নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
আমেরিকার পিউ রিসার্চ সেন্টার কর্তৃক ২০০৫ সালে পরিচালিত এক জনমত জরিপে দেখা যায় ৬৪ শতাংশ মার্কিনি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বিবর্তনবাদের পাশাপাশি সৃষ্টিবাদ পড়ানোর পক্ষপাতী। পরবর্তী বছর একই গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত আরেক জনমত জরিপে দেখা যায়,৬৩ শতাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করেন যে,এক মহাশক্তির নির্দেশনায় মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণিকূল তাদের বর্তমান আকারে অবস্থান করছে অথবা সময়ের সাথে সাথে তাদের আকার বিবর্তিত হচ্ছে। মাত্র ২৬ শতাংশ মার্কিনি উত্তরে বলেন যে,পুরোপুরি প্রাকৃতিক নিয়মের মাধ্যমে জীবজগতের বিবর্তন হয়ে আসছে। এই ২৬ শতাংশ মার্কিনী বিবর্তন তত্ত্বকে পুরোপুরি সমর্থন করে। সাধারন নাগরিকদের ক্ষেত্রে বিবর্তনবাদের পক্ষে সমর্থন কম থাকার কারন বিবর্তনবাদ ক্রমশেই বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। এই বিশ্বাসযোগ্যতা হারানোর কারন কি?
কারন কিছু ভ্রান্তিবোধ যা বিবর্তনবাদতত্ত্বকে প্রশ্নবোধক করে তুলেছে। বিবর্তনবাদ তত্ত্ব অনুযায়ী পৃথিবীর সকল প্রানী এবং উদ্ভিদ একটা এক-কোষীয় মাইক্রোঅর্গানিজম থেকে এসেছে। সবচেয়ে প্রাচীন মাইক্রোঅর্গানিজম এর ফসিল যেটি পাওয়া গিয়েছে সেটি প্রায় সাড়ে তিন বিলিয়ন বছরের পুরানো । এই মাইক্রোঅর্গানিজম থেকে বিভিন্ন প্রাণী এবং উদ্ভিদ এর উৎপত্তি হয়েছে বলে বিবর্তনতত্ত্ব বিশ্বাস করে। তাদের ধারনা মিউটেশনের মাধ্যমে প্রজাতি একটি পর্যায় থেকে আরেকটি পর্যায়ে উপনীত হয় ফলে বিবর্তন সংঘটিত হয়। কিন্তু বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট থেকে জানা যায় বেশিরভাগ মিউটেশন ক্ষতিকর,কিছু মিউটেশন কোনো প্রভাব ফেলেনা এবং নগণ্য সংখ্যক মিউটেশন উপকারী।এই নগণ্য উপকারী মিউটেশন দিয়ে বিবর্তনবাদীরা বিবর্তনবাদকে প্রমাণিত হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে থাকে। জীবের বিভিন্ন ফাংশন ও ফাংশনাল অর্গান তৈরি হতে প্রয়োজন মাল্টিপল মিউটেশন এবং এই মাল্টিপল মিউটেশন একই জিনোম অঞ্চলে বার বার উপকারী মিউটেশন হিসেবে ঘটতে হবে। কিন্তু মিউটেশন হচ্ছে এলোমেলো পরিবর্তন যা যেকোনো স্থানে ঘটতে পারে। তাই এখানে প্রশ্ন থাকে এই নগণ্য উপকারী মিউটেশন কিভাবে একটি ফাংশন বা ফাংশনাল অর্গান সৃষ্টি করবে যখন তা এলোমেলো পরিবর্তন? যদি কোনো একটা ফাংশনের কিছু অংশ বিবর্তিত হয়েও যায় তা কিভাবে কাজ করবে পরবর্তী মিলিয়ন মিলিয়ন বছর সময়টাতে? আমরা জানি, যে সকল মিউটেশন প্রোটিন সিকোয়েন্সে পরিবর্তন আনে তার বেশিরভাগ মিউটেশন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।কিছু রেয়ার মিউটেশন আছে যা আপেক্ষিকভাবে উপকারী হয়ে থাকে। উপকারী মিউটেশনগুলোকে আপেক্ষিক উপকারী বলার কারণ হল, খোলা চোখে জীবের জন্য উপকারী মনে হলেও সেগুলো প্রকৃত অর্থে উপকারী নয়। যেমন; নরমাল হিমোগ্লোবিন ও সিকল সেল হিমোগ্লোবিনের মধ্যে একটা অ্যামিনো এসিডের পার্থক্য। অর্থ্যাৎ একটা অ্যামিনো এসিডের পরিবর্তন সিকল সেল ডিজিজ তৈরি করতে পারে এবং হিমোগ্লোবিনের অক্সিজেন ক্যারি করার ক্ষমতা বিনষ্ট করে দিতে পারে। কিন্তু এটা যে সবসময় ক্ষতির-কারণ হয় তা নয় কারণ সিকল সেল জিন অনেক সময় ম্যালেরিয়ার বিপক্ষে প্রতিরোধ-ক্ষমতা তৈরি করে। অতএব, একদিকে উপকারী হলেও প্রকৃতার্থে উপকারী নয়।
