নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
আজ আমি যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে চাইছি সে বিষয়টি হলো আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাতে মানুষের ক্রমবিকাশ নিয়ে যে শিক্ষা আমাদের দেওয়া হয় তার বিরুদ্ধে আমার কিছু বলার আছে। আমরা পড়ছি বা আমাদের সন্তানেরা শিখছে মানুষ কিভাবে পোষাক পড়া শিখলো, চাষাবাদ শিখলো, পশুপালন শিখলো, লৌহ যুগ লৌহ ব্যবহার শিখলো এভাবেই মানুষের কিভাবে ক্রমবিকাশ মানব জাতির জীবনে এত উন্নয়ন কি আপনা আপনি ঘটেছে? আমাদের সন্তানেরা যা শিখছে তাতে বোঝানো হয় মানুষ সব আপনি আপনি শিখে গেছে। স্রষ্টার হস্তক্ষেপ নেই। এর মধ্যে কোন রহস্যময়তা বিদ্যমান ছিলো না? কিন্তু আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মানুষ সভ্যতার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় মানুষের কথা বলা শেখাটাই ছিলো চমকপ্রদ উন্নয়নমূলক একটি মাইলফলক ঘটনা। কথা বলা শেখার পরেই মানুষ জাতির ঐতিহাসিক উন্নয়ন শুরু হয়। ধাপে ধাপে মানুষের পশুত্ব থেকে মনুষত্ব প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু মানুষ কথা বলা শিখলো কি করে? কে তাকে বোঝালো কন্ঠ থেকে বেরোনো সুর জিহ্বা ঘুরিয়ে পেচিয়ে পরিবর্তন করে মনের ভাব প্রকাশ করা যায়। বিভিন্ন শব্দ চয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন বস্তুর নামকরন করে এক একটি বিষয় নির্ধারন করা যায়? কে তাকে শেখালো এই নামকরন করা? একটি গরুকে গরু বলতে হবে, একটি ছাগলকে ছাগল বলতে হবে, একটি মুরগীকে মুরগী বলতে হবে। আকাশকে আকাশ বলতে হবে। এই নামকরন করা মানবসভ্যতার চুড়ান্ত উন্নয়নের দ্মার উন্মোচরন করে। এই নামকরন করাইবা মানুষ শিখলো কি করে? কে তাকে শিখালো নামকরন করা?
একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করলে আমরা লক্ষ্য করবো মানুষের ভাষা শিক্ষাটা একটি অলৌকিক বিষয়। ইতিহাস আমাদের বুঝতে শেখায় জ্ঞানবৃক্ষ জনিত ঘটনা বা হোমো সেপিয়েন্সদের মধ্য পোষাক পড়ার বাসনা থেকেই সুই সুতার আবিস্কার করে তার কিচুদিনের মধ্যেই অদ্ভুদভাবে হোমো সেপিয়েন্সরা কথা বলতে শুরু করে। বাইবেল অনুযায়ী বলা হয় ভাষা একটি ‘Divine Gift’ বা স্বর্গীয় উপহার। সৃষ্টিকর্তা মানুষ সৃষ্টির শুরুতেই মানুষের মধ্যে শুধু ভাষাই নয় বরং কথা বলার ক্ষমতাও দিয়ে দিয়েছেন। এবারে আমরা আল কোরআনের গুরুত্বপূন কিছু আয়াত নিয়ে আলোচনা করি। আল কোরআন মানবজাতির কথা বলা শিক্ষা নিয়ে কি বলেন? আল কোরআন বলেন- দয়াময় আল্লাহ, তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন। তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনিই তাকে ভাব প্রকাশ করতে শিখিয়েছেন। -সূরা রহমান : ১-৪ " যার অর্থ দাড়ায় স্রস্টাই মানুষকে ভাব প্রকাশ করতে বা কথা বলতে শিখিয়েছেন। এবার আসি বিজ্ঞান আমাদের মানুষের কথা বলা সম্পর্কে কি বলে? কথা বলার প্রসঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞান চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছে। তাদের মতে-মানুষের মস্তিষ্কের যে অংশ কথা নিয়ন্ত্রণ করে এফএক্সপি-২ জিন যার জন্য আমরা মুখ মধ্যে প্রয়োজনীয় নড়াচড়াগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এফএক্সপি-২ নামের এই জিনটি স্তন্যপায়ী প্রায় সকল প্রাণীর শরীরেই আছে। কিন্তু মানবদেহে যেটি আছে সেটি এর রূপান্তরিত জিন," মানুষের কথা বলার জন্য এই রুপান্তরিত জীনটি কৃতিত্ব বহন করছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো মানব দেহে এই জীনটি রুপান্তরিত হলো কি করে? কথা বলা ও ভাষার বিকাশে এই জিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কারণ যেসব মানুষের শরীরে এই জিনটি রূপান্তরিত অবস্থায় থাকে না, তাদের কথা বলতে অসুবিধা হয়।" আর যাদের মধ্যে রুপান্তরিত অবস্থায় থাকে তারাই কথা বলতে পারে। যেমন গরিলা ওরাং ওটাং এর এই জিনটি রুপান্তরিত অবস্থায় নেই। কোন না কোন ভাবে কোন মিউটিশন মানব দেহে এই জীনটিকে রুপান্তরিত অবস্থায় পরিবর্তন করেছিলো। আর যাই হোক দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়ায় মানব দেহটাও কথা বলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। কিন্তু এই পরিবর্তন অন্য কোন প্রাণির দেহে ঘটলো না ঘটলো আল্লাহর নির্ধারিত প্রানি মানুষকে যাকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েচে তার মাঝে? নিয়ান্ডারথালদের মধ্যেও এই জিন ছিল, কিন্তু এতটা উন্নত ছিল না। আর এই কারনে জার্মান মনোবিজ্ঞানী উইলহেম উন্ড ভাষার উৎপত্তি নিয়ে যতো তত্ত্ব ও প্রস্তাবনা আলোচিত হয়েছে তা দেখে তিনি প্রশ্ন করেছেন মানব জগতে ভাষার আবির্ভাব ও ব্যবহারের সক্ষমতা কি কোন ‘ঐশ্বরিক দান নাকি? পৃথিবীতে মানুষই হলো একমাত্র প্রাণী যাদের ভাষা আছে, এই ভাষার কারণে আমরা অন্যসব প্রাণী থেকে আলাদা হয়েছি," নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাগি টলারম্যান সত্যি একটি মহান সত্যি কথা বলেছেন ! আমাদের মানুষের উন্নয়নের চুড়ান্ত শিখরে আরোহন করার একটি মাত্র কারন যে মানুষেরা খুব সহজেই তার মনের ভাব প্রকাশ করাতে পারে। ভাষা আবিস্কারের প্রয়োজনীয়তা সর্ম্পকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ইতিহাসবিদ ড. লরা রাইট বলেন ‘এই আড্ডা মারার মতো করে কথা বলার গুরুত্বও কম ছিল না। টুকটাক কথা বলা, পরচর্চা বা গসিপ এগুলো প্রতিদিনেরই অংশ- আর একসকল কারনে মানুষের জীবনে ভাষা আবিস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ’ কিন্তু মানুষের এই কথা বলার পিছনে তার শারীরিক সক্ষমতা কি ছিলো? নাকি মানুষের বিবর্তেনের মধ্য দিয়ে মানবজাতি কথা বলার মতো যোগ্যতা পেয়ে যাচ্ছিলো। আদি মানুষের মস্তিষ্কের গাঠনিক অবস্থানের সাথে ভাষার উৎপত্তির সম্পর্ক স্থাপন করা খুবই কঠিন। আদিম পৃথিবীতে মানুষের আগেই এসেছিল এপরা। এই এপদের গলায় বড় আকারের বায়ুথলী ছিল। এটা দিয়ে তারা 'গোঁ গোঁ' ধরনের শব্দ করে প্রতিপক্ষ বা অন্যান্য প্রাণীকে ভয় দেখাত। বেলজিয়ামের ফ্রি ইউনিভার্সিটি অফ ব্রাসেলসে বিজ্ঞানী বার্ট দ্য বোর সিমুলেশন করে দেখিয়েছেন। মানুষের ভাষার পেছনে স্বরবর্ণ, যাকে বলে, আবশ্যক। এপদের মধ্যে এ ধরনের বায়ুথলী ছিল ঠিকই, সমস্যা হচ্ছে, এ ধরনের বায়ুথলী স্বরবর্ণের উচ্চারণে বাধা দেয়। কিন্তু হোমো হাইডেলবার্জেনিস প্রজাতীর দেহে এরকম কিছু দেখা যায় না। এই হোমো হাইডেলবার্জেনিস থেকেই পরে নিয়ান্ডারথাল ও স্যাপিয়েন্সরা এসেছে বলে ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা। তাছাড়া কিছু কিচু বিজ্ঞানীদের মতে মানুষ যখন সোজা হয়ে দাড়াতে শিখতে শুরু করে তখন থেকেই মানুষের বাগযন্ত্র সোজাসুজি অথাৎ L আকৃতির হতে শুরু করে। মানুষের সোজা হয়ে হাটার কারনে তার কন্ঠনালী পারফেক্ট হতে থাকে। আধুনিক মুখের ভাষাগুলির বিভিন্ন ধ্বনি উচ্চারণের জন্য মানুষের বিশেষ উল্টো Lআকৃতির বাগনালী প্রয়োজন, এবং স্বরযন্ত্র বা ল্যারিংক্সের গলার বেশ ভেতরে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু নিয়ানর্ডাথালদের পূর্বের শ্রেনির মাঝে জৈবিক কাঠামো, শ্বসনতন্ত্র, কণ্ঠের অবস্থা ইত্যাদি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছিলো। আধুনিক মানুষ তথা হোমো সেপিয়েন্স এর পূর্বের নিয়ান্ডারথালদের দৈহিক বাকযন্তু বা অণ্যান্য বিষয়বস্তু কথা বলার জন্য উপযোগী ছিল৷ বক্ষ ও উদরের মাঝখানের ঝিল্লিতে নার্ভের সংখ্যা বেশি হলে এবং স্পাইনাল কর্ড মোটা হলে তা কথা বলার পক্ষে সহায়ক ছিলো। এমনকি কথা বলার মূল চালিকা শক্তি FXP2 নামের একটি জিন নিয়ানডার্থাল শ্রেনির মাঝে বিদ্যমান ছিলো। কিন্তু কোন কোন প্রত্নতাত্ত্বিকের মতে নিয়ান্ডার্থাল মানুষদের মধ্যে ল্যারিংক্সের অবস্থান গলার বেশ উপরের দিকে ছিল এবং এই কারনেই তাদের পক্ষে বর্তমান মনুষ্য ভাষার ধ্বনিগুলি উচ্চারণ করা সম্ভব ছিল না। আধুনিক মানুষের কথা যদি ভাবি, মস্তিষ্ক থেকে মেরুদণ্ড হয়ে অনেক অনেকগুলো স্নায়ু ডায়াফ্রাম এবং পাঁজরের মধ্যকার পেশীতে এসে যুক্ত হয়েছে। ঠিকভাবে শ্বাস নিয়ন্ত্রণ ও যথার্থ শব্দ করার জন্য এগুলো জরুরি ভূমিকা রাখে। এই একই জিনিস নিয়ান্ডারথালদের মধ্যেও দেখা যায়। নিয়ানডার্থালরা বিভিন্ন রকম শব্দ করা বা কিছুটা ইশারা ইঙ্গীতের মাধ্যেমে কিচুটা মনের ভাব প্রকাশ করার চেষ্টা করলেও নিয়ানডার্থালরা আসলে ভাষা আবিস্কার করে উঠতে পারে নাই অথাৎ কোন বস্তুর নামকরন করার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন বস্তুর পরিচয় সৃষ্টির বিষয়টি তাদের মাথায় আসেনি । কথা বলাল মতো গো গু শব্দ করা ছাড়া চিৎকার করে কোন কিছু বোঝানো ছাড়া তেমন কোন শব্দ বা বস্তুর নামকরনের মাধ্যমে ভাষার সৃষ্টির কোন গ্রহনযোগ্য কোন প্রমান নিয়ানর্ডাথালদের আমলে পাওয়া যায় নি। এককথায় বলা যায় মানুষের কথা বলার মতো দৈহিক প্রস্তুতি নিতে প্রায় কয়েক লক্ষ বৎসর লেগেছিলো।
