নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় বৃহৎ সংগঠন। দেশজুড়ে রয়েছে শাখা প্রশাখা। তৃণমুল পর্যায়ে যার জনপ্রিয়তা। আলেমদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সংগঠন।ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যার সাথে ওৎপোতভাবে জড়িত। এ সংগঠনের মুল চালিকা শক্তি আলেম সমাজ। তারপ্রধানও দেশ খ্যাত আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী।সংগঠনটির কেন্দ্রীয়দুই নেতা ২৪ ও ২৫ জানুয়ারী সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা সফর করছেন। কিন্তু এখানকার হেফাজত নেতাদের নীরবতায় প্রশ্ন উঠছে সর্বমহলে।একসময় যারা ছিলেন হেফাজতের উপজেলা কেন্দ্রীক দাপুটে নেতা।এখন আর তাদের দেখাই মিলছে না।রবিবার ২৪ জানুয়ারী।গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণে এসেছেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগরীর আমীর আল্লামা নুর হুসাইন ক্বাসিমী।
দেখা মিলেনি সেই দাপুটে নেতাদের।উপজেলা উত্তর কিংবা দক্ষিণ হেফাজতের আমীর, সেক্রেটারী বা সাংগঠনিকের।আর যারাই ছিলেন তারা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বা অঙ্গসঙ্গঠনের নেতাকর্মী।কারণ রাজনৈতিক পরিচয়ে আল্লামা নূর হুসাইন জমিয়তের কেন্দ্রীয় মহাসচিব!তাই তারা ডিজিটাল ব্যানার সহ বিভিন্ন ভাবে তাদের নেতাকে স্বাগত জানিয়ে বরণ করেছেন।এদিকে সোমবার২৫ জানুয়ারী গোলাপগঞ্জের মানিককোন হাওরলা মাদ্রাসায় এসেছেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।নীরবতার চাদরে ঢাকা হেফাজতেরঅবস্থান।
যেন কেউ জানেন ই যা কেন্দ্রীয় মহাসচিব আসছেন।কেন্দ্রীয় নের্তৃবৃন্দের আগমনের পরও হেফাজতের নীরবতার কারণ জানতে চাইলে গোলাপগঞ্জ ও ঢাকাদক্ষিণ হেফাজতের অনেক নেতার সাথে যোগাযোগ করে কথা বলা সম্ভব হয়নি। আবার অনেকে এ ব্যপারে কোন কথা বলতেই রাজিই হননি।মামুনুর রশীদ নামে তরুণ এক হেফাজত কর্মী বলেন,আসলে আমার কাছে মনে হয় এরাস্বার্থবাদী।না হলে কেন্দ্রীয়নেতাদের আগমনে তাদের নীরব ভুমিকা কেন? সত্যি তা খুব দুঃখজনক।এ ব্যপারেনাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন হেফাজত কর্মী বলেন,সত্যি বলতেপদ লোভী আর স্বার্থবাদীদের কবলে ছিল দেশের এই সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠনটি।কেন্দ্রীয় নের্তৃবৃন্দের আগমনেতাদের নীরবতাই এর প্রমাণ। ইসলাম ও মুসলামদের স্বার্থ রক্ষার এই সংগঠনে পদলোভী ও স্বার্থবাজদের এমন অবস্থান খুবই দুঃখজনক।
শুধু নাম মাত্র যারা আমীর সেক্রেটারী বা সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন। আজ তার মুখোশ দেখলো গোলাপগঞ্জের ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।সচেতন মহলের ধারণা,কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আল্লামা নুর হুসাইন কাসিমি রাজনৈতিক পরিচয়ে জমিয়তের মহাসচিব,তাই তার ক্বদরছিল,ব্যানার ফেষ্টুনে সাদর সম্ভাষণও জানানোহয়েছে। তবে হেফাজতের কেন্দ্রীয় মহাসচীব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর রাজনৈতিক কোন পরিচয় নেই।তাই তার ক্বদরও নেই। স্বাগত জানানোরও লোক নেই। মানিকোনা হাওরতলা মাদ্রাসার আহবানে এসেছেন। তারা তাদের ক্বদর সমাদর করেছেন। অবশেষে কেন্দ্রীয় নের্তৃবৃন্দের আগমনে গোলাপগঞ্জ হেফাজতের নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ থেকে গেল গোলাপগঞ্জের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে!
©somewhere in net ltd.