নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক আসাদ নুরের প্রশ্নের জবাব। পর্ব - ১

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৯



ইদানিং নাস্তিক আসাদ নুরের ভিডিও গুলো ইউটিউবে দেখলাম। দেখলাম তার ফেরেস্তা সর্ম্পকিত একটি ভিডিও। দেখে অবাক হলাম যে কতটুকু স্বল্প জ্ঞানে গুনিত মানুষ হলে এই ধরনের কথা বলতে পারেন, ভিডিও বানাতে পারেন বা অন্যের বিশ্বাসের উপর বিদ্রুপাত্ত্বক মন্তব্য করতে পারেন।আসাদ নুরের এই ভিডিও দেখে বুঝলাম তিনি এক অসুস্থ প্রতিহিংসাপরায়ন ইসলাম বিদ্বেষী মানুষ।তিনি তার ভিডিওতে ফেরেস্তা নিয়ে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করেছেন আর বলেছেন ইসলাম নাকি তাকে দেয় বিনোদন।তার মন্তব্য গুলো শোনার পর আমার আল কোরআনের একটি আয়াত মনে পড়ে গেলো। আয়াতটিতে বলছে "তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক।সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে,তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না।" (সূরা আল ইমরানঃ ০৭)প্রিয় ভিউয়ার, লক্ষ্য করুন আল কোরআন বহুদিন পুর্বেই মানুষের একটি শ্রেনি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।যাদের অন্তরে কুটিলতা আছে।তারাই এরুপ করবে। আল কোরআনে দুই প্রকারের আয়াত বা বাক্য উপস্থাপন করা হয়েছে।এক প্রকারের সরাসরি বা সহজ্ ভাষায় আর এক প্রকার উদাহরন স্বরুপ বা রুপক অর্থে। যারা রুপক অর্থ বুঝতে পারে না তারাই আল কোরআনের এসব আয়াত নিয়ে বিদ্রুপাত্বাক আচরন করবে।হাসিতামাশা করবে। তাহলে আমি কি আপনাদের বোঝাতে পারছি আসাদ নুর জাতীয় এরুপ ব্যাক্তিগণ এ জাতীয় আচরন করবে এটাই স্বাভাবিক।

প্রিয় পাঠক, একটা বিষয় ভেবে দেখুন আসাদ নুর কতটুকু জ্ঞানের অধিকারী যে তিনি ফেরেস্তা সর্ম্পকে এ জাতীয় মন্তব্য করতে পারেন? তাছাড়া আমরা মানুষেরাই বা কতটুকু জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি যে ফেরেস্তা সর্ম্পকিত ধারনা উপলদ্ধি করতে পারবো? ফেরেস্তা সম্পর্কে জানতে গেলে আগে আমাদের মহাব্শ্বি সম্পর্কে জানতে হবে কারন এই মহাবিশ্ব নিয়ন্ত্রনে ফেরেস্তারাই নিয়োজিত। আমরা কি এই মহাবিশ্ব সম্পর্কে পূংখানুপুংখ ভাবে বুঝতে সক্ষম হয়েছি? আধুনিক বিজ্ঞান এ ব্যাপারে কি বলছে? আধুনিক বিজ্ঞানের পর্যবেক্ষনলব্ধ জ্ঞান থেকে আমরা যা জেনেছি এই মহাবিশ্বের সামান্য কিছু অংশ আমরা দেখতে বা বুঝতে পেরেছি।আমাদের দেখা বা জানা মহাবিশ্বকে বলা হয় পর্যবেক্ষনলব্ধ মহাবিশ্ব। কিন্তু এই সীমারেখার বাইরে কি অবস্থান করছে তা কিন্তু আমরা জানিনা বা আমাদের বোধগম্য করার মতো অবস্থাও নেই। আমরা যতটুকু দেখছি সেই সংক্রান্ত বিষয়ে উইকপিডিয়া আলোচনা থেকে তুলে ধরি- উইকপিডিয়া বলছে “মহাবিশ্বের কিছু এলাকা এত দূরে অবস্থিত যে বিগ ব্যাং হতে বর্তমান সময়ের মধ্যে সেখানকার আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারেনি। এই এলাকাগুলো মহাবিশ্বের পর্যবেক্ষণযোগ্য অঞ্চলের বাইরে অবস্থিত। ভবিষ্যতে অতি-দূরবর্তী উৎসের আলো পৃথিবীতে আগমনের জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাবে, ফলে পর্যবেক্ষণযোগ্য এলাকা বর্ধিত হবে। কিন্তু হাবলের সূত্র অনুসারে পৃথিবী হতে যথেষ্ট দূরবর্তী স্থানগুলো আলোর চেয়েও দ্রুতগতিতে প্রসারিত হচ্ছে উপরন্তু কৃষ্ণশক্তির প্রভাবে এই প্রসারণের হার ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি কৃষ্ণশক্তির পরিমাণকে ধ্রুবক ধরে নেয়া হয়, অর্থাৎ মহাবিশ্বের স্ফীতির হার ক্রমবর্ধমান থাকে, তবে একটি "ভবিষ্যৎ দৃষ্টির সীমা" পাওয়া যাবে, যার বাইরে অবস্থিত বস্তুসমূহ অসীম সময় পেলেও কখনোই আমাদের পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাবিশ্বে প্রবেশ করবে না।

