নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।

ছোট কাগজ কথিকা

আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।

ছোট কাগজ কথিকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ সফর: যেমন দেখে এলাম বিছনাকান্দি

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

লেখক: নোমান মাহফুজ


পাহাড়ের বুক চিড়ে বয়ে চলছে ঝর্ণা, আর সমতল ভুমিতে স্তরে স্তরে সাজানো নুড়ি পাথর। দূর থেকে তাকালে মনে হয় আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে নরম তোলার মতো ভেসে বেড়াচ্ছে মেঘরাশি। প্রকৃতির এই অপরুপ সৌন্দর্য আর কোথায় পাবেন।দেখতে মন চায়,তবে চলে আসতে পারেন সিলেটের গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দিতে। আর উপভোগ করুন েেসৗন্দর্য্য আর আনন্দের ভাগাভাগি। ঈদের আনন্দ আর খুশি যখন ঘরে ঘরে। উৎসবের হৈ হুল্লোড় যখন চারিদিকে । ঠিক এই মূহুর্তে বাজলো আনন্দ ভ্রমনের ঘন্টা। ঈদুল ফিতরের ২য় দিন। অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিলেট মিডিয়া ডটকম সম্পাদকের ফোন। মিডিয়া পরিবারকে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনের একান্ত আলাপ। অবশেষে দায়ীত্ব নিজ ঘাড়ে নিতে হলো। পরিবারের সবার সাথে যোগাযোগ করে দিন, ক্ষণ, স্থান ঠিক হলো। দিনটি বৃহস্পতিবার। সব ঠিকটাক। মিডিয়া সম্পাদকের নের্তৃত্বে নোহা যোগে সড়কপথে সকাল ১০টায় সিলেটের ঐতিহ্যের সুন্দরের অপরুপ রাজকন্যা গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হলো। মিডিয়া সম্পাদক সহ ১১ জনের টিম আমরা। মহিমাময় রবের অপরুপ সৃষ্ঠির জলকানি দেখে দেখে গাড়ি ছুটে চলছে গন্তব্যে।বিছনাকান্দি যেতে আমরা তামাবিল রোড হয়ে মাতুরতল বাজার গোয়াইঘাট যেতে ছূটে চলছি। পথিমধ্যে হরিপুর বাজারে এসে অল্প বিরতি নিয়ে আবার গন্তব্যের পথে। শুরু হলো গুড়ি গুড়ি আবার অঝার ধারার বৃষ্টি।দৃশ্যপট অনেকটাই পাল্টে গেল । বৃষ্টিময় আনন্দ ভ্রমণে সৃষ্টি হলো ভালো লাগার এক আবেশ ।
গাড়ির ভিতরে চলছে মিডিয়া কর্মীদের আড্ডাবাজী। তাল মিলিয়ে সবাই যেন একই রক্তের বাঁধনে গড়া। গান আড্ডার তালে পৌছলাম তামাবিল রোডে সারিঘাট বাজারে। সেখান থেকে গোয়াইনঘাটের উদ্দেশ্যে গ্রামীণসম রাস্তা দিয়ে যাত্রার পালা। গাড়ি ছুটে চলছে অবিরাম। মাতুরতলবাজার গিয়ে পৌছলাম বেলা ২টার দিকে। সেখান থেকে গাড়ি দিয়ে যাওয়া যাবে না। রাস্তার বেহাল অবস্থা। বাহন হিসেবে ”মটরবাইক” ভাড়া করে যেতে হলো মনরতল বাজারে । সেখান থেকে নৌকা যোগে অপরূপ রাজকন্যার পাদদেশে েেপৗছলাম। অবশ্য নৌকাতে বসে হালকা নাস্তা আর ড্রেস চেঞ্জ করলাম সবাই । নৌকায় যেতে প্রায় ১০ মিনিট সময় লাগলো। তবে অনূভুতি আর পরিবেশটা ছিল ভিন্ন রকম। আনন্দ ভ্রমণের মূল স্পটে যাওয়ার পর শুরু হলো আড্ডা,ফটো সেশন আর পানিতে নেমে ফুর্তি আমোদ। প্রচুর দর্শনার্থীর ভীড়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে,কেউ বন্ধু মহল নিয়ে,কেউ একান্ত আপনজনকে নিয়ে। আনন্দ ভ্রমণ শেষে চলে এলাম নিজেদের নীড়ে।
