নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
বিবর্তনবাদ অনুসারে জীবন একটা গাছের মত হওয়া উচিত। সুদীর্ঘ সময়ের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া দ্বারা একটির পর একটি প্রাণের বিবর্তন ঘটে। বির্বতনবাদী বিজ্ঞানীদের ধারনা অনুসারে মাইক্রো এ্যাভেুলেশন থেকে ম্যাক্রো এ্যাভুলেশন ঘটিয়ে এই জটির প্রাণের অবকাঠামো সুষ্টি যা একটি মূল থেকে শুরু হয়ে তার শাখাসমূহ ছরিয়ে দিয়েছে। ডারউইনীও উৎসসমূহে এরই উপর জোর দেয়া হয়েছে এবং "Tree of Life'' বা "জীবন বৃক্ষ'' নামে ধারণা করে প্রাণের একটি ধারাবাহিক একটি তালিকা তৈরী করা হয়েছে। তাকেই "Tree of Life'' বলা হয়ে থাকে। তাহলে প্রশ্ন হলো বিবর্তন যদি ঘটে থাকে প্রাণিদের বডিফর্ম বা স্টাকটারের মাঝে "Tree of Life'' এর ধারাবাহিক মিল অবশ্যই থাকতে হবে। কিন্তু এ দাবীর সাথে প্রকৃত ঘটনার মিল কতটুকু? পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণি আছে যারা এই "Tree of Life'' ধারনাটির সাথে মিল রেখে চলে না। এইরকম ধারাবাহিকতার বাইরে অবস্থান করছে। এককোষি প্রাণি থেকে ধারাবাহিক ভাবে যদি বিবর্তন চলতে শুরু করে তাহলে অবশ্যই এই ধারাবাহিক ফল হিসেবে "Tree of Life'' বিষয়টিই ধাবিত হবে। কিন্তু আধুনিক জীববিজ্ঞানের কিছু গবেষনা এই ধারাবাহিক বিষয়টির মিমাংশা করতে পারছেন না। বিভিন্ন ফসিল উদঘাটন এবং আধুনিক গবেষনা তার উল্টা তথ্য দিয়ে যাচ্ছে। যেমন অক্টোপাস। "Tree of Life'' এর সম্পূর্ন বিপরীত ধারনাই বহন করছে। যা সর্ম্পন ভিন্ন এবং সুক্ষ ও জটিল ইউনিক জিনেটিক্স কোডিং দ্বারা প্রানিটি গঠিত। ফলে বিজ্ঞানীরা বলতে বাধ্য হচ্ছে “'অক্টোপাসের নতুন জিনের জটিল সেটগুলি কেবলমাত্র অনুভূমিক জিন স্থানান্তর বা বিদ্যমান জিনের সাধারণ এলোমেলো মিউটেশন বা সাধারণ অনুলিপি সম্প্রসারণ থেকে আসেনি।” তাছাড়া জীববিজ্ঞানীরা আশা করেছিলেন যে ডিএনএ প্রমাণগুলি জীবনের একটি বিশাল গাছ প্রকাশ করবে যেখানে সমস্ত জীব স্পষ্টভাবে সম্পর্কিত। কিন্তু তেমনটি ঘটেনি সঠিক এ্যাভিডেন্সর অভাবে বিষয়টি বির্তকিত হয়ে পড়েছে। ফলে বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানীদের নতুন ভিমরতি ধরে। তারা বলে অক্টোপাস নামক প্রাণিটি ভিন্গ্রহের প্রাণী। গত ১৩ মার্চ ২০১৮, ৩৩ জন গবেষক "Progress in Biophysics & Molecular Biology" Peer Reviewed Journal-এ তাদের গবেষণায় ব্যাখ্যা করেন অক্টোপাস পৃথিবীর প্রাণী নয় অর্থাৎ অক্টোপাস ভিনগ্রহের প্রাণী। তাদের গবেষণায় উঠে আসা এমন তথ্যে বিস্মিত হন জীববিজ্ঞানীরা। গবেষকরা বলছেন, সেফালোপডা প্রজাতিগুলোর সব জীবই নিজেদের শরীরে নিজেরাই বদল আনতে সক্ষম। সেফালোপডদের এমন আশ্চর্যজনক সামর্থ্য ভাবাচ্ছে বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানীদের। কারণ, বিবর্তনতত্ত্বের সাথে এর কোন মিল নেই। গবেষকরা মনে করছেন, শুধু অক্টোপাস নয়, সেফালোপডদের অন্য জীব যেমন- স্কুইড ও কাটলফিশ এগুলিও হয়তো ভিনগ্রহের জীব। তাদের ধারনা প্রায় ২৭০ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী তৈরির সময় অনেক কিছু মহাকাশ থেকে ছিটকে পড়েছিল যার কিছু ছিল জীবন্ত। আর সেভাবে হয়তো অক্টোপাস অথবা স্কুইডের ডিম সমুদ্রে পড়েছিল যা পরে সমুদ্রের তাপমাত্রায় জীবন পেয়েছে।
সেফালোপডরা নিয়মিত তাদের RNA প্রতিনিয়ত বদল আনতে সক্ষম। এই RNA-তে আছে জেনেটিক কোড। সাম্প্রতিক RNA editing transcriptome-wide ডেটা সোমাটিক RNA বৈচিত্র্য ম্যাকানিজমের উপর যা সেফালোপডে বিশেষ করে অক্টোপাসে আচরণগত-ভাবে জটিল বা সূক্ষ্ম। এই তথ্যসমূহ প্রকাশ করে A-to-I mRNA editing sites-এ সেফালোপডা কলেওয়ডদের (বিশেষ করে অক্টোপাস) প্রায় প্রত্যেকটি প্রোটিন কোডিং জিন আচরণগত-ভাবে খুবই জটিল যা ব্যাপক বিবর্তনীয় পরিবর্তনে প্রোটেকটেড অর্থাৎ প্রত্যেকটি প্রোটিন কোডিং জিন সূক্ষ্ম ও সংরক্ষিত। স্কুইড ও বিশেষ করে অক্টোপাসের প্রায় প্রত্যেকটি প্রোটিন কোডিং জিন বিবর্তন সংরক্ষিত A-to-I mRNA editing sites isoform রয়েছে, যার ফলে non-synonymous এমিনো এসিডের পরিবর্তন ঘটে। ইহা এমন একটি মসৃণ এবং ক্রমবর্ধমান বংশানুক্রমিক আণবিক জেনেটিক কৌশল একটি ভার্চুয়াল গুণগত পরিবর্তন, অর্থাৎ এক ধরণের আকস্মিক পরিবর্তন যাকে “great leap forward" বলা হয়েছে। অক্টোপাসের DNA highly rearranged যেখানে অসংখ্য জিন রয়েছে যা লাফিয়ে স্থান পরিবর্তন করতে পারে আর এই জিনগুলোকে "jumping genes" বলা হয়। যতক্ষণ না স্কুইড বা অক্টোপাস বংশক্রমানুতে সব নতুন জিন সাধারণ মিউটেশন দ্বারা পূর্ব জিন থেকে প্রকাশিত হয় ততক্ষণ পর্যন্ত স্কুইড অথবা অন্য জীব একই পরিবেশ শেয়ার করে নেয়, এখানে অবশ্যই এমন কোন উপায় নেই যার দ্বারা A-to-I mRNA editing-এর এই বৃহৎ গুণগত রূপান্তর ডারউইন বা নব্য-ডারউইন প্রক্রিয়া দ্বারা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, যদিও horizontal gene transfer ডারউইন বা নব্য-ডারউইনে অনুমতি দেয়া হয় (ডারউইন বা নব্য-ডারউইন horizontal gene transfer ব্যাখ্যা দিতে পারে না)। এর আগেও সেফালোপডদের ৫০০ মিলিয়ন বছরের একটি ইভল্যুশনারি হিস্ট্রি অংকন করা হয়েছিল, যদিও তা খুবই বিশৃঙ্খল ও পরস্পরবিরোধী ছিল। অক্টোপাস, স্কুইড ও কাটলফিশে নটিলাস থেকে রূপান্তরিত প্রধান জিনগুলো পূর্বের জীবে সহজে পাওয়া যায় না। এখানে অবশ্যই এমন কোন উপায় নেই যার দ্বারা A-to-I mRNA editing-এর এই বৃহৎ গুণগত রূপান্তর ডারউইন বা নব্য-ডারউইন প্রক্রিয়া দ্বারা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। (ডারউইন বা নব্য-ডারউইন horizontal gene transfer ব্যাখ্যা দিতে পারে না)।
আমরা উপরে যেমটা অক্টোপাসের ক্ষেত্রে দেখেছি। এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও গঠন সম্পূর্ণ ইউনিক। তাই তাদের একাধিক ক্রমান্বয়ে হওয়া হাল্কা পরিবর্তন দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না।অলৌকিক উপায়ে (বা জেনেটিক ধারা ভেঙ্গে) কোন প্রানীর 'সৃষ্টি' হওয়া পর্যবেক্ষণ করা গেলে কিংবা তুলনামূলক জেনেটিক্সের তথ্য থেকে একই উপসংহারে পৌঁছনো না গেলে বিবর্তনতত্ত্বের গ্রহণযোগ্যতা থাকে না বলেই বিবর্তনবাদীরা অক্টোপাশ কে ভিনগ্রহের প্রাণি বলেই মনে করেন । অক্টোপাসের জিন মানুষের চেয়েও বেশি যদিও মানুষের চেয়ে তাদের জিনোম ছোট অর্থাৎ অক্টোপাসের জিনোম অসংখ্য জিনে ভর্তি এবং কয়েক'শ জিন পাওয়া যায় যা অন্য প্রাণীতে নেই। অর্থাৎ অক্টোপাসের জিনোমে 'জেনেটিক ধারা' ভেঙে পড়ে ও জেনেটিক্স তথ্য থেকে একই উপসংহারে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। অক্টোপাসের প্রায় প্রত্যেকটি জিন evolutionary conserved যা বিবর্তনবাদী পরিবর্তন থেকে সংরক্ষিত। যার প্রতিটা জিন ইউনিক ও প্রয়োজনীয়। এই জিনের পরিবর্তন জীবের জন্য প্রাণঘাতী(lethal) হতে পারে। তাই গবেষকরা বলছেন, 'The complex sets of new genes in the Octopus may have not come solely from horizontal gene transfers or simple random mutations of existing genes or by simple duplicative expansions.
আরেকটি কথা না বললেই নয়। বিবর্তনে যদি প্রাণ সিৃষ্টি হয়ে থাকে তবে প্রিক্যামব্রিয়ান যুগ থেকে হঠাৎ করে ক্যামব্রিয়ান যুগে আকস্মিক ভাবে এত বহুকোষি প্রাণির আবির্ভাব হয় কি করে? পৃথিবীর প্রাচীন মহাসাগরগুলিতে জৈবিক প্রজাতির বৈচিত্র্যের দ্রুত বৃদ্ধির একটি আকস্মিক তরঙ্গ সংঘটিত হয়েছিল। ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণ নামে পরিচিত এই ঘটনাটি এতটাই তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় যে এটিকে কখনও কখনও জৈবিক বিগ ব্যাং হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। বিবর্তনের মাধ্যমে যদি প্রানের আবির্ভাব ঘটে তবে প্রাণের বিগ ব্যাং হয় কি করে? বর্তমানে জানা সব পর্বের প্রাণীই Cambrian Period নামক ভূতাত্বিক যুগে একই সাথে আভির্ভূত হয়েছে। এই যুগটি ৫২০ থেকে ৫৩০ মিলিয়ন বছর পূর্বে ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি বছর জুড়ে বিস্তৃত ছিল। এ সময়টিতে সব পর্বই পরিপূর্ণ আকৃতিপ্রাপ্ত অবস্থায় দেখা দেয়। ক্যামব্রিয়ান পাথরে পাওয়া জীবাশ্মের মধ্যে জীবনের বিভিন্ন আকৃতি রয়েছে, যেমন শামুক, trilobites, স্পঞ্জ, জেলিফিশ, তারামাছ, সমুদ্র লিলি ও সাঁতারু কাঁকড়া (Swimming Crustaceans) । এ সময়কালের বেশিরভাগ প্রাণিরই বর্তমান নমুনার মতই জটিল তন্ত্র ও উন্নত শারীরতাত্বিক গঠন যেমন চোখ, শ্বাসযন্ত্র ( Gill), রক্ত সঞ্চালন ব্যাবস্থা রয়েছে। এই গঠনগুলো খুবই জটিল এবং বেশ ভিন্নপ্রকৃতির। বর্তমান যুগের অনেক প্রাণীর চেয়ে ক্যামব্রিয়ান যুগের জটিল কিছু লাইফ ফর্ম এখনও বিবর্ত্নবাদীদের হকচকিয়ে দেয়। প্রি ক্যামব্রিয়ান যুগ থেকে ক্যামব্রিয়ান যুগের এই স্বল্প সময়ে বিবর্তনের মাধ্যমে এত জটিল ও সুক্ষ প্রাণ কি করে আবির্ভত হতে পারে তার কোন প্রমান বা এ্যাভিডেন্স বিজ্ঞানীদের হাতে নেই? বৈজ্ঞানিক সাক্ষ্য-প্রমাণ থেকে দেখা যায় যে প্রথম জীবিত সত্ত্বাসমূহের জন্ম ও বিকাশ বিবর্তিত হয়ে হয়নি। তারা একে অপর থেকে বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন প্রাণিতে পরিণত হয়নি। বরং হঠাৎ করে আকস্মিক বিভিন্ন লাইফফর্মে বিভিন্ন বডি স্টাকচারে সুক্ষ ও জটিল প্রাণরুপেই আর্বিভূত হয়েছে। বিবর্তনবাদীদের মতে জীব জটিল গঠন অর্জন করে ধারাবাহিকভাবে ও দীর্ঘ সময় নিয়ে। অর্থ্যাৎ, তাদের অনুমিত বিবর্তন ইতিহাসের শুরুতে জীবনের অবশ্যই 'আদিম' বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে শুধুমাত্র দীর্ঘ বিবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই উন্নত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে পারে। কিন্তু তা হয়নি খু্বই স্বল্প সময়ে প্রাণের জটিল ফর্ম দেখা গেছে। লাইফ ফর্মের আজকের মতই জটিল (Complex) অ্যানাটোমিক্যাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন চোখ, শুঙ্গ (Antenna) , পা, মুখ, পাকস্থলী। অতএব, জটিলতা (Complexity) এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা 'শুরুতেই' দেখা গিয়েছে পরবর্তিতে নয়। জীবাশ্মবিদ্যার (paleontology) এই বাস্তবতা ও ডারউইনিজমের এই প্রত্যক্ষ অসঙ্গতির বর্নণা দিতে গিয়ে বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিলিপ জনসন বলেন- " 'ডারউইনীয় তত্ব ধরে নেয় যে 'ক্রমান্বয়ে প্রসারণশীল বৈচিত্র্যের একটি ত্রিভুজের' মধ্য দিয়ে এক একটি প্রজাতি উঠে আসে। ' এই প্রকল্প মতে, জীবন শুরু হয়েছে প্রথম জীবিত সত্ত্বা বা প্রাণির আদিম প্রজাতি থেকে যা পরে ক্রমান্বয়ে বৈচিত্রময় হয়ে হয়ে জীববিদ্যার শ্রেণিকরণের উচ্চতর শ্রেণীর জন্ম দিয়েছে। কিন্তু প্রাণিদের ফসিল থেকে আমরা দেখি যে এই ত্রিভুজটি আসলে বিপরীত। শুরু থেকেই সব পর্বসমূহ ছিল পরে ধীরে ধীরে সংখ্যা কমেছে।' এ ব্যাপারে বিশিষ্ট জীববিজ্ঞানি ফিলিপ জনসন যেমনটা বললেন, “প্রাণির পর্বসমূহ ধারাবাহিকভাবে বিকশিত না হয়ে একবারে, একইসাথে আভির্ভূত হয়েছে যার অনেকগুলোই পরে বিলুপ্তির শিকার হয়েছে। আর এ ধরণের ভিন্ন ভিন্ন জীবনরূপ আকস্মিক ও নিঁখুতভাবে দেখা দেওয়া থেকে এটাই বোঝা যায় যে এগুলোকে সৃষ্টি করা হয়েছে।”
