নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।

ছোট কাগজ কথিকা

আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।

ছোট কাগজ কথিকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসুস্থ স্বামীকে কিডনি দিয়ে বাঁচালেন স্ত্রী

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

ভালোবাসা দিবসের বিশেষ দিনে সেখানে শিশিরভেজা লালগোলাপ কিংবা রজনীগন্ধা বিনিময় নেই। দামী অলঙ্কারের আতিশয্য নেই। আছে শুধু প্রিয়জনকে নিয়ে পথচলার আনন্দ।

ভালবাসার এই কাহিনীর নায়ক এক স্কুল শিক্ষক আবদুল মান্নান ব্যাপারী। নায়িকা পেশায় পার্শ্ব শিক্ষিকা মাসুদা পারভিন। দুই দশকের দাম্পত্য জীবন।

জানা যায়, বছর সাতেক আগে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতই ভারতের তুফানগঞ্জের বাসিন্দা ওই দম্পতির জীবনে নেমে এসেছিল এক টুকরো কালো মেঘ। শারীরিক কিছু সমস্যার চিকিৎসা করাতে গিয়ে জানা যায়, স্বামীর শরীরে জন্মগতভাবে একটি কিডনি রয়েছে। সেটিও বর্তমানে বিকল হওয়ার পথে।

ডাক্তার জানায়, যতো দ্রুত সম্ভব নতুন করে কারো কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে আব্দুল মান্নান ব্যাপারীর শরীরে। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও আগ্রহী ‘ডোনার’ না মেলায় দুজনেই খানিকটা ভেঙে পড়েন। সে সময়ই নিজের মনোবলকে সম্বল করে অসুস্থ স্বামীকে নিজের একটি কিডনি দান করেন স্ত্রী মাসুদা। ভালবাসার উপহারে নতুন জীবন ফিরে পান আবদুল মান্নান মাস্টার।

এখনো স্মৃতির অ্যালবাম থেকে শুধু সেই লড়াইয়ের দিনগুলির ছবি খুঁজে বেড়ান এই যুগল। হয়তো সুখের আনন্দ কিংবা যুদ্ধ জয়ের।

এবার ভ্যালেন্টাইন্স ডের মুখে তুফানগঞ্জের বাড়িতে বসে সেই লড়াইয়ের অ্যালবাম থেকে একেকটা ছবি হাতড়াতে গিয়ে চোখ ছলছল হয়ে ওঠে ওই শিক্ষক দম্পতির। তুফানগঞ্জেরই নাককাটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ‘স্বামী’ আবদুল মান্নান ব্যাপারীর গলা প্রায় শুকিয়ে আসছিল। পঞ্চাশোর্ধ্ব আব্দুল মান্নানের মতো বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ছিলেন স্ত্রী মাসুদা পারভিনও।

স্থানীয় অঙ্গদেবী গার্লস হাইস্কুলের পার্শ্বশিক্ষিকা মাসুদা গত পৌরভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতে তুফানগঞ্জ পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হয়েছেন। বাড়ি তুফানগঞ্জ পুরসভার ওই ওয়ার্ডের পিলখানা রোড এলাকায়।

২০১০ সালের এপ্রিল মাসে স্বামীকে নিজের কিডনি দিয়ে বাঁচিয়েছেন এই নারী। অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে মাসুদা বলেন, তাকে নিয়ে থাকতে চেয়েছি, ওপরওয়ালা সেই সুযোগটা আমায় দিয়েছেন। জীবনে এর থেকে বড়প্রাপ্তি কিছু নেই। সারাজীবন এভাবে কাটাতে চাই দুজন।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ এই ভালোবাসা, ধন্যবাদ এই বেঁচে থাকা;

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন গভীর ভালবাসার খবর শেয়ারে ধন্যবাদ।

আরেকটা জিনিষ খটকা লাগল- আপনি কি ওপারের???
পুরসভা শব্দটা আমাদের দেশীয় নয়।কলকাতায় ব্যবহৃত হয়। আর আমরা পৌরসভাই অফিসিয়ালি ব্যবহার করি।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাহঃ কি দারুণ ভালবাসা। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি!!
পোস্টে (+১)

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: অসাধারণ....
আমাদের ভালোবাসা গুলো আসলে এমন ই হওয়া উচিত!! :-)

ভালো লাগল।

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

ছোট কাগজ কথিকা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অভিবাদন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.