নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পলাতক লীগের ফেলে যাওয়া জুতা পরে বিএনপি চায় দেশ চালাতে ...

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৭



বেশ ক'দিন ধরে অনলাইন আর অফলাইনের পরিচিত কিছু মুখের খিস্তি খেউরি (ভাষার অশালীন ব্যবহার) আমরা দেখে আসছি। এক দিকে জ্যাকব মিল্টন, পিনাকি ভট্টাচার্য্য। অপর দিকে মির্জা আব্বাস, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্তমান সরকারের কৃত সংস্কার মির্জা আব্বাস বাতিল করে দেবেন মর্মে একটি বক্তব্য দিলে এবং বিএনপির নির্বাচনে যাওয়ার ব্যপক তাড়াহুড়ার বিষয়টি মাথায় রেখে জ্যাকব মির্জা আব্বাস ও মির্জা ফখরুল উভয়কেই ব্যপক গালি গালাজ করেন। পরবর্তিতে মির্জা গং জ্যাকব গংদের জন্মের ঠিক নাই ব্লা ব্লা বলে নিজেদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটান।

এখন কথা হচ্ছে গালাগালি তো অপ্রয়োজনীয়। কাওকে যদি আপনি তার দোষ ধরিয়ে দিতে চান, তবে তার কৃত অপকর্মগুলো তুলে ধরাই যথেষ্ট। যেমন করেছেন পিনাকী। তিনি জনগনের সামনে প্রশ্ন রেখেছেন একজন স্কুলের ঘন্টা বাজানো দপ্তরীর ছেলে মির্জা আব্বাস কিভাবে ঢাকা ব্যাংকের মালিক বনে যেতে পারেন। তার ছোট ভাই কোন কোন এলাকার চাঁদাবাজিতে সর্বদাই সক্রিয়। কিভাবে রেলে জমি দখল করে মির্জা আব্বাস বড় নেতা! মির্জা ফখরুলের এলকায় কিভাবে আওয়ামি পূনর্বাসন হচ্ছে দেদারছে।

এই সময়ের তরুণ প্রজন্ম কিন্তু আগের দিনের মতো অন্ধ নয়- এই বিষয়টি মির্জা গংদের ক্যালকুলেশনে আছে বলে আমার মনে হয় না। তারা বিগত বছর গুলোতে যেমন আওয়ামীলীগের অপকর্ম সমুহ প্রত্যক্ষ করেছে, পাশপাশি মির্জাদের অক্ষমতা, অযোগ্যতাকে গুনতিতে নিয়েছে। মির্জা গং যদি মনে করেন যে আওয়ামিলীগ জনগনের ধাওয়া খেয়ে মাঠ ছেড়ে চলে গিয়েছে বিধায় তাদের শূণ্যস্থান তারা পূরণ করবেন, তাহলে তারা ভুলের মধ্যে বসবাস করছেন।

তৃণমূল পর্য্যায়ে বিএনপির কর্মী আর মির্জা গং কিন্তু এক নয়। তৃণ মূল কর্মিগন বিগত ১৭ বছর যে পরিমান মামলা হামলায় যর্যরিত হয়েছে, কষ্ট সহ্য করেছে, মির্জা গং তার বিন্দুমাত্র কষ্ট সহ্য করেনি। আজ তারা তাঁদের চাঁদাবাজি টেন্ডার বাজি দূর্নীতির রাজনীতি বন্ধ হবার উপক্রম হচ্ছে দেখে হাত কামড়ানো শুরু করেছে। এই দেশের মানুষ অনেক কষ্ট সহ্য করেছে, আর এমন অরাজকতা, দুশাসন সহ্য করতে রাজী নয়। তাদের এহেন কথা বার্তার কারণে বিএনপি তার নিরব সমর্থকদের সমর্থন হারাচ্ছে।

বিগত ১৭ বছর তারা একটি বালুর ট্রাক সরাতে পারেনি, আন্দোলোন করে আওয়ামিলীগের একটা পশমও ছিড়তে পারেনি, বরং বাজারে প্রচলিত আছে যে তারা বড় বড় নেতারা আওয়মিলীগ থেকে মোট মোটা অংকের অর্থ পেয়ে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন।
সুতরাং এই জুলাই এর বিজয় জনগনের বিজয়। এই বিজয়ে বিএনপি-র কোন ভাগ নাই, কিন্তু তারা এখন এই বিজয়ের বড় বেনিফিশিয়ারী হতে মরিয়া। কিন্তু তারা এটা জানে না যে, ১৭ বছরে এই দেশের মানুষ অনেক ডিজিটালাইজড হয়েছে। সেই সময়ের শিশু কিশোর আজ তরুণ হয়েছে, কিন্তু এই তরুনদের ভেতরে বিএনপি-র কোন চেতনার বিকাশ ঘটেনি। তারা বিএনপি বলতে বোঝে কেচি গেটের ভিতরে চাদর মুড়ি দিয়ে বসে থাকা বয়স্ক রিজভীকে। বিএনপি বলতে তারা বোঝে আন্দোলোনের নামে মিথ্যা আশ্বাস ও ফাঁকা বুলি আওড়ানো মির্জা ফখরুল। মির্জা আব্বাসকে তো কোন আন্দোলোনেই দেখা যায় নাই। আজ কত কত নেতা বিএনপির ব্যানারে কত রং চঙে কথা বলে।

