নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
বিবর্তনবাদ নিয়ে আমার দীর্ঘ দিন ধরে কিছু প্রশ্ন আছে? যদিও আমি বিবর্তনের একটি অংশ অথাৎ মাইক্রো এভ্যুলেশন মানি কিন্তু ম্যাক্রো এ্যাভুলেশনটা আমার কাছে কেমন যেনো বেমানান। যদি বিবর্তনবাদই ইদানিং কিছু মৌলবাদী গোড়া বিজ্ঞানমন্স্কদের বিশ্বাসবোধে পরিনত। কিন্তু কিভাবে মাইক্রো ম্যাক্রোতে পরিনত হতে পারে যার সঠিক কোন এ্যাভিডেন্স নেই। আছে অনুমান। জাস্ট সো স্টোরি।
একটি বিষয় আলোচনা করি। প্রকৃতিতেঅসংখ্য ভারী অনু রয়েছে, তবে তাদের মধ্যে প্রাণ নেই। বিজ্ঞান বলছে, কোন বায়ো অণুকে প্রাণ অণু সংগঠনের জন্যে তার নিজের প্রতিলিপি তৈরী করার ক্ষমতা থাকতে হবে। এই প্রতি লিপি তৈরী করার ক্ষমতাকে প্রকারান্তরে জন্মদান ক্ষমতা বলা যেতে পারে। আপনি বলতে পারেন। কারন এককোষি প্রানি নিজে থেকে আলাদা হয়ে দুটিতে পরিনত হয়। সকল প্রাণি দেহে এরকম প্রতিলিপি তৈরীকরণ ক্ষমতা সম্পন্ন ভারী অনুগুলোই নতুন অনু জন্মদিতে পারে ও নিজে বিবর্র্ততি হতে পারে।
এখন প্রশ্ন হল এই প্রতিলিপি তৈরীকরণ ক্ষমতা ভারী অনুর মধ্যে কিভাবে আসে তার উত্তর আজকের বিজ্ঞানের কাছেও নেই। প্রকৃতিবাদী বিজ্ঞানীরা একে প্রকৃতির নির্দেশণা বা নিয়ম বলে চালিয়ে দিয়েছেন। একবার ভেবে দেখুন, যদি কোন জৈব অনুর মধ্যে প্রতিলিপিকরণ ক্ষমতা থাকতো তবে প্রকৃতিতে সংশ্লেষণের মাধ্যামে একটি অণু তৈরী হওয়াই যথেষ্ট, নতুন অনু সৃষ্টির জন্যে কাঁচামালের প্রয়োজন হতনা, প্রথমটির প্রতিলিপি করণও ভাঙন প্রক্রিয়ায় প্রকৃতি বায়ো অনুতে ভরে যেত ,কিন্তু এমনটা বাস্তবে দেখা যায়না; এমনকি প্রাণকোষস্থিত বায়ো অনু ছাড়া প্রকৃতিতে অন্যান্ন অসংখ্য বায়ো অণুর কোনটাই স্বতস্ফূর্তভাবে তাদের প্রতিলিপি তৈরী করতে পারেনা। বিজ্ঞান বলছে, বর্তমান কালের কোষে নির্দেশণা দানকারী দুই প্রকার ভারী অণু তথা নিউক্লিক এসিড ও প্রোটিন রয়েছে, যাদের মধ্যে নিউক্লিক এসিড নিজের প্রতিলিপির নির্দেশণা দানের ক্ষমতা রাখে। নিউক্লিক এসিডে পরিপূরক নিউক্লিওটাইডের (সূত্রক) মধে খাড় জোর থাকার ফলস্রুতিতে তার নিজের সংশ্লেশনের নমুনা প্রদান করতে পারে। পরীক্ষায় দেখা গেছে আর এন এ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিক্রিয়ায় অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে। একই ভাবে এটি একদিকে যেমন প্রতিলিপিকরণের নমুনা প্রদান করে অন্যদিকে প্রতিলিপিকরনকে ত্বরাণ্বিত করে। এই আর এন এ কে মনে করা হয় বংশানুক্রমিকতার প্রাথমিক উপাদান। আরও মনে করা হয়ে থাকে জৈব রাসায়নিক বিবর্তন আর এন এ অনুর উপর ভিত্তি করেই শুরু হয়েছিল। আর এন এ ও এমাইনো এসিডের মধ্যে নির্দেশিত পারস্পরিক বিক্রিয়ায় (Ordered অনুমুদিত/ নির্দেশিত interactions) সৃষ্টি হয়েছে বর্তমান বংশানুক্রমিকতার কোড ডি এন এ, যা ক্রমে ক্রমে আর এন এর স্থান দখল করেছে। আর এন এর কার্যোকারিতার ধারণা আধুনীক বিজ্ঞানের পর্যোবেক্ষণ ও পলীক্ষা লব্দ ফলাফল, কিন্তু বিজ্ঞান গলদগর্ম হয়েও এই আর এন এ তৈরীর কৌশল বলতে পারছেনা যেটুকু বলছে তা পর্যোবেক্ষণ লব্দ ধারণার সাথে অনুমানের মিশ্রণ।আমরা এই আলোচনায় বৈজ্ঞানিক অনুমানটুকু যদি মেনেও নেই তাহলে নতুন যে ধারণার সৃষ্টি হয়অতা হল, প্রকৃতিতে বিবর্ততনের মাধ্যামে যেই মাত্র ভারী অনু আর এন এর রূপ ধারণ করল আর অমনি তার অনুরূপ বাচ্চা প্রসব করতে শুরু করল, তাতে দিনে দিনে প্রকৃতি আর এন এ তে ভরে গেল।
প্রকৃত পক্ষে আর এন এ কিন্তু কোন প্রাণ কোষ নয়, এটি প্রাণকোষস্থিত একটি অনু। তা হলে আরও ধরে নিতে হবে যে, আর এন’র মধ্যেও বুদ্ধিদীপ্ত মস্তিস্ক রয়েছে যেটি চিন্তাভাবনা করে কোষ গঠনের বাকী অনুগুলোকে সংশ্লেষিত করে এক আদর্শ প্রাণকোষ গঠন করতে পারে। বিজ্ঞান কিন্তু এ কথা স্বীকার করেনা; এমন কি প্রকৃতিতে কোন চিন্তাশীল স্বত্তা আছে বলেও বিজ্ঞান স্বীকার করেনা। তাহলে যৌক্তিকভাবেই স্বীকার করতে হচ্ছে প্রকৃতিতে আপনা আপনি প্রতিতিলিপি করণ ক্ষমতা সম্পন্ন কোন বায়ো অনু সৃষ্টি হতে পারেনা। তার জন্যে প্রয়োজন নীল নকশা ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রয়োজনীয় নির্দেশ দান।