এবার আসি আল কোরআনের আরেকটি আয়াতে। যে আয়াতে আল্লা মানুষকে শব্দ গঠন করতে নামকরন কিভাবে করতে হবে সেটা শিখিয়েছেন বলে ঘোষনা করেছেন। আয়াতটিতে বলছে -“আর তিনি আদমকে নামসমূহ সব শিক্ষা দিলেন তারপর তা ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। বললেন, ‘তোমরা আমাকে এগুলোর নাম জানাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’। তারা বলল, ‘আপনি পবিত্র মহান। আপনি আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয় আপনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। তিনি বললেন, ‘হে আদম, এগুলোর নাম তাদেরকে জানাও। অতঃপর সে এগুলোর নাম তাদেরকে জানাল। (আল কোরআন সুরা বাকারা 31-33) প্রিয় পাঠক, লক্ষ্য করুন এই তিনটি আয়াতে আদমকে নাম শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। আল কোরআনে আদমের এই নাম শিক্ষা দেওয়া বিষয়টি ভাষা সৃষ্টির ধারাবাহিক প্রয়াস ছিলো। আসলে ভাষা তখনই পূর্নতা পায় যখন নামকরনগুলো পূর্নাঙ্গরুপে প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা যখন একটি শিশুকে বিদেশী ভাষা শেখায় সর্বপ্রথম বিভিন্ন শব্দ শেখায় শব্দ মুখস্ত হলে ব্যকরন শেখায় এবং বাক্য গঠন শেখায়। আদিমকালে মানুষের সমাজে নানা প্রয়োজনে ভাষার ব্যবহার শুরু হয়। তখন তারা বিভিন্ন জিনিসের নাম দিতে থাকে যাতে সবাই একটি জিনিসকে একটি নির্দিষ্ট নামেই চেনে। শিকার করতে গিয়ে তাদের সহচরদের বুঝতে সহায়তা করতে শিকার করা প্রাণিটিকে একটি নাম ধরে ডাকা শুরু করে। এই নাম সৃষ্টিই পরবর্তীতে ভাষা সৃষ্টি করে। আসলে ভাষার তখনই পূর্নাঙ্গতা পায় যখন পর্যাপ্ত শব্দের ভান্ডার বিদ্যমান থাকে। যেমন একটি বাক্য আমি বলি “আমি বইটি পড়ছি। এখানে তিনটি শব্দ দিয়ে বাক্য গঠন করা হলো। এই তিনটি শব্দকে তিনটি নামকরন করা হয়েছে। যেমন আমি শব্দটি আমাকে বোঝাতে নামকরন করা হয়েছে। বই একটি বিষয় তাকে বই নামে নামকরন করা হয়েছে। পরবর্তীতে পড়া একটি কাজ তাকে পড়া নামে নামকরন করা হয়েছে। এরকম বিভিন্ন নামকরন করার মধ্যেই হোমো সেপিয়েন্সরা ভাষা সৃষ্টির চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হতে থাকে। প্রিয় পাঠক, কোন জিনিসটার নামকরণ কি হবে তা কিভাবে নির্ধারিত হয়? যেমন ধরুন, বৃক্ষের নাম কেন বৃক্ষ হলো? মাছের নাম কেন মাছ হলো? প্রজাপতির নাম কেন প্রজাপতিই হলো? প্রিয় পাঠক, আলাকোরআনে উল্লেখিত আদমের এই নাম তত্ব নিয়ে মহামান্য দার্শনিক প্লেটোর ‘ক্রাইটাইলাস’ গ্রন্থে বিষয়টির প্রমান্যতা আনয়ন করে। প্লেটোর ‘ক্রাইটাইলাস” বইয়ে জানা যায় দার্শনিক সোফিস্ট ক্রাইটাইলাস দাবী করেছিলেন জগতের সবকিছুর নামকরণের পেছনে রয়েছে একজন ‘নামকর্তা’র ভূমিকা। সেই নামকর্তা হতে পারে স্বয়ং ঈশ্বর কিংবা আদিমকালের কোন পৌরাণিক বীর৷ ক্রাইটাইলাস মনে করেন নামকর্তা নামকরণ করে প্রতিটা জিনিসের অন্তর্নিহিত প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে। এই সোফিস্ট ক্রাইটাইলাস একজন মানুষকে উল্লেখ করেছিলেন যিনি মানবজাতিকে নামকরন করা শিখিয়েছেণ। এবং সেই মানুষটি স্বয়ং ঈশ্বরের কাছ থেকে নামকরন করার পদ্ধতি শিখেছিলেন। কিন্তু বিশিষ্ট দার্শনিক সক্রেটিস নাকি এই বিষয়টি মানেন নাই। যদিও সক্রেটিস এর কথা ভেবে লাভ নেই। কারন সক্রেটিস একজন নাস্তিক ছিলেন। যেখানেই ঈশ্বর প্রসঙ্গ ছিলো সেইখানেই গিয়ে তিনি আড়ি তর্ক করতেন। সক্রেটিসকে তৎকালীন রাজা হেমলক বিষ পানে মৃত্যু আদেশ কার্যকর করেন। সক্রেটিসের এ ব্যাপারে মন্তব্য করেন “সেই নামকর্তা সবকিছুর নামকরন করলেন তবে সেই নামকর্তা সবকিছুর নামকরণ করলো যদি তার পূর্বে কোন ভাষার অস্তিত্বই না থাকে যার মাধ্যমে নামকর্তা কোন জিনিসের