নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।
আব্দুল্লাহ আল শাহীন একজন তরুন লেখক ও ব্লগার। গোলাপগঞ্জেরই কৃতি সন্তান। থাকেন প্রবাসে। জাতীয় স্থানীয় দৈনিক. অনলাইন ও সাপ্তাহিক পত্র পত্রকিায় লেখালেখি করেন। একজন তরুণ লেখক হিসেবে রয়েছে সুনাম। প্রবাসে থেকেও সাহিত্য চর্চাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন মার্তৃত্বের টানে। আব্দুল্লাহ আল শাহীন গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউপির ফতেহ পুর গ্রামের জনাব আব্দুর রউফ ও সুজিয়া বেগমের প্রথম পুত্র । জন্ম ১৯৯০ সালের ১৯ শে মার্চ । পারিবারিক জীবনে তারা ২ ভাই। শিক্ষা জীবনে এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করে ২০০৮ সালে পরিবারের বড় ছেলে হওয়ার কারনে প্রবাসী হতে হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জাতীয় স্থানীয় জাতীয় স্থানীয় পত্র পত্রকিায় লেখালেখি করে যাচ্ছেন তিনি। তার সফলতার এ চিত্র তুলে ধরতে মুখোমুখি হয়েছেন গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কবিতার কাগজ কথিকার সম্পাদক নোমান মাহফুজ।
নিম্নে তার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো:-
নোমান মাহফুজ: লেখালেখি শুরু কবে? লেখনীর প্রথম পথপ্রদর্শক কে?
আব্দুল্লাহ আল শাহীন: লেখালেখি শুরু করি আমি ২০১১ সাল থেকে। গোলাপগঞ্জ -বিয়ানীবাজার পত্রিকার উপসম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সল আলম ভাই আমাকে এক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন। এছাড়া অনলাইন আজকের সিলেট ডট কমের সম্পাদক সাইফুর তালুকদার ভাই , সিলেট এক্সপ্রেসের তাসলিমা বিথী এবং দৈনিক ইনকিলাব মুক্তাঙ্গনের ডেস্ক তারিন তাসমি আমাকে অনেক হেল্প করেছেন। টুডে ব্লগের ব্লগার জামাল উদ্দিন এবং সাইফুর ইসলাম ভাই সহ অনেক ব্লগার ভাই বোন রয়েছেন যাদের সহযোগীতা আমার জন্য অনেক গুরুত্বের আর টুডে ব্লগ আমার জন্য শিক্ষার বর্তমান প্রতিষ্ঠান।
নোমান মাহফুজ: লেখালেখির ধরণ কি? প্রথম লেখা কবে প্রকাশ হয়েছে। এবং কোথায়?
আব্দুল্লাহ আল শাহীন: প্রথমে আমি রাজনৈতিক লেখালেখি শুরু করার প্লান ছিল। কিন্তু পরবর্তিতেত সমাজ ,সংস্কৃতি ও প্রবাস নিয়ে লিখা শুরু করি। প্রথম লিখা অনলাইন পত্রিকায় সম্ভবত ২০১২ সালে প্রকাশ হয়েছিল। প্রিন্ট মিডিয়ায় ২০১৩ সালে স্থানীয় গোলাপগঞ্জ -বিয়ানীবাজার সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশ হয়। পত্রিকাটি সিলেট থেকেই প্রকাশ হয় ।
নোমান মাহফুজ: প্রথম প্রকাশিত লেখার বিষয়বস্তু কি ছিল? কোন শিরোনামে?
আব্দুল্লাহ আল শাহীন: প্রথম লিখার বিষয় ছিল এলাকার সমস্যা স্থানীয় এমপির নজরে আনা এবং সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে মতামত। " সিলেট -৬ আসনের এমপির কাছে খোলা চিঠি " শিরোনামে লিখা প্রকাশ হয়।
নোমান মাহফুজ: কার লেখনীতে অনুপ্রেরিত হয়ে আপনি লেখনির প্রতি নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন?
আব্দুল্লাহ আল শাহীন: কোনো নির্ধিষ্ট ব্যাক্তি নয় বরং একাধিক ব্যক্তির লেখনী আমাকে অনুপ্রেরিত করেছে। দেশের জাতীয় পত্রিকার সম্পাদকীয় -উপসম্পাদকীয় পড়েই মূলত লেখালেখির শুরু। সে ক্ষেত্রে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান স্যার অন্যতম। এছাড়া আবুল আসাদ , আব্দুল হাই শিকদার ,ফরহাদ মাজহার ,রুহুল আমিন গাজী ,কলামিস্ট সিরাজুর রহমান স্যারদের নাম না বললেই নয়।
নোমান মাহফুজ: আপনি তো জাতীয় পত্রিকায় লেখালেখি করেন। তো সে ক্ষেত্রে আপনার লেখালেখীর অবস্থানকে কেমন দেখেন?