উপরের আলোচনায় আমরা যে বিষয়টা বুঝতে পারলাম তা হল, পৃথিবীর আবহমণ্ডলে বিভিন্ন গ্যাসের সংমিশ্রনে সৃষ্টি হয়েছে সরল প্রকৃতির বায়ো অনু যা ক্রমে ক্রমে সংশ্লেশিত হয়ে তৈরী হয়েছে ভারী অণু, এই ভারী অণুগুলেই সৃষ্টি করেছে জীবনের বিল্ডিং ব্লক আর এন এ, আর এন এর মধ্যে ‘কোন উপায়ে’ প্রতিলিপিকরণের নির্দেশণা সংশ্লিষ্ট হয়েছে। বিজ্ঞান এই উপায়টাকে খুঁজে পাচ্ছেনা। অতএব বায়ো অনু এক্ষমতা পেলো কোথা থেকে? উত্তর একটিই একটি কনসাসনেস। মহাজাগতিক কনসাসনেস যিনি আরএনএ ও ডিএনএকে গঠন করেছেন নির্দেশনা দান করেছেন। বায়ো অনু গঠন করেছেন নির্দেশনা দান করেছেন।
প্রতিলিপি তৈরীকরন ডিএনএ আকারে সাধারণত ডাবল হেলিক্স হয় বা জোড়ায় জোড়ায় হয়ে ( উপরের ছবিটা দেখুন)। হেলিক্স-এর একটা ফিতে অন্য ফিতেটার সাথে জোড় বেঁধে থাকে। এই জোড় বাঁধতে পারার ফলেই কোষ তার মধ্যে থাকা ডিএনএ-র প্রতিলিপি বানিয়ে ফেলতে পারে। ডিএনএ-র কোন একক কার সাথে জোড় বাঁধবে, সেটা বাঁধা আছে: একটা ফিতের T অন্য ফিতের A-এর সাথে জোড় বাঁধে, আর G জোড় বাঁধে C-এর সাথে। তাই যখন প্রতিলিপি বানানোর সময় আসে, তখন একটা ফিতের থেকে অন্য ফিতেটার ছাড়াছাড়ি হয় বটে, কিন্তু একেকটা ফিতের মধ্যেই যথেষ্ট তথ্য থাকে অন্য ফিতেটার মতো আর একটা ফিতে বানিয়ে ফেলতে। এক কথায়, এক একটা ফিতে “ছাঁচ”-এর মতন কাজ করে। এই জটিল ব্যাপারটা এক ঝটকায় হয় না, ধাপে ধাপে এগোয়। অর্থাৎ, ডিএনএ-র দুটো ফিতে ধীরে ধীরে আলাদা হয় এবং তারপরই একেকটার প্রতিলিপি তৈরী হয়। অন্যভাবে বললে, একেকটা ফিতের ছাঁচে মুক্ত ডিএনএ-র একক (free base) গিয়ে জমা হয় এবং এককগুলো একে একে জুড়ে অন্য ফিতেটা তৈরী করে ফেলে। অতএব ডিএনএ হলে সেই প্রতিলিপি তৈরীকৃত মেশিন যা জোড়ায় জোড়ায় থাকে। ডিএনএ হলো দ্বিতন্ত্রী আর আরএনএ হলে একতন্ত্রী।
আল কোরআনে একটি আয়াতে বলছে- "সকল মহিমা তারঁ যিনি জোড়া সৃষ্টি করেছেন---পৃথিবী যা উৎপন্ন করে তার মধ্য হতে সব কিছুর, আর তাদের নিজেদের মধ্যেও এবং তারা যার কথা জানে না তাদের মধ্য হতেও।" (৩৬:৩৬) অথচ পৃথিবীতে এমন অনেক প্রানি আছে যারা জোড়া ব্যতিরেকে সৃষ্টি হয়েছে। উদাহরন স্বরুপ ওপ্পিয়েলা নোভা নামের এক প্রানি। নাস্তিবদের এই দাবী বোধগম্যতার অভাববোধ বলা যেতে পারে। ওপ্পিয়েলা নোভা নামের এই প্রাণি কোন জোড়া নেই। কীভাবে যৌনতা ছাড়াই কীভাবে প্রানিটি বংশবৃদ্ধি করছে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাণীটি প্রকৃতির সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে। কেননা এই প্রজাতির প্রাণীর কোনো পুরুষ নেই। কেবল নারীর মাধ্যমে বংশরক্ষা করে প্রাণীটি টিকে আছে হাজার হাজার বছর। তবে এ ব্যাপারে বিভিন্ন তত্ত্ব রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো পার্থেনোজেনেসিস প্রজনন। এটি একটি অযৌন প্রজনন প্রক্রিয়া যেখানে ডিম্বানু শুক্রাণুর মাধ্যমে নিষিক্ত হওয়া ছাড়াই ভ্রুণে পরিণত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই ওপ্পিয়েলা নোভা নিয়ে গবেষণা করে আসছিলেন। তাদের মতে, এই প্রাণীর প্রজনন প্রক্রিয়া আমাদের জানা নেই। পুরুষ প্রজাতি ছাড়া বংশরক্ষা বিরল ব্যাপার। একই সঙ্গে এটি প্রকৃতির অপার রহস্যের অন্যতম। তাহলে পৃথিবীতে প্রতি টি প্রানি যে পুরুষ নারী তা নয়। এক লৈঙ্গিক প্রাণিও আছে।
নাস্তিকদের এই হাসিও মিলিয়ে যাবে। আসলে অর্থ তো অন্য কোথাও।
এখন আপনি বলেন তো আল কোরআনের এই আয়াত কিসের নির্দেশ দান করে। যাকে বলে ডিএনএ অণু যা পৃথিবীর সকল প্রাণীর এবং উদ্ভিদের বিকাশে ব্যবহৃত জিনগত নির্দেশাবলিকে বহন করে। ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ইংরেজি: Deoxyribonucleic Acid) একটি নিউক্লিক এসিড যা জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের জিনগত নির্দেশ ধারণ করে। সকল জীবের ডিএনএ জিনোম থাকে। অথাৎ পৃথিবীর উৎপাদিত সকল প্রাণির বলতে (বহু কোষি) যাদের বডি স্টাকচার আছে। আল কোরআন এই জোড়া বলতে প্রাণির অভ্যন্তরস্থ্য দ্বিতন্ত্রী ডিএনএ কেই বুঝিয়েছে। ডিএনএ ছাড়া পৃথিবীতে কোন প্রাণি নেই। আমাদের আরো গবেষনা করা উচিত। সঠিক সত্য জানতে বিজ্ঞান প্রযোজন। আল কোরআন বলে নিজের সম্পর্কে -ইহা বিজ্ঞানময় গ্রন্থ। কিন্তু তাকে বুঝতে হবে। আমরা তাকে বোঝার চেষ্টায় লিপ্ত হই বিজ্ঞান দিয়ে এবং নাস্তিকদের মুখে কালি মারি।