প্রিয় পাঠক আমি কি আপনাদের বোঝাতে পেরেছি যে আমরা হাজার চেষ্টা করেও সমগ্র মহাবিশ্বের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পারবো না। এবার আসি আমি আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনায়। আমাদের মহাবিশ্বে ছায়াপথের আসল সংখ্যা কত? সেটা নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারবে না। কারণ, জ্যোতির্বিদরা যতই মহাবিশ্বের দিকে তাকাচ্ছেন, ততই বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন ছায়াপথ। মহাবিশ্বের এখনও অনেক জায়গা আছে, যেটা বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারেননি। কিছু কিছু জায়গা আছে, যা টেলিস্কোপ দিয়েও দেখা যায় না। তবু জ্যোতির্বিদদের হিসাব অনুসারে মহাবিশ্বে ছায়াপথের সংখ্যা আনুমানিক ১০০ থেকে ২০০ বিলিয়ন (১ বিলিয়নে ১০০ কোটি)। এখন প্রশ্ন হলো এত শত শত বিলিয়ন গ্যালাক্সি আমাদের মহাবিশ্বে। কিন্তু আমরা কতদুর আমাদের জ্ঞান অর্জনের জন্য পৌছতে পেরেছি আমাদের বর্তমান লব্ধ জ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে?

এই মহাবিশ্ব নিয়ে জানতে গেলে তো আমাদের এই মহাবিশ্বের চারিদিকে আমাদের যেতে হবে। অথবা নভোযানকে পাঠাতে হবে। নইলে কি আমরা জানতে পারবো? কিন্তু আমরা কতটুকু জানেতে পেরেছি। আমরা যে মহাকাশযানে করে গ্রহান্তরে পাড়ি দিচ্ছি সেটিতে সবোচ্চ প্রতিঘন্টায় ৫০ হাজার মাইল বা প্রায় ৮০ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব। এখন পর্যন্ত মানুষের বানানো সবচেয়ে দ্রুতগতির বাহন এটি। এটি দিয়ে আমরা মহাবিশ্বের কতটুকু জায়গা যেতে পারবো বলে একটু ধারনা করুন তো। তবে মানুষের জ্ঞান ধীরে ধীরে বাড়বে।মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞান উন্নয়নের সাথে সাথে মহাকাশযানের গতিও বাড়বে। আমি না হয় মেনেই নিলাম মার্নুষ একদিন আলোর গতিতে মহাকাশে ছুটতে পারবে। আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার বা ১.৮৬ লক্ষ মাইল। তাহলে আমাদের গ্যালাক্সির এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত যেতে আমাদের কত সময় লাগবে? কমপক্ষে ২০০ বিলিয়ন থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ বিলিয়ন পর্যন্ত নক্ষত্র সমষ্টি নিয়ে আমাদের গ্যালাক্সি আকাশগঙ্গার ব্যাস আনুমানিকভাবে ১,০০,০০০ আলোকবর্ষ। মিল্কিওয়ে ছায়াপথের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে আমাদের সময় লাগবে প্রায় এক লাখ বছর। প্রিয় ভিউয়ার এবার বলেন তো আমাদের মানুষের গড় আয়ু কত? ৬০/৭০ বৎসর। গ্যালাক্সির এপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যদি আমরা যেতে চাই তাহলে কত জেনারেশন লাগবে? ধরি আমরা নভোযানে যাত্রা শুরু করলোম অপর প্রান্তে যাবার জন্য তাহলে ১ লাখ বৎসরে সন্তানের পর সন্তান তারপর আবার সন্তান।আমাদের মৃত্যু সন্তানের মৃত্যু আবার সন্তান এভাবে ১ লাখ বৎসর পার করা কি আমাদের দ্বারা আদৌ সম্ভব? এগুলোকে বলে আকাশ কুসুম কল্পনা। আবার ধরুন আমাদের মিল্কিওয়ের গ্যালাক্সির সবচেয়ে কাছের গ্যালাক্সি এ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির এর দূরত্ব প্রায় ২.৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ।তাহলে আমাদের পাশের গ্যালাক্সিতে যেতে আমাদের সময় লাগবে আড়াই লক্ষ বছর। মানবজাতির তুলনায় এই দূরত্ব অতিক্রম করা অকল্পনীয় তাহলে আমাদের এই মানুষের দ্বারা ইশ্বর নিয়ে বা ফেরেস্তা নিয়ে আলোচনা করা কতটুক যৌক্তিক সংগত বলে আপনাদের মনে হয়?
এবার আসি ফেরেস্তা সম্পর্কিত আলোচনায়। আল কোরআনের মাধ্যমে আমার যতটুকু জানতে পেরেছি। ফেরেশতাদের অস্তিত্ব রয়েছে, তারা আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি সমূহের নিয়ন্ত্রণাধীন ও পরিচালনাধীন। ফেরেশতাদের প্রকৃত গঠনগত রুপ কেমন তা একমাত্র মহান আল্লাহ তাআলাই জানেন। তবে তারা মানুষের আকৃতি ধারণ করতে সক্ষম। তারা ছেলেও নন আবার মেয়েও নন। ফেরেশতারা নূর তথা আলোর তৈরি। মহান আল্লাহ তাআলা যখন যে রুপ ধারণ করতে বলেন তারা তখন সেই রুপই ধারণ করেন। তারা খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করেন না। তারা পবিত্র স্থানে অবস্থান করেন। তারা যেকোনো স্থানে গমনাগমন ও আকৃতি পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখেন। তারা বান্দার আমলনামা লিখার কাজেও নিযুক্ত করেছেন। যতদূর জানা যায় হজরত জিবরাইল (আ.) এর ৬৫০টি পাখা আছে। ইসলাম, খ্রিস্টান ও ইহুদি ধর্ম ছাড়া হিন্দু ধর্মসহ অন্যন্য ধর্মেও ফেরেশতাদের তথা স্বর্গীয় দূতদের অস্তিত্ত্বের কথা বলা হয়েছে।

