নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।
জন্মদিন মানেই খুশির দিন, বিশেষ করে সন্তানের জন্মদিনে বাবা-মায়েদের জন্য এ যেন এক নতুন করে বেঁচে থাকার উপলক্ষ। গত ২৪শে সেপ্টেম্বর ছিল আমার বড় মেয়ে আরুশী আজহার আফজার জন্মদিন। প্রতি বছরই আমরা এই দিনটি অনেক আনন্দ আর ভালোবাসায় উদযাপন করি। তবে এবারের জন্মদিনে একটু ভিন্ন কিছু করতে চেয়েছিলাম—নিজের খুশিকে একটু ভিন্নভাবে ছড়িয়ে দিতে। আর তাই, আফজার জন্মদিন উপলক্ষে একজন মূমুর্ষ রোগিকে রক্তদান করেছি।
রক্তদানের গুরুত্ব:
রক্তদান এক অনন্য উপহার, যা কোনো দামের নয় কিন্তু অসংখ্য জীবন রক্ষা করতে পারে। এমন একজন রোগীর পাশে দাঁড়ানো, যিনি আমাদের মতো কোনো বিশেষ দিনের খুশি উপভোগ করার মতো সুস্থ জীবন থেকে দূরে রয়েছেন, এই অনুভূতিটি সত্যিই অসাধারণ। আমরা শুধু আরুশীর জন্মদিন উদযাপনই করিনি, বরং আরেকটি জীবনকে নতুন করে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দিয়েছি।
আরুশীর জন্মদিনের অনুপ্রেরণা:
আমার মেয়ের এই বিশেষ দিনটিতে রক্তদান করার সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন মানবিক দায়িত্ব পালন, অন্যদিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও বয়ে আনে। ছোট ছোট কাজের মাধ্যমেও আমরা কীভাবে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারি, সেটাই এই রক্তদান আমাদের শিখিয়েছে।
শেষ কথা:
আরুশী আজহার আফজার জন্মদিন আমাদের পরিবারে খুশির বার্তা নিয়ে আসে, কিন্তু এবার তা আরেকজনের জীবনেও নতুন আশার আলো জ্বেলে দিল। জন্মদিনের খুশি এবং অন্যের জীবন বাঁচানোর মধ্যে যে গভীর সংযোগ, তা এই রক্তদানের মাধ্যমে উপলব্ধি করেছি। আশা করি, এই উদ্যোগ সবার মাঝে আরও বেশি মানবিকতার চেতনা ছড়িয়ে দিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২২
ছোট কাগজ কথিকা বলেছেন: রক্তদান মানুষের জীবন বাঁচাতে একটি মহান কাজ, এবং আমার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র অন্যদের অনুপ্রাণিত করা। আমি জানি অনেকেই এমন উদ্যোগ নিতে চান, কিন্তু কখনো কখনো তারা পিছিয়ে থাকেন। রক্তদান করার মাধ্যমে যদি আমি অন্য কাউকে উদ্বুদ্ধ করতে পারি, সেটাই আমার পোস্টের মূল উদ্দেশ্য। এই উদ্যোগের মাধ্যমে যদি একজনও অনুপ্রাণিত হয়, তবেই আমি সফল মনে করব।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০১
অগ্নিবেশ বলেছেন: দান করে ছবি দিয়ে প্রচার করা, আমার কাছে ঠিক ভালো লাগে না।