![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ও আমার উড়াল পঙ্খিরে, যা যা রে উড়াল দিয়া যা..." পাগলা কিছিমের মানুষ কোন ইষ্টিশন নাই, গাইল জানি কিন্তু গাইল পাড়ি না। দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...
১. আজ শুক্রবার বলাকা হলের সামনে দিয়ে যাবার সময় দেখি এখনো নিঃস্বার্থ ভালোবাসা চলছে। বিনাকায় চলছে রঙ্গীন সাতভাই চম্পা। আজ আবার ইভটিজিং নামে কাজী হায়াৎ এর নতুন ছবি মুক্তি পেয়েছে। বলাকা সেটা নেয়নি। বলাকা চালাচ্ছে এক মাস আগের পুরোনো অনন্ত জলিলের ঈদের ছবি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। চ্যানেল আই এর খবরে দেখলাম ইম্প্রেসের ছবি গাজী রাকায়েত পরিচালিত মৃত্তিকা মায়া চলছে যমুনা ফিউচার পার্কের এক হলে। আর কোথায়ও এই ছবি চালাচ্ছে কি না জানি না। বাড়ী ফেরার পথে পূর্ণীমা সিনেমা হলের সামনে দেখলাম টাঙ্গানো ইভ টিজিং ছবির কোপাকুপি খুনখারাবি মার্কা ব্যানার। জঘন্য। এই ব্যানার দেখে ছবি দেখবার ইচ্ছে যাদের হবে আল্লাহ যেন তাদের সঠিক পথ দেখান। এই ছবি না দেখেই অরুচি, দেখলে হয়ত মাথার চুল ছিড়ব। যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার মার্কা থিয়েটারে মৃত্তিকা মায়া দেখতে কি পরিমান দর্শক যাবেন সেটাও কয় দিন যাবেন কে জানে?
২. ভারত আর বাংলাদেশের মাঝে চলচ্চিত্র বিনিময় শুরু হচ্ছে অচিরেই। দুই দেশের মানুষের ভালোবাসা ইত্যাদি ইত্যাদি বৃদ্ধির জন্য নাকি শীঘ্রই দেশের সিনেমা হলে কলিকাতার সিনেমা দেখতে পাবো আমরা। আবার আমাদের সিনেমাও তাঁদের দেখানোর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। ভালোই হবে মন্দ হবে না। ভারতের তিনটা বাংলা ছবি চলার খবর পেলাম! পরিচয়, শূণ্য অংক আর গয়নার বাক্সো নামের তিনটি ছবি সহসা বাংলাদেশের হলে চলবে বলে শুনলাম। এর মাঝে গয়নার বাক্সো দেখেফেলেছি ভিডিওতে। তেমন আহামরি লাগে নাই। এই ছবিতে শেষের দিকে কথা নাই বার্তা নাই বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধ ঢোকানো হয়েছে। কোথায় যেনো পড়লাম, মূল উপন্যাসে নাকি বাংলাদেশের অংশটুকুন ছিল না। বাংলাদেশে চালানোর জন্যই কি পরিচালক অপর্ণা সেন গয়নার বাক্সোতে গানে গানে মুক্তি যুদ্ধ দেখিয়েছেন। কোনখানের কোন অলীক ভুত পেত্নির গল্পের সাথে মুক্তি যুদ্ধকে জুড়ে দেবার মানে কি কে জানে!
একটা কথা মনে হল, বাংলাদেশে একটি ছবি হচ্ছে নাম ফেলানী। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করছেন ইউসুফ চৌধুরী। এই ছবিটি কবে মুক্তি পাবে জানি না। তবে মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথে ছবিটা যেনো ভারতের হলে চালানোর জন্য পাঠানো হয়। দেখব তখন বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের মানুষের জন্য আপনাদের সৌহার্দ কত টুকুন। আর ভারতীয় নির্মাতাদের কাছেও অনুরোধ থাকল আপনারা যদি বাংলাদেশে মানুষের প্রকৃত ভালোবাসা চান তবে গয়নার বাক্সো দিয়ে নয় পরলে ফেলানী কে নিয়ে আপনারাও একটি ছবি করুন। দেখবেন আপনাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা সম্মান কত বৃদ্ধি পায়!