ক্যামব্রিয়ান জীবসমূহ কোন পূর্বপূরুষ ছাড়াই হঠাৎ করেই ইতিহাসের মঞ্চে হাজির হয়েছে। প্রাণী জগতের সব ধরণের মৌলিক কাঠামো ধারণকারী ৫৩০ মিলিয়ন বছর পূর্বের ক্যামব্রিয়ান জীবসমূহ বিবর্তন তত্ত্বকে পুরোপুরি খণ্ডণ করে দিচ্ছে। ডারউইনের তত্ত্ব সব প্রজাতিকে একই পূর্ব-পুরুষ থেকে উৎপন্ন দেখাতে চায়। ক্যামব্রিয়ান যুগের শুরুতেই ৫০ থেকে ১০০ প্রজাতির আকস্মিক আবির্ভাব ঘটে। ফসিল রেকর্ড ক্যমব্রিয়ান-পূর্ব যুগে তাদের সাধারণ (Common) আদি পুরুষের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে পারেনি।
এখন প্রশ্ন ক্যামব্রিয়ান যুগের পূর্বে কি প্রাণ ছিলো? হ্যা ছিলো। এক কোষি প্রানি ছিলো। এ ব্যাপারে উইকপিডিয়া লিখেছে “প্রাণ সৃষ্টির সময়কাল সম্বন্ধে একেবারে নিশ্চিত হওয়া এখনও সম্ভব হয়নি, কিন্তু পশ্চিম গ্রীনল্যান্ডের উপকূলের নিকটবর্তী কিছু দ্বীপ থেকে ৩৮০ কোটি বছরের পুরোনো পাথরে কার্বনের নমুনা পাওয়া গেছে, যা জৈব উৎসসঞ্জাত হতে পারে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে ৩৪৬ কোটি বছরেরও বেশি প্রাচীন ব্যাক্টেরিয়ার সুসংরক্ষিত অবশেষ পাওয়া গেছে।[৫] ঐ একই জায়গা থেকে আরও কিছু নমুনা পাওয়া গেছে যেগুলো জীবাশ্ম হওয়ার সম্ভাবনা আছে, আর এই দ্বিতীয় প্রকার নমুনাগুলোর বয়স আরও ১০ কোটি বছর বেশি। প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ানের পরবর্তী দীর্ঘ সময় জুড়ে ব্যাক্টেরিয়াদের নিরবচ্ছিন্ন জীবাশ্ম প্রমাণ পাওয়া যায়।” বিজ্ঞানীদের উদ্ঘাটিত প্রমান বা ফসিল থেকে প্রাপ্ত তথ্য দ্বারা প্রমান ক্যামব্রিয়ান যুগের পূর্বে প্রাণি গুলো সবই এককোষি প্রাণি ছিলো। তবে ইদানিং কিছু প্রমান পাওয়া যাচ্ছে প্রিক্যামব্রিয়ান যুগে যথেষ্ঠ উন্নতমানের গাঠনিক এক কোষি প্রাণির আবির্ভাব ঘটেছিলো। ফসিল রেকর্ড অনুসারে জানা যায় প্রিক্যামব্রিয়ান যুগের ডিকিনসনিয়া নামের এক জীব কোনো বহুকোষী প্রাণী নয়। মিটারখানেক দৈর্ঘ্যের হলেও এটি আসলে একটি এককোষী এমিবা বা ছত্রাক। সে হিসেবে এগুলো বিশ্বের প্রথম প্রাণীগুলোর একটি। এরা সকলে এক কোষি এ্যামিবার মতো নিজেকে দ্বিখন্ডিত করে বংশ বিস্তার করে। এদের যৌন প্রজনন কেন্দ্র বা অন্য কোন উপায় নেই নিজেকে দ্বিখন্ডিত করেই বংশ বিস্তার করে।
প্রিয় পাঠক এবার আসি আমি আল কোরআনের র্ক্ষুদ্রৃ একটি আয়াতে “ فِي ظُلُمَاتٍ ثَلَاثٍ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ لَهُ الْمُلْكُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ فَأَنَّى تُصْرَفُونَ তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে একই নফস থেকে। অতঃপর তা থেকে তার যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তোমাদের জন্যে আট প্রকার আনআম অবতীর্ণ করেছেন। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মাতৃগর্ভে পর্যায়ক্রমে একের পর এক ত্রিবিধ অন্ধকারে। তিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা, সাম্রাজ্য তাঁরই। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ ৩৯:৬” প্রিয় পাঠক এই আয়াতটি গভীর ভাবে লক্ষ্য করুন-আয়াতটির প্রথম অংশে বলা হচ্ছে তিনি সৃষ্টি করেছেন একটি নফস থেকে তারপর তা থেকে তিনি তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন।(ণফস শব্দের আভিধানিক অর্থ আত্মা বা প্রান)। একটি প্রাণ থেকে অথাৎ এককোষি জীব এ্যামিবা যা নিজেদেরকে দ্বিখন্ডিত করে বংশবিস্তার করে। আল কোরআনের প্রিক্যামব্রিয়ান যুগের সেই সময়কালের কথাই বলা হচ্ছে যখন পৃথিবী জুড়ে শুধু এককোষি প্রানির তান্ডব। চারিদিকে এক কোষি প্রাণির স্বর্গরাজ্য। যাদের বংশবিস্তরে সমুদ্র ভরপুর। কিন্তু প্রশ্ন হলো পৃথিবীতে বায়ো অনু বা এক কোষি প্রান কি করে সৃষ্টি হলো। প্রকৃতিতে অসংখ্য ভারী অনু রয়েছে, তবে তাদের মধ্যে প্রাণ নেই। বিজ্ঞান বলছে, কোন বায়ো অণুকে প্রাণ অণু সংগঠনের জন্যে তার নিজের প্রতিলিপি তৈরী করার ক্ষমতা থাকতে হবে। এই প্রতি লিপি তৈরী করার ক্ষমতাকে প্রকারান্তরে জন্মদান ক্ষমতা বলা যেতে পারে। কারন এককোষি প্রানি নিজে থেকে আলাদা হয়ে দুটিতে পরিনত হয়। সকল প্রাণি দেহে এরকম প্রতিলিপি তৈরীকরণ ক্ষমতা সম্পন্ন ভারী অনুগুলোই নতুন অনু জন্মদিতে পারে ও নিজে বিবর্র্ততি হতে পারে। আর এই সকল এককোষি প্রাণিগুলো আরএনএ দ্বারা গঠিত। প্রকৃত পক্ষে আর এন এ কিন্তু কোন প্রাণ কোষ নয়, এটি প্রাণকোষস্থিত একটি অনু। তা হলে আরও ধরে নিতে হবে যে, আর এন’র মধ্যেও বুদ্ধিদীপ্ত মস্তিস্ক রয়েছে যেটি চিন্তাভাবনা করে কোষ গঠনের বাকী অনুগুলোকে সংশ্লেষিত করে এক আদর্শ প্রাণকোষ গঠন করতে পারে। বিজ্ঞান কিন্তু এ কথা স্বীকার করেনা; এমন কি প্রকৃতিতে কোন চিন্তাশীল স্বত্তা আছে বলেও বিজ্ঞান স্বীকার করেনা। তাহলে যৌক্তিকভাবেই স্বীকার করতে হচ্ছে প্রকৃতিতে আপনা আপনি প্রতিলিপি করণ ক্ষমতা সম্পন্ন কোন বায়ো অনু সৃষ্টি হতে পারেনা। তার জন্যে প্রয়োজন নীল নকশা ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রয়োজনীয় নির্দেশ দান। নইলে আপনা আপনি এই বায়ো অনু বা এক কোষি জীব এ্যামিবা গঠন হতে পারে কি করে? দেখুন আল কোরআন কিন্তু সুন্দর একটি তথ্য দিচ্ছে মানবজাতিকে। প্রকৃতিতে পাওয়া সাধারণ অনু থেকে বায়ো অনুর ভিন্নতা হলো এই নফস। যা বায়ো অনু সৃষ্টির কারন। যে বায়ো অনু নিজের প্রতিলিপি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে নফস নামক কোন একটি উপাদানের কারনে। আপনি নিজেকে গভীরভাবে প্রশ্ন করুন প্রকৃতির সাধারন অনু কেনো প্রতিলিপি সৃষ্টি করতে সক্ষম নয় কারন বায়ো অনুতে এমন কোন কিছু আছে যাতে নির্দেশ দান করা আছে তার প্রতিলিপি সৃষ্টি করা বা তার জোড়া সৃষ্টি করা। প্রাণ সৃষ্টির এই কারন বা এককোষি প্রাণিদের এই বিভাজন কেনো ঘটে বিজ্ঞানী বোঝেনি। এমনকি বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানী ম্যাসিমো পিগলিউচি স্বীকার করেছেন, "প্রাকৃতিক উপায়ে কীভাবে পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব হয়েছিল তা আমাদের কাছে সত্যিই কোনো ধারণা নেই।"
এবার আসি আল কোরানের সুরা যুমার পরবর্তী আয়াতটি নিয়ে। আয়াতটিতে বলা হচ্ছে তিনি তোমাদের জন্যে আট প্রকার আনআম অবতীর্ণ করেছেন। আনআম শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো প্রাণি বা কেউ অর্থ বলে চতুষ্পদ জন্তু কেউ তাফসীর করে গবাদী পশু। একেকজন একেকরকম তাফসীর করলেও আসলে বৈজ্ঞানিক ভাবে তাফসীর করলে বা বিবেচিত করলে আপনি পাবেন বডি স্টাকচার বা লাইফ ফর্ম। আবার লক্ষ্য করুন এখানে বলা হচ্ছে অবর্তীন করার কথা। অথাৎ যা উপর থেকে প্রেরন করা হয়েছে। আপনি কি মনে করেন গরু, ছাগল, মুরগী, হাতি বা এসকল প্রাণিকে আকাশ থেকে অবর্তীন করা হয়েছে? না আসলে আল কোরআনের এই আয়াতে আনআম বলতে বোঝানো হয়েছে বডি স্টাকচার বা লাইফফর্ম। এমন একটি বিষয় যা এককোষি প্রাণি থেকে বহুকোষি প্রাণি সৃষ্টির একটি মেকানিজম। এমন একটি মেকানিজম স্রষ্টার পক্ষ থেকে অবর্তীন করা হয়েছে। আমি পূবেই বলেছি প্রি ক্যামব্রিয়ান যুগে বিজ্ঞানীদের প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ফসিল রেকর্ড অনুসারে পাওয়া গেছে এককোষি প্রানি কিন্তু ক্যামব্রিয়ান যুগে পাওয়া গেছে বিভিন্ন লাইফ ফর্ম বহুকোষি প্রাণি। ক্যামব্রিয়ান যুগের বা ইতিহাসের একদম নির্দিষ্ট একটা বিন্দুতে হঠাৎ করে এক কোষি প্রাণি পাল্টে যেতে আরম্ভ করেছিলো কি করে? কি করে প্রাণ সৃষ্টির অবকাঠামো গঠিত হতে পারে বিবেকবান মানুষ অবশ্যই উপলদ্ধি করতে পারে। কারন বিবর্তন এভাবে কাজ করে না। বিবর্তন ক্রমশই কাজ করে। তবে পৃথিবীর এই লম্বা ইতিহাসের মধ্যে দুই বা আড়াই কোটি বছর তেমন বেশি কিছু না। এতো অল্প সময়ে প্রানের জটিল কাঠামো কি করে সৃষ্টি হতে পারে? এতোটুকু বিবর্তন হওয়াও বিস্ময়কর, তাই এটাকে বিস্ফোরণ বলে! সুতরাং আমরা এখানে ভাবতে বাধ্য হয় এমন কিছু একটা ঘটেছিলো যা তৎকালীন সময়ে পানির সমুদ্রে যেখানে অসংখ্য লাইফফর্ম গঠিত হয়েছিলো। এটিকে আপনি সৃষ্টি করা না বলে যদি আপনি বিবর্তন বলেন সেটি সম্ভব নয়। সুতরাং আপনি যদি মনে করেন বিবর্তন এক কোষি প্রাণি থেকে বহুকোষি প্রাণি গঠন করেছে বা বডি স্টাচার বা লাইফফর্ম তৈরী করেছে তাহলে সত্যিই সেটা মরিচীকার পিছনে ছুটে চলা হয়ে যাবে। এই কারনেই আল কোরআনের পরবর্তী আয়াতের মানুষকে বিভ্রান্ত হয়ে ছুটে চলার কথা বলা হচ্ছে। এবার আসুন আমরা সুরা যুমার পরবতী আয়াতটি নিয়ে আলোচনায়। আয়াতটিতে বলা হচ্ছে ‘তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মাতৃগর্ভে পর্যায়ক্রমে একের পর এক ত্রিবিধ অন্ধকারে।’ দেখেন এখানে কিন্তু বিবর্তনের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। আলাদা আলাদা বডি স্টাকচার থেকে বিবর্তিত হয়ে প্রানি সমূহের আজ এই রুপায়ন। এক একটি শ্রেনি থেকে বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন উপশ্রেনি সৃষ্টি। যা আজ আমাদের পৃথিবী জ্যড়ে ব্যাপ্তি। প্রাণিকূল আজ ডাঙ্গাতেও এসেছে। (এ ব্যাপারে পরবতী পর্বে আলোচনা করা হবে) ম্যাক্রো বির্বতনের ইতিহাস বা এ্যাভিডেন্স তেমন কোন প্রমানিত না হলেও মাইক্রো এ্যাভুলেশন কিন্তু আমাদের মেনে নিতে হয়।
(ধারাবাহিক ভাবে চলবে-পরবতী পর্বে)
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আল জাহিজ লিখেছেন - “when you see an animal … of great danger, and concerning whom Man must be very careful, such as snakes and wolves provided with fangs … thus may you know … that God— sublime and powerful is He— gives to the steadfast, those who understand that free will and rational experience could not exist if the world were purely evil or entirely good.” ভাই আপনি আল জাহিজ কে বোঝেন নি। আল জাহিজ প্রাকৃতিক বিবর্তনকে তুলে ধরেছেন। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করতেন কেউ একস্বত্তা প্রানি জগতকে সৃষ্টি করেছেন। জার্মান ইতিহাসবিদ Herbert Eisenstein বলেন, “First of all, the goal of al-Jahiz’s Book of Animals was not actually the study of animal species, but a proof of the existence of the Creator that is evident from his creation” (p. 122 in Einfürung in die arabische Zoographie).
