ছিল না। কারণ সমগ্র আরব এই নিয়মেই যুদ্ধ করতো।

রসূলের (সা) চিন্তা শক্তি, দূরদৃষ্টি, প্রজ্ঞা ইত্যাদির ছিল আল্লাহ প্রদত্ত। রসূলকে (সা) আল্লাহ শিক্ষা দিতেন ফেরেশতা জিব্রাইলের (আ ) মাধ্যমে। তাই এগুলি রসূলের (সা) ব্যক্তিগত অর্জন ছিল না। তিনি সবই করেছেন আল্লাহর জন্য।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৭

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: এক ঈশ্বরবাদ মক্কাতে প্রথম নবি মুহাম্মদ শুরু করে নাই। একদল লোক ছিলো তাদের বলা হতো "হানিফ"। এরা শুধুমাত্র আল্লাহ কে মানতে অন্য মুর্তি পূজা করতো না। যেমন , ব্রাম্ম ধর্মে তিত্রিশ কোটা দেব দেবতা বাদ দিয়া শুধুমাত্র ভাগবানের উপসনা করা হয়। এবং আল্লাহ কোন নতুন শব্দ ছিলো না পৌত্তলিকদের কাছে । তার মনে করতো দেবতাদের প্রধান আল্লাহ। এই হানিফ মতের অনুসারি ছিলেন খাদিজা (রাঃ) চাচাতো ভাই নওফেল। নবি বহু সময় এই নওফেলের সাথে। এবং সেখান থেকে অনুপ্রানিত হয়েছে বলে অনেক ঐতিহাসিকরা মনে করা। এখানে প্রশ্ন হলো, তাহলে হানিফদের কেনো নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয় নাই। কারন, তার নবি মুহাম্মদের মতো নিজের মত পালন করার জন্য পাড়াপাড়ি করে নাই।
আপনি লিখেছঃ আল্লাহ তাই পরবর্তী সময়ে মুসলমানদের জন্য অনুকুল পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিলেন।
ঘটনা এমন না। মদিনাতে মহানবি নবুয়্যাত প্রাপ্তির অনেক আগে থেকেই অনুকুল পরিবেশ ছিলো। কারন, প্রথমত , সেখানে যে গোত্র ছিলো তাদের সাথে সাথে কুরাইশদের সুসম্পর্ক ছিলো না। দ্বীতিয়তঃ সেখানে অনেক খ্রিষ্টান ও ইহুদিরা বাস করতো, তারাও এক ঈশ্বর পুজারী ছিলো। সুতরাং নবির নির্যাতন দেখে আল্লাহ সেখানে অনুকুল পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন, এই যুক্তি অচল।

দেখেন যুদ্ধ সম্পর্কে কোরানের আয়াত কিভাবে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়েছে। মক্কাতে যুদ্ধের কোন প্রশ্নয় ছিলো না । কারন তেরো বছর কঠিন পরিশ্রম করে মাত্র ১০০ জনের মতো মানুষ ইসলাম গ্রহন করেছিলেন। তার মধ্যে আবু বকর , উসমান আর ওমর বাদের শক্তিশালি কেউ ছিলো না। অধিকাংশ গরীব এবং নির্যাতিত। তাই এইখানে যুদ্ধ করতে গেলে হার শতভাগ , এবং শহিদী মর্যাদার কথাও আসে নাই তখন। তখন আল্লাহ বলেছেন।তুমি যখন দেখ তারা আমার নিদর্শন নিয়ে নরর্থক আলচনায় মেতে আছে তখন তুমি দূরে সরে যাবে যে পর্যন্ত না তারা অন্য প্রসংগে যোগ দেই (৬-৬৮)। খুব সুন্দর কথা।
কিন্তু সুন্দর কথা সুন্দর থাকলো না যখন মদিনাতে রাষ্ট্র গঠন করলো আর শক্তিশালি হলো। তখন শহিদি মর্যাদা , কার সাথে যুদ্ধ করা যাবে , কার সাথে যাবে না। ইত্যাদি এবং ইত্যাদি।
খেয়াল করেন একটা দিক , মক্কাতে যদি যুদ্ধ হতো তাহলে শহিদি মর্যাদা তো কোন অংশে কম হতো না। তাহলে সেখানে নাজিল হলো না ক্যান। কারন সেখানে শুধু শহিদ হবে মানুষ , কোন আউটপুট আসবে না। এখানে যতটানা ঐশ্বরিক বিষয় আছে তার চেয়ে আছে পার্থিব এবং পার্টিকুলার পরিস্থিতি।
মক্কা বিজয়ের পর কোরানের আয়াত আরো এক্সট্রিম হলো । তার প্রমান সুরা তওবা। আল্লাহ বলেছেনঃ যাদের উপর কিতাম অবতীর্ণ হয়েছে তাদের মধেয় যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না ও পরকালেও বিশ্বাস করে না এবং আল্লাহ ওপ তার রসুল যা হারাম করেছেন তার হারাম করে না ও সত্যধর্ম অনুসরন করে না তাদের সাথে যুদ্ধ করবে যে পর্যন্ত না তার বষ্যতা স্বিকার করে আনুগত্যের নিদ্শন স্বরুপ স্বেচ্ছায় জিজিয়া কর দেয়।
মহানবী যদি আরো বিশ বছর বেচে থাকতেন আয়াতগুলো আরো ইভিলিঊশন হতো। আমরা তা ধারনা করতে পারি।

এইবার আসেন পবিত্র মাসে যুদ্ধঃ মহরম, রজব, জিল্ক্বদ ও জিলহজ- এই চারটি মাস ছিলো পবিত্র মাস। এই মাসে যুদ্ধ করা সামাজিকভাবে নিষিদ্ধ ছিলো। যেহেতু বানিয্য কাফেলা হামলা করলে নগদ অনেক অর্থ , সম্পত্তির মালিক হওয়া যায় , যেটা তৎকালীন নব্য মুসলিমদের জন্য জরুরি ছিল। এবং তাতে নবি মৌন বা সরাসরি অনুমদন ছিলো। একবার মুহাজিরদের এক দল রজব মাসে কুরাইশদের বানিয্য কাফেলায় হামলা করলো এবং প্রচুর মাল লুন্ঠন করলো। সেই লুন্ঠনকে কোরয়ান কিভাবে স্বীকৃত দিলো দেখেনঃ পবিত্র মাসে যুদ্ধ করা ভীষন অন্যায়। কিন্তু আল্লাহর কাহে তার চেয়েও বড় অন্যায় আল্লাহর পথে বাধা দেয়া, আল্লাহকে অ স্বীকার করা , কাবাশরিফে উপসনায় বাধা দেয়া ও সেখাঙ্কার অধিবাসিদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া (২-২১৭)

দেখেন এখানে ইজাজের সামাজিক প্রথাকে বৃদ্ধাংগুলি দেখায়া শুধুমাত্র আল্লাহর দোয়ায় দিয়ে লুন্ঠন করে জায়েজ করা হলো। কিন্তু আমরা আজ জানি যে, ইসলামে বহু প্রথা আসলে আরবের প্রথা তথা পৌত্তলিকদের প্রথা। যেমন, দস্তরখানায় খাওয়া, সাফা মারাওয়া দৌড়ানো, কালো পাথরে চুমু খাওয়া।

ইহুদিদের সাথে কি নিয়া ঝামেলাঃ
মদিনাতে তিনটা ইহুদি গোত্র বাস করতো, বানু কায়নোকা, বানু নাজির ও বানু কুরাইজা। এবং তারা ছিলেন ধনী শ্রেনীর মানুষ। ব্যাবসা বানিয্যে , কৃষি কাজে দক্ষ। নবি মুহাম্মদকে যারা আশ্রয় দিয়েছিলো তার ছিলো আউস ও খাজরাজ গোত্রের গরীব মানুষ। তারা ধনী ইহুদের বাড়িতে , প্রতিষ্ঠানে নিম্ন শ্রেনীর কাজ করতো এবং সেটা তাদের মধ্যে হীনমন্যতার সৃষ্টি করেছিলো। কিন্তু কোন উপায় ছিলো না। উপায় তখন হলো যখ নবি চারা মোত্তালিবের মধ্যস্থতায় আল আকাবা (একটা জায়গায় নাম) চুক্তি হলো । সেখানে উল্লেখ করা হলো তারা তাদের স্ত্রী সন্তান্দের যেভাবে রক্ষা করে নবিকে সেভাবে করবে। এই চুক্তির আরেকটা উদ্দেশ্য ছিলো, ইহুদিদের প্রভাব ক্ষুন্ন করা । কারন নতুন ধর্মে বহু মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিলো। এবং লোক সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছিলো। এই লোকবল কাজে লাগিয়ে যদি ইহুদিদের নিধন করা যায় তাহলে তাদের হীনমন্যতা দূর হবে সাথে অর্থ প্রাপ্তি হবে। এখানে বলে রাখা ভালো ,তৎকালীন আরবে যুদ্ধে লব্ধ মালের চেয়ে লোভনীয় আর কিছুই ছিলো।
তো প্রথম পর্যায়ে নবি খুব দূর দর্শিতার পরচিয় দিয়েছিলো , এমনকি একটা যুদ্ধ হবেনা এই মর্মে চুক্তি করেছিলো ইহুদিদের সাথে। কিন্তু ঝামেল তৈরি হয় ছোট্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে । একজন ইহুদি স্বর্ন ব্যাবসায়াই একটা আনসার মহিলাকে ইভটিজিং করেছিলো।মুসলিমরা তাকে গিয়ে হত্যা করে, পরে ইহুদিরা সেই হত্যাকারীকে হত্যা করে । শুরু হয়ে যায় যুদ্ধ , সেটা নবি অনুমতী ক্রমে। দ্বির্ঘদিন তাদের গোত্র অবরাধ করে রেখে প্রাই তাদের রিক্ত হস্তে তাদের আবাস থেকে বিতাড়িত করে।
সমস্ত ধন সম্পত্তিত মালিক বনে যায় মুসলমানরা। এইটা ঘটে কায়নোকা গোত্রের সাথে।
মক্কায় গিয়ে ষড়যন্ত্র করার জন্য বানু নাজির গোত্রের নেতাকে নবির আদেশে হত্যা করা হয় । এবং সেই গোত্র কে অবরোধ করে রাখা হয় । এবং তাদের খেজুর গাছ পুড়িয়ে দেয়া হয়। যেটা অমানবিক। আল্লাহ এই ঘটনা জাস্টিফাই করার জন্য আয়াত নাজিল করেন- তোমার যে কতক খেজুর গাছ কেটেছো আর কতক রেখে দিয়েছো সেটা আল্লাহর অনুমতিক্রমে" । অথচ মক্কা বিজয়ের সময় এই অনুমতি আল্লাহ দিলো না অথবা ভুল বুঝতে পারলো কারন ওইটা তার প্রিয় নবীর জন্মস্থান।
সবচেয়ে অন্যায় করা হয় বানু কুরাইজা গোত্রের উপর । নবি অনুমতি ক্রমে ৭০০ ইহুদি পুরুষের মতন্তরে ১০০০ জনের শিরচ্ছেদ করা হয় সাথে একজন ইহুদি নারিকে , সেই নারী ছিলেন বিবি আয়েশার বান্ধবী। এইটা একদম ব্যাক্তি পর্যায়ের ক্ষোভ থেকে করা হয়। আবার কুরাইশদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বানু ক্রাইজার রাস্তা পচিশ দিন অবরোধ করলেন। ইহুদিরা তাদের সমস্ত সম্পত্তি ত্যাগ করে দেশ ত্যাগে রাজি ছিলো । কিন্তু আবু সুফিয়ানের সাথে সম্পর্ক রাখার জন্য নবি খুব রুষ্ট ছিলো তাদের প্রতি। ফলে তাদের কোন সুযোগ দিলো। কুরাইজ গোত্র যখন আউস গোত্রের সাহায্য কামনা করলেন তখন নবি মুসলমান্দের পক্ষে সাদ ইবনে মুয়াজ কে নিয়োজিত করেলেন । সাদ আগেই কুরাইজদের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন তিনি নির্দেশ দিলেন সমস্ত ইহুদি পুরুষকে হত্যা করতে।
অথচ মক্কাতে থাকা অবস্থায় নবি প্রথমে অবিসিনিয়ার (ইথিয়পিয়া) রাজার কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন কুরাইসদের বিরুদ্ধে লড়ায় করার জন্য। আবার অন্য একটা গোত্রের কাছেও চেয়েছিলেন। একি অপরাধ করার জন্য নবি ইহুদিদের বসতি উচ্ছেদ করেছেন এবং সমস্ত সম্পত্তি জব্দ করেছেন। যেটা ইস্লামের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজন ছিলো, অন্যায় হলেও।


৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আশা করি এই পোষ্টে যৌক্তিক আলোচনা হবে। উভয় পক্ষের সহনশীলতা কামনা করছি।

পাঠক হিসাবে আমার একটা ছোট পর্যবেক্ষন আছে। হযরত মোহাম্মদ সাঃ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেক সত্য মিথ্যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে। যেহেতু তৎকালীন সময়ে তিনি রাজনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ন ছিলেন, তাঁকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারও ছিলো। এই ধরনের অপপ্রচারগুলো অনেক সময় পরবর্তীতে প্রকাশিত হয়েছে।

আমার কথা হচ্ছে সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সেই সকল মিথ্যে ঐতিহাসিক ফ্যাক্টগুলোকে কিভাবে যাচাই করা হয়েছে।
যেমন আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের নিয়ে অনেক সত্য মিথ্য কথা প্রচলিত আছে। এখন যার যার অবস্থান থেকে তা সত্য মিথ্যা হিসাবে বিবেচিত হয়। পরবর্তীতে হয়ত কিছু তথ্য প্রমান আসে, যার ভিত্তিতে হয়ত নিশ্চিন্তে বলা যায় কে অভিযুক্ত আর অভিযুক্ত নয়!

যেহেতু ইসলাম তৎকালিন সময়ে প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলো, সমাজের তথা কথিত ক্ষমতাসীনদের সাধারনের কাতারে নামিয়ে এনেছিলো, সকলের সমান অধিকার সহ ইত্যাদি অনেক কারনে সমাজের একটা অংশ নবী মোহাম্মদ সাঃ এর বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ ছিলো বলে জানা যায়। এই ক্ষেত্রে ইতিহাস কিভাবে যাচাই করা হয়েছে?







৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রসুল সঃ কে খুশি করতে আল্লাহ তায়ালা দেরি করার কথা নয়। রসুল সাঃ এর সমান কষ্ট মোজাহেদা অন্য কোন নবীও করেন নাই। নবী সাঃ সাধারণ মানুষ বলা হলেও তিনি সাধারণ মানুষ নন। তিনি সাধারণ হলে অসাধারণ মানুষ কে। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী সর্বশেষ নবী এবং আ্ল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি। সমস্ত নবী রাসুলদেরও সর্দার। মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন উত্তম আদর্শ। তাকে রাসুল না মানলে সে মুসলমান নয়।

আপনিও আপনার পছন্দের মানুষের চাওয়া পূরণ করতে দেরী করবেন না।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:০৮

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: ভাই, অবস্যয় প্রিয় মানুষের চাওয়া পূরন করা উচিত , তার আগে ভেবে দেখা উচিত যে চাওয়াটা কতোটা যৌক্তিক। প্রিয় মানুষের প্রতি অন্ধ হইয়ে তো লাভ নাই।
আবার মনে করেন , আমার প্রিয় মানুষ আমি। তাহলে , আমি যদি খুন করে আসি। আর আমিই যদি বিচারক হয় , তাহলে পক্ষপাত তো হতেই পারে।

৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই পোস্টে নানান তর্ক-বিতর্ক-যুক্তি আসবে।
আমি বইটি খুঁজে দেখি পাই কিনা।

১০| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:০৬

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: সাধারণত ধর্ম সংক্রান্ত পোস্টে মন্তব্য না করার চেষ্টা করি। পোস্টটা পড়ে জনাব আলী দস্তির বইটি পড়বার অধীর আগ্রহ অনুভব হইতেছে। নবীজী (সঃ) কে একই সাথে একজন ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক দুইভাবে দেখা যায়। এখন কেউ তাকে ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে দেখেন, তখন তিনি সবকিছু যুক্তির নিরিখে বিচার করেন। আবার কেউ নিরেট আধ্যাত্মিক ব্যক্তি হিসাবে দেখেন, এখানে যুক্তির চেয়ে বিশ্বাসটা কাজ করে বেশি। কেউ ‍দুইটাকে সমন্বয়ও করেন। ইরানের আরেকজন সিরাত লেখক, যিনি পেশায় ছিলেন সাংবাদিক, যায়নুল আবেদীন রাহনুমা, তিনি মোহাম্মদ (সাঃ) এর পলিটিক্যাল হিস্ট্রির চাইতে তার মানবিক সম্পর্কগুলোর দিকে নজর দিছিলেন বেশি। ফলে সেই বইটাতে বদর যুদ্ধ যত না গুরুত্ব পাইছে, তার চাইতে মা খাদিজার সাথে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের খুটিনাটি গুরুত্ব পাইছিল বেশি। আলী দস্তি সাহেবও তেমনই আরেকটা দৃষ্টিভঙ্গি দিয়া দেখছেন আরকি। ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং। এখন আলী দস্তিরে ‘আপনি’ কিভাবে পড়বেন এবং উপস্থাপন করবেন সেইটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, বা আলী দস্তির এই রিডিংটাই কেন আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য হইয়া উঠলো বা উঠলো না- সেইটাও গুরুত্বপূর্ণ। এই ‘আপনি’টা পোস্টের লেখক শুধু না, আমি বা যারা কমেন্ট করতেছেন তারাও হইতে পারেন।

১১| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪২

কামাল১৮ বলেছেন: বইটি বেশ কয়েক বছর আগে পড়েছি।যখন পড়েছি তখন এটা অন্তত বুঝতে পেরেছি যে আজ পর্যন্ত নবীর যত জীবনি লেখা হয়েছে তার ভেতর এই বইটি লেখা হয়েছে নির্মোহ দৃষ্টি কোন থেকে।।লেখক এক সময় মন্ত্রী ছিলেন ও পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।

১২| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিষয়টা নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের উপর:
১। দৃষ্টিভঙ্গি
২। অবস্থান
৩। বিশ্বাস
৪। সত্যানুসন্ধান স্পৃহা
৫। উপস্থাপনার কারণ ও ধরন

আলি দস্তি সাহেবের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, অবস্থা, বিশ্বাসই প্রতিফলিত হয়েছে পুস্তকে। আবার পূর্নাঙ্গ পাঠ ছাড়া এটা বলাও কঠিন মূলভাব কতটুকু প্রতিভাত হয়েছে রিভিউতে।
যা হোক- আবু জেহেলর দৃষ্টিতে মোহাম্মদ (দ) অবশ্যই প্রতিপক্ষ, মন্দ, শত্রু, ইত্যাদি
এক্ষনে তার বিশ্বাসে, আচরনে, বক্তব্যে সেটাই প্রতিফলিত হবে-এটাই স্বাভাবিক।

The 100: A Ranking of the Most Influential Persons in History িকন্তু কোন আবেগ বা বিশ্বাসীর নির্নয় নয়।
সেখানে আলি দস্তির মূল্যায়ন যে ব্যক্তিক সীমিত পর্যবেক্ষন, এবং দলীয়, গোত্রীয় বা পছন্দ অপছন্দের সীমাবদ্ধতা দোষে দুষ্ট তা সহজেই অনুমেয় বলেই বোধ হচ্ছে- রিভিউর হাইলাইটেড বিষয়ের উপর ভিত্তি করে।

হাজারো আঘাতে টুটে না সত্য
তুমিতো আলোকিত স্বত্তা নিত্য
লুকিয়ে সকলের সুগভির গভিরে
স্বাক্ষ্য হয়ে রও কিয়ামত অগস্ত্য।।


১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

এভো বলেছেন:

সাড়ে চুয়াত্তর সাহেব লিখেছেন --- উপরের দুইটি আয়াত থেকে দেখা যায় যে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর যুদ্ধের মূল কারণ ছিল;
১। মুসলমানদেরকে মক্কার বাড়ি ঘর থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং তাদের সম্পদ জবর দখল করা হয়েছিল
২। মুসলমানদের মসজিদুল হারামে যেতে বাঁধা দেয়া
৩। আল্লাহর পথে বাঁধা দান করা
৪। মুসলমানরা আক্রান্ত ও অত্যাচারিত হয়েছিল।


কিন্তু দেখুন ইসলামিক দলিলে কি লিখেছে



ঐ সময় যুদ্ধ দলে নারীরা অংশ নিত এবং পুরুষদের সাহায্য করতো। ফলে তারা যুদ্ধ দলেরই অংশ। যুদ্ধে হেরে গেলে এরা যুদ্ধাপরাধী হত এবং প্রয়োজনীয় শাস্তি পেত। যুদ্ধ দলের বাইরে কোন নারীকে দাসী বানানো হতো না।

এই তথ্য ও ঠিক নহে বনু কুরাইজ , বনু মত্তালিক সহ বহু অভিজানে মাহিলারা ঘরে ভিতরে ছিল যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে নি কিন্তু সমস্ত পুরুষদের হত্যা করে ঐ মহিলাদের গণিমতের মাল বানান হয় ।

এই ভদ্রলোকের প্রফাইল সম্ভবত দুইজন লিখে কারন একজন সাইন্স মনস্ক মানুষ কখোন এমন কাটমোল্লা মার্কা মিথ্যাচার করার কথা নহে ।

১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৭

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: যারা আগ্রহী তারা এই লিংক থেকে বইটা ডাউনলোড করে পড়তে পারেন।

১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো - আপনার দেয়া তফসিরে আমি আমার লেখাকে চ্যালেঞ্জ করার মত কিছু পাই নাই। বিস্তারিত বললে সুবিধা হত।

আমি ডক্টর জেকিল এন্ড মিস্টার হাইড এই বইটা অনেকবার পড়েছি তাই আমার মধ্যে সম্ভবত দ্বৈত সত্তার জন্ম হয়েছে। আমার এক সত্তা ধর্ম নিয়ে লেখে আর আরেক সত্তা বিজ্ঞান নিয়ে লেখে।

বনু কুরাইজ গোত্রের ইহুদিদের নারী, শিশু হত্যার ব্যাপারে একটা রেডি উত্তর পেলাম quora তে। আপাতত সেইটাই দেখেন। নীচে দিলাম। এই ব্যাখ্যায় সমস্যা পাওয়া গেলে লাগলে আরও ব্যাখ্যা দেবো।

উত্তর শুরুঃ মদিনার ইহুদীরা কি করেনি? আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে বার বার মেরে ফেলার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল, আর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাদেরকে বার বার ক্ষমা করে দিয়েছিলেন,তারা আল্লাহর নবীর সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে বার বার। কিন্তু খন্দকের যুদ্ধের সময় মুসলমানদের পরিস্থিতি ছিল খুবই ভয়াবহ আর ঠিক ঐ সময়ে ইহুদিদের বিশ্বাসঘাতকতা চরমে পৌছেছিল।মদিনার ভিতরে থেকে তারা আল্লাহর নবী (সাঃ) এর সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে কাফেরদের সাথে হাত মিলায় এবং তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করে। বনু কোরাইযার সাথে চুক্তি ছিল মদিনা আক্রান্ত হলে তারাও মুসলমানদের সাথে গিয়ে শক্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, কিন্তু তারা তার পরিবর্তে মদিনা আক্রমণকারিদের সাহায্য সহযোগিতা করে। প্রশ্নকারীকে জিজ্ঞেস করব আপনি কতটা উদারতা দেখাতেন সেই সময় বা আপনি ব্যক্তিগতভাবে কতটা উদার?

মদীনায় অবস্থিত তিনটি ইহুদী গোত্রের সর্বশেষ গোত্রটি ছিল বনু কুরায়যা। এদের সঙ্গে রাসূলের চুক্তি ছিল যে, তারা বহিঃশত্রুর আষমণ কালে সর্বদা রাসূলকে সাহায্য করবে। গোত্রনেতা কা‘ব বিন আসাদ কোরাযী নিজে উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তাদের বাসস্থান ছিল মুসলিম আবাসিক এলাকার পিছনে। মাসব্যাপী খন্দক যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তারা মুসলিম বাহিনীকে কোনরূপ সাহায্য করেনি।

ইতিমধ্যে মদিনা থেকে বিতাড়িত বনু নাযীর ইহুদী গোত্রের নেতা হুয়াই বিন আখত্বাব খায়বর থেকে অতি সঙ্গোপনে বনু কুরায়যার দুর্গে আগমন করে এবং তাদেরকে নানাভাবে মুসলিম বাহিনীর বিরুদ্ধে ফুসলাতে থাকে। সে তাদেরকে বুঝায় যে, কুরাইশের নেতৃত্বে সমস্ত আরবের দুর্ধর্ষ সেনাদল সাগরের জোয়ারের মত মদীনার উপকণ্ঠে সমবেত হয়েছে। তারা সবাই এই মর্মে আমার সাথে ওয়াদাবদ্ধ হয়েছে যে, ‘মুহাম্মাদ ও তাঁর সাথীদের উৎখাত না করা পর্যন্ত তারা ফিরে যাবে না’।

মদিনার ইহুদিদের নেতা কা‘ব বিন আসাদ দুর্গের দরজা বন্ধ করে দেন ও বারবার তাকে ফিরে যেতে বলেন এবং মুহাম্মাদের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। কিন্তু ধুরন্ধর হুয়াইয়ের অব্যাহত চাপ ও তোষামুদীতে অবশেষে তিনি কাবু হয়ে পড়েন। তখন একটি শর্তে তিনি রাযী হন যে, যদি কুরায়েশ ও গাত্বফানীরা ফিরে যায় এবং মুহাম্মাদকে কাবু করতে না পারে, তাহলে হুয়াই তাদের সঙ্গে তাদের দুর্গে থেকে যাবেন।

হুয়াই এ শর্ত মেনে নেয় এবং বনু কুরায়যা চুক্তিভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেয়। এখবর রাসূলের কর্ণগোচর হলে তিনি আউস ও খাযরাজ গোত্রের দু’নেতা সা‘দ বিন মু‘আয ও সা‘দ বিন ওবাদাহ এবং আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা ও খাউয়াত বিন জুবায়েরকে পাঠান সঠিক তথ্য অনুসন্ধানের জন্য।

ইতিমধ্যে মুসলিম বাহিনীর হাতে বনু কুরায়যার ২০টি উট বোঝাই রসদ সম্ভার আটক হয়। যা অবরোধকারী শত্রু বাহিনীর সাহায্যার্থে প্রেরিত হয়েছিল। এ সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এক নাযুক অবস্থার সম্মুখীন হন। কেননা পিছন দিকে বিশ্বাসঘাতক বনু কুরায়যার হামলা মুকাবিলা করার মত উপযুক্ত কোন ব্যবস্থাই মুসলমানদের হাতে ছিল না। সম্মুখভাগে বিশাল শত্রু বাহিনী রেখে পিছিয়ে আসাও সম্ভব ছিল না।

মুসনাদে আব্দুর রাযযাকে ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, খন্দকের দিন নবী করীম (সাঃ) ও মুমিনদের এই কঠিন সংকট বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ হতে নিম্নোক্ত কুরআনের আয়াতটি নাযিল হয়।

‘তোমরা কি ভেবেছ যে জান্নাতে প্রবেশ করবে, অথচ তোমাদের উপরে এখনো তেমন অবস্থা আসেনি, যা তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপরে এসেছিল। তাদের স্পর্শ করেছিল বিপদ ও কষ্ট সমূহ এবং তারা ভীত-শিহরিত হয়েছিল। এমনকি তাদের রাসূল ও তাঁর সাথী ঈমানদারগণ বলতে বাধ্য হয়েছিল যে, আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে? শুনে নাও! আল্লাহর সাহায্য অতীব নিকটবর্তী’ (বাক্বারাহ ২/২১৪)।