প্রশ্ন দেখা যায় মিউটেশনের কারনে নতুন ইনফরমেশন কি যুক্ত হওয়া সম্ভব? এ ব্যাপারে বিবর্তনবাদীরা বলে ন্যাচারাল সিলেকশন নাকি যোগ্যতম বৈশিষ্ট্যগুলোকে টিকিয়ে রাখে এবং ক্ষতিকর বৈশিষ্ট্যগুলোকে “weed out” করে দেয়। আর এইভাবে নাকি নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে নতুন নতুন জীব বিবর্তিত হয়‼ অথচ আজ অবধি সিকল সেল জিনের উপকারী বৈশিষ্ট্যকে রেখে ক্ষতিকর বৈশিষ্ট্যকে বিতাড়িত করতে পারে নেই বিবর্তনবাদীরা। ডিলেটেরিয়াস মিউটেশন জীবের জন্য ক্ষতিকর এবং ন্যাচারাল সিলেকশন তাদের বেশিরভাগ মিউটেশনকে "weed out" করতে পারে নাই। এই বিষয়ে আরেকটি স্টাডি করা হয়েছিল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের জিনোমের উপর। ১৯১৮ সালের ভাইরাস জিনোম স্টাডি করে দেখা যায় যে,তখনকার ভাইরাসগুলো অনেক বেশি প্রাণঘাতী ছিল বর্তমান ভাইরাস থেকে। তখন প্রশ্ন দেখা দিল কেন তারা বেশি প্রাণঘাতী ছিল? এবং জানা গেল, তখন থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে কনটিনিউয়াসিলি মিউটেশন রেট বৃদ্ধি পেয়েছে, যাদের বেশিরভাগ ছিল ডিলেটেরিয়াস মিউটেশন। তখন তাদের স্ট্রোং ন্যাচারাল সিলেকশন থাকা সত্ত্বেও ন্যাচারাল সিলেকশন ডিলেটেরিয়াস মিউটেশনগুলোকে "weed out" করতে পারেইনি বরং জেনেটিক এন্ট্রপি বৃদ্ধি করেছিলো।এনট্রপি হলো কোনো প্রানির সিস্টেমেটিক বিশৃঙ্খলা। জেনেটিক এন্ট্রপি মূলত জীবের ফাংশনালিটি বিনষ্ট করে অর্থাৎ জীবের কমপ্লেক্স ফর্ম বা অ্যাডাপ্টিভ ফর্ম বিনষ্ট করে । জেনেটিক মিউটেশনের কারনে জেনেটিক এন্ট্রপি বৃদ্ধি পায় এবং এতে জীবের অভ্যন্তরীণ বায়োলজিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমকে ক্রমান্বয়ে বিনষ্ট করে দেয় যে ইনফরমেশনের কারনে জীবসমূহকে টিকে থাকে। আরেকটা সাধারণ উদাহরণ দিলে বিষয়টা সবার কাছে সহজে বোধগম্য হবে। মনে করুণ, আপনার দেহে ১০টি জিন আছে এবং ৪০টি সেল আছে। তাহলে প্রতি জিন ৪টি সেলে কাজ করবে। এখন যেকোনো একটি জিনে মিউটেশন ঘটলো এবং একটি সেলের কাজ বা ফাংশনের জন্য উপকারী হলো কিন্তু বাকী ৩টির কম্পোজিশনকে বিনষ্ট করে। আর এভাবেই এন্ট্রপি বৃদ্ধি পায় এবং জীব বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এনট্রপি বৃদ্ধি পাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, ন্যাচারাল সিলেকশন স্লো কাজ করে সে তুলনায় মিউটেশন খুব দ্রুত ঘটে।
