নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন

লক্ষণ ভান্ডারী

কবিতা

লক্ষণ ভান্ডারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

খেলবো হোলি রং লাগাবো

২০ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

আগামীকাল দোলপূর্ণিমা। সামহোয়্যার ব্লগের সাথে সংযুক্ত সকল লেখক কবিগণকে জানাই শুভ দোল পূর্ণিমার অগ্রিম প্রীতিঘন শুভেচ্ছা। দোল পূর্ণিমায় বসন্ত উত্সব জাতীয় জীবনে সর্বাঙ্গীন। শিশু-বৃদ্ধ-যুবা সকলেই জাতিধর্মনির্বিশেষে তাই এই উত্সবে মেতে ওঠে

পুরাকাল থেকে আমাদের দেশে মহাসমারোহে পালন হওয়া এই দিনটি নিয়ে উত্সা হের অন্ত নেই। তবে গোটা দেশের থেকে দোল উত্সকব বিশেষ চেহারায় ধরা পড়ে মধুরা ও বৃন্দাবনে। সারা বিশ্ব থেকে মথুরা-বৃন্দাবনের হোলি চাক্ষুস করতে সেখানে এই সময় পৌঁছে যান বহু মানুষ।

মথুরা-বৃন্দাবনে পালিত হয় লাঠমার হোলি। কৃষ্ণের লীলাভূমি নামে পরিচিত মথুরায় দোল উত্সনব যে আলাদা চেহারা পাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখানেই রাধা ও অন্য গোপিনীদের সঙ্গে দোল খেলতেন কৃষ্ণ। মথুরায় পালিত হওয়া লাঠমার হোলির প্রথা রাধা-কৃষ্ণের আমল থেকেই চলে আসছে।

কথিত আছে, ছোটবেলায় কৃষ্ণ তাঁর মা যশোদার কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন, কেন তিনি শ্যামবর্ণ আর রাধা কেন ফর্সা? তখন যশোদা বলেন রাধাকে ভালো করে রং মাখিয়ে দিতে, যাতে গায়ের রং বোঝা না যায়। তখন কৃষ্ণ তাঁর বন্ধুদের নিয়ে রাধা ও অন্য গোপিনীদের রং মাখিয়ে দেন। এর উত্তরে রাধা ও গোপিনীরা লাঠি দিয়ে কৃষ্ণ ও তাঁর বন্ধুদের মারেন। এর থেকে চালু হয় লাঠমার হোলির প্রথা। এখনকার দিনেও হোলির সময় মথুরা-বৃন্দাবনে পালিত হয় লাঠমার হোলি। মহিলারা মজা করে লাঠি দিয়ে মারতে থাকেন পুরুষদের।

আসুন, আমরা সকলেই বসন্ত উত্সবে মেতে উঠি। শুধু রং আর আবীর দিয়ে নয়, ভালবাসার রঙে আমরা নিজেদেরকে রাঙিয়ে তুলি। মানুষে মানুষে ভালবাসাই একমাত্র জাতির প্রগতির পথ। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!



খেলবো হোলি রং লাগাবো
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

খেলবো হোলি রং লাগাবো
আজি সবার সনে,
আবীর রঙে ভুবন রাঙা
পুলক জাগে মনে।

পলাশ শিমূল গন্ধে ব্যাকুল
পাপড়ি মেলে চায়,
আবীর রঙে প্রভাতী সূর্য
রং মেখেছে গায়।

আজকে জানি দোল পূর্ণিমা
হাসি খুশির দিন,
আবীর রঙে ছেয়েছে গগন
দিগন্তে হয় লীন।

বসন্ত দূত আমের শাখে
ডাকিছে কুহুস্বরে,
মহুল বনে মাদল বাজে
হৃদয় ওঠে ভরে।

অজয় নদী খেলিছে হোলি
নদীর জল লাল,
বাঁশের বাঁশি বাজে কোথাও
মাতে শাল পিয়াল।

আজকে হোলি খুশির দিনে
আনন্দে সব মাতে,
এসো সবাই খেলবো হোলি
আজকে তব সাথে।

হৃদয়ে মোর পুলক জাগে
আজকে শুভ ক্ষণে,
ফুলের বনে পরাগ মাখে
যতেক অলিগণে।

আজকে যবে আনন্দে সবে
হোলির গান গায়,
ক্ষুধার্ত শিশু আকুল হয়ে
একটি রুটি চায়।

চিত্ত আমার হল চঞ্চল
জানিনা সেকি চায়,
হোলির দিনে খেলিনা হোলি
রঙ মাখি না গায়।





মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে কত বিরাট বিরাট আয়জন করা হয় কত লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে।
বোকারা যদি এই টাকাগুলো দরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দিত কতই না ভালো হতো।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: হোলি আমি কোনোদিন খেলি নাই। খেলার খুব শখ।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: হোলি আমি কোনোদিন খেলি নাই। খেলার খুব শখ।

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:০৪

শিখণ্ডী বলেছেন: @নুর ভাই আমাকে সাথে নিয়েন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.