এরপর আল্লাহর পক্ষ হতে সাহায্য আসে উত্তপ্ত ঘুর্ণিবায়ু নাযিলের ফলে শত্রুপক্ষ শূন্য হাতে জীবন নিয়ে খন্দকের ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং যিলকদ মাসের সাত দিন বাকী থাকতে বুধবার পূর্বাহ্নে রাসূল (সাঃ) মদীনায় ফিরে আসেন।

ফিরে এসে উম্মে সালামার ঘরে যোহরের সময় যখন আল্লাহর রাসূল গোসল করছিলেন, এমন সময় জিব্রীল (আঃ) এসে বললেন, আপনি অস্ত্র নামিয়ে ফেলেছেন, অথচ ফেরেশতারা এখনো অস্ত্র নামায়নি। দ্রুত বনু কুরায়যার দিকে অগ্রসর হউন। এখানে হজরত জিব্রাইল (আঃ) সরাসরি আল্লাহর পক্ষ থেকে বনু কুরায়যার বিরুদ্ধে যুদ্ধের নির্দেশ নিয়ে আসেন।

তখন রাসূল (সাঃ) ঘোষণা প্রচার করে দিলেন যে, ‘যারা আমার আদেশ শুনতে ও মানতে প্রস্ত্তত আছে, তারা যেন বনু কুরায়যায় পৌঁছনোর আগে আছর না পড়ে’। অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতূমের উপরে মদীনার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে ৩০০০ সৈন্য নিয়ে তিনি বনু কুরায়যা অভিমুখে রওয়ানা হলেন। অবশ্য ছাহাবীদের কেউ রাস্তাতেই আছর পড়ে নেন। কেউ পৌঁছে গিয়ে আছর পড়েন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কাউকে কিছু বলেননি। কেননা এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল সকলের দ্রুত বের হওয়া। অতঃপর যথারীতি বনু কুরায়যার দুর্গ অবরোধ করা হয়, যা ২৫ দিন স্থায়ী হয়।

অবশেষে তারা আত্মসমর্পণ করে এবং তাদের সাবালক ও সক্ষম পুরুষদের বন্দী করা হয় যাদের সংখ্যা ৬০০ থেকে ৭০০ এর মধ্যে ছিল। তাদের অপরাধের জন্য কি ব্যবস্থা নেয়া হবে বনু কুরাইযাকে জিজ্ঞেস করলে তারা তাদের পুর্ব মিত্র আওস নেতা সা‘দ ইবনে মু‘আযের নাম বলে, সাদ যা বলবেন তাই মেনে নিবে। তিনি তাদের বিশ্বাসঘাতকতার প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ সবাইকে হত্যা করার নির্দেশ দেন,এই নির্দেশ তিনি ইহুদিদের ধর্মীয় গ্রন্থ অনুযায়ী দেন অর্থাৎ ইহুদিদের ধর্মীয় গ্রন্থ অনুযায়ী বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি হল মৃত্যু সেমতেই হুয়াই বিন আখত্বাব সহ সবাইকে হত্যা করা হয়।

ইহুদিদের ধধর্মগ্রন্থ তাওরাতের বিধান ছিল কোন দলের সাথে বিরােধ দেখা দিলে প্রথমে তাদেরকে সন্ধির জন্য আহবান কর । সে আহবানে সাড়া দিলে তাদের সেরূপে গ্রহণ কর । আর তারা যুদ্ধ করলে তাদের সাথে যুদ্ধ কর । যুদ্ধে তারা পরাজিত হলে তাদের পুরুষদেরকে হত্যা কর এবং স্ত্রী ও বালক বালিকাদেরকে দাস - দাসীরূপে গ্রহণ কর আর তাদের ধন - সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও হস্তগত কর।

যদি তারা মীমাংসার দায়িত্ব রাসূলকে (সাঃ) কে দিত, তাহলে হয়ত পূর্বেকার দুই গোত্রের মত তিনি তাদেরও মদিনা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিতেন।

১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৮

সাসুম বলেছেন: নবী মুহাম্মদ কে এক একজন একেক ভাবে দেখে।

ধার্মিক দের কাছে তিনি যা করেন তাই সত্যি,তাই আইন, তাই দলিল, তাই সুন্দর, তাই খোদার হুকুম। হোক সেটা শিশুকে বিয়ে করা, কিংবা কোন নারীকে তার স্বামী থেকে তুলে এনে ৪০ দিন ইদ্দত পার হবার আগেই বিয়ে করা ( অন্য দিকে তার স্বামীকে তখন জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে কাবাব বানানো হচ্ছিল), কিংবা সেক্স স্লেভ এর প্রথা চালু রাখা,কিংবা যুদ্ধ বন্দী নারীদের গণিমতের মাল হিসেবে ইউজ করা।

ইসলাম বিরোধী দের কাছে- উনি আমাদের একজন রুলার। নট লিডার বাট শক্তিশালী কর্তা। তলোয়ারের জোরে জিনি কায়েম করতে চাইতেন তার আইন। তাদের কাছে নবী মোহাম্মদ একজন রক্তলোভী নারী লোভী ধর্ম প্রচারক। যাদের একদম হুবুহু ফলো করে আধুনিক মোল্লা ওমর বা লাদেন রা কিংবা অধুনা তালেবান আইসিস আল শাবাব জামায়াত রা। তাদের কাছে মুহাম্মদ আর মতবাদ সভ্যতার জন্য হুমকি।

নিরপেক্ষ মানুষ দের কাছে- উনি বাকি হোমো সেপিয়েন্স দের মতই মানুষ। সময়ের তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকা। আশে পাশে পেয়েছিলেন কিছু জ্ঞানী উপদেষ্টা যার কারনে অনুর্বর জংলি বেদুইন ভুমি থেকে উঠে এসে তার প্রচারিত ধর্ম ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন দুনিয়ার বিশাল অংশে। তবে তার সকল কাজ যেমন হালাল নয় তেমনি সকল কাজ ও হারাম নয়।

দোষ গুণে পরিপূর্ণ আরেক জন হিউমান মাত্র। তাকে পেট্রোনাইজ করা কিংবা হিংসা করার চেয়ে সত্য ও সুন্দরের পথে থাকা বেশি জরুরি।

তার নিজের ইচ্ছামত ধর্ম প্রচার, নিজের খুশিমত আয়াত প্রচার, নারী লোভ, রক্তের হোলিখেলা কিংবা তলোয়ারের মাধ্যমে ধর্ম প্রচার যেমন প্রশ্নবিদ্ধ তেমনি বেদুইন একটা জনপদ থেকে উঠে এসে দুনিয়ার বিশাল অংশ কে তার প্রচারিত ধর্মের পদনত করা একটা বিশাল বিষয়।


কে কোনভাবে দেখবেন- সেটা আপনার নিজের ব্যাপার।


১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @এভোঃ আমি মনে করি, আমাদের কারো ব্যক্তিগত আক্রমনে যাওয়া উচিত নয়। ব্লগিং বৈচিত্র্যময় চিন্তা আসতে পারে।

যাইহোক, আপনি যে তথ্যটি দিলেন সেটা কি হিজরতের আগে নাকি হিজরতের পরের ঘটনা?

১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেকে আমাদের রসূল (সা) সম্পর্কে ঢালাওভাবে অভিযোগ করছেন। নির্দিষ্ট ঘটনা উল্লেখ করলে রসূলের (সা) পক্ষে বক্তব্য দিতে পারবো ইনশাল্লাহ। রসূল (সা) ইসলামের বিধানের বাইরে কিছু করেননি।

১৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

এভো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর কমেন্ট ১৫ --- @ এভো - আপনার দেয়া তফসিরে আমি আমার লেখাকে চ্যালেঞ্জ করার মত কিছু পাই নাই। বিস্তারিত বললে সুবিধা হত।
আপনি যে লিখলেন মুসলামনদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে , সেটার কারন কি , সেই সম্পর্কে ইসলামিক দলিলের স্কিন সট। যেখানে লেখা হয়েছে যত দিন নিরপেক্ষভাবে ধর্ম প্রচার করা হয়েছে তত দিন মুসলমানদের উপর কোন অত্যাচার করা হয় নি , যখন মুশরিকদের দেব দেবিকে আক্রমণ করা শুরু হোল এবং মুশরিকদের ধর্মকে অবমাননা করা শুরু হোল তখন তারা মুসলমানদের উপর চড়াও হয় । এমন ও কথা হাদিসে আছে মুশরিকরা যখন কাবা শরিফে তীর্থ করতে যেত তখন কাবা শরিফের সামনে থেকে বলা হোল , তোমাদের মূর্তীর কোন ক্ষমতা নেই , সব ভুয়া , এদের পুজা করা কুফরি ইত্যাদি , যখন এসব কর্ম মুসলমানরা শুরু করে তখন মুশরিকরা মসলমানদের উপর চড়াও হয় ।

আপনি বনু কুরাইজা নিয়ে কাহিণীটা কেন পেশ কোরলেন --- আপনি দাবি করেছেন শুধু মাত্র যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করা মহিলাদের গণিমতের মাল বানান হোয়েছে , সেটা ইসলামিক দলিল দিয়ে মিথ্যা প্রমাণ করা যায় , বনু কুরাইজা কাহিণী তো কোন যুদ্ধের কাহিণী নহে , অবরোধের কাহিণী -- সেখানে কোন যুদ্ধ হয় নি পুরুষদের হত্যা করে মেয়েদের গণিমতের মাল বানানো হয়েছিল , বনুমুত্তালিকদের মেয়েদের একই ভাবে গণিমতের মাল বানান হয়েছিল ।
আপনি কি কারনে ফ্যাব্রিকেটেড কাহিণী নিয়ে হাজির হয়েছেন ?
বনু কায়নুকার ঘটনা
নবী মুহাম্মদ বনু কুরাইজা গোত্রে আক্রমণের আগে বেশ কিছুদিন ধরেই অজুহাত খুঁজছিলেন, একটি বড় ধরণের গণহত্যা চালাবার, যাতে তিনি ঐ অঞ্চলে ত্রাস সৃষ্টি করতে পারেন এবং সমস্ত আরব উপদ্বীপে যেন তার নাম আতঙ্ক হয়ে ছড়িয়ে যায়। তার অংশ হিসেবেই তিনি বেশ কয়েকটি ইহুদি গোত্রকে আক্রমণ করেন, উচ্ছেদ এবং বিতাড়িত করেন। এই ইহুদি গোত্রগুলোর একটি হচ্ছে বনু কায়নুকা গোত্র। এই বিষয়ে আলোচনার আগে আবদুল্লাহ ইবনে উবাই সম্পর্কে বলে নেয়া জরুরি। উবাই ছিলেন বনু খাজরাজ গোত্রের প্রধান এবং মদিনার একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, যিনি গোত্রে গোত্রে শত্রুতা মেটানোর জন্য তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কিন্তু নবী মুহাম্মদের মদিনায় আগমনে আবারো গোত্রে গোত্রে শত্রুতা বৃদ্ধি পায়। ইসলামের ইতিহাসেতাকে একজন মুনাফিক (ভণ্ড, প্রতারক) এবং মুনাফিকদের সর্দার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

ইহুদিদের বনু কাইনুকা গোত্র ছিল পেশায় কর্মকার, স্বর্ণকার ও তৈজসপত্র নির্মাতা। বদর যুদ্ধের কিছুদিন পর তাদের বাজারে এক মুসলিম মেয়ে এক ইহুদি স্বর্ণের দোকানে একটি কাজে গিয়েছিল। ঐ মুসলিম মহিলা যখন ঐ দোকানে গিয়েছিলেন তখন ঐ ইহুদি কর্মচারী মুসলিম মহিলাটির মুখ খুলতে বলে। কিন্তু মহিলাটি তার মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় মহিলাটি যখন স্বর্ণের দোকানের একটি চেয়ারে বসে, তখন ইহুদি কর্মচারীটি ওই মহিলার পোশাকে পেরেক মেরে চেয়ারের সাথে আটকে দেয়, ফলে উঠতে গিয়ে ঐ মহিলার জামা ছিঁড়ে সারা শরীর অনাবৃত হয়ে যায়। মুসলিম মহিলার আর্তনাদ শুনে এক মুসলিম পথচারী এটা দেখে খেপে গিয়ে ঐ ইহুদি কর্মচারীকে হত্যা করেন, এরপর ইহুদি কর্মচারীর পক্ষের কয়েকজন ইহুদি মিলে ঐ মুসলমানকে হত্যা করে ফেলে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নবী মুহাম্মদ বনু কায়নুকা গোত্র আক্রমণ করেন। তার ইচ্ছে ছিল, এই অজুহাতে সমস্ত বনু কায়নুকা গোত্রকেই নিশ্চিহ্ন করে ফেলবেন। কিন্তু ঐ অপরাধটি যারা করেছে, তারা ছাড়া অন্যদের ওপর এই অপরাধের দায় চাপানো কতটা মানবিক ও যৌক্তিক, নাকি নৃশংসা এক যুদ্ধনেতার গণহত্যা চালাবার অজুহাত, তা পাঠকই সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু একজন মানবিক মানুষ মাত্রই বুঝবেন, কোন অপরাধ ঘটে থাকলে সেই অপরাধীদের চিহ্নিত করা, তাদের যথাযোগ্য শাস্তি দেয়া যেতে পারে। কিন্তু কিছু মানুষের অপরাধে গোটা গোত্রের ওপর নিধনযজ্ঞ, নারী শিশুদের গনিমতের মাল বানানো, সম্পত্তি সব দখল করা, এগুলো বড় ধরনের অন্যায় এবং অন্যায্য কাজ।

৬২৪ খ্রিস্টাব্দে নবী মুহাম্মদ ইহুদি গোত্র বানী কাইনুকার উপরে ১৫ দিন ব্যাপী একটি অবরোধ চালিয়েছিলেন। উপায় না দেখে বনু কাইনুকা গোত্রটি নিঃশর্তভাবে মুহাম্মদের বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। মুহাম্মদ সেই গোত্রের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের শিরশ্ছেদ করে তাদের নারী ও শিশুদের দাস বানাতে চেয়েছিলেন, যেন সমস্ত আরব উপদ্বীপে ত্রাস সৃষ্টি করা যায়। বনু কায়নূকার ঘটনার সময় মদিনার শক্তিশালী স্থানীয় নেতা ছিলেন খাজরাজ বংশের প্রধান আবদুল্লাহ বিন উবাই। তিনি ছিলেন অত্যন্ত উচ্চ মর্যাদার অধিকারী এবং মুহাম্মদের হিজরতের সময় মদিনার নেতা। মুহম্মদের উত্থানের সাথে তার প্রভাব ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে। বনু কায়নুকার অবরোধের সময় আবদুল্লাহ বিন উবাই মুহাম্মদের গণহত্যার ইচ্ছেটি বুঝতে পারেন, এবং রক্তপিপাসু এই নবীকে জামার কলার ধরে এই গণহত্যা থেকে নিবৃত করেন। মুহাম্মদ রেগেমেগে প্রায় কালো হয়ে যান, কিন্তু আবদুল্লাহ বিন উবাই প্রায় জোর করেই মুহাম্মদকে বাধ্য করেন, যেন বনু কায়নুকাকে মুহাম্মদ নৃশংসভাবে জবাই করতে না পারে। এর থেকে বোঝা যায়, নবী মুহাম্মদের ইচ্ছে ছিল, বনু কায়নুকার সমস্ত পুরুষকে হত্যা করা এবং মেয়ে ও শিশুদের গনিমতের মাল বানানো। যার প্রমাণ পাওয়া যায় ইবনে হিশামের সীরাত গ্রন্থ থেকেই
মুসলিম এপোলোজিস্টরাও সেই শুরু থেকেই, বনু কুরাইজা গণহত্যাকে জায়েজ করতে ঠিক একই কৌশল অবলম্বন করে গেছে। বনু কুরাইজা গোত্রকে গাদ্দার, বিশ্বাসঘাতক, জঙ্গি, রাষ্ট্রবিরোধী ইত্যাদি নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করে গণহত্যাকে জাস্টিফাই করতে চেষ্টা করেছে। অথচ, প্যালেস্টাইনের নাগরিকদেরও কিন্তু ইসরাইল আর্মী ঠিক একই অভিযোগে অভিযুক্ত করে তাদের ভূমি দখল করে, তাদের হত্যা করে, সেই সময়ে মুসলিমরা তার ঠিকই প্রতিবাদ করে।

সবচাইতে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, বনু কুরাইজা আসলে কী এমন বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল যে, তাদের সমূলে উচ্ছেদ করতে হলো, নারী এবং শিশুদের ক্রিতদাস বানাতে হলো, সেই বিশ্বাসঘাতকতাটি কী, এর দ্বারা মুসলিমরা কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কতজন মুসলিম তাদের জঙ্গি হামলায় নিহত বা আহত হয়েছে, এর ঠিক কোন সদুত্তর তারা দিতে পারে না।

উল্টোদিকে দেখা যায়, মুহাম্মদের বিরোধী গ্রুপের নেতা আবু সুফিয়ান বনু কুরাইজা গোত্রে মুহাম্মদের আক্রমণের কিছুদিন আগেই বনু কুরাইজার কাছে সাহায্যের কামনা করেছিল, এবং বনু কুরাইজা আবু সুফিয়ানের বাহিনীকে সাহায্য করতে চায় নি। বনু কুরাইজা যদি মুহাম্মদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতাই করে থাকবে, তাহলে তাদের তো উচিৎ ছিল, আবু সুফিয়ানকে সাহায্য করা। নিচের রেফারেন্সটি ইবনে ইসহাকের গ্রন্থ থেকে নেয়া
চুক্তি ভঙ্গ কী গণহত্যাকে জায়েজ করে?
বাঙলায় একটি প্রবাদ আছে যে, দুষ্টের ছলের অভাব হয় না। ইসলামিক এপোলোজিস্টরা বনু কুরাইজা গোত্রের ওপর যেই গণহত্যা চালায়, তাকে জায়েজ করতে বনু কুরাইজা গোত্রের চুক্তি ভঙ্গের কথা বারবার ব্যবহার করেন। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই, বনু কুরাইজা চুক্তি ভঙ্গ করেছিল, কিন্তু সেটিও কী একটি গোটা গোত্রের সকল সাবালক পুরুষকে হত্যা, নারী ও শিশুদের যৌনদাসী এবং ক্রীতদাস বানানোকে জায়েজ করতে পারে?

কাশ্মীরে যখন ভারতীয় সেনাবাহিনী হত্যাকাণ্ড চালায়, ভারতীয় সংবিধান লঙ্ঘন কিংবা চুক্তি ভঙ্গের নাম দিয়ে, সেটিও তো তাহলে জায়েজ হয়ে যায়। কিংবা ধরুন, ততকালীন পূর্ব পাকিস্তান বা আধুনিক বাঙলাদেশে পাক আর্মি যখন গণহত্যা চালায়, দেশের স্বার্বোভৌমত্ব রক্ষার নাম দিয়ে, কিংবা পাকিস্তানের সাথে আমাদের চুক্তি ভঙ্গের নাম দিয়ে, তাহলে তো সেটিও জায়েজ হয়ে যায়। সত্য হচ্ছে, এগুলো খুবই সস্তা এবং খোড়া অজুহাত, যা একইসাথে অমানবিকও বটে। এই ধরণের অজুহাত কোন অবস্থাতেই এই ধরণের কাজকে জায়েজ করতে পারে না।

নারী ও শিশুদের হাহাকার
বনু কুরাইজা গোত্রের সাথে সাথে নবী মুহাম্মদের কী করার পরিকল্পনা, সেটি নবী মুহাম্মদেরই এক অনুসারী আবূ লূবাবা ফাঁস করে দিয়েছিলেন। বনু কুরাইজা গোত্রকে ২৫ দিন অবরোধ করে রাখার পরে আবূ লূবাবাকে তিনি পাঠিয়েছিলেন বনু কুরাইজার দূর্গে। সেখানে ঢোকার পরেই বুকফাটা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তারা আবূ লূবাবার কাছে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানাতে থাকে। নবী মুহাম্মদের অনুসারী হওয়ার পরেও নারী শিশুদের সেই কান্না দেখে মন গলে যায় আবূ লূবাবার। তিনি ইঙ্গিতে তাদের জানিয়ে দেন, আত্মসমর্পন করলে তাদের হত্যা করা হবে। নবী মুহাম্মদ সেই পরিকল্পনা করেই এসেছেন। [16] [17]

যখন আবূ লুবাবা সেখানে উপস্থিত হল তখন পুরুষগণ তাকে দেখে দৌঁড়ে তার নিকট এল এবং শিশু ও মহিলাগণ করুন কণ্ঠে ক্রন্দন শুরু করল। এ অবস্থা প্রত্যক্ষ করে আবূ লুবাবার অন্তরে ভাবাবেগের সৃষ্টি হল। ইহুদীগণ বলল, ‘আবূ লুবাবা! আপনি কি যুক্তিযুক্ত মনে করেছেন যে, বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আমরা মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নিকট অস্ত্রশস্ত্র সমর্পণ করি?’
বলল, ‘হ্যাঁ’, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে হাত দ্বারা কণ্ঠনালির দিকে ইঙ্গিত করল, যার অর্থ ছিল হত্যা।






২০| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৫

সাসুম বলেছেন: এভো- আপনার মন্তব্য টার ব্যাপারে কি বলব সেটাই চিন্তা করছি।
বনু কুরাইজার জেনোসাইড কে ইস্লামিক এপোলজিস্ট রা যখন খন্ডন করতে আসে তখন তাদের জন্য মায়া হয়। আবার এটাও ভাবি- আমাদের ৭১ এ পাকি আর্মির জেনোসাইড কেও আমাদের ই অনেক আলেম ও মুস্লিম লিডার রা জায়েজ করে ধর্ম ও দেশের অখন্ডতা রক্ষায়।

ঠিক একই ভাবে, আমাদের অনেক সচেতন লোক ও বর্তমানে পাহাড়ে চলা ৩ দশক ধরে সিস্টেমিক এথনিক ক্লিঞ্জিং কে জায়েজ করে।

একই ভাবে, ভারতে চলা কাশ্মির বিরোধী অপারেশান কে জায়েজ করে জ্ঞানী গুনী করা।

ফিলিস্তিনে চলা ইস্রালি জেনোসাইড কে জায়েজ করে দুনিয়ার সবাই।

ঠিক একই ভাবে পিরামিড তৈরির সময় লক্ষ লক্ষ শ্রমিক মারা যাওয়াকে ও জায়েজ করেছে ফারাও রা।

তাজমহল বানানো শেষে হাজার হাজার শ্রমিক এর হাত কেটে নেয়া ও জায়েজ করে অনেকে।

ইভেন আমাদের দেশে এখন ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল করে রাখা মাফিয়াতন্ত্র কেও জায়েজ করে অনেকে।


এভাবে, দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার আর জেনোসাইড কে জায়েজ করার মানুষের অভাব হয় না কখনো।

এটা হিউমান ন্যাচার।

২১| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর রিভিউ। ঝামেলা বিহীন।

২২| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো - আপনার পয়েন্টগুলির উত্তর আমি ধাপে ধাপে দিবো ইনশাল্লাহ। এক সাথে সবগুলি আলাপ করা কঠিন।

মূর্তি পুজা করা খারাপ এটা বলার জন্য কাউকে কি হত্যা ও নির্যাতন করা যায়? আপনি হাস্যকর ও অগ্রহণযোগ্য কথা বলছেন।

১৯৭১ সালে রাজাকাররা যখন রাতারাতি পাকিস্তান আর্মির পক্ষ নেয় তখন আমরা বাঙালিরা তাদেরকে বেঈমান বলেছি। একইভাবে বনু কুরাইজা গোত্র চুক্তিভঙ্গ করে রাজাকার, আলবদর আর আল শামস হয়ে যায়। রাজাকারদের কি করা উচিত বলে আপনি মনে করেন। তারপরও রসূল (সা) ওদের দাবি অনুযায়ী ওদের বিচার একজন ইহুদির দ্বারা করান তাদের দাবি অনুযায়ী এবং সেই অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হয়।

বনু কুরাইজা সম্পর্কে উইকিপিডিয়াতে কি আছে দেখেন। যদিও আমি কোরআন ও হাদিসেকেই সব সময় প্রাধান্য দেবো। কিন্তু যেহেতু আপনি এগুলি মানতে চাবেন না, তাই উইকিপিডিয়া থেকে কিছু তথ্য দিলাম। উইকিপিডিয়া মুসলমানদের দ্বারা রচিত না তারপরও অনেকটা নিরপেক্ষ বলা যেতে পারে। মূল ব্যাপারগুলো অন্তত মিথ্যা বলবে না।

খন্দকের যুদ্ধের সময় কুরাইশ ও তাদের মিত্ররা মদিনা শহর অবরোধ করে। মদিনার চারপাশে পরিখা খুড়ে প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। বনু কুরাইজা এসময় কুরাইশদের সাথে যোগ দিয়ে চুক্তি লঙ্ঘন করেতারা ভিন্ন দিক থেকে মুসলিমদের উপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল। যুদ্ধ সমাপ্ত হওয়ার পর মুসলিমরা তাদের গোত্রের উপর অবরোধ করে। শেষপর্যন্ত সাদ ইবনে মুয়াজকে বিরোধ মীমাংসার জন্য উভয় পক্ষ থেকে বিচারক নিযুক্ত করা হয়। সাদ গোত্রের সকল প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সদস্যকে হত্যা এবং নারী ও শিশুদেরকে দাস হিসেবে বন্দী করার নির্দেশ দেন।

বেইমানদেরকে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয় তাদের নির্বাচিত বিচারকের মাধ্যমে। এটা ঐতিহাসিক সত্য কথা। যার যা শাস্তি প্রাপ্য ছিল দিয়ে দেয়া হয়। আশা করি বুঝেছেন। পরের প্রশ্নগুলির উত্তরও পাবেন ইনশাল্লাহ।

২৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

সাসুম বলেছেন: বনু কুরাইজা নিয়া আমার বক্তব্যঃ

আল্লাহর দুনিয়ার সবচেয়ে জ্ঞানী শাসক নিজে উপস্থিত থাকার পরেও বিচারের ভার দিলেন - সাদ এর উপর। ওকে।

সাদ বিচার করল- তোমরা সবাইকে কাইটা ফালাও ( মানে জাস্ট জেনোসাইড, নিরস্ত্র অসহায় পুরুষ দের জবাই করা) ৷
শিশুদের দাস হিসেবে বিক্রি করে দাও।

আর নারীদের- মাশাল্লাহ! সেক্স স্লেভ হিসেবে গনিমৎ এর মাল করে দাও। কারন তারা তো নারী! তাদের কাজ ই হলো শুধু উপুর হয়ে শুয়ে শুয়ে মুমিন মোজাহিদ, আনসার দের সেবা করা।

দুনিয়ার বেস্ট জ্ঞানী ব্যাক্তি এবং জ্ঞানী ন্যায় বিচারক এই বিচারে কোন সমস্যা দেখতে পাননাই এবং এই সুন্দর বিচার কে জায়েজ করেছেন। বাহ! খুব সুন্দর তো!

বিঃদ্রঃ সাদ এর বিচার ( মানে জেনোসাইড আর গনিমতের মাল) কোন ভাবেই নবী মোহাম্মদ এর দলের বিপক্ষে যায়নাই। বরং তারা যা চেয়েছিল তাই পেয়েছে। বেশ বেশ।

যদিও কিছু নাস্তেক বলে থাকে- সাদ কে প্রেসার করা হয়েছিল এবং ভয় দেখানো হয়েছিল যাতে করে বনু কুরাইজাকে কচুকাটা করার রায় দেয়।

যাই হোক- একজন ন্যায় বিচারক নিজে উপস্থিত থেকে একটা অন্যায় বিচার মেনে নিলেন এবং সে অনুযায়ী একটা জেনোসাইড করে ফেল্লেন-


দুনিয়াতে এর চেয়ে বড় আয়্রনি কি হতে পারে আর?


এবং তার চেয়ে বড় কথা- এই গনহত্যা কে জাস্টিফাই করার মানুষ পাওয়া যায় আল্লার দুনিয়ায়!!! ও খোদা!! একি লীলাখেলা তোমার!!!

২৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৩

এভো বলেছেন: সাড়ে চু্য়াত্তর কমেন্ট ২২

প্রথমে বলে নি বনু কুরাইজার নাম কেন নেওয়া হয়েছে , আপনার দাবির পরিপেক্ষিতে -- ঐ সময় যুদ্ধ দলে নারীরা অংশ নিত এবং পুরুষদের সাহায্য করতো। ফলে তারা যুদ্ধ দলেরই অংশ। যুদ্ধে হেরে গেলে এরা যুদ্ধাপরাধী হত এবং প্রয়োজনীয় শাস্তি পেত। যুদ্ধ দলের বাইরে কোন নারীকে দাসী বানানো হতো না।
এর উত্তরে বলা হয়েছে বনু কুরাইজা , বনু মুত্তালিক , বনু কাইনুকা গোত্রের ঘটনা কান্ড । বনু কুরাইজার আগে একই কায়দায় বনু কুনাইকা গোত্রকে ১৫ দিন অবরোধ রেখে সকল পুরুষকে হত্যা করে নারীদের গণিমতের মাল করা হয় ।

১৯৭১ সালে রাজাকাররা যখন রাতারাতি পাকিস্তান আর্মির পক্ষ নেয় তখন আমরা বাঙালিরা তাদেরকে বেঈমান বলেছি।
ঠিক বলেছেন

একইভাবে বনু কুরাইজা গোত্র চুক্তিভঙ্গ করে রাজাকার, আলবদর আর আল শামস হয়ে যায়।
বনু কুরাইজা ইসলামিক দলিল অনুযায়ি কোন চুক্তি ভংগ করেনি , তারা কুরাইশদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় , পরিখা খননের সময় কোদাল , টুকরি সরবরাহ করে মুসলমানদের ।

রাজাকারদের কি করা উচিত বলে আপনি মনে করেন।

অবশ্যই , তবে ঐ বিচার কি বনু কুরাইজা স্টাইলে হওয়া উচিৎ ছিল কি ? জামাতের যত পুরুষ সদস্য বংশধর আছে সবাইকে হত্যা করে , তাদের সব মেয়ে দের গণিমতের মাল বানালে কি ঠিক বিচার হোত ?

তারপরও রসূল (সা) ওদের দাবি অনুযায়ী ওদের বিচার একজন ইহুদির দ্বারা করান তাদের দাবি অনুযায়ী এবং সেই অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হয়।

আজাইড়া কথা বলার কি কোন দরকার আছে , এটা যদি ইহুদিদের ধর্মিয় বিধান হয় তাহোলে , এত দিনে শক্তিশালী ইজরাইল আসে পাশের সব মুসলমান পুরুষদের মেরে ফেলার কথা । বনু কাইনুকা গোত্রকে ঠিক একই ভাবে হত্যা করা হয়েছিল । সেখানে তো কোন বিচারেরআয়োজন ছিল না ।
আপনার এই দাবি যে পুরা ভুয়া তার প্রমাণ -- যখন আবূ লুবাবা সেখানে উপস্থিত হল তখন পুরুষগণ তাকে দেখে দৌঁড়ে তার নিকট এল এবং শিশু ও মহিলাগণ করুন কণ্ঠে ক্রন্দন শুরু করল। এ অবস্থা প্রত্যক্ষ করে আবূ লুবাবার অন্তরে ভাবাবেগের সৃষ্টি হল। ইহুদীগণ বলল, ‘আবূ লুবাবা! আপনি কি যুক্তিযুক্ত মনে করেছেন যে, বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আমরা মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নিকট অস্ত্রশস্ত্র সমর্পণ করি?’
বলল, ‘হ্যাঁ’, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে হাত দ্বারা কণ্ঠনালির দিকে ইঙ্গিত করল, যার অর্থ ছিল হত্যা।

কি বুঝলেন উপরে বাক্য গুলো হোতে । তাদের সবা পুরুষকে হত্যা করা হবে সেটা আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল এবং এই সিদ্ধান্ত ঐ বিচারকের রায়ে আসে । অবরোধ চলা কালিন সময়ে আবু লুবাবা বনু কুরাইজাদের এলাকাতে কথা বলতে আসেন তখন সবাই ছুটে আসে তার কাছে । ইহুদীগণ বলল, ‘আবূ লুবাবা! আপনি কি যুক্তিযুক্ত মনে করেছেন যে, বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আমরা মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নিকট অস্ত্রশস্ত্র সমর্পণ করি?’
বলল, ‘হ্যাঁ’, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে হাত দ্বারা কণ্ঠনালির দিকে ইঙ্গিত করল, যার অর্থ ছিল হত্যা
। দেখলেন হত্যা করা হবে , সেটা আবু লুবাবা ঈংগিত করে ছিল ।

২৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বানু কুরাইজার ব্যাপারে উইকিপিডিয়াতে যা আছে তার একটা অংশ অনুবাদ করে দিলাম নীচে। মূল লেখা এই লিংক দেখুন ;

আক্রমনের কারণ এবং পটভূমিঃ
৬২৩ খৃস্টাব্দে মুসলিম বাহিনী বদরের যুদ্ধে মক্কার কুরাইশদের পরাজিত করে। ইহুদি গোত্র বানু কানুইকা এই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে। বানু কানুইকা গোত্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে মুসলমানদের সাথে বিভিন্ন ঝামেলা তৈরি করা শুরু করে। তারা মুসলমানদের ব্যাঙ্গ করত, বাজারে গেলে ক্ষতি করতো এবং মুসলমান মেয়েদের ভয় দেখাতো। হজরত মুহাম্মাদ (সা) তাদের এই উদ্দেশ্যমূলক কাজের জন্য সতর্ক করতেন, তাদের বিচক্ষণ ও সুবিবেচক হতে বলতেন এবং আবারও এই ধরণের কাজ যেন না করে তার জন্য সাবধান করতেন। Sealed Nectar বই অনুযায়ী বানু কানুইকা গোত্র হজরত মুহাম্মাদকে (সা) চ্যালেঞ্জ করেছিল এবং বলেছিল “ তোমরা যুদ্ধে অনভিজ্ঞ কোরাইশদের পরাজিত করে বিভ্রান্ত হইয়ো না। যদি তোমরা আমাদেরকে যুদ্ধে জড়াতে তাহলে বুঝতে আমরা প্রকৃত যোদ্ধা।“

তখন কোরআন অনুযায়ী হজরত মুহাম্মাদের (সা) উপর সুরা আল ইমরানের ১২ ও ১৩ নং আয়াত অবতীর্ণ হয়;
"যারা আমার নিদর্শনকে অবিশ্বাস করেছে তাদেরকে বলুন, শীঘ্রই তোমরা পরাজিত হবে এবং তোমাদেরকে জাহান্নামে জড়ো করা হবে। জাহান্নাম খুবই নিকৃষ্ট।" (৩:১২)

"নিশ্চয়ই দুটো দলের মোকাবিলার মধ্যে তোমাদের জন্য নিদর্শন ছিল। একটি দল আল্লাহর পথে যুদ্ধ করেছিল। আর অপর দল ছিল অবিশ্বাসী। এরা বিশ্বাসীদেরকে দ্বিগুন দেখছিল এবং এর ফলে কাফেররা ভীত হয়ে পড়েছিল। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছে করেন নিজের সাহায্যের মাধ্যমে শক্তি দান করেন। নিশ্চয়ই এতে অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্নদের জন্য অনেক শিক্ষা রয়েছে।" (৩:১৩)

বানু কানুইকা গোত্র এই আয়াতে রুষ্ট হয়। পক্ষান্তরে বলা হয়ে থাকে যে হজরত মুহাম্মাদ (সা) মুসলমানদের ধৈর্য ধরতে এবং সহ্য করতে বলেন।

ইবনে হিশামের বর্ণনা অনুযায়ী মুসলমান ও বানু কানুইকার ( খাজরাজ গোত্রের মিত্র) মধ্যে একটা সমস্যার উদ্ভব হয় যখন এক মুসলিম নারী কানুইকা গোত্রের স্বর্ণের দোকানে যায় এবং তাকে তার মুখের নেকাব খোলার জন্য জ্বালাতন করা হয়। সেই ইহুদি স্বর্ণকার সেই মহিলার কাপড় একটা জায়গায় এমনভাবে সংযুক্ত করে দেয় যে যার ফলে ঐ মহিলা গাত্রোত্থানের সময় নগ্ন হয়ে যায়। একজন মুসলিম পুরুষ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ঐ স্বর্ণকারকে হত্যা করে ফেলে। বদলা হিসাবে ইহুদীরা ঐ মুসলমানকে হত্যা করে। এই ঘটনা থেকে পালটাপালটি প্রতিশোধ মূলক হত্যা শুরু হয় এবং বানু কাইনুকা গোত্রের সাথে মুসলমানদের শত্রুতা বাড়তে থাকে।

মদিনার ইহুদীরা ক্রমান্বয়ে হজরত মুহাম্মদের (সা) সাথে শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্কে জড়িয়ে যায় কারণ তিনি (সা) নিজেকে রসূল দাবি করেছিলেন। যদিও কিছু ইহুদি মুসলমান হয়ে যায়। বানু কুরাইজার ৩০০ সসস্ত্র সৈন্য এবং ৪০০ অস্ত্রহীন সৈন্য ছিল।

বহিষ্কারঃ
প্রচলিত ইসলামী সূত্রগুলি এই ঘটনাগুলিকে মদিনার সংবিধানের লঙ্ঘন বলে মনে করে। হজরত মুহাম্মাদ (সা) নিজেও এটাকে casus belli ( যুদ্ধের উস্কানি যার কারণে যুদ্ধ করা যুক্তিযুক্ত হয়) মনে করতেন ।

২৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো -
বনি কুরাইজা চুক্তি ভঙ্গ করেছিল। সব ইসলামী বর্ণনাতেই এই রকম বলা আছে। আপনি এটার বিপরীত কিছু পেলে দেখান। বনি কুরাইজার ইচ্ছা অনুযায়ী তাদের বিচার করেছিল একজন ইহুদি। বিচার হয়েছিল তাদের তাওরাতের বিধান অনুযায়ী। উইকিপিডিয়াতে পর্যন্ত তাই বলা আছে। তাই এই ব্যাপারে মুসলমানদের কোন দোষ দেয়ার সুযোগ নাই। চুক্তিভঙ্গ না করলে ঐ ইহুদি কেন এবং কিসের বিচার করলো? রসূল (সা) বানু কুরাইজার বিচার করেন নাই। তাই তাকে কোন ভাবেই দোষ দেয়ার কোন সুযোগ নাই। ঐ বিচারককে ইহুদিরাই নিযুক্ত করেছিল।

বানু কানুইকা সম্পর্কে আপনি সম্পূর্ণ ভুল বলছেন। ১৫ দিন পর তাদের সবাইকে মদিনা ছাড়তে বাধ্য করা হয়। কাউকে হত্যা করা হয় নাই। আপনা সঠিক তথ্য না জেনে উল্টা পাল্টা বলছেন। উইকিপিডিয়াতে পর্যন্ত এই কথা বলা আছে। আর হাদিস ও তফিসিরে তো আছেই। নীচে উইকিপিডিয়ার কিছু অংশ তুলে দিলাম। এই লিংকটা দেখুন

মুসলিম ঐতিহাসিকদের মতে, ইবনে উবাই তখন বনু কায়নুকার সঙ্গে মৈত্রী সম্পর্কে আবদ্ধ থাকায় মুহাম্মাদের কাছে তাদের শাস্তি লঘু করার জন্য আবেদন করেন। মুহাম্মাদ উত্তরে বলেন, আমাকে যেতে দাও। ইবনে উবাই তাতে উত্তর দিলেন:
"কক্ষনো না [...] আমি ততক্ষণ আপনাকে যেতে দেবো না যতক্ষণ না আপনি আমার বন্ধুদের প্রতি অণুকম্পা প্রদর্শন করেন; গাড়িবহরে অস্ত্রসহ সজ্জিত ৩০০ জন সেনা এবং নীরস্ত্র ৪০০ জন লোক, -- এরা হাদাইক ও বুয়াসের ময়দানে আমাকে প্রতিটি বিপদ থেকে রক্ষা করেছিল। এদেরকে কি আপনি একদিনেই মেরে ফেলবেন, হে মুহাম্মাদ ? আমি তো এমন এক ব্যক্তি যে কিনা আমার জন্য ভাগ্যের পরিহাস নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভয় করি।"
এতে মুহাম্মাদ তার অণুরোধ গ্রহণ করলেন, এবং বনু কায়নুকাকে শহর ছেড়ে চলে যাবার জন্য তিন দিনের সময় দিলেন।


যে শাস্তি ইহুদিদের দেয়া হয়েছিল সেটাই আলাপ করেন। যেটা দেয়া হয় নাই সেটা নিয়ে অকারণে কথা লম্বা করিবেন না।

২৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই, আমি ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী নই কিন্তু ব্লগার সাসুম ভাই তাঁর ২০ নং মন্তব্যে যেহেতু বাংলাদেশের ১৯৭১ নিয়ে কিছু বলেছেন আমি কি ১৯৭১ নিয়ে এখানে মতামত দিতে পারি?

২৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ২৫ নং মন্তব্যে প্রথম লাইনে বানু কানুইকা হবে। ভুলে আমি বানু কুরাইজা লিখেছি।

২৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬

এভো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর কমেন্ট ২৫ ---- বনু কুরাইজার ঘটনা এটা নহে বনু কাইনুকার কাহিণী এটা ।
যে তথ্য দিলেন সেটা কি গণ হত্যা চালানোর পক্ষে কোন দলিল । তাদের কেহ যদি মুসলমান মহিলাদের সাথে ঈভ টিজিং করে থাকে তার জন্য কি গণ হত্যা করা যায় ।
ইহুদিদের বনু কাইনুকা গোত্র ছিল পেশায় কর্মকার, স্বর্ণকার ও তৈজসপত্র নির্মাতা। বদর যুদ্ধের কিছুদিন পর তাদের বাজারে এক মুসলিম মেয়ে এক ইহুদি স্বর্ণের দোকানে একটি কাজে গিয়েছিল। ঐ মুসলিম মহিলা যখন ঐ দোকানে গিয়েছিলেন তখন ঐ ইহুদি কর্মচারী মুসলিম মহিলাটির মুখ খুলতে বলে। কিন্তু মহিলাটি তার মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় মহিলাটি যখন স্বর্ণের দোকানের একটি চেয়ারে বসে, তখন ইহুদি কর্মচারীটি ওই মহিলার পোশাকে পেরেক মেরে চেয়ারের সাথে আটকে দেয়, ফলে উঠতে গিয়ে ঐ মহিলার জামা ছিঁড়ে সারা শরীর অনাবৃত হয়ে যায়। মুসলিম মহিলার আর্তনাদ শুনে এক মুসলিম পথচারী এটা দেখে খেপে গিয়ে ঐ ইহুদি কর্মচারীকে হত্যা করেন, এরপর ইহুদি কর্মচারীর পক্ষের কয়েকজন ইহুদি মিলে ঐ মুসলমানকে হত্যা করে ফেলে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নবী মুহাম্মদ বনু কায়নুকা গোত্র আক্রমণ করেন।কিন্তু ঐ অপরাধটি যারা করেছে, তারা ছাড়া অন্যদের ওপর এই অপরাধের দায় চাপানো কতটা মানবিক ও যৌক্তিক, নাকি নৃশংসা এক যুদ্ধনেতার গণহত্যা চালাবার অজুহাত, তা পাঠকই সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু একজন মানবিক মানুষ মাত্রই বুঝবেন, কোন অপরাধ ঘটে থাকলে সেই অপরাধীদের চিহ্নিত করা, তাদের যথাযোগ্য শাস্তি দেয়া যেতে পারে। কিন্তু কিছু মানুষের অপরাধে গোটা গোত্রের ওপর ১৯নিধনযজ্ঞ, নারী শিশুদের গনিমতের মাল বানানো, সম্পত্তি সব দখল করা, এগুলো বড় ধরনের অন্যায় এবং অন্যায্য কাজ।

৬২৪ খ্রিস্টাব্দে নবী মুহাম্মদ ইহুদি গোত্র বানী কাইনুকার উপরে ১৫ দিন ব্যাপী একটি অবরোধ চালিয়েছিলেন। উপায় না দেখে বনু কাইনুকা গোত্রটি নিঃশর্তভাবে মুহাম্মদের বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল ।
তারা কোন যুদ্ধ করেনি , মহিলাদের ঈভটিজ করেছিল এবং এই ঈভটিজিংকে কেন্দ্র করে প্রথমে একজন মুসলমান ইহুদীকে হত্যা করে এবং অন্য ইহুদীরা মুসলমানটিকে হত্যা করে .. এই অপরাধীদের শাস্তি না দিয়ে বনু কুরাইজা স্টাইলে গোটা গোস্টির সব পুরুষ হত্যা এবং নারীদের গণিমতের মাল বানাবার ব্যাখা কি ?
এবার প্রমাণীত বিশ্বাষ ঘাতকতা এবং প্রমাণীত গণ হত্যা চালানোর জন্য ১৯৭১ সালের জামাতিদের বিচার শুধু বড় অপরাধীদের না করে জামাতের যত পুরুষ আছে তাদের সবাইকে হত্যা করা উচিৎ ছিল কিনা এবং তাদের নারীদের ভাগ বাটয়ারা করে গণিমতের মাল বানানো উচিৎ ছিল কিন ?
১৯৭১ সালে ৯০ হাজার পাকি সৈন্য ধরা পড়ে তাদের থেকে মাত্র ৩০০ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অপরাধের অভিযোগ আনা হয় , সেটা না করে কি ৯০ হাজার পাকি সৈন্যকে আসামী করে হত্যা করা উচিৎ ছিল ?

এখনো বলছি ইসলাম ধর্মকে রক্ষা করতে চান তাহলে কোরান বহিরভূত হাদিস গুলো ত্যাগ করুন , নইলে ঐ হাদিস মিসকাত শরিফ গুলো দিয়েই ফেসে যাবেন ! ইসলামিক দলিল গুলোই উপরের অভিযোগ প্রমাণ করে ।

৩০| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

এভো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর কমেন্ট নং -- ২৬ ---- নীচের দলিলটি দেখুন যেখানে আবু সুফিয়ান কুরাইশ নেতা বলছেন , বনু কুরাইজারা বিশ্বাষ ঘাতকতা করেছে তাদের সাথে । তারা সহযোগিতার প্রস্তাব করেছিল কিন্তু বনু কুরাইজারা রাজি হয় নি । তাহোলে ইসলামিক দলিল বলছে -- তারা মুসলমানদের সাথে বিশ্বাষ ঘাতকতা করে নি ।


নীচের ম্যাপটা দেখুন , সেখানে বনু কুরাইজার এলাকাটা সবার পিছনে , সেখান থেকে কি করে তারা কুরাইশদের সহযোগিতা করবে ।

৩১| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো - আপনি বারবার ভুল তথ্য দিচ্ছেন। বানু কানুইকার কাউকে হত্যা করা হয় নাই। তাদেরকে মদিনা থেকে বিতারিত করা হয়েছিল। আপনি আমার ২৬ নং মন্তব্য দেখেন। তাদের কাউকে গনিমতের মাল বানানো হয় নাই। এই গোত্রকে অনেকবার সতর্ক করা হয়েছিল। শেষে তারা যখন মুসলিম নারীর সম্ভ্রম নষ্ট করে এবং এই ঘটনায় একজন মুসলিম শহিদ হন তখন তাদের এই কাজকে চূড়ান্তভাবে চুক্তিভঙ্গ হিসাবে গণ্য করা হয়। কারণ আপনি আর কতবার তাদের সুযোগ দিবেন। তারা ঔদ্ধত্যের সাথে যুদ্ধের উস্কানিমূলক কথা বলেছে। নারীর সম্ভ্রম লুট করেছে, তাদের কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। চুক্তিভঙ্গের সাথে এইসবগুলি বিষয় জড়িত। হঠাৎ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় নাই। তাদের অনেকবার সতর্ক করা হয়েছিল।

একজন নারীকে উলঙ্গ করে দেয়া আপনার কাছে স্রেফ ইভ টিজিং। খুব আশ্চর্য হলাম। এটা কত বড় একটা খারাপ কাজ এটা আপনি বুঝতে পারছেন না।

৩২| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩

সাসুম বলেছেন: একজন মুস্লিম নারীর পোশাক পেরেকে আটকে তার শ্লীলতাহানি করার চূড়ান্ত শাস্তি সেই গোস্টির পুরা খান্দান এর পুরুষ কে জবাই করে গনহত্যা এবং নারীকে গনিমৎ এর মাল হিসেবে মুমিন দের সেক্স স্লেভ হিসাবে বিলিয়ে দেয়া- এর চেয়ে ন্যায় বিচার মনে হয় আর কেউ করতে পারবেনা।
হাহহাহাহহাহহাহায়া


স্বয়ং, শয়তান ও হাহা করে হাসছে এই ন্যায় বিচার দেখে। কারন তার পেটেও এত ন্যায় বিচার এর চিন্তা আসেনাই।

আসলেই এক নারীর সম্ভ্রম হানির প্রতিশোধ এভাবেই যে করেছে তার ১৪ পুরুষ এর নারীদের গনিমৎ এর মাল বানিয়ে করতে হয়।

এটাই আসল ন্যায় বিচার। ধরনীর সবচেয়ে জ্ঞানী ও ন্যায় বিচারক এর এটাই ন্যায় বিচার।

তবে দুর্জনেরা বলে থাকেন- নিজের হাতে রক্ত লাগবে তাই নিজে বিচার না করে ক্যাংগারু কোর্টের বিচার সাদ কে দিয়ে করিয়েছেন আর নিজে দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই মর্মে জাস্টিফাই করেছে - আমার দোষ কই। আমি করছি নাকি??

ঠিক দুনিয়ার সকল ডিক্টেটর এর মত - আমার দোষ কি? আমি নিজে করছি নাকি? ঠিক আমাদের দেশের বর্তমান মাফিয়া স্টেট এর মত।

হেড অফ স্টেট করছেন নাকি? সব দোষ বাকিদের। উনারা দূরে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেন।

মারাত্মক ন্যায় বিচার। সোবহানাল্লাহ

৩৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৭

এভো বলেছেন: ৩১ নাম্বার কমেন্ট -- সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো - আপনি বারবার ভুল তথ্য দিচ্ছেন। বানু কানুইকার কাউকে হত্যা করা হয় নাই। তাদেরকে মদিনা থেকে বিতারিত করা হয়েছিল।

যদি আপনার কথাটাকে সত্য মেনে নি , ঈভটিজিং এবং সেটাকে কেন্দ্র করে একজন ইহুদী এবং একজন মুসলমান মৃর্তুবরন করে , এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন গোত্র বা সম্প্রদায়কে উচ্ছেদ করা কি ঠিক কিনা ? তবে আপনার কাছে অবশ্যই ঠিক ।

আমরা তো দেখছি রহিংগারা কি জিনিস । এই বৈশিষ্ঠের কারনে বার্মার সরকার তাদের উচ্ছেদ করেছে , তাহোলে সেটাও ঠিক ।
উইঘুরে চীনারা বিশেষ আচরনের কারনে মুসলমানদের উচ্ছেদ করছে সেটা ও ঠিক ।
ইসরাইলে ইহুদীরা ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করছে সেটাও ঠিক আচরন ।
আপনি যদি দাবি করেন তাদের গণ হত্যা করা হয় নি উচ্ছেদ করা হয়েছে --- তাহোলে ও লেটা চুকে যায় না ।

৩৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই লিংক দেখুন

উপরের লিঙ্কে মুসলিম এবং অমুসলিম উভয় ধরণের ঐতিহাসিকরা বলছেন যে বানু কুরাইজা চুক্তি ভঙ্গ করেছিল। উল্লেক্ষযোগ্য অংশ তুলে দিলাম;

According to Watt, the Banu Qurayza "seem to have tried to remain neutral" in the battle[44] but later changed their attitude when a Jew from Khaybar persuaded them that Muhammad was sure to be overwhelmed[42] and though they did not commit any act overtly hostile to Muhammad, according to Watt,[2] they entered into negotiations with the invading army.[44]

Ibn Ishaq writes that during the siege, the Qurayza readmitted Huyayy ibn Akhtab, the chief of the Banu Nadir whom Muhammad had exiled and who had instigated the alliance of his tribe with the besieging Quraysh and Ghatafan tribes.[33] According to Ibn Ishaq, Huyayy persuaded the Qurayza chief Ka'b ibn Asad to help the Meccans conquer Medina. Ka'b was, according to Al-Waqidi's account, initially reluctant to break the contract and argued that Muhammad never broke any contract with them or exposed them to any shame, but decided to support the Meccans after Huyayy had promised to join the Qurayza in Medina if the besieging army would return to Mecca without having killed Muhammad.[45] Ibn Kathir and al-Waqidi report that Huyayy tore into pieces the agreement between Ka'b and Muhammad.[2][46]

৩৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো- বানু কুরাইজা কোন অপরাধ না করলে ঐ ইহুদি বিচারক তাদের শাস্তির আদেশ কেন দিলেন?

৩৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: আমার মনে হয়ে যুক্তি-তর্কটা দারুন জমে উঠেছে
দু-পক্ষই বেশ ভারি তত্ত্ব ও তথ্য নিয়ে হাজির হচ্ছেন। আমি আমাদের মত কম জানা ও ঝামেলায় জড়াতে না চাওয়া ব্লগাররা বেশ উপভোগ করছি।
শুধু অনুরোধ থাকবে বিশেষ কাউকে বা কোন বিষয়ে গাই গালাজ ও অশ্লীল কথা বলবেন না। সবার মতামতকে শ্রদ্ধা করুন।
ব্লগ যে শিক্ষিত ও উচ্চ রুচিশীল মানুষের মিলনমেলা এটার প্রতিফলন দেখতা চাই।

৩৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ শেরজা তপন ভাই - আপনার মন্তব্য ভালো লেগেছে। কারণ আপনি একটা ভালো আলোচনার পরিবেশ দাবি করেছেন এই কারণে। আমিও দেখতে ইচ্ছুক যে, ব্লগ শিক্ষিত ও রুচিশীল মানুষের মিলন মেলা। ভালো থাকবেন।

৩৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৬

এভো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর কমেন্ট ৩৪ এবং ৩৫

আপনি ইউকিপিডিয়ার রেফারেন্স দেখাচ্ছেন কেন ? তারা যে বিশ্বাষ ঘাতকতা করেনি মুসলমানদের সাথে সেটা দলিল কুরাইশ নেতার কথা থেকে বোঝা যায় । আবু সুফিয়ান বলেছে বনু কুরাইজা তাদের সাথে নিশ্বাষ ভঙ্গ করেছে ।


৩০ নং কমেন্টে বনু কুরাইজার অবস্থান ম্যাপে দেখানো হয়েছে , এই অবস্থানই প্রমাণ করে, তাদের পক্ষে কোন ভাবেই কুরাইশদের সহযোগিতা করা সম্ভব নহে ।

@ এভো- বানু কুরাইজা কোন অপরাধ না করলে ঐ ইহুদি বিচারক তাদের শাস্তির আদেশ কেন দিলেন?