হাসিনা ১৭ বছরে যেভাবে তার গদি রক্ষার্থে তার বিশ্বস্ত সব পোশা আর্মি র্যাব প্রশাসন বিডিআর দিয়ে গুম খুন করেও তার গদি টিকিয়ে রাখতে পারে নাই, আফসোস যে মির্জা গং এর থেকে কোন শিক্ষাই গ্রহণ করে নাই। তাদের বর্তমান আচরণ আর বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আচরণের মধ্যে কোন তফাত এই নতুন প্রজন্মের চোখে পড়ে না।

সুতরাং বিএনপি-র বড় বড় নেতাদেরকে বলি ঐ পুরাতন জং ধরা মান্ধাত্তার আমলের ধ্যান ধারণা আর জমিদারি কায়দায় দেশকে শোসনের মানসিকতা পরিহার করে সাধারণ জনগনকে ভালো কিছু দেয়ার মানসে যদি রাজনীতি করতে পারেন, তবে মাঠে থাকুন, নচেৎ মান সম্মান যেটুকু আছে, সেটুকুও হারাতে হতে পারে হাটুর বয়সি পোলাপানের হাতে।

ছবি- অন্তর্জাল হইতে সংগৃহিত।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৪২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ঠিক কথা।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪০

আহলান বলেছেন: ধন্যবাদ!

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: বিএনপি সরাসরি সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে । আওয়ামিলীগের নির্বাচনে দাড়ানোতেও কোন আপত্তি নাই তাদের। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও কোন বক্তব্য নাই। অতি দ্রুত নির্বাচন করে তারা ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে আছে।

এখন যদি ডঃ ইউনুস এদের চাপে পড়ে নির্বাচন দেন তাহলে বলতে হবে যে তিনি জনগনের মৃত্যূ পরোয়ানায় সাক্ষর করেছেন। যারা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় যাবার আগেই এই ধরনের চেহারা দেখাচ্ছে , তারা সামনে কি করবে? বিএনপির সাথে আতাত করা আওয়ামিলীগ ও ভারত কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২৪

আহলান বলেছেন: এই বিষয়টি একা বিএনপি করছে না, আওয়ামিলীগও আলু পোড়া খাওয়ার অপেক্ষোয় আছে। তবে বিষয়টি যে সবাই জানতে পারছে, বুঝতে পারছে, এটাও একটা সতর্কতা। ধন্যবাদ জনাব।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

কামাল১৮ বলেছেন: নির্বাচন গ্রহনযোগ্য করতে হলে জাতিসংঘ ও বৃহত শক্তির পরামর্শ মেনেই করতে হবে।সবাই চায় সকল দলের অংশ গ্রহনে নির্বাচন।যারা অংশগ্রহন করতে চায় তাদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে হবে।সরকার হতেহবে নিরপেক্ষ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯

আহলান বলেছেন: নির্বাচন হোক সমস্যা নাই। রাজনৈতিক দলগুলোকে পরিশুদ্ধ হয়ে আসতে হবে। সেই হিসাবে জামাত এখন পুরোপুরি রাজাকার মুক্ত। এভাবে আওয়ামিলীগকেও খুনি দূর্নীতিবাজ গুম খুনের সাথে জড়ি নেতা কর্মীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করে জনগনের সামনে দাঁড়াতে হবে। তারা তো এখনো তাদের দোষই দেখে না। মূলত এমন পরিশুদ্ধ আম্লীগ স্বপ্ন যোগেও মিলবে না। বিএনপিকেও খাম্বা মামুন চাদাবাজ আব্বাসদেরকে সরিয়ে ভালো যোগ্য নেতা মনোনয়ন দিতে হবে।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপি কি ভালো?
তারা আওয়ামীলীগের চেয়ে উন্নত নয়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আহলান বলেছেন: আওয়ামিলীগ অবশ্যই ভালো দল ;) , তবে শেখের গুষ্টি এটাকে খেয়ে দিয়েছে।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪

এস.এম.সাগর বলেছেন: এখানেও গুপ্ত আল বটর

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪

আহলান বলেছেন: তাই! ভুট্টোকে ফুলের মালা পরানো মুজিব কি সেই আল বটরের সদস্য ছিলো ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.