অন্তর্নিহিত প্রকৃতিকে ভাষার মাধ্যমে চিহ্নিত করতে পারেন?” সক্রেটিসের এই প্রশ্নে সবাই ইতস্তত বোধ করেন। ভাবলেন আসলেও তো তাই ভাষায় যদি না থাকে তবে নামকরন কি হবে? সক্রেটিসের এই কাউন্টোরের মুখে খারিজ হয়ে যায় ক্রাইটাইলাসের তত্ত্ব। নামকর্তার বিষয়টি আর এগুলো না এখানেই থেকে যায়। ক্রাইটাইলাস থেমে যান। কারন তিনি খুব অভিমানি দার্শনিক ছিলেন। কিন্তু সক্রেটিসের সেই কাউন্টার এই যুগে মূল্যয়ন পাই না। কারন নামকরনের পূর্বেও মানুষের ভাষা ছিলো । মানুষ ইশারা ইঙ্গিতের এক আশ্চর্যময় ভাষা সৃষ্টি করেছিলো। সেই ইশারার ভাষা দিয়ে মানুষ তাদের জীবন যাপোন করতো। যেমন উদাহরন দিয়ে বোঝায়। ধরেন বাঘ এসেছে। কেউ বাঘকে বাঘ হিসেবে নামকরন করেছে। এবং ইশারায় ভাষাতে অন্যদের বোঝালো এই প্রানির নাম বাঘ। কখন বাঘ এলে বাঘ বলে চিৎকার করলে সকলেই বুঝে নিতো বাঘ নামক প্রানিটিকে বোঝানো হচ্ছে। আবার ধরেন আকাশ থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। নামকরন করা হয়ে বৃষ্টি নাম দিয়ে। কখনও বৃষ্টি হলে যখন বৃষ্টি বলা হতো তখন সবাই বুঝে যেতো আকাশ থেকে পানি পড়ছে। এইভাবেই নামকরন বিপ্লব শুরু হলো এবং সৃষ্টি হতে থাকে বিভিন্ন শব্দ উৎপাদন। ধীরে ধীরে ব্যাকরণ গঠিত হতে থাকে। গঠন হয় পূনাঙ্গ ভাষা। মুসলিম খ্রীষ্টান বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ ভাষা উৎপাদনে সরাসরি ঈশ্বরের হস্তক্ষেপের কথা উল্রেখ করা আছে। আল কোরআনতো সরাসরি বলছে আদমকে নামসমূহ বা শব্দ গঠন করার নিয়ম শিখিয়েছিলো। আর মানবজাতিকে কথা বলিতে বা ব্যাকরণ গঠন বা ভাষা সৃষ্টি করতে শিখিয়েছিলো।
সুতরাং মানবজাতির জীবনে প্রাথমিক শিক্ষার সমস্ত বিষয় স্রষ্টার পক্ষে এসছিলো । বিশ্বের বহু প্রানি আছে অথচ তাদের জীবনে ভাষা আসে নি ভাষা এসেছে মানুষের জীবনে স্রষ্টিার প্রেরিত প্রতিনিধির মাধ্যমে। ইতিহাস আপনাদের অসংখ্য প্রমান দিবে। সুতরাং মানুষের কতৃত্ব দেখানোর আগে একবার শিক্ষাক্ষেত্রের ভাবা উচিত।
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৩৪
আলামিন১০৪ বলেছেন: বিরাট গল্প ফেদেছেন মশাই, বিবর্তনবাদের গপ্প,
মানুষের কথা বলার শক্তি আল্লাহ বেহেস্তে থাকতেই দিয়েছিলেন, দুনিযাতে বোবা করে পাঠন নি
আর দুনিয়াতে আদমকে পাঠানোর আগে দুনিয়ার উপযোগী করে পরিবর্তিত করে দিয়েছিলেন, যেমন লম্বায় খাটো করে দেওয়া ,
নীচ তলার দুটো ফুটোকে ত্যাগ করার জন্য উম্মোচিত করা (বেহেস্তে এসব করার দরকার ছিলনা), লোমশ শরীর সহ আরো অনেক কিছু, যে কারণে আপনাদের ধারণা হয়েছে যে মানুষ আর নিয়েন্ডারথালরা চাচাত-ফুফাত ভাই।
তারপর থিওরী কপচাচ্ছেন যে মানুষ নাকি প্রথম কথা বলতে পারত না, হোয়াট? আল্লাহকে দৃশ্যপটে মেনে নিতে না পেরে জীবের আর্বিভাব ও বৈচিত্র নিয়ে যে তত্ত্বের সূচনা কা আপনি সমর্থন করছেন? একটু পড়াশুনা করে দেখিয়েন যে ঐ তত্তব কত বড় শুভয্করের ফাকি! ফাকিবাজি অবশ্য ধনা পড়তে শুরু করেছে, সম্প্রতি ন্যাাচারে প্রকাশিত এক প্রকাশনায় দাবী করা হয়েছে যে, তথাকথিত ইভোলুশনের স্টেপগুলো কোন ধীর প্রক্রিয়ায় ঘটে না, ভোজবাজির মতো ঘটে। আর আমি বলি, আল্লাহর নির্দেশনায় জেনেটিক পরিবর্তন হয় আর তাঁর কোন ট্রায়ালের প্রয়োজন হয় না এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতি সৃষ্টির যেমন প্রয়োজন হযনি সাধারণ গরুকে শীতের উপযোগী করে লোম দিয়ে ঢেকে দিতে (Yak), কিংবা আদমের পাজর থেকে হাওয়া তৈরী করতে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার বেহেস্ত শব্দের অর্থ হলো উদ্যোন বা বাগান। আপনি এই বেহেস্ত কোথায় পাইলেন যে বেহেস্তকে আপনার কল্পনা করেন। এই উদ্যোন যে পাহাড়ি এলাকার কোন বাগান নয় সেটি কি আল্লাহ কাউকে বলেছে।