আল কোরআনের ফেরেস্তা সম্পর্কে একটি আয়াতের আলোচনায় আসাদ নূর ব্যাক্ষা দিলেন। আয়াতটি হলো- যিনি আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, ফেরেশতাদেরকে বাণী বাহকরূপে নিযুক্তকারী, যারা দুই দুই, তিন তিন ও চার চার পাখাবিশিষ্ট। তিনি সৃষ্টির মধ্যে যা ইচ্ছা বৃদ্ধি করেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।সুরা ফাতির-৩৫।আলোচ্য আয়াতে আসাদ নূর হাসাহাসি করেন ফেরেস্তাদের পাখা নিয়ে। আমি তো পূর্বেই বলেছি আল কোরআনের রুপক অর্থ যারা বোঝে না তারা এ জাতীয় প্রশ্ন করবে হাসাহাসি করবে এটাই স্বাভাবিক। অন্তরে কুটিলতা যাদের আছে তারা বিদ্রুপত্বক আচরনে করবে এটাই স্বাভাবিক।আবার আসাদ নুর বলছেন ফেরেস্তা কি বায়ুমন্ডল ভেদ করে কি যেতে পারে? এই জাতীয় পাগলের প্রশ্নের উত্তর কিই বা দেওয়া যায় অল্প বিদ্যা যাদের ভয়ংকর আচরন সৃষ্টি করে।