প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট প্রজাতির জীবকোষে সেই প্রজাতিটির জন্য নির্ধারিত নির্দিষ্ট সংখ্যক জীন বহিত বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান থাকে। গতানুগতিক স্বাভাবিক জন্ম প্রক্রিয়ার অধীনে নির্ধারিত স্বাভাবিক জীন বাহিত বৈশিষ্ট্যগুলোর আদান প্রদান ঘটে। ফলে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির প্রাণীদের মাঝে জেনেটিক নিয়ন্ত্রনের আওতায় একটি নির্দিষ্ট সীমানার অভ্যন্তরেই বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও পরিবেশগত বৈষম্যের কারণে আকৃতি ও প্রকৃতিগত কতিপয় বায়োলজিকাল পরিবর্তন অর্থাৎ সীমানির্দেশিত বিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এ কারনেই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের গায়ের চামড়ার রং-এ ও চেহারায় পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই আমার ও আপনার রং কালা আর প্রিন্সেস ডায়না সাদা। কিন্তু তাই বলে একটি নির্দিষ্ট জীব প্রজাতি থেকে কখনই স্রষ্টা প্রদত্ত নির্দিষ্ট জীন বাহিত বৈশিষ্ট্যের সীমানা অতিক্রম করে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নুতন জীব প্রজাতির জন্ম হয় না। বিভিন্ন কারণে জীবকোষের মধ্যে কখনো মিউটেশন ঘটলে ত্রুটিপূর্ণ ক্রোমসোম বা জীনের উদ্ভব ঘটতে পারে। আর এই ত্রুটিপূর্ণ জীনের কারণে প্রজননের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির অন্তর্গত কিছুটা ভিন্ন আকৃতি ও প্রকৃতির নুতন এক প্রকার জীবের জন্ম হতে পারে। আবার নিকট সাদৃশ্যের বৈশিষ্ট্যধারী দুটি ভিন্ন প্রজাতির জীবের মধ্যে কদাচিত প্রজনন ঘটলে কিছুটা ভিন্ন আকৃতি ও প্রকৃতির সংকর প্রজাতির জীবের জন্ম হয় বটে। কিন্তু দেখা গেছে যে, সংকর প্রজাতির প্রণীদের প্রজনন ক্ষমতা লোপ পাওয়ায় বা অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি হওয়ায় স্বাভাবিক বংশবিস্তারের পথরুদ্ধ হয়। ফলে অচিরেই তারা বিলুপ্তি হয়। বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে মিউটেশনের মাধ্যমে এককোষি এ্যামিবা থেকে বিবর্ততিত হয়ে মানুষ পর্যন্ত আসতে যে সময়ের প্রয়োজন সেই সময়ের সাথে পৃথিবীর বয়সের হিসেব মিলে না। বিবর্তনবাদীরা মনে করে এক প্রজাতি থেকে আরেক প্রজাতি পরিবর্ধনে মিউটেশন হলো মুল কারন। সর্বোচ্চ সম্ভাব্য মিউটেশন ও মহাবিশ্বের বয়স সীমা থেকে আদৌ র্যান্ডম মিউটেশন ও ন্যাচারাল সিলেকশনের মাধ্যমে এই বিশাল পরিমাণ ডিএনএ বেইজ পেয়ারস, সিকোয়েন্স ও কোডিং সিকোয়েন্স আসা কি আদৌ সম্ভব? এককোষী প্রাণি থেকে মানুষ বিবর্তিত হতে প্রয়োজন ১০^১০০,০০০ এর উপরে বেনিফিশাল মিউটশন। কিন্তু আমরা মিউটেশন পাচ্ছি ১০^১১০ এর কম। যেখানে আমরা হিসেব করেছি মহাবিশ্বের মোট বয়স দিয়ে কিন্তু বিবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হয় তার অনেক পর। শুধু তাই নয় এখানে হিসেব করেছি শুধু মাত্র কোডিং রিজন নিয়ে যা মানুষের মোট জিনোমের মাত্র ২% এখানে বাকি ৯৮% যাকে প্রথমত জাষ্ক ডিএনএ ধরা হয়েছিল কিন্তু ২০১২ সালে সেটাও ভুল প্রমানিত হয়। বর্তমানে আমরা জানি, এই নন-কোডিং রিজনেরও গুরুত্বপূর্ণ ফাংশন ও কাজ রয়েছে। অতএব বলা যায় মিউটেশনের মাধ্যমে বিবর্তনের যে গল্প আমরা শুনি তা শুধু মাত্র অনুমাণ নির্ভর বাস্তবে ইহা অসম্ভব। ২০১০ সালে ক্রেইগ ভেন্টার ও তার দল প্রথম কম্পিউটারে ১০,০০,০০০ লেটারস এর একটি ডিএনএ ডিজাইন করে। পরে