হতে পারে সে একজন ভালো দার্শনিক বা ধর্মশাস্ত্রবিদ তবে জীববিদ্যায় পন্ডিত নন। সত্যিকার অর্থে, তিনি স্রষ্টার সৃষ্টির স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বাধীন ইচ্ছাকে এ যুক্তি দিয়ে দেখান যে, ইশ্বর প্রানীদের চোয়াল, দাত, থাবা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন নিজেদের রক্ষার ও আক্রমনের জন্য। ভাই আপনার আল জাহিজ বিবর্তনের পক্ষে কথা বলেছেন ঠিক ততটুকুই যতটুকু আল কোরআনে উল্লেখ আছেন। ঈশ্বর প্রাণিজগৎ সৃষ্টি করেছেন এবং সেই সৃষ্টি চক্রে একটি বিবর্তন নামের কাল অতিবাহিত হয় পরবতীতে আবার সৃষ্টি হয় আবার বিবর্তন হয়। মাঝের এই সৃষ্টি বিষয়টি দেখা যায় না বলেই আপনারা বিবর্তন নিয়ে মোৗলবাদী হয়ে পড়েছেন।
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:০৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: চতুষ্পদ আর গবাদি পশুর মধ্যে পার্থক্য কি, ভাই?
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: পাথর্ক্য তো অবশ্যই আছে ভাই। দুটি শব্দ শব্দের অর্থবোধক ভিন্নতা না থাকলে শব্দ দুটি তৈরী হওয়ার প্রয়োজনই ছিলো না। চতুষ্পদ প্রানি বলতে বাঘ হরিন গরু ছাগল সকল চার পা ওয়ালা প্রাণি। আর গবাদি পশু বলতে গৃহপালিত পশু। যাদেরকে বাড়িতে লালন পালন করা হয় যাদের দিয়ে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা থাকে। বাঘকে কিন্তু বাড়িতে রাখা যািই না ভাই।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:০২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আয়াতটিতে বলা হচ্ছে ‘তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মাতৃগর্ভে পর্যায়ক্রমে একের পর এক ত্রিবিধ অন্ধকারে।’ দেখেন এখানে কিন্তু বিবর্তনের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। আলাদা আলাদা বডি স্টাকচার থেকে বিবর্তিত হয়ে প্রানি সমূহের আজ এই রুপায়ন। এক একটি শ্রেনি থেকে বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন উপশ্রেনি সৃষ্টি। যা আজ আমাদের পৃথিবী জ্যড়ে ব্যাপ্তি। প্রাণিকূল আজ ডাঙ্গাতেও এসেছে।
বাহ!! চমৎকার, তাহলে অবশেষে কুরআনেও বিবর্তনের প্রমাণ পাওয়া গেলো, এ জন্যই তো কুরআনকে বলা হয় বিজ্ঞানময় গ্রন্থ
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হ্যা ভাই অবশ্যই আল কোরআন বিজ্ঞানময় গ্রন্থ। যতটুকু বিবর্তন পৃথিবীতে ঘটেছে আল কোরআন ঠিক ততটুকুই উল্লেখ করেছে। বিবর্তনের একটি চক্র কাল আছে শুরু থেকে শেষ। তারপর আর বিবর্তন ঘটে না। আবার জেনেটিক পরিবর্তন ঘটাতে হয় বা রুহু জনিত নির্দেশনা দিতে হয়। আমার পরবর্তী পর্বে সেই বিষয়টি পাবেন। বিবর্তনের একটি সিমীত ক্ষমতা আছে।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:১০
কামাল১৮ বলেছেন: গাঁজার এই দুর্দিনের সময় বিবর্তনের কি দরকার ছিলো।মানুষ আছে দৌড়ের উপর।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সবাই কি অস্ত্রের কথা বলতে পারে। কেউ কেউ অস্তু বা যুদ্ধকে অপছন্দ করে। কিন্তু এ যুদ্ধ তো এমনি এমনি হয় নি। সমগ্র প্যালেষ্টাইনকে তিল তিল করে দখল করে নিয়ে নেয়া ইসরাইলকে এর চেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় পড়তে হতে পারে। আমি এসব নিয়ে ভাবতে চাই না।
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১১
রাজীব নুর বলেছেন: গাঁজা নিয়ে লিখুন। হামাস নিয়ে লিখুন। এখন এসব লেখার সময়।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কি লিখবো ভাই? আমার যে এসব যুদ্ধ ভালো লাগে না। তবে আল কোরআনে একটি আয়াত আছে ইহুদী জাতি সম্পর্কে। আয়াতটিতে বলা হয়েছে “ তোমরা (ইহুদী) যদি আবার পূবের ন্যায় আচরন কর তবে আমি আমি তোমাদের উপর শক্তিশালী জাতি স্বত্তা প্রেরণ করিব তারা তোমাদের এবং তোমাদের পরিবারকে নির্মমভাবে ধ্বংশযজ্ঞ চালাবে” - ভাই গো এটাই সত্য। একবার দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্দে হিটলারের ভয়াবত ইহুদী নিধন সম্পর্কে আপনি অবগত আছেন। ঠিক এরকম ধ্বংশযজ্ঞ আরেকবার চলবে। সেইটা ধধ্যপ্রাচ্য দ্বারাই হোক অথবা রাশিয়ার দ্বারা হোক। আরো একবার ঘটবে।
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:৪৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ক্যাম্ব্রিয়ান বিস্ফোরণ নিয়ে না না মতোভেদ আছে, মানে এই প্রক্রিয়াটি ঠিক কিভাবে ঘটেছে তার বিভিন্ন ধরণের ব্যখ্যা রয়েছে এবং গবেষণা চলমান। কিন্তু যে সকল বিজ্ঞানীগণ ক্যাম্ব্রিয়ান বিস্ফোরণ নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন তারা কেউ'ই বিবর্তন তত্বকে নাকচ করে দেননি, বিবর্তন তত্ব ব্যতিত আরলি ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের প্রাণী বৈচিত্রের কোন কিছুই ব্যাখ্যা সম্ভব নয়। বিবর্তনের না না প্রক্রিয়া, ধরা উপধারা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের ব্যাখ্যা রয়েছে বা মতোভেদ রয়েছে কিন্তু বিবর্তন নিয়ে নয়।
যেমন- ইসলামের বিভিন্ন নিয়ম কানুনু, শাখা, উপশাখা নিয়ে ইসলামী স্কলারদের মধ্যে মতোভেদ থাকে কিন্তু ইসলাম নিয়ে নয়। ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেকের মতোভেদ থাকতেই পারে কিন্তু কোন মুসলিমই ইসলামকে নাকচ করে দেয় না, বিবর্তনের বিষয়টিও ঠিক তেমনই। আর বিজ্ঞান একটা চলামন প্রক্রিয়া না না পরীক্ষা নিরীক্ষা, যুক্তি তর্কের মাধ্যমে বিজ্ঞান এগিয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত একটি সিন্ধাতে উপনীত হয়, বিবর্তন তত্বও ঠিক এমনই এক সিন্ধান্তের ফসল, কিন্তু তাই বলে বিবর্তনের বিভিন্ন প্রকৃিয়া নিয়ে কোন মতোভেদ বা যুক্তি তর্ক করা যাবে না এমনটি নয়, বিবর্তনের কোন বিষয়ে মতোভেদ থাকলেই যে বিবর্তন ভুল এমনটিও নয়।
উইকিতে Cambrian explosion নিয়ে প্রচুর তথ্য পাবেন কিন্তু এর কোথাও বিবর্তন তত্বকে নাকচ করে দেয়া হয় নি।
আরও জানুন এখান থেকে: ক্যাম্ব্রিয়ান বিস্ফোরণ – প্রাণ ছড়িয়ে পড়লো ব্যাপক শক্তিতে
এই যে এখানে দেখুন বিবর্তনের উপর ভিত্তি করেই ক্যাম্ব্রিয়ান বিস্ফোরণ নিয়ে যুক্তি তর্ক করা হয়েছে Rapid Oxygen Changes Fueled an Explosion in Ancient Animal Diversity কিন্তু বিবর্তনকে নাকচ করে দেয়ার স্পর্ধা নি, বা কোন বাইবেলের বাণীও জুড়ে দিয়ে উপসংহার টানা হয় নি।
আজ পর্যন্ত কোন বৈজ্ঞানীক জার্নাল দেখাতে পারবেন যেখানে বিবর্তনের না না প্রকৃিয়া নিয়ে মতোভেদের কারণে পুরো বিবর্তনকেই নাকচ করে দিয়েছে? What Sparked the Cambrian Explosion?
কোন কিছু নাকচ করে দিতে হলে তার চেয়ে উত্তম কিছু হাজির করতে হয়, বাইবেলের বাণী দ্বারা কখনো বিজ্ঞানের কোন কিছু নাকচ হয় না। Solving Darwin's Cambrian puzzle
বিজ্ঞানকে মোকাবেলা করতে হবে বিজ্ঞান দ্বারা বাইবেল দ্বারা নয়। বিবর্তন তত্বের সহয়তা ছাড়া ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের একটি সিংগেল প্রাণীর জীবন রহস্যও কি ব্যখ্যা করতে পারবেন?
আপনি একজন জ্ঞানী মানুষ বিজ্ঞান নিয়ে পোস্ট করেন, কিন্তু আপনার কি ধারণা প্রি ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের সব এক কোষী প্রাণী ধ্বংস হয়ে ক্যাম্ব্রিয়ান যুগে হুট করেই জটিল সব প্রাণীর আবির্ভব হইছে? আপনি সত্যিই এটা মনে করেন?
বিজ্ঞানে প্রশ্ন থাকবেই, বিজ্ঞানের মূল শক্তিই হচ্ছে প্রশ্ন, বিজ্ঞান সবসময় প্রশ্নকে উৎসাহীত করে এবং ভুল ধরিয়ে দিতে পারলে পুরুষ্কৃত করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন করার উদ্দ্যেশই যদি থাকে বাইবেল প্রমাণ করা তাহলে তো হলো না, আমাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে বিজ্ঞান থেকে ধর্মগ্রন্থ থেকে নয়।
ধনব্যাদ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি লিখেছেন - উইকিতে Cambrian explosion নিয়ে প্রচুর তথ্য পাবেন কিন্তু এর কোথাও বিবর্তন তত্বকে নাকচ করে দেয়া হয় নি।
উইকিপিডিয়ায় ক্যামব্রিয়ান সমস্যার সাথে বিবর্তনবাদের সাথে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু পর্য াপ্ত কোন এ্যাভিডেন্স দেখাতে পারে নাই। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে লাইনটিকে 'citation needed' বা 'উদ্ধৃতির অভাব' বলে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। ([উদ্ধৃতি প্রয়োজন] তারা প্রমাণের আরও একটি লাইন প্রদান করে দেখায় যে ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণ একটি বাস্তব বৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব করে, এবং এটি একটি সংরক্ষণমূলক শিল্পকর্ম নয়।) উদ্ধৃতি যদি অভাব থাকে তাহলে এটি শিল্পকর্ম নয় বলে দেওয়ার কি যুক্থিযুক্ত কারন থাকে।? উইকপিডিয়ার কি সঠিক কোন তথ্য দিয়েূছে। প্রমানের ব্যাপক অভাব শেখ পর্যন্ত 'citation needed' কথাটি লিখে বোঝানোর বন্দোবস্ত করেছে। আপনি যদি 'citation needed' লিংকে যান আপনি পাবেন -To ensure that all Wikipedia content is verifiable, Wikipedia provides a means for anyone to question an uncited claim. If your work has been tagged, please provide a reliable source for the statement, and discuss if needed.
