নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অভাবের তাড়নায় একদিন বাজারে গেলাম ,
কিছু অর্থের বিনিময়ে নিজেকে বিক্রি করে দিলাম।
সবচেয়ে কমদাম পেলাম এ চোখ জোড়ার বিনিময়ে,
ক্রেতা বলল দশ টাকার বেশী দেবে না,
সে বলল আমার চোখ নাকি অন্ধ ।
চোখের সামনে মানুষের অধিকার চুরি হলেও নাকি - এ চোখ দেখে না ৷
এরপর বিক্রি হল আমার ঠোঁট,
এখানে পেলাম মাত্র পঞ্চাশ টাকা ,
আমি তাতেই আনন্দিত,
কখনো এর থেকে বেশী দামে বক্তব্য বিক্রি করিনি ৷
হাঁত দুটো বিক্রি করে পেলাম একটু বেশী
একশত টাকা ৷
এর থেকে কম টাকায় এই হাতে কত কাজ করেছি ,
রিকশা চালিয়েছি, নৌকা বেয়েছি, মাছ ধরেছি ৷
হাটের মুঁচির কাছে গায়ের চামড়া বিক্রি করলাম,
পেলাম একহাজার ৷
বাহ বাহ ৷
এ পোড়া গায়ে অনেক রোদ বৃষ্টি সয়েছি,
এসয়ের গরম আর সহ্য হয় না ৷
দিলাম চামডা বেঁচে,
এই হাজার টাকার বিনিময়ে দেব বিল ৷
আর গরম সহ্য করতে হবে না ৷
এরপর গায়ের মাংস বিক্রি করলাম কসাইয়ের কাছে
পেলাম পনেরশ টাকা ৷
এ শুকনো শরীরে মাংসের অভাব
পুষ্টির অভাব ৷
সবচেয়ে লোকসানে বিক্রি করলাম হাড়গোড়,
পৃথিবীর কাছে ,
একেবারে ফ্রিতে।
অনেক খুজে পেলাম তোমাকে প্রিয়তমা ,
বিক্রি করে দিলাম আমার হৃদয়,
হয়তো আমার কষ্ট ও অনুভূতি - এখন বুঝতে পারবে ।
......
আগেই বলেছি এটি একটি আজগবি কবিতা। নিজের হাত বিক্রি করে দিলে কেউ কি সামুতে লিখতে পারে?
ছহ- বরবটি , আমার মতই একটি বিশাদ সবজি।
১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৪
কালো যাদুকর বলেছেন:
তা ঠিক! তবে সিরিয়াস না করে হালকা করে শেষ করতে চেয়েছিলাম।
২| ১০ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: ঝাঝালো কবিতা!
আপনার কলমে উপরে উপরওয়ালা বরকত দিক!
১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৯
কালো যাদুকর বলেছেন:
বরকতময় কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: আজগুবি কবিতা ভালোই হয়েছে।
১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:২০
কালো যাদুকর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হৃদয়টা বিক্রি না করে সম্প্রদান করে দিলে ভালো হতো।
১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫০
কালো যাদুকর বলেছেন: এই কনটেস্টে (নষ্ট সমাজ এ) মানুষ ভালবাসাটা ও বিক্রি করে দেয়। পত্র পত্রকায় দেখি এগুলোই প্রধান সংবাদ হয়।ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতাটি পড়ছিলাম, আর ভাবছিলাম, এ তো কবিতা নয়, বারুদ, যাকে আপাত নিরেট মনে হলেও তার গভীরে আগুন লুকিয়ে আছে। বর্তমানকে নীরবে বক্ষে ধারণ করে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে প্রতিটি পঙ্ক্তি।
কিন্তু বিপত্তি ঘটে গেল শেষের ২ স্তবকে, বিশেষ করে শেষ স্তবকে এসে। পুরো বক্তব্যই চেঞ্জ হয়ে গেল এবং হয়ে গেল চটুল ও হালকা, আমার মতে।
ভেবে দেখতে পারেন, শেষের স্তবকটি অন্যভাবে শেষ করা যায় কিনা।
এ শুধু আমারই মতামত।
শুভেচ্ছা রইল।