সেটি কম্পিউটার সিস্টেম দ্বারা টার্গেট সেলে প্রসেসটি চালনা করেন, এবং সেলটি ডিজাইন করা ডিএনএটি পড়তে থাকে। অর্থাৎ আমাদের ডিএনএ হল হার্ডওয়্যার আর জেনেটিক কোড হল সফটওয়্যার। একটি ইন্টার্ভিউতে ভেন্টার বলেন, “Life is basically the result of an information process, a software process. Our genetic code is our software, and our cells are dynamically, constantly reading that genetic code." অর্থাৎ লাইফ মূলত একটি সফটওয়্যার প্রসেস ও ইনফরমেশন প্রসেসের ফলে উদ্ভূত। আমাদের জেনেটিক কোড আমাদের সফটওয়্যার, এবং আমাদের সেল সেই জেনেটিক কোড সক্রিয়ভাবে ক্রমাগত পড়তে থাকে। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারছি বিবর্তন একটি এলোমেলো প্রক্রিয়া কোন এলোমেলো প্রক্রিয়া বির্বতনের মাধ্যমে মানুষের মতো জটিল কম্পোজিশনের একটি প্রানির এই ধরায় বিচরনের এই ক্ষেত্র তৈরী করতে পারবে কিনা সেটাই প্রশ্ন? তাই এটা ধরেই নিতে হয় একটি নির্দীষ্ট ধারাবাহিকতায় বিবর্তনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে।যেমন ধরুন’ কোনো বন্য পোকার গায়ের রঙ নির্ধারণকারী জিন যদি এমনভাবে পরিবর্তন হয়ে যায় যে এর গায়ের রঙ বনের লতাপাতা বা গাছপালার রঙ এর চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে যায় যেটা সহজেই এর খাদক শিকারী প্রাণীর চোখে পড়ে,তাহলে শিকারীর পাল্লায় পড়ে সে পোকাটি আস্তে আস্তে বিলুপ্তির পথে চলে যাবে। অন্যদিকে জিনটি যদি এমনভাবে পরিবর্তন হতো যে পোকাটির গায়ের রঙ বনের অন্যান্য গাছপালা লতাপাতার রঙের সাথে মিশে যেতো যাতে পোকাটিকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়তো, তাহলে পোকাটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যেতো। আর এভাবেই নতুন জিনটি বংশ-পরম্পরায় প্রাবাহিত হয়ে যাবে। ডিএনএ এর মাঝে জিন এর র্যান্ডম পরিবর্তন থেকে বেঁচে থাকার জন্যে,পরিবেশের সাথে যুদ্ধ করার জন্যে উপকারী জিনটিকে নির্বাচন করার প্রক্রিয়াটিকে বলে প্রাকৃতিক নির্বাচন। এটাকে কি প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে নাকি প্রকৃতির অভ্যন্তরে থাকা একটি ইন্টেলিজেন্স স্বত্তা দ্বারা চালিত একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বলাটাই কি শ্রেয় নয়? কারন এক্ষেত্রে পরিবেশের ভূমীকাও অপরিহার্য। অথাৎ কোন জিনটি জীব দেহে বংশানুক্রমিকভাবে প্রবাহিত হবে সেটি খুব জেনে,শুনে,বেছে ঠিক করা হয়েছে। আর এভাবেই জীবের বিবর্তন ঘটেছে এ যেনো পরিকল্পনাময় আরো অধিকতর শক্তির শরীর তৈরির দিকে এবং শরীর পরিচালনার জন্য শরীরের অভ্যন্তরে অপারেটিং সিস্টেমটিরও পরিবর্তন করা হয়েছে। একজন ইন্টেলিজেন্ট কনসাসনেসই কেবলমাত্র ডিজাইন চেঞ্জিং এর জন্য প্রোগ্রামিং পরিবর্তন করতে পারেন।তাছাড়া জীবের জেনেটিক বিশৃঙ্খলা বা এন্ট্রপি রোধে ইরর কারেকশন বা ভুল সংশোধন করে মিউটেশনকে সঠিক লক্ষ্যে পৌছতে গেলে একজন ইন্টেলিজেন্ট কনসাসনেসের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।একমাত্র তিনিই প্রোগামিং পরিবর্তন করে কিংবা ইনফরমেশন সংযোজন করে পোকার শরীরের রং নির্ধারণ করতে পারে।