আপনি যাই বলুন ভাই বির্বতনবাদের প্রমানের ব্যাপক অভাব।
কারন ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সের জীববিজ্ঞানী লিন মার্গুলিস যেমন বলেছেন, “নতুন মিউটেশন নতুন প্রজাতি তৈরি করে না; তারা প্রতিবন্ধী সন্তান তৈরি করে।" একইভাবে, ফ্রেঞ্চ একাডেমি অফ সায়েন্সেসের অতীতের সভাপতি, পিয়েরে-পল গ্রাস, যুক্তি দিয়েছিলেন যে "মিউটেশনগুলির একটি খুব সীমিত 'গঠনমূলক ক্ষমতা' রয়েছে" কারণ "এগুলি যতই সংখ্যায় হোক না কেন, মিউটেশন কোনও ধরণের বিবর্তন তৈরি করে না।" বায়োকেমিস্ট ফ্র্যাঙ্কলিন হ্যারল্ড স্বীকার করেছেন: "বর্তমানে কোনো জৈব রাসায়নিক বা কোষীয় সিস্টেমের বিবর্তনের বিস্তারিত ডারউইনীয় বিবরণ নেই, শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের ইচ্ছাপূরণের অনুমান।"
ফিলিপ জনসন যেমনটা বললেন, প্রাণির পর্বসমূহ ধারাবাহিকভাবে বিকশিত না হয়ে একবারে, একইসাথে আভির্ভূত হয়েছে যার অনেকগুলোই পরে বিলুপ্তির শিকার হয়েছে। আর এ ধরণের ভিন্ন ভিন্ন জীবনরূপ আকস্মিক ও নিঁখুতভাবে দেখা দেওয়া থেকে এটাই বোঝা যায় যে এগুলোকে সৃষ্টি করা হয়েছে। সব বৈজ্ঞানিক সাক্ষ্য-প্রমাণ থেকে দেখা যায় যে প্রথম জীবিত সত্ত্বাসমূহের জন্ম ও বিকাশ বিবর্তিত হয়ে হয়নি। তারা একে অপর থেকে বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন প্রাণিতে পরিণত হয়নি। ক্যামব্রিয়ান জীবসমূহ কোন পূর্বপূরুষ ছাড়াই হঠাৎ করেই ইতিহাসের মঞ্চে হাজির হয়েছে। প্রাণী জগতের (Animal Kingdom) সব ধরণের মৌলিক কাঠামো ধারণকারী ৫৩০ মিলিয়ন বছর পূর্বের ক্যামব্রিয়ান জীবসমূহ বিবর্তন তত্ত্বকে পুরোপুরি খণ্ডণ করে দিচ্ছে। এই বাস্তিবতার মোকাবেলায় বিবর্তনবাদ বিদায় নিতে বাধ্য। দানব কচ্ছপের পিঠে পৃথিবীর অবস্থান বর্তমানে যেমন হাস্যকর, আগামী প্রজন্মের কাছে বিবর্তনবাদও তেমনি হাস্যকর ব্যাপারে পরিণত হবে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৫৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন:
বিজ্ঞানকে মোকাবেলা করতে হবে বিজ্ঞান দ্বারা বাইবেল দ্বারা নয়। বিবর্তন তত্বের সহয়তা ছাড়া ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের একটি সিংগেল প্রাণীর জীবন রহস্যও কি ব্যখ্যা করতে পারবেন? আপনি একজন জ্ঞানী মানুষ বিজ্ঞান নিয়ে পোস্ট করেন, কিন্তু আপনার কি ধারণা প্রি ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের সব এক কোষী প্রাণী ধ্বংস হয়ে ক্যাম্ব্রিয়ান যুগে হুট করেই জটিল সব প্রাণীর আবির্ভব হইছে? আপনি সত্যিই এটা মনে করেন? )
বিজ্ঞানে প্রশ্ন থাকবেই, বিজ্ঞানের মূল শক্তিই হচ্ছে প্রশ্ন, বিজ্ঞান সবসময় প্রশ্নকে উৎসাহীত করে এবং ভুল ধরিয়ে দিতে পারলে পুরুষ্কৃত করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন করার উদ্দ্যেশই যদি থাকে বাইবেল প্রমাণ করা তাহলে তো হলো না, আমাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে বিজ্ঞান থেকে ধর্মগ্রন্থ থেকে নয়।
আমি কিন্তু বাইবেলের উদ্ধুতি দিয়ে এখানে কোন প্রমান দিই নাই। আমি লিখেছি আল কোরআন নামক একটি ঐশি গ্রন্থ থেকে। বাইবেল আর আল কোরআনের পাথর্ক্য আপনাকে বুঝতে হবে। বাইবেলে যিশু খ্রিষ্টের মুখের কথা যা যিশু খ্রিষ্টের মৃত্যুর বহু বছর পর জন লুক ম্যাথিউ লিখেছিলো। মানুষের মুখের কথা বিবর্তিত হয়ে ভুলে ভরা হতেই পারে। যেমন উদাহরন স্বরুপ আমাদের হাদীসের কথা বলতে পারি। কিন্তু আল কোরআন সুচনা থেকে হাজার হাজার হাফেজ বা মুখস্তবিশারদ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকার কারনে তার ভূলের পরিমান নাই বললেই চলে। আপনি আল কোরআনকে গ্ল্প গ্রন্থ মনে করলেও আমরা তা মনে করি না কারন বিজ্ঞানের চিন্তার সাথে আল কোরআনের সাথে বিজ্ঞানের সামঞ্জস্যতাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এবার আসি আপনার প্রি ক্যামব্রিয়ান যুগের এক কোষি প্রাণি নিয়ে আপনি যা বললেন। এক কোষি প্রাণি সব ধ্বংশ হয়ে সব বহুকোষি প্রাণি সৃষ্টি হয়ে গেলো। কিন্তু আমি এধরনের কোন কথাই বলি নাই। বরং প্রশ্ন করতে পারি প্রিক্যামব্রিয়ান যুগে এক কোিষি প্রাণি আবির্ভাব হলো কি করে? বিবর্ত নবাদী বিজ্ঞানীদের কাছে এই প্রশ্নের কোন উত্তর নেই। বরং বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানী এখন প্রশ্ন হল এই প্রতিলিপি তৈরীকরণ ক্ষমতা ভারী অনুর মধ্যে কিভাবে আসে তার উত্তর আজকের বিজ্ঞানের কাছেও নেই। প্রকৃতিবাদী বিজ্ঞানীরা একে প্রকৃতির নির্দেশণা বা নিয়ম বলে চালিয়ে দিয়েছেন। একবার ভেবে দেখুন, প্রাণকোষস্থিত বায়ো অনু ছাড়া প্রকৃতিতে অন্যান্ন অসংখ্য বায়ো অণুর কোনটাই স্বতস্ফূর্তভাবে তাদের প্রতিলিপি তৈরী করতে পারেনা। কিন্ত কেনো প্রতিকৃতি তৈরী হয়? এ প্রশ্নের উত্তর দেয় আল কোরআন। নফস! নফস হলো প্রানের কারন। এটি একটি সফটও্য়্যার। কোষ নামক হার্ড্ওয়্যারকে পরিচালিত করে নফস নামক সফটওয়্যার।যা আরএনএ প্রতিবিম্ব ফেলে। প্রকৃত পক্ষে আর এন এ কিন্তু কোন প্রাণ কোষ নয়, এটি প্রাণকোষস্থিত একটি অনু। তা হলে আরও ধরে নিতে হবে যে, আর এন’র মধ্যেও বুদ্ধিদীপ্ত মস্তিস্ক রয়েছে যেটি চিন্তাভাবনা করে কোষ গঠনের বাকী অনুগুলোকে সংশ্লেষিত করে এক আদর্শ প্রাণকোষ গঠন করতে পারে। বিজ্ঞান কিন্তু এ কথা স্বীকার করেনা; এমন কি প্রকৃতিতে কোন চিন্তাশীল স্বত্তা আছে বলেও বিজ্ঞান স্বীকার করেনা। তাহলে যৌক্তিকভাবেই স্বীকার করতে হচ্ছে প্রকৃতিতে আপনা আপনি প্রতিতিলিপি করণ ক্ষমতা সম্পন্ন কোন বায়ো অনু সৃষ্টি হতে পারেনা। তার জন্যে প্রয়োজন নীল নকশা ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রয়োজনীয় নির্দেশ দান। এই নির্দেশ দান কেবল আরএনএ বা ডিএনএর উপর প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে। ঠিক যেনো লিখিত একটি সফট্ওয়্যার।
এবার আসি ক্যামব্রিয়ান যুগে যে যুগে বহুকোষি প্রাণির আবির্ভাব ঘটেছিলো। যখন মিউটেশন আবিস্কার হয় এবং দেখা যায় মিউটেশন প্রজাতির জিনে ক্ষতি সাধন করতে পারে তখন ডারউইনবাদকে জেনেটিক্সের সাথে মিশিয়ে নতুন সিনথেসিস করা হয় ১৯৪২ সালে, যার নাম নিও-ডারউইনিজম। এতে নেতৃত্ব দেন আর্নেস্ট মায়ার, থিওডসিয়াস ডবঝানস্কি, থমাস হাক্সলি প্রমুখ। নিও-ডারউইনিজমের মূল কথা- র্যান্ডম মিউটেশনের মধ্য দিয়ে প্রজাতিতে ভ্যারিয়েশন তৈরি হয় এবং ন্যাচারাল সিলেকশনের মধ্য দিয়ে ফেবরেবল ভ্যারিয়েশন বাছাই হয়। এভাবে মিলিয়ন বছরের ব্যবধানে একটি প্রজাতি আরেকটি প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু প্রোটিন গঠিত হয় ২০ ধরনের এমাইনো এসিড দিয়ে এবং প্রোটিনের গঠন খুবই স্পেসিফিক। ধরা যাক, দুটো এমাইনো এসিড পরস্পর পেপটাইড বন্ড দিয়ে যুক্ত হবে। তাহলে সম্ভাব্য সমাবেশ হতে পারে, ২০x২০ তথা ৪০০ ধরণের। তিনটি হলে ২০x২০x২০ তথা ৮০০০ ধরণের, ৪টি হলে ২০^৪ = ১৬০০০০ ধরণের। অথচ, কোষের ভিতর ছোট আকৃতির একটি কার্যকরী (ফাংশনাল) প্রোটিন গড়ে ১৫০টি এমাইনো এসিডের সমন্বয়ে তৈরি হয়। সুতরাং ১৫০ ঘরে বিন্যাস হবে ২০^১৫০ তথা ১০^১৯৫ ধরণের। যার মধ্যে খুব অল্প সংখ্যক বিন্যাসই কার্যকরী প্রোটিন গঠন করতে পারে। এই সংখ্যাটা কত বড় তা বুঝানোর জন্য বলা যায়, আমাদের দৃশ্যমান মহাবিশ্বে ১০^৮০টি মৌলিক কণা আছে এবং আমাদের মহাবিশ্বের বয়স ১০^১৬ সেকেন্ড। সুতরাং র্যান্ডম মিউটেশনের মধ্য দিয়ে কি প্রোটিন আসা সম্ভব?
এখানে মূল সমস্যাটি হল ডিএনএতে তথ্য যুক্ত করার সমস্যা। নিও-ডারউইনিস্টরা পপুলেশন জেনেটিক্স নামক ডিসিপ্লিন দিয়ে মিউটেশনের মাধ্যমে প্রজাতির জিনে নতুন ইনফরমেশন যুক্ত হওয়ার বিভিন্ন হিসেব নিকেষ কষে থাকেন। লেহাই ইউনিভার্সিটির বায়োকেমিস্ট্রির প্রফেসর মাইকেল বিহে এবং ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের ফিজিসিস্ট ডেভিড স্নোক পপুলেশন জেনেটিক্সের উপর ভিত্তি করে একটি প্রোটিনকে আরেকটি ন্যাচারালি সিলেকটেবল প্রোটিনে পরিণত করার জন্য প্রয়োজনীয় মিউটেশন এবং তা আসতে প্রয়োজনীয় সময় হিসেব করেন। তারা দেখেন যে একটি প্রোটিন-প্রোটিন ইন্টারেকশন সাইট থেকে আরেকটি প্রোটিন-প্রোটিন ইন্টারেকশন সাইট আসতে হলে একই সাথে কয়েকটি স্পেসিফিক মিউটেশন লাগবে (কমপ্লেক্স এডাপটেশন) এবং তারা হিসেব করে দেখান যে এর জন্য কমপক্ষে দুই বা ততোধিক মিউটেশন একই সাথে স্পেসিফিক সাইটে হতে হবে। বিহে এবং স্নোক বাস্তবিক উদাহরণের উপর ভিত্তি করে দেখান যে, পৃথিবীর বয়স সীমায় দুটি মিউটেশন একসাথে হতে পারে যদি স্পিসিসের পপুলেশন সাইজ অনেক বড় হয়। কিন্তু দুইয়ের অধিক মিউটেশন একসাথে প্রয়োজন হলে তা পৃথিবীর বয়স সীমাকে ছাড়িয়ে যায়।
নিও-ডারউইনিজমের বহু সীমাবদ্ধতাগুলো দেখতে পেয়ে অনেক বিজ্ঞানীই নতুন নতুন ইভলিউশনের মডেল দিতে শুরু করেছেন। ফসিল রেকর্ডের সীমাবদ্ধতাকে কেন্দ্র করে যেমন নাইলস এলড্রেজ এবং স্টিফেন জে গোল্ড ‘পাঙ্কচুয়েটেড ইকুইলিব্রিয়াম’ দাঁড় করিয়েছিলেন, তেমনি ‘পোস্ট-ডারউইনিয়ান ওয়ার্ল্ডে’ অন্যান্য বিজ্ঞানীরাও অন্যান্য ইভলিউশনারী মডেল প্রস্তাব করেছেন: এভো-ডেভো, সেল্ফঅর্গ্যানাইজেশন মডেল, এপিজেনেটিক ইনহেরিটেন্স, ন্যাচারাল জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি। কিন্তু কোন মডেলই কার্যকিরি নয়। আর কি বলবো ভাই।
৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:০৩
কাঁউটাল বলেছেন: মহাবিজ্ঞানী নিউটনের জনৈক নাস্তিক বন্ধু একদা তাঁহার গৃহে আগমন করিলেন। নিউটন তখন সৌরজগতের একখানা হাতে বানানো মডেল লইয়া গভীর চিন্তায় মগ্ন ছিলেন। নাস্তিক বন্ধু মডেল খানা খুবই পছন্দ করিলেন। তিনি জানিতে চাহিলেন মডেল খানা কে তৈয়ার করিয়াছে। মহাবিজ্ঞানী নিউটন চশমার কাঁচের উপর দিয়া তাকাইয়া উত্তর দিলেন "কেহ নহে, ইহা নিজে নিজেই তৈয়ার হইয়েছে"। নাস্তিক বন্ধু যার পর নাই বিরক্ত হইয়া বলিলেন, "মহাবিজ্ঞানী নিউটনের মত জ্ঞানী মানুষের মুখে এই প্রকারের বেওকুবি কথা শোভা পায় না"। নিউটন হাসিয়া উঠিলেন। অতঃপর বলিলেন, "কেন বন্ধু, তোমাদের নাস্তিকদের কথামত এই মহাবিশ্ব যদি নিজে নিজেই তৈয়ার হইয়া যাইতে পারে, তাহা হইলে সৌরজগতের সামান্য একখানা মডেল নিজে নিজে তৈয়ার হইতে সমস্যা কি?
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৩৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর একটা উদাহরন তুলে ধরার জন্য।
৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:১০
কাঁউটাল বলেছেন:
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৫১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিউটের ডাইরেক্টর রিচার্ড স্টার্নবার্গ (যিনি ইভলিউশনারী বায়োলজি ও সিস্টেমিক বায়োলজিতে দুটো পিএইচডিধারী) যখন স্টিফেন সি. মায়ারের ক্যামব্রিয়ান ইনফরমেশন এক্সপ্লোশন সংক্রান্ত একটি আর্টিকল ওয়াশিংটন বায়োলজি জার্নালে প্রকাশের সুযোগ করে দেন তখন নিও-ডারউইনিস্টরা তাকে ডিফেম করা শুরু করে, তাঁর উপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়, তাঁর বিরুদ্ধে মিস-ইনফরমেশন ক্যাম্পেইন চালানো হয়, যতক্ষণ না তাঁকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। অথচ তখনও পর্যন্ত ড. মায়ারের আর্টিকলের যৌক্তিক সমালোচনা করে কোনো আর্টিকেল জার্নালে ছাপানো হয়নি। এটাকে কি বিজ্ঞান বলে?