সে বিচারক ইহুদী ছিল এবং কিছু দিন আগে মুসলমান হয় । তাদের শাস্তি কেমন হতে পারে সেটার ধারনা আগেই দেওয়া হয়েছে --- যখন আবূ লুবাবা সেখানে উপস্থিত হল তখন পুরুষগণ তাকে দেখে দৌঁড়ে তার নিকট এল এবং শিশু ও মহিলাগণ করুন কণ্ঠে ক্রন্দন শুরু করল। এ অবস্থা প্রত্যক্ষ করে আবূ লুবাবার অন্তরে ভাবাবেগের সৃষ্টি হল। ইহুদীগণ বলল, ‘আবূ লুবাবা! আপনি কি যুক্তিযুক্ত মনে করেছেন যে, বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আমরা মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নিকট অস্ত্রশস্ত্র সমর্পণ করি?’
বলল, ‘হ্যাঁ’, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে হাত দ্বারা কণ্ঠনালির দিকে ইঙ্গিত করল, যার অর্থ ছিল হত্যা।



সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
১৯/ যুদ্ধাভিযান
পরিচ্ছেদঃ ২৯. সালিশ মেনে আত্মসমর্পণ
১৫৮২। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, সা’দ ইবনু মুআয (রাঃ) আহযাব যুদ্ধের দিন তীরবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এতে তার বাহুর মাঝখানের রগ কেটে যায়। তার ক্ষতস্থানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগুনের সেক দিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ করেন। তারপর তার হাত ফুলে যায়। আগুনের সেঁক দেওয়া বন্ধ করলে আবার রক্তক্ষরণ হতে থাকে। আবার তিনি তার ক্ষতস্থানে আগুনের সেঁক দেন। তার হাত পুনরায় ফুলে উঠে। তিনি (সাদ) নিজের এ অবস্থা দেখে বলেন, ‘হে আল্লাহ। আমার জীবনকে কেড়ে নিও না বানু কুরাইযার চরম পরিণতি দেখে আমার চোখ না জুড়ানো পর্যন্ত।” তার জখম হতে সাথে সাথে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে গেল। এরপর আর একটি ফোটাও বের হয়নি।
সা’দ ইবনু মুআয (রাঃ)-কে তারা (বানু কুরাইযা) সালিশ মানতে রাজী হয়। তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার (সাদের) নিকট লোক পাঠালেন (সমাধানের জন্য)। তিনি সমাধান দিলেন যে, বানু কুরাইযা গোত্রের পুরুষদেরকে মেরে ফেলা হবে এবং মহিলাদেরকে বাচিয়ে রাখা হবে। মুসলমানগণ তাদের দ্বারা বিভিন্ন রকম কাজ আদায় করতে পারবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাদের ব্যাপারে তোমার মত সম্পূর্ণ আল্লাহ্ তা’আলার মতের অনুরূপ হয়েছে। তারা (পুরুষগণ) সংখ্যায় ছিল চার শত। লোকেরা তাদেরকে মেরে ফেলা সমাপ্ত করলে, তার ক্ষতস্থান হতে আবার রক্ত পড়া আরম্ভ হল এবং তিনি মৃত্যু বরণ করলেন।
সহীহ, ইরওয়া (৫/৩৮-৩৯)
আবূ সাঈদ ও আতিয়া আল-কুরায়ী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)

৩৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো - ৩৩ নং মন্তব্যের জবাবে - আগে অনেকবার সতর্ক করার পরও ঘটনাচক্রে বানু কানুইকা এক মুসলিম মহিলাকে নগ্ন করে ফেলে। এই ঘটনায় একজন মুসলমান ও একজন ইহুদি নিহত হয়। তারা যুদ্ধের উস্কানিমুলক কথাও বলে। শান্তি চুক্তিতে থাকা দুইটা পক্ষের একটা পক্ষ যুদ্ধের উস্কানি দিলে এবং তাদের আরও খারাপ কর্মকাণ্ড পূর্বে প্রকাশ পেলে এই সব বিষয়গুলি একত্রে চুক্তি ভঙ্গের জন্য যথেষ্ট। কারণ তাদের আগেও সতর্ক করা হয়েছিল। মহিলার সাথে ঘটনা ছিল বানু কানুইকার জন্য শেষ সুযোগ। ফলে চূড়ান্তভাবে চুক্তিভঙ্গ হয়েছে ধরে নেয়া হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। তবে কাউকেই হত্যা করা হয় নাই। কোন নারী বা শিশুকে দাস/দাসী বানানো হয় নাই। তাদেরকে মদিনা ত্যাগের জন্য ৩ দিন সময় দেয়া হয়। অবশেষে তারা মদিনা ত্যাগ করে।

আপনি একজন মেয়েকে নগ্ন করাকে স্রেফ ইভ টিজিং বলছেন! কোন মেয়েকে ধর্ষণ করা হলে ইসলামে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। প্রকাশ্যে নগ্ন করা আর ধর্ষণের মধ্যে খুব বেশী পার্থক্য কি আছে?

রোহিঙ্গা, উইঘর, ফিলিস্তিনের সাথে এই বিষয়ের কোন সম্পর্ক নাই। প্রসঙ্গ অন্য দিকে দয়া করে নিবেন না।

ঐ যুগে শান্তি চুক্তি হতো যুদ্ধ এড়ানোর জন্য এবং শান্তির জন্য। কেউ বারবার চুক্তি ভঙ্গ করলে এবং শান্তি বিনষ্ট করলে সে শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। অনেক ঘটনার পুঞ্জিভুত বহিঃপ্রকাশ হোল বানু কানুইকাকে মদিনা থেকে উচ্ছেদ।

৪০| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩০

এভো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ৩৯ নং কমেন্ট ---
শান্তি চুক্তিতে থাকা দুইটা পক্ষের একটা পক্ষ যুদ্ধের উস্কানি দিলে এবং তাদের আরও খারাপ কর্মকাণ্ড পূর্বে প্রকাশ পেলে এই সব বিষয়গুলি একত্রে চুক্তি ভঙ্গের জন্য যথেষ্ট।

সেই চুক্তির নাম কি ? কবে কোথায় তাদের সাথে এমন চুক্তি হয়েছিল ? তারা কোথায় যুদ্ধের উস্কানি দিয়েছিল ? তাদের কেহ যদি টিটকারি করে সেটা কি গোটা গোত্রের ঘাড়ে যায় ?
মহিলার সাথে ঘটনা ছিল বানু কানুইকার জন্য শেষ সুযোগ।
ভাই চালাকিটা কার সাথে করেন , যেই লোক এটা করেছিল সেই লোককে তো মেরে ফেলা হয় , এর পর ঐ মুসলমানটাকে মেরে ফেলে কিছু ইহুদী ,এটার দায় গোটা গোত্রের উপর পড়বে কেন ? কোথায় এমন কথা বলা হয়েছে যে এটা শেষ সুযোগ ? রেফারেন্স কোথায় এমন কিছু দাবি করার ?
আপনি একজন মেয়েকে নগ্ন করাকে স্রেফ ইভ টিজিং বলছেন!

কোথায় ঐ মেয়ে কে সরাসরি নগ্ন করা হয় ? কাপড়ে পেরেক মারা হয় এবং সেই পেরেক মারাটা ঈভটিজিং এর পর্যায় পড়ে , তাকে নগ্ন করাটা ও ঈভটিজিং এর ফল ।
কাহিণী বানানো শুরু করে দিয়েছেন । রেফারেন্স দেন ওটা বনু কুনুইকার জন্য শেষ সুযোগ ছিল কোথায় আছে । ঐ গোত্রের এক জন বা দুজন অন্যায় করলে গোটা গোত্রকে দায় নিতে হবে এবং এমন চুক্তি কবে কোথায় হয়েছিল এবং সে চুক্তির নাম কি

রোহিঙ্গা, উইঘর, ফিলিস্তিনের সাথে এই বিষয়ের কোন সম্পর্ক নাই।

আপনি অন্ধ বা বোধবুদ্ধির লোপ পেয়েছে ? সম্পর্ক নাই মানে ? তাদের কে কি উচ্ছেদ করা হচ্ছে না ? যদি উচ্ছেদ করা হয় , তাহোলে ঘটনা গুলো কি একই ধরনের নহে ?
কবে কোন দিন এমন চুক্তি হয়েছিল যে কোন গোত্রের একটা বা কিছু লোক উক্সানি দিয়েছে তাই তার দায় গোটা গোত্রের - এমন ক্লজ কি আছে সেই চুক্তিতে। কোন গোত্রের একজন অন্য গোত্রের নারীকে নগ্ন করেছে বলে তার দায় গোটা গোত্রের ?
ঐ টা ছিল শেষ সুযোগ এমন বিষয়ের দলিল কোথায়। আমি যা দিয়েছি , সাথে তার দলিল দিয়েছি ।
মন গড়া দাবি করছেন কি কারনে ?

৪১| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো - ৩৮ নং মন্তব্যের জবাব - আমি উইকিপিডিয়া দিয়েছি কারণ এখানে ইসলামিক স্কলার এবং অন্য ধর্মের স্কলার উভয় পক্ষের মত আছে। তারা উভয় পক্ষই বলছেন যে বানু কুরাইজা চুক্তিভঙ্গ করেছিল। আবু সুফিয়ানের কথা এত গুরুত্বপূর্ণ হলে সেটা উইকিপিডিয়া নিলো না কেন? উইকিপিডিয়াতে মোটামুটি সত্য কথা পাওয়া যায়। এখানে দুর্বল ঐতিহাসিক তথ্য ঢুকানো এতো সহজ না। আবু সুফিয়ানের বর্ণনা শক্তিশালী হলে এটাও ঢুকানো হতো।

ঐ বিচারককে নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ ইহুদিরাই করেছিল। এটা আপনাকে মানতে হবে। রসূল (সা) বিচার করেননি। তাই রসূলকে (সা) দোষারোপ করার কোন সুযোগ নাই। বিচারের পুরো দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ইহুদিদের মনোনীত ব্যক্তির উপর এবং ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী। পুরুষদের হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং নারী ও শিশুদের দাস/ দাসী করা হয়েছিল। পৃথিবীর সব দেশেই বেইমানি ও দেশদ্রোহিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। যেটা আমাদের দেশের যুদ্ধাপরাধীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যুদ্ধ দলের সাথে থাকা নারীরা যুদ্ধ দলেরই অংশ হিসাবে ধরা হয়। কারণ তারা যোদ্ধাদের সাহায্য করে। ময়দানে যদি নারীরা সাথে থাকত তখনও তাই গণ্য করা হত। তাই তাদেরও শাস্তি ভোগ করতে হয়েছিল। ইহুদীরা তাদের নারীদের রক্ষা করতে চাইলে পৃথকভাবে ময়দানে যুদ্ধ করতে পারতো। কিন্তু তারা তা করেনি এবং নারীদেরও যুদ্ধের অংশ বানিয়ে ফেলেছিল।

একটা মজার ব্যাপার খেয়াল করেন। উইকিপিডিয়ার siege and surrender অধ্যায়ে আছে। একটা অংশ তুলে দিলাম। লিংকটা দেখুন

As their morale waned, Ka'b ibn Asad suggested three alternative ways out of their predicament: embrace Islam; kill their own children and women, then rush out for a charge to either win or die; or make a surprise attack on the Sabbath.

উপরে বলা হয়েছে যে বানু কুরাইজার সরদার কাব ইবনে আসাদ তাঁর গোত্রের লোকদের ৩ টা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যে কোন একটা গ্রহণ করতে বলেছিলেন।
১। ইসলাম গ্রহণ
২। নিজেদের স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করে মুসলমানদের উপর জীবন মরন উৎসর্গ করে যুদ্ধ করা
৩। সাব্বাথের (শনিবার) দিনে মুসলমানদের উপর আকস্মিক আক্রমন।

উপরে বলা হচ্ছে যে বানু কুরাইজার গোত্র প্রধান চেয়েছিলেন নিজেদের স্ত্রী, সন্তান কে হত্যা করতে। মুসলমানরা তাদের হত্যা করেনি। তাদের শুধু দাস বানানো হয়েছিল। কারণ ইহুদীরা তাদের স্ত্রীদেরকে যুদ্ধ দলের অংশ বানিয়ে ফেলেছিল। তারা বীর হলে স্ত্রীদের রেখে ময়দানে যুদ্ধ করতো।

৪২| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো - ৪০ নং মন্তব্যের জবাব - আপনাকে যদি এখন ক খ গ ঘ সব পড়াতে হয় তাহলে সমস্যা। ইহুদিদের সাথে চুক্তি ছিল এটা অমুসলিম লেখকরাও বলছেন। খুঁটিনাটি সব কিছু এখন আপনার কাছে উপস্থাপন করতে হলে সমস্যা। আপনার কিছু প্রস্তুতি থাকা উচিত। প্রতিষ্ঠিত জিনিস নিয়ে বিতর্ক করার কোন মানে হয় না। তারপরও উইকিপিডিয়ার সূত্র দিলাম। আগেও দিয়েছি। আপনি উইকিপিডিয়া ভালো করে পড়েন। ওখানে আপনার বেশীর ভাগ তথ্য পেয়ে যাবেন যা আপনি এখন জানতে চাচ্ছেন। এই লিংকটা দেখেন

বনু কায়নুকা ছিল একটি ইহুদি গোত্র যাকে ইসলামের নবি মুহাম্মাদ মদিনা সনদ নামক চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করেছিলেন,[৩][৪] কারণ তারা এক মুসলিম মহিলার কাপড় পেরেকের সাথে আটকে দিয়েছিল, যার ফলে তার কাপড় সম্পূর্ণ ছিঁড়ে গিয়ে তিনি বিবস্ত্র হয়ে পড়েন।

আমার ২৫ নং মন্তব্যে তাদের যুদ্ধের উশকানির সূত্র দেয়া আছে। তাদের দুই একজন এই রকম কাজ করেনি। অনেকেই করতো এবং তাদের নেতারা যুদ্ধের উস্কানি দিত। তাই এটা সমষ্টিগত অপরাধ ছিল। কোন বিছিন্ন ঘটনা ছিল না। ২৫ নং মন্তব্যে সুত্র দেয়া আছে। একই ব্যাপার বারবার সূত্র দিতে হচ্ছে। আপনি উইকিপিডিয়া ভালো করে পড়েন।

ঐ মহিলার সাথে বাড়াবাড়ি প্রথম থেকেই ইহুদীরা করেছে। ঐ মহিলার সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে হত্যা এবং পাল্টা হত্যা ঘটে। তাদের যে আগে আরও সুযোগ দেয়া হয়েছে এটার আলোচনা ২৫ নং মন্তব্যে আমি উইকিপিডিয়ার সুত্র দিয়েছি। পুরো গোত্রের উপর দায় পড়বে কারণ তাদের গোত্রপতিরাই যুদ্ধের উস্কানি দিয়েছিল আগে। এই ধরণের ঘটনা আগেও তারা ঘটাত। তাদের বাড়াবাড়ির কারণে তাদের আর সুযোগ দেয়া হয়নি।

ঐ স্বর্ণকারের অপকর্মের কারণে ঐ মহিলার কাপড় দেহ থেকে সরে যায় এবং তাঁর দেহের গোপন অংশ প্রকাশ হয়ে পড়ে। আগেও সূত্র দিয়েছি। উইকিপিডিয়াতে এভাবে বলা আছে;
বনু কায়নুকা ছিল একটি ইহুদি গোত্র যাকে ইসলামের নবি মুহাম্মাদ মদিনা সনদ নামক চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করেছিলেন,[৩][৪] কারণ তারা এক মুসলিম মহিলার কাপড় পেরেকের সাথে আটকে দিয়েছিল, যার ফলে তার কাপড় সম্পূর্ণ ছিঁড়ে গিয়ে তিনি বিবস্ত্র হয়ে পড়েন।

আপনি ঐ যুগ নিয়ে আলাপ করেন আমিও এই যুগ নিয়েই আলাপ করি। ১৯৭১ কথা আমিও বাদ দিলাম। আপনিও শুধু ঐ যুগ নিয়ে আলাপ করেন।

৪৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৬

এভো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ৪১ নাম্বার কমেন্ট
কোন দলিল দেখান না যে বনু কুরাইজা গোত্র কোরাইশদের সাথে হাত মিলিয়েছে। বরং দেখা যায় তারা কুরাইশদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে, ইসলামিক দলিল দেওয়া হয়েছে এর আগে। তাদের ভৌগোলিক অবস্থান কোন ভাবে কুরাইশদের সাহায্য করার অবস্থান নহে এবং পিছন দিক থেকে তারা কোন আক্রমণ করেনি।
বনু কুরাইজা নেতার প্রস্তাব তার ব্যক্তিগত মত, গোত্র কোন কিছুই গ্রহণ করে নি।
আমি আগেই আবু লুবাবার কথা উল্লেখ করছি এবং তার ঈংগিত প্রমাণ করে বনু কুরাইজারা সারেন্ডার করলে তাদের হত্যা করা হবে বলা হয়েছে। সেই নব মুসলমান বিচারের রায়ে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে এবং হাদিস দেওয়া হয়েছে। সেই হাদিসে বলা হয়েছে এই বিচার আল্লাহর ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে।
আপনি যদি এই হাদিস না মানেন তাহোলে লেটা চুকে গেল, কাহিনীটাকে ভুয়া বলতে পারবো, এটা তাহাকিক কৃত সহি হাদিস।
এখন দেখেন এই হাদিস মানবেন কি না?
এখন নিশ্চয়ই দেখলেন হাদিস লিখে মুসলমানদের কতটা ক্ষতি হয়েছে। হাদিস লিখে যত খানি লাভ হয়েছে তার থেকে হাজার গূণ বেশি ক্ষতি হয়েছে।

৪৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪১

এভো বলেছেন: ৪৩ নং কমেন্ট

মদিনা সনদের কোথাও বলা হয় নি একজনের অপরাধের দায় গোটা গোত্রের উপর পড়বে। গোত্র পতি অপরাধ করলে গোত্র পতির বিচার হবে বা ওই নেতৃত্বের বিচার হবে সমগ্র জাতীর নহে।
তাদের লোকজন বলেছিল,, বদর যুদ্ধে বিজয়ের পর যে, তোমরা আসল যোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধ করনি, আসল যোদ্ধা আমরা ইত্যাদি, এটা কোন উস্কানি নহে টিটকারি।
কেন এই টিটকারি করেছিল সেটা অন্য বিষয়।
নেতৃতে যারা থাকবে তাদের দায়, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ অপরাধের দায় করা হয়েছিল ৩০০ জন নেতৃত্ব স্থানিয় পাকি আর্মি অফিসারকে ৯০ হাজার পাকি সৈন্যকে নহে। নেতৃত স্থানিয় রাজাকারের বিচার হয়েছে সব রাজাকারের নহে।

আপনি যে যুক্তি দিয়ে এই উচ্ছেদকে জাস্টিফাই করছেন, একই যুক্তি দিয়ে রহিংগা উইঘুর উচ্ছেদকে জাস্টিফাই করা যায়, ইসরাইল কতৃক ফিলিস্তিনি ঊচ্ছেদ জাস্টিফাই করা যায়

৪৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো - ৪৩ নং মন্তব্যের উত্তর - আমি ইসলামী স্কলার এবং বিধর্মী স্কলার সবার বক্তব্য দিয়েছি। যেটা উইকিপিডিয়াতে আছে। ওখানে বলা আছে বিস্তারিত। আপনি এরপর বলবেন যে চুক্তিতে বানান ভুল ছিল। ১৪৫০ বছর আগের ঘটনার সব পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা আপনি পাবেন না। কিছু কমন সেন্স প্রয়োগ করতে হবে। যে বিষয় মুসলমান এবং বিধর্মী ঐতিহাসিক সবাই মেনে নিয়েছে সেটা আপনি মানছেন না। আমি আমার বেশীরভাগ সূত্র উইকিপিডিয়া থেকে দিয়েছি। একই সূত্র বারবার দিতে পারবো না। আপনি উইকিপিডিয়া ভালো করে পড়েন। আপনি যে ইসলামিক দলিল দিয়েছেন তা যদি এতো বিশুদ্ধ হতো তাহলে সেটা উইকিপিডিয়ার সাথে সংঘর্ষ তৈরি করতো না। উইকিপিডিয়া মোটামুটিভাবে ঐতিহাসিক তথ্য সঠিক দেয়ার চেষ্টা করে। কোন বিতর্ক থাকলে সেটাও উল্লেখ করে। আমার পক্ষে ইসলামী দলিল আরও আছে। এখন খুজতে ইচ্ছে করছে না। কারণ এগুলি মিমাংশিত বিষয়। বিধর্মী ঐতিহাসিকরাও মেনে নিয়েছেন।

দলের নেতার মত ব্যক্তিগত সেটা বুঝলাম। এইটা বিতর্কের বিষয়ও না। আমি শুধু আশ্চর্য হয়েছি। কারণ তাদের নেতা চাচ্ছিলেন যে তাদের নারী ও শিশুদের হত্যা করতে। কিন্তু মুসলমানরা তাদের গ্রেফতার করেও জানে মারে নাই। আল্লাহর ইচ্ছার প্রতিফল হয়েছে সেটা আমিও মানি। হাদিসও মানি। কিন্তু আল্লাহ নারী ও শিশুদের হত্যা করতে বলেন নাই। তাদের অন্য শাস্তি দিয়েছেন। তাতে আমি কোন সমস্যা দেখি না। কারণ ইহুদীরা তাদের নারী ও শিশুকে তাদের যুদ্ধের দলের সাথে মিশিয়ে ফেলেছিল। যুদ্ধ দলের অংশ হলে নারীদের শাস্তি পেতে হয়, শিশুরা স্বাভাবিক ভাবেই নারীদের সাথে থাকে। এটাই ঐ সময়ের নিয়ম ছিল। যুদ্ধের দলের সাথে থাকা নারী, পুরুষদের সাহায্য করতো। তারা নারীদের নিয়ে চিন্তিত হলে খোলা ময়দানে গিয়ে শুধু পুরুষরা যুদ্ধ করতো। নারীরা সেই ক্ষেত্রে নিরাপদ থাকত।

আপনার সাথে অনন্তকাল আমি এই বিষয়ে বিতর্ক করতে রাজি না। মডারেটর ভাইয়ের উৎসাহে আমরা উভয় পক্ষ বিতর্কে অংশ নিয়েছি। কোন বিতর্কই অনন্তকাল চলে না। আশা করি কাভা ভাই এবং অন্যরা কিছু বলবেন এবং এই বিতর্ক সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দিবেন। যদি ওনারা মনে করেন আরও চলা উচিত সেই ক্ষেত্রে চালাতে রাজি আছি। তবে অনন্তকাল ব্যাপী না।

৪৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০২

সাসুম বলেছেন: কিন্তু আল্লাহ নারী ও শিশুদের হত্যা করতে বলেন নাই। তাদের অন্য শাস্তি দিয়েছেন। তাতে আমি কোন সমস্যা দেখি না।

এই মন্তব্যের জন্য একটা কথা প্রযোজ্য- আল্লাহ তাআলা নারী দের কে গনিমতের মাল আর শিশু দের কে দাস দাসী বানানোর শাস্তি দিয়েছেন??

যাক- ধার্মিক দের মুখ দিয়ে অন্তত সত্য বলানো গেল। আপনি অবশ্য সমস্যা দেখার ও কথা না। কারোরই সমস্যা থাকার কথা না এতে, কারন ধর্ম রক্ষার জন্য এরকম শাস্তি দেয়াই যেতে পারে।

এভাবেই ৭১ এ রাজাকার রা তাদের পাড়া প্রতিবেশী নারীদের তুলে দিয়ে আসত পাকিদের হাতে। কারন- ধর্ম রক্ষায় নারীদের কে তলে ফেলতেই হবে, এটাই তাদের ধর্মের বিধান। এই একই কারনেই- বার্মা তে রোহিংগা দের উপর অত্যাচার এর সময় নারীদের কে বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে যেত। কারন তাদের ও হয়ত এমন কোন আইন আছে। ইন্ডিয়াতে মোসলমান দের উপর অত্যাচার হলে- সব্বার আগে কোপ পড়ে নারীদের সতীত্বে। বস্নিয়া থেকে শুরু করে ইথিওপিয়া, সিরিয়া থেকে শুরু করে লিবিয়া , নাইজেরিয়া থেকে কেনিয়া- সব যায়গায় ধর্ম যুদ্ধ হলেই সবার আগে কোপ পড়ে নারীর উপর। কারন তারা সস্তা। ধর্ম গুরু হোক আর যুদ্ধবাজ নেতা হোক- নারী ভোগে কারো অরুচি নেই।

এই কারনেই- দুনিয়ার যেখানে অত্যাচার হোক না - সেখানে নারী দের কে এভাবে গণিমতের মাল হিসেবে ইউজ করার কোন না কোন অজুহাত পাওয়া যাবে।

কোথাও নিয়াজী বলবে আমার সৈন্য রা যুদ্ধ করবে ঢাকায় আর মেয়ে লাগাতে কোয়েটা যাবে? কিংবা কোথাও সেটা কে নাম দেয়া হবে আল্লাহর শাস্তি।

যুগে যুগে এভাবেই চলে আসছে, এভাবেই চলবে।

৪৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর ও এভোঃ

ভাই আপনাদের দুইজনকেই ধন্যবাদ এত স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য। আপনাদের দুইজনের আলোচনা থেকে অনেক কিছু জানার আছে, বিভ্রান্তি দুর করার সুযোগ আছে। যারা 'অপ্রয়োজনীয়' বা নোংরা শব্দ ব্যবহার করে অন্ধ সমালোনা করেন আশা করি তারা এই ধরনের বিতর্ক থেকে কিছু শিখবেন।

আপনারা অনেক রেফারেন্স দিচ্ছেন। আমি মনে করি, যে রেফারেন্সগুলোর স্বীকৃতি সকল মহলে আছে, অনুগ্রহ করে শুধুমাত্র সেই সকল রেফারেন্স ব্যবহার করা হোক। এমন কোন রেফারেন্স ব্যবহার আপনারা করবেন না যার কোন স্বীকৃতি নেই।

যদি কোন যৌক্তিক প্রশ্ন এখানে কেউ উত্থাপন করেন, তাহলে সেটার জবাব দেয়া উচিত। তবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে একই প্রশ্ন বার বার না করাই শ্রেয়।

১৯৭১কে এখানে আপাতত টানার প্রয়োজন নেই। তাই আশা করি, আমরা এই বিষয়টি মাথায় রাখব।

@ঠাকুর মাহমুদ ভাইঃ যদি পোষ্টের সাথে আপনার মন্তব্যটি গুরুত্বপূর্ন হয়, তাহলে এই ব্যাপারে আপনি পোস্ট দিতে পারেন। নইলে এই বিষয়ে আপনি নিজস্ব পোস্ট দিয়ে আলোচনা করতে পারেন।

৪৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৯

বারবোসা বলেছেন:
মাধুকরী মৃণ্ময় ভাই
আমি প্রশংসা করি আপনার নিরপেক্ষ দৃষ্টি এবং সহনশীল আচরণের।
দাসপ্রথার ব্যাপারে আপনি বলেছেনএকটা অপরাধ কে মডিফাই না করে তুলে দিলে ভালো হতো না? যেমন , মদ তুলে দিছে। তুলে দিতে পারে নাই ক্যান ?
আপনার অবশ্যই জানার কথা যে,মদকেও একেবারে নিষেধ না করে আল্লাহ তায়ালা তিন ধাপের শেষ ধাপে হারাম করেছেন।ঠিক তেমনিভাবে ইসলামকে পরিপূর্ণতা দেবার সময় বিদায় হজ ইসলামিক দাসপ্রথার উপর এমনসব নিয়ম প্রয়োগ করা হয়েছে যাকে দাসপ্রথার বিলুপ্তির নিয়মই বলা যায়।আপনি অবশ্যই সে নিয়মগুলো সম্পর্কে অবগত।
আর জিওপলিটিক্যাল কারণে কিছুসময় দাসপ্রথা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টির সাথে আমি আপনার সাথে একমত।এই বিষয়টিকে আমি মানবিকতা হিসেবে দেখি।কারণ যখন যুদ্ধে একটি সম্প্রদায়ের যুবকেরা মারা যায়,তখন অই সম্প্রদায়ের নারী ও শিশুদের দায়িত্ব না নেয়া হলে তাদের দুর্ভিক্ষের কারণে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
আর দাসীদের সাথে মিলনের বিষয়টি, তৎকালীন আরবদের বৈশিষ্ট্য ,এটাকেও সময়ের পরিক্রমায় সামাজিক করা হয়েছে।দাসীর সাথে ফ্রিসেক্সের বিষয়টি সেই সময়কার,যখন ইসলাম পরিপূর্ণতা পায় নি।কিন্তু দাসদাসী রাখার কঠোর নিয়ম আরোপের মাধ্যমে এই বিষয়টাকেও বিলুপ্ত করার পথ সুগম করা হয়েছে।একেবারে কোনো নিয়ম আরোপ করলে তা মানা তখনকার মুসলমানদের জন্য অনেক কঠিন হতো।
বি.দ্র.ঃঃআলী দস্তি সাহেবের বইটি সম্পর্কে আমার আগে জানা ছিলো না।এজন্য আর কমেন্ট করছি না।আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা এই বইটি সম্পর্কে জানাবার জন্য।এই বই সম্পর্কে আমার বিশ্লেষণ পরবর্তীতে পোস্ট আকারে দিব ইনশাআল্লাহ। সেই আলোচনায় থাকার জন্য আপনাকে আগাম নিমণ্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:০৫

