নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।
নোমান মাহফুজ: গ্রামীণ ফোন কোম্পানির গ্রাহক লটারীর নামে ফের ফ্লাক্সি ও বিকাশ প্রতারণা শুরু হয়েছে। সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্যরা গ্রামীণ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কাছে ফোন করে তাকে ভাগ্যবান গ্রাহক বলছেন। স্যার সম্বোধন করে ‘প্রতারক’ ইনিয়ে-বিনিয়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর অবস্থান, পরিচয়, পেশা ও লেখাপড়া যোগ্যতার বহর কতটুকু তা জেনে নেয়ার পর বলছেন আপনি গ্রাহক লটারীতে জিতেছেন। তবে পুরস্কার পেতে কিছু নিয়ম-কানুন মানতে হবে। যেমন আপাতত; লটারীতে বিজয়ী হওয়ার কথা কারোর কাছেই প্রকাশ করা যাবে না। শনিবার এ রকম অফার পান গোলাপগঞ্জ উপজেলার শেখপুর গ্রামের শেখ জাহেরা বেগম। শুধু শেখ জাহেরা বেগম ই না, চক্রের সদস্যরা এধরণের প্রলোভন দেখিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কখনো ফ্লাক্সি কখনো বিকাশে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। বিভিন্ন সূত্র মতে, বেশকিছু দিন প্রতারকচক্রের সদস্যরা ঘাপটি মেরে থাকার পর ফের প্রতারণা শুরু করেছে। শেখ জাহেরা বেগম জানান, শনিবার দুপুর ১টা ২৪ মিনিটে 01772095321 নম্বর থেকে ফোন দিয়ে একজন বললো “গ্রামীণ ফোন হেড অফিস থেকে বলছি। আপনি ১৪লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার বোনাস জিতেছেন। টাকাটা নেয়ার জন্য এই নম্বরে ফোন দেন। আর বিষয়টি কারো সঙ্গে শেয়ার করবেননা।” এরপরই জানতে চাওয়া হয় নাম, পরিচয় অবস্থান, পেশা ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিভিন্ন তথ্য। সবকিছু জানানোর পর বলা হয় আপনি ভাগ্যবান গ্রাহক। সুসংবাদ রয়েছে আপনার। আপনি গ্রামীণ ফোন কোম্পানির গ্রাহক লটারীতে ৪৭ হাজার ১৫ টাকা জিতেছেন। তবে এ মুহুর্তে প্রচার করা যাবে না। পুরস্কার প্রাপ্তির কথা কেউ জানতে পারলে আপনার সীমকার্ডটি মাত্র দেড়শ টাকায় তুলে নিতে পারে প্রতারকচক্রের সদস্যরা। আপাতত: সবকিছু গোপন রাখতে হবে। এমনকি ফ্লাক্সির দোকান থেকে জানতে চাওয়া চাইলেও বলা যাবে না। অপরপ্রান্ত থেকে একটি নম্বর লিখে নিতে বলা হয়। নম্বরটি লেখা ঠিকঠাক হয়েছে কিনা তা বেশ কয়েকবার মিলিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। তারপরই দ্রুত নম্বরটিতে ৩৭৫ টাকা পাঠিয়ে দিতে বলা হয়। ফ্লাক্সি বা বিকাশে খরচের এই টাকা পাঠানোর পরই পুরস্কারের টাকা মোবাইলে পৌঁছে যাবে বলে জানানো হয় শেখ জাহেরা বেগমকে । তবে এসবই প্রতারকচক্রের কাজ বুঝতে পেরে নম্বরটিতে ফ্লাক্সি বা বিকাশ না পাঠিয়ে সাংবাদিকদের জানান এই ভুক্তভোগী মোবাইল গ্রাহক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই প্রতারকচক্রের খপ্পড়ে পড়ে অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন। ফ্লাক্সি পাঠিয়ে পুরস্কার গ্রহণের জন্য ঢাকায় গ্রামীণ ফোন কোম্পানির অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়। যে নম্বরটি থেকে ফোন করা হয়েছিল তা বন্ধ পেয়ে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। তার মতো গ্রামীণ ফোন ব্যবহারকারী অনেকেই এভাবে প্রতারিত হচ্ছে।
শেখ তার পর পরই উনার ফেইসবুক আইডিতে বিষয়টি শেয়ার করেন, তা হুবহু তুলে ধরা হলো:- দুপুর ১টা ২৪ মিনিটে 01772095321 নম্বর থেকে ফোন দিয়ে একজন বললো “গ্রামীণ ফোন হেড অফিস থেকে বলছি। আপনি ১৪লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার বোনাস জিতেছেন। টাকাটা নেয়ার জন্য এই নম্বরে ফোন দেন। আর বিষয়টি কারো সঙ্গে শেয়ার করবেননা।” আমি নুন্যতম কৌতুহলী না হয়ে শুধু ‘বাটপারির জায়গা পাননা’ বলে ফোন রেখে দেই। বিষয়টি শেয়ার করছি শুধুমাত্র সচেতনতার জন্য। আমার এই স্ট্যাটাসটি গ্রামীণ ফোন কর্তৃপক্ষ বা, সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কারো নজরে এলে দয়া করে এই নম্বরটি অনুসরণ করুন। প্রতারক চক্রটিকে সনাক্ত করার চেষ্ঠা করুন। আমি সচেতন বলে প্রতারিত হইনি। কিন্তু প্রতিদিন অসংখ্য সাধারণ মানুষকে এরা মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে প্রতারিত করছে।
©somewhere in net ltd.