জয় বাংলা!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
লাল দরজা বলেছেন: সীমান্তের এই গুলি করে মারার ব্যাপারে আমার একটা অদ্ভুত কথা মনে হয়। ভারত ভারতের অখন্ড ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা কর্ম কৌশল করে তারই এক কৌশল হিসেবে সীমন্তি জুড়ে ভয়ানক এক আতঙ্ক আর ত্রাস চালিয়ে রাখে ভারত ইচ্ছে করে। এটা ভারতের এক প্রকারের কৌশল। এর ফলে সীমান্তের এপার ওপারের মানুষের একে অপরের প্রতি বিন্দু মাত্র বিশ্বাস রইবে না। নাকের ডগায় বাংলাদেশ যদি সফল একটি রাষ্ট্র হয়ে আরো উন্নতি করে তখন ভারতের দমিয়ে রাখা অনেক গুলো রাজ্যের মানুষ ও হয়ত নিজেদের স্বাধীকারের জন্য আরো স্বচেতন হয়ে উঠতে পারে! পশ্চিম বঙ্গের সাথে বাংলাদেশের মাখামাখি সত্যিই যদি আন্তরিক ভাবে বাড়তে থাকে তাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মাথা ব্যাথারই কারন হবে। যে কারনে দুই বাংলা মিলিয়ে এক রাষ্ট্র না হতে দিয়ে দুই মেরুর দুই খন্ড মিলিয়ে পাকিস্তান বানিয়ে দিয়েছিল সবাই মিলে। তাই মনে হয় সীমান্তের এই ত্রাস তাঁরা ইচ্ছে করেই করে থাকেন। আমার এই মনে হওয়া ভুল ও হতে পারে। জানি না।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: ফালিনকে নিয়ে ওরা ঠিকই ছবি করবে, যেখানে অমিয় ঘোষ হবে এক ভারত মাতার দেশপ্রেমিক মহান সৈনিক আর ফেলানি হবে সীমান্তপথে পলায়নরতা এক ছিঁচকে চোর।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
লাল দরজা বলেছেন: হুম, তবু ১০০ কোটি মানুষের দেশে কারোই কি কোন মনুষত্ব জাগবে না তা ই বা হয় কি করে!
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২
ভালোরনি বলেছেন: ইন্ডিয়ার হলে তো দুরের কথা বাংলাদেশেই ছারপত্র দেয় কিনা কে জানে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
লাল দরজা বলেছেন: না না বাংলাদেশে নিশ্চই দিবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩০
মোসতাকিম রাহী বলেছেন: বহুত নাটক করার পর ফেলানির খুনিকে নির্দোষ ঘোষণা করেছে ইণ্ডিয়ান আদালাত। ফেলানিকে নিয়ে ছবি করা দূরে থাক, ইউসুফ চৌধুরীর 'ফেলানী' ছবিটাও ওদের হলে প্রদর্শন করে কিনা সন্দেহ আছে।
আর মুক্তিযুদ্ধ জুড়ে দেওয়ার ব্যাপারটা স্রেফ ব্যবসা বাড়ানোর একটা কৌশল। মনে আছে, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এদেশে ছবি করতে আসার পর একটা স্মৃতিচারণমূলক ধারবাহিক লেখা লিখেছিলেন 'সানন্দা' পত্রিকায়। পরে বিস্মিত হয়ে জানলাম, শুধুমাত্র বাংলাদেশে আসা কপিগুলোতেই ঐ লেখা ছিল। কলকাতার কপিতে ছিল না।
ওদের ছবির বিনিময়ে বাংলাদেশের কয়টা ছবি ওরা নেয় সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।