(ধারাবাহিকভাবে চলবে)
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৩৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। ভাই। আপনার ব্যাথা লাগলো কেনো? আপনি বোধ হয় বিবর্তনবাদী।
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩২
সোনাগাজী বলেছেন:
বেদুইন বিজ্ঞানী
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৩৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪২
কলাবাগান১ বলেছেন: মরিচ এর গুড়াকে পানিতে গুলিয়ে তাতে যে কোন ভাইরাসকে রাখলেই ভাইরাস এর মৃত্য ঘটবে, তাই বলে মরিচের গুড়াকে এন্টিভাইরাল ড্রাগ বলা যাবেে না...নদীর রচনাকে গরুর রচনায় পরিনত করতে গরুকে নদীর কাছে নিয়ে এসেছেন।
আপনি বায়োলজি ভালভাবে না বুঝেই জোর করে আপনার মতবাদ চাপিয়ে দিচ্ছেন।
করোনা ভাইরাস তো আরএনএ, তার তো কোন জোড়া নাই সে কিভাবে বংশবিস্তার করছে??? সে তো ডিএনএ ছাড়াই বেশ আছে। ভাইরাস এর বডি স্ট্রাকচার তো স্পাইক দিয়ে বানানো।
আপনি কি কখনও আরএনএ ডিপেন্ডেড আরএনএ পলিমারেজ এর নাম শুনেছেন? সেই এনজাইম দিয়ে কিভাবে জোড়া ছাড়াও বংশবিস্তার করা যায়, তা বুঝতে চেস্টা করেন।
আপনি জোড়া ডিএনএ ছাড়া ভাইরাস (সিংগেল স্ট্র্যান্ডেড ডিএনএ) এর লিস্ট দেখতে চান??? আপনার পোস্ট এর চেয়ে বড় হয়ে যাবে। এক্সট্রিম কন্ডিশন এ বাস করা প্রায় সব অর্গানিজম এর ডিএনএ এর জোড়া নাই। আবার কিছু প্রানী/উদ্ভিদ আছে তারা জোড়া মানে না..।জোড়ার ও অনেক বেশী পরিমানে ডিএনএ তাদের মাঝে (পলিপ্লয়েড)।
ডিএনএ তো তার কাজ করায় প্রোটিন দিয়ে...তো প্রোটিন কেন জোড়া জোড়া হয় না...প্রোটিন কেন নিজে নিজে রেপ্লিকেট করতে পারে না??? প্রানীর শরীরে শুধু ডিএনএ ঢুকিয়ে দেখুন, বাচাতে পারেন কিনা? আপনার কথা মত জোড়া ডিএনএ থাকলেই নিজেই রেপ্লিকেট করতে পারবে!!!!।তাহলে কনসাসনেস শুধু ডিএনই জোড়ায় তৈরী করে দিয়েছেন আর তাতেই জীবন আরম্ভ হয়ে গেল????? আপনি মারা যাবার পর একশ/দুইশ বছর পরেও আপনার জোড়া ডিএনএ থেকে যায় নানান অংগে.......জোড়া ডিএনএ থাকার পরও মারা যায় কিভাবে???? কারন জোড়া ডিএনএ থাকলেই বংশবিস্তার করতে পারবে তা ঠিক না। জোড়া ডিএনএ থাকার পরও মারা যাচ্ছে সব অর্গানিজম।
আপনি বলেছেন
"এখন প্রশ্ন হল এই প্রতিলিপি তৈরীকরণ ক্ষমতা ভারী অনুর মধ্যে কিভাবে আসে তার উত্তর আজকের বিজ্ঞানের কাছেও নেই। " এ পর্যন্ত্য কতজন নোবেল পুরস্কার পেয়েছে ডিএনএ রেপ্লিকেশন কিভাবে হয়/আসে সেই উত্তর নিয়ে- না জানলে জেনে নিয়েন।
A well-established multi-stranded DNA structure, triple helical DNA (triplex DNA), both naturally occurring intramolecular H-DNA structures, and triplex-forming oligonucleotide (TFO)-targeted intermolecular triplexes are present in human
Triplex DNA in human
আপনি হয়ত কখনই G-quadruplex DNA এর কথা শুনেন নাই। যখন ডিএনএ একটা তন্ত্রে শুধুই গুয়ানিন বেইস থাকে, তখন আর জোড়া ডিএনএ হয় না....তখন হয় এক, দুই, চার তন্ত্রী।
উইকিপিডিয়া বলছে
"G-quadruplex secondary structures (G4) are formed in nucleic acids by sequences that are rich in guanine.[2] They are helical in shape and contain guanine tetrads that can form from one,[3] two[4] or four strands.[5] The unimolecular forms often occur naturally near the ends of the chromosomes, better known as the telomeric regions, and in transcriptional regulatory regions of multiple genes, both in microbes[6][7] and across vertebrates [8][7] including oncogenes in humans.[9] Four guanine bases can associate through Hoogsteen hydrogen bonding to form a square planar structure called a guanine tetrad (G-tetrad or G-quartet), and two or more guanine tetrads (from G-tracts, continuous runs of guanine) can stack on top of each other to form a G-quadruplex."