আর দেখে এলাম সেখানকার দুর্দশার কথা-চিত্র। সেখানকার একটি বিষয় ছিল লক্ষণীয় যে, সেখানকার কোলাহল পরিবেশটা অভিন্ন ভাললাগার। পানিতে নেমে আনন্দের বিষয়টা সবার কাছে অপূর্ব মূহুর্ত। তবে একটা বিষয় হলো পানিতে থাকা ছোট মাজারি বড় বিভিন্ন রকমের পাথরগুলি থেকে অধিকাংশ পর্যটক হাতে তুলে খেলা করেন। যা বিপদের লক্ষণ। কারণ এ পাথরগুলির কারণে অধিক স্রোত থেকে নিজেকে সামলে রাখা যায় না। আর এভাবে তুলার কারণে দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এবং অনেকের হাত পায়ে জখম হয়েছে। এ বিষয়টা কেউ খেয়াল করে নি। আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করলাম যে বাংলাদেশ সীমান্তের ভীতরে এসে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বি এস এফ তাদের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত। কিন্তু তা হওয়ার কথা ছিলনা, তবে হচ্ছে। অথচ পর্যটন শিল্প হিসেবে এখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির অতীব প্রয়োজন। পর্যটকরা যদি আনন্দ উপভোগ করতে এসে নিরাপত্তাহীনতায় থাকে তবে এর’চে দুঃখনীয় আর কি হতে পারে। আরেকটি বিষয় হলো যে এখানের পরিবেশটা সম্পুর্ণ নিরাপত্তাহীন। যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা বলতে গেলে তো ভারাক্রান্ত মনে বলতেই হবে সব। ঐতিহ্যের স্মারক অপরুপ রাজকন্যার দেশে যেতে কত যে পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। তা দর্শনার্থীরাই প্রমাণ স্বরুপ। মনরতল বাজার থেকে মাতুরতল বাজার যেতে একমাত্র বাহন মটরসাইকেল। আর রাস্তার অবস্থা তো মরণ ক্যান্সারের মতো। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটা অসম্ভব কিছু নয়। আর আম্বরখানা থেকে সালুটিকর আর সালুটিকর থেকে বাজার রাস্তা তো আরো বেহাল। এ রাস্তা দিয়ে পর্যটকরা যেতে অস্বস্থিবোধ করে। খানাখন্দ আর গভীর গর্তের কারণে জীবন ঝুকি নিয়ে চলতে হচ্ছে। সেখানকার বাসিন্দা আর ড্রাইভারদের আকুতি কে শুনে? কে বুঝে? সুন্দরের ভুবনে নীল বেদনার চিৱকার বড়ই বেদনার।এলাকার এমপি আছেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আছেন। সবই ঠিক আছে। তবে দেখভাল করার মতো কেউ যেন নাই। সুন্দর্যের এমন লীলাভুমি এখনো অবহেলায় রয়েছে। অথচ সিলেটের ঐতিহ্যের এক স্মারক বিছনাকান্দি।সিলেট মিডিয়ার ঈদ সফর: যেমন দেখে এলাম বিছনাকান্দি