এবার আসুন বিবর্তন নিয়ে আল কোরআনের র্ক্ষুদ্রৃ একটি আয়াতে “ فِي ظُلُمَاتٍ ثَلَاثٍ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ لَهُ الْمُلْكُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ فَأَنَّى تُصْرَفُونَ তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে একই নফস থেকে। অতঃপর তা থেকে তার যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তোমাদের জন্যে আট প্রকার আনআম অবতীর্ণ করেছেন। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মাতৃগর্ভে পর্যায়ক্রমে একের পর এক ত্রিবিধ অন্ধকারে। তিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা, সাম্রাজ্য তাঁরই। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ ৩৯:৬” প্রিয় পাঠক এই আয়াতটি গভীর ভাবে লক্ষ্য করুন-আয়াতটির প্রথম অংশে বলা হচ্ছে তিনি সৃষ্টি করেছেন একটি নফস থেকে তারপর তা থেকে তিনি তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন।(ণফস শব্দের আভিধানিক অর্থ আত্মা বা প্রান)। একটি প্রাণ থেকে অথাৎ এককোষি জীব এ্যামিবা যা নিজেদেরকে দ্বিখন্ডিত করে বংশবিস্তার করে। আল কোরআনের প্রিক্যামব্রিয়ান যুগের সেই সময়কালের কথাই বলা হচ্ছে যখন পৃথিবী জুড়ে শুধু এককোষি প্রানির তান্ডব। চারিদিকে এক কোষি প্রাণির স্বর্গরাজ্য। যাদের বংশবিস্তরে সমুদ্র ভরপুর। কিন্তু প্রশ্ন হলো পৃথিবীতে বায়ো অনু বা এক কোষি প্রান কি করে সৃষ্টি হলো। প্রকৃতিতে অসংখ্য ভারী অনু রয়েছে, তবে তাদের মধ্যে প্রাণ নেই। বিজ্ঞান বলছে, কোন বায়ো অণুকে প্রাণ অণু সংগঠনের জন্যে তার নিজের প্রতিলিপি তৈরী করার ক্ষমতা থাকতে হবে। এই প্রতি লিপি তৈরী করার ক্ষমতাকে প্রকারান্তরে জন্মদান ক্ষমতা বলা যেতে পারে। কারন এককোষি প্রানি নিজে থেকে আলাদা হয়ে দুটিতে পরিনত হয়। সকল প্রাণি দেহে এরকম প্রতিলিপি তৈরীকরণ ক্ষমতা সম্পন্ন ভারী অনুগুলোই নতুন অনু জন্মদিতে পারে ও নিজে বিবর্র্ততি হতে পারে। আর এই সকল এককোষি প্রাণিগুলো আরএনএ দ্বারা গঠিত। প্রকৃত পক্ষে আর এন এ কিন্তু কোন প্রাণ কোষ নয়, এটি প্রাণকোষস্থিত একটি অনু। তা হলে আরও ধরে নিতে হবে যে, আর এন’র মধ্যেও বুদ্ধিদীপ্ত মস্তিস্ক রয়েছে যেটি চিন্তাভাবনা করে কোষ গঠনের বাকী অনুগুলোকে সংশ্লেষিত করে এক আদর্শ প্রাণকোষ গঠন করতে পারে। বিজ্ঞান কিন্তু এ কথা স্বীকার করেনা; এমন কি প্রকৃতিতে কোন চিন্তাশীল স্বত্তা আছে বলেও বিজ্ঞান স্বীকার করেনা। তাহলে যৌক্তিকভাবেই স্বীকার করতে হচ্ছে প্রকৃতিতে আপনা আপনি প্রতিলিপি করণ ক্ষমতা সম্পন্ন কোন বায়ো অনু সৃষ্টি হতে পারেনা। তার জন্যে প্রয়োজন নীল নকশা ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রয়োজনীয় নির্দেশ দান। নইলে আপনা আপনি এই বায়ো অনু বা এক কোষি জীব এ্যামিবা গঠন হতে পারে কি করে? দেখুন আল কোরআন কিন্তু সুন্দর একটি তথ্য দিচ্ছে মানবজাতিকে। প্রকৃতিতে পাওয়া সাধারণ অনু থেকে বায়ো অনুর ভিন্নতা হলো এই নফস। যা বায়ো অনু সৃষ্টির কারন। যে বায়ো অনু নিজের প্রতিলিপি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে নফস নামক কোন একটি উপাদানের কারনে। আপনি নিজেকে গভীরভাবে প্রশ্ন করুন প্রকৃতির সাধারন অনু কেনো প্রতিলিপি সৃষ্টি করতে সক্ষম নয় কারন বায়ো অনুতে এমন কোন কিছু আছে যাতে নির্দেশ দান করা আছে তার প্রতিলিপি সৃষ্টি করা বা তার জোড়া সৃষ্টি করা। প্রাণ সৃষ্টির এই কারন বা এককোষি প্রাণিদের এই বিভাজন কেনো ঘটে বিজ্ঞানী বোঝেনি। এমনকি বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানী ম্যাসিমো পিগলিউচি স্বীকার করেছেন, "প্রাকৃতিক উপায়ে কীভাবে পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব হয়েছিল তা আমাদের কাছে সত্যিই কোনো ধারণা নেই।" অতএব এই বায়ো আল কোরআনের হিসেব মতে সৃষ্টি করা। গভীর ভাবে লক্ষ্য করুন এই আয়াতে আল কোরআন স্পষ্ট ঘোষনা করেন তিনি একটি নফস থেকে তার জোড়া সৃষ্টি করেন।এই বিষয়টি প্রতিলিপি সৃষ্টি করার বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষাই বলা হচ্ছে।