তাহলে জোড়া ডিএনএ ই সব বলে যে আপনি বললেন সেটা ধোপে টিকে না
বিজ্ঞানীরা ১৯৫৩ সনে আবিস্কার করে যে ডিএনএ ডাবল হেলিস্ক.......তো আপনার মত বিজ্ঞানীদের অনেক আগেই কিতাব পরে বলে দেওয়া উচিত ছিল ডিএনএ ডাবল হেলিস্ক। আসলে বিজ্ঞানীরা বলার আগে আপনারা ডিএনএ বানান ও করতে পারতেন না।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ কলাবাগান, আপনি বলেছেন “ করোনা ভাইরাস তো আরএনএ, তার তো কোন জোড়া নাই সে কিভাবে বংশবিস্তার করছে??? সে তো ডিএনএ ছাড়াই বেশ আছে। ভাইরাস এর বডি স্ট্রাকচার তো স্পাইক দিয়ে বানানো “ । ভাইগো আপনি বোধহয় আমার লেখাটা ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়েন নাই। আমি কোন ভাইরাসের কথা বলি নাই। আমি বহুকোষি প্রাণিদের কথা বলেছি । আমার লেখা টা তুলে ধরলাম। “পৃথিবীর উৎপাদিত সকল প্রাণির বলতে (বহু কোষি) যাদের বডি স্টাকচার আছে। আল কোরআন এই জোড়া বলতে প্রাণির অভ্যন্তরস্থ্য দ্বিতন্ত্রী ডিএনএ কেই বুঝিয়েছে। ” আবার দেখেন আর এক জায়গায় আমি লিখেছি “ আরও মনে করা হয়ে থাকে জৈব রাসায়নিক বিবর্তন আর এন এ অনুর উপর ভিত্তি করেই শুরু হয়েছিল। আর এন এ ও এমাইনো এসিডের মধ্যে নির্দেশিত পারস্পরিক বিক্রিয়ায় (Ordered অনুমুদিত/ নির্দেশিত interactions) সৃষ্টি হয়েছে বর্তমান বংশানুক্রমিকতার কোড ডি এন এ, যা ক্রমে ক্রমে আর এন এর স্থান দখল করেছে। “ অথাৎ বংশানুক্রমিক কোড ডিএনএ আর এনএর স্থান দখল করে নেয়। আমি প্রতিটি ক্ষেত্রে না বুঝে অযথা আর িএনএর উদাহরন টেনে কেনো আনলেন।
আপনি বায়োলজি অনেক বেশি জানেন আমি না হয় অল্প জানি। কিন্তু তাই বলে আমার লেখাটা না পড়েই না বুঝেই বিশাল জ্ঞান আওড়ালে তো আর হবে না। আপনি করোনা ভাইরোসের উদাহরন দিয়েছেন। করোনা ভাইরাস তো আরএনএ, তার তো কোন জোড়া নাই সে কিভাবে বংশবিস্তার করছে??? সে তো ডিএনএ ছাড়াই বেশ আছে। ভাইরাস এর বডি স্ট্রাকচার তো স্পাইক দিয়ে বানানো। েএসব বলে লাভ নেই আমি ভাইরাস শ্রেনির কথা উল্লেখ করি নাই। যেখানে আমি বহুকোষি প্রাণির উল্লেখ করেছি সেখানে আপনি তো অকোষিয় ভাইরোসের উদাহরন দিয়েছেন। আসলে তর্ক করার মনোবৃত্তি মানুষকে তার্কিক করে তোলে। নাস্তিকতার স্েোর্থে হয়তো আপনি এভা্বে যুক্তি তুলে ধরেছেন।
আপনি লিখেছেন “ এ পর্যন্ত্য কতজন নোবেল পুরস্কার পেয়েছে ডিএনএ রেপ্লিকেশন কিভাবে হয়/আসে সেই উত্তর নিয়ে- না জানলে জেনে নিয়েন “ ভাই আমার কি ডিএনএ রেপ্লিকেশন কিভাবে হয় সেটা জানার দরকার আছে? আমি যে বিষয়টি লিখেছি “ এখন প্রশ্ন হল এই প্রতিলিপি তৈরীকরণ ক্ষমতা ভারী অনুর মধ্যে কিভাবে আসে তার উত্তর আজকের বিজ্ঞানের কাছেও নেই। প্রকৃতিবাদী বিজ্ঞানীরা একে প্রকৃতির নির্দেশণা বা নিয়ম বলে চালিয়ে দিয়েছেন। ” আপনি বলছেন কিভাববে রেপ্লিকেশন হয় আর আমি লিখেছি কিভাবে অনুর মাঝে প্রতিলিপি করার ক্ষমতা অনু পেলো কি করে পেলো তার উত্তর বিজ্ঞানের কাছে নেই। আপনি বলুন বায়ো অনু প্রতিলিপি করার নির্দেশনা পেলো কিভাবে। কে জারী করালো এই নিয়ম? শুনি আমার তো জানা নেই। আপনার কাছ থেকে জানি। বলুন ।কিভাবে প্রকৃতিতে বায়ো অনুর সৃষ্টি হলো? আপনি প্রকৃতির উপলদ্ধিবোধ থেকে যাচাই করে সাথে অনুমান ধরে নিয়ে বলবেন যে এটি বায়ো অনুর নিয়ম।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনাদের মতোন বিবর্তনবাদীদের উদ্দেশ্যে তো আর কি বলবো ? আবোল তাবোল বলে বলার মুডটাই নষ্ট করে দিবেন। আসলে আমার লেখাট আপনি ভালো ভাবে পড়েন নাই। পড়লেও বোঝার চেষ্টা করেন নাই। হয়তো গিয়ে মূল বিষয়টি বলতে গিয়ে আমি ডিএনএর এবং আরএনএ নিয়ে হয়তো বোশি বলেছি। কিন্তু তারপরও আমার মনে হয়েছে ব্যাপানগুলো বলার দরকার ছিলো। াাপনি যদি বিবর্তনবাদী হন তাহলে আপনার সাথে চলুক কিছু আলোচনা। আমার একটি লেখার কিছু অংশ তুলে ধরলাম। বিবর্তনবাদ আমার কাছে সন্দেহজনক গোজামিল বলেই মনে হয়।
