নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।
লেখক: মামুন সুলতান
প্রস্তুতি সংখ্যা ‘কাব্যকথা’ প্রকাশিত হলো ১২ জুন ২০১৫। সম্পাদক নোমান মাহফুজহাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন কিছু লিখতে। চার পৃষ্টার সাদাকালো কাব্যকথা খাম খুলে চোখ বুলালাম। দেখলাম সাদামাটা একটা কাব্য সংকলন। হোক সাদামাটা তবু সাহিত্যচর্চা বলে কথা। যেখানে সাধন বিষয়টি জড়িয়ে সেখানে ভাবনাবোধ সৃষ্টি হয়, গুরুত্ব বেড়ে যায় শতগুণে। তাই কাব্যকথা সাহিত্য কাগজটিকেও ছোট করে দেখার অবকাশ নেই।
‘কাব্যকথা’য় নবীন-প্রবীণ কবিদের সংমিশ্রণ অপূর্ব। কবি আল মাহমুদ, কবি মহিউদ্দিন আকবর, কবি মঈন মুরসালিন, কবি মনসুর মুজাম্মিল প্রমূখ সবিজ্ঞ কবিদের কবিতা আছে তেমনি আছে নবীন কবিদের কথামালা। সর্বসাতুল্যে পঞ্চান্ন জন কবির পঞ্চান্নটি কবিতা প্রকাশ পায়। প্রতিটি কবিতাকে একপৃষ্ট মানে নিয়ে এলে চার ফর্মার একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করা যেতো। এতোজন কবিকে একটি সংকলনে নিয়ে আসা এক বিষ্ময়। কবিতাগুলোর মান নিয়ে এখানে প্রশ্ন তোলার আয়োজন করবোনা। শুধু সম্পাদীয় একটি কথা উল্লেখ করতে চাই- তাতে বলা আছে, “(যারা) জানতে বুঝতে পারেনি এ জগতের মায়া-প্রয়োজনীয়তা। আজ তাদের লুকায়িত এ ধার কে পাল্টে দিতে সময়ের তাগিদে ‘কাব্যকথা’র যাত্রা শুরু। আমরা ‘কাব্যকথা’র এই অভিযাত্রাকে অভিনন্দিত করি।
চার পৃষ্টার পত্রিকা সাইজের ‘কাব্যকথা’কে ছোট কাগজ বলা হচ্ছে। আসলে এটাকে ছোট কাগজ বলা যায় কিনা প্রশ্ন থেকে যায়। ছোট কাগজ বা লিটল ম্যাগ বা ম্যাগাজিন অভিধায় অভিষিক্ত। তাই ছোট কাগজ ম্যাগাজিনের সংজ্ঞায় নিয়ে আসতে হবে। সম্পাদক নোমান মাহফুজ কাব্যকথা বের করেন গোলাপগঞ্জ থেকে যা সিলেট জেলার একটি উপজেলা হিসেবে পরিচিত। গ্রামীন আবহে বাস করে আধুনিক সভ্যতার সাহিত্য বিকাশে আন্তরিক প্রচেষ্টা তা সত্যি আশ্চর্যজনক সুন্দর একটি উদ্যোগ। এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। ‘কাব্যকথা’ পরিবার নামে ক’জন সাহিত্যপ্রেমী রুচিবান যুবক এর সাথে জড়িত। আজহার অপু ‘কাব্যকথা’ পরিবারের সভাপতি। মামুন সুলতান,আনোয়ার শাহজাহান, বায়েজিদ মাহমুদ ফয়ছল, মো. জাকির হোসেন পরিবারের উপদেষ্টা। আব্দুল কাদির জীবন উপদেষ্টা সম্পাদক নির্বাহী সম্পাদক জাকারিয়া মোহাম্মদ, সহ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ মুন্না, রোখসানা আক্তার সোমা এবং ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বয়সে তারা সবাই নবীন। তবে তারুণ্যে উজ্জল, প্রত্যাশায় ব্যাকুল স্বপ্নবাজ। কার্য নিষ্ঠাবান, বিশ্বাসে অটুট। তাদের কর্মচঞ্চলতা ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করুক।
‘কাব্যকথা’ সূচনা সংখ্যায় যারা লিখেছেন তাদেও প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং উৎসাহ আয়োজনে এ পরিসরে তাদের নাম এখানে উল্লেখ করতে চাই। আহমদ কায়সার, হুরে জান্নাত হুরায়রা, তাহমিনা জান্নাত, রোখসানা আক্তার সোমা, ইরফান আল মামুন, ফাতেমা জাহান লুবনা, হাসনা হেনা, আরিফ আহমদ চৌধুরী, আব্দুল হাফিজ মুন্না, কুলসুমা আক্তার মাহা, নুরুল হুদা আল মামুন, মেহেদী হাসান, ইমরান ইমন, অলক চন্দ্র দাস, রহিমা আক্তার মৌ, ফাতেমা জান্নাত মৌ, মামুনুর রশিদ, রুবজ এ রহমান, বাবু, আব্দুল্লাহ আল শাহিন, ডালিয়া পারভীন, আবরারুল হক আবীর, মো. ওমর ফারুক, ফাইজা আক্তার তানহা, আমিনুল ইসলাম উস্তার, রোজিনা আক্তার, রাহিদ হাসান আকন্দ, সোহানা আক্তার রিয়া, রুবেল মুন্না, নুরুল আলম, মীম রেজওয়ান, জাহাঙ্গির আলম, অমৃত রঞ্জন মোহনত, মো. জাকির হুসেন, আজহার অপু, আহমেদ আরিফ, হালিমা সাদিয়া, নোমান মাহফুজ, সৈয়দ আজহার উদ্দিন, শাহরিয়া নাসরিন ইভা, মো. জারীদ হাসান মাহির, আব্দুল কাদির জীবন, আকরাম হুসাইন, জাকারিয়া মোহাম্মদ, হাসি ইকবাল, এস এম মারুফ, মীম হুমায়ুন কবির, আপন দে অপু, সানজিদা খান শিমু, মোর্শেদ হাবীব সোহেল প্রমূখ। সামের তালিকায় অনেক পরিচিত কবিও আছেন আবার অপরিচিত অনেক নবীন কবির সাক্ষাত পেলাম। ভালো কবিতার পাশাপাশি কিছু দূর্বল কবিতাও স্থান পেয়েছে। প্রবীনদের সাথে মিশে এই নবীনরাও একদিন সাহিত্যের ফুল ফোটাবেন।
শোনা যাচ্ছে ‘কাব্যকথা’- আর প্রকাশ পাবেনা। ‘কাব্যকথা’ নব নামে প্রকাশ হবে। ‘কথিকা’ নামে চলতি সংখ্যা বের হচ্ছে। ‘কথিকা’ নামের কাগজটি যেন লিটল ম্যাগ আকারে দেখা যায় সেই প্রত্যাশা করছি। ‘কথিকা’ হোক সাহিত্যের ছোট কাগজ। ‘কথিকা’য় তৈরি হোক অনাগত কবি পাঠকদের মেলবন্ধন। ‘কথিকা’র একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক। সাহিত্য মানের সুন্দর প্রকাশনা। বেঁচে থাকুন যুগান্তরের অপর পৃষ্টায়।
©somewhere in net ltd.