প্রিয় পাঠক, যে ফেরেস্তা নিজের রুপ পরিবর্তন করতে পারে তার কি বায়ু মন্ডল ভেদ করে যাওয়ার প্রয়োজন আছে? যারা আমাদের মতো মাটির মাুনষ ত্রিমাত্রিক প্রানি নয় তাদের কি আদৌ অক্সিজেন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে? আর যে পাখার কথা নিয়ে আসাদ হাসাহাসি করেছেন সেই পাখা রুপক অর্থ ফেরেস্তার বিভিন্ন শক্তি বা কার্যক্রমের ক্ষমতা বোঝানো হয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গিতে যদি আমরা আলোচনা করি তবে আমাদের ফেরেস্তা বিষয় জানার আগে মহাবিশ্বের ডাইমেনশন বা মাত্রা সম্পর্কে জানা লাগবে। যারা পদার্থের ডাইডমেনশন সম্পর্কে বোঝেন তারা হয়তো আমার বক্তব্য খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।তারপরও আমি যারা বোঝেনা তাদের জন্য সহজে বোঝানোর চেষ্টা করি। আমদের এই মহাবিশ্ব ত্রিমাত্রিক এবং সময় ১ মাত্রা সংযোজন করা হয়েছে।অথাৎ সময়ের প্রতিটি ধাপে ত্রিমাত্রিক মহাবিশ্ব পরিবর্তন হচ্ছে। ত্রি মাত্রা হলো বস্তুর দৈর্ঘ্য প্রস্ত উচ্চতা নামক তিনটি মাত্রা।মহাবিশ্ব ত্রিমাত্রিক তাই আমরা সকল প্রানি সহ সমগ্র মহাবিশ্ব ত্রিমাত্রিক।কিন্তু বিজ্ঞানের সর্বোধুনিক স্ট্রিং থিওরির অন্যতম তত্ব এম থিওরি বলছে আমাদের এই মহাবিশ্বকে ত্রিমাত্রিক দেখালেও এই মহাবিশ্ব ত্রিমাত্রিক নয় এটি ১০ মাত্রা সমৃদ্ধ। এই বিষয়টিকে এম তত্ত্বে গানিতিক ভাবে দেখানো হয়েছে। এম তত্ত্বের ভাষায় আমাদের এই মহাবিশ্ব ত্রিমাত্রিক অবস্থায় রয়েছে কিন্তু বাকী ৭ মাত্রা খুব সংকীর্ণ জায়গায় জরিয়ে-পেচিয়ে গুপ্ত আকারে অর্ন্তবর্তী জগৎ রুপে বিরাজ করে আছে। মহাবিশ্বএর অর্ন্তবতীজগৎ বা গুপ্ত ৭ মাত্রার উপর নির্ভর করছে মহাবিশ্বের দৃশ্যমান নিয়ম। মৌলিক চারটি বল ও তাদের পরস্পরের সাথে মিথস্ক্রিয়ার ধরন। এক কথায় মহাবিশ্বের সমস্ত হিসাব নিকাশ ৭ মাত্রার উপর ডিপেন্ড করে আছে। এই অর্ন্তবতী জগৎ বা ৭ মাত্রার মাঝেও প্রানি থাকতে পারে।আধুনিক বিজ্ঞানের এই স্ট্রিং থিওরি বা এম তত্ত্বে ৭ মাত্রার যদি কোন প্রাণি হয় তাহলে সেই সকল প্রাণিরা ৭ মাত্রা থেকে যে কোন সময় রুপ পরিবর্তন করে ৩ মাত্রিক রুপে রুপান্তর হতে পারে। এবং ৭ মাত্রার প্রানিরা যে কোন সময় স্বল্প সময়ে ত্রিমাত্রিক পৃথিবীর যে কোন স্থানে প্রবেশ করতে পারে। সেই পদ্ধতিকে আধুনিক বিজ্ঞানের মতে বলা হয় ওয়ার্মহোল পদ্ধতি বা মহাবিশ্বের টানেল।আল কোরআনে এরুপ টানেল বা মহাবিশ্বের দরজা বিষয়ে আলোচনা করা আছে।প্রিয় ভিউয়ার আমি সংক্ষেপে আপনাদের আধুনিক বিজ্ঞানের স্ট্রিং থিওরির কিছু বিষয়বস্তু তুলে ধরে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে এই মহাবিশ্বে ফেরেস্তা নামক এজাতীয় যে কোন প্রাণি থাকতেই পারে। যদি তারা উচ্চ মাত্রার প্রানি হয়ে থাকে তবে আপনি তাকে দেখতে পারবেন না। আপনার পাশে অবস্থান করছেন কিন্তু আপনি ত্রিমাত্রার বলে আপনি তার অস্তিত্ব অনুভব করতে পারবেন না।এই জাতীয় প্রাণীদের বায়ুমন্ডল ভেদ করে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই আবার তাদের নিঃশ্বাস নেওয়ারও প্রয়োজন নেই।