নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।
ডেঙ্গু বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে, যার প্রধান কারণ হচ্ছে এডিস মশার বংশ বিস্তার। তবে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট পদক্ষেপগুলোই হতে পারে এর থেকে মুক্তির উপায়।
জমা পানি ফেলা: প্রধান দায়িত্ব
ডেঙ্গু প্রতিরোধের মূলমন্ত্র হলো এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট করা। এডিস মশা সাধারণত ঘরের আশপাশে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে, যা পরবর্তী সময়ে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই, নিয়মিত প্রতিদিন জমা পানি ফেলে দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। টবে, ফুলের গাছের নিচে, ছাদে, বাথরুমে বা অন্যান্য স্থানে জমে থাকা পানি ফেলে দিয়ে এডিস মশার জন্ম রোধ করা সম্ভব।
নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখা: দায়িত্ববোধের পরিচায়ক
নিজের বাসস্থান, আঙিনা, আশপাশের জায়গা পরিষ্কার রাখা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। এডিস মশার প্রজনন জায়গা বন্ধ করতে হলে এই সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় আমরা নিজের বাসার ভেতর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলেও বাইরের জায়গাগুলোতে অযত্ন রেখে দিই। এ কারণে, শুধু ঘর নয়, ঘরের বাইরেও নজর দিতে হবে, যাতে কোনো জমা পানি না থাকে।
কেরোসিনের ব্যবহার: সহজে প্রতিরোধ
যাদের জন্য জমা পানি সরানো কঠিন বা সম্ভব নয়, তারা সহজ উপায়ে কেরোসিন ব্যবহার করতে পারেন। জমে থাকা পানিতে কেরোসিন ঢেলে দিলে মশার লার্ভা নষ্ট হয় এবং এডিস মশার প্রজনন বন্ধ করা যায়। এটি একটি কার্যকর উপায় যা সহজে বাস্তবায়ন করা যায়।
সচেতন নাগরিক হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা
প্রতিটি নাগরিকের উচিত নিজ নিজ জায়গা থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে এবং এটি কেবল একা সরকারের দায়িত্ব নয়। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে।
যে দেশে আমরা বাস করি, সেই দেশকে ডেঙ্গু মুক্ত করতে চাইলে প্রতিদিন ছোট ছোট দায়িত্ব পালন করা জরুরি। নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখা, জমা পানি ফেলে দেওয়া এবং সহজে কেরোসিন ব্যবহার করা আমাদের সেই লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।
ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিদিনের এই সংগ্রামই আমাদের নিরাপদ এবং সুস্থ জীবন নিশ্চিত করবে।
লেখক- আজহার উদ্দিন
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭
ছোট কাগজ কথিকা বলেছেন: এটা খুবই হতাশাজনক এবং অন্যায়। যে উদ্যোগে আপনারা পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখছেন এবং মশার ঔষধ প্রয়োগ করছেন, তারপরও এমন মিথ্যা অভিযোগ এবং ঘুষ চাওয়া সত্যিই নিন্দনীয়। ঘুষের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এর সঠিক প্রতিকার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা প্রয়োজন।
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৯
জনারণ্যে একজন বলেছেন: আহা, কি অসাধারণ মহানুভব এই কেয়ারটেকার!
এই মানুষটাকেই তো দরকার। নিজ দায়িত্বে, নিজের পকেট থেকে টাকা ঘুষ দিয়ে বাড়ির অন্যান্য বাসিন্দাদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন।
জাস্ট কিউরিয়াস, বাড়ির অবস্থা যদি সব ঠিকঠাক থাকে এবং জুলভার্ন চ্যালেঞ্জ জানানোর পরেও তবে কিভাবে পাঁচ হাজার থাকা ঘুষ দাবি করে?
এবং দরিদ্র ওই কেয়ারটেকারের এক হাজার টাকা কি পরে ফেরত দেয়া হয়েছে? দিয়ে থাকলে যিনি ফেরত দিয়েছেন, তিনিও ঘুষ দিতে প্রকারন্তরে হেল্প করেছেন।
নৈতিকতার কথা বলা, জ্ঞান দেয়া বেশ সহজ মাগার পালন করা - উহুঁ, অতো সহজ নয়।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৩১
ছোট কাগজ কথিকা বলেছেন: আপনার বক্তব্যের কিছুটা ব্যঙ্গাত্মক ধারা বুঝতে পারছি, কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি অনেক সময় এমন হয় যে কেয়ারটেকারের মতো মানুষেরা ঝামেলা এড়াতে বা বাসিন্দাদের স্বার্থে তাত্ক্ষণিকভাবে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। তবে ঘুষ দেওয়া বা নেওয়া দুটোই নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, এটা মানতে দ্বিধা নেই।
ঘুষের এই সংস্কৃতি আমাদের সমাজে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, এবং দুর্নীতি বন্ধ করা তখনই সম্ভব যখন সবাই একত্রিত হয়ে সচেতনতার সঙ্গে এই ধরণের কাজকে প্রতিহত করবে। আসল পরিবর্তন আসে তখনই যখন আমরা ব্যক্তিগতভাবে এগুলোতে আপোষ না করি, যেমন আপনি উল্লেখ করেছেন নৈতিকতা মেনে চলা শুধু বলা নয়, পালন করাটাই আসল চ্যালেঞ্জ।
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৬
জনারণ্যে একজন বলেছেন: সমস্যা এখানেই।
ব্যক্তিগত জীবনে ভন্ড-অসৎ-দুশ্চরিত্র - মাগার ভার্চুয়াল লাইফে এসে, ধোয়া তুলসীপাতাটি সেজে সম্প্রদান কারোকে আমরা অন্যদের জ্ঞান বিতরণ করে নিজেকে মহৎ সাজার আপ্রাণ চেষ্টা করে বেড়াই।
কিছু কইতে গেলেও দোষ, চিক্কুর-বাক্কুর দিয়া পাড়ার লোক সব জড়ো কইরা ফেলবো।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১১
ছোট কাগজ কথিকা বলেছেন: আপনার হতাশা বুঝতে পারছি। আমরা অনেক সময়ই ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে নিজেদের ভাবমূর্তি অন্যভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করি, যা বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিল নাও থাকতে পারে। তবে সবাই যে তা-ই করে, তা কিন্তু নয়। আমরা যখন কোনো নৈতিক বিষয়ে কথা বলি, সেটি অনেক সময় শুধু অন্যদের জন্য নয়, নিজেদের জন্যও এক ধরনের আত্মপর্যালোচনা হতে পারে।
জ্ঞান বিতরণ বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করাটা কোনো মহত্ত্ব প্রদর্শন নয়; বরং একটি সচেতন প্রচেষ্টা, যেখানে সবাইকে একসাথে ভালো কিছু করতে অনুপ্রাণিত করা যায়। আসল কথা, আমরা যদি নিজেদের দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে সৎভাবে কাজ করি, তাহলে সমাজও একদিন ধীরে ধীরে পরিবর্তন হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট।
আমাদের বিল্ডিংয়ে চারপাশে আমরা নিজ উদ্যোগে মশার ঔষধ প্রয়োগ করি এবং যথেষ্ট পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখি।
আজ সকালেই ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে একটা টিম এসে স্রেফ আজগুবী অভিযোগ করে- মশার লার্ভা পাওয়া গেছে.... এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করার জন্য তোরজোড় করে। আমি চ্যালেঞ্জ করি। তারপর কেয়ার টেকারকে ডেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুস দাবী করে। অনেক ঝামেলা এবং দৌড়ঝাপ এড়াতে কেয়ার টেকার ১০০০/- দিয়ে বিদায় করে দেয়।