এবার আসি পরবতীয় আয়াতে । পরবর্তী আয়াতটিতে বলছে-“এবং তিনি তোমাদের জন্যে আট প্রকার আনআম অবতীর্ণ করেছেন।” আনআম শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো প্রাণি বা কেউ অর্থ বলে চতুষ্পদ জন্তু কেউ তাফসীর করে গবাদী পশু। একেকজন একেকরকম তাফসীর করলেও আসলে বৈজ্ঞানিক ভাবে তাফসীর করলে বা বিবেচিত করলে আপনি পাবেন বডি স্টাকচার বা লাইফ ফর্ম। আবার লক্ষ্য করুন এখানে বলা হচ্ছে অবর্তীন করার কথা। অথাৎ যা উপর থেকে প্রেরন করা হয়েছে। আপনি কি মনে করেন গরু, ছাগল, মুরগী, হাতি বা এসকল প্রাণিকে আকাশ থেকে অবর্তীন করা হয়েছে? না আসলে আল কোরআনের এই আয়াতে আনআম বলতে বোঝানো হয়েছে বডি স্টাকচার বা লাইফফর্ম। অথাৎ পরবতী কর্মে আল্লা ৮ প্রকারের বডি স্ট্রাকচার তৈরী করেছেন। এটি এমন একটি বিষয় যা এককোষি প্রাণি থেকে বহুকোষি প্রাণি সৃষ্টির একটি মেকানিজম। এমন একটি মেকানিজম স্রষ্টার পক্ষ থেকে অবর্তীন করা হয়েছে। আমি পূবেই বলেছি প্রি ক্যামব্রিয়ান যুগে বিজ্ঞানীদের প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ফসিল রেকর্ড অনুসারে পাওয়া গেছে এককোষি প্রানি কিন্তু ক্যামব্রিয়ান যুগে পাওয়া গেছে বিভিন্ন লাইফ ফর্ম বহুকোষি প্রাণি। কিন্তু ভাই ক্যামব্রিয়ান যুগের বা ইতিহাসের একদম নির্দিষ্ট একটা বিন্দুতে হঠাৎ করে এক কোষি প্রাণি পাল্টে যেতে আরম্ভ করেছিলো কি করে? কি করে প্রাণ সৃষ্টির অবকাঠামো গঠিত হতে পারে বিবেকবান মানুষ অবশ্যই উপলদ্ধি করতে পারে। কারন বিবর্তন এভাবে কাজ করে না। বিবর্তন ক্রমশই কাজ করে। তবে পৃথিবীর এই লম্বা ইতিহাসের মধ্যে দুই বা আড়াই কোটি বছর তেমন বেশি কিছু না। এতো অল্প সময়ে প্রানের জটিল কাঠামো কি করে সৃষ্টি হতে পারে? কারন ক্যামব্রিয়ান যুগকে বিস্ফোরন হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাহলে হঠাৎ করে এত অল্প সময়ে এত বডি স্টাকচার সাম্রদ্রের গভীরে কোথা থেকে সৃষ্টি হলো। কি প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হলো। অথাৎ যা উপর থেকে প্রেরন করা হয়েছে। ইনফরমেশ প্রেরণ করা হয়েছে।(এ অর্থে ভিন্ন ভিন্ন রুহু বা ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশনা) আল কোরআন এখানে এককোষি প্রাণি থেকে বহুকোষি প্রাণি সৃষ্টির একটি মেকানিজমটিকেই বোঝোচ্ছে।ইনফরমেশন নামক একটি মেকানিজম স্রষ্টার পক্ষ থেকে অবর্তীন করা হয়েছে। ক্যামব্রিয়ান যুগের বা ইতিহাসের একদম নির্দিষ্ট একটা বিন্দুতে হঠাৎ করে এক কোষি প্রাণি পাল্টে যেতে আরম্ভ করেছিলো কি করে? এই রহস্যময় পরিবর্তন দেখে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ফিলিপ জনসন বললেন,“প্রাণির পর্বসমূহ ধারাবাহিকভাবে বিকশিত না হয়ে একবারে, একইসাথে আভির্ভূত হয়েছে যার অনেকগুলোই পরে বিলুপ্তির শিকার হয়েছে। আর এ ধরণের ভিন্ন ভিন্ন জীবনরূপ আকস্মিক ও নিঁখুতভাবে দেখা দেওয়া থেকে এটাই বোঝা যায় যে এগুলোকে সৃষ্টি করা হয়েছে।” সুতরাং আমরা এখানে ভাবতে বাধ্য হয় এমন কিছু একটা ঘটেছিলো যা তৎকালীন সময়ে পানির সমুদ্রে যেখানে অসংখ্য লাইফফর্ম গঠিত হয়েছিলো। এটিকে আপনি সৃষ্টি করা না বলে যদি আপনি বিবর্তন বলেন সেটি সম্ভব নয়। সুতরাং আপনি যদি মনে করেন বিবর্তন এক কোষি প্রাণি থেকে বহুকোষি প্রাণি গঠন করেছে বা বডি স্টাচার বা লাইফফর্ম তৈরী করেছে তাহলে সত্যিই সেটা মরিচীকার পিছনে ছুটে চলা হয়ে যাবে।
সুতরাং ভাই আপনার যদি আল কোরআনকে যদি বুঝতে না পারেন তাহলে ভূল করবেন। আমার কথা আপনাকে মানতেই হবে আমি এটা বলছি। আমার মন থেকে গত ২০ বছর ধর্ম গবেষনা আমাকে এগুলো বলতে বাধ্য করেছে। আমার ভূল হলে আমাকে ক্ষমা করবেন। তবে আমার অনুরোধ ১৪০০ বছর পূর্বের অল্প জ্ঞানী মানুষের জন্য নাযিল করা কোরআনের অর্থ সরাসরি নেবেন না। আসলে আল কোরআনকে বোঝার চেষ্টা করেন। আমি বিবর্তনের পক্ষে নই। প্রতিটি ধাপে ধাপে আল্লা সৃষ্টি করেছে প্রতিটি ধাপে মিউটেশন ঘটানোর জন্য পরিবেশ আবহাওয়াকে সেই উপযোগী করেছিলো। প্রতিটি পর্যায় ছিলৈা জেনিটিক পরিবর্ধন।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৩৮
আলামিন১০৪ বলেছেন: বিরাট গল্প ফেদেছেন মশাই, বিবর্তনবাদের গপ্প, মানুষের কথা বলার শক্তি আল্লাহ বেহেস্তে থাকতেই দিয়েছিলেন, দুনিযাতে বোবা করে পাঠান নি । আর দুনিয়াতে আদমকে পাঠানোর আগে দুনিয়ার উপযোগী করে পরিবর্তিত করে দিয়েছিলেন, যেমন লম্বায় খাটো করে দেওয়া, নীচ তলার দুটো ফুটোকে ত্যাগ করার জন্য উম্মোচিত করা (বেহেস্তে এসব করার দরকার ছিলনা), লোমশ শরীর সহ আরো অনেক কিছু, যে কারণে আপনাদের ধারণা হয়েছে যে মানুষ আর নিয়েন্ডারথালরা চাচাত-ফুফাত ভাই।
তারপর থিওরী কপচাচ্ছেন যে মানুষ নাকি প্রথম কথা বলতে পারত না, হোয়াট? আল্লাহকে দৃশ্যপটে মেনে নিতে না পেরে জীবের আর্বিভাব ও বৈচিত্র নিয়ে যে তত্ত্বের সূচনা তা আপনি সমর্থন করছেন?
