![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ও আমার উড়াল পঙ্খিরে, যা যা রে উড়াল দিয়া যা..." পাগলা কিছিমের মানুষ কোন ইষ্টিশন নাই, গাইল জানি কিন্তু গাইল পাড়ি না। দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...
শুনেছি সাতচল্লিশে দেশ ভাগ হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে। মোটা দাগে, হিন্দুদের রাষ্ট্র হিন্দুস্তান আর মুসলমানদের পাকিস্তান। আজাদী লাভের ছয় মাসের মাথায় ফেব্রুষারীর ২৫ তারিখ গনপরিষদে বাবু ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবী জানালে প্রধানমন্ত্রী নবাবজাদা লিয়াকত আলী তাকে অত্যান্ত কটু ভাষায় অপমান করে, একি সময় পূনঃ পূনঃ দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে পূর্ব পাকিস্তানের উজিরে আলা খাজা নাজিমুদ্দিন গন পরিষদে উর্দূকে রাষ্ট্র ভাষা করার জন্য ওকলাতি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৬শে ফেব্রুয়ারী তরুন ছাত্র সমাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে সমাবেত হয়ে বাবু ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত কে অভিনন্দন জানান আর খাজা নাজিমুদ্দিনের নিন্দা জ্ঞাপ্ন করে সারা বাংলায় প্রতিরোধের ডাক দেয়।(Click This Link) এর ধারাবাহিকতায় ৫২ এর ফেব্রুয়ারীতে বুকের রক্তে ধর্মে নয় পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ একত্র হল ভাষার কারনে। … ১৯৬৭ সালের ২২ জুন পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে তথ্য ও বেতার মন্ত্রী খাজা শাহাবুদ্দীন এক সাংসদের এক প্রশ্নোত্তরে জানান যে, পাকিস্তানের বেতার টিভিতে পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের পরিপন্থী রবীন্দ্রসংগীত প্রচার করা হবে না… পাকিস্তান রাষ্ট্রকে বাংলার মুসলমান মনে করেছিল তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির উপায়। কিন্তু মুসলমানিত্ব যে একেবারে তাদের বাঙালিত্বের গোড়া ধরে এভাবে টান মারবে তা পূর্ব-বাংলার মুসলমানরা ঠিক কল্পনা করতে পারে নি।(Click This Link) ৬৭ থেকে ৬৯ মাত্র দু'বছর এক ব্যাপক গনআন্দোলনের ঢেউ এ অঞ্চলের মানুষকে পৌছে দেয় ১৯৭১ এর মুক্তির সংগ্রামে। ধর্ম নয় স্পষ্টত ভাষা, সংস্কৃতি পূর্বপাকিস্তানের মানুষ তাঁদের পরিচয় ঘোষণা করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের মাধ্যমে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হিসেবে গ্রহন করা হয়েছিল গণতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। ১৯৭১ থেকে ২০১৪ এই ৪৩ বছরের পথ পরিক্রমায় নানা চরাইউতরাই পেরিয়ে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সংবিধান, গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যাবস্থা তেতাল্লিশ বছরের মাথায় এসে সংস্কার হয়ে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে মদিনা সনদ আর শারিয়া আইনে রাষ্ট্র পরিচালনার। অন্তত দেখে শুনে তাইতো বিশ্বাস করানোর চেষ্টা রাষ্ট্রকে করতে শুনি আজকাল। আমরা খুঁচিয়ে দেখি সুদখোরের গ্রামীন ব্যাংককে আর খতিয়ে দেখি বাংলাদেশে শারীয়া ব্যাঙ্কিং এর সম্ভাবনাকে। আমাদের পরিকল্পনা মন্ত্রীর কাছ থেকে সর্বশেষ শোনা কথায় জানতে পারি, বিনিয়োগের সব দরজা ইসলামী ব্যাংকের জন্য খোলা।(Click This Link)
ধর্ম ভিত্তিক ১৯৪৭ এর দেশ ভাগ, ভাষা ভিত্তিক ১৯৭১ এর স্বাধীনতার পর অর্থনৈতিক মুক্তির সেতু নির্মানে ২০১৪ এ এক নতুন বাঁকে এসে পৌছেছে এই দেশ। ধর্মের বিপরীতে ধর্ম(১৯৪৭), ভাষার বিপরীতে ভাষা(১৯৭১) আর এই ২০১৪তে এসে (বিশ্বব্যাংক নয় ইসলামী ব্যাংক) বলা যায় ব্যাংক এর বিপরীতে ব্যাংক। শেষমেষ অর্থইনা হয়ে যায় সকল অনর্থের মুল, কে জানে!
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়তে ভালো লেগেছে। সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, একটা প্রতিষ্ঠান তিলে তিলে গড়ে তোলা যে কত কঠিন তা যারা করেন তারাই বোঝেন। মুখে অনেক বাণীই বলা যায়। ইসলামী ব্যাংক অর্থায়ন করলে ক্ষতি কী? প্রতিষ্ঠান যার-ই হোক পক্ষান্তরে সে গুলোর মালিক তো আমাদের দেশের জনগণ, তাই নয় কী? বিশ্বব্যাংকের বিপরীতে ইসলামী ব্যাংক অথবা অন্য যে কোন বাংলাদেশের ব্যাংক যদি অর্থায়ন করে তাতে ক্ষতি কী? বরঞ্চ তাতে দেশের টাকা দেশেই থাকবে।
মদিনা সনদের যদি রাষ্ট্র পরিচালিত হয় তাতেই বা ক্ষতি কী? আপনি কি কখনও মদিনা সনদ পড়েছেন?