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: ভাই , বিদায় হজের দিন নবি বলেছেন, আজকে তোমাদের দিন পরিপুর্ন হলো।
তাহলে পরিপুর্ন হবার পরেও দাস প্রথা থাকলো। এইটা কেমন কথা। যেখানে মক্কা বিজয়ের পর সুস্পষ্ট ভাবে কোন পৌত্তলিক থাকতে সেখানে থাকতে পারবে না, থাকলেও জিজিয়া কর দিতে হবে , ইসলাম একমাত্র ধর্ম , ইত্যাদি কঠোর বিধি নিষেদ আরোপ করলেও দাস প্রথা ব্যাপারে শুধুমাত্র , দাস মুক্ত করা সওয়াব , দাসদের সাথে ভালো ব্যাবহার করো , ইত্যাদিতে সীমাবদ্ধ থাকলো। সেটা আপনার কাছে অবাস্থব মনে হয় না ? যেখানে দ্বিন পরিপুর্ণ, যেখানে সংযোজন , বিয়োজনের অবকাশ নেই, তারপরো আপনারা বসে ধাপে ধাপে। আফসোস।

৪৯| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১৩

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ওরে কত কথা বলেরে! আমি ভাই সব বাদ দিয়া বইখান পড়তে শুরু করলাম। বেশ মজা পাইতেছি দস্তি সাহেবের বিশ্লেষণের। মৃন্ময়ী ভাইকে বই বিষয়ক ইনফরমেশন দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫০| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই - আমি এভো ভাইয়ের উত্তম আচরণের প্রশংসা করছি। উনি আসলে সব সময়ই ভালো আচরণ করেন। ওনার সাথে আমি এর আগেও অনেক বিতর্ক করেছি। আগে কিছুটা মাথা গরম হলেও আজকে আমার ধারণা আমরা ভদ্রতা বজায় রাখতে পেড়েছি। ওনার আচরণ অন্য অনেকের চেয়ে অনেক ভালো।

আমি আমার যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বনু কুরাইজা সম্পর্কে সংক্ষেপে যদি বলি তাহলে বলতে হয় যে বনু কুরাইজা চুক্তিভঙ্গ করেছিল এবং ইসলামের শত্রুদের সাহায্য করেছিল। ফলে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হয়। তারা আত্মসমর্পণ করার পর তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়। সেই বিচারক তাওরাত অনুযায়ী বিচার করেছিলেন। বিচার প্রক্রিয়া আমাদের রসূল (সা) কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করেন নাই। বিচারের রায় অনুযায়ী পুরুষদের হত্যা করা হয় এবং নারী ও শিশুদের দাস/ দাসী বানানো হয়।

বনু কানুইকার ক্ষেত্রে বলা যায় যে তারা মুসলমানদের সাথে চুক্তি থাকা সত্ত্বেও বদর যুদ্ধে কোরাইশদের পরাজয়ে অসন্তুষ্ট ছিল। তারা মুসলমানদের ব্যাঙ্গ করতো, বাজারে মুসলমানদের বিভিন্নভাবে ক্ষতি করতো এবং মুসলিম নারীদের ভয় দেখাতো। এই ব্যাপারে রসূল (সা) তাদের কয়েকবার সতর্ক করেছেন। বনু কানুইকা এমন কি মুসলমানদের যুদ্ধের উস্কানি দিত। বলতো যে তোমরা যুদ্ধে অনভিজ্ঞ কোরাইশদের হারিয়ে বিভ্রান্ত হইয়ো না। আমাদের সাথে যুদ্ধে জড়ালে বুঝবে আমরা কেমন যোদ্ধা। তাদের এই সব ব্যাপার রসূল (সা) সহ্য করে যাচ্ছিলেন শান্তির খাতিরে। যদিও এই ধরণের আচরণ চুক্তি অনুযায়ী কাম্য ছিল না। কিন্তু যখন তারা একজন মুসলমান নারীকে বাজারের মধ্যে বে-আব্রু করে এবং ফলশ্রুতিতে একজন মুসলমান এবং একজন ইহুদির মৃত্যু হয় তখন এই বাড়াবাড়িকে চূড়ান্তভাবে চুক্তি লঙ্ঘন গণ্য করা হয়। অনেক বর্ণনায় এসেছে এই ঘটনার পরেও তারা মিটমাট করার বা নিহত মুসলিম ব্যক্তির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে চায় নি। কারণ অন্যায়ের শুরু করেছিল ইহুদীরা। মুসলমান ব্যক্তি প্রতিবাদ করার এক পর্যায়ে ইহুদির মৃত্যু হয়। ফলে বনু কানুইকাকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয় এবং মদিনা ত্যাগের জন্য তিন দিন সময় দেয়া হয়। তবে কাউকেই হত্যা করা হয় নাই বা বন্দি করা হয় নাই।

৫১| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মাধুকরী মৃণ্ময়- ইসলামে দাসপ্রথা শুধু যুদ্ধ বন্দিদের জন্য সীমিত করা হয়েছে। অন্য কোন উৎস থেকে দাস বানানোর কোন সুযোগ নাই। জিহাদের কারণে বন্দি কাফের/ মুশরেককে দাস হিসাবে শাস্তি দেয়া হয়। কারণ তারা আল্লাহর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে। আল্লাহ তাই তাদের শাস্তির এই ব্যবস্থা করেছেন। ঐ যুগে এতো জেল খানা ছিল না যে তাদের জেলে রাখবে। তাদের বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানো সমাজের উপর একটা বোঝা সরূপ। তাই বদ্ধ জায়গায় আটকে না রেখে তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়ার বিধান করা হয়েছে। ফলে সমাজ ও অর্থনীতিতে দাসদের ভুমিকা ছিল। জেলে পচে মরার চেয়ে কাজে ব্যস্ত থাকা দাসদের জন্য যেমন ভালো সমাজের জন্যও ভালো। দাসের সাথে ভালো ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। তার সাধ্যের অতিরিক্ত কোন কিছু তাকে দিয়ে করানো যায় না। নারীদের ক্ষেত্রে মৃত্যু দণ্ড না দিয়ে তাদের দাসী বানানো হত। পুরুষদের অনেককে মৃত্যু দণ্ড দেয়া হত। অনেককে দাস বানানো হত। আবার অনেককে মুক্তি পণের বিনিময়ে মুক্ত করা হত। এটা ইসলামী শাসকের এখতিয়ারে ছিল। মোট কথা যুদ্ধাপরাধী হিসাবে তাদের দাস/ দাসী বানানো হতো। তাই তাদের জীবন আরাম আয়েসে কাটার কথা না। দাসত্ব তাদের জন্য একটা শাস্তি সরূপ রাখা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের চেয়ে নিশ্চয়ই সশ্রম কারাদণ্ড ভালো।

অপর দিকে বিভিন্ন অসিলায় দাস মুক্তিকে উৎসাহিত করা হয়েছে। দাসীর পেটে বাচ্চা হলে তাকে বিক্রি করা যায় না এবং সন্তানের পিতা হন মনিব। দাসীর সাথে অন্য কোন দাসের বিয়ে হলে সেই ক্ষেত্রে মনিব দাসীর সাথে সেক্স করতে পারে না। যুদ্ধ না হলে আর দাস/ দাসী সৃষ্টি হওয়ার কোন সুযোগ নাই। বরং ধীরে ধীরে কমে যাওয়ার কথা। এই যুগে জিহাদ নাই বললেই চলে। কারণ ইসলামী রাষ্ট্রও প্রকৃত পক্ষে নাই বললেই চলে। তাই দাস প্রথা আসলে অপরাধীদেরকে শাস্তি দেয়ার একটা প্রক্রিয়া। এই যুগে অপরাধীরা জেলে পচে। তার জন্য তো আমাদের মন খারাপ হয় না। দাসদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। দাস প্রথা বন্ধ করা হয় নাই কখনও। তবে ইসলামী নিয়মে দাস হওয়ার মত পরিস্থিতি কমে গেছে।

মক্কা বিজয়ের পরও দুই বছর কাফিররা মক্কাতে ছিল। তারপর তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। কাফেরদের ক্ষেত্রে জিজিয়া কর প্রযোজ্য নয়। জিজিয়া কর ইহুদি, খ্রিস্টান ও অগ্নি উপশকদের জন্য প্রযোজ্য ছিল।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:০৫

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: মনে করেন করেন মুরগী বাড়িতে পালন করা খারাপ । জাস্ট মনে করেন। তো একজন মুরগী লাভার , বাসায় মুরগী পালন করে। কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে , এইটা তো ভালো না, আপনি বাসায় মুরগী পালন করেন ক্যান। তো সেই ব্যাক্তি জবাব দেই, আমি মুরগীর খাইতে দিই, বাইরে থাকলে তারা খাওয়ার অভাবে ভুগতো। আমি মুরগীর জন্য ঘর বানায়া দিছি। দুই বেলা খুদ দিই, সাথে ভুট্টা মিশায়া দিই। যদি কোন মুরগী চলে যেতে চাই , তাহলে আমি তাকে বাধা দিই না।
উপরোক্ত যুক্তি কি মুরগী পালন করা খারাপ, এইটাকে জাস্টিফাই করলো ?

৫২| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তরঃ আমার মনে হয় দাস প্রথা নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে হবে এবং লিখতে হবে। এত অল্প কথায় দাস প্রথা নিয়ে লিখলে সমস্যায় পড়তে হবে। আমি যতদুর জানি, দাস প্রথা তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার একটি অংশ ছিলো। শুধু মাত্র আরব নয় সমগ্র বিশ্বে এই প্রথা চলমান ছিলো।

দাসীদের সাথে যৌনাচারে কোন বাঁধা ছিলো না তৎকালীন প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন জাতি মধ্যে। যেমন রোমানদের অঞ্চল এই ব্যাপারটা বেশ ভয়াবহ ছিলো। স্ত্রীদের আপত্তি থাকা স্বত্তেও তারা দাসীদের সাথে যৌনাচার করত। নারী ও মেয়ে বাচ্চাদের কোন স্বীকৃতি দেয় হতো না বর্তমানে উন্নত ও মানবিক অনেক রাষ্ট্রে। রোমান সাম্রাজ্যে রাস্তা ঘাটে অনেক বাচ্চা মেয়েদের ফেলে রাখা হতো। কেউ নিয়ে গিয়ে এদের বিক্রি করে দিতো ভবিষ্যত দাস হিসাবে আর কেউ কেউ তো রাস্তা ঘাটেই মারা যেত।

এই সকল সভ্য, মানবতাবাদী রাষ্ট ও সকল সভ্য, 'বিজ্ঞানমনস্ক' মানুষের জন্য লজ্জা যে নারীদের অধিকারের ব্যাপারে একজন অশিক্ষিত মেষপালক আরব এগিয়ে এসেছিলেন! শিশু কন্যা হত্যাকে নিষেধ করেছিলেন। অবশ্য অনেক যুক্তি আসতে পারে যে ঐ মেষ পালক অশিক্ষিত আরব সেক্সের লোভেই এই সব মেয়ে বাচ্চাদের হত্যা করতে নিষেধ করেছিলেন। কারন ঐ আরব ভদ্রলোকের একটাই গুন ছিলো দাসী ও নারী সম্ভোগ!

যাইহোক, দাসীদের ব্যাপারে আমার বক্তব্য হচ্ছে - কোরানের মত একটি সার্বজনীন গ্রন্থে এই ব্যাপারটিকে চুড়ান্তভাবে নিষেধ করে যেতে পারত। যেভাবে হারাম করেছে বিভিন্ন বস্তু। দাসীদের সাথে মালিকের যৌনাচার - আমার কাছে কোন যুক্তিতেই গ্রহনযোগ্য মনে হয় না।

এভো ভাইকেও ধন্যবাদ। তিনি সময় করে এই আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। আমরা এই ধরনের সুস্থ আলোচনা চাই।
আমরা অশালীন, গালাগালি, একে অন্যের প্রতি চুড়ান্ত অবমাননা, অসম্মান দেখতে চাই না।

৫৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ২:০৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আরো ডিসগাস্টিং ব্যাপার হচ্ছে - নারী মনিব তার নিয়ন্ত্রনে থাকা পুরুষ দাসদের সাথে কোনভাবেই শারিরীক মেলামেশা করতে পারবে না। বিয়ে করলে সম্ভবত পারবে। তবে যেখানে দাসী সম্ভোগের ক্ষেত্রে পুরুষদের বিবাহের কোন প্রয়োজন নাই, সেখানে নারী মনিবের ক্ষেত্রে কেন তা বিয়ের করতে হবে এটার ব্যাখ্যা জানা প্রয়োজন। এই সকল বিষয় কি এখনও বহাল আছে কি না?

দেখেন, এই সকল বিষয়ে যতদিন পর্যন্ত না সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে, ততদিন পর্যন্ত হাজারো হাদিস বা রেফারেন্স টেনে লাভ নাই, এই নিয়ে প্রশ্ন, দ্বিধা, ক্ষোভ থাকবেই।

৫৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:৩৩

বারবোসা বলেছেন: কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই
আপনি বলেছেন,এই সকল বিষয়ে যতদিন পর্যন্ত না সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে, ততদিন পর্যন্ত হাজারো হাদিস বা রেফারেন্স টেনে লাভ নাই, এই নিয়ে প্রশ্ন, দ্বিধা, ক্ষোভ থাকবেই।
ভাই চলেন একটু বাস্তবতার রেফারেন্স টানি,বর্তমান মুসলিম বিশ্বে কি ইসলামী শরিয়তসম্মত কোনো দাস আছে?(এখানে আবার জংগিদের উদাহরণ দিয়েন না) ফ্রি সেক্সের অভিযোগ,নারী মনিবের ব্যাপার এই সকল কথা তখনই খাটতো,যদি না ইসলামী বিধান অনুযায়ী আজ পর্যন্ত দাসপ্রথা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো।
হ্যাঁ, এই বিষয়টা মানি যে সেই সময়কার জিওপলিটিক্যাল অবস্থা বিবেচনায় দাসপ্রথা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা হয়নি।কিন্তু যেসকল নিয়ম আরোপ করা হয়েছে তারই প্রতিফলন আজকের এই দাসপ্রথার বিলুপ্তি।সম্পূর্ণ হারাম ঘোষণার সাথে এর পার্থক্য কি!
আরেকটা বিষয়,যেহেতু সম্পূর্ণ হারাম করা হয় নাই,তাই ২০০/৩০০ বছরে হয়তোবা কোনো এক সময় যুদ্ধবন্দী মুসলিমদের হাতে থাকতে পারে।সেই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবন্দীদেরকে শরীয়তসম্মত দাস হিসেবে গ্রহণ করার চেয়ে বিনা শর্তে মুক্তি দেওয়াই মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক দিয়ে দূরদর্শীতার পরিচয় হবে বলে আমি মনে করি।ঠিক যেমনটা নবীজি মক্কা বিজয়ের পর করেছিলেন।

৫৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:১৯

কামাল১৮ বলেছেন: @ বারবোসা,মক্কা বিজয়ের পর একজন কাফের কেও মুক্তি দেয়া হয় নাই।দেয়া হয়ে খাকলে প্রমান দেখান।কেবল মাত্র ইহুদি ও খৃষ্টানদের জিজিয়া করের মাধ্যমে মুক্তি দেয়া হয় যেটা খুবই অপমান জনক।কাফেরদের মুসলমান করা হয় নয়তো মৃত্যু দন্ড দেয়া হয়।

৫৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:১৭

বারবোসা বলেছেন: কামাল১৮ ভাই, আমি জানতাম মক্কা বিজয়ের পর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। এটা অবশ্যই মানবেন ২৩ বছরের অত্যাচারের বিনিময়ে,নিজের চাচার কলিজা,হৃৎপিণ্ড চিরে খাওয়া মানুষগুলোর প্রতি যে সহনশীলতা দেখানো হয়েছে,তা বিজয়ী জাতির স্বভাববিরুদ্ধ।
আমি মনে করি এ বিষয়ে আমার আরো জানতে হবে।আপনি যদি আপনার পক্ষের রেফারেন্সগুলো সরবরাহ করেন তবে কৃতার্থ হতাম।

৫৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:১১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার যুক্তি মনপুত হলো না। বিয়ের বিষয় আর খুনের বিষয় পার্থক্য আছে। এখনকার মেয়েরা বিয়ে করে প্রতিষ্ঠিত পাত্র চায়। প্রতিষ্ঠিত পাত্র মানে বাড়ি গাড়ি প্রচুর টাকা। এমনকি হারাম পয়সা হলেও দেখা যায় বিয়েতে রাজী। হারাম তথা দূর্নীতির পয়সার ভোগ বিলাসিতায় হারাম রক্ত মাংসের শরীর হারাম শুক্রানু ডিম্বানু সেখান থেকে যে ভ্রুণ উৎপাদন হবে তার থেকে আপনি কি আশা করেন। কিংবা একটা মেয়ে সেচ্ছ্বায় যখন এমন অবৈধ পয়সা ওয়ালার জীবন সঙ্গী হচ্ছে তার সন্তান গর্ভে লালন পালন করার জন্য সানন্দে রাজী হচ্ছে। সেখানে একজন মহৎ প্রাণ মানুষের চৌদ্দ নম্বর বউ হওয়া কি ভাল নয়?

এবার ভাবেন রসুল সাঃ দুই জাহানের বাদশাহ। নবুয়তের আগে যাকে আল আমিন উপাধি দেয়া হয়েছে সত্য বাদিতার জন্য। যার জন্য ওহুদ পাহাড় স্বর্ণ করে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ। যার বিশ্বাস আছে আখেরাতের জীবন অসীম। সেই অসীম জীবনে সব চেয়ে বড় বেহেশতের মালিক হবেন রসুল সাঃ। সবচেয়ে ছোট বেহেশত যেখানে এই দুনিয়ার দশ দুনিয়ার সমান। তাহলে সবচেয়ে বড়টি কত বড়? এত বড় প্রাসাদের মালিকের কাছে স্বস্তি বোধ করাই তো স্বাভাবিক। আমার মেয়ে যদি থাকতো আমি রসুল সাঃ এর কাছে বিয়ে দিতাম। এত সৎ একজন মানুষ। এত জ্ঞানী এতো সম্মানিত। আয়েশা রাঃ নতুন বউয়ের ব্যাপারে ঈর্ষা করা স্বাভাবিক। তাঁর বয়সও কম ছিল । রসুল সাঃ সান্নিধ্য লাভের মত লোভনীয় চরম আকাঙ্ক্ষিত কোন বিষয় না সাহাবির ছিল না উনার কোন বিবির ছিল। শুধু সান্নিধ্যই এই অবস্থা। আর যে কোন একজন নবী চল্লিশজন পুরুষের সমান পৌরুষের অধিকারি। কাজেই আল্লাহ তায়ালা যেহেতু সকল মানুষের উত্তম অভিভাবক তিনি সঙ্গত কারনেই চাইবেন রসুল সঃ এর মতো আন প্যারালাল যোগ্য পাত্রের কাছে নির্দ্ধিধায় একটা পরিণয় করে দিতে। নবীর স্ত্রীগণের মর্যাদা কত বেশি সুবহান আল্লাহ। তারা ছিলেন সকল উম্মতের মায়ের স্থানে। নবীর মৃত্যুর পর নবীর স্ত্রীগণ সেজন্য হারাম ছিলেন অন্য পুরুষদের জন্য। এত সম্মানজনক অবস্থা কে না চাইবে? অন্য কোন পুরুষকে বিয়ে করলে কি এতটুকু সম্মান আছে?

৫৮| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ কাল্পনিক ভালবাসা ভাই –
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন যে অল্প কথায় দাস প্রথা নিয়ে সব কথা বলা যায় না। এটার জন্য বিস্তারিত বর্ণনা প্রয়োজন। আমি চেষ্টা করবো এই বিষয়ে লিখতে। অনেক দিন চিন্তা করেছি এই ব্যাপারটা নিয়ে লেখার জন্য। কিন্তু সংবেদনশীল হওয়ার কারণে লিখি নাই। আরেকটা কারণ ছিল পুরো জ্ঞান আমার এই ব্যাপারে ছিল না। এখনও হয়তো নাই। তারপরও চেষ্টা করবো।
দাস প্রথা প্রাক ইসলামি যুগ থেকেই চলে এসেছে। এটা তৎকালীন অর্থনীতির অংশ ছিল। কিন্তু ইসলাম আসার পর এই প্রথার মধ্যে এমন কিছু পরিবর্তন আনে যার ফলে এটার চেহারা বদলে যায়।

বিভিন্ন দেশে দাস, দাসী ও নারীদের সাথে কি রকম ব্যবহার করা হত এটা আপনি সঠিকভাবেই তুলে ধরেছেন। আমাদের রসুল (সা) এই বর্বরতার অবসান ঘটান। এটাও আপনি যথার্থ বলেছেন।

আপনি কি আমাদের রসুলকে (সা) সেক্স লোভী বললেন?আপনি বললেন যে ঐ আরব ভদ্র লোকের একটাই গুন ছিল দাসী ও নারী সম্ভোগ। ওনার কোন গুন খুঁজে পেলেন না দেখে বিস্মিত হলাম। আপনি বলেছেন উনি নারী সেক্সের লোভে মেয়ে বাচ্চা হত্যা করতে নিষেধ করেছিলেন। আপনার কাছে কোন প্রমাণ কি আছে। প্রমাণ না থাকলে রসুল (সা) সম্পর্কে এই অভিযোগ করা ঠিক না। আমি আপনার কাছে প্রমাণ চাচ্ছি। প্রমাণ হওয়া চাই নিরপেক্ষ সুত্র থেকে বা ইসলামি সূত্র থেকে। ইসলাম বিদ্বেষী মানুষ অনেক কথা রসুলের (সা) চরিত্র সম্পর্কে বলে। এই ধরণের প্রমাণ চাই না। প্রমাণ দিতে না পারলে আশা করবো আপনি এই কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন। যৌন কামনা মানুষের একটা স্বাভাবিক চাহিদা। ইসলাম এই চাহিদাকে একটা নিয়মের মধ্যে এনেছে। যৌন সম্ভোগের ইচ্ছাকে নেতিবাচকভাবে দেখা ঠিক না। যৌন সম্ভোগের ইচ্ছা কোন পুরুষ বা নারীর যদি না থাকে তাহলে বুঝতে হবে তার কোন শারীরিক বা মানসিক সমস্যা আছে। পৃথিবীর অনেক ধর্মের পুরোহিতরা যৌনতা নিয়ে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করার কারণে নানা ধরণের বিকৃতির স্বীকার ( মাদ্রাসায় অনেক বিচ্ছিন্ন অনাচার অনেক সময়। কিন্তু এটার জন্য ব্যক্তি দায়ী। মুসলমান মানেই নিষ্পাপ এমন না। মুসলমান অপরাধিও আছে। তাই মাদ্রাসার উদাহরণ না টানি)। ঐসব ধর্মের বিধি বিধান মানুষের স্বাভাবিক যৌনতার পরিপন্থি। ফলে মানুষ মানতে না পেরে উল্টা পাল্টা করে ফেলে। মাদ্রাসার ক্ষেত্রে এটা বলা যাবে না কারণ ইসলাম বৈধ রাস্তা রাখার পরও যদি কেউ খারাপ কাজ করে এটার দায়িত্ব ইসলাম নেবে না। এটার দায়িত্ব ঐ অপরাধীর। মুসলমানের দোষ ইসলামের উপর আমরা চাপাবো না। ইসলাম বৈরাগ্যকে অনুৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে বিয়েকে ফরজ বলা হয়েছে।

আমাদের রসুল (সা) অনেকগুলি বিয়ে করেছিলেন এবং তার কয়েকজন অধিকারভুক্ত দাসীও ছিল। উনি যদি সেক্স লোভী হতেন তাহলে কেন জীবনের ২৫ টি বছর একজন মাত্র বয়স্ক নারীর সাথে কাটিয়ে দিলেন। মানুষের যৌন চাহিদা ৫০ বছরের পর কমে যেতে থাকে। হজরত খাদিজা (রা) যখন ইন্তেকাল করেন তখন রসুলের (সা) বয়স ছিল ৫০ বছর। আপনি কি মনে করেন, যে ব্যক্তি তার যৌবনকালের পুরো সময় একজন স্ত্রী নিয়ে কাটিয়ে দিলেন তিনি সেক্সের লোভে এতগুলি বিয়ে করেছিলেন? ঐ সময় একাধিক বিয়ে খুব সাধারণ একটা ঘটনা ছিল। উনার যদি সেক্সের লোভ থাকতো উনি যৌবনকালেই আরও অনেকগুলি বিয়ে করতে পারতেন। দরিদ্রতার মাঝেও উনিও পরবর্তী বিয়েগুলি করেছিলেন। তাই আর্থিক সামর্থ্য কোন বাঁধা হতো না। ওনার যৌন চাহিদা বেশী ছিল এই কথা হাদিসে আছে। কিন্তু যৌন চাহিদা বেশী থাকা আর লোভ এক জিনিস না। উনি কোন কিছুর ক্ষেত্রেই লোভী ছিলেন না। কোন পয়গম্বর কখনও লোভী হতে পারে না। এটা পয়গম্বরদের বৈশিষ্ট্য। তার গুনাহ মুক্ত।

কোরআন আল্লাহর বাণী। কোরআন দাস প্রথা নিষেধ করে দিতে পারতো বলে আপনি ভাবছেন। কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ এটা আল্লাহর চেয়ে বেশী কেউ কি জানে বলে আপনি মনে করেন। আল্লাহর প্রজ্ঞাকে আমাদের অবশ্যই মেনে নিতে হবে। কোরআনের নির্দেশনা সমালোচনার অনেক ঊর্ধ্বে। কোন মানুষের এই জ্ঞান নেই যে সে কোরআনের সমালোচনা করবে। কারণ কোরআন সব রকমের ত্রুটিমুক্ত। এটা আল্লাহর কথা। এখানে কোন দুর্বলতা বা অদূরদর্শিতার কোন সুযোগ নাই। আমাদের বোঝায় ভুল থাকতে পারে। ইসলামের অনেক বিধান আমাদের কাছে ভালো না লাগতে পারে। এটার কারণ হোল, যে পরিমান নিষ্ঠা, আধ্যাত্মিকতা ও আন্তরিকতা ইসলামের জন্য থাকা উচিত তা আমাদের নাই। আমাদের মধ্যে আধ্যাত্মিক উন্নয়ন না হোলে ইসলামের অনেক কিছু আমাদের ভালো লাগবে না। এই আধ্যাত্মিকতার ব্যাপারটা আসলে লিখে বর্ণনা করা বা শেখানো যায় না। এটা চর্চার ব্যাপার। এটা শুধু বান্দা আর আল্লাহর মধ্যে সম্পর্ক। অন্য কারো এখানে হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নাই। ইসলামকে পুরোপুরি না মানলে ইসলামকে কঠিন মনে হবে।

ইসলামে বিয়ে যেমন একটা চুক্তি তেমনি অধিকারভুক্ত দাসীদের সাথে যৌন সম্পর্কও আল্লাহর সাথে একটা চুক্তির মত। এই চুক্তিরও কিছু শর্ত আছে। দাসীর গর্ভে সন্তান আসলে তাকে বিক্রি করা যায় না। অর্থাৎ মনিবের সাথে দাসীর সম্পর্ক স্থায়ী হয়ে যায়। সন্তান পিতার পরিচয় দিতে পারে সামাজিকভাবে এবং পিতার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিস হিসাবে গণ্য হয়। দাসীকে যদি অন্য কারো সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয় সেই ক্ষেত্রে ঐ দাসী মনিবের সাথে পর্দা করবে। যৌন মিলনের তো প্রশ্নই ওঠে না। ইসলাম মানুষের অপ্রয়োজনীয় আবেগ, সামাজিক প্রথা এগুলিকে গুরুত্ব না দিয়ে মানুষের শারীরিক চাহিদা ও মানসিক চাহিদাকে গুরুত্ব দেয়। আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাই তিনি জানেন কোনটা মানুষের প্রাকৃতিক স্বভাবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