ডিএনএ থেকে তথ্য আরএনএ-তে কপি হয়ে থাকে যাকে বলা হয় ট্রান্সক্রিপশন (Transcription) আবার আরএনএ সেই তথ্য দিয়ে এনকোড করে প্রোটিন যাকে বলে ট্রান্সলেশন (Translation)। প্রথমেই একটা আরএনএ পলিমারেজ ডিএনএ থেকে তথ্য কপি করে তৈরি করে প্রি-এমআরএনএ (pre-mRNA) বা প্রাইমারি ট্রান্সক্রিপ্ট। আরএনএ পলিমারেজ ডিএনএ থেকে প্রথম যে এমআরএনএ তৈরি করে তাকে প্রি-এমআরএনএ (pre-mRNA) বলা হয় কারণ এই এমআরএনএ-তে ইন্ট্রোন ও এক্সন উভয় কপি হয়ে থাকে। প্রোটিন কোডিং-এর সময় ইন্ট্রোন কোন কাজ করে না তাই একে কেটে বাদ দিতে হয়। আমরা প্রাইমারি আরএনএ থেকে ইন্ট্রোন অংশ বাদ দেয়ার পরেই মূল এমআরএনএ (mRNA) পেয়ে থাকি যাকে বলে প্রসেসড ট্রান্সক্রিপ্ট বা ম্যাচিউরিড-এমআরএনএ (Mature mRNA)।
ইন্ট্রোন বাদ দেয়ার জন্য কোষে প্রোটিন ও আরএনএ দিয়ে কিছু জটিল উপাদান আছে যাদের বলে snRNP (Small nuclear ribonucleoprotien) বা স্নার্পস (Snurps)। প্রথমে এই স্নার্পসগুলো ইন্ট্রোন ও এক্সনের সংযোগস্থলে লেগে যায় যাকে বলে স্প্লাইসোজোম বা স্প্লাইসোজোম তৈরি করে পরে ইন্ট্রোনকে বাকিয়ে এক্সনগুলোকে কাছাকাছি নিয়ে আসে এরপর ইন্ট্রোনগুলোকে কেটে বাদ দিয়ে এক্সনগুলোকে জোড়া লাগিয়ে দেয়।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়:-
১। আরএনএ পলিমারেজ অনেক বেশি কর্মদক্ষ। সে এক ট্রান্সক্রিপশনে হাজার হাজার এমআরএনএ (mRNA) তৈরি করতে পারে।
২। অ্যালটারন্যাটিভ স্প্লাইসিং এর মাধ্যমে একই জিন থেকে একাধিক প্রোটিন তৈরি হতে পারে। অর্থাৎ কোন কোন প্রোটিনে দুইটি বা তিনটি এক্সন আবার কোন কোন প্রোটিনের জন্য তারচেয়ে বেশি পরিমাণ এক্সন ব্যবহার হতে পারে বা রিকম্বিনেশনের মাধ্যমেও একাধিক প্রোটিন তৈরি হতে পারে।
৩। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক প্রোটিনের ইন্ট্রোন বা এর কিছু অংশ অন্য প্রোটিনের এক্সন। আবার এক প্রোটিনের এক্সন অন্য প্রোটিনের ইন্ট্রোন হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। ফলে একই জিন থেকে একাধিক প্রোটিন তৈরি হতে পারে।
উপরোক্ত বিষয়টি পর্যালোচনা করলে প্রশ্ন থেকে যায়, মিউটেশন ও ন্যাচারাল সিলেকশন কিভাবে আরএনএ স্প্লাইসিংকে নির্ধারণ করবে? কারণ আমরা যেমনটি আলোচনা করেছি তাতে দেখা যাচ্ছে একই জিন সিকোয়েন্স থেকে একাদিক প্রোটিন তৈরি হচ্ছে যে কাজটি করছে অ্যালটারনেটিভ আরএনএ স্প্লাইসিং।
ধরুন, সেই জিনে মিউটেশনের ফলে কোন সিকোয়েন্স পরিবর্তন হলো ফলে এই জিনের mRNA টি পরিবর্তন হয়ে যাবে। এতে সকল প্রোটিনগুলোর সিকোয়েন্স পরিবর্তন হয়ে যাবে এতে প্রোটিনগুলোর ফাংশন নষ্ট হয়ে যাবে।
এখন বিবর্তনবাদীরা বলবে এই পরিবর্তনগুলো উপকারী হবে। তাদের জন্য মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, প্রোটিন সিকোয়েন্সের পরিবর্তন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জীবের জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে। তাই একই সাথে একাধিক প্রোটিনের পরিবর্তন জীবের জন্য কোনো সুফল আনবে না।
আরেকটি বিষয় বিবর্তনবাদীরা বলে যে, ধীরে ধীরে কোনো ফাংশনকে উন্নত করে কিন্তু এতে দেখা যাচ্ছে যদি উক্ত ফাংশনের জিনে কোন পরিবর্তন আসে তবে তা একাধিক প্রোটিনে প্রভাব ফেলবে এতে সেই ফাংশনটি ধীরে ধীরে পরিবর্তন না হয়ে এতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে ফলে ফাংশনটিই নষ্ট হয়ে যাবে।