প্রিয় পাঠক এবার আসুন আল কোরআনের কিছু আয়াত নিয়ে আমরা আলোচনা করি। সূরা আম্বিয়ার তিরিশ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,"প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম।" আল কোরআন পানি থেকে প্রাণ সৃষ্টির বিষয়টি উল্লেখ করেছে।আরেকটি আয়াত লক্ষ্য করুন (সূরা মুরসালাত-আয়াত ২০-২৩) “আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ তরল থেকে সৃষ্টি করিনি? অতঃপর আমি তা রেখেছি সংরক্ষিত আধারে। এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত। অতঃপর আমি পরিমিত আকারে সৃষ্টি করেছি,আমি কত নিপুণ স্রষ্টা।” আল কোরআনের বক্তব্যের সাথে কত অদ্ভূদ রকম মিল রেখে বিজ্ঞান মহলের চিন্তা। আধুনিক বিজ্ঞানের মতে ও ভাসেলডরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর উইলিয়াম মার্টিন এবং গ্লাসগোতে স্কটিশ এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ সেন্টারের প্রফেসর মাইকেল রাসেল প্রথম কোষ সৃষ্টি সংক্রান্ত বিষয়ে বলেন “প্রাণ সৃষ্টির আগে কোষের জন্ম হয়। প্রথমে কোষ জীবন্ত ছিল না। এটি মৃত ছিল এবং এর সৃষ্টি হয় আয়রন সালফাইড হতে। বিজ্ঞানীগণ গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে উপনিত হন যে, জীবনের সৃষ্টি হয়েছিল সমূদ্রের তলদেশে অন্ধকারে জলমগ্ন ক্ষুদ্র পাথুরে পরিবেশে অর্থাৎ আয়রন সালফাইড পাথরের তৈরি অতি ক্ষুদ্র প্রোকষ্ঠ ইনঅরগ্যানিক ইনকিউবেটরে।তাদের বর্ণনা অনুসারে সতন্ত্র ও সংরক্ষিত কোন স্থানে বা আধারে প্রথমে জীব কোষের গঠন সম্পন্ন হয়। প্রথমে কোষ মৃত ছিল। পরবর্তীতে তা প্রাণের মলিকিউলে পূর্ণ হয় অর্থাৎ কোষে প্রাণ সঞ্চার ঘটে।” কত আশ্চর্যজনক মিল। পানি থেকে প্রাণ সৃষ্টির বিষয়টি বিজ্ঞোনের উদ্ঘাটিত সত্যের সাথে মিলে যায়।পানেতেই প্রাণ সৃষ্টির সুচনা করেছেন করে আল কোরআনে অসংখ্য স্থানে বলা আছে। আল কোরআনের আরেকটি আয়াত লক্ষ্য করুন “(২৪ : ৪৫) অর্থ:-আল্লাহ্ সকল প্রকার প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে। তাদের কতক বুকে ভয় দিয়ে চলে, কতক দুই পায়ে ভর দিয়ে চলে এবং কতক চার পায়ে ভর দিয়ে চলে; আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।-এই আয়াতটির প্রথম অংশ লক্ষ্য করুন। এই আয়াতটিতে প্রথম কোষ সৃষ্টির বিষয়টি আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ঘাটিত সত্যের সাথে মিলে যায়। প্রিক্যামব্রিয়ান যুগের এক কোষি প্রাণি সৃষ্টির ব্যাক্ষা আমাদের কাছে বোধ্গম্যময় হলেও পরবর্তী ক্যামব্রিয়ান যুগের বহুকোষি প্রানির গঠন বিবর্তনতত্তের সাথে মিলে না। কারন এক কোষি প্রাণি থেকে বহুকোষি প্রাণি উদ্ভাবনের জন্য যে তথ্য প্রয়োজন সেই তথ্য বা ইনফরমেশন কি ভাবে এলো? এক কোষি কোষগুলোকে এক ও ঐক্যবদ্ধ করে একটি বহুকোষি প্রাণ গঠনের যে নির্দেশনা সেই নির্দেশনা কোথা থেকে এলো? তাছাড়া এত স্বল্প সময়েই বা এক কোষি প্রাণি থেকে বহুকোষি প্রাণির গঠন কি করে সম্ভব? বিবর্তন কখন দ্রুতগতি অথবা কখনও ধীরগতি এমনটিতো নয় তাহলে এই রহস্যময়তার কারন কি?