প্রতিহিংসা পরায়নতা। অথচ ড. স্টিফেন সি. মায়ার তাঁর বইয়ের শেষের দিকে এই বিষয়গুলোকে অ্যাড্রেস করে ‘ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন’কে প্রজাতির উৎপত্তির একটি মডেল হিসেবে কেন বিবেচনা করা যায় তার যুক্তিগুলো উপস্থাপন করার পাশাপাশি, নিও-ডারউইনিস্টদের সমালোচনাগুলোর জবাব দিয়েছেন। আমেরিকাতে গভার্নমেন্টের সমালোচনা করা গেলেও ডারউইনিজমের সমালোচনা করা যায় না, ঠিক যেমন আমাদের দেশে ডারউইনিজমের সমালোচনা করা গেলেও গভার্নমেন্টের সমালোচনা করা যায় না। মামলা ফামলা করে কি ধরনের বিক্রত যে করেঝে ভাই।
এই বিবর্তনবাদ নামের হিপ্রেক্রেসি একদিন শেষ হবেই। হবে হাস্যোরসের ইতিহাস।
৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৪৫
কাঁউটাল বলেছেন: স্টিফেন মেয়ার তো দেখি নিও-ডারউইনিজমের পুটু মেরে ঢিলা করে দিয়েচে।
১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৫৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সরি, বিষয়টি নিয়ে লং ডিসকাশনে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিবর্তনের যে সকল প্রক্রিয়া আপনার কাছে ভুল মনে হয়, উক্ত বিষয়ে আপনার নিজস্ব ব্যাখ্যা এবং যথেষ্ট প্রমাণাদি সহ কোন বৈজ্ঞানীক জার্নালে প্রকাশ করতে পারেন বিষটা সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীগণ খাতিয়ে দেখবেন। বিবর্তন বিষয়ে আপনি যদি নতুন কোন তথ্যের যথাযথ প্রমাণাদি হাজির করতে পারেন বা কোন সমস্যার সহজ সমাধান দিতে পারেন তাহলে তা বাংলাদেশের জন্য সুনাম হয়ে আনবে এবং জীব বিজ্ঞানে নতুন এক মাইল ফলকের উম্মোচন হবে। যে কেউ বিজ্ঞানের ভুল ধরতে পারে আর এভাবেই বিজ্ঞান এগিয়ে যায়।
এটা জেনে খুবই খুশি হালাম যে, অবশেষে তাহলে কুরআনেও বিবর্তনের প্রমাণ পাওয়া গেলো।
গুড লাক।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৫৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আল কোরআন একটি নিদীষ্ট সময়ের জন্য বিবর্তনকে স্বিকৃত দিয়েছে তারপর শুরু হয় আবার সৃষ্টি। দুরান্ত থেকে পৃথিবীতে সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে রহস্যময় প্রাণি যাদেরকে আমরা ফেরেস্তা বলি। প্রাণিজগতের জেনেটিক চেঞ্জ তাদের হাতেই।
১২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:০৮
কাঁউটাল বলেছেন: ৮ নম্বর কমেন্টের বিষয়ে জ্যাক স্মিথ কি বলে সেটার অপেক্ষায় ছিলাম, কিন্তু মনে হচ্ছে উনার ঝোল শেষ হয়ে গেছে।
১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৫৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: @কাঁউটাল - সব বিষয়েই জ্ঞান ঢালা আমার কম্ম নয়ে, বিবর্তনের মত জটিল একটি বিষয় নিয়ে তো অবশ্যই না, তাছাড়া আমি নিজেও জীববিজ্ঞানী না। তবে ক্যাচাল করার ইচ্ছে থাকলে উনার সাথে এই পোস্টে বছর খানেক ধরে ক্যাচাল চালিয়ে যেতে পারবো কিন্তু উহাতে পন্ডশ্রমই হবে মাত্র , তাই আমি উনাকে সরল পথ দেখিয়েছি।
@রাশিদুল ইসলাম লাবলু - প্রাণী জগৎ ব্যাখ্যা করার জন্য বিবর্তন হচ্ছে এখন পর্যন্ত পাওয়া সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম, হাজারো বিজ্ঞানীর শতবছরের নিরলস প্ররিশ্রমের ফসল হচ্ছে এই বিবর্তন, ডারউনের বিবর্তনের ধারাণা আর বর্তমানের বিবর্তনের মধ্যে রয়েছে বিস্তর তফাৎ। তবে এটা সত্য বিবর্তনের অনেক বিষয়ের যথাযথ এভিডেন্স এখনো পাওয়া যায় নি, অনেক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং বিবর্তন ক্রুটিমুক্তও নয়। সময়ের সাথে সাথে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।
আল কোরআন একটি নিদীষ্ট সময়ের জন্য বিবর্তনকে স্বিকৃত দিয়েছে তারপর শুরু হয় আবার সৃষ্টি। - কোরআন থেকে এর আগে পৃথিবীর অন্য কোন ইসলামী স্কলার বিবর্তন বের করেছে কি না তা আমার ঠিক জানা নেই। প্রথম কমেন্টে আমার লিখা যে পোস্টের লিংক দিয়েছি ওখানে বেশ কিছু মুসলিম বিজ্ঞানীগণ বিবর্তনের প্রাথমিক ধারণা দিয়ে গিয়েছেন যার পুরোটাই ছিল তাদের জেনারেল নলেজ বা তাদের নিজস্ব গবেষণা, তাদের কেউই কোরআন বা হাদিসের কোন রেফারেন্স টেফারেন্স দেন নি।
যা হোক- কোরআন থেকে আপনি যদি নতুন ধরণের কোন বিবর্তন পদ্ধতি পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনি জীববিদ্যা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সইয়েন্সটি জার্নালগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রাণীবিদ্যা সমন্ধে মনুষের রয়েছে হাজারো প্রশ্ন এবং হাজারো অজানা বিষয়, আশা করি বিবর্তন নিয়ে আপনার নতুন তথ্য বিজ্ঞান মহলে জন্য ফলপ্রসু হবে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৩০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: প্রাণী জগৎ ব্যাখ্যা করার জন্য বিবর্তন হচ্ছে এখন পর্যন্ত পাওয়া সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম, হাজারো বিজ্ঞানীর শতবছরের নিরলস প্ররিশ্রমের ফসল হচ্ছে এই বিবর্তন, ডারউনের বিবর্তনের ধারাণা আর বর্তমানের বিবর্তনের মধ্যে রয়েছে বিস্তর তফাৎ। তবে এটা সত্য বিবর্তনের অনেক বিষয়ের যথাযথ এভিডেন্স এখনো পাওয়া যায় নি, অনেক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং বিবর্তন ক্রুটিমুক্তও নয়। সময়ের সাথে সাথে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।
সর্বশেষ্ঠ মাধ্যম বলে আপনি ঘোষনা করছেন অথচ বলছেন প্রমান পাওয়া যায় নাই। আবার বলছেন বিবর্তন ত্রটিমুক্ত নয় অথচ কোন ত্রটিযুক্ত কোন প্রশ্নেরই আপনাদের কাছে কোন এ্যানসার নেই। বহু ত্রটি আছে। যেমন
আমাদের প্রকৃতির চারপাশে রয়েছে অবিশ্বাস্য বৈচিত্র্য ও সূক্ষ্ম জটিলতাপূর্ণ সৃষ্টিকর্ম। প্রত্যেকটি জীবই সূক্ষ্ম ফাংশন ও গঠনের সৃষ্টি। কোনো একটা প্রাণের একটা ফাংশন অনুপস্থিত থাকা, আংশিক বা অসম্পূর্ণ থাকা মানে প্রাণীটি ধ্বংস হওয়া ও বিপর্যস্ত হওয়া। কিন্তু বিবর্তনবাদীরা এই মহা সত্যকে কোটি কোটি বছরের কল্পনারস মিশ্রিত করে সত্য বলে চালানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যার বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলে। কয়েকটা পয়েন্টে বিবর্তনবাদ ও এর বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
১। সাইন্টিফিক রিসার্চ হিসট্রিতে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়না; non-living matter থেকে living organism সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বিবর্তনবাদীরা এই অবৈজ্ঞানিক বিশ্বাসকে আঁকড়ে রয়েছে। কারণ তাদের বিশ্বাস কোনো একসময় কোটি কোটি বছর ব্যবধানে তা সৃষ্টি হয়েছিলো। যা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি তা কোনো একটা অন্ধ প্রক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বাস করা অন্ধ বিশ্বাস ও অবৈজ্ঞানিক মতবাদ ছাড়া কিছুই না।
২। এখন পর্যন্ত কোনো জীব তার চেয়ে আরো জেনেটিক্যালি কমপ্লেক্স কোনো জীব জন্ম দেয়নি বা এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিবর্তনবাদীদের ধারণা কোনো একসময় ইহা সম্ভব হয়েছিলো। যদিও এখন পর্যন্ত জিনোমে নতুন কোনো ফাংশনাল তথ্য যোগ হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বরঞ্চ লস অফ ফাংশন পরিলক্ষিত হয়।
৩। সিঙ্গল সেল, মাল্টি সেল-এ বিবর্তিত হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পর্যবেক্ষিত হয়নি। কিন্তু বিবর্তনবাদীদের দাবী কোনো একসময় এমন ঘটনা ঘটেছিলো যা শুধুমাত্র অনুমান। যার বাস্তবতা ভিন্ন।
৪। এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণী এমন কিছু উদ্ভব বা জন্ম দেয়নি যা তার চেয়ে ভিন্ন অর্গানিজমের। বিবর্তনবাদীদের এটাও আরেকটি বিশ্বাস যা কোনো একসময় ঘটেছিলো। যদিও সাইন্টিফিক হিসট্রিতে এমন কোনো প্রমাণ নেই বা পর্যবেক্ষণ লব্ধ কোনো উপাত্তই নেই। বিবর্তনবাদীদের বিশ্বাস, কোটি কোটি বছরে গ্র্যাজুয়াল পরিবর্তনের মাধ্যমে লিজার্ড পরিবর্তিত হয়ে বার্ডে ও ফিস পরিবর্তিত হয়ে ম্যামল রূপ লাভ করেছে। কিন্তু বর্তমানেও এইসকল প্রাণীগুলো অসংখ্য রয়েছে কিন্তু তাদের কেউই একটা থেকে অন্যটাতে পরিবর্তিত হচ্ছেনা, গ্র্যাজুয়ালি পরিবর্তিত হচ্ছে এমন কোনো প্রমাণও পরিলক্ষিত হয়নি। তাহলে কি তাদের বিবর্তিত হওয়া বন্ধ হয়ে গেছে? বিবর্তনবাদ অনুযায়ী যোগ্যরা টিকে থাকবে এবং তারা অন্য প্রজাতিতে পরিবর্তিত হবে পূর্বের প্রাণীটি বিলুপ্ত হবে। যদিও অনেকে বলে থাকে এটা সবক্ষেত্রে
প্রযোজ্য নয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন নয়? অন্যান্য অনেক প্রাণী বিবর্তিত হয়েও তাদের পূর্ববর্তী প্রজাতি টিকে রয়েছে। সেক্ষেত্রে মানুষের অনেক পূর্বপুরুষ অল্পসময়ে কেন বিলুপ্ত হলো?
৫। সাইন্টিফিক হিসট্রিতে এমন কোনো প্রমাণ নেই যে, কোনো একটা পপুলেশনে কোনো একটা বেনিফিসিয়াল মিউটেশন লম্বা সময় ধরে কন্সট্যান্টলি ঘটছে যা উক্ত পপুলেশনকে অন্য কোনো পপুলেশনে পরিবর্তিত করে। বিবর্তনের জন্য এইসব মিউটেশন অতীত ও বর্তমানেও বিলিয়ন বিলিয়ন ঘটতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অব্জার্ভাবল প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
৬। শীতল-রক্ত বিশিষ্ট প্রাণীর জন্য এটা অসম্ভব যে, সে উষ্ণ-রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী জন্ম দিবে। কিন্তু বিবর্তনবাদীরা এটাও ফিশ টু ম্যামল ও লিজার্ড টু বার্ড থিওরি অনুযায়ী বিশ্বাস করে থাকে।
৭। এখন অবধি এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যে, উদ্ভিদ, প্রাণী বা প্রাণী, উদ্ভিদে বিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু বিবর্তনবাদীদের অন্ধ বিশ্বাসে এটাই সম্ভব বলেই বিবেচিত হয়ে আছে।
৮। মাকড়সার প্রাপ্ত ফসিল রেকর্ডস ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত থেকে জানা যায়, মাকড়সা প্রায় প্রথম অবস্থা থেকে জাল তৈরি করতে পারতো। তাহলে প্রশ্ন জাগে তারা এই কৌশল কিভাবে ও কার কাছ থেকে রপ্ত করেছিলো? এটা কি শুধুই বাই চান্স এর ফলে উদ্ভব ঘটেছিলো?