তারা খুব স্বল্প সময়ে যেকোন সময়ে যে কোন স্থানে ত্রিমাত্রিক রুপে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। বিভিন্ন পাখা বিশিষ্ট ফেরেস্তা বলতে ফেরেস্তা নির্মানে কত মাত্রার সন্নিহিত হয়েছে।সেটিই বোঝানো হয়েছে।যেমন ৫ মাত্রার কোন ফেরেস্তার কর্মকান্ড করার ক্ষমতা একরকম, ৬ মাত্রার নির্মিত প্রানির ক্ষমতা আরো উন্নততর। ৭ মাত্রার নির্মিত প্রানির রুপায়ন নিজেকে যেকোন রুপে প্রকাশ হওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন। তাই একুশ শতকের বিজ্ঞান নিয়ে যারা ধর্মের বিরুদ্ধে বিষেদাগার ছড়াতে চাই তাদের কোঝা উচিত সমাজতান্ত্রিক যুগের বিজ্ঞান নিয়ে বড়াই করে কি লাভ? বিজ্ঞান তো এখন অনেকদুর এগিয়ে গেছে। আর এই শতাব্দির বিজ্ঞান আসাদ নুরের মতো অল্প জ্ঞানীদের জ্ঞান স্বল্পতাকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।উনবিংশ শতাব্দির সেই পুরানো বিজ্ঞান নিয়ে স্বল্প জ্ঞানের অধিকারী আসাদ নুরেরা যদি ফেরেস্তা নিয়ে হাস্যোরসে থাকে তবে এই একবিংশ শতাব্দির বিজ্ঞান তাদের নিয়েই হাসবে!একে বলে অল্প বিদ্যা ভয়ংকর।



প্রিয় পাঠক, এবার আসি আমি আরেকটি আলোচনায়।সেটি হলো ফেরেস্তা নামক প্রানিগুলোর প্রয়োজনীয়তা আদৌ এই মহাবিশ্বে আছে নাকি? এই প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বুঝতে গেলে আমাদের আধুনিক বিজ্ঞানের কিছু নতুন তথ্য সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে।ইদানিং আধুনিক বিজ্ঞানের নতুন কিচু থিওরি নেয়ে বিজ্ঞানমহলে ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। এই তত্ত্ব মতে এই মহাবিশ্বের সাথে মানুষের মস্তিস্কের অদ্ভুদ ধরনের কিছু মিল বিদ্যমান।বিশেষ করে ২০২২ সালের আগস্টের ২৫ তারিখের টাইম ম্যাগাজিনের এর একটি “Maybe the Universe Thinks. Hear Me Out” ম্যাগাজিনের েএকটি প্রবন্ধে প্রকাশিত হয় অদ্ভুদতর একটি তথ্য। সংবাদটিতে বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীদের তথ্য উল্লেখ করে বলা হয় আমাদের মহাবিশ্বের সাথে মানব মস্তিস্কের মিল বিদ্যমান। তাদের উভয়ের কর্মকান্ড একই রকম তাহলে এই মহাবিশ্ব কি কোন মস্তিস্ক? মানব মস্তিষ্ক এবং বিশ্বজগতের মতো প্রকৃতির সবচেয়ে জটিল দুটি ব্যবস্থাপনা বিদ্যমান। মস্তিষ্কের নিউরোনাল নেটওয়ার্ক এবং মহাবিশ্বের ছায়াপথকেন্দ্রিক মহাজাগতিক নেটওয়ার্কের বিস্ময়কর সাদৃশ্য রয়েছে। এ দুটি ব্যবস্থার কাজের ধরনও অনেকটা এক। মহাবিশ্বের আদলে একটি ছোট সংস্করণ রয়েছে মানুষেরই মাথার ভেতরে! মহাবিশ্বের এই ক্ষুদ্র সংস্করণটি হলো মানুষের মস্তিষ্ক। তবে কি এই মহাবিশ্বটি বৃহৎ কোন প্রাণির মস্তিস্ক? পরবর্তীতে আরেকটি প্রবন্ধটিতে ঠিক একই সুরে কথা বলা হয়।” Scientists Say The Universe Is In Someone’s Brain” নামক এই প্রবন্ধে বলা হয় যদি মহাবিশ্ব সত্যিই একটি জীবন্ত, বিকশিত সত্তা হয়,তাহলে পৃথিবীতে জীবন এবং চেতনার উত্থান নিছক আকস্মিক নয় বরং একটি মহাজাগতিক বিবর্তন প্রক্রিয়ার প্রাকৃতিক ফলাফল।এই প্রকৃতিই প্রাণের আবির্ভাব ঘটিয়েছে একটি নির্দীষ্ট ফমুলায়।