আব্দুল্লাহ আল শাহীন: প্রথমে আমি অনেক লিখা মেইল করেছি জাতীয় পত্রিকায় দিন পর দিন মাসের পর মাস গেলেও লিখা প্রকাশ হয় নাই। অপেক্ষা করতে করতে এরকম একদিন দৈনিক নয়া দিগন্তে একটা লিখা প্রকাশ হয়। এর মাস খানেক পর দৈনিক সংগ্রামে প্রবাস নিয়ে লিখা প্রকাশ করে। তারপর দেহ্সের অনেক পত্রিকায় লিখেছি বিশেষ করে দৈনিক আমার দেশ বন্ধের আগ মুহুর্তে অন্তত সপ্তাহ একটি লিখেছি আবার কোনো সপ্তাহ দুটিও লিখেছি এবং তা প্রকাশ ও হতো। আর বর্তমানে দৈনিক ইনকিলাবে লিখি যে লিখা মেইল করি সেটাই প্রকাশ হয়। প্রবাসে কাজের ফাঁকে লখি সেজন্য প্রতি সপ্তাহে লিখা হয় না তবে নিম্নে মাসে তিনটা লিখি। আমার পুরনো লিখা যখন নিজে পড়ি একা একা হাসি এবং তৃপ্তি পাই। কারণ পূর্বের লিখার চেয়ে বর্তমান লিখার মান ভালো বলে মনে হচ্ছে।
নোমান মাহফুজ: আপনার প্রিয় লেখক,কবি, কলামিষ্ট কে? এবং কার লেখা বেশী অনুস্বরণ করেন! এবং কেন?
আব্দুল্লাহ আল শাহীন: আমার প্রিয় লেখক মাহমুদুর রাহমান ,প্রিয় কবি আল মাহমুদ ,প্রিয় কলামিস্ট মেজর জেনারেল - অব: সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীর প্রতীক। সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম সাহেবের লিখা এব্শি অনুস্বরণ করি। কারণ হচ্ছে উনার লিখার মধ্যে আমার মনের একটা মিল আছে। আমি যদি কিছু লিখি সেটা আন্তরিকতার সাথে লিখি। উনি ও কিছু লিখলে অনকে আন্তরিকতার সাথে লিখেন। সবার প্রতি প্রেম ভালোবাসা এবং সম্মান বিদ্ধমান রেখেই লিখেন তিনি।
নোমান মাহফুজ: আপনার স্বরচিত কোন বই প্রকাশ করেছেন?
আব্দুল্লাহ আল শাহীন: আমি লেখালিখি শুরু করি প্রবাসে এসে। দেশে যাওয়া হয়েছে কিন্তু বই প্রকাশ করা হয় নাই। আমি পত্রিকায় লিখার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চেয়ছিলাম সে জন্য বই প্রকাশ করতে আগ্রহ দ্কেহাই নি। তবে বর্তমানে একটি বইয়ের কাজ শুরু করেছি। ইনশা আল্লাহ আগামী বছরের শুরুতেই বই প্রকাশের কাজে মনোযোগী হব।
নোমান মাহফুজ: আপনার লেখা বেশীরভাগ এলাকার সমস্যা অবস্থান নিয়ে দেখা যায়। এ নিয়ে লেখার কারণটা কি?
আব্দুল্লাহ আল শাহীন: দেশপ্রেম শুরু হয় নিজ ঘর থেকে। যে তার মাকে ভালোবাসে না সে দেশকে কি করে ভালোবাসবে ? তার পর আসে নিজ এলাকা। আমার মনে সব সময় একটা স্বপ্ন কাজ করে সেটা হচ্ছে এলাকার জন্য কিছু করা। এলাকার জন্য আমার পক্ষে একটাই করার আছে সেটা হচ্ছে এলাকার সমস্যা গুলো লিখনির মাধ্যমে সরকারের নজরে আনা। আমি জাতীয় পত্রিকায়ও এলাকার সমস্যা নিয়ে বরাবর লিখেছি এবং লিখব।
নোমান মাহফুজ: আপনার লেখার ব্যক্তিগত কোন পাঠক কি রয়েছেন? আর তা কত জন?
