নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
রাষ্ট্র সংস্কার কিভাবে হবে....
আমাদের রাষ্ট্র সংস্কারের আগে ব্যাক্তি এবং সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। যারা পরিবর্তন করতে দায়িত্ব নিয়েছেন তাদের নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে সবার আগে। কিভাবে কি পরিবর্তন চান, তাদেরকে জানতে ও বুঝতে হবে- কোথায় কোথায় পরিবর্তন আনতে হবে।
আমি কয়েকটা উদাহরণ দেইঃ-
(এক) বসুন্ধরা গ্রুপের আকবর সোবহান সাহেবের দুই ছেলে। দুই সরকারের আমলে খুনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েও তারা কেউ শাস্তির আওতায় আসেনি। পুলিশের চুড়ান্ত প্রতিবেদনেই তাদের নাম বাদ পরে যায়। বিশেষ করে শেষে ঘটনায় অনেক ফোন কল জনগণকে শোনানো হয়েছিল। জানিনা কেন, কারা এই ফোন কল ফাস করে দিয়েছিল। হয়ত টাকার পরিমাণ বাড়ানোর জন্যে বা ভাগ পেতে। তারা দুইভাই কিন্তু সমাজে বহাল তবিয়তে বিদ্যমান। একজন তো জাতীয় মসজিদের মুসল্লিদের পিও সভাপতি এবং সম্মানিত অবিভাবকও বটে।
(দুই) অশিক্ষিত নিজ পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টায় নিত্য নতুন কাজ নিয়ে হাজির হিরো আলম। কখনো টিকটক, কখনো বেসুরো কণ্ঠে গান, কখনো নাটক, কখনো সিনেমা, কখনো ডিসের ব্যবসা! কি সে করেনা! তার পরিবার হত দরিদ্র। একদা হতদরিদ্র আজ তার কর্ম (হোক তা যে প্রকারের) সে বেশ টাকার মালিক। টাকা হলে যা হয়, সে সম্মান চায়। হিরো আলমও তার ব্যাতিক্রম নয়। নিজেকে সম্মানিত করতে হেন উপায় নাই যা সে করেনা। কখনো বেসুরে রবীন্দ্র সংগীত গায়, অসহায় মানুষের কাছে রবিনহুড সেজে আবির্ভূত হয়, কখনো সংসদ সদস্য হতে চায়। পারেনি। কারণ তাকে ব্যবহার করা হয়েছে। রবীন্দ্র পুজারীদের অভিযোগ এবং আপত্তির কারণে ক্ষমতাসীনের হাউন আংকেল তাকে বেসুরো রবীন্দ্র সংগীত গাওয়ার জন্যে তার অফিসে ডেকে নিয়ে কান ধরে ক্ষমা চাওয়ায় এবং মুচলেকা নেয়- "জীবনে আর রবীন্দ্র সংগীত গাইবো না"। এরপর তাকে দিয়ে বিএনপি দমনে বিএনপির পরীক্ষিত নেতা রিজভির বিরুদ্ধে মামলা করায়। হিরো আলমের মতো রিজভিও বগুড়ার বাসিন্দা। হিরো আলম তাই করে। তবে যেহেতু সে মুর্খ এবং টাকা ওয়ালা তাই কোথায় থামা উচিত বা তার কতটুকু পর্যন্ত যাওয়া উচিত হয়ত সেই সীমারেখা সে নির্ধারণে ব্যার্থ। কিম্বা হঠাৎ প্রচুর টাকা হাতে আসায় সে নিজেই কি হনুরে ভাবে মত্ত।
(তিন) সমাজ রাষ্ট্রযন্ত্রে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একশ্রেণীর এটেনশন সিকার হনু আছে- নিজেই নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠ ঘোষণা দিয়ে লম্ফঝম্প করে! আপনি যদি বড় কেউ হন, আপনাকে বারবার বলতে হবে না আমিই বড়, আমিই সেরা, আমি এটা, আমি সেটা। আপনার শিষ্টাটার, আপনার সহনশীলতা, আপনার বিনয়, বলে দেবে আপনি কত বড়। সমীহ পাওয়ার একটাই রাস্তা, তা হলো সমীহ করা।
কথা সেখানে নয়। যদি আমাদের সমাজ ব্যাবস্থায় সঠিক ন্যায় পরায়নতার উপাদান থাকত তাহলে এক নম্বরের দুই পুত্র অপরাধী হয়েও সাধূ হতে পারত না। কিম্বা হিরো আলম হঠাৎ করেই বহুত টাকার মালিক হয়ে সম্মানের কাংগাল হয়ে যেখানে সেখানে মাইর খেত না, কিম্বা কারো হুকুমের দাস বনত না। সমস্যা সামাজিক ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে।
সামাজিক বৈষম্য দূর করতে হলে সমাজে ন্যায় বিচার, ন্যায় পরায়নতা, সত্যবাদিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একই সাথে মিথ্যাবাদিতা, সুযোগ সন্ধানের ছিদ্রগুলোকে চিরতরে বন্ধ করতে হবে। তখন আকবর সাহেবের নারীলিপ্সু পুত্র গুলোও যেমন খুনের নেশায় মত্ত হবেনা, তেমনি হিরো আলমেরাও যেখানে যোগ্য নয় সেখানে যেতে মরিয়া হয়ে উঠবেনা। আমিই সবজান্তা, সর্বশ্রেষ্ঠ বলে ম্যাতকার করা লাগবে না। সামাজিক কাঠামোই একজন মানুষের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চপদ নির্ধারণ করে দেবে। সামাজিক প্রয়োজনেই কোন বুদ্ধিমান মানুষকে সমাজ নিম্ন পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হবার সুযোগ করে দেবে। অথবা অযোগ্য কেউ উপরে আসীন হলে তাকে আস্তাকুঁড়েতে নিক্ষেপ করবে!
