নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।
– আজহার উদ্দিন
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য একজন দক্ষ ও সৎ প্রতিষ্ঠান প্রধানের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে, যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে অযোগ্য ও দূর্নীতিবাজ একজন ব্যক্তি থাকেন, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়। একজন অযোগ্য ও দূর্নীতিবাজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তারা সাধারণত তিনটি বিশেষ কৌশল অবলম্বন করেন, যা প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তোলে।
প্রথমত, অযোগ্য প্রতিষ্ঠান প্রধান তার অনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য একটি দূর্নীতির সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেট তৈরির জন্য তিনি অযোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ দেন। এসব শিক্ষক নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে নয়, বরং প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে জড়িত থেকে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতি ভঙ্গ করে। এতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান একদম নিচের দিকে নেমে আসে এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
দ্বিতীয়ত, যোগ্য শিক্ষকদের তিনি প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় করেন অথবা যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিতেও ইচ্ছুক থাকেন না। কারণ যোগ্য শিক্ষকরা সঠিক ও ন্যায়পথে চলতে চান, এবং তারা দূর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। এজন্য এসব শিক্ষকদের কাজে বাধা সৃষ্টি করা বা তাদের বিদায় করে দেওয়াই প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য সহজ পথ হয়ে ওঠে। এর ফলে প্রতিষ্ঠান মেধাশূন্য হয়ে পড়ে।
তৃতীয়ত, এলাকার প্রভাবশালী, অথচ মূর্খ ও নৈতিকতাবর্জিত লোকদের হাতে রাখার জন্য তাদের প্রণোদনা দেওয়া হয়। এই ধরনের মানুষ প্রতিষ্ঠান প্রধানের দূর্নীতি ও অযোগ্যতাকে সমর্থন করে এবং তাকে সুরক্ষিত রাখে। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয় এবং প্রতিষ্ঠানটি হয়ে ওঠে এক ধরনের ‘অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার খেলার মাঠ’।
অতএব, একজন অযোগ্য ও দূর্নীতিবাজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নেতিবাচক প্রভাব থেকে প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং সঠিক নেতৃত্বের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে শিক্ষার গুণগত মান বজায় থাকে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি ন্যায়সঙ্গত ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে তাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
লেখক: শিক্ষক, প্রযুক্তিবিদ, ও সমাজকর্মী
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৫
ছোট কাগজ কথিকা বলেছেন: আপনার মন্তব্যে একটি বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে, যে দেশে অর্থকে সম্মানের মাপকাঠি হিসেবে দেখা হয়, সেখানে দুর্নীতি ও অনৈতিকতার প্রসার খুবই স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে, শিক্ষকের দায়িত্ব হল তাদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ বজায় রাখা। যদি শিক্ষকেরা শুধু অর্থের পেছনে ছুটেন, তাহলে তারা নিজেদের দায়িত্বের প্রতি অবহেলা করছেন। একটি সমাজের সঠিক উন্নয়নের জন্য শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা জরুরি, এবং এটি শুধুমাত্র সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে সম্ভব। আমাদের উচিত শিক্ষকদের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা, যাতে তারা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উন্নত ও নৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫
নাহল তরকারি বলেছেন: যে দেশে সম্মানের মাপকাঠি টাকা। বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গেলে পাত্রের ব্যাংক ব্যালেন্স দেখা হয়, সেখানে একজন শিক্ষক টাকা কামাই করবে। এটাই স্বাভাবিক। হউক সেটা দুর্নীতি করে বা সৎ পথে।