নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পিতা প্রিয়াম,
অন্তত একবার শোনো দৈবের কথা এইবার_
নগরের বাতাসে ঘুরছে শত্রুজাহাজ,
সর্বত্র ভেতরে ও বাইরে চলছে শিশুবলি,
যুদ্ধবাজ ঈশ্বরের তুষ্টিতে,
আর সঙ্ঘবদ্ধ ইতর পুরোহিতগুলো ভেঙ্গে
দিচ্ছে মরমি গানের মঞ্চ_
প্রেম ও বিদ্যার নির্মিতি ।
স্তাবকেরা কবিনাম ধরে পদক পদক বলে
উঁচিয়ে ধরছে মায়ের কাটা স্তন।
যত্রতত্র দীপঙ্কর অতীশের রক্তাক্ত নিথর দেহ,
রামু থেকে ব্রাহ্মণবাড়িরায় নালন্দার নিভে যাওয়া আগুন
দপদপ করে জ্বলছে তুর্কী দস্যুদের চোখের মতো।
পিতা,
সংঘাতের বদলে শান্তি নয়,
বরং শান্তির নামকরে সংঘাত অনিবার্য জেনেও
রাজার কোমল হাসি বিনামূল্যে ছড়াচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ!
যে কবুতর অবমুক্ত করছেন তারা
তারই মাংস হরদম শোভা পাচ্ছে শান্তির টেবিলে
অথবা তাদের রাজকীয় রান্নাঘরে!
ভালোবাসার তনু, প্রিয়তম মানুষের কাছে, পৌঁছতে পৌঁছতে
জলপাই বনের ভিতর ঢোকে যাচ্ছে মায়া-রাক্ষসের দেশে।
এভাবেই ধীরেধীরে রাত হয়ে যাবে একদিন;
মায়ের আঁতুড় ঘরেও সক্রিয় রাষ্ট্র নামক গিলেটিন
নিয়ে ওরা কারা আসছে ধেয়ে, কসাইয়ের দল?
আমাদের শুভ্র হংসচিত্ত ধ্যানমন্দির
তাদেরই হাতে রূপ নেবে মাংসের দোকানে।
পিতা,
ফিরাও তোমার উপেক্ষার চোখ,
ফিরিয়ে দাও উপহারের ঘোড়া
ট্রয়ের আগুনের বদলে তুমি নিজেই
মানুষের গৌরব নিয়ে জ্বলে ওঠো_ ঈশ্বরের চিতা,
জেগে ওঠো তুমি সেইসব বৈধ আগুনের উৎসব !
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫
জয়দেব কর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৩
মো: ইমরান আল হাদী বলেছেন: অতি চমৎকার একটি কবিতা,খুব মনযোগ দিয়ে পড়লাম, খুব ভাল লাগলো।শুভেচ্ছা নিবেন কবি।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৮
জয়দেব কর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭
বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর কবিতা।
++++