আমরা কি সেই পথে অগ্রসর হচ্ছি? স্বৈরশাসক এর তীরন্দাজ-বীরন্দাজদের পদে রেখে দিয়ে কি আমরা সেই সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করতে পারবো? রাষ্ট্র সংস্কার করতে পারবো? আকবর পুত্রদের ন্যায় বিচার আর হিরো আলমদের উপর শক্তি প্রয়োগ থামাতে পারবো?
আমার মনে হয় পারব না!
পারতে গেলে আমাদের আরো সাহসী, আরো বিচক্ষণ, আরো বিপ্লবী হতে হবে!
জুলাই আন্দোলন দীর্ঘজীবী হোক।
০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার দোসরদের দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের আশা করা বোকামি।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৪০
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের দেশের সংস্কার আসলে অসম্ভব কঠিন একটা কাজ।আর সংস্কার দীর্ঘমেয়াদী একটা বিষয়। তারপরেও একটা কথা সবাই জোড় গলায় বলতে পারি যে, বিগত ১৫ বছর ধরে যে ভয়ঙ্কর অবস্থা জারী ছিল, তা আর কোন শাষনামলেই ছিল না। এই ১৫ বছরে শুধুমাত্র ভাল অবস্থায় ছিল ভারতীয় দালাল আওয়ামী পন্থীরা। দেশের বাদবাকি মানুষ মুখ বুজে একরকম জেলখানার কয়েদীদের মতই জীবন যাপন করত। তরুন প্রজন্মের সামনে দেশ ত্যাগ ছাড়া আর কোন অপশন খোলা ছিল না।এই কঠিন আগ্রাসন দুমরে মুচরে শেষ করে দিতে পেরেছে এই দেশের তরুন প্রজন্ম। তাই আশাবাদী হতে পারি আমরা।
এক বছরেই সব অপরাধির সাজা নিশ্চিত করা অসম্ভব একটা ব্যপার। তবে যদি মুল অপরাধীদের বিচার করতে সক্ষম হয় এই সরকার তাহলেই বিড়াট একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে। এছাড়া সংস্কারের আওতায় যদি দুর্নীতিবাজদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ব্যবস্থা করা যায় তবে সব রাজনৈতিক দলই নমিনেসশন বানিজ্য করে আবারো দুর্নিতিবাজদের ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার অবস্থায় থাকবে না। আশা করা যায় যে, ডক্টর ইউনুস এই বিষয়টা অবস্যই নিশ্চিত করবে।
০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: ডক্টর ইউনুস স্যারের একার পক্ষে কিছুই করার সুযোগ নাই। তাঁর সহযোগীদের মধ্যে একাধিক ব্যাক্তি আছেন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সহযোগী। তারপরও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে- সকল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন / সাইবার ক্রাইম এ্যাক্ট মামলা প্রত্যাহার করার....অথচ আজও ব্লগার ইভান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানালে বিচারক আবেদন খারিজ করে দিয়েছে প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি, সেই অজুহাতে! স্বাভাবিক আইন ও বিচার কার্যক্রম চালালে এমনিতেই আমাদের বিরুদ্ধে সিব মামলা খারিজ হয়ে যেতো। তারপরও সরকারের সিদ্ধান্তে এই মামলা গুলো প্রত্যাহার হবে। কিন্তু কেউ কি ফিরিয়ে দিতে পারবে আমার জীবনের পাঁচটি বছর? আমি হারিয়েছি আমার শারীরিক মানসিক স্বাভাবিক সুস্থতা, সাজানো বিজনেস, আত্মীয় স্বজন, সামাজিক জীবন!
