নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ambivert, Swimmer Against The Stream, But I\'m Not Anti-Social I\'m Anti-Idiots.

জ্যাক স্মিথ

লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।

জ্যাক স্মিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অক্ষমের দেশপ্রেম

০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ২:১৪



-১৯৬৫ সাল; ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের উত্তেজনার দিনরাত্রি। মিয়ানওয়ালির এক আধ্যাত্মিক সাধক এক তরুণকে ডেকে বলেন, তুমি বাবা একটু করাচিতে যাও। আমার ছোট ভাই পুলিশে কাজ করে। ও এসব ঢিশুম-ঢুশুম যুদ্ধ করে মরুকগে; তুমি আমার ভাইয়ের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে এসো।

-তরুণটি মনে মনে হাসে; আধ্যাত্মিক পুরুষ করাচিকে অনিরাপদ ভাবছেন; আর মিয়ানওয়ালিকে নিরাপদ ভাবছেন; কিন্তু যুদ্ধ বিমান যে কোন জায়গায় আঘাত হানতে পারে।

-তরুণটি করাচিতে পৌঁছে সেই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে তার বড় ভাইয়ের দুঃশ্চিন্তার কথা জানায়। পুলিশ কর্মকর্তা হেসে বলে, এখন তুমি ফিরে যাও; সেরকম পরিস্থিতি দেখলে আমি ওদের পাঠিয়ে দেবো। পুলিশ কর্মকর্তাটি তরুণকে ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর টিকেট কেটে দেয়। কিন্তু রেলস্টেশানে পৌঁছাতে একটু দেরি হওয়ায় দৌড়ে তাকে চলন্ত ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণীর একটি কামরায় উঠতে হয়। সে ভাবে; ট্রেন এরপরে যেখানে থামবে; সেখানে নেমে আবার ফার্স্ট ক্লাসের বগিতে ওঠা যাবে।

-থার্ড ক্লাস বগিটি মানুষে গিজ গিজ করছে; সেখানে খই-এর মতো দেশপ্রেম ফুটছে। কোনমতে একটা বসার সিট পায় তরুণ। পাশে বসে এক রিটায়ার্ড জওয়ান; যে যুদ্ধের বিশেষ ডাক পেয়ে ভীষণ উত্তেজিত। ওপরে বাংকারে শুয়ে পান মুখে ফত ফত করে এক মোল্লা খুব ভারত বিদ্বেষী লেকচার দিচ্ছে। তরুণ বিরক্ত হয়ে বলে, ভারত তো পাকিস্তানের চেয়ে দশগুণ বড় একটি দেশ; ওদের সেনা সামর্থ্য অনেক বেশি। তাই এ যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে পাকিস্তান হেরে যাবে। এরচেয়ে সমঝোতার মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান হওয়াই ভালো।

-মোল্লা ক্ষেপে গিয়ে নীচে নেমে তরুণের শার্টে পানের পিক ফেলে বলে, অই ভারতের দালাল চুপ কর। রিটায়ার্ড জওয়ান সন্দেহ প্রকাশ করে, এ নিশ্চয়ই ভারতের গুপ্তচর। গুপ্তচর শোনার পর অনেকগুলো হাত-পা এগিয়ে আসে তরুণটিকে পিষে ফেলতে। এক সহৃদয় ব্যক্তি রেল পুলিশে খবর দিয়ে এনে তরুণটিকে উদ্ধার করে।

-পুলিশ তরুণটিকে তার টিকেট অনুযায়ী ফার্স্ট ক্লাসে নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশের এক সিনিয়ার কর্মকর্তা বসে মিটিমিটি হাসছিলো তরুণটিকে দেখে। তরুণটি তার কাছে অনুযোগ করে, খুব যৌক্তিক কথা বলে সে আজ প্রাণ হারাতে বসেছিলো। পুলিশ কর্মকর্তা তাকে একটি তোয়ালে দিয়ে বলে, নেক্সট স্টেশানে নেমে তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে পালিয়ে যান। বাসে চেপে মিয়ানওয়ালি যান। এই ট্রেনে থাকা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ আপনার জন্য। কারণ অক্ষমের দেশপ্রেমের বিগিড় উঠলে তা খুনোখুনিতে পর্যবসিত হতে বাধ্য। তরুণটি আকুল হয়ে বলে, কিন্তু আমি ভুলটা কী বললাম; যা সত্যি তাই তো বলেছি। পুলিশ হো হো করে হেসে বলে, ফার্স্ট ক্লাসের আলাপ থার্ড ক্লাসে গিয়ে করলে যা হবার কথা; আপনার সেটাই হয়েছে ভায়া। =p~

Why nationalism is a threat to globalization

-জটিল ভাইয়ের পোস্ট থেকে সংগৃহীত

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ২:২১

সোনাগাজী বলেছেন:



ব্লগার জটিল ভাই'এর স্বভাব পাকিস্তানীদের মতো।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: উনার সর্বশেষ পোস্টে কিছু কৌতুক পোস্ট করেছিলেন, যার মধ্যে এটা একটা। সে হয়তো নিজেও জানেনা এই কৌতুকটির গভীরতা কতটুকু।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:১৩

আজব লিংকন বলেছেন: আহারে বেচারা সত্যি বলার জন্য ঢিশুম-ঢুশুম মার খেল। এই গল্প হইতে যা শিখলাম, 'পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পোস্টে বাতাস এবং স্রোতের বিপরীতে কিচ্ছু বলা হইতে বিরত থাকা জ্ঞানী মানুষের কাজ।'

০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পাবলিক প্লেসে সাধারণত গার্বেজ টাইপের আলোচনা হয় কিন্তু ঢিশুম-ঢুশুম থেকে রক্ষা পেতে গার্বেজকেই সায় দিতে হয়। সব সময় স্রোতের বিপরীতে যেতে নেই।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

নতুন বলেছেন: কথা ঠিক, মূর্খ, ধমান্ধদের সাথে যৌক্তিক আলোচনা করা ঠিক না। ওদের ঘিলুতে যৌক্তিক আলোচনা প্রসেসকরার ক্ষমতা থাকেনা।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ন্যাশনালীজম কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধর্মান্ধতার মতই ক্ষতিকারক, আমাদের দেশে ভারত বিরোধীতার নামে যা হয় আর কি।

ন্যাশনালীজমের যেমন ভালো দিক রয়েছে আবার খারাপ দিকও রয়েছে।

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮

নতুন বলেছেন: অন্ধের মতন কোন কিছু অনুসরন করা অবশ্যই ভালো না।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ঠিক ঠিক!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.