আর দাসী বলতে যুদ্ধাপরাধী নারীকে বুঝায়। যুদ্ধ ছাড়া দাস পাওয়ার কোন সুযোগ নাই। সেই যুদ্ধ অবশ্যই বৈধ জিহাদ হতে হবে। বৈধ জিহাদ হতে হোলে ইসলামি স্বীকৃত শাসক থাকতে হবে যার হুকুমে জিহাদ পরিচালিত হবে। ইসলামি রাষ্ট্রের সকল নিয়ম কানুন কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে পালন করতে হবে। বর্তমান পৃথিবীতে এই ধরণের রাষ্ট্র নাই বললেই চলে। সৌদি আরবেও ইসলামি শাসন নিয়ে সমালোচনা আছে। তাই এই যুগে আপনি দাসী পাবেন কোথায়। আই এস, আল কায়দা, তালেবান এরা জিহাদ করে বলে দাবি করে। কিন্তু এরা বর্তমান যুগের সাধারণ মুসলমান ও আলেমদের স্বীকৃতি অর্জন করতে পারেনি। কারণ তাদের অনেক কাজ শরিয়ত বিরুদ্ধ। কাজেই তাদের জিহাদের নামে নারী ভোগকে জায়েজ বলা যায় না। তাই বর্তমান পৃথিবীতে ইসলামে উল্লেখিত দাসী আসলে নাই। ভবিষ্যতে রসুল (সা) বা খোলাফায়ে রাশেদিনের মত পরিবেশ যদি আসে তখন দাসী সংক্রান্ত বিধান আবার কাজে লাগতে পারে।

আমি আগেও বলেছি যে ইসলামে দাস/ দাসী হোল বর্তমান সশ্রম কারাদণ্ডের মত। যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে তাদের শাস্তি হিসাবে দাস/ দাসী বানানো হয়। সাধারণ কাফিরদের দাস বানানো হয় না। যুদ্ধে যাদের ভুমিকা না থাকে তাকে দাস/ দাসী বানানো যায় না। যে সমস্ত কাফির নারী বা পুরুষ আল্লাহর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে তারা পৃথিবীতে এইভাবে সাজা পায়। এটা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। তারা মুসলমান না হোলে মৃত্যুর পরে আরও অনেক বেশী কঠিন শাস্তি পাবে।

দাসীর সাথে যৌনাচার আমাদের কাছে খারাপ মনে হতে পারে। আসলে এটা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। পৃথিবীর অনেক সমাজে বিয়ে ছাড়া যৌন সম্পর্ককে স্বাভাবিক মনে করা হয়। এগুলি আইনগত ও সামাজিক স্বীকৃতও আছে। কিন্তু আমাদের সমাজে এটা খুবই জঘন্য একটা কাজ। অনেক সমাজে সমকামিতা কোন সমস্যাই না। বরং সমকামীদের সুরক্ষার জন্য আইন আছে। কিন্তু আমাদের সমাজে সমকামিতা একটা ঘৃণ্য কাজ। ঐ সমাজগুলিতেও এক সময় এই কাজগুলিকে ঘৃণা করা হতো। তাই মানুষের মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি যুগের সাথে, সমাজের সাথে ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু আল্লাহর বিধান কোন নির্দিষ্ট সমাজ বা কালকে উদ্দেশ্য করে পাঠানো হয় নাই। কেয়ামত পর্যন্ত এই বিধান কার্যকর থাকবে তাই কোন আপেক্ষিকতা আল্লাহর বিধানে গণ্য করা হয় নাই। আপেক্ষিকতা আমরা তৈরি করেছি। কিন্তু পৃথিবীর সকল জাতির মানুষের মৌলিক প্রকৃতি একই রকম। এটা আল্লাহ জানেন। এই কারনেই আল্লাহর বিধান সকল দেশ ও জাতির জন্য একই রকম। আমাদের সমাজে অনেক কিছুই আপেক্ষিক। এককালে হত্যার শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড কিন্তু এখন পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশ মনে করে যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া ঠিক না। তাই সার্বজনীন কোন মান বা ষ্ট্যাণ্ডার্ড আপনি কোথাও পাবেন না। কিন্তু আল্লাহ জানেন যে পৃথিবীর সব মানুষের জন্য একটা মান আছে। এটা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। সেইভাবেই আল্লাহর বিধান দেয়া হয়েছে।

আল্লাহতালা কারো ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করে তার বিধান দেন না। কারণ কোরআনের বিধান দেশ, কাল, বর্ণ, গোত্র, সাদা, কালো সবার জন্য সমান। তাই আল্লাহর বিধানে অনেক অপশন রাখা হয়েছে। যে সমাজে দাসীর ব্যাপার খারাপ লাগে তারা সেই ক্ষেত্রে এই কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে। এটা একটা অপশন মাত্র। শ্লীলতা আর অশ্লীলতাও আপেক্ষিক। অনেক দেশে বাবা, মা, ছেলে, মেয়ে উলঙ্গ বা প্রায় উলঙ্গ হয়ে একত্রে গোসল করছে। এটা তাদের কাছে শ্লীল কিন্তু আমাদের কাছে অশ্লীল। আপনি যদি জাপান, কোরিয়া ইত্যাদি দেশের উন্মুক্ত গোসল দেখে সমালোচনা করেন তাহলে ওখানকার মানুষ আপনাকে নিয়ে হাসবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি সবই আপেক্ষিক। কিন্তু আল্লাহ জানেন কোনটা আপেক্ষিক না এবং সবার জন্য আবশ্যিকভাবে পালনীয়।

এভোর সাথে সুস্থ আলোচনা আমার ভালো লেগেছে। এই জন্য আমি এভোকে ধন্যবাদ জানাই। আমিও আশা করবো ব্লগাররা সব বিষয়েই সুস্থ আলোচনা করবেন। গালি, অশ্লীল কথা ইত্যাদি আমরা পরিহার করবো। সর্বোপরি বলবো যে আপনার উৎসাহ ছাড়া আসলে এই বিষয়গুলি নিয়ে বিতর্ক করতে সাহস করতাম না। আপনার এই ভালো উদ্যোগকে আমি স্যালুট জানাই। আপনি অনেক পেশাদারী মনোভাব নিয়ে আপনার দায়িত্ব পালন করেন। এটা আমার পর্যবেক্ষণ। আপনি নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেন। আমি হোলে অনেক আগেই ইস্তফা দিতাম। তাই আপনার ধৈর্য ও পেশাদারিত্ব প্রশংসার দাবিদার।

আমি চেষ্টা করবো কিছুদিন পরে দাস ও দাসী নিয়ে লিখতে। ইনশাল্লাহ।

৫৯| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মাধুকরী মৃন্ময় -
আমাদের মগজে এই সমাজ ঢুকিয়ে দিয়েছে যে যৌনতা খারাপ। আসলে ব্যাপারটা এমন না। যৌনতা পৃথিবীর একটা শ্রেষ্ঠ আনন্দের উপায়। আল্লাহ যেমন জানেন তেমনি আমরাও জানি কিন্তু মুখে বলতে লজ্জা পাই। কিন্তু ইসলাম এই ব্যাপারটাকে নিয়মের মধ্যে এনেছেন। সন্ন্যাসী হওয়া আসলে মানুষের স্বভাবের সাথে যায় না। আল্লাহও এরকম চাননি। দাসীর সাথে সেক্সকে আমাদের সমাজ মেনে নিতে পারে না। কিন্তু অনেক সমাজেই ব্যভিচার, উলঙ্গতা, সমকামিতা ইত্যাদিকে সহজভাবে মেনে নেয়। এগুলি আপেক্ষিক ব্যাপার। আমাদের কাছে ব্যভিচার, উলঙ্গতা, সমকামিতা জঘন্য মনে হলেও অনেক সমাজে এটা মানুষের অধিকার। আল্লাহর বিধানে কোন আপেক্ষিকতা নাই। আল্লাহ জানেন মানুষের স্বভাব। তাই সেইভাবেই বিধান দিয়েছেন। সমাজে কে কি বলল এটা আল্লাহর কাছে কোন বিষয় না। তবে আল্লাহ এইগুলিকে অপশন হিসাবে রেখেছেন। যার ভালো না লাগবে সে দূরে থাকবে। দেশ, কাল, সাদা, কালো, ধনী, গরিব সবার জন্য একটাই বিধান রাখা হয়েছে তবে কিছু অপশন রাখা হয়েছে। কারণ মানুষ আসলে মুলত একই রকমের। আমরা মনে করি অন্য সমাজের মানুষ সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের। মৌলিক বৈশিষ্ট্য সব মানুষের একই রকম।

ঐ দাসী বা দাস তো আসলে অপরাধী যে আল্লাহর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে। যার শাস্তির ব্যবস্থা এইভাবে করা হয়েছে।

৬০| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ কাল্পনিক ভালবাসা -
যে কারণে একটি মেয়ে একই সাথে দুই জন পুরুষকে বিয়ে করতে পারে না ঠিক একই কারণে নারী মনিব তার দাসের সাথে সেক্স করতে পারে না। সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে, কে পিতা সেটা নির্ণয় করাও একটা সমস্যা। ইসলাম আসলে পুরুষ নেতৃত্বে চালিত সমাজে বিশ্বাস করে। ইসলামের বিধানে সমাজ চালিত হয় মুলত পুরুষদের দ্বারা। নারীদের ক্ষেত্র অনেক ক্ষেত্রে সিমিত করা হয়েছে। নারী অনেক কিছুই করতে পারে আবার কিছু ক্ষেত্রে সীমানা আরোপ করা হয়েছে। এই ব্যাপারের হেকমত আল্লাহ ভালো জানেন। কোরআনের কিছু আয়াত পড়লেই বুঝতে পারবেন। নারীদের নিয়ে লেখা বিপদজনক তাই বেশী কিছু লিখলাম না।

৬১| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মক্কা বিজয়ের পরও কাফেররা দুই বছর মক্কাতে ছিলেন। খুব সামান্য কয়েকজনকে হত্যা করা তাদের কিছু অপরাধের শাস্তি হিসাবে। কাবার তওয়াফের স্থান, আবু সুফিয়ানের বাড়ি এবং প্রত্যেকের নিজের বাড়িকে নিরাপদ স্থান হিসাবে রসুল(সা) ঘোষণা দেন। যারা ঐ সব স্থানে ছিলেন তাদেরকে কিছু করা হয় নাই। সবাই মুসলমান হয় নাই। দুই বছর পর তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। কাফের সব মুসলমান হয়ে গেলে কাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছিল? ভুল তথ্য কখনই কাম্য নয়।

৬২| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সাড়ে চুয়াত্তুর ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ধৈর্য্য ধরে দীর্ঘ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ায়। এভো ভাইকেও অভিনন্দন তার বক্তব্য (যদিও একই কথার পুনরুক্তি বারংবার কাম্য নয়) তুলে ধরার জন্য।

সহনশীল এমন সুস্থ পরিবেশ কাম্য।

হাতে অতটা সময় ছিল না বলে এই পোস্টের আলোচনায় গতকাল আসতে পারিনি। তবে অলি দস্তির বই পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে হয়েছে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে। তিনি হয়তো বিশেষ কোনো দলের বা গোষ্ঠীর হয়ে বইটি লিখেছেন। যে কথা বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের ১২ নং কমেন্টেও ফুটে উঠেছে। তার মন্তব্যে সহমত।

মিথ্যের অপনোদনে উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক প্রকৃত সত্য। আর সত্যের দিগন্ত প্রসারিত জোৎস্না স্নাত ভরপুর সেই আলোক আভায় আলো ঝলমলে, ধুসর-ধ্ববল এবং শুভ্র-সফেদ হয়ে উঠুক আমাদের মনের জমিন।

৬৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩২

এভো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর কমেন্ট ৪৫ ----
@ এভো - ৪৩ নং মন্তব্যের উত্তর - আমি ইসলামী স্কলার এবং বিধর্মী স্কলার সবার বক্তব্য দিয়েছি। যেটা উইকিপিডিয়াতে আছে। ওখানে বলা আছে বিস্তারিত। আপনি এরপর বলবেন যে চুক্তিতে বানান ভুল ছিল
শুনুন উইকিপিডিয়ার কোন রিলিয়েবেল সোর্স নহে এবং এটার রেফারেন্সকে নির্ভুল হিসাবে গ্রহন করা হয় না। বি ধর্মী স্কলারের লিখা বলতে কি বোঝাচ্ছেন, ঐ সময়ের ইসলামের যত বর্ণনা পাওয়া যায় সবই মুসলমানদের লিখা এবং মুসলমানরা তখন ক্ষমতায় এবং নিজেদের মত করে লিখেছে ।
আমি অলরেডি ইসলামিক দলিল থেকে দেখিয়েছি বনু কুরাইজা কুরাইশদের সাথে হাত মিলায় নি ।
আমি অলরেডি ইসলামিক দলিল থেকে দেখিয়েছি বনু কুরাইজাদের সবাইকে হত্যা করা হবে ( আবু লাবাবার ঈংগিত ), এটা প্রিপ্ল্যান ডিসিশন যেটা পরবর্তি সময়ে বিচারে প্রতিফলিত হয়েছে ।
এই ধরনের গণ হত্যা নাকি আল্লাহ ইচ্ছার প্রতিফলন , এমন দাবি হাদিসে করা হয়েছে ।
আমি শিওর যদি এই ইনফরমেশন আপনার ঐ উইকিপিডিয়ায় দেওয়া হয় , সাথে সাথে ডিলিট করে দিবে । আপনার উইকিপিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে -- বনু কুরাইজা চুক্তি ভংগ করেছে কিন্তু নিজেদের দলিল প্রমাণ করছে তারা কোন কুরাইশদের সাথে হাত মিলায় নি ।

৬৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তরঃ না ভাই, এটা আমি বলি নি। আমি বলেছি, ঐ কথাটা হয়ত অনেকেই যুক্তি হিসাবে দেখাবেন।

৬৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো - আপনি নতুন নকিব ভাইয়ের পোস্টটা পড়তে পারেন। ঐখানে বনু কুরাইজার কিছু ইসলামি সুত্র আছে। আমিও কোরআনের একটা সুত্র দিচ্ছি নীচে। আপনি মনে হয় উইকিপিডিয়া পড়েন নাই। ঐখানে দেখবেন যে অনেক পশ্চিমা লেখকের সুত্র আছে। যেমন উইলিয়াম মন্তগমারি ওয়াট। উদাহরণ হিসাবে দিচ্ছি;

According to Hashmi, Buchanan ( James Buchanan) and Moore, the tribe agreed to surrender on the condition of a Muslim arbitrator of their choosing.

উইকিপিডিয়াতে ভুল জিনিস সাধারনত থাকে না। কারণ এটা সবার কাছে উন্মুক্ত একটা তথ্য ভাণ্ডার।
ইসলামি সুত্রের জন্য এই আয়াতটা দেখেন, এটা বনু কুরাইজা সংক্রান্ত;

“আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা কাফেরদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল, তাদেরকে তিনি তাদের সুদৃঢ় দূর্গ থেকে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি ও শঙ্কা নিক্ষেপ করলেন। ফলে তোমরা (তাদের) একদলকে হত্যা করেছ এবং একদলকে বন্দী করেছ।” (সুরা আল আহজাব, আয়াত ২৬)

এই আয়াতের তফসিফের অংশ বিশেষ তুলে দিলাম;

ঐতিহাসিক বর্ণনায় এসেছে, মদীনায় ইহুদিদের তিনটি গোত্র বাস করত যাদের প্রত্যেকটির সঙ্গেই মুসলমানদের সন্ধি চুক্তি ছিল। এদের মধ্যে দু’টি গোত্র দ্বিতীয় ও চতুর্থ হিজরিতে চুক্তি ভঙ্গ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুই গোত্রকে মদীনা থেকে বের করে দেয়া হয়। তবে বনি কুরাইযা নামের তৃতীয় গোত্র তখনও মদীনায় বাস করছিল। পঞ্চম হিজরিতে আহযাবের যুদ্ধের সময় এই ইহুদি গোত্রটি মক্কার কাফেরদের সঙ্গে গোপনে মিত্র চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। ওই যুদ্ধে মক্কার কাফেররা পরাজিত হলে ভয়ে ইহুদিরা ভয়ে নিজেদের দুর্গে আশ্রয় নেয়। এ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর কাছ থেকে এই নির্দেশ পান যে, সন্ধির চুক্তি ভঙ্গকারী এই ইহুদি গোত্রকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হবে। এ কারণে মুসলমানরা বানি কুরাইযা গোত্রের দুর্গ অবরোধ করেন এবং কিছুদিনের মধ্যে এক সংঘর্ষে ওই দুর্গ দখল করতে সক্ষম হন।

আরও সহি হাদিস আছে। লাগলে দিতে পারবো।

৬৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই - আসলে আমি সরি। আমি হয়তো বুঝতে পারি নাই। তবে আপনার লেখায় সেই রকম মনে হয়েছে। আমি একটু আশ্চর্যও হয়েছিলাম। শুনে ভালো লাগলো। কারণ আমার আপনার সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে ইসলামের ব্যাপারে। তাই আপনি বলেন নি শুনে ভালো লাগলো। আমার বোঝার ভুলের জন্য আমি দুঃখিত। ভালো থাকবেন।

৬৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১

এভো বলেছেন: এখনে ইসলামিক ডকুমেন্ট থেকে উদৃতি দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বনু কুরাইজার ঘটনা নিয়ে, সবাইকে আহবান কোরছি ভিডিও টি শুনুন এবং নিজেরাই সিদ্ধানত নিন , আসল সত্যটা কোনটি --

Click here for the link

৬৮| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ইরানের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও স্কলার আলী দাস্তির এই বইটি আমি আজ থেকে কয়েক বছর আগেই পড়েছি কিন্তু এনিয়ে কথা বলা বা আলোচনা করাকে নিরাপদ ভাবিনি বা এখনো ভাবছি না।

শুধু একটি তথ্যই এখানে দিই, আলী দাস্তি তার জীবিতাবস্থায় নিরাপত্তাজনিত কারনে এ বই ইংরেজীতে অনুবাদ করতে নিষেধ করেছিলেন। তার মৃত্যু হয়েছিল আয়াতুল্লাহ খামেনীর ক্ষমতাগ্রহণের পর বন্দী অবস্থায়।

৬৯| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩১

বিটপি বলেছেন: এভো, আপনি শেয়াল পণ্ডিতের মত এক কুমিরের বাচ্চা বারবার দেখাচ্ছেন এবং আবু লুবাবের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটা গণহত্যা করে নিজের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের জন্য বনু কুরাইজার হত্যাকান্ড চালান। তো রাসূলুল্লাহর (স) যদি সেরকম উদ্দেশ্যই থাকত, তবে বনু কুরাইজাকে তাদের বিচারক বেছে নেবার স্বাধীনতা দিলেন কেন? আর একই ধরণের নৃশংসতা বনু কাইনুকার ক্ষেত্রে দেখাননি কেন, যদিও তাদের অপরাধ কোন অংশে কম ছিলনা!

মানবতার নবী বলেই কি আপনি দাবী করছেন যে বনু কুরাইজার মনোনীত বিচারকের রায় রাসুলুল্লাহ (স) অগ্রাহ্য করে ক্ষমার সিদ্ধান্ত তাদের উপর চাপিয়ে দেবেন? তারা তো তাঁকে নবী/বিচারক হিসেবে স্বীকারই করেনি। তবে তাদের ক্ষেত্রে এত মহানুভবতা তিনি সেধে সেধে দেখাতে যাবেন কেন?

৭০| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ২:৫৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: আশাকরি এখানে মন্তব্য করে কোন ট্যাগ খাব না, আমি নিজেকে বিশ্বাসী বলেই জানি। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে ইতিহাস পড়ার চেষ্টা করেছি, ইবনে হিশাম, তাফসীর আল জালালাইন, কাছীর থেকে বুঝার চেষ্টা করেছি।

ইতিহাসের দায়বদ্ধতা থেকে ইসলামের প্রাথমিক যুগের লেখক যেমন ইবনে হিশাম, কাছির এরা অনেক অপ্রিয় সত্য লিখেছেন যেগুলো ইচ্ছে করলেও হাইড করতে পারতেন এবং এখন কেউ সেগুলো লেখলে কোন কোন পক্ষ তাদেরও বিভিন্ন ট্যগ দিতেন।

অনেক কিছুই বলা যায়, তবে আমার সাড়ে চুয়াত্তর এর ১৫ নাম্বার মন্তব্য চোখে পরল। তিনি যথার্থ বলেছেন অনেক কিছু, আমি শুধু তার শেষের বাক্যটি নিত্যে বলব অন্যগুলো নিয়ে বলার সময় নাই। শেষের বাক্যটি তিনি সত্যি বলেন নি বা জানেন না! তিনি বলেছেন যদি তারা মীমাংসার দায়িত্ব রাসূলকে (সা:) কে দিত, তাহলে হয়ত পূর্বেকার দুই গোত্রের মত তিনি তাদেরও মদিনা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিতেন।

ইবনে হীশাম এ স্পষ্ট আছে যখন সাদ ঘোষণা করল 'আমার ফয়সালা এই যে বনু কুরাইযার সব পুরুষকে হত্যা করা হোক, সমস্ত ধন সম্পদ বণ্টন করে দেয়া হোক এবং স্তী ও সন্তানদের বন্দী করা হোক' তখন নবী বললেন 'তোমার ফয়সালা সাত আসমানের ওপর আল্লাহর যে ফয়সালা এসেছে তারই অনুরূপ'। এই বাক্য থেকে প্রমাণিত হয় নবীও এই ফয়সালায় একমত এবং বিচার কার্য তার উপর থাকলে তিনিও একই সিদ্ধান্ত নিতেন। সাদ এর ফয়সালা যদি সাত আসমানের এর অনুরুপ হয় তাহলে নবী এই সিদ্ধান্ত নিলে সেটাও সাত আসমানের ওপর আল্লাহর যে ফয়সালা অনুরুপ বৈ ব্যাতিক্রম হত না!

আলোচনা জমে উঠেছে পাঠক হিসেবে মন্তব্য গুলো পড়ব!

৭১| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:৪৮

এভো বলেছেন: বিটিপি কমেন্ট ৬৯ ----

কাছের মানুষের ৭০ নং কমেন্টে এর উত্তর দেওয়া হয়েছে --
ইবনে হীশাম এ স্পষ্ট আছে যখন সাদ ঘোষণা করল 'আমার ফয়সালা এই যে বনু কুরাইযার সব পুরুষকে হত্যা করা হোক, সমস্ত ধন সম্পদ বণ্টন করে দেয়া হোক এবং স্তী ও সন্তানদের বন্দী করা হোক' তখন নবী বললেন 'তোমার ফয়সালা সাত আসমানের ওপর আল্লাহর যে ফয়সালা এসেছে তারই অনুরূপ'। এই বাক্য থেকে প্রমাণিত হয় নবীও এই ফয়সালায় একমত এবং বিচার কার্য তার উপর থাকলে তিনিও একই সিদ্ধান্ত নিতেন। সাদ এর ফয়সালা যদি সাত আসমানের এর অনুরুপ হয় তাহলে নবী এই সিদ্ধান্ত নিলে সেটাও সাত আসমানের ওপর আল্লাহর যে ফয়সালা অনুরুপ বৈ ব্যাতিক্রম হত না!

তো রাসূলুল্লাহর (স) যদি সেরকম উদ্দেশ্যই থাকত, তবে বনু কুরাইজাকে তাদের বিচারক বেছে নেবার স্বাধীনতা দিলেন কেন?
যা কেই বিচারক করা হোক না কেন , বিচারের রায় একই হোত এবং ওদের সবাই জানত , যেমন আবু লুবাবা জানতো ।

আর একই ধরণের নৃশংসতা বনু কাইনুকার ক্ষেত্রে দেখাননি কেন, যদিও তাদের অপরাধ কোন অংশে কম ছিলনা!

আপনি ৬৭ নং কমেন্টের একটা লিংক দেওয়া হয়েছে সেটা দয়া করে শুনুন সব কিছু ইসলামিক দলিল দিয়ে আলোচনা হয়েছে ।


৭২| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:০১

সাসুম বলেছেন: @কাভা ভাই- আপনার ও এক্সপ্লেনেশান দিয়ে যেতে হয় আপনি সহীহ মোসলমান এবং কোন কিছু নিয়ে প্রশ্ন তোলেন না। ইন্টারেস্টিং।

যাই হোক- আপনার দাস দাসীর সেক্স এর প্রশ্ন তোলা অন্যায় না বরং এটাই সত্য সন্ধানীদের কাজ।

যেখানে বিদায় হজে দ্বীন কে পরিপূর্ন করে যাওয়া হয়েছিল- সেখানে এত বড় বেদ্বীন মার্কা কাজ কারবার রেখে যাওয়া টা বিশাল বিশাল প্রশ্ন তোলে বৈকি। এবং এরকম আরো অনেক কিছু প্রশ্ন থেকে যায় বলেই মানুষ প্রশ্ন করে।

কারন- জ্ঞানের মূল জিনিষ ই হল- আগে প্রশ্ন করা, এরপর প্রশ্নের উত্তর খোজা।

আল্লাহ সকল মানুষ কে তার ইবাদতের জন্য ক্রিয়েট করেছেন। কিন্তু কোথাও এটা বলেন নাই- কিছু মানুষ কে আমি সুপিরিয়র হিসেবে অন্য মানুষ কে দাস বানানোর আদেশ দিয়েছি। এটা কোথাও নাই।

সকল মানুষ সমান। সকলের অধিকার সমান। কাউকে দাস বানানো বা কাউকে সেক্স স্লেভ বানানো - এটা সভ্যতার অন্যতম একটা কালো দিক।

মানুষ হিসেবে আমরা চাই আমাদের নিজেদের কে উপরে রাখতে। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই যখন আম্রিকান ইন্ডিপেন্ডেন্স এর আইন হল সেখানে দাস ব্যবস্থার বিলোপ করা হল। সবাই কি মেনে নিয়েছিল??