আব্দুল্লাহ আল শাহীন: আসলে কোনো লেখক যখন লিখে সে ব্যক্তিগত কোনো পাঠক খোঁজে না বরং সবার কাছে নিজের লেখা পৌছানোর চেষ্টা করে আর সেটা লিখার মানের উপর ভিত্তি করে। তবে এটা বলতে পারি আমার নিজ এলাকার অনেক গুনিজন রয়েছেন যারা নিয়মিত আমার লিখা পড়েন পত্রিকা ক্রয় করে। এছাড়া আমার শত শত ব্লগার বন্ধু আছে যারা ব্লগে ছাড়া ও পত্রিকায় প্রকাশিত লিখা নিয়মিত পড়েন। আপনি জানেন যে বর্তমানে অনলাইনে বেশির ভাগ লিখা পড়া হয়। গত এক মাস পূর্বে একটা লিখা ছিল ইনকিলাবে ব্লগ এবং ব্লগার সম্পর্কে আমি শুনেছি এটা নাকি পত্রিকার ওয়েব থেকে সবচেয়ে বেশি শেয়ার হয়েছে।
নোমান মাহফুজ: প্রবাসে থেকে নিয়মিত লেখছেন? তো কর্ম কাজে কি কোন ব্যাঘাত ঘটেনি?
আব্দুল্লাহ আল শাহীন: জি হ্যা আমি প্রবাস থেকেই লিখি সাধ্যমত। কাজের ফাঁকে ফাঁকে লিখি এবং অনেক সচেতনতার সাথে লিখি যাতে আমার কর্মের ব্যাঘাত না ঘটে।
নোমান মাহফুজ: লেখালেখির মাধ্যমে আপনার ভবিষ্যত কোন ভাবনা থাকলে তা কি পাঠকের উদ্দেশ্যে বলবেন?
আব্দুল্লাহ আল শাহীন: আমার একটাই ভাবনা আমি লিখতে চাই সবসময়। আমি আমার লেখনীর মাধ্যমে নিজেকে তুলে ধরেতে চাই। লেখনীর মাধ্যমে সমাজের অপসংস্কৃতির বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে সুন্দর ও শালীন সংস্কৃতির আগমন ঘটাতে চাই। সমাজে ভাতৃত্ব ও প্রেমময় পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই।
নোমান মাহফুজ: আপনি কি কোন সাহিত্য সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন? তা কোন পদে অধিষ্ট। আর সাহিত্য সংগঠনের সাথে জড়িয়ে থাকার কারণটা বলবেন?
আব্দুল্লাহ আল শাহীন: দেশের শীর্ষ ব্লগারদের নিয়ে "পরিবর্তন " নামের একটি সাহিত্য সংঘটনের সাথে আছি।মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিনিধির দায়িত্বে আমি রয়েছি। শুধু আমি কেন ? আমার মতে সবায়েক সাহিত্যের সাথে সম্পৃক্ত থাকা জরুরি। আপনি সমাজের চিত্র দেখেন কত করুন । সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে অপসংস্কৃতি জায়গা করে নিয়েছে যার একমাত্র কারণ হচ্ছে শালীন সংস্কৃতির অনুপস্থিতি। দেশের সাহিত্যিকরা সঠিক সংস্কৃতি সমাজে প্রসারিত করতে ব্যর্থ হচ্ছেন বলেই এই অবস্থা। বর্তমানে আমরা যেমন আশির দশকের নব্বইর দশকের সচেতনদের দোষারূপ করছি যে সেসময় তারা কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে আজকের সমাজের এই চিত্র । আগামীতে আমাদের দোষারূপ করা হবে না সেটা কি করে বলা যায় ? সে জন্যই ধার্মিক দেশপ্রেমিক সাহিত্যিকদের দ্বারা গঠিত সাহিত্য সংগঠনের সাথে থেকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ এবং লিখনের মাধ্যমেই সম্ভব সঠিক সংস্কৃতির পরিবেশ সৃষ্টি করা।
নোমান মাহফুজ: জাতিয় পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে কোন সুফল পেয়েছেন কি?
আব্দুল্লাহ আল শাহীন: সুফল সমাজ পাবে আমি যা পেতে চাই সেটা হচ্ছে তৃপ্তি। আর আমি সেটা পাচ্ছি যখন কেউ বলে আপনার এই লিখা গুরুত্বপূর্ণ।
নোমান মাহফুজ: লেখালেখি নিয়ে নবীন লেখিয় বন্ধুদের উদ্দেশ্যে আপনার কোন পরামর্শ এবং কোন ভাবনা কি আছে?
আব্দুল্লাহ আল শাহীন: লেখালেখিতে আমিও নবীন আর তবুও বন্ধুদের বলতে পারি সত্যের পক্ষে থেকে সঠিক কথা লিখার চেষ্টা করতে হবে। পরিবর্তনের জন্য নিজের কলমকে ব্যবহার করতে হবে। আমার অনেক ভাবনা রয়েছে নবীনদের কাতারের একজন হয়ে সবার সাথে একত্রিত হয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া। একটি সুন্দর প্ল্যাটফর্ম তৈরী করে সত্যের পতাকা উড়ানো।
©somewhere in net ltd.