পরিশেষে, এমন অসংখ্য অন্ধ বিশ্বাসের সমষ্টি নিয়ে টিকে আছে বিবর্তনবাদ। বস্তুবাদী ও নাস্তিকবাদের ভিত্তি হিসেবে প্রচার হচ্ছে দাঁড় করানো হচ্ছে স্রষ্টার সৃষ্টিতত্ত্বের বিপক্ষে, অবিশ্বাস্য এই সৃষ্টিজগতকে ঢেলে দেয়া হচ্ছে কাকতালীয়তার অন্ধকূপে। কিন্তু তাদের এই অপচেষ্টা কখনই সফল হবেনা।
আল্লাহ'তালা এইসব ধোঁকাবাজদের উদ্দেশ্যে কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেছেন: "ইউখা-দি'ঊনাল্লা-হা ওয়াল্লাযীনা আ-মানূ ওয়ামা-ইয়াখদা'ঊনা ইল্লাআনফুছাহুম ওয়ামাইয়াশ'উরূন"। অর্থাৎ-- "আল্লাহ ও মুমিনগণকে তারা ধোকা দিতে চায় কিন্ত তারা নিজেদেরকে নিজেরাই ধোঁকা দেয়,অথচ তারা তা বুঝতে পারে না।"
১৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৫:৪০
কাঁউটাল বলেছেন: @জ্যাক স্মিথ, শুধু উনার সাথে কেন ক্যাচাল করতে চান? এইটা তো আর ইনবক্সের ক্যাচাল না। যেহেতু ওপেন ফোরামে এসে বিতর্ক আরম্ভ করেছেন, অতএব যে কেউ কোন পয়েন্ট উঠাইতে পারে, এবং আপনি যদি ধানাই পানাই করে পাশ কাটিয়ে যান তাহলে বুঝতে হবে আপনার কনসেপ্টে সমস্যা আছে, শুধুমাত্র গায়ের জোরে ক্যাচাল করাই আপনার কাজ।
সৎ সাহস থাকলে ৮ নম্বর কমেন্টে পোষ্ট করা ভিডিওতে স্টিফেন মেয়ার যেই যুক্তিগুলো দিছে, তার কাউন্টার আর্গুমেন্ট নিয়ে আসেন। দেখি, আপনার এবং আপনার গোত্রের লোকজনের দৌড়ানোর দম কতদুর।
১৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:১১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মিঃ কাউন্টাল - আপনি উনার ভিডিও থেকে কি বুঝছেন তা নিয়ে আলাদা একটি পোস্ট করেন। ৮ নাম্বার কমেন্টের উক্ত ভিডিওটি আমি দেখইনি। ধরে নিলাম উক্ত ভিডিওতে উনি ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন প্রামাণ করে বিবর্তন তত্বকে সম্পূর্ণ ভুল এবং ভুয়া প্রমাণ করে দিয়েছেন; সেক্ষেত্রে কিন্তু উক্ত ভিডিওটি এই পোস্টের সাথে কনফ্লিক্ট করে - কারণ, এই পোস্টের লেখক নিজেও বিবর্তন সাপোর্ট করেন, তবে অন্য সবার মত উনারও বিবর্তনের বিভিন্ন ধাপ এবং প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে যা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু পোস্টের শিরোনামটি আমার ঠিক পছন্দ হয় নি, যেহেতু লেখক নিজেই বিবর্তন সাপোর্ট করেন, কুরআনেও বিবর্তনের প্রমাণ পাওয়া গেছে, বহু আগেই মুসলিম বিজ্ঞানীগণ বিবর্তনের প্রথামিক ধারণা দিয়ে গিয়েছেন, বর্তমানের বহু ইসলামি স্কলারগণ বিবর্তন সাপোর্ট করেন, এত কিছুর পরেও পোস্টের এ ধরণের শিরোনাম দেওয়ার উদ্দ্যেশ্য কি তা আমার বোধগম্য নয়।
আমি আবারও বলছি. বিবর্তনের নানা ধাপ এবং প্রক্রিয়া নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই এ ধরণের কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, বিজ্ঞানে প্রশ্ন থাকাটাই স্বাভাবকি। সময়ের সাথে সাথে অনেক রহস্যের জট খুলে যাবে।
৮ নাম্বার কমেন্টের ভিডিওটি আমি দেখিনি তার মানে এই না যে আমি বিবর্তনের বিরুদ্ধে আর্গুমেন্টগুলো জানিনা।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বাইবেল দ্বারা বহু আগে বিবর্তনকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন, বিবর্তনকে কাউন্টার দেয়ার জন্য তারা ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন নামে মনগড়া এক ধারণার প্রবর্তন করেছেন। কিন্তু এসব তাদের কল্পনা মাত্র এগুলো বিজ্ঞান নয়।
বাই দ্যা ওয়ে- - খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের অপবিজ্ঞান, আর্গুমেন্ট যুক্তি তর্ক নিয়ে মুসলিমদের টানাটানি করা হাস্যকর হয়ে গলো না? এটা কি বাইবেল অনুসারীদের পোস্ট?
ধন্যবাদ।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:৩৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ জ্যাক স্মিথ, কারণ, এই পোস্টের লেখক নিজেও বিবর্তন সাপোর্ট করেন, তবে অন্য সবার মত উনারও বিবর্তনের বিভিন্ন ধাপ এবং প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে যা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু পোস্টের শিরোনামটি আমার ঠিক পছন্দ হয় নি, যেহেতু লেখক নিজেই বিবর্তন সাপোর্ট করেন, কুরআনেও বিবর্তনের প্রমাণ পাওয়া গেছে
ভাই আমি বিবর্তন সাপোর্ট করি। কিন্তু ঠিক ততটুকু বিবর্তন সাপোর্ট করি যতটুকু বিবর্তন পৃথিবীতে ঘটে। কিন্তু বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানীদের দৃষ্টিভঙ্গিতে এক কোষি প্রাণি থেকে মানুষ পর্যন্ত যে বিবর্তনের গল্প বলা হয়েছে তা আমি বিশ্বাস করি না। ডিএনএ অনুলিপনে দেখা যাচ্ছে, একেকটা এনজাইম একেকটা বুদ্ধিমান মাইন্ড হিসেবে কাজ করছে। আমাদের জিনোমে প্রায় ৬.৫ বিলিয়ন ডিএনএ বেস পেয়ারস রয়েছে। কোন একটা সেল ডিভিশনের সময় ডিএনএ-কে নির্ভুল ও দ্রুততার সাথে অনুলিপন কার্য সম্পন্ন করতে হয়। যদি অনুলিপনের সময় একটু ভুলও হয় তাহলে ক্যান্সারের মত রোগের সৃষ্টি হতে পারে। একটু চিন্তা করলেও বুঝা সম্ভব এমন একটা জটিল প্রসেস কোনো দৈবাৎ ঘটনা হতে পারে না। এখানে একটা নিয়মের অধীন প্রসেসটা সংঘটিত হচ্ছে। এমন জটিল প্রসেস কি দৈবাৎ ঘটতে পারে? এনজাইমগুলো কি কোনো অন্ধ ও দৈবাৎ প্রক্রিয়া নিজের কাজ সম্পন্ন করার কমান্ড পাচ্ছে? অবশ্যই না। এমন জটিল প্রসেস অবশ্যই কেউ একজন নির্ধারণ করেছেন। এমন অসংখ্য জটিল ও সূক্ষ্ম কাজ সংঘটিত হচ্ছে জীব সেলে ও সৃষ্টি সমূহে। তাই সৃষ্টি জগত কোন দৈবাৎ বা র্যান্ডম প্রসেস নয়, সবকিছু ডিজাইনের সমষ্টি। সুতরাং যে বিবর্তনবাদ আমাদের দৈবাৎ সৃষ্টির বিষয় শিক্ষা দেয় সেই দৈবাৎ বিবর্তনবাদ আমরা মানতে পারি না। বর্তমান ও পূর্ব ডাটার প্রাপ্ত তথ্যাদি থেকে এটা প্রায় নিশ্চিত যে, জড়বস্তু থেকে কেমিকেল ইভল্যুশন অসম্ভব। তাই অনেক নাস্তিক ও বস্তুবাদীরা প্রাণের উৎপত্তির বিষয়টি চতুরতার সাথে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রাণের উৎপত্তি ছাড়া বিবর্তন অসম্ভব ও বিবর্তনবাদ অসম্পূর্ণ। প্রাণের উৎপত্তি এতটাই জটিল যে, নাস্তিকদের শিরোমণি ও ত্যাড়া বিজ্ঞানী ডকিন্সও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে, প্রাণ সৃষ্টির পিছনে রয়েছে ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনার। তাই বরাবরের মত নাস্তিকদের বলবো, নিজের ব্রেইন ভাড়া না দিয়ে সঠিক চিন্তা করুন ও সত্যকে স্বীকার করুন।
বিবর্থন এর নিদীষ্ট একটি সীমারেখা আছে সেই সময় পর্যন্ত বিবর্তন ঘটতে থাকে। বিভিন্ন উপশ্রেণি সৃষ্টি হয় তাদের মধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বিভিন্ন উপশ্রেণি টিকে যায়। আর বেশিরভাগ ধ্বংশ হয়ে যায়। যে কোন উপশ্রেণি থেকে আবার সৃষ্টি শুরু হয়। কিন্তু সৃষ্টিটা কিভাবে সম্ভব? আমি আমার পরবর্তী পর্বে বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনার প্রশ্ন আমাকে এ্যানসার দিতে বাধ্য করছে। কিন্তু ব্যাস্ততার কারনে আমি আজ আপনার প্রশ্নর এ্যানসার দিতে পারবো না। সংক্ষেপে একটা অংশ নিয়ে বিষয়টা আলোচনা করা যাক, একটি স্টেবল অ্যাটিমকে বলা হয় অকটেট। যার সর্ববহিঃস্থস্তরের Valence shell-এ রয়েছে ৮টি ইলেকট্রন, অপরদিকে একটি কার্বন পরমাণুর সর্ববহিঃস্থস্তরের valence shell-এ রয়েছে ৪টি ইলেকট্রন, যা একটি মাল্টিপ্লিসিটি অপসরণশীল পরমাণুর সাথে বন্ধন তৈরি করতে পারে। তারপর কার্বন নন বায়োলজিক্যাল ন্যাচারের পরমাণুর সাথে যুক্ত হতে পারে, কিন্তু অরিজিন অফ লাইফ নন স্পেসিফিসিটি থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডিএনএ-তে ফসফেট, নাইট্রোজেন ইত্যাদি শুধুমাত্র তাদের সাথেই বন্ধনে যুক্তি হয় না বরং তারা নন বায়োলজিক্যাল পরমাণুর সাথেও যুক্ত হতে পারে। তাই ন্যাচার কেমিস্ট্রি শুধু মাত্র বায়োলজিক্যালি সম্পর্কযুক্ত মলিকুলস-এর সাথে সংযুক্তি স্থির করেনা। এটা স্বাভাবিক যে, বিক্রিয়ক সম্পর্কযুক্ত পদার্থসমূহ একে অপরের সাথে স্বাভাবিকভাবেই পরস্পর বন্ধনে যুক্ত হবে কিন্তু এটা পূর্ব নির্দিষ্ট বা প্রবণ নয় যে, শুধুমাত্র তারাই পরস্পর যুক্ত হবে। কারণ ক্রোস রিয়েকশন ঘটতে পারে ও ইন্টারফেয়ার করতে পারবে যদি তারা পরস্পর সন্নিকটে আসে। ইহা একটি বড় কেমিকেল ইন্টারফেয়ারেন্স সমস্যা যা ডারউইন ও ডারউইনবাদীরা এড়িয়ে চলে।
ডারউইনবাদীদের এই এডিয়ে চলা বিষয়টির সমাধান দেয় রুহু নামক একটি প্রোগ্রামিং।সিষ্টেম। রুহু নিয়ে সামান্য অবতারনা করি।যদি আপনার ইচ্ছা থাকে শোনার। আমি পূর্বেই বলেছে প্রানিকুল রিটেনকৃত একটি সিস্টেম দ্বারা গঠিত যা প্রোগ্রমিং করুন। যেমন ধরুন আমি উদাহরন দিই মানব দেহের আর এন এ এবং ডিএনএ। দুইটি বিষয় দুই রকম প্রোগ্রামিং। আরএনএ এককোষি প্রাণিতে থাকে ডিএনএ বহুকোষি প্রাণিতে থাকে। নফস হলো প্রোগ্রামকৃত এমনই একটি বিষয় যা চেতনা সুষ্টি করে প্রতিটি কোষে। কিন্তু অসংখ্য প্রাণ বা অসংখ্য এককোষি প্রাণিকে ঐক্যবদ্ধ করে বহুকোষি প্রাণ সৃষ্টি করতে হয় তখন আলাদা প্রোগ্রামিং এর প্রয়োজন। সেই আধুনিক প্রোগ্রামিং টাই হলো রুহু। ঠিক যেমন বহুকোষি প্রাণি সৃষ্টিতে ডিএন্এর আর্বিভাব ঘটেছে। নফস এমন একটি প্রোগ্রামিং যা শুধুমাত্র বায়ো এটমে থাকে চেতনা সৃষ্টি করে। কিন্তু আধুনিক প্রাণি দেহে রুহু সকল নফসের ঐক্যমিলনের প্রসেসিং করে। রুহু বায়ো অনু সহ সকল অনুকে কানেক্ট করতে পারে রুহু। যেমন ডিএনএ পারে। আর এন এ ও ডিএনএ এর সাথে নফস ও রুহু একটি ঐক্যমিল আছে যা আপনি বস্তুকেন্দ্রিক পারেন। কিন্তু এর বাইরে যা আছে তা আমরা বুঝতে পারি না। এতটুকু এখন বুজেছি মানবদেহ থেকে এক ধরনের
ইলেকট্রম্যাগনেটিখ ওয়েভ বেরোয়। এই ওয়েভ কোনো রেরোয়? তার কাজ কি মানব দেহে। একটি সাইন্স র্জানালে বলছে “ Different people at different times give off different amounts of radiation. But these differences just indicate who is hotter, and not who is fatter, taller, sadder, or more saintly.” বোঝেন মানব দেহের ওয়েভ গবেষনা করে বোঝা যায় মানুষ অপরাধী কিনা? মানবদেহ থেকে ইলেকট্রম্যাগনেটিক ওয়েভের গবেষনা অনেক বেশি এ্যাডভান্স করলে বোঝা যাবে রুহ সংক্রান্ত বিষয়টির বাস্তবাতা। আমরা কতটুকুই বা জেনেছি বলেন।
বহুকোষি প্রাণি সৃষ্টির জন্য রুহু নামক বিষয়টির সৃষ্টির প্রথম প্রয়োজন ছিলো। রুহু হলো বেহুকোষি প্রাণ চালানোর অপারেটিয় সিষ্টেম। আল কোরআন রুহুকে সৃষ্টিশীল বিষয়ই বলছে। “ রুহ এবং উহাকে সুগঠিতরুপে সুষ্টিকারীর শপথ’। ” (সুরা শামস:৭-৮) তাহলে প্রশ্ন রুহু কি আল কোরআন কি বলে?