বিবর্তনবাদের একটি আধুনিক শাখা নিও-ডারউইনিস্টরা পপুলেশন জেনেটিক্স নামক ডিসিপ্লিন দিয়ে মিউটেশনের মাধ্যমে প্রজাতির জিনে নতুন ইনফরমেশন যুক্ত হওয়ার বিভিন্ন হিসেব নিকেষ কষে থাকেন। লেহাই ইউনিভার্সিটির বায়োকেমিস্ট্রির প্রফেসর মাইকেল বিহে এবং ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের ফিজিসিস্ট ডেভিড স্নোক পপুলেশন জেনেটিক্সের উপর ভিত্তি করে একটি প্রোটিনকে আরেকটি ন্যাচারালি সিলেকটেবল প্রোটিনে পরিণত করার জন্য প্রয়োজনীয় মিউটেশন এবং তা আসতে প্রয়োজনীয় সময় হিসেব করেন। তারা দেখেন যে একটি প্রোটিন-প্রোটিন ইন্টারেকশন সাইট থেকে আরেকটি প্রোটিন-প্রোটিন ইন্টারেকশন সাইট আসতে হলে একই সাথে কয়েকটি স্পেসিফিক মিউটেশন লাগবে (কমপ্লেক্স এডাপটেশন) এবং তারা হিসেব করে দেখান যে এর জন্য কমপক্ষে দুই বা ততোধিক মিউটেশন একই সাথে স্পেসিফিক সাইটে হতে হবে। বিহে এবং স্নোক বাস্তবিক উদাহরণের উপর ভিত্তি করে দেখান যে, পৃথিবীর বয়স সীমায় দুটি মিউটেশন একসাথে হতে পারে যদি স্পিসিসের পপুলেশন সাইজ অনেক বড় হয়। কিন্তু দুইয়ের অধিক মিউটেশন একসাথে প্রয়োজন হলে তা পৃথিবীর বয়স সীমাকে ছাড়িয়ে যায়। তাহলে এক কোষি প্রানি থেকে বির্বতনের মাধ্যমে কিভাবে মানুষ পর্যন্ত আসা সম্ভব্?
এই সমস্যার সমাধান দেয় আল কোরআন। লক্ষ্য করুন আল কোরআনের একটি আয়াত। “ فِي ظُلُمَاتٍ ثَلَاثٍ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ لَهُ الْمُلْكُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ فَأَنَّى تُصْرَفُونَ তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে একই নফস থেকে। অতঃপর তা থেকে তার যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তোমাদের জন্যে আট প্রকার আনআম অবতীর্ণ করেছেন। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মাতৃগর্ভে পর্যায়ক্রমে একের পর এক ত্রিবিধ অন্ধকারে। তিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা, সাম্রাজ্য তাঁরই। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ ৩৯:৬” প্রিয় পাঠক এই আয়াতটি গভীর ভাবে লক্ষ্য করুন-আয়াতটির প্রথম অংশে বলা হচ্ছে তিনি সৃষ্টি করেছেন একটি নফস থেকে তারপর তা থেকে তিনি তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন।(নফস শব্দের আভিধানিক অর্থ আত্মা বা প্রান)। একটি প্রাণ থেকে অথাৎ এককোষি জীব এ্যামিবা যারা নিজেদেরকে দ্বিখন্ডিত করে বংশবিস্তার করে।অথাৎ একটি কোষ যেভাবে তার জোড়া কোষটি সৃষ্টি করে আল কোরান সেই বিষয়টিই তুলে ধরেছে। আল কোরআনে প্রিক্যামব্রিয়ান যুগের সেই সময়কালের কথাই বলা হচ্ছে যখন পৃথিবী জুড়ে শুধু এককোষি প্রানিরই তান্ডব।পরবর্তী অংশে বলা হচ্ছে তিনি তোমাদের জন্যে আট প্রকার আনআম অবতীর্ণ করেছেন। আনআম শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো প্রাণি বা বডি স্টাকচার বা লাইফ ফর্ম।আবার লক্ষ্য করুন এখানে বলা হচ্ছে অবর্তীন করার কথা। অথাৎ যা উপর থেকে প্রেরন করা হয়েছে। ইনফরমেশ প্রেরণ করা হয়েছে।(এ অর্থে ভিন্ন ভিন্ন রুহু বা ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশনা) আল কোরআন এখানে এককোষি প্রাণি থেকে বহুকোষি প্রাণি সৃষ্টির একটি মেকানিজমটিকেই বোঝোচ্ছে।