নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।
প্রতি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব শিক্ষক দিবস। এই দিনটি শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে পালিত হয়। শিক্ষকদের প্রচেষ্টা শুধু একাডেমিক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারা আমাদের জীবনের প্রতিটি স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। একজন ভালো শিক্ষক শুধুমাত্র পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান দেন না, বরং শিক্ষার্থীদের জীবনে সঠিক দিকনির্দেশনা, নৈতিক শিক্ষা, এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সহায়তা করেন।
বর্তমান সময়ে শিক্ষকদের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি এবং পরিবর্তনশীল সমাজব্যবস্থায় শিক্ষকদের চ্যালেঞ্জ বাড়লেও তাদের দায়িত্ব আরও শক্তিশালী হয়েছে। শিক্ষকগণ নতুন প্রজন্মকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার জন্য নিরলস পরিশ্রম করেন, যা সমাজ ও জাতির উন্নয়নের ভিত্তি।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, একজন শিক্ষকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা শুধুমাত্র একটি দিনের জন্য নয়, বরং প্রতিদিনই হওয়া উচিত। শিক্ষকগণ সমাজের প্রকৃত কারিগর, যারা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আলোকিত ও সুশিক্ষিত করার মহান ব্রত নিয়ে কাজ করে চলেছেন।
আসুন, আমরা সকল শিক্ষককে তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানাই এবং তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি। শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হোক আমাদের প্রতিটি দিন।
লেখক: আজহার উদ্দিন, শিক্ষক, সাংবাদিক, ও সমাজকর্মী
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০
শায়মা বলেছেন: সকল শিক্ষকদের প্রতি জানাই কৃতজ্ঞতা। আমাকে যারা পড়া লেখা নাচ গান ছবি আঁকা যেখানে যা শিখিয়েছিলো সবার প্রতি রইলো আমার কৃতজ্ঞতা!
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:০২
আজব লিংকন বলেছেন: আপনাকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস শুভেচ্ছা।
ছোটবেলায় একটা কবিতা পরেছিলাম। কঠিন কবিতা। যার জন্য আম্মার প্রচুর মার খেয়েছি। আজ কবিতার নাম মনে পড়লো কিন্তু কবিতাটা মনে নেই। কবিতাটি হলো,
শিক্ষাগুরুর মর্যাদা
– কাজী কাদের নেওয়াজ
বাদশাহ আলমগীর-
কুমারে তাঁহার পড়াইত এক মৌলভী দিল্লীর।
একদা প্রভাতে গিয়া
দেখেন বাদশাহ- শাহজাদা এক পাত্র হস্তে নিয়া
ঢালিতেছে বারি গুরুর চরণে
পুলকিত হৃদে আনত-নয়নে,
শিক্ষক শুধু নিজ হাত দিয়া নিজেরি পায়ের ধুলি
ধুয়ে মুছে সব করিছেন সাফ্ সঞ্চারি অঙ্গুলি।
শিক্ষক মৌলভী
ভাবিলেন আজি নিস্তার নাহি, যায় বুঝি তার সবি।
দিল্লীপতির পুত্রের করে
লইয়াছে পানি চরণের পরে,
স্পর্ধার কাজ হেন অপরাধ কে করেছে কোন্ কালে!
ভাবিতে ভাবিতে চিন্তার রেখা দেখা দিল তার ভালে।
হঠাৎ কি ভাবি উঠি
কহিলেন, আমি ভয় করি না’ক, যায় যাবে শির টুটি,
শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার
দিল্লীর পতি সে তো কোন্ ছার,
ভয় করি না’ক, ধারি না’ক ধার, মনে আছে মোর বল,
বাদশাহ্ শুধালে শাস্ত্রের কথা শুনাব অনর্গল।
যায় যাবে প্রাণ তাহে,
প্রাণের চেয়েও মান বড়, আমি বোঝাব শাহানশাহে।
তার পরদিন প্রাতে
বাদশাহর দূত শিক্ষকে ডেকে নিয়ে গেল কেল্লাতে।
খাস কামরাতে যবে
শিক্ষকে ডাকি বাদশা কহেন, ”শুনুন জনাব তবে,
পুত্র আমার আপনার কাছে সৌজন্য কি কিছু শিখিয়াছে?
বরং শিখেছে বেয়াদবি আর গুরুজনে অবহেলা,
নহিলে সেদিন দেখিলাম যাহা স্বয়ং সকাল বেলা”
শিক্ষক কন-”জাহপানা, আমি বুঝিতে পারিনি হায়,
কি কথা বলিতে আজিকে আমায় ডেকেছেন নিরালায়?”
বাদশাহ্ কহেন, ”সেদিন প্রভাতে দেখিলাম আমি দাঁড়ায়ে তফাতে
নিজ হাতে যবে চরণ আপনি করেন প্রক্ষালন,
পুত্র আমার জল ঢালি শুধু ভিজাইছে ও চরণ।
নিজ হাতখানি আপনার পায়ে বুলাইয়া সযতনে
ধুয়ে দিল না’ক কেন সে চরণ, স্মরি ব্যথা পাই মনে।”
উচ্ছ্বাস ভরে শিক্ষকে আজি দাঁড়ায়ে সগৌরবে
কুর্ণিশ করি বাদশাহে তবে কহেন উচ্চরবে-
”আজ হতে চির-উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির,
সত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ্ আলমগীর।”
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬
কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের কোমলমতিরা শিক্ষকদের অপমান করে যা দেখালো।