‘হে মুহাম্মদ উহারা তোমাকে রুহু সম্পর্কে প্রশ্ন করে, তুমি উহাদের বল রুহু একটি আদেশ ঘটিত ব্যাপার এ সম্পর্কে তোমাদের সামান্যই জ্ঞান দেওয়া হয়েছে।” আদেশঘটিত বিষয়টি কি আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করি। এককথায় মানবদেহের অপাটিং সিষ্টিম। উদাহরন দিয়ে বোঝায় যেমন শরীরে মশা কামড়াচ্ছে মস্তিস্ক হাতকে আদেশ করলো হাত তুমি মশাকে আঘাত কর, আর অমনি হাত এসে মশার উপর আঘাত করলো। এই যে স্বল্প সময়ে মানুষের মানসিক ক্রিয়া টার প্রভাব এক সুক্ষ কমান্ডিং প্রকিয়ার মাধ্যমে ঘটে। দেহ অভ্যন্তরে এই কমান্ডিং বিষয়টাই মন বা রুহু। মানুষের সকল অনুভ’তী সমূহ বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের প্রভাবে ঘটলেও মস্তিস্কে পৌছায় স্নায়ু স্পন্দন মাত্র। এতেই মস্তিস্ক বুঝে যায় এটা কি জাতীয় মানসিক ক্রিয়া। মানুষ জ্ঞানের প্রধান অংশ হলো অনুভূতি। বিভিন্ন তরঙ্গই মানবদেহে অনুভ’তী সৃষ্টি করে। বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ আমাদের অক্ষিপটে আঘাত করে। অথচ মস্তিস্কে পৌছায় স্নায়ু স্পন্দন মাত্র। এই স্নায়ু স্পন্দনই আমাদের মধ্যে বিভিন্ন অনুভ’তী সৃষ্টি করে। কখনও দৃষ্টির অনুভ’তী সৃষ্টি করে, দেহপটে আঘাতের অনুভ’তী সহ সুখ দুঃখ ভালবাসা কষ্ট ভালোলাগা, কখনও খাবারের স্বাদ, কোন কিছুর গন্ধ। এসকল অনুভ’তী সমূহ বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের প্রভাবে ঘটলেও মস্তিস্কে পৌছায় স্নায়ু স্পন্দন। এতেই মস্তিস্ক বুঝে যায় এটা কি জাতীয় মানসিক ক্রিয়া। ফলে মানুষ অনুভ’তী উপলদ্ধি করে থাকে। এসকল মানসিক ক্রিয়াগুলোই মনের কর্মকান্ডের মধ্যে পড়ে এবং এটিই আদেশ ঘটিত ক্রিয়া। আবার প্রতিটা মানুষের মস্তিস্ক এক জাতীয় তরঙ্গ প্রেরণ করে না অথবা প্রতিটিা মানুষের মস্তিস্ক তরঙ্গ এক রকম নয়। প্রতিটা মানুষ ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গ প্রেরণ করে। প্রতিটা মানুষের মস্তিস্ক তরঙ্গ ভিন্ন হিসাব করে ইদানিং বিজ্ঞানীরা মানুষের এই মস্তিস্ক তরঙ্গকে পার্সওয়াড হিসেবে চিন্তা করছে। আমেরিকান বিজ্ঞানী Dr Stuart Hameroff এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানী Sir Roger Penrose একটি তত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তারা ধারনা করছেন মানুষের মস্তিস্কের সেলের স্নায়ুনালীর মধ্যে কিছু অবস্থান করেন। মানুষের মস্তিস্ক একটি জৈব কম্পিউটার যা ১০০ মিলিয়ন নালীকা বা স্নায়ুকোষের লম্বা সুতোর মতো যে অঙ্গের মাধ্যমে কোষ থেকে স্পন্দন পরিবাহিত হয় সেখানেই তথ্য নেটওয়ার্ক কার্যক্ষম হয় ।মানষে যখন মৃত্যু পথযাত্রী হয় তখন কোয়ান্টাম মহাকর্ষ এর প্রভাবে কোয়ান্টাম ক্ষেত্রটি থাকেনা।
ভাই আমি রুহু নিয়ে অনেক বড় বুলি আওলালাম। প্রানিজগতের অপারেটিং সিষ্টেম। আজ আর লিখতে পারলাম না। াাল্পতে আমি বোঝাতে পারি না। আগামীকাল আমি ইনশাল্লাহ বোঝাবো বহুকোষি বিবর্তন শেষে আবার নুতন বডি স্টাকচার নির্মানে রুহু কি করে অবদান রাখে। দুর দুরান্ত থেকে অন্য রকম প্রাণিরা সৃষ্টির সময় বিভিন্ন ধাপে পৃথিবীতে এসেছিলো ( তাদের আপনি ফেরেস্তা বলেন (কোন ক্ষেত্রে রুহানী ফেরেস্তা) বা অন্য ধর্মের ভাষায় দেবতা বলেন যাই বলেন ভাই)। তারাই নিয়ে এসেছিলো অপারেটিং সিস্টেমের ভিন্নতা এবং ভিন্ন ভিন্ন বডি স্টাকচারের ডিজাইন নতুন নতুন জেনিটিক পরিক্রমা। একটি গান আছে না মন আমার দেহ সন্ধান করি বানাইয়াছে কোন মিস্ত্রি একটি চাবি মাইরা দিছে ঘুইরা জনম জনম ঘুরতাছে। একেকবার চাবি মাইরা গেছে ভিন্ন ভিন্ন বডি স্টাকচার থেরী হইছে। হইছে বিবর্তন । বিবর্তন যখন থেমেছে আবার দিয়ে চাবি শুরু হইছে নতুন নতুন বডি স্টাকচার। এভাবে চলেছে েএক্সপেরিমেন্ট। আগামীকাল ইনশাল্লাহ লিখবো। লিখে শেষ করতে পারি নাই।ভাই ব্যবসায়ী মানুষ ব্যপক ব্যাস্ত থাকি।
ভাই আমাকে ক্ষমা করবেন আজ আমি রুহুতেই থাকলাম শেষ করতে পারলাম না। আগামীকাল শেষে করবো। সৃষ্টি বির্বতন ধ্বংশ আবার সৃষ্টি বিবর্তন ধ্বংশের যে এক্সপেরিমেন্ট।
১৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
কাঁউটাল বলেছেন: ধরে নিলাম উক্ত ভিডিওতে উনি ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন প্রামাণ করে বিবর্তন তত্বকে সম্পূর্ণ ভুল এবং ভুয়া প্রমাণ করে দিয়েছেন; সেক্ষেত্রে কিন্তু উক্ত ভিডিওটি এই পোস্টের সাথে কনফ্লিক্ট করে
ধরে নিতেছেন কেন?
ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন বিবর্তন তত্বকে "সম্পূর্ণ" ভুল এবং ভুয়া প্রমাণ করে -- এই কথা কই পাইলেন?
(আগের কমেন্ট ইগনোর করেন, টেক্সট মিসিং হইছে)
১৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
নিমো বলেছেন: @জ্যাক স্মিথ, অন্য সময় আব্রাহামের বংশধরেরা নিহেীা পিটাপিটি করলেও, বিবর্তনের বেলায়, একই তাবুতে বসে আন্ডা পরোটা খায়। হা- হা! হা-হা!
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আল কোরআন বলে “ উহারা তো কেবল অনুমানেই বিশ্বাস করে”। সুতরাং আব্রাহামের বংশধরেরা রুপকথার গল্প মানে না। তাই বিবর্তনের বেলায় এক।
১৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:৪১
কাঁউটাল বলেছেন: জ্যাক স্মিথ বা ডারউইনবাদি বা এই ধরণের লোকজনের সমস্যা হইল "ধরে নেওয়া"।
এখন পর্যন্ত আমি যতটুকু বুঝছি সেইটা বলি:
-----------------------------------------------
ডারউইনবাদের মূলতঃ দুই সমস্যা, দুই যায়গায় ডারউইন এবং উহার "বাদি"রা দুইটা মূল বিষয় "ধরে নিছে"
১) প্রাণহীন অবস্থা থেকে নতুন প্রাণ নিজে নিজে তৈরী হওয়া
২) ন্যাচেরাল সিলেকশন নামে একটা ধীর গতির প্রকৃয়া বিবর্তনকে ড্রাইভ করে
প্রথম বিষয়টা পুরাটাই "ধরে নেওয়া" বিষয়। জ্যাক স্মিথ বা উহার মত লোকেরা যতই বলুক বিবর্তন একটা "প্রমানিত" বিষয়, এইটা নিয়া নতুন কইরা টানা হ্যাঁচড়া করার দরকার নাই, উহাদের কথা ভুয়া, কারণ "ধরে-নেওয়া" বিষয় তো ধরে নেওয়াই, যতক্ষন পর্যন্ত এইটা সত্যি সত্যি প্রমান না হবে, পাবলিক এইটা নিয়া আরগুমেন্ট করতেই থাকবে।
২য় বিষয়টা (ন্যাচেরাল সিলেকশন নামে একটা ধীর গতির প্রকৃয়া) ক্যামব্রিয়ান এক্সপ্লোশন ব্যখ্যা করার জন্য উপযুক্ত না। কারণ ক্যামব্রিয়ান এক্সপ্লোশনের গতি অনেক বেশি, এইজন্যই এইটার নামের সাথে এক্সপ্লোশন শব্দটা আছে, মানে বিষ্ফোরণ। এরকম বিষ্ফোরণ নাকি আরও হইছে, ফসিল রেকর্ড নাকি সেইটাই বলতেছে। কাজেই ডারউইনবাদিদের ন্যাচেরাল সিলেকশন এই যায়গা ব্যখ্যা করার জন্য যথেষ্ট না।
এর পরে আরও প্যাঁচ লাগছে যখন জিনেটিক্স এর বিষয়ে মানুষের জ্ঞান বাড়ছে। ডিএনএর ভিতরে ইনফরমেশন কোড করা থাকে এবং সেই ইনফরমেশন অনুযায়ী একটা জীবের আকৃতি, প্রকৃতি নির্ধারিত হয় - এই বিষয়টা সামনে আসছে। মেয়ারের প্রশ্ন হইল, ইনফরমেশন নিজে নিজে তৈরি হয় ক্যামনে? বিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন সমুদ্রের ঢেউ এর মত random ইভেন্টের পক্ষে যেমন বালুর বিচের উপরে একটা অর্থপূর্ন কবিতা বা বাক্য লেখা সম্ভব না, সেই একই ভাবে জিনেটিক ইনফরমেশন, যা কবিতা বা বাক্যের চেয়েও অনেক অনেক গুন জটিল, নিজে নিজে random ইভেন্টের মাধ্যমে (১) তৈরী হওয়া এবং (২) পরিবর্তিত হওয়া অসম্ভব।
এই দুইটা বিষয় ডারউইনবাদিরা এখন ব্যাখ্যা করতে পারতেছে না কিন্তু তারপরেও এদের অদৃশ্য তালগাছে ত্যানা পেঁচিয়েই যাচ্ছে।
ডারউইনবাদের আসলে মৃত্যু হয়ে গেছে। জ্যাকস্মিথরা যতই গায়ের জোরে ডারউইনবাদের পক্ষে নর্তন কুর্দন করুন। উহাদের পায়ের নিচে আসলে মাটি নাই। এইজন্যই স্টিফেন মেয়ারের (৮- নম্বর কমেন্টের) ভিডিওটা দেখতে জ্যাকস্মিথ ভয় পাচ্ছে। সে সত্যের মুখোমুখি হতে চাচ্ছে না।
১৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৩৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ জ্যাক স্মিথ, আপনি লিখেছেন, এই পোস্টের লেখক নিজেও বিবর্তন সাপোর্ট করেন, তবে অন্য সবার মত উনারও বিবর্তনের বিভিন্ন ধাপ এবং প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে যা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু পোস্টের শিরোনামটি আমার ঠিক পছন্দ হয় নি, নামকরন নিয়ে আপনার এহেন অভিযোগের কারন বুঝলাম না। আমি তো বিবর্তনের পক্ষে এই লেখাটি লিখি নাই। বরং বিবর্থনবাদী জীববিজ্ঞানীদের ধ্যান ধারনার বিরোধীতায় করেছি। আমি আমার লেখার শিরোনামটি করেছি “ বিবর্তনবাদের মুখোশে অপশক্তির ছায়া”। খুবই স্বাভাবিক। বিবর্তনবাদীরা বিবর্তনবিরোধী শিবিরের যে ক্ষতিটা না করেছে। একজন সুস্থ মস্তিস্কের মানুষ এমনটি চিন্তুাও করতে পারে না। আমি কাউটালের কমেন্টে বলেছিলাম। আপনিও শোনেন। স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিউটের ডাইরেক্টর রিচার্ড স্টার্নবার্গ (যিনি ইভলিউশনারী বায়োলজি ও সিস্টেমিক বায়োলজিতে দুটো পিএইচডিধারী) যখন স্টিফেন সি. মায়ারের ক্যামব্রিয়ান ইনফরমেশন এক্সপ্লোশন সংক্রান্ত একটি আর্টিকল ওয়াশিংটন বায়োলজি জার্নালে প্রকাশের সুযোগ করে দেন তখন নিও-ডারউইনিস্টরা তাকে ডিফেম করা শুরু করে, তাঁর উপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়, তাঁর বিরুদ্ধে মিস-ইনফরমেশন ক্যাম্পেইন চালানো হয়, যতক্ষণ না তাঁকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। মানুষটি ড। মায়ারকে সুযোগ দিয়ে চাকরী হারালেন। এটি তো কোন বিষয় হলো না! বিজ্ঞান তো যে কোন পয়েন্টের প্রশ্নের এ্যানসার দেওয়ার জনা প্রস্তুত থাকে। তাহলে ড। মায়ারের এই আর্টি কেল প্রকাশে তারা এমনটি করলো কেনো? শুধু তাই নয় যে সকল জীববিজ্ঞানী ড। মায়ারের পক্ষে অবস্তান নিয়েছেলেন তাদের সবাইকে হুমকি ধামকি দিতে পিছপা হন নাই। জীব বিজ্ঞানী চাকরী হারানোর ভয়ে মুখ বন্ধ রাখলেন। কিন্তু সত্য তো চাপা থাকে না। ধুমকেতুর মতো ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন বিশ্বে ছড়িয়ে গেলো। ইন্টেলিজেন্ট প্রবক্তাদের সহায়তায় তখন এগিয়ে এসেছিলো বাইবেল অনুসারীগণ। এখানেও বিপদ ছড়িয়ে পড়লো। মামলা হলো হুমকি ধামকি কম হয় নাই। আমেরিকান গর্ভমেন্ট এগিয়ে এলো বির্বতনবাদীদের পক্ষে। ফলে খ্রীস্টান পোপ ঘোষনা দিলেন বিবর্ত
নবাদের মধ্য দিয়ে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। ঈশ্বর এভাবেই সৃষ্টি করতে চেয়েছেন। সরকারের রোষানলে পড়লেন ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের প্রবক্তাগন তাদের মুখ শক্তি প্রয়োগ করে বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হলো। এটিকে কি শক্তি বলে নাকি অপশক্তি বলে?