ইনফরমেশন নামক মেকানিজম স্রষ্টার পক্ষ থেকে অবর্তীন করা হয়েছে। ক্যামব্রিয়ান যুগের বা ইতিহাসের একদম নির্দিষ্ট একটা বিন্দুতে হঠাৎ করে এক কোষি প্রাণি পাল্টে যেতে আরম্ভ করেছিলো কি করে? এই রহস্যময় পরিবর্তন দেখে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ফিলিপ জনসন বললেন,“প্রাণির পর্বসমূহ ধারাবাহিকভাবে বিকশিত না হয়ে একবারে, একইসাথে আভির্ভূত হয়েছে যার অনেকগুলোই পরে বিলুপ্তির শিকার হয়েছে। আর এ ধরণের ভিন্ন ভিন্ন জীবনরূপ আকস্মিক ও নিঁখুতভাবে দেখা দেওয়া থেকে এটাই বোঝা যায় যে এগুলোকে সৃষ্টি করা হয়েছে।” সব বৈজ্ঞানিক সাক্ষ্য-প্রমাণ থেকে দেখা যায় যে প্রথম জীবিত সত্ত্বাসমূহের জন্ম ও বিকাশ বিবর্তিত হয়ে হয়নি। তারা একে অপর থেকে বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন প্রাণিতে পরিণত হয়নি। ক্যামব্রিয়ান জীবসমূহ কোন পূর্বপূরুষ ছাড়াই হঠাৎ করেই ইতিহাসের মঞ্চে হাজির হয়েছে।এত অল্প সময়ে এককোষি প্রানী থেকে বহুকোষী প্রাণির উদ্ভাবন মিউটেশনের মাধ্যমে সম্ভব নয় যা গানিতিক ভাবে প্রমান করা হয়েছে। তাহলে এই ইনফরমেশন এলো কি করে? এই প্রশ্নের উত্তর দেয় আল কোরআন। আল কোরআন বলে ‘বলে দাও, রুহ আমার প্রতিপালকের নির্দেশঘটিত ব্যাপার। তোমাদের তো জ্ঞান দেওয়া হয়েছে সামান্যই।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত :৮৫)রুহু হলো এমন একটি অপারেটিং সিষ্টিম যে প্রানির গঠন কাঠামোর প্রকৃতি বা ভিন্নতা নির্দেশনা দেয় অথবা জিনেটিক নির্দেশনা বলা যেতো পারে।জিনকে নির্দেশে দেয় রুহু। সুরা যুমার এর পরবর্তী অংশের দিকে লক্ষ্য করুন আয়াতটিতে বিবর্তনের প্রকৃতি তুলে ধরেছেন। পানি থেকে প্রাণ এর সৃষ্টি। পানিতেই বহুকোষি প্রাণ গঠন। এবং সেখান থেকেই প্রাণ ডাঙ্গায় উঠে আসার পর সৃষ্টির তিনটি ধাপের কথা বলা হয়েছে। উভচর জাতীয় প্রাণি বা বুকে ভর দেওয়া প্রাণির বিভিন্ন স্টাকচার বা লাইফ ফর্ম কেই তুলে ধরা হয়েছে। পানি থেকে যখন পা বিহীন বুকে ভর দেওয়া প্রানিরা ডাঙ্গায় উঠতে শুরু করলো। ধীরে ধীরে নতুন রুহু বা ইনফরমেশ সমাগত করা হলো। সৃষ্টি হলো নতুন নতুন ডিজাইন। শুরু হলো দুই পায়া প্রানি বা ডাইনোসর। (ডাইনোসর জাতীয় প্রাণির সময়কালকে বোঝানো হচ্ছে)। পরবর্তীতে মহা প্রলয়ে ডাইনোসর যুগ শেষ হলো সৃষ্টি হলো চার পায়া প্রানির যুগ। চার পায়ে ভর দেওয়া প্রাণি বা স্তন্যপায়ি প্রাণি। নতুন নতুন ইনফেরমেশন সংযোজন বা রুহু চেন্জ, সৃষ্টি হলো নতুন নতুন ডিজাইন। ঠিক এমনি দৃষ্টিভঙ্গিতে আল কোরআন বলে ‘তিনি আল্লাহ, তারই ইচ্ছামতো সৃষ্টিতে নতুন নতুন উপাদান যুক্ত করে থাকেন।’ (সূরা ফাতির,আয়াত-১)লক্ষ্য করুন আরেকটি আয়াত। ৭:১১"আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরপর আকার-অবয়ব, তৈরী করেছি।…." 'We initiated your creation (khalaqa), and then we shaped you…' (7:11) (খালাকা মানে সৃষ্টি করা যেমন হয়,তেমনি বিকশিত হওয়া (evolve) ও হয়।) দেখুন এই আয়াতে একটি time gap আছে। সৃষ্টি শুরুর পরে ধাপে ধাপে আকার-অবয়ব দেয়া হয়েছে। এমন না যে রেডিমেড মানুষ তৈরী হলো। এটা এই ইঙ্গিত করে যে প্রথম জীবন (first life) শুরু হওয়ার পরে আকার-অবয়ব দেয়া হয়েছে তা কোরানের আয়াতে পরিস্কার ফুটে উঠেছে। একটা কথা পরিস্কার যে মানুষকে সৃষ্টি করার পর মানুষের এই দেহ গঠন কাঠামো তৈরী হয়।