এই বিষয়টি নিয়ে যখন চারিদিকে আলোচনা সমালোচনা তখন ইতালীর দুজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ‘দ্য কোয়ান্টেটিভ কমপেরিজন বিটুইন দ্য নিউরোনাল নেটওয়ার্ক অ্যান্ড দ্য কসমিক ওয়েভ’ শিরোনামে একটি গবেষনা নিবন্ধ বিজ্ঞান মহলের চারিদিকে আড়োলন করে তোলে। গত বৎসরের ১৬ নভেম্বর ফ্রন্টিয়ার্স অফ ফিজিক্স জার্নালে তাদের একটি চমকপ্রদ গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ হয়। কয়েক বছর ধরে যৌথ গবেষণাটি চালিয়েছেন ইতালির জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্র্যাঙ্কো ভাজা এবং স্নায়ুশল্যবিদ আলবের্তো ফেলেত্তি। ফ্যাঙ্কো ভাজা ইতালির ইউনিভার্সিটি অফ বোলোনার সহযোগী অধ্যাপক, আর আলবের্তো ফেলেত্তি যুক্ত আছেন ইউনিভার্সিটি অফ ভেরোনার সঙ্গে। দুই গবেষক তাদের গবেষনায় দেখান মানব মস্তিষ্ক এবং বিশ্বজগতের মতো প্রকৃতির সবচেয়ে জটিল দুটি ব্যবস্থাপনা যথাক্রমে মস্তিষ্কের নিউরোনাল নেটওয়ার্ক এবং মহাবিশ্বের ছায়াপথকেন্দ্রিক মহাজাগতিক নেটওয়ার্কের বিস্ময়কর সাদৃশ্য রয়েছে। এ দুটি ব্যবস্থার কাজের ধরনও অনেকটা এক । শুধু গঠনের দিক থেকে নয়, সক্রিয়তার দিক থেকেও অদ্ভুত মিল রয়েছে মানব মস্তিষ্ক ও মহাবিশ্বের। মহাবিশ্বের অগণিত ছায়াপথ বা গ্যালাক্সির নেটওয়ার্ক যেভাবে কাজ করে মানুষের মস্তিষ্কের নিউরনের নেটওয়ার্কও ঠিক তেমন। ছায়াপথের সর্পিলাকার গড়নের (গোল্ডেন স্পাইরাল) সঙ্গে মিল রয়েছে মাথার ককলিয়ার। গবেষকেরা বলছেন, মহাবিশ্ব এবং মানব মস্তিষ্কের কার্যক্রম একই ধরনের জটিলতা এবং স্বনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। দুটি ব্যবস্থার একদম উৎপত্তির জায়গাতেও আছে অনেক মিল। মস্তিষ্কের সেরিবেলামে প্রায় ৬৯ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে; অন্যদিকে পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাজাগতিক ওয়েবে ছায়াপথ একশ বিলিয়নের বেশি। প্রতিটি মাথার ভেতরে যেনো একটি করে মহাবিশ্ব! তুলনা করে দেখা গেছে, একেকটি নিউরন বা ছায়াপথের মধ্যে তথ্য ও শক্তির যে প্রবাহ রয়েছে, তার পরিমাণ গোটা ব্যবস্থার ভর ও শক্তির ২৫ শতাংশের কাছাকাছি। মস্তিষ্ক ও মহাবিশ্বের গঠনের মধ্যেই রয়েছে নানান মিল। মানুষের মস্তিষ্কের প্রায় ৭৭ ভাগই জলীয় উপাদান, আর মহাবিশ্বে প্রায় ৭২ শতাংশ হলো ডার্ক এনার্জি বা তমোশক্তি। এই দুই উপাদানকে দৃশ্যত নিষ্ক্রিয় দেখালেও এরাই দুটি ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। দুটি ব্যবস্থাতেই জালের মতো দারুণ সুবিন্যন্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে,যার মাধ্যমে মস্তিষ্কের নিউরন এবং মহাবিশ্বের ছায়াপথগুলো পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। গবেষক দলটি মহাবিশ্ব ও মস্তিষ্কে ছড়িয়ে থাকা জালের ধরনও বিশ্লেষণ করেছে। ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার ৭০০টি কসমিক ওয়েব পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, মহাবিশ্ব জালের প্রতিটি সংযোগস্থল গড়ে ৩.৮টি থেকে ৪.১টি ওয়েব রয়েছে। অন্যদিকে মানব কর্টেক্সে এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার নিউরন তন্তুজাল বিশ্লেষণে প্রতিটিতে সংযোগের গড় পাওয়া গেছে ৪.৬ থেকে ৫.৪টি।গবেষণার ফলাফল জানিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্র্যাঙ্কো বলেন, ‘আমরা দুটি ব্যবস্থার সর্পিল ঘনত্বের পরিমাপ করেছি। আমাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে সেরিবেলাম নিউরোনাল নেটওয়ার্কে বস্তুগত ঘনত্ব এক মাইক্রোমিটার থেকে ০.১ মিলিমিটারের মধ্যে। মহাজগতের ঘনত্বের আনুপাতিক হারও অনেকটা একই, যদিও বিপুল বিস্তৃতির কারণে সেখানে বস্তুগত ঘনত্ব পাঁচ মিলিয়ন থেকে ৫০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ।’ মানব মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি প্রায় ৪.৫ পেটাবাইট। জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্র্যাঙ্কোর সাম্প্রতিক আরেক গবেষণায় বলা হয়েছে, মহাবিশ্বের জটিল কাঠামোর জন্য যে পরিমাণ মেমরি ক্ষমতা দরকার তার পরিমাণ প্রায় ৪.৩ পেটাবাইট।এ সকল তথ্য কে উদ্দ্যেশ্য করে তাদের এই গবেষনা বলছে মানব মস্তিস্ক এবং মহাবিশ্ব একই পরিকল্পনায় তৈরী।দুইটি একই বিষয়। মানুষের মস্তিস্কও একটি মহাবিশ্ব। তাহলে এই মহাবিশ্ব কি বৃহৎ কোন প্রাণির মস্তিস্ক? এ মহাবিশ্ব কি একটি চেতনা?