একটু পড়াশুনা করে দেখিয়েন যে ঐ তত্ত্ব কত বড় শুভঙ্করের ফাকি! ফাকিবাজি অবশ্য অধুনা ধরা পড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি ন্যাাচারে প্রকাশিত এক প্রকাশনায় দাবী করা হয়েছে যে, তথাকথিত ইভোলুশনের স্টেপগুলো কোন ধীর প্রক্রিয়ায় ঘটে না, ভোজবাজির মতো ঘটে।
আর আমি বলি, আল্লাহর নির্দেশনায় জেনেটিক পরিবর্তন হয় আর তাঁর কোন ট্রায়ালের প্রয়োজন হয় না এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতি সৃষ্টিতে, যেমন প্রয়োজন হযনি সাধারণ গরুকে শীতের উপযোগী করে লোম দিয়ে ঢেকে দিতে (Yak), কিংবা আদমের পাজর থেকে হাওয়াকে সৃষ্টি করতে।
আগের মন্তব্য মুছে দিয়েন, বানান. টাইপিং মিসটেকের কারণে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আলামিন ভাই আমার লেখাগুলো বোঝেন। বোঝার চেষ্টা করেন। আমি কিন্তু ফেরেস্তা নই। আমি মানুষ। আমার ভূল থাকতেই পারে। আমি বলছি না আমি ১০০% সঠিক। তবে আমাকে বোঝার চেষ্টা করুন। আল কোরআনের অর্থকে একটু গভীরে বোঝার চেষ্টা করুন।
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:২৪
আলামিন১০৪ বলেছেন: আহ, আপনি মা কে মামা বাড়ির গপ্প শোনাচ্ছেন, আপনর পড়াশুনা কোন বিষয়ে? আপনার্ এসব ছাইপাস গবেষণা মাটিতে পুতে ফেলেন, গন্ধ ছড়াচ্ছে। কোরআনের অর্থকে নিজের মতো করে বিকৃত করে রিজের মতো করে ব্যাখ্যা দাঁড় করাচ্ছেন।
একটা কথা মনে রাখবেন, বিজ্ঞানের নীতিগুলো হলো আল্লাহর আদেশ। আল্লাহই বিজ্ঞান নামক প্রকৃতির নিয়ম বা ধর্মকে রূপ দিয়েছেন। তার আদেশেই, আগুন থেকে তাপ আসে আবার তিনিই সেই আগুনকে ইব্রাহীম (আঃ) এর জন্য ঠান্ডা করে দেন।
এবার আসেন দেখি, বিবর্তনবাদ মিথ্যা কেন? আপনি যেটা বললেন সেটা একটা পযেন্ট যে কিভাবে এক কােষী জীব প্রথম সৃষ্টি হলো তার কোন ব্যাখ্যা নেই পরীক্ষাগারে হাজার চেষ্টা করেও অনুরূপ কিছু তৈরী করতে পারে নি।
বিবর্তনবাদে চেতনার কোন ব্যাখ্যা নেই, বিজ্ঞান এখানে পুরোপরি ব্যর্থ।
তারপর আসেন মরফোজেনেসিসে। মায়ের পেটে মরফোজেনেসিস কিভাবে ঘটে, কিভাবে বা কি কৌশলে এক কোষ থেকে বিভিন্ন প্রকার টিস্যু তৈরী হয়ে, সুবিন্যস্ত বিভাজন ঘটে এবং বিভিন্ন অঙ্গের সৃুষ্টি হয় তা জানতে পারলে মানুষ গবেষণাগারে কিডনি, হৃদপিন্ড, হাত, পা তৈরী করতে পারত কিংবা মানুষের একটা হাত কাটা পড়লে সেখানে আরেকটা হাত গজানোর ব্যবস্থা করতে পারত। বর্তমানে, স্টেম সেল(ভ্রণ থেকে পাওয়া যায়) কালচার করে মানুষের অঙ্গ তৈরীর চেষ্টা চলছে যা অনেকটা ট্রায়াল এন্ড এরর পদ্ধতিতে অন্ধের মতো করে. কেননা আমরা গোঁড়ার কিছুই জানি না। জানব কিভাবে? আল্লাহকে ছাড়াই তো সব কিছু ব্যাখ্যার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
ডারউইন যখন প্রথম তার তত্ত্ব দেন, তার মোদ্দা কথা ছিল, এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণী ধীরে ধীরে একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে সৃষ্ট। এখানে স্রষ্টার কোন ভূমিকা নেই। তার এই ধারণার উৎপত্তি মূলত বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় একই রকম দেখতে প্রাণী নিয়ে চিন্তা ভাবনা (Click This Link)। বিগল জাহাজে করে তার সেই বিখ্যাত
সমূদ্র ভ্রমণে তিনি নানা স্থান থেকে ফসিলসহ বিভিন্ন স্পেসিমেন সংগ্রহ করেন এবং পরবর্তীতে তিনি তার এই গাজাখুরী তত্ত্ব পাবলিশ করেন। তার তত্তের মূল বিষয় হলো, মা বাবা থেকে তার সন্তান সন্ততিতে ছোট খাট পার্থক্য তৈরী হয় এবং প্রকৃতিতে যে সন্তান সর্বাধিক খাপ খাওয়াতে পারে সে টিকে যায় বাকিগুলো টিকতে না পেরে ধ্বংশ হয়। ফলে টিকে থাকার জন্য নতুন অনুকুল বৈশিষ্টসম্পন্ন জীবের আবিভাব ঘটে এবং তার পরবর্তী জেনারেশনে স্থানান্তরিত হতে থাকে। এভাবে অনেক জেনারেশনের ছোট ছোট সম্মিলিত পরিবর্তন মিলে এক সময সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতি সৃস্টি করে। আর প্রজাতি হলো, পরস্পর যৌন বা অযৌন (কিছু নিম্ম শ্রেণীর চীবের ক্ষেত্রে) পদ্ধতিতে যারা ফারটাইল সন্তান উৎপাদন করতে পারে। এ সংজ্ঞানুযায়ী খচ্চর, কোন প্রজাতি না।
ডারউইনের ঐ তত্ত্ব যখন দেওয়া হয় তখন জেনেটিক্স সম্পর্কে মানুষ কিছু জানত না। আর ফসিল রেকর্ডও ছিল অসম্পূর্ণ। অসম্পূর্ণ ফসিল রেকর্ড দেখে তিনি বিভিন্ন ট্রানজিশন প্রজাতির ফসিল নিয়ে ভবিষ্যতবাণী করেন যার কয়েকটি পরে আবিষ্কৃত হয়। আর কার্বণ ডেটিংও তো তখন ছিল না। জেনেটিক্স এর অগ্রগতির পর মানুষ জানতে পারে কি করে এক জেনারেশন থেকে অন্য জেনারেশনে বংশের নানা বৈশিষ্ট স্থানান্তরিত হয় আবং আরো জানতে পারে, বিভিন্ন বংশগত রোগের জন্য দায়ী জিন সম্পর্কে। আর এান্টবায়োটিক আবিষ্কারের পর জীবাণুর মিউটেশনের ঘটনা তো আছেই। এসব দেখে মানুষের মনে বিবর্তনবান অমোঘ সত্য বলে মনে হওয়া শুরু হয় যেমনটা আপনার হয়েছে।