একইভাবে ন্যাচারাল সিলেকশনও অ্যালটারনেটিভ স্প্লাইসিংকে নির্ধারণ করতে পারে না। অর্গানিজম শুধু মাত্র পরিবর্তিত পরিবেশে নিজে মানিয়ে নেয় ও বেঁচে থাকে। যা কোনোভাবেই আরএনএ স্প্লাইসিং-কে নির্ধারণ করতে পারে না। হয়তো জানেন ডিএনএ থেকে তথ্য আরএনএ-তে কপি হয়ে থাকে যাকে বলা হয় ট্রান্সক্রিপশন (Transcription) আবার আরএনএ সেই তথ্য দিয়ে এনকোড করে প্রোটিন যাকে বলে ট্রান্সলেশন (Translation)। প্রথমেই একটা আরএনএ পলিমারেজ ডিএনএ থেকে তথ্য কপি করে তৈরি করে প্রি-এমআরএনএ (pre-mRNA) বা প্রাইমারি ট্রান্সক্রিপ্ট। আরএনএ পলিমারেজ ডিএনএ থেকে প্রথম যে এমআরএনএ তৈরি করে তাকে প্রি-এমআরএনএ (pre-mRNA) বলা হয় কারণ এই এমআরএনএ-তে ইন্ট্রোন ও এক্সন উভয় কপি হয়ে থাকে। উপরে যেমনটি বলেছিলাম প্রোটিন কোডিং-এর সময় ইন্ট্রোন কোন কাজ করে না তাই একে কেটে বাদ দিতে হয়। আমরা প্রাইমারি আরএনএ থেকে ইন্ট্রোন অংশ বাদ দেয়ার পরেই মূল এমআরএনএ (mRNA) পেয়ে থাকি যাকে বলে প্রসেসড ট্রান্সক্রিপ্ট বা ম্যাচিউরিড-এমআরএনএ (Mature mRNA)।
ইন্ট্রোন বাদ দেয়ার জন্য কোষে প্রোটিন ও আরএনএ দিয়ে কিছু জটিল উপাদান আছে যাদের বলে snRNP (Small nuclear ribonucleoprotien) বা স্নার্পস (Snurps)। প্রথমে এই স্নার্পসগুলো ইন্ট্রোন ও এক্সনের সংযোগস্থলে লেগে যায় যাকে বলে স্প্লাইসোজোম বা স্প্লাইসোজোম তৈরি করে পরে ইন্ট্রোনকে বাকিয়ে এক্সনগুলোকে কাছাকাছি নিয়ে আসে এরপর ইন্ট্রোনগুলোকে কেটে বাদ দিয়ে এক্সনগুলোকে জোড়া লাগিয়ে দেয়।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়:-
১। আরএনএ পলিমারেজ অনেক বেশি কর্মদক্ষ। সে এক ট্রান্সক্রিপশনে হাজার হাজার এমআরএনএ (mRNA) তৈরি করতে পারে।
২। অ্যালটারন্যাটিভ স্প্লাইসিং এর মাধ্যমে একই জিন থেকে একাধিক প্রোটিন তৈরি হতে পারে। অর্থাৎ কোন কোন প্রোটিনে দুইটি বা তিনটি এক্সন আবার কোন কোন প্রোটিনের জন্য তারচেয়ে বেশি পরিমাণ এক্সন ব্যবহার হতে পারে বা রিকম্বিনেশনের মাধ্যমেও একাধিক প্রোটিন তৈরি হতে পারে।
৩। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক প্রোটিনের ইন্ট্রোন বা এর কিছু অংশ অন্য প্রোটিনের এক্সন। আবার এক প্রোটিনের এক্সন অন্য প্রোটিনের ইন্ট্রোন হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। ফলে একই জিন থেকে একাধিক প্রোটিন তৈরি হতে পারে।
উপরোক্ত বিষয়টি পর্যালোচনা করলে প্রশ্ন থেকে যায়, মিউটেশন ও ন্যাচারাল সিলেকশন কিভাবে আরএনএ স্প্লাইসিংকে নির্ধারণ করবে? কারণ আমরা যেমনটি আলোচনা করেছি তাতে দেখা যাচ্ছে একই জিন সিকোয়েন্স থেকে একাদিক প্রোটিন তৈরি হচ্ছে যে কাজটি করছে অ্যালটারনেটিভ আরএনএ স্প্লাইসিং।
ধরুন, সেই জিনে মিউটেশনের ফলে কোন সিকোয়েন্স পরিবর্তন হলো ফলে এই জিনের mRNA টি পরিবর্তন হয়ে যাবে। এতে সকল প্রোটিনগুলোর সিকোয়েন্স পরিবর্তন হয়ে যাবে এতে প্রোটিনগুলোর ফাংশন নষ্ট হয়ে যাবে।
এখন বিবর্তনবাদীরা বলবে এই পরিবর্তনগুলো উপকারী হবে। তাদের জন্য মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, প্রোটিন সিকোয়েন্সের পরিবর্তন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জীবের জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে। তাই একই সাথে একাধিক প্রোটিনের পরিবর্তন জীবের জন্য কোনো সুফল আনবে না।
আরেকটি বিষয় বিবর্তনবাদীরা বলে যে, ধীরে ধীরে কোনো ফাংশনকে উন্নত করে কিন্তু এতে দেখা যাচ্ছে যদি উক্ত ফাংশনের জিনে কোন পরিবর্তন আসে তবে তা একাধিক প্রোটিনে প্রভাব ফেলবে এতে সেই ফাংশনটি ধীরে ধীরে পরিবর্তন না হয়ে এতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে ফলে ফাংশনটিই নষ্ট হয়ে যাবে।