.
নোমান মাহফুজ: পাহাড়ের বুক চিড়ে বয়ে চলছে ঝর্ণা, আর সমতল ভুমিতে স্তরে স্তরে সাজানো নুড়ি পাথর। দূর থেকে তাকালে মনে হয় আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে নরম তোলার মতো ভেসে বেড়াচ্ছে মেঘরাশি। প্রকৃতির এই অপরুপ সৌন্দর্য আর কোথায় পাবেন।দেখতে মন চায়,তবে চলে আসতে পারেন সিলেটের গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দিতে। আর উপভোগ করুন েেসৗন্দর্য্য আর আনন্দের ভাগাভাগি। ঈদের আনন্দ আর খুশি যখন ঘরে ঘরে। উৎসবের হৈ হুল্লোড় যখন চারিদিকে । ঠিক এই মূহুর্তে বাজলো আনন্দ ভ্রমনের ঘন্টা। ঈদুল ফিতরের ২য় দিন। অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিলেট মিডিয়া ডটকম সম্পাদকের ফোন। মিডিয়া পরিবারকে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনের একান্ত আলাপ। অবশেষে দায়ীত্ব নিজ ঘাড়ে নিতে হলো। পরিবারের সবার সাথে যোগাযোগ করে দিন, ক্ষণ, স্থান ঠিক হলো। দিনটি বৃহস্পতিবার। সব ঠিকটাক। মিডিয়া সম্পাদকের নের্তৃত্বে নোহা যোগে সড়কপথে সকাল ১০টায় সিলেটের ঐতিহ্যের সুন্দরের অপরুপ রাজকন্যা গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হলো। মিডিয়া সম্পাদক সহ ১১ জনের টিম আমরা। মহিমাময় রবের অপরুপ সৃষ্ঠির জলকানি দেখে দেখে গাড়ি ছুটে চলছে গন্তব্যে।বিছনাকান্দি যেতে আমরা তামাবিল রোড হয়ে মাতুরতল বাজার গোয়াইঘাট যেতে ছূটে চলছি। পথিমধ্যে হরিপুর বাজারে এসে অল্প বিরতি নিয়ে আবার গন্তব্যের পথে। শুরু হলো গুড়ি গুড়ি আবার অঝার ধারার বৃষ্টি।দৃশ্যপট অনেকটাই পাল্টে গেল । বৃষ্টিময় আনন্দ ভ্রমণে সৃষ্টি হলো ভালো লাগার এক আবেশ ।
গাড়ির ভিতরে চলছে মিডিয়া কর্মীদের আড্ডাবাজী। তাল মিলিয়ে সবাই যেন একই রক্তের বাঁধনে গড়া। গান আড্ডার তালে পৌছলাম তামাবিল রোডে সারিঘাট বাজারে। সেখান থেকে গোয়াইনঘাটের উদ্দেশ্যে গ্রামীণসম রাস্তা দিয়ে যাত্রার পালা। গাড়ি ছুটে চলছে অবিরাম। মাতুরতলবাজার গিয়ে পৌছলাম বেলা ২টার দিকে। সেখান থেকে গাড়ি দিয়ে যাওয়া যাবে না। রাস্তার বেহাল অবস্থা। বাহন হিসেবে ”মটরবাইক” ভাড়া করে যেতে হলো মনরতল বাজারে । সেখান থেকে নৌকা যোগে অপরূপ রাজকন্যার পাদদেশে েেপৗছলাম। অবশ্য নৌকাতে বসে হালকা নাস্তা আর ড্রেস চেঞ্জ করলাম সবাই । নৌকায় যেতে প্রায় ১০ মিনিট সময় লাগলো। তবে অনূভুতি আর পরিবেশটা ছিল ভিন্ন রকম। আনন্দ ভ্রমণের মূল স্পটে যাওয়ার পর শুরু হলো আড্ডা,ফটো সেশন আর পানিতে নেমে ফুর্তি আমোদ। প্রচুর দর্শনার্থীর ভীড়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে,কেউ বন্ধু মহল নিয়ে,কেউ একান্ত আপনজনকে নিয়ে। আনন্দ ভ্রমণ শেষে চলে এলাম নিজেদের নীড়ে।
আর দেখে এলাম সেখানকার দুর্দশার কথা-চিত্র। সেখানকার একটি বিষয় ছিল লক্ষণীয় যে, সেখানকার কোলাহল পরিবেশটা অভিন্ন ভাললাগার। পানিতে নেমে আনন্দের বিষয়টা সবার কাছে অপূর্ব মূহুর্ত। তবে একটা বিষয় হলো পানিতে থাকা ছোট মাজারি বড় বিভিন্ন রকমের পাথরগুলি থেকে অধিকাংশ পর্যটক হাতে তুলে খেলা করেন। যা বিপদের লক্ষণ। কারণ এ পাথরগুলির কারণে অধিক স্রোত থেকে নিজেকে সামলে রাখা যায় না। আর এভাবে তুলার কারণে দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এবং অনেকের হাত পায়ে জখম হয়েছে। এ বিষয়টা কেউ খেয়াল করে নি। আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করলাম যে বাংলাদেশ সীমান্তের ভীতরে এসে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বি এস এফ তাদের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত। কিন্তু তা হওয়ার কথা ছিলনা, তবে হচ্ছে। অথচ পর্যটন শিল্প হিসেবে এখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির অতীব প্রয়োজন। পর্যটকরা যদি আনন্দ উপভোগ করতে এসে নিরাপত্তাহীনতায় থাকে তবে এর’চে দুঃখনীয় আর কি হতে পারে। আরেকটি বিষয় হলো যে এখানের পরিবেশটা সম্পুর্ণ নিরাপত্তাহীন। যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা বলতে গেলে তো ভারাক্রান্ত মনে বলতেই হবে সব। ঐতিহ্যের স্মারক অপরুপ রাজকন্যার দেশে যেতে কত যে পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। তা দর্শনার্থীরাই প্রমাণ স্বরুপ। মনরতল বাজার থেকে মাতুরতল বাজার যেতে একমাত্র বাহন মটরসাইকেল। আর রাস্তার অবস্থা তো মরণ ক্যান্সারের মতো। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটা অসম্ভব কিছু নয়। আর আম্বরখানা থেকে সালুটিকর আর সালুটিকর থেকে বাজার রাস্তা তো আরো বেহাল। এ রাস্তা দিয়ে পর্যটকরা যেতে অস্বস্থিবোধ করে। খানাখন্দ আর গভীর গর্তের কারণে জীবন ঝুকি নিয়ে চলতে হচ্ছে। সেখানকার বাসিন্দা আর ড্রাইভারদের আকুতি কে শুনে? কে বুঝে? সুন্দরের ভুবনে নীল বেদনার চিৱকার বড়ই বেদনার।এলাকার এমপি আছেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আছেন। সবই ঠিক আছে। তবে দেখভাল করার মতো কেউ যেন নাই। সুন্দর্যের এমন লীলাভুমি এখনো অবহেলায় রয়েছে। অথচ সিলেটের ঐতিহ্যের এক স্মারক বিছনাকান্দি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.