না। বরং সাউথ এর স্টেট গুলার সাথে একটা ব্লাডি সিভিল ওয়ার করতে হয়েছিল এই দাস ব্যবস্থা বিলোপ করার জন্য খোদ আম্রিকান দেরই।

এটা মানব অত্যাচারিত সুবিধাভোগীদের ধর্ম। তারা চাইবেই তাদের নীচে ফেলে রাখতে তাদের চেয়ে কম সুবিধাভোগীদের।

এটা এই যুগে যেমন প্রচলন আছে ঠিক সেইম ভাবে ৫০০ এর শতকেও ছিল। কিংবা আরো আগে যদি যান-

১২০০ বিসির দিকে তখনো ছিল। ব্যাবিলনের হামুরাবি কোড এর দিকে তাকান তাহলে দেখতে পাবেন- সেখানে সমাজের সুপিরিয়র দের দেয়া হয়েছে উচ্চ মর্যাদা আর স্লেভ দের দেয়া হত দাস দাসীর মর্যাদা। একটা স্লেভ যদি কোন কারনে কোন হাই সোসাইটির কাউকে আঘাত করত তার শাস্তি হত স্লেভ এর খুনের মাধ্যমে আর কোন সুপিরিয়র কেউ যদি কোন স্লেভ কে খুন করেও ফেলত তার শাস্তি হত ৩০ টা সিল্ভার এর মুদ্রা জরিমানা দেয়ার মাধ্যমে।

এবং এটা এই যুগেও কন্টিনিউ আছে। আমি আপনার নামে আজকে কোন মেয়েকে সেক্স স্লেভ হিসেবে রাখার অভিযোগ উঠলে এবং সেই মেয়ে সুইসাইড করলে আমাদের ফাসি কেউ আটকাতে পারত না। সেইম কাজ বসুন্ধরার মালিকের পোলার বিরুদ্ধে উঠেছিল- মুনিয়ার সাইসাইড এর চার্জশিটে আনভির এর নাম বাদ রেখেই বিচার সমাপ্ত। যুগে যুগে এভাবেই সুপিরিয়র রা টিকে গেছে।

৭৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:২২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কে কি বলে দেখছি।

৭৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ কাছের - মানুষ

যদি তারা মীমাংসার দায়িত্ব রাসূলকে (সাঃ) দিত, তাহলে হয়ত পূর্বেকার দুই গোত্রের মত তিনি তাদেরও মদিনা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিতেন।

উপরের এই মন্তব্যটা আসলে আমার না। ১৫ নং মন্তব্যটি quora তে পাওয়া অন্য একজনের একটি জবাব। যেটা আমি তুলে হুবহু তুলে দিয়েছি। আমি সেটা উল্লেখও করেছি। ওনার এই কথাটা যৌক্তিক না। উনি ভুল ধারণা করেছেন।

হাদিসে এসেছে যে রসুল (সা) বলেছেন যে ঐ বিচারক সঠিক বিচার করেছেন। যেটা আপনিও আপনার মন্তব্যে হাদিসের সুত্রে বলেছেন। বিশ্বাস ঘাতকের শাস্তি ইসলামে সব সময়ই মৃত্যুদণ্ড। এমনকি আমাদের সমাজেও আমরা তাই মনে করি। তাই রসুলও (সা) সেই আদেশই দিতেন । অনেকে এই বিশ্বাস ঘাতকদের জন্য মায়া কান্না কাঁদছেন।

৭৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আলী দস্তি ও পোষ্ট দাতার সন্দেহে আমার প্রচুর সন্দেহ রয়েছে, কারণ তিনি নবি (সা:) না হলে তাঁর এমন কড়াকড়ি নিয়মে ইবাদত করতে হবে কেন? যেমন সপ্তাহে পঁয়ত্রিশ ওয়াক্ত নামাজের বদলে এক ওয়াক্ত নামাজ হলেই তো হত। তার মধ্যে ওজু গোসল তো আছেই। আর আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি কোন কাজ করলে তো আর সেটার দায় তাঁর নয়। আর আল্লাহর দোষ-ত্রুটি দেখে কিলাভ? একমাত্র দেখার বিষয় বাস্তবে আল্লাহ বলে কেউ আছে কিনা। আমার ‘আল্লাহর অকাট্য প্রমাণ নামে একখানা পুস্তকেআছে। রকমারিতে সারচ দিলে পাওয়া যাবে।

৭৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪২

বিটপি বলেছেন: রাসূল (স) ছিলেন রাহমাতুল্লিল আলামিন। তিনি সারা বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে নাজিল হয়েছেন - গজব হিসেবে নয়। তায়েফে চরমভাবে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়ে তিনি যখন ফেরত আসেন, তখন জিব্রাইল (আ) তাঁর কাছে অনুমতি চান পাহাড় ধসিয়ে তাদেরকে ধ্বংস করে ফেলার জন্য। কিন্তু রাসূল (স) জিব্রাইলকে এই অনুমতি দেননি।

তাঁর যুক্তি ছিল, তায়েফবাসী তাঁর কাছে এসে তাঁকে লাঞ্ছিত করেনি। তিনিই তাদের কাছে গিয়েছেন। সত্যের পথে আহবান করেছেন। তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল তা মানা বা না মানার। তারা তো মানেইনি, উলটো তাঁকে লাঞ্ছিত করেছে। এখন এজন্য যদি আল্লাহর গজব তাঁদের উপর নাযিল হয়, তবে তো এটা প্রতিষ্ঠিত হবে যে, তিনি সেখানে গিয়েছেন বলেই তায়েফবাসী গজবের শিকার হয়েছে।

৭৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫০

বিটপি বলেছেন: এবার আসি আসল কথায়। বনু কুরাইজা গোত্র মুসলিমদের চরম দুঃসময়ে তাদের সাথে বেঈমানী করেছিল। সেই মুসলিমরা যখন দুঃসময় কাটিয়ে ওঠে, তখন তাদেরকে চরম শিক্ষা দেয়া অত্যন্ত জরুরী হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বনু কুরাইজা রাসূলের (স) বিচারের উপর ভরসা করতে পারেনি। তাই যদি করত, তবে রাসূল (স) বিশ্বাসঘাতক অন্যান্য গোত্রের সাথে যেরকম আচরণ করেছিলেন, বনু কুরাইজার সাথেও সেরকম দায়াশীল আচরণ করতেন - একথা চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায়।

কিন্তু বনু কুরাইজা অন্য আরেকজনকে বিচারক মানলেন এবং সেই বিচারক বনু কুরাইজার নিজস্ব ধর্মগ্রন্থে যা বিধান আছে, সেইমতই রায় দিলেন। স্বভাবতই দয়াল নবী সেই রায় পছন্দ করলেন না (এটা আমার অনুমান)। আর আল্লাহ যেহেতু নবী (স) কে খুশী করতে দেরি করেন না, তাই তিনি তাঁর হাবীবকে জানিয়ে দিলেন যে, এই রায় আল্লাহ্‌র পছন্দ মতই হয়েছে। যাতে নবী (স) সেই রায় মেনে নেন।

৭৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫৩

বিটপি বলেছেন: যারা এই রায়ে খুশি নন, তারা ইতিহাস ঘেঁটে বলুন তো, রাসূল (স) জীবনে আর যত যুদ্ধ করেছেন, কোন যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে কি এরকম কঠোর রায় দিয়েছেন? দেননি। তার মানে একটাই, রাসূল (স) রহমতের নবী। একটাই কেস বনু কুরাইজা, যেই বিচার রাসূল (স) নিজে করেননি, করেছেন বিবাদী মনোনীত বিচারক। যেটা রসদ তুলে দিয়েছে ইসলাম নিয়ে যারা নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা করে, তাদের হাতে।

৭৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬

এভো বলেছেন: বিটপি বলেছেন: এবার আসি আসল কথায়। বনু কুরাইজা গোত্র মুসলিমদের চরম দুঃসময়ে তাদের সাথে বেঈমানী করেছিল।

আপনি কি উপরে কমেন্ট গুলো পড়েছেন এবং দলিল গুলো দেখেছেন ? আপনারা দাবি করছেন বেঈমানী করেছে , তাহোলে দলিল থেকে কোন প্রমাণ দাখিল করছেন না কেন ? আপনি তো দেখছি কুমিরের বাচ্চা দেখানোর মত বার বার একই দাবি করে যাচ্ছেন তারা বেঈমানী করেছে কিন্তু কোন দলিল নেই এর পক্ষে । সবার আগে প্রমাণ করুন তারা কুরাইশদের সাথে হাত মিলিয়েছিল কিনা ??
খন্দকের এক প্রান্তে ছিল কুরাইশদের ১০০০০ সৈন্যের বহর এবং তাদের কে খন্দকের এপার থেকে ১০০০ মুসলমান মোকাবেলা করছিল , কুরাইশ বাহিণী কিছুতেই খন্দক অতিক্রম করতে পারছিল না তীর বৃষ্ঠির কারনে । মুসলমান বাহিণীর পিছনে ছিল বনু কুরাইজাদের এলাকা এবং এই অবস্থায় তারা যদি পিছন হতে মুসলমানদের আক্রমণ করে বোসতো তখন , মুসলমানরা ছত্র ভংগ হয়ে যেত , কুরাইশরা খন্দক অতিক্রম করে এদিকে চলে আসতো এবং সমস্ত মুসলমানদের পরাজিত কোরতো ।
এবার প্রমাণ করুন বনু কুরাইজারা কোন আক্রমণ করেছিল কিনা । ইসলামিক দলিলেই এই ঘটনার বর্ণনা আছে এবং আমার করা ৬৭নং কমেন্টে এই বিষয়ে ইসলামিক দলিল থেকে আলোচনা করা হয়েছে , সেটার লিংকটা ক্লিক করে জাস্ঠ কিছুক্ষণ শুনুন ।
ইসলামিক দলিলে পরিষ্কার বর্ণনা আছে -- কুরাইশরা বনু কুরাইজাদের কাছে সাহায্যের প্রস্তাব পাঠিয়ে ছিল এবং বনু কুরাইজারা সেটা প্রত্যাখান করে । আমি একটা স্কিন সট দিয়েছি আমার ৩৮ নং কমেন্টে প্রথম স্কিন সট নিল রংগের কাগজে , সেখানে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে কুরাইশ নেতা আবু সুফিয়ান বোলছে বনু কুরাইজা তাদের সাথে বেঈমানী করেছে ।
এবার দয়া করে একই প্যাচাল না পেড়ে --- বনু কুরাইজা যে বেঈমানী করেছে তার পক্ষে দলিল পেশ করুন ।

বেঈমানীর প্রমাণ পেশ করার পর --- বিচার নিয়ে কথা বলা যাবে এবং আমি অলরেডি সেই বিচার নিয়ে কথা বলেছি এবং আমার করা ৭১ নং কমেন্টে আবারো বলেছি । আপনি দয়া করে আগের কমেন্ট গুলো পড়ে মন্তব্য করুন । ধন্যবাদ

৮০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন আর সহি হাদিসের উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে। সকল দলিলের বড় দলিল এগুলি। না মানলে কিছু করার নাই।

৮১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৫

এভো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন আর সহি হাদিসের উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে। সকল দলিলের বড় দলিল এগুলি। না মানলে কিছু করার নাই।
বাকি ইসলামিক দলিল গুলো সব ভুয়া তাই না , বাকি হাদিস গুলো সব ভুয়া ? সব মুসলমান এমন কি নবী নিজে ও জানতেন বনু কুরাইজারা কুরাইশদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে এবং সেগুলো ও হাদিস আছে , সেগুলো প্রমাণীত সত্য কারন যদি বনু কুরাইজা পিছন থেকে আক্রমণ করে বোসতো তাহোলে মুসলমানদের পরাজয় অনিবার্য ছিল এবং কুরাইশরা খন্দক অতিক্রম করে এপারে চলে আসতো ।
যেহেতু এমন কিছু ঘটেনি সেহেতু বনু কুরাইজা কোন বেঈমানী করে নি । যদি বনু কুরাইজা কুরাইশদের সাথে হাত মিলাতো তাহোলে মুসলমানদের পরাজয় ছিল অনিবার্য । এবার প্রমাণ করুন বনু কুরাইজা পিছন থেকে আক্রমন করেছিল কিনা ?

৮২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উইকিপিডিয়াতে ইসলামী স্কলারদের বর্ণনা আগেই অনেকবার দেয়া হয়েছে। আপনি একটা ব্যতিক্রমী ইসলামী বর্ণনাকে সহি বলার চেষ্টা করছেন। ইসলামে অনেক বিষয়েই আলেমরা অনেক সময় বিভিন্ন মতামত দেন। সবগুলি তো একই সাথে ঠিক হতে পারে না। আলেমদের মতামতের চেয়ে কোরআন ও সহি হাদিসের বর্ণনা অনেক বেশী শক্তিশালী প্রমাণ। এগুলি ভুল হওয়ার কোন সম্ভবনা নাই। কোরআন ভুল হতে পারে না এবং সহি হাদিস ভুল হতে পারে না। এই বিষয়ে আরও ইসলামী মনিষীদের বর্ণনা দেয়া যায়। কিন্তু এখন এই পুরনো পোস্ট নিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে না। তবে আগেই বলেছি যে উইকিপিডিয়াতে ইসলামিক স্কলারদের বক্তব্য আপনাকে কয়েকবার দেয়া হয়েছে। আর কষ্ট করতে পারবো না। সরি।

৮৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:৫৫

এভো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উইকিপিডিয়াতে ইসলামী স্কলারদের বর্ণনা আগেই অনেকবার দেয়া হয়েছে।

এটা কোন নির্ভর যোগ্য রেফারেন্সের স্থান নহে ।

Can we use Wikipedia articles as references in a research paper?

Wikipedia can be a great tool for learning and researching information. However, as with all reference works, not everything in Wikipedia is accurate, comprehensive, or unbiased.

-----------
Wikipedia is not a reliable source for academic writing or research. Wikipedia is increasingly used by people in the academic community, from freshman students to distinguished professorship, as an easily accessible tertiary source for information about anything and everything, and as a quick "ready reference", to get a sense of a concept or idea.

However, citation of Wikipedia in research papers may be considered unacceptable, because Wikipedia is not a reliable source.[1][2][3]
Many[4] colleges and universities (especially in some high schools and private schools) have a policy that prohibits students from using Wikipedia as their source for doing research papers, essays, or anything equivalent. This is because Wikipedia can be edited by anyone at any moment. Although when an error is recognized, it is usually fixed. However, because Wikipedia cannot monitor thousands of edits made every day, some of those edits could contain vandalism or could be simply wrong and left unnoticed for days, weeks, months, or even years.[5]

Wikipedia is not a reliable source for academic writing or research.
সুতরাং যদি বিদ্যাবুদ্ধি থাকে তাহোলে উইকিপিডিয়াকে আর রেফারেন্স হিসাবে দেখাবেন না ।

আপনি একটা ব্যতিক্রমী ইসলামী বর্ণনাকে সহি বলার চেষ্টা করছেন


ইবনে হিশামের সিরাতুন নবী গ্রন্থের তৃতীয় খন্ডের ২২৮ নং পৃষ্ঠায় পরিষ্কার ভাবে সব কিছু লিখা আছে ( ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত )এবং অবশ্যই এটা সহি ।

৮৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:১৭

বিটপি বলেছেন: বনু কুরাইজা পেছন থেকে আক্রমণ করেনি, কারণ সেই সাহসই তাদের হয়নি। মুসলিমদেরকে আক্রমণ করার আগে তাদেরকে আরো বেশ কয়েকটি লোকাল গোত্র অতিক্রম করে যেতে হত। বাধা আসলে তাদের পক্ষ থেকেই আগে আসত।

বনু কুরাইজা মুসলিমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিল যে, মুসলিমগণ আক্রান্ত হলে তারা সাহায্যে এগিয়ে আসবে। তা কি তারা করেছিল? করেনি। তারা অপেক্ষায় ছিল কুরাইশরা আগে মুসলিমদেরকে পরাভূত করবে এরপর তারা মাঠে নামবে। এটা নিশ্চিত করার জন্য বনু নজীরের সরদার হুয়াই বিন আখতাবকে নিজেদের দূর্গে বন্দী করে রাখে। এ আলোচনা এখানে অনেকবার করা হয়েছে। তারপরেও যদি মনে হয় বনু কুরাইজা ধোয়া তুলসী পাতা ছিল এবং রাসূল (স) কেবল নিজের ক্ষমতা দেখানোর জন্য সেখানে পাইকারী গণহত্যা চালিয়েছেন (যেটা তিনি জীবনে আর কোথাও কখনও করেননি), তাহলে আমার তর্কের মশল্লা আসলে ফুরিয়ে গেছে। আমি এখানেই চুপ।

৮৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৩৭

সাসুম বলেছেন: বিশাল আলোচনা থেকে সারাংশ এবং বিস্তারিত অনেক অনেক রেফারেন্স ঘেটে যা বুঝলামঃ

বনু কুরাইজার মুসলিম দের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিল- মুসলিম রা আক্রান্ত হলে তারা সাহায্য করবে। তারা করে নাই, বরং নিজেদের কে দুর্গে বন্ধী করে রাখে। সো তারা দুধে ধোয়া তুলসি পাতা না। কুরাইশ রা বনু কুরাইজা দের কাছ থেকে সাহায্যের জন্য আহবাদ করলেও তারা সেটা প্রত্যাখ্যান করে।

বনী কুরাইজারা যে চুক্তি ভংগ করেছে, সেটা কেউ জানত না, একমাত্র জিব্রাইল ছাড়া। তিনি না বলে দিলে নবী মোহাম্মাদ ও এটা জানতেন না।

বনু কুরাইজার দের কে জবাই করার শাস্তি যেটা দেয়া হয়েছে- সেটা তাওরাত এর আইন অনুযায়ী হয়েছে এবং এই রায় দিয়েছে তাদের মনোনিত বিচারক সাদ।

এই জেনোসাইড এর রায় যদিও তাওরাত অনুযায়ী হয়েছে তবে এই রায় একদম পুরাপুরি আল্লাহ ও তার রাসুল এর মনোমত হয়েছে এবং নবী মুহাম্মদ কে এই রায় দিতে হলেও তিনিও সেইম রায় দিতেন।

ইস্লামে বিশ্বাস ঘাতকতার শাস্তি অনেক মারাত্মক- সাহায্য করবে বলে সাহায্য না করার শাস্তি লাইনে দাড় করিয়ে জবাই করা সকল পুরুষ দের।

তবে , যাদের বগল তলে চুল উঠে নাই সেই সকল বাচ্চাদের কে জবাই না করে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়া জায়েজ।

আরো, আছে- একটু আগে ইহুদি দের জবাই করা নেতার সব চেয়ে সুন্দরী স্ত্রী রায়হানা কে যুদ্ধ জয়ী নেতা হিসেবে নবী মুহাম্মাদ এর নিজের করে নিতে পারেন এবং বাকি নারীদের সেক্স স্লেভ হিসেবে বিলিয়ে দিতে পারেন গনিমত এর মাল হিসেবে।

তবে, গনিমতের মাল ভাগ দেয়ার সময়- যে সব ইসলামিক যোদ্ধার ঘোড়া ছিল তারা পায়ে হেটে যুদ্ধ করা মোসলমান দের চেয়ে ৩ গুন বেশি দাস দাসী ও গনিমতের মাল পেয়েছিল ভোগ করার জন্য।

শুধু ভোগ ও বিলানো না, বরং আরো ঘোড়া ও অস্ত্র কিনার জন্য বেশ কিছু নারী কে সেক্স স্লেভ ও কিছু শিশু কে বিক্রি ও করা হয়েছিল দাস হিসেবে পরবর্তীতে।

এবং সব শেষ কথা- যেহেতু আল্লাহর নিজের ইচ্ছায় এই জেনোসাইড হয়েছে সো- এখানে নবী মুহাম্মদ কে একা দোষারোপ করার কোন মানে নেই। কারন- আল্লাহ নিজেই বলেছেন- এই বিচার ই ছিল উনার চাওয়া।

যদিও অনেকে বলে থাকেন, প্রিয় নবী মুহাম্মদ কে যাতে অপমানিত না হতে হয়, সে জন্য আল্লাহ তার প্রিয় বান্দার কাধে না দিয়ে এই বিচার এর জাস্টিফিকেশান নিজের কাধে নিয়েছেন।

যাই হোক - আসল কথা, তলোয়ার যার হাতে, তার সাথে তর্কে গিয়ে লাভ নেই। নিজের কল্লা বাচানো ফরজ।

৮৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো- ইবনে কাসিরের তফসির থেকে নীচে দিলাম;
Ibn Kathir, mentioned the sequence of events in his Tafsir, as follows:

The Messenger of Allah returned to Al-Madinah in triumph and the people put down their weapons. While the Messenger of Allah was washing off the dust of battle in the house of Umm Salamah, may Allah be pleased with her, Jibril, upon him be peace, came to him wearing a turban of brocade, riding on a mule on which was a cloth of silk brocade. He said, "Have you put down your weapons, O Messenger of Allah" He said, "Yes" He said, "But the angels have not put down their weapons. I have just now come back from pursuing the people." Then he said: "Allah, may He be blessed and exalted, commands you to get up and go to Banu Quraiza. According to another report, "What a fighter you are! Have you put down your weapons" He said, "Yes". He said, "But we have not put down our weapons yet, get up and go to these people." He said: "Where?" He said, "Banu Quraiza, for Allah has commanded me to shake them." So the Messenger of Allah got up immediately, and commanded the people to march towards Banu Quraiza, who were a few miles from Al-Madinah. This was after Salat Az-Zuhr. He said, No one among you should pray `Asr except at Banu Quraiza.[2] [Tafsir ibn Kathir

তফসিরের চেয়ে একটি সহি হাদিস শক্তিশালী। কারণ তফসিরে অনেক সময় বর্ণনার প্রমাণ স্বরূপ সহি হাদিসের সুত্র থাকে না। অনেক সময় দুর্বল হাদিসের উপর ভিত্তি করেও অনেক তফসির করা হয়ে থাকে। উপরে তারপরও আপনার চাহিদা অনুযায়ী ইবনে কাসিরের বর্ণনা এবং বর্ণনার সমর্থনে সহি হাদিস দিলাম। এই সহি হাদিস আপনাকে আগেও দিয়েছি। আপনি কোরআনের সুস্পষ্ট আয়াত কেন মানছেন না। সহি হাদিসের উপর কেন তফসিরের বর্ণনাকে স্থান দিচ্ছেন। যে বর্ণনার সমর্থনে কোন সহি হাদিস নাই। আপনি যে তফসির তুলে ধরেছেন তার সমর্থনে কোন সহি হাদিস নাই। কিন্তু আমি যে উপরে তফিসির দিয়েছি সেটার সমর্থনে সহি হাদিস আছে। তাই আপনার তফসিরের বর্ণনার চেয়ে আমারটা বেশী শক্ত। তার উপর কোরআনের আয়াতের কথা তো আগেই বলেছি।

৮৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৩৪

এভো বলেছেন: বিটপি বলেছেন: বনু কুরাইজা পেছন থেকে আক্রমণ করেনি, কারণ সেই সাহসই তাদের হয়নি। মুসলিমদেরকে আক্রমণ করার আগে তাদেরকে আরো বেশ কয়েকটি লোকাল গোত্র অতিক্রম করে যেতে হত। বাধা আসলে তাদের পক্ষ থেকেই আগে আসত।

এত যখন বিপত্তি তাহোলে কেন তারা বিশ্বাষ ঘাতকতা করবে ? সিরাতুন নবি ইবনে হিসাম তৃতীয় খন্ড, পাতা ২২৮ , প্রকাশক -- বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেখুন বিস্তারিত ভাবে লিখা আছে বনু কুরাইজা কুরাইশদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে ।

৮৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫১

এভো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর কমেন্ট ৮৬ ---

আপনার মন্তব্যের উত্তর সাসুম সাহেব কমেন্ট ৮৫তে দিয়ে দিয়েছে --

বনী কুরাইজারা যে চুক্তি ভংগ করেছে, সেটা কেউ জানত না, একমাত্র জিব্রাইল ছাড়া। তিনি না বলে দিলে নবী মোহাম্মাদ ও এটা জানতেন না।

বিচারের রায়ের ব্যাপারে সাসুম সাহেব লিখেছেন ---

বনু কুরাইজার দের কে জবাই করার শাস্তি যেটা দেয়া হয়েছে- সেটা তাওরাত এর আইন অনুযায়ী হয়েছে এবং এই রায় দিয়েছে তাদের মনোনিত বিচারক সাদ।

এই জেনোসাইড এর রায় যদিও তাওরাত অনুযায়ী হয়েছে তবে এই রায় একদম পুরাপুরি আল্লাহ ও তার রাসুল এর মনোমত হয়েছে এবং নবী মুহাম্মদ কে এই রায় দিতে হলেও তিনিও সেইম রায় দিতেন।


আপনার ভেজাল দুই দিকে ---- বেঈমানী করেছে কি করে নি এবং বিচারের রায় ধরন ।
মনে করি বেঈমানী করেছে তাহোলে , রায় সঠিক হয়েছে কিনা , তাওয়াতের বিধানের রায় যদি আল্লাহর সম্মত রায় হয় , তাহোলে নবী নিজে বিচারক হোলে ও তো একই রায় হোত , রায় যে এমন হবে , সেটা আবু লুবাবা আগে কি ভাবে জানতো ? জিবরাইল আ: ছাড়া কেন বেঈমানীর কথা জনতো না , এটা কি কোন গ্রহন যোগ্য ডকুমেন্ট ।
যদি ইসু নিয়ে তদন্ত বসানো হয় , কোন মানুষ জানতো না , এমন কি মুসলমানদের গোয়েন্দাদের রিপোর্টে এসেছে , বনু কুরাইজা কুরাইশদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে , নবী নিজে ও জানেন তারা বেঈমানী করেনি , সেখানে শুধু মাত্র জিবরাইল আ: জানতো ---- এই দাবি কি গ্রহন যোগ্য হবে । এই হাদিসটা যে মিথ্যা হাদিস এখানেই তার প্রমাণ ।
যদি বেঈমানী করতো তাহোলে একটা মুসলমান ও জীবিত থাকতো না ।

৮৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০৬

এভো বলেছেন: বিটপি বলেছেন: বনু কুরাইজা পেছন থেকে আক্রমণ করেনি, কারণ সেই সাহসই তাদের হয়নি। মুসলিমদেরকে আক্রমণ করার আগে তাদেরকে আরো বেশ কয়েকটি লোকাল গোত্র অতিক্রম করে যেতে হত। বাধা আসলে তাদের পক্ষ থেকেই আগে আসত।
অন্য গোত্র বাধা দিবে -- এটা কি আপনার আবিষ্কার ? অন্য গোত্র কি যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল ? যত সৈন্য ছিল মুসলমানদের পক্ষে সবাই তো মুসলমান ।
বনু কুরাইজা একটা ডিল মরলে খবর হয়ে যেত মুসলমানদের এবং কুরাইশরা অতি সহজে খন্দক অতিক্রম কোরতো ।

বনু কুরাইজা মুসলিমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিল যে, মুসলিমগণ আক্রান্ত হলে তারা সাহায্যে এগিয়ে আসবে। তা কি তারা করেছিল? করেনি।

কোন গোত্রই সৈন্য দিয়ে সাহায্য করে নি , মুসলমানরা বার বার যুদ্ধে জড়িয়ে যাচ্ছে যে কোন কারনে , তাহোলে অন্য গোত্র গুলো কেন বার বার সাহায্য করবে ?
তারা অপেক্ষায় ছিল কুরাইশরা আগে মুসলিমদেরকে পরাভূত করবে এরপর তারা মাঠে নামবে।


কুরাইশরা জিতলে তারাই মাঠে থাকতো , তারা একাই সব দখল কোরতো । কুরাইশরা যুদ্ধ করে জয়ি হোল আর সব গণিমতের মাল পাবে বনু কুরাইজা --- ভালোই আবিষ্কার করেছেন ?
এটা নিশ্চিত করার জন্য বনু নজীরের সরদার হুয়াই বিন আখতাবকে নিজেদের দূর্গে বন্দী করে রাখে।


এটার রেফারেন্স দেন , কি কারনে তাকে আটকিয়ে রেখেছিল এর সাথে ঐ ঘটনার কোন যোগ সূত্র আছে কিনা । বনু নজিরদের কি তার আগে বিতারিত করেনি , মুসলমানরা ?