একইভাবে ন্যাচারাল সিলেকশনও অ্যালটারনেটিভ স্প্লাইসিংকে নির্ধারণ করতে পারে না। অর্গানিজম শুধু মাত্র পরিবর্তিত পরিবেশে নিজে মানিয়ে নেয় ও বেঁচে থাকে। যা কোনোভাবেই আরএনএ স্প্লাইসিং-কে নির্ধারণ করতে পারে না।
৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০৯
অপলক বলেছেন: @কলাবাগান১: খুব ভাল লাগল কথা পিঠে কথা শুনে। সেই সাথে এটাও বুঝতে পারলাম, সৃষ্টিকর্তা আছেন, তার নির্দেশেই সব কিছু সৃষ্টি এবং ধ্বংস হয়। সব কিছুর একটা ক্বল্ব আছে। এমনি এমনি কিছু হয়নি, হয় না।
বিজ্ঞান তো মানুষের হাত ধরে এসেছে। যে মানুষের ক্ষমতা সীমিত। মানুষ দেখে কেবল ৩৮০-৭০০ ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈঘ্যের বস্তু, শোনে কেবল ২০-২০০০০ হার্টজ শব্দ। ব্রেনের সর্বোচ্চ ব্যবহার ১২%, সাধারন মানুষের ৪%. মানুষকে ততটুকু বোঝানো হয়, জানানো হয়, দেখান হয়, কল্পনা করতে দেয়া হয়, যতটুকু আল্লাহ চান। কেউ সীমা অতিক্রম করতে চাইলেও তার অনুমতি লাগে। ইরসাদ হয়েছে, "আমি পাশাপাশি দুই দরিয়াকে প্রবাহিত করেছি, তাদের মধ্যে রয়েছে এমন এক পর্দা যা তোমাদের রক্তচামড়ার চক্ষু দেখে না।" এটার একটা উদাহরন মাত্র। আমরা কুরআনের সব কথাও বুঝিনা।
বিজ্ঞান ততটুকুই জানে যতটুকু তার সীমিত গন্ডির ভেতরে সে জানার সুযোগ পেয়েছে। জিরো আর ইনফিনিটি নিয়ে পদার্থ বিজ্ঞান আর গনিত বিজ্ঞান এখনও এক মত নয়। এক হলে পদার্থ বিজ্ঞানের অনেক গবেষনা ভুল প্রমাণিত হবে। সেখানে জীববিজ্ঞান তো আরও বহুদূর...
কাজেই একে অপরকে খামচা খামচি না করে, সত্য তুলে ধরুন। আমরা কেউই কারও চেয়ে শ্রেষ্ঠ নই। হয়ত কেউ কেউ সময়ের চেয়ে পিছিয়ে আছে। হেয় করার দরকার নেই।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৫৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি যে প্রশ্নটি তুলে ধরেছি বায়ো অনুর প্রতিলিপি তৈরীর ক্ষমতা কোথা থেকে কিভাবে পেলো? এ প্রশ্নের উত্তর আমাকে না দিয়ে ভাইরাসের প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন @কলাবাগান১। বিশ্বের সকল অনু তো প্রতিলিপি তৈরী করতে পারে না বায়ো অনু ব্যাতিরেকে? এই যে এই বিষয়টি যখন আমরা জানতে পারলাম না তখন কি করে আপনি আপনি হযে গেছে তত্বে আমরা থেমে যাবো।
আল কোরআন বলে “ হে মুহাম্মদ ওরা তোমাকে রুহু সম্পর্কে প্রশ্ন করে তুমি তাদের বল রুহু আদেশ ঘটিত ব্যাপার। এ সম্পর্কে তোমাদের সামান্যই জ্ঞান দেওয়া হয়েছে। ” বিজ্ঞান তো রুহু সংক্রান্ত এ বিষয়টি স্বীকারই করে না। তাহলে বিজ্ঞান বুঝবে কি করে বায়ো অনু প্রতিলিপি তেরীর কারিশমা কোথা থেকে পেলো? আসলে আমি যেটা মনে করি বায়ো অনুর এই ক্ষমতার পিছনে রয়েছে কোন কমান্ডিং প্রক্রিয়া। বায়ো অনুর উপর নির্দেশিত কোন নির্দেশ। আদেশঘটিত একটি প্রক্রিয়া। যা রাইট করা আছে।কোন প্রক্রিয়ায়। সেই রাইট ই আমরা জিনের মাঝে দেখতে পাই। রাইট হলো কিভাবে দেখতে পাই না। কোষের গঠন, বহুকোষের একত্রিকরণ প্রক্রিয়া, টিস্যু সেলের ভিন্নতা, তথ্যের ব্যপকতা বিশারথা এগুলো সব আপনা আপনি হয় না। @কলাবাগান১ এর মতো বস্তুবাদী মৌলবাদীরা আপনা আপনি তত্ত মানতে পারে আমরা পারি না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২২
কলাবাগান১ বলেছেন: @অপলক,
বিজ্ঞান যা জানে সেটা কোন ভাবেই সীমিত গন্ডির ভিতর না...। বিজ্ঞান কে না জানার লোকেরা ই মনে করে যে বিজ্ঞান সীমিত গন্ডির মাঝে। মিলিয়ন লাইট ইয়ার দুরের মহাবিশ্ব কে দেখার পর্যায়ে বিজ্ঞান....