আমরা যারা জ্ঞান বিজ্ঞান জানতে চাই। তারা সঠিক জ্ঞান জানবো? এসকল নোংরামী গোড়ামী মৌলবাদী আচরন কেনো বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ঘটবে। যে কেউ তার মন্তব্য প্রকাশ করতে পারে। সত্য কি মিথ্যা সেটা জনতা ঠিক করবে। আজও পর্যন্ত বিবর্তনবাদীরা ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের প্রবক্তাদের কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নাই। এমনকি তখনও পর্যন্ত ড. মায়ারের আর্টিকলের যৌক্তিক সমালোচনা করে কোনো আর্টিকেল জার্নালে ছাপানো হয়নি। আপনার বিবর্তনবাদ যদি সত্যিই ফ্যাক্ট হয়ে থাকে তাহলে প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে সঠিক সত্যের সমাগত করুন। নোংরা পলিসি খাটান কেনো? ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তত্ত্বকে প্রতিষ্টিত করতে চান কেনো? আসুন ওপেন সিক্রেট। চাকরী হারানোর ভয়, সরকারের মাধ্যমে ভয় এগুলোকে কি বিজ্ঞান বলে? আমেরিকাতে গভার্নমেন্টের সমালোচনা করা গেলেও ডারউইনিজমের সমালোচনা করা যায় না, ঠিক যেমন আমাদের দেশে ডারউইনিজমের সমালোচনা করা গেলেও গভার্নমেন্টের সমালোচনা করা যায় না সেই আমেরিকাতে কি সঠিক সত্য সঠিক বিজ্ঞান প্রকাশ হওয়া সম্ভব? বর্তমানে আমেরিকা নামক এই অপশক্তিরই ছায়া দেখা যাচ্ছে বিবর্তনবাদে।
অথচ ড. স্টিফেন সি. মায়ার তাঁর বইয়ের শেষের দিকে এই বিষয়গুলোকে অ্যাড্রেস করে ‘ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন’কে প্রজাতির উৎপত্তির একটি মডেল হিসেবে কেন বিবেচনা করা যায় তার যুক্তিগুলো উপস্থাপন করার পাশাপাশি, নিও-ডারউইনিস্টদের সমালোচনাগুলোর জবাব দিয়েছেন। আপনারা কোন জবাব দিতে পারেন নি। তাহলে আপনারা কি সঠিক সত্যের পথে আছেন? টাকা দিয়ে দু,একটা মুসলিম বিজ্ঞানীদের দিয়ে বিবর্তনবাদ ফ্যাক্ট বলে ভিডিও করে নিলেই তো বিবর্তনবাদ ফ্যাক্ট হয় না। পর্যাপ্ত প্রমান দেখাতে হবে।
বিবর্তনবদর মাধ্যমে নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে একটি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে। আর এ বিষয়টি অপশক্তি।
২০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:৫৮
নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: আল কোরআন বলে “ উহারা তো কেবল অনুমানেই বিশ্বাস করে”। সুতরাং আব্রাহামের বংশধরেরা রুপকথার গল্প মানে না। তাই বিবর্তনের বেলায় এক।
হা-হা! হা-হা! মানুষের হিংস্রতা ও নির্বোধগিরি ঠিক কোন ধরণের বুদ্ধিদীপ্ত নকশা'র নমুনা ভাইজান ? গাজায় ছোট ছোট শিশু মৃত্যু ঠিক কোন ধরণের নির্বোধ সৃষ্টিকর্তা'র ইচ্ছা ভাইজান ? problem of evil নিয়ে পড়াশোনা করুন। কল্কেতে দম না থাকলে, দম দিন, কাজে আসবে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৪৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ নিমো, মানুষের হিংস্রতা ও নির্বোধগিরি ঠিক কোন ধরণের বুদ্ধিদীপ্ত নকশা'র নমুনা ভাইজান ? গাজায় ছোট ছোট শিশু মৃত্যু ঠিক কোন ধরণের নির্বোধ সৃষ্টিকর্তা'র ইচ্ছা ভাইজান ? সত্যিই অবাক হলাম, আপনি এ প্রশ্ন করলেন কি করে? ধর্ম সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান থাকলে আপনি ঠি এ ধরনের প্রশ্ন করতে পারতেন না। ধর্মীয় জ্ঞানের বড়ই অভাব আপনার। শুনে শুনে নাস্তিক হয়েছে। তো যাই হোক। আপনাকে বলি আর স্মরণ কর, যখন তোমার রব ফেরেশতাদেরকে বললেন, ‘নিশ্চয় আমি যমীনে একজন খলীফা সৃষ্টি করছি’, তারা বলল, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে তাতে ফাসাদ করবে এবং রক্ত প্রবাহিত করবে? আর আমরা তো আপনার প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করছি এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তিনি বললেন, নিশ্চয় আমি জানি যা তোমরা জান না। াাল কোরআন-(২ : ৩০)। মানুষ জেনেটিক্যালি পশুত্ব বোধ নিয়ে সৃষ্টি। প্রাণি দুই শ্রেণির মাংশাসি ও তৃনভোজী। মাংশাষি প্রাণিরা হিংস্র হয় আর তৃনভোজী প্রাণি মাত্রই নির্জীব হয়। কিন্তু মানুষ উভয় বোধ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণি জেনেটিক্যালি মানুষের মধ্যে যতটুকু হিংস্রতা ঠিক ততটুকুেই নির্জীবতা রয়েছে। মানুষ সৃষ্টিগত ভাবেই যুদ্ধাংদেহী ও কলহপ্রিয়। সুতরাং জেনেটিক্যালি হিংস্র মানুষকে কি যুদ্ধ পরিহারের খেলা শেখানো সম্ভব? ২য় বিশ্বযুদ্ধতো ধর্মযুদ্ধ ছিলো না। ধ্বংশলীলা দেখে মানুষ কেনো যে কোন প্রাণি স্তম্ভিত হয়ে যাবার কথা। তারপর ও ২য় বিশ্বযুদ্ধে ভয়াবহ পারমানবিক বোমার প্রয়োগ ঘটেছে। শুধুমাত্র ধর্মযুদ্ধের দোষ দিবেন না। প্রাণি জিনগত ভাবে হিংস্র হয়। ফেরেস্তারা তো মানুষের এই জেনেটিক্যালি বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন কিন্তু আল্লা বললেন আমি যা জানি তোমরা তা জাননা। একটু গভীরভাবে ভেবে দেখুন এই মানুষকি শুধু কি যুদ্ধই করে এই মানুষ কি উন্নয়নের ব্যাপক বিস্ফোরন ঘটাই নাই। মানুষ আজ চাঁদে, গ্রহে উপগ্রেহে যাছ্চে। এমন সময় আসবে মানুষ সমগ্র গ্যালাক্সিতে যোগযোগ অক্ষন্ন রাখতে সক্ষম হতে পারে। সমগ্র মহাবিশ্বটাই যেনো মানুষের নখদপর্নে চলে আসবে। মানুষের জ্ঞান গরিমা মানুষকে অনেক উন্নততর করে তুলছে। মানুষের সৃষ্টিগত জেনেটিক্যালি যুদ্ধাংদেহী সমস্যা আছে সেটাতো ফেরেস্তারা জানিয়েছিলেন কিন্তু আল্লা মানুষের বৈপ্লবিক পরিবর্তন বা
ভবিষ্যতের জ্ঞানের উন্মেষ বিবেচনা করে ফেরেস্তাদের এই কথাটি বলেছেন। কারন ফেরেস্তারা ভবিষ্যত জানতেন না।
হিংস্রতা মানুষ এবং প্রাণীদের মধ্যে একইভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে, যা এর বিবর্তনীয়/জৈবিক তাত্পর্য নির্দেশ করে। তারা যুদ্ধ কেনো বাধায় সে সম্পর্কে জীববিজ্ঞানীরা বিভিন্ন দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন। Click This Link
আপনি হয়তো ম্যালথাসের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন তত্ব সম্পর্কে পড়েছেন। তিনি বলেছেন জনসংখ্য তত্ত্ব সমপর্কিত বিশদ আলোচনা। তার সাথে তিনি এও বলেছেন প্রকৃতিতে জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রকৃতি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিপর্যয় মহামারী প্রেরণ করে জনসংখ্য নিয়ন্ত্রনের চেষ্ট করে। যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমেও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রাকৃতিক ভাবে আমরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন না করলে পৃথিবীতে বিপর্যয় ঘন ঘন আসবে। এটিই ছিলো ম্যালথাসের মূল সারর্মম। তো যাই হোক। আপনাকে বুঝতে হবে। আল্লা সত্যের পথে। কিছু মানুষের মৃত্যুর সাথে কি স্রষ্টার সম্পর্ক স্থির করা ঠিক?
আপনি প্রশ্ন করেছেন মানুষের হিংস্রতা ও নির্বোধগিরি ঠিক কোন ধরণের বুদ্ধিদীপ্ত নকশা সমাজে সত্য টিকিয়ে রাখতে মানুষের হিংস্রতার প্রয়োজন ছিলো। সমাজে যখন অসত্যে দাবানল জেগে ওঠে তখন যুদ্ধের মাধ্যমে সমাধান হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন ইতিহাস ঘেটে দেখেন যুদ্ধ সত্যের জয় ছিনিয়ে এনেছে। স্বৈরশাসকগণ যুগে যুগে রক্তক্ষয় সংঘাতের মাধ্যমে পরাজিত হয়েছেন। এটাই ছিলো স্রষ্টার সিষ্টেম। হিন্দু ধর্ম গীতায় বলে- “যখনই সমাজে অবক্ষয় শুরু হয় তখনই আমার জন্ম হয়”। ব্যাপারটি আসলেও সত্য অসৎ অত্যাচারী সভ্যতা যুদ্ধের মধ্য দিয়েই দমিত হয়। মানুষের ভালো মন্দ নিয়েই মানুষ।
আপনি এমন একটি প্রশ্ন করেছেন যা হাস্যকর! নির্বোধের মতো আপনার প্রশ্ন আমাকে চমকে দিয়েছে? ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন আগুমেন্ট নিয়ে এত চুলকানি কেনো? নিজেকে প্রশ্ন করে দেখেন না কেনো একবার? মায়ারের প্রশ্নগুলো বা বক্তব্য কতটুকু যুক্তসঙ্গত? একবার ভাবুন না কেনো? মৌলবাদী হবেন না। প্রকৃত বাস্তবতা উপলদ্ধি করার চেষ্টা করুন। বিবর্তন অবশ্যই াাছে কিন্তু সেটি কি আপনা আপনি? প্রাণিদেহের জিনের যে ভয়াবহ কারুকার্যময়তা যে তথ্যের ভান্ডার সেটা কেনো কি করে হলো? তথ্য কিভাবে সংযোজিত হলো?
মায়ারের প্রশ্নের উত্তর দিন। আমরা একবাক্যে আপনাদের আপনাআপনি তত্ত্ব মানবো।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:০৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমাদের কল্কেতে দম দেওয়ার প্রয়োজন পরে না। আপনাদের পরে। কারন আপনার দম মাথার উপর দিয়েই উড়ে যায়। আমরা কল্কের আড্ডাকে অপছন্দ করি। আপনিও আসেন আমাদের সাথে কল্কে বিরোধী মনোভাব সৃষ্টি করতে। আসুন আমরা জানি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে। কারন মানবদেহ প্রোগ্রামিং কৃত। সম্পূর্ণ লিখিত একটি বিষয়। কল্কে টানলে মনে হয় আকাশ মাটি হয়ে গেছে মাটি আকাশ হয়ে গেছে।
২০১০ সালে ক্রেইগ ভেন্টার ও তার দল প্রথম কম্পিউটারে ১০,০০,০০০ লেটারস এর একটি ডিএনএ ডিজাইন করে। পরে সেটি কম্পিউটার সিস্টেম দ্বারা টার্গেট সেলে প্রসেসটি চালনা করেন, এবং সেলটি ডিজাইন করা ডিএনএটি পড়তে (ব্যবহার) থাকে। অর্থাৎ আমাদের ডিএনএ হল হার্ডওয়্যার আর জেনেটিক কোড হল সফটওয়্যার। একটি ইন্টার্ভিউতে ভেন্টার বলেন, “Life is basically the result of an information process, a software process. Our genetic code is our software, and our cells are dynamically, constantly reading that genetic code." অর্থাৎ লাইফ মূলত একটি সফটওয়্যার প্রসেস ও ইনফরমেশন প্রসেসের ফলে উদ্ভূত। আমাদের জেনেটিক কোড আমাদের সফটওয়্যার, এবং আমাদের সেল সেই জেনেটিক কোড সক্রিয়ভাবে ক্রমাগত পড়তে (ব্যবহার) থাকে।
আবার MIT biological engineer-রা ডিএনএ-এর উপর ভিত্তি করে একটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ডেভেলপ করে যা নতুন সেল কম্পোনেন্ট ও ফাংশন ক্রিয়েট করে যা বিভিন্ন অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করে, প্রসেস কন্ট্রোলের মাধ্যমে ডিজিজের সাথে লড়াই করবে।
অতএব বায়োলজিক্যাল কম্পিউটার সিস্টেম কোনো থিওরেটিকাল বা হাইপোথিসিস নয়। বরং ইহা গবেষণামূলকভাবে পর্যবেক্ষণ, পরিক্ষা ও যাচাই করা হয়েছে। বায়োলজিক্যাল কম্পিউটার সিস্টেম মানুষের তৈরি কম্পিউটার সিস্টেমের চেয়ে বহুগুণ বেশি সূক্ষ্ম ও জটিল।
কল্কে টানলে এই গভীর বিষয়গুলো জানবেন কি করে? হযে গেছে আপনা আপনি। এই বেশিদুরে যেতে পারবেন না। আসুন কল্কে পরিহার করে নামাজে রত হই।
২১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:১১
কাঁউটাল বলেছেন:
২২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:২৯
কাঁউটাল বলেছেন: @নিমো, আলোচনা মাথার উপর দিয়ে গেছে বুঝি? ব্যপার না, পাতি-ডারউইনবাদিদের এইরকম হয়। এইটা স্বাভাবিক বিষয়।
২৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৪৭
নিমো বলেছেন: কাঁউটাল বলেছেন: @নিমো, আলোচনা মাথার উপর দিয়ে গেছে বুঝি? ব্যপার না, পাতি-ডারউইনবাদিদের এইরকম হয়। এইটা স্বাভাবিক বিষয়।
আমাকে নিয়ে ঘামানোর মত মস্তক নিয়েতো পয়দা হন নাই। অহেতুক কষ্ট নাই বা করলেন।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৫২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: নাস্তিকরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে বিবর্তন প্রমাণ করে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিএনএ-এর সাদৃশ্য নিয়ে কিন্তু তারা মাইক্রোবায়োলজির অসংখ্য বৈসাদৃশ্য থাকা সত্ত্বেও সেগুলো নিয়ে কথা বলে না!
একটা বৈসাদৃশ্য নাস্তিকদের সামনে তুলে ধরলাম দেখা যাক তারা কি জবাব দেন!
Peterson এবং তার দল ম্যামলিয়ানদের জিনোম নিয়ে গবেষণায় দেখেন DNA ও microRNAs সম্পূর্ণ বিপরীত! তাই Davide Pisani বলেন, Why DNA and microRNAs give such different evolutionary trajectories. “What we know at this stage is that we do have a very serious incongruence,"......“It looks like either the mammal microRNAs evolved in a totally different way or the traditional topology is wrong. We don't know yet.”
http://www.nature.com/.../phylogeny-rewriting-evolution-1...
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:০২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বিবর্তন হচ্ছে একটা প্রমাণিত বিষয় এটা নিয়ে নতুন করে টানা হেঁচরা করে কিছু হবে না, তাছড়া মুসলিম বিজ্ঞানীগণই সর্বপ্রথম বিবর্তনের প্রাথমিক ধারাণ দিয়ে গিয়েছেন, বিবর্তন তত্বে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান অনস্বীকার্য ।
ধন্যবাদ।