প্রিয় পাঠক, আধুনিক গবেষকরা এসব কি বলছেন? এই মহাবিশ্ব একটি প্রাণ? একবার ভেবে দেখেন সচেতন একটি চেতনা এই মহাবিশ্বের চারিদিকে ব্যাপ্তি।আধুনিক বিজ্ঞানের বর্তমান তথ্য উপাত্ত অনুসারে যদি মহাবিশ্ব একটি প্রাণি হয় তাহলে আমাদের আরেকটি প্রসঙ্গ আমাদের উত্থাপন করা উচিত। আমরা জানি মানবদেহে অসংখ্য ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আছে যারা মানবদেহের বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে ব্যাস্ত। মানবদেহের কর্মকান্ড পরিচালনায় এরা সবদা ন্যাস্ত। আপনার ত্বকের কথাই ধরুন। কতো অসংখ্য জীবিত সৃষ্টিই না সেখানে দিব্যি বেঁচে-বর্তে আছে। ওদের নামও আপনি জানেন না, না আপনি ওদের খালি চোখে দেখতে পারেন। সকল জীবিত প্রাণীর অন্ত্রে বাস করে লক্ষ লক্ষ ব্যাকটেরিয়া বা এককোষী জীব। এরা হজমে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে আমাদের নিজস্ব যত না কোষ আছে, তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি আছে ব্যাকটেরিয়া? সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে ত্বক, দাঁত ও মুখগহ্বর এবং পরিপাকতন্ত্রে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলোর নাম হলো কমেনসাল। কমেনসাল শব্দটা আবার এসেছে ল্যাটিন শব্দ মেনসা থেকে, যার অর্থ হলো টেবিল। এই শরীরে বাসা বাঁধা এই কমেনসাল ব্যাকটেরিয়াগুলো আসলে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। কেউ আমাদের মরা ত্বক-কোষ পরিষ্কার করছে, কেউ দাঁতের ফাঁকে খাদ্যকণাকে দূর করছে, কেউ পেটের মধ্যে খাবার হজমে সাহায্য করছে। বিখ্যাত বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর বলেছিলেন, কমেনসাল ছাড়া জগতে কোনো প্রাণীই নেই। আর ইদানিংকালের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ব্যাকটেরিয়াগুলো ছাড়া আমাদের ইমিউন সিস্টেম ঠিকমতো কাজই করতে পারবে না।আবার অনেক ব্যাকটেরিয়া আছে যে গুলো দেহের ক্ষতি করে। ঠিক অনুরুপ অনেক ভাইরাস আছে যারা দেহে উপকারী এবং অনেক ভাইরাস আছে যারা দেহের ক্ষতিকারী।জীববিজ্ঞান বলে মানবদেহে ক্ষতিকর ভাইরাসের প্রবেশের সাথে সাথে উপকারী ভাইরাসগুলো যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এই যে দেহ নিয়ন্ত্রনের খেলায় এই যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণীগুলো কার্যক্ষম রয়েছে। তাদের অস্তিত্ব তো আমাদের প্রমান করে এই মহাবিশ্ব যদি বিশাল একটি প্রানি হয়ে থাকে তার নিয়ন্ত্রনে এমন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আবশ্যিক।যারা এই মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রন করবে।আমাদের আল কোরআনের ফেরেস্তা সম্পর্কে আমরা যে সকল আয়াত পাই তাতে আমরা বুঝতে পারি এই মহাবিশ্ব পরিচালনায় এবং নিয়ন্ত্রনে ফেরেস্তারা। তারা আলাদা আলাদা স্বত্ত্বা নিয়ে মহাজগতের কর্মকান্ডে নিয়োজিত। তাহলে প্রিয় পাঠক, আপনারাই বলুন আধুনিক বিজ্ঞানের জ্ঞান পর্যাপ্ত তথ্য আমাদের কি সরবরাহ করছে? প্রিয় পাঠক এবার আসি আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায়। এই মহাবিশ্ব একবিংশ শতাব্দির কিছু হাইপোথিসিস আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে দিচ্ছে। এই যে চমকপ্রদ তথ্য যা আমাদের চমকেই দেয়। সুতরাং আসাদ নুরের মতো মানসিক বিকারগ্রস্থরা যদি ফেরেস্তা নিয়ে এসব বাজে মনতব্য করে তাতে ওদের অল্পবিদ্যার প্রকাশ পায় ধর্মের কোন ক্ষতিই হয় না। সুতরাং যে ফেরেস্তারা আমাদের মঙ্গলের জন্য আমাদের জন্য মহাবিশ্বের জন্য কর্মকান্ড করে যাচ্ছে তাদের আমরা বিশ্বাস করি। তাদের কে আমরা ভালোবাসি। আল কোরআন আমাদের বলে-আসমানসমূহ উপর থেকে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়, আর ফেরেশতাগণ তাদের রবের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং যমীনে যারা আছে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। জেনে রাখুন, নিশ্চয় আল্লাহ, তিনিই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (আশ শুরা-42)এসকল আয়াত শুনে আসাদ নুরেরা হাসতেই পারে কারন অল্পবিদ্যা তাদের বুঝতে সহায়তা করে না। আবার রুপক অর্থ না বুঝে তারা হাসাহাসি করতেই পারে। কিন্তু একবার ভাবুন আমাদের পৃথিবীর উপর মঙ্গলের পাশে এস্টেরয়েড বেল্ট বা গ্রহাণুর সমস্টি থেকে যদি একটি দুটি গ্রহানু পৃথিবীর বুকে ধাক্কা দেয় তখন আমাদের পৃথিবীর কি আবস্থা না হতে পারে? অতীতে এই পৃথিবীর উপর অসংখ্য গ্রহানুর আঘাতে কথা ইতিহাস বলে।তাহলে কেনো পৃথিবী এই গ্রহানুর উপর আঘাত কত আসে। এই প্রশ্নের উত্তর ইদানিং বিজ্ঞান দেয়। বৃহস্পতি গ্রহের সৃষ্ট চুম্বকীয় ক্ষেত্র উল্কা এবং ধূমকেতুগুলোর গতিপথ বদল করে আমাদের সৌরব্যবস্থার প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে এবং আমাদের পৃথিবীকে এসব উল্কা এবং ধূমকেতুর হাত থেকে রক্ষা করছে। বৃহস্পতিগ্রহের এই গুরুত্বপূর্ন কাজের কথা উল্লেখ করেন নক্ষত্রবিদ জর্জ ওয়েদারহিল তার ‘How Special Jupiter Is’ গবেষনা নিবন্ধে।তিনি বলেন “Without a large planet positioned precisely where Jupiter is, the earth would have been struck a thousand times more frequently in the past by comets and meteors and other interplanetary debris. If it were not for Jupiter, we wouldn't be around to study the origin of the solar system.” সুতরাং আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি আমরা বিশ্বাস করি ফেরেস্তাদের যারা আমাদের শিক্ষা দেয়। ‘তাকে শিক্ষা দান করে শক্তিশালী, প্রজ্ঞাসম্পন্ন (ফেরেশতা)। সে নিজ আকৃতিতে স্থির হয়ে ছিল।’ (সুরা : নাজম, আয়াত : ৫-৬)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