বিজ্ঞানের একটা তত্ত্ব কিভাবে প্রতিষ্ঠা পায় জানা আছে আপনার? তত্ত্ব দেওয়া হয় প্রকৃতির কোন এক ঘটনাকে ব্যাখ্যা করার জন্য। উদাহরণ স্বরূপ, নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র/তত্ত্ব প্রথম যখন দেওয়া হয় তখন এটা দিয়ে গ্রহ-উপগ্রহের গতি প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা দেওয়া যেত কিন্তু পরে দেখা যায় যে, এ তত্ত্ব দিয়ে বুধ গ্রহের অস্বাভাবিক স্পন্দনকে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না। এর অনেক বছর পর আইনষ্টাইনের বিপ্লবী তত্ত্ব জেনারেল রিলেভিটি তত্ত্ব দৃশ্যপটে আসলে বুঝা যায় যে নিউটনের তত্ত্ব ভুল ছিল। এখন যেমন, আইনস্টাইনের থিওরী দিয়ে ক্ষুদ্র কণার আচরণ ব্যাখ্যা করা যায় না। তার জন্য রহস্যময় কোয়ন্টাম ম্যাকানিক্সের ফরমূলা প্রয়োজন আর তা সম্পূর্ণ প্রোবাবিলিস্টক। আবার এই ফরমূলা দিয়ে প্রকৃতির অন্যান্য অমোঘ নিয়মকে ব্যাখ্যা করা যায় নি। তাই এখন পদার্থবিদরা সার্বজনিন একটা তত্ত্ব খুঁজে ফিরছেন। ইতিমধ্যে সিট্রং থীওরী হালে পানি পেলেও, এর অবিশ্বাস্য সব ফলাফল যেমন এক্সট্রা ডাইমেনশন-মাল্টিভার্স প্রভৃতি রূপকথা সদৃশ সব সাইড এফেক্টের কারণে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কানে কানে একটা কথা বলি, এটা কিন্তু আমার কাছে গ্রহণযোগ্য কারণ এক্সটা ডাইমেনশনের বিষয় সুরাহ কাহাফের জুলকারনাইনের ঘটনায় ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
এখন ফিরে আসি আপনার বিবর্তনবাদের বিষয়ে। বিবর্তনবাদে স্রষ্টার ভূমিকা ব্যতীত রেনডম মিউটেশনের যে পদ্ধতির কথা বলা হয়, তা অত্যন্ত ধীর এবং এর ৯৯.৯৯৯৯৯৯৯% বা আরো বেশি ক্ষেত্রেই প্রতিকুল বৈশিষ্টের সৃষ্টি করে। কাজেই আপনি সময় গণনা করলে এই মহাবিশ্ব সৃুস্টকাল সূচনা ধরলে বর্তমান সময় পর্যস্ত এই পুরো মহাকাল সম্পূর্ণ বিবেচনা করলেও আপনি শুধুমাত্র এটা নতুন প্রজাতিও সৃষি্ট করতে পারবেন না (এত বেশি জেনেটিক পরিবর্তন দরকার যে তা এই পুরো সময় বিবেচনা করলেও সম্ভব না)। মডেল তেরী করে তা দেখানা যায়। । অথচ শুধু জিওলজিক্যাল ক্যামব্রিয়ান যুগে ভোজবাজির মতো অল্প সময়ে অসংখ্যা জটিল বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নতুন জীবের অবির্ভাব ঘটে। এই কথাটাই আপনাকে মন্তব্যে বলেছিলাম যে সম্প্রতি ন্যাচার গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে দাবী করা হয়েছে যে বিবর্তনের ঘটনা ধীর না। দ্রুত, হঠাৎ এবং অনেকটা ভোজবাজির মতো ।
তাই এত সব চেতনাসম্পন্ন জীব স্রষটা ব্যতীত সৃষ্টি হয় নি। তবে সব প্রাণিী যে এক সাথে সৃষ্ট হয় নি তার প্রমাণ ফসিল রেকর্ড। সুতরাং ধারণা করা যায় আল্লাহ তাআলা সময় সময়ে নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী নতুন নতুন প্রাণী সৃস্টি করেছেন এবং তা আমার মনে হয় বিদ্যমান স্পেসিম্যান থেকেই তৈরী তবে মানুষ এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। কেন ব্যাতিক্রম তা নিয়ে অন্য সময় বলব।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: াাল আমিন ভাই আমার লেখা গুলো না পড়ে অযথা লিখছেন কেনো? াামার মনে হয় আপনি আমার লেখাগুলো বুঝতে পারেন নি। আমি বহু বছর পূর্বে আপনার এই লেখা গুলো লিখেছি। অনেক লিখেছি। আমি লিখেছি প্রাণি জগৎ স্রষ্টার সৃষ্টি এইটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি করা। আপনি বেহেস্ত বলছেন আরবী ভাষায় বেহেস্ত অর্থ বাগান। আপনি আমার লেখা গুলো পড়েন। আমি আসলে কিবোঝাতে চেয়েছি বোজার চেষ্টা করেন। তারপর কমেন্ট করেন আমি এ্যানসার দিবো।
https://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30354203
বিবর্তনবাদের মুখোশে অপশক্তির ছায়া। (পর্ব-১)
https://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30355626
বিবর্তনবাদের মুখোশে অপশক্তির ছায়া। (পর্ব-২)
৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বিবর্তনবাদের মুখোশে অপশক্তির ছায়া। (পর্ব-১)
বিবর্তনবাদের মুখোশে অপশক্তির ছায়া। (পর্ব-২)
াাল আমিন ভাই আমার লেখা গুলো না পড়ে অযথা লিখছেন কেনো? াামার মনে হয় আপনি আমার লেখাগুলো বুঝতে পারেন নি। আমি বহু বছর পূর্বে আপনার এই লেখা গুলো লিখেছি। অনেক লিখেছি। আমি লিখেছি প্রাণি জগৎ স্রষ্টার সৃষ্টি এইটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি করা। আপনি বেহেস্ত বলছেন আরবী ভাষায় বেহেস্ত অর্থ বাগান। আপনি আমার লেখা গুলো পড়েন। আমি আসলে কিবোঝাতে চেয়েছি বোজার চেষ্টা করেন। তারপর কমেন্ট করেন আমি এ্যানসার দিবো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:০২
কামাল১৮ বলেছেন: কোরান আর বিজ্ঞান এক নয়।কোরান হলো শুন আর মানো।বিজ্ঞান হলো প্রমান সহ মানো।