ব্যক্তিক জীবন থেকে মুছে দিতে চাই কিছু সময়। দিন মাস বছর- এককালীন অঢেল সময়। ঠিক সময় না, দুঃসহ স্মৃতি। যেন ওরকম কিছু হয়ই নি আমার জীবনে। সব চেয়ে সহজ, দিন মাস বছরগুলি ডিলিট করে দেওয়া। চাইলেই অনেক কিছু মুছে দেওয়া অত সহজ নয়। কিভাবে ভুলে থাকবো ২৭ অক্টোবর ২০১৮ থেকে ৯ নভেম্বর ২০১৮ গুম হওয়া দিনগুলো.... কিভাবে ভুলে থাকবো গ্রেফতার নাটক, রিমান্ড, পাঁচ মাসের দুঃসহ জেল জীবন। গত পাঁচটি বছর সিএমএম কোর্ট, সাইবার ক্রাইম আদালত, হাইকোর্ট দৌড়াদৌড়ির স্মৃতি বিষাদের দলা হয়ে বুকে আটকেই থাকে। এ জীবন নয়, বেঁচে আছি অন্য জীবন নিয়ে। ভালো থাকার পলেস্তারা লাগানো- এ যে আর একটি জীবন!
আমাকে ছাড়াও ব্লগার আরজান ইভান, শোভন (নষ্ট শয়তান / শের শায়রী) ছাড়াও অসংখ্য বিএনপি পরিবারের সদস্যদের গুম করে নির্যাতন নিপীড়নকারী র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার ততকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বর্তমানে এসপি, কমান্ড্যান্ট বেতবুনিয়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, ততকালীন র্যাব-১০ এর সিও জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর এখন ডি আই জি, ডিএমপি বহাল তবিয়তে আছে আমাদেরকে শারীরিক নির্যাতন নিপীড়ন করা সবাই....
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: জাতি সুশিক্ষত হতে পারছে না কারণ
এক শ্রেণী বলে নামাজ পড়
আরেক শ্রেণী বলে ন্যায়পরায় সত্যবাদি হও
যেটা দেখছি- আমরা ন্যায়পরায় বা সত্যবাদি না হয়ে শুধু নামাজ পড়ছি
ন্যায়পরায় সত্যবাদি না হয়ে সুশিক্ষত হচ্ছি
ফলে যেতো অপকর্ম করছি----------------------------
০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: সব সংস্কারের আগে নিজেকে সংস্কার করতে হবে।
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮
প্রহররাজা বলেছেন: দেশের বেশীরভাগ মানুষ চুরির ধান্দায় থাকে, যারা ভালো তারা সাহস আর সুযোগের অভাবে ভালো। এখনে সংস্কার অসম্ভব।
০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: শেখ হাসিনার স্বেচ্চাচারিতায় সব নষ্টদের দখলে।
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২৩
আজব লিংকন বলেছেন: উপরে আপনার মন্তব্য পরে খারাপ লাগলো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অজুহাতে অনেকেই অন্যায় ভাবে হ্যারেজ করা হয়েছে। অনেক মামলা এখনো ঝুলন্ত। বিষয়টি নিয়ে সকলের আওয়াজ তোলা প্রয়োজন। অন্যথায় ক্ষনিকের জন্য পাওয়া এই বাক-স্বাধীনতা আগামীতে আবারও মূল্যহীন হয়ে পড়বে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধন চাই।
০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আমাকে গুম করে রেখে আমার ফোন, ল্যাপটপ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পোস্ট দিয়ে চারটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলা দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, পুলিশের রাষ্ট্রীয় কাজে বাধাগ্রস্ত করা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার মামলা দিয়েছে ১২ টা। এমনও মামলা দিয়েছে- একই দিন, একই সময়ে যাত্রাবাড়ী থানা, তুরাগ থানা এবং দারুসসালাম থানায় অগ্নিসংযোগের মামলা দিয়েছে। অথচ আমি কখনওই কোনো মিটিং মিছিলে অংশ গ্রহণ করিনি। তুরাগ থানা, দারুসসালাম থানা কোথায়- তা এখনো জানিনা!
এইসব গায়েবী মামলায় সিএমএম কোর্ট, মহানগর দায়রাজজ, সাইবার ক্রাইম কোর্টে এমনকি হাইকোর্ট পর্যন্ত পাঁচ মাসে জামিন দেয়নি। অগ্নিসংযোগ মামলা থেকে নাম কাটাতে প্রতিটি মামলায় পুলিশকে কম পক্ষে দুই লাখ টাকা দিতে হয়েছে।
৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
আপনার এক নম্বর বিষয়ে একটি সম্পূরক প্রশ্ন, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির হত্যা মামলা ও বাবরের ঘুষ নিয়ে তা ভিন্নখাতে নেওয়ার অভিয়োগ আপনি কিভাবে দেখেন?
০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: অত্যন্ত নেতিবাচক। অন্যায় কে অন্যায়, ভালো কে ভালো বলতে, মানতে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৫০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কিছুই বুঝতেছি না, দেশ আমাদের কোন দিকে যাচ্ছে।