নতুন বলেছেন: আছাদ নুরের ভিডিও দেখে তাকে ধর্ম বিদ্বেষী এবং নেগেটিভ মনের মানুষ বলেই মনে হয়েছে।

কিন্তু আপনার লেখাও মাঝে মাঝে বিভি্ন্ন জারগন ব্যবহার করে বিভিন্ন জিনিস মেলানোর চেস্টা করেন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি কি প্রমান করতে পারছেন ফেরেস্তা নেই? তাহলে প্রমান নাহলে উদাহরন তো হতে পারে। সুতরাং আমি থিওরি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছি থাকতেই তো পারে। ধন্যবাদ নতুন ভাই।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

জ্যাকেল বলেছেন: আয়াত অর্থ নিদর্শন। আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করা জানা আলিমের কাজ। যা বিজ্ঞানীরা করে চলেছেন। কুরআনে বর্ণিত আলেম হচ্ছেন আসলে বিজ্ঞানীরা।

আসাদ নুরের মত ফাও লোকের কথা ব্লগে আনাটাই ভুল হয়েছে। ইহা একটি নি্কৃস্ট শ্রেণির জীব।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হ্যা ঠিক আছে। ওর ছবি টা না দেওয়ায় উচিত ছিলো। আসলে ওর কথা গুলো আমাকে এই লেখাটা লিখতে বাধ্য করেছে। অনেক দিন লিখি না। তারপরও লিখলাম।

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: আসাদ নুরের এক ইংরেজি ভিডিওর কারনে অনেক ওয়াজির উন্নত বিশ্বে ওয়াজ করতে যাওয়া বন্ধহয়ে গেছে। আব্বাসী ইংল্যান্ড সফর অসমাপ্ত রেখে দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হয়।তাদের ওয়াজ থেকেই প্রমান করে দেয় তারা মানবতা বিরোধি।আর মানবতা বিরোধীদের উন্নত বিশ্বে জনগনের সামনে কথা বলার অধিকার নাই।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মানবতা বিরোধী তো আপনারা। আপনারা চান চুরি, ডাকাতি, রাহাজানী, ঘুষ দুনীতি, খুন, হত্যা, ব্যাভিচার। ধর্মে তো এগুলো বাধাগ্রস্থ করে। তাইতো আপনার ধর্ম বিরোধী। ব্যাভিচার হচ্ছে না অতএব আমরা লুচ্চামি করতে পা্রছি না। তাই ধর্ম মানবতাবিরোধী।

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৩৭

কামাল১৮ বলেছেন: ফেরস্তা যে নাই,এটার প্রমান চাওয়াই স্ববিরোধ।যা নাই তা প্রমান করা যায় না।যারা দাবী করে আছে প্রমান করার দায়িত্ব তাদের।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:০৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমরা তো বলছি আছে আপনি বলছেন নাই তাহলে সেটা প্রমান করার দায়িত্ব তো আপনাদের। বিভ্রান্ত ছড়ানোর মানসিকতা ছাড়া আর কি কিছু আপনাদের আছে ভাই? যে মহাবিশ্ব সম্পর্কে আপনারা তেমন কিচুই জানেন না সেই মহাবিশ্ব বা তাদের নিয়ন্ত্রিত বিষয়বস্তু নিয়ে বিভ্রান্তমূলক মন্তব্য করতে কি আপনাদের বাধে না। আপনি কি লেখাটা পড়েছেন? আমি তো বলছি ফেরেস্তা থাকতেই পারে যার যুক্তিও আমি গানিতিকভাবে দেখিয়েছি। মহাবিশ্ব সবর্ম্পন আমরা দেখতে পারি না। তাই গানিতিক ভাবে ছাড়া এর ব্যক্ষা করা সম্ভব নয়। এবার আপনার গানিতিকভাবে প্রমান করুন ফেরেস্তা নাই।

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৪০

ধুলো মেঘ বলেছেন: আসাদ নূর ছেলে মানুষ। ভুল করে ফেলেছে। ছেড়ে দেন। ওকে ওর কাজ করতে দিন।

মেয়ে মানুষ হলে আপনাদের ঈমান দন্ড খাড়া কইরেন। যেমন তাসলিমা নাসরিনের ব্যাপারে করেছেন, নুপুর শর্মার সাথে করেছেন, এখন আবার টানাটানি করেছেন তাবাসসুম ঊর্মিকে নিয়ে।

পুরুষ মানুষ কেউ ইসলাম বা নবী নিয়ে কটুক্তি করলে সেতাকে তেমন কোন দোষ বলে কেউ ধরেনা। তাই আসাদ নুর এখনো বহাল তবিয়তে আছে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি যে গড় গড় করে কি বলে গেলেন মনে হয় আপনি নিজেই জানেন না। তাবাসসুম ঊর্মি নামের কোন নাস্তিককে তো আমি চিনি না ভাই।

৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:১৯

ধুলো মেঘ বলেছেন: তাপসী তাবাসসুম উর্মি কোন নাস্তিক না। সে একজন ম্যাজিস্ট্রেট। সরকার নিয়ে কটুক্তি করায় সরকার তার চাকরি খেয়েছে, ফেসবুকেও তার নিন্দার ঝড়।

অথচ, জুলাই গণহত্যার সময়ে মালয়েশিয়ার যে রাষ্ট্রদূত সে দেশের বাংলাদেশী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মাল্যেশিয়ার আদালতে মামলা করেছিল - এই সরকার তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা তো নেয়ইনি, উপরন্তু তাকে প্রমোশন দিয়ে পোল্যান্ডে পাঠিয়েছে।

১০ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভাই আমি তো রাজনৈতিক কোন পোষ্ট করি নাই। তাহলে আপনি আমার পোস্টে কেনো রাজনৈতিক গন্ধ খুজে পেলেন। উর্মি ফুর্মি এর প্রসঙ্গ টেনে এনে কি বোঝাতে চাইছেন? আমার পোস্ট তো ধর্ম রিলেটেড। নাকি আমাকে রাজনীতি নিয়ে লিখতে বলছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.