৯০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো - যদি জিবরাঈলের (আ) মাধ্যমেও জানে তাহলে তো এটা আরও অকাট্য প্রমাণ। কারণ জিবরাঈল আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া কিছু করে না। কোরআনের আয়াতেও বলা হয়েছে যে তারা শত্রুর পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। তাই এটা প্রমানিত। কারণ কোরআন আল্লাহর কথা। মুসলমানরা আগে জানলো না পরে জানলো এটা কোন বিষয় না। আল্লাহর কথার উপর কোন কথা নাই, যদি আল্লাহর কথায় বিশ্বাস করেন।

বিশ্বাস ঘাতকের শাস্তি তাওরাত বলেন আর কোরআন বলেন একই, মৃত্যুদণ্ড।

৯১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮

এভো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো - যদি জিবরাঈলের (আ) মাধ্যমেও জানে তাহলে তো এটা আরও অকাট্য প্রমাণ।

সেই জন্য সেদিন আসিফ মহিউদ্দিনরা বল্লো --- এটা সম্পুর্ণ ধাপ্পাবাজি কারন মুল উদ্দেশ্য ছিল যে ভাবে হোক সব গোত্রকে একে একে মদিনা থেকে বের করে দিতে হবে । বনু করাইজা বেঈমানী করে নি ,সেটা প্রত্যেক মুসলমান জানতো , এই অবস্থায় বনু কুরাইজা বিশ্বাষ ঘাতকটা করেছে , এই কথা কেহ বিশ্বাষ করতো না , তাই জিবরাইল আ: এর নাম ব্যবহার করা হয়েছে যাতে কোন মুসলমান প্রশ্ন না তুলে । তারপর এই কর্মকে জাস্টিফাই করার জন্য কোরানের আয়াত ডাউনলোড করা হয়েছে ।

এই পোস্টেও বিবি আয়েশার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে , যেখানে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ি আয়াত ডাউনলোড করার কথা আছে ।

বিশ্বাস ঘাতকের শাস্তি তাওরাত বলেন আর কোরআন বলেন একই, মৃত্যুদণ্ড।

ভেরি গুড--- বিশ্বাষ ঘাতক শুধু নহে তাদের গোটা সম্প্রদায়ের শাস্তি মৃর্তু দন্ড ।

৯২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো - আপনি যদি সহি হাদিসকে জাল বানাতে চান তাহলে আপনার সাথে আলাপ করা বৃথা। একইভাবে বললেন যে কোরআনের আয়াত ডাউনলোড করা হয়েছে। অর্থাৎ কোরআনের আয়াতেও আপনার বিশ্বাস নাই। যে ব্যক্তি কোরআন মানে না, সহি হাদিস মানে না, তার সাথে তর্ক করা বৃথা। কোরআন আর সহি হাদিসের চাইতে অকাট্য কিছু হয় না ইসলামে।

৯৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

এভো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ----- কথাটা -- আসিফ মহিউদ্দিনের এবং আপনার দাবি শুনে তাই মনে হোল । তবে হাদিসটা যে সহি নহে সেটা বলা যায় এবং যে কোরানের আয়াত দিয়েছেন সেটার প্রেক্ষাপট ভিন্ন ।
হাদিসটা যে জাল-- সেটা বোঝা যায় অন্য দলিল গুলো একত্রিত করলে ।
আপনার দাবি মানলে , আসিফ মহিউদ্দিনের কথাও মানতে হয় । আপনার দাবি তো ভুয়া দাবি ।
বনু কুরাইজা কোন বেঈমানী করে নি ।

৯৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি তো আপনার খুশি মতো সহি হাদিসকে ভুয়া বলতে পারেন না। কোরআনের আয়াত ঐ ঘটনা সংক্রান্তই। এই ব্যাপারে কারো কোন সন্দেহ নাই, আপনি ছাড়া।

৯৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ইসলামের দ্বীতিয় খলিফা উমর(রাঃ) এর জীবনির উপড়ে ত্রিশ পর্বের একটি ধারাবাহিক সিরিজ ইউটিউবে রয়েছে যেটা দেখলে অনেকে তথ্য পাওয়া যায়। নাস্তিকরা একতরফাভাবে নবীজির বিরুদ্ধে বলে যায় কিন্ত তার প্রেক্ষাপট দেখার কৌতহলবোধ করে না। বানিজ্য কাফেলায় হামলার প্রেক্ষাপট তৈরী করেছিল মক্কার কুরাইশ গোত্রের লোকজন।নবীজির সাথে মদিনায় হিজরত করা সঙ্গীসাথীরা অনেকেই ছিল সেই সময়ের ধনী গোত্রের। তাদের ফেলে আসা ধন্ সম্পদ সব লুটে নিয়েছিল মক্কার লোকেরা। সেই হারানো সম্পদ ফিরে পাওয়ার অংশ হিসেবেই বানিজ্য কাফেলায় হামলা করা হয়েছিল।

বিশ্বাসঘাতকতা করা বনু কুরাইজা গোত্রের ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাদ। নবীজি একদিকে ছিলেন আল্লাহর রসুল এবং অন্যদিকে অতি বিচক্ষন রাজনীতিবিদ। সেই সময়ে বিশ্বাসঘাতকদের ব্যপারে যে নিয়ম চালু ছিল সেটাই তিনি মেনে নিয়েছিলেন। এর বাইরে অন্য কোন সিদ্ধান্ত নিলে স্বাভাবিকভাবেই তার সাথের লোকজনেরা সেটা কোনভাবেই মেনে নিত না। আর এখানেই মেলে তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয়।

সিরিয়ালটিতে দেখানো হয়েছে নবীজির বহুবিবাহের অনেকেই ছিল তার সাহাবীদের কন্যা। সম্পর্ক জোড়দার করতে বিবাহ প্রথার নিয়ম চালু ছিল সেই সময়ে যেটা হয়ত আজকের যুগে একেবারেই বেমামান। এছাড়া যুদ্ধে স্বামী হারানো বিধবাদের বিয়ে করার আবেদন থাকতো তার কাছে যাতে সে সব মহিলারা নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে সক্ষম হয়। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ১৪০০ বছর আগেকার প্রেক্ষাপট। সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে সেটাই ছিল সর্বোত্তম ব্যবস্থা।

যুদ্ধ বিগ্রহের সময়টুকু ছাড়া নবীজি তার সারা জীবন ব্যায় করেছেন অত্যাচারী , নির্দয় জাহেলিয়াদের রাজত্ব করা মক্কার বুকে একটি সৎ, সুন্দর জীবনধারা প্রতিষ্ঠার লক্ষে। সেটা করতে গিয়ে তাকে কি পরিমান সীমাহিন অত্যাচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তা নিয়ে নাস্তিকদের কখনো কিছু বলতে দেখি না।

৯৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ঢাবিয়ান - আপনি পুরো বিষয়টা সুন্দরভাবে গুছিয়ে বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

৯৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:৫৮

সাসুম বলেছেন:
নবীজির মানবিক বিয়ে থিউরি শুনেও আরো ভাল লাগল। এমন মানবিক মানুষ ই আমাদের সমাজে দরকার।

খালি মাথায় প্রশ্ন আসে- বনু কুরাইজার জবাই করা নেতার সুন্দরী বউ কোন সাহাবীর স্ত্রী ছিল যে তাকে দখল করতে হবে ? একটু আগে যার জামাই কে কোরবানি করা হল- একটু পরে তার সুন্দরী বউ কে দখল করতে প্রচুর মানবিক হতে হয়। যদিও ঘরে স্ত্রীর ও অভাব ছিল না কিংবা সেই সুন্দরী মহিলার জীবনের ও অত হুমকি ছিল না, কারন বনু কুরাইজার বাকি মহিলা দের সব মুলসিম সেনানী দের মাঝে ভাগ করে দেয়া হয়েছিল ভোগের জন্য। আর কিছু বিক্রি করা হয়েছিল অস্ত্র ও ঘোড়া কিনতে।

এমন মানবিক নেতা আর কই পাওয়া যায় এই ভুমে? সোবহানাল্লাহ।

আলহামদুলিল্লাহ, মাওলানা মামুনুনু হক রাও সেইম দিকেই যাচ্ছে। দেশ ধর্মের দিকেই আগাচ্ছে থুক্কু ১৪০০ বছর পেছাচ্ছে। আমীন।

৯৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:২৭

এভো বলেছেন: ঢাবিয়ান কমেন্ট ৯৫ -- বানিজ্য কাফেলায় হামলার প্রেক্ষাপট তৈরী করেছিল মক্কার কুরাইশ গোত্রের লোকজন।নবীজির সাথে মদিনায় হিজরত করা সঙ্গীসাথীরা অনেকেই ছিল সেই সময়ের ধনী গোত্রের।

আপনি কি স্বামী অরবিন্দর নাম শুনেছেন , স্বামী বিবেকান্দের সম সাময়িক । তিনি নিজের অনুসারীদের নিয়ে চেন্নাই এর পন্ডিচরিতে কয়েক হাজার একর জমি নিয়ে আশ্রম গড়ে তোলেন এবং ওনার অনুসারীদের মাঝে জমি বন্ঠন করে , কৃষিকাজ , তাত, হস্ত শিল্প , পশু পালন , হাস মুরগি পালন সহ সব কাজে নিয়োজিত করে তাদের স্ব নির্ভর করে তোলেন , তারপর দল দলে ইউরোপিয় দেশ যেমন ফ্রান্স , ইংল্যান্ড , পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশের মানুষ তার আদর্শে উদ্ভুত হয়ে , এখন ও সেখানে জমিজামা চাষ করে বসবাস করছে । তিনি কোন ডাকাত বাহিণী বা ছিনতাই বাহিণী গঠন করেন নি অনুসারিদের জিবিকা ধারনের জন্য । তার কর্মে উদ্ভুদ হয়ে মানুষ তার কাছে আশ্রয় নেয় ।

এবার দেখি মহা নবী সা: যখন মদিনাতে হিজরত করেন , তখন এনার সাথে ছিল ১০০ জনের মত কনভার্টেড মুসলমান , তাদের মধ্যে ৫/৬ ছিল ধনি বাকি সবাই ছিল দরিদ্র শ্রেণীর।
মদিনায় আসার পর মদিনাবাসি তাদের বড় একটা জায়গা ছেড়ে দেয় । মদিনার মাটি উর্বর এবং মদিনাবাসীর প্রধান পেশা ছিল কৃষিকাজ কিন্তু মক্কার মানুষ কৃষি কাজ জানত না , তাদের প্রধান আয় পশু পালন এবং কাবা শরিফ নিয়ে তীর্থ যাত্রিদের সাথে ব্যবসা ।
মহানবী সা: মদিনাতে আসার পর কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না কারন মক্কার মুসলমানরা কৃষিকাজ জানে না । আমরা স্বামী অরবিন্দকে দেখতে পাই পন্ডিচরীতে জমি গ্রহন করার পর অনুসারিদের কৃষিকাজে নিয়োজিত করতে কিন্তু মহা নবী সেই পথে জান নি , তিনি তখন ছোট ছোট ডাকাত দলকে উদ্ভুত করেন তার দলে যোগ দিতে এবং তাদের গণিমতের মালের লোভ দেখান এবং সেই সাথে বেহেস্ত লাভের প্রতিশ্রুতি । তারপর দলে দলে ডাকাত দল তার সাথে যোগ দেয় এবং এক সময়ে মদিনায় সব চেয়ে শক্তিশালী গোত্রের নেতা হয়ে ওঠেন । তখন অনেক কৃষিজীবি মানুষ ইসালামের ছায়া তলে চলে আসে। তারা কৃষিকাজ বাদ দিয়ে ডাকাতি যোগ দিতে অস্বিকার করে , তখন হাদিসের মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রপাতি রাখা হারাম । উনি খুব বুদ্ধিমান মানুষ উনি জানেন কৃষি যন্ত্র হারাম করলে তারা আর কৃষিকাজ করতে পারবে না এবং বাধ্য হবে কনভয় লুটের বাহিণীতে শরিক হতে ।

তিনি কেন স্বামী অরবিন্দের মত তার অনুসারীদের ডাকাতি না করিয়ে কৃষিকাজে নিয়োজিত করলেন না ? মদিনার মাটি উর্বর এবং সেখানে কৃষিকাজকে নিরুৎসাহিত করেছেন এবং ক্বষি যন্ত্রকে ঘরে রাখা হারাম ঘোষনা করেছেন ।

৯৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩৯

এভো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর সাহেব ---
মনে করেন আপনি ৫ বৎসর বিদেশে ছিলেন এবং আজকে সকালে বিমানে করে দেশে ফিরে ঘরে বসে চা খাচ্ছেন । তখন পাড়ার বড় মাস্তান রমজান আলী , চক্ষু মিয়াকে নিয়ে সাথে তার বাহিণী, আপনার বাড়ী ঘিরে ফেলে এবং অভিযোগ করে আপনি নাকি গতরাতে চক্ষু মিয়ার বাড়ী ভেংগে কয়েক লক্ষ টাকার স্বর্ণ অলংকার চুরি করে নিয়ে গেছেন ।
আপনার বাড়ীর মানুষ ভয়ে ভয়ে বলতে থাকলো আপনি ৫ বৎসর বিদেশে ছিলেন এবং আজ সকালে বাড়ী এসেছেন ।
তারা সেটা মানতে নারাজ কারন এই ঘটনার পর চক্ষু মিয়া মন খারাপ করে বসে ছিল তখন তার বাড়ীর শেওয়া গাছে বাস করা মামদো ভুত এসে তাকে জানিয়েছে আপন নাকি চুরি করেছেন ।
মামদো ভুতের কথা কি মিথ্যা হতে পারে , তাই আপনি লক্ষ টাকা অলংকার চুরি করেছেন ।

সুতরাং আপনি অলংকার চুরি করেছেন কারন মামদো ভূত দেখেছে , ধন্যবাদ

১০০| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ সাসুম , নাস্তিকেরা ইসলাম ও তার নবী সমালোচনায় কেন খুব বেশি সফল হতে পারে না জানেন? পারেন না যুক্তির বদলে নোংরা অশ্রাব্য ভাষা তাদের মুল হাতিয়ার।

আজকের সময়ের নারীদের সাথে ১৪০০ বছর আগেকার নারীদের অবস্থানের মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক। । তাই ১৪০০ বছর আগেকার প্রেক্ষাপটের কথা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। সেই সময়ে নারী ও শিশুরা ছিল স্রেফ পন্য। পুরুষ অভিভাবকবীহিন নারী শিশুদের কেনাবেচা করা যেত। বিবাহ প্রথা বরং ছিল নারীর জন্য অত্যন্ত সম্মানিত পন্থা যেখানে নারী ও তার সন্তানেরা পেত পুর্ন নিরাপত্তা। বনু কুরাইজা গোত্রের ব্যপারে মুহম্মদ( সা:) এর ভুমিকা ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক।

একজন দরিদ্রার রাখাল সেই সময়ে যখন অসম্ভব শক্তিশালী স্বৈরাচারী , অত্যাচারী মক্কার কুরাইশদের বিরুদ্ধে প্রথম আওয়াজ তুলেছিল তখন উনার পাশে ছিল না প্রায় কেউই। বরং শক্তিশালী অত্যাচারী কুরাইশরা নতুন ধর্মের মানবতার বানী নিয়ে আসায় মুহম্মাদ ( সা:) উপড় চরম নির্যাতন শুরু করেছিল। কিন্ত তিনি নতি স্বীকার করেননি। এই জুলুম , নির্যাতন চলেছিল অনেক বছর ধরে। কিন্ত তারপরেও তিনি থেমে না গিয়ে আল্লাহর বানী প্রচার করে গেছেন। ধীরে ধীরে তার প্রতি তরুনদের সমর্থন বাড়ছিল। সর্ব কালেই তরুনেরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং পরিবর্তনের সুচনায় ব্যপক ভুমিকা রাখে। সেই সময়েও তাই ঘটেছিল ।দলে দলে ধনী গোত্রের তরুন সম্প্রদায় মুহম্মাদ ( সা:) কাছে এসে ইসলাম কবুল করেন এবং তার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে। উমর ( রাঃ _ মুসম্মদ (সাঃ) কে খুন করতে এসে উল্টো ইসলাম গ্রহন করে, তার বোনের কাছে এসে পবিত্র কোরআনের কিছু আয়াত শুনে। এরকম উদাহরন প্রচুর। আজ থেকে ১৪০০ বছর আগেকার সেই আরবে কোন আইন শৃংখলা ছিল না, গনতন্ত্র ছিল না, মানুষের নিরাপত্তা ছিল না। ছিল শুধু ধনী গোত্রের মানুষের জোড় জুলুম, অন্যায় অত্যাচারের একছত্র আধিপত্য। সেই অধিপত্যের অবসান ঘটিয়েছিল ইসলাম ধর্ম। মানূষের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সেই পথ ছিল অত্যন্ত দুর্গম, রক্রাক্ত এবং দুরুহ। ইসলাম ধর্ম যারা মেনে চলে তাদের সবাই এই সব ঘটনা জানে। আর জানে বলেই নিজ ধর্মকে ভালবাসে।

যুদ্ধ বিগ্রহ চলাকালীন সময়ের কিছু ঘটনাবলী আর বর্তমান সময়ের মামুনুল নামধারী কিছু বকধার্মিকদের কর্মকান্ড দিয়ে ইসলাম ধর্মকে আঘাত করার চেষ্টা আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তাতে আসলে ইসলাম ধর্মের কোন ক্ষতি হবে না।

১০১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: যাই হোক এই পোস্টে এটাই আমার শেষ কমেন্ট ।

১০২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

সাসুম বলেছেন: @ঢাবিয়ানঃ


আর নবী নারী প্রিয় মানুষ, দুই চারটা যুদ্ধ বন্দী নারী দখল করতেই পারে ঘরে আরো স্ত্রী থাকতে, এটা নতুন কিছুনা। সবাই জানে। আপনি সারাদিন এটার সাফাই গাইতে আইলেও লাভ নাই।

এখন নবীজির পর স্ত্রীর প্রতি আর নারীর প্রতি এই লোভের কথা বললে আপ্নারা আবার হাজার হাজার হাদিস আর জ্ঞান নিয়ে হাজির হোন, এসব ও নতুন কিছুনা।

আপনাদের বিশ্বাস যেহেতু তিনি অপরাধ কিছু করতে পারেন না, সো এটা নিয়ে তর্কের ও কিছু নাই।

কিংবা, যতই ইস্লামে থাকুক, কোন নারীর স্বামীকে খুন করার ৪০ দিন পার করতে হয় তার ইদ্দতের জন্য আবার বিয়ে করার জন্য, সেই নিয়ম ও নবী নিজে ভাংলে সেটাই আইন ।

মোট কথা, নারী আর সেক্স নিয়ে নবী যাই করবেন তাই আইন এবং আপ্নারা তাই বিশ্বাস করবেন। এখানে তর্কের কিছু নেই।

তাল্গাছ আপনার। আদিওস

১০৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ কাল্পনিক ভালবাসা, নবীজির নামের সাথে টাইটেল এ স এর পরে বিষর্গ এবং ) টাইপ করেছিলাম। পোস্ট করার পর দেখছি সেটা একটা ইমো হয়ে গেছে। যেহেতু কমেন্ট এডিট করার কোন অপশন নাই, তাই বীনিত অনুরোধ করছি কমেন্টটা মুছে দিতে ।

১০৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আসুন আমরা দেশ ও দশের কথা ভাবি , কি করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারি এই বিষয়ে আলোচনা করি ।

১০৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো - আপনি হজরত জিবারিলকে (আ) মামদো ভুতের সাথে তুলনা করেছেন। মুসলমানরা বিশ্বাস করে কোরআন রসূলের (সা) কাছে পৌঁছে দিয়েছিলো জিবরীল (আ) যাকে আপনারা মামদো ভুত বলছেন। অর্থাৎ আপনার যুক্তি অনুসারে কোরআন নাজিল হয়েছিল একজন মামদো ভুতের মাধ্যমে। ইসলাম সম্পর্কে যার এই রকম বিদঘুটে ধারণা তার কাছে যুক্তি উপস্থাপন করা সময়ের অপচয়। আপনি সহি হাদিস মানবেন না এমন কি কোরআনের আয়াতও মানবেন না। তাহলে আমি আপনার সাথে কিসের ভিত্তিতে বিতর্ক করবো।

১০৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উইকিপিডিয়াকে কোন কোন নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স বলা যায় না।
উইকিপিডিয়া নিজে কিছু লেখে না।
রেজিষ্ট্রশন করে আমি আপনি যা লিখবো সেগুলোই উইকিপিডিয়াতে থেকে যায়। কোন ভেরিফাইড বিরোধিতা না আসা পর্যন্ত।


যা বুঝলাম।
একটি দোকানের বেঞ্চে বসা একজনের চাদরের প্রান্তে আরেকজন কৌতুকের ছলে পেরেক ঠুকে রাখে।
এতে এই মহিলার উর্ধাংগ বা নিম্নাংগ বা আরোবেশী অনাবৃত হয়। একটু হাসাহাসি হয়েছিল। এতে বাকবিতন্ডায় দোকানদার নিহত, পরে দোকানদার সহকারির হাতে হত্যাকারি নিহত।
পরে এই ঘটনার বিচার হলেও ঘটনার অনেক আগেই ইসরিবের বিভিন্ন কবি লেখকদের গুপ্তহত্যা, বিভিন্ন উছিলায় বনু কুরায়কা সহ বেশিরভাগ মদিনাবাসিকে হুমকি অত্যাচার উচ্ছেদ করে বিতাড়িত জমি দখল সম্পদ দখল সম্পন্ন হয়ে শক্ত একটি অবস্থান। এলাকার নামও ইসরিব থেকে মদিনা নামকরন কমপ্লিট। বাকি ছিল বনু কুরাইজা।
বনু কুরাইজার সাথে কোন যুদ্ধ হয় নি। যুদ্ধাপরাধ তো অনেক দুরের ব্যাপার।
তুচ্ছ কৌতুকের ছলে দোকানের চাদরে পেরেক ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধ ধরে নিয়ে, আয়াত ডাউনলোড হলো। কথিত বিচারে সকল পুরুষ সদস্যকে শীরচ্ছেদ, বাসায় অবস্থানরত পরিবারের মহিলা-শিশুদেরকেও কথিত যুদ্ধময়দানের যোদ্ধা হিসেবে ধরে নিয়ে যুদ্ধাপরাধি যৌনদাসী হিসেবে বিতরন, ভাগাভাগি। ন্যায় বিচারই বটে।

অতচ ইসরিব এলাকার এই নিরিহ খেজুরচাষিরা মক্কা থেকে বিতাড়িত (হিজরত) খুদপিপাসায় ক্লান্ত ডাকাতদলটিকে পানি খাদ্য আশ্রয় দিয়ে বাচিয়েছিল।
বিনামুল্যে জমি ছেড়ে দিয়েছিল আস্তানা তৈরি করতে।

১০৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:৩৩

ফটিকলাল বলেছেন: উইকিপিডিয়াকে হিশাম বা হাদিসের আগে রাখছে এবং সে নিজেকে মুসলিম দাবি করছে, আমার মনে হয় এটা তার ব্যাক্তিগত অজ্ঞতা থেকেই করছে। সেক্ষেত্রে তার ব্যাক্তিগত মন্তব্য সে পর্যা্যেই থাকুক। হিশাম, তাবারী বা ইশাক বা তাফসীরে জালাইলান সম্পর্কে যার এরকম ধারনা তার সাথে তর্ক করা অর্থহীন।

সত্যকে মেনে নিলে ধর্ম বা কোনো মতবাদ ছোট হয় না, বরংচ সে ধর্মের ভিত্তি সত্য হয়। হাদিসে বর্নিত এমন কিছু ব্যাপার আছে যেটা আধুনিক সমাজে বেমানান। সেক্ষেত্রে আপনি শুধু কোরান অনুসরন করে দেখতে পারেন। তখন প্রশ্ন আসতে পারে কোরানে প্রচলিত ইসলামের অনেক কিছুই নেই। তবে তাই হোক। আপনি বিশ্বাস করছেন আল্লাহ প্রেরিত গ্রন্থের ওপর। সেখানে প্রচলিত কিছু না থাকলে মনে যদি কাপুনি ধরে তাহলে আপনার ঈমান নিয়ে সন্দেহ আছে

১০৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০০

আরোগ্য বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর ও @এভো
বনু কুরায়যার পরিণতি

১০৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১৪

এভো বলেছেন: আরোগ্য বলেছে আপনার দেওয়া ভিডিওতে যে দাবি কার হয়েছে , তার জবাব উপরে অনেকবার দেওয়া হয়েছে । আপনার ভিডিও প্রথম থেকে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে, ইসলামিক ডকুমেন্ট থেকে প্রমাণ করে বনু কুরাইজা কোন বিশ্বাষ ঘাতকতা করে নি । মুসলমানরা বারবার যুদ্ধ বাধাচ্ছে যেখানে সেখানে , মদিনার কোন গোত্র সাহায্য করে নি কারন মুসলমানরা বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ করে বেড়াচ্ছে তাই , নীচের লিংকটা ওপেন করে শুনুন ।

*বনু কুরাইজার 'গণহত্যা

১১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৮

ফাহিমা আক্তার বলেছেন:


যথাবিহিত সম্মান প্রদানপূর্বক মন্তব্য করতেছি।
ভেবেছিলাম লিখবো না কিন্তু তাও লিখলাম।

শুধুমাত্র বাংলা অর্থ থেকে কুরআন ভাষা বোধগম্য নয়।তার জন্য তাফসীর জানতে হয় ব্যাপকভাবে।
আপনি লিখেছেন "আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ধর্ম কর্ম না করলেও, সেটা নিয়ে আমার বিস্তর আগ্রহ আছে"। কিন্তু ভাই পোস্ট তো একখান করছেন খাশা যা অনেকের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে।
আপনার পোস্টটিতে অপনি যথাবিহিত লিখতে না পারেন কিন্তু আপনি যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শন করেননি।
বিবি খাদিজা সালামুল্লাহি আলাইহার ওফাতের সময় আল্লাহর রাসূল (সা.)’র বয়স ছিল ৫৩ বছরের বেশি। ওই সময় তিনি কয়েকজন নারীকে বিয়ে করেন। এর মধ্যে কয়েকটি বিয়ে হয়েছিল কিছু গোত্রের অনুরোধে। এসব গোত্র রাসূলের সঙ্গে নিজেদের কোনো নারীর বিয়ে দিয়ে মহানবীকে জামাতা হিসেবে পাওয়ার সম্মান অর্জন করতে চেয়েছিল। আবার কোনো কোনো বিয়ে হয়েছিল বিধবা নারীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য। এদের মধ্যে বিবি আয়েশা ছাড়া আর সব নারী বিধবা ছিলেন।

এসব বিয়ের বেশিরভাগেরই প্রস্তাবদাতা যেহেতু নারীপক্ষ ছিল তাই তারা মোহরানা ছাড়াই রাসূলুল্লাহর স্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। তাদের একমাত্র কামনা ছিল বিশ্বনবীর স্ত্রীর মর্যাদা লাভ করা। এ কারণে আল্লাহ তায়ালা এই আয়াতে স্ত্রীদেরকে সময় দেয়ার বিষয়টিকে মহানবী (সা.)’র ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, স্ত্রীরা যেভাবে সন্তুষ্ট থাকে এবং আপনি যেভাবে ইচ্ছা করেন সেভাবে তাদেরকে সময় দিতে পারেন। অবশ্য এটা স্বাভাবিক যে, রিসালাতের গুরুদায়িত্ব পালনের পর সব স্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী তাদের সবাইকে সময় দেয়া আল্লাহর রাসূলের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তবে মহানবীর দৃষ্টিতে যেটা ভালো এবং তাঁর পক্ষে যতটুকু সম্ভব তিনি ততটুকু স্ত্রীদের সন্তুষ্ট করেছেন।

এই আয়াতের কয়েকটি শিক্ষণীয় দিক হচ্ছে:

১. সামাজিক বা ধর্মীয় যতবড় দায়িত্বই একজন মানুষের কাঁধে থাকুক না কেন তার পাশাপাশি পারিবারিক দায়িত্ব পালন করতে ভুলে গেলে চলবে না।

২. পরিবারের অন্য সদস্যদের বিশেষ করে স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর কঠিন সামাজিক দায়িত্বের কথা বিবেচনা করে তার পক্ষে যতটুকু সম্ভব ততটুকু আশা করতে হবে, তার বেশি নয়।

৩. স্ত্রীর জন্য এমন একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার পুরুষের কর্তব্য যেখানে স্ত্রী সন্তুষ্টচিত্তে জীবন যাপন করতে পারেন এবং কোনোকিছুতে কষ্ট না পান। (৩৩:৫১)


১১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৯

মুহিব্বুল্লাহ বলেছেন: আলি দস্তি। সে একজন একজন ইরানি সমাজবাদী বামপন্থি মতলব ইসলাম বিরোধী বুদ্ধিজীবি। তার ব্যাপারে ইউকিতে যে মাদরাসার কথা বলা হয় সেটা মূলত মাদরাসা নয়। বরং শিয়াদের শিক্ষাঙ্গন। আর এই শিয়ারা ইহুদি খ্রিস্টানদের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর ইসলামের জন্য। উম্মে শারিক নিজেকে রাসুলের কাছে গ্রহণ করার জন্য সপে দেননি। বরং বিয়ের ওয়াকালাতের দায়িত্ব দিয়েছেন। ইচ্ছা করলে গ্রহণ করতে পারেন, ইচ্ছা করতে নবিজির পছন্দমত কারো সাথে বিয়ে দিতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.