পৃথিবীতে কোটি কোটি জীব—এদের প্রত্যেকের আছে আলাদা আলাদা বডি-সিস্টেম; বডি স্টাকচার, বডি ডিজাইন। এদের জীবনধারণ-পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন। এহেন কোটি কোটি জীব দৈবক্রমে সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং এ-সৃষ্টির পেছনে কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ক্রিয়াশীল নেই—এমনটি দাবী করা কি নিতান্তই অযৌক্তিক নয়? বস্তুত, কোনো জীব নিজেকে নিজে সৃষ্টি করেনি বা নিজের প্রচেষ্টার ফলে অস্তিত্বে আসেনি। জীবনের মতো একটি জটিল জিনিস দৈবক্রমে সৃষ্টি হয়েছে বলে ভাবাও অসম্ভব!তাহলে? তাহলে একটি ইন্টেলিজেন্স কনসাসনেসেই প্রান সৃষ্টির কারন।! সেই কনসাসনেসই বা স্বচেতন স্বত্তাই প্রকৃতির অভ্যন্তরেই রিবাজিত! শুধু তাই নয়!তারই হস্তক্ষেপে প্রাণিজগৎ সৃষ্টির হোলি উৎসবে দুর দুরান্ত থেকে রহস্যময় প্রাণির আগমন ঘটেছিলো।আপনি তাকে ভিনগ্রহের প্রাণি বলেন আর এলিয়ানন বলেন!কেউ কেউ দেবতাদের এলিয়োন বলে থাকে।আমরা বলি ফেরেস্তা!তারাই যুগে যুগে এসেছিলো এ পৃথিবী নামক গ্রহে। তারাই এসেছিলো এই দুনিয়ার প্রাণের বুনিয়াদ সৃষ্টিতে।এই মহান সত্যকে আধুনিক বিজ্ঞানীরা অস্বীকার করতে পারছে না। বিবর্তনবাদের একজন কট্টর সমর্থক ও গবেষক রিচারড ডকিন্স প্রাণি কোষের এই জটিল ডিজাইন দেখে নিজেও স্তম্ভিত। তিনি বলেছেন “প্রাচীন সময়ে মহাবিশ্বের অন্য কোন স্থানের উন্নততর সভ্যতা আমাদের গ্রহে প্রাণের বীজ বপন করে গেছেন।” প্রাণ সৃষ্টিতে দুর দুরান্ত থেকে আসা প্রাণিদের সার্বিক সহযোগীতা ছিলো ইন্ধন ছিলো।প্রাণ সৃষ্টিতে চলেছে ভয়াবহ এক্সপেরিমেন্ট।সৃষ্টি ও ধ্বংশের মধ্য দিয়েই গড়ে উঠেছে নতুন নতুন লাইফ ফর্ম। নতুন নতুন বডি স্টাকচার নতুন নতুন লাইফ অপারেটিং সিস্টেম।(আগামী পর্বে আমি এই বিষয় নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করবো।)
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনাকে আর কি বোঝাবো? আপনিই তো আমাকে বোঝায়ে দিলেন!
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৯
কামাল১৮ বলেছেন: বিজ্ঞানের কোন কিছু কোরান দিয়ে প্রমান করতে হয় না।কোরানের অনেক কিছু বিজ্ঞান দিয়ে প্রমানের অপচেষ্টা চলছে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সুরা ইয়াসিনের প্রথম আয়াত “ইহা বিজ্ঞানময় কোরআন”। আপনি ১০ টি থিওরি বা হাইপোথিসিস দিলেন। সঠিক টি ঠিক আমাদের কোরান দেখিয়ে দিবে। সঠিক বিজ্ঞান দেখানোর জন্য আমাদের আল কোরআন যথেষ্ঠ। আপনার এটা বিশ্বাস হবে না। তাহলে প্রমান করেন আমি ভূল বলেছি। জ্ঞান দিবেন না দয়া করে। ভূল প্রমান করুন।
৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:২৬
কাঁউটাল বলেছেন: বিবর্তনবাদ পুটুমারা খেতে খেতে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৪৪
কাঁউটাল বলেছেন:
৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৪৮
কাঁউটাল বলেছেন:
৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মন্তব্য না করাই ভালো!
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৪
কামাল১৮ বলেছেন: এক সময় পৃথিবীর ৯৯.৯৯ভাগ লোক বিশ্বাস করতো পৃথিবী স্থির সূর্য পৃথিবী চার পাশে ঘুরে তাই বলে এটা সত্য হয়ে যায় নাই।বিশ্বাস দিয়ে কোন কিছু সত্যহয়ে যায় না।সত্য হয় প্রমান দিয়ে।