@কলাবাগান কে বলেছেন সত্য তুলে ধরতে। সত্য কোনটা যেটা আপনার বিশ্বাস কে আরো সাপোর্ট দিবে? আপনি কিন্তু লেখক এর আগে খামচানি কে উপেক্ষা করে গেলেন।
৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯
অরণি বলেছেন: ধর্মকে বিজ্ঞানের সংগে সাদৃশ্য স্থাপন করতে যাওয়াটাই হলো বোকামী।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:১৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বোকামী কিনা জানি না। তবে আল কোরানে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রানি নিয়ে আলোচনার মাঝে হঠাৎ করে জোড়া সৃষ্টি বিষয়টি আমাকে চমকে দিয়েছিলো। “সকল মহিমা তারঁ যিনি জোড়া সৃষ্টি করেছেন---পৃথিবী যা উৎপন্ন করে তার মধ্য হতে সব কিছুর, আর তাদের নিজেদের মধ্যেও এবং তারা যার কথা জানে না তাদের মধ্য হতেও।" আমি দৃহ ভাবে বিশ্বাস করছি এটি সেই সময়ের অজ্ঞাত মানুষকে বোঝানোর স্বাথে জোড়া বলে ডিএনএকেই আল কোরআন অভিহিত করেছে। পৃথিবীর সকল প্রাণ জোড়ায় জোড়া নই কিছু প্রাণি আচে সিঙ্গেল তাহলে এই জোড়া কি? আমি ডিএনএ কেই বিশ্বাস করি কারন আধুনিক প্রাণ গঠন হয়েছে ডিএনএ দ্বারা বা রুপক অর্থে ডিএনএ জোড়া দ্বারা।
৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:১৪
নতুন বলেছেন: আল কোরআনে একটি আয়াতে বলছে- "সকল মহিমা তারঁ যিনি জোড়া সৃষ্টি করেছেন---পৃথিবী যা উৎপন্ন করে তার মধ্য হতে সব কিছুর, আর তাদের নিজেদের মধ্যেও এবং তারা যার কথা জানে না তাদের মধ্য হতেও।" (৩৬:৩৬) অথচ পৃথিবীতে এমন অনেক প্রানি আছে যারা জোড়া ব্যতিরেকে সৃষ্টি হয়েছে। উদাহরন স্বরুপ ওপ্পিয়েলা নোভা নামের এক প্রানি। নাস্তিবদের এই দাবী বোধগম্যতার অভাববোধ বলা যেতে পারে। ওপ্পিয়েলা নোভা নামের এই প্রাণি কোন জোড়া নেই। কীভাবে যৌনতা ছাড়াই কীভাবে প্রানিটি বংশবৃদ্ধি করছে?
জোড়া জোড়া সৃস্টি করেছেন বলেছে কারন রাসুল সা: আমল পযন্ত মানুষের জ্ঞানে ঐ টুকুই আছে যে প্রতিটা প্রানী জোড়া থেকেই আসে। ( এটা নতুন কিছু না)
আপনি এখন জোড়া জোড়া কে ডিএনএ এর জোড়ার কথা বলে ছন্দ মেলাতে চাইছেন?
যদি প্রানীর ডিএনএ না থাকে আরএনএ থাকে অথবা ডিএনএ তে জোড়া না থাকে তবে কি ছন্দ মিলবে?
আরেকটা জিঙ্গাসা আছে আমার। কোরানে বা অন্য কোন ধর্মগ্রন্থে কি ডাইনোসর সম্পর্কে কিছু আছে?
কেন নাই বলুন তো। কারন মানুষই জানতো না যে এই রকমের প্রানী দুনিয়াতে ছিলো তাই যখন ঐ ধর্মগ্রন্হ গুলি মানুষ লিখেছে তখনকার মানুষের কল্পনাতেও এইগুলি ছিলো না।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৫৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: নতুন ভাই, আপনি কেনো বিষয়টি অন্য দিকে নিচ্ছেন আমি তো বলেছি আধুনিক প্রাণিদের চুড়ান্ত স্টাকচার ডিএনএর কথা। যারা দ্বিতন্ত্রী। আধুনিক অণুজীব তাদের জিন বহনের জন্য নির্ভেজাল ডিএনএ ব্যবহার করে। কিন্তু প্রাণের উৎপত্তির সময় সম্ভবত নির্ভেজাল ডিএনএ’র অস্তিত্ব ছিল না। সেসময় সম্ভবত আরএনএ এবং ডিএনএ নিউক্লিওটাইডের জটিল মিশ্রণ ছিল। ২০১২ সালে জীব বিজ্ঞানী সোসটাক দেখালেন, আরএনএ এবং ডিএনএ নিউক্লিওটাইডের এই জটিল মিশ্রণ ‘মোজাইকের’ মত দেখতে মলিকিউলে একত্রিত হয়েছিলো এবং এর আচার-আচরণ প্রায় খাঁটি আরএন’র মতই ছিলো। সোসটাক বলেন, ‘আদি কোষে হয়তো আরএনএ সদৃশ কোনো উপাদান ছিলো, যা আরএনএ’র আরো জটিল কোনো সংস্করণ।‘ হয়তো গবেষণাগারে সৃষ্ট টিএনএ এবং পিএনএ-র মতো আরএনএ-র বিকল্প কোনো উপাদানের জন্যও জায়গা ছিলো। টিএনএ এবং পিএনএ প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না, ফলে পৃথিবীতে তাদের অস্তিত্ত্ব কখনো ছিলো কিনা নিশ্চিত নয়। তবে তারা যদি থেকে থাকে তাহলে প্রথমদিককার প্রাণকোষগুলো হয়তো আরএনএ-র পাশাপাশি তাদেরকেও ব্যবহার করেছে। কিন্তু আধুনিক প্রানিরা ডিএনএ দ্বারা গঠিত।
আল কোরআনের আয়াতটি লক্ষ্য করুন- "সকল মহিমা তারঁ যিনি জোড়া সৃষ্টি করেছেন---পৃথিবী যা উৎপন্ন করে তার মধ্য হতে সব কিছুর, আর তাদের নিজেদের মধ্যেও এবং তারা যার কথা জানে না তাদের মধ্য হতেও।" (৩৬:৩৬) এখানে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে যিনি জোড়া সৃষ্টি করেছে। পৃথিবী যা উৎপন্ন করে অথাৎ বৃক্ষ সমূহ আর তাদের নিজেদের মধ্যে অথাৎ মানুষ সহ আধুনিক প্রাণীসমূহ যারা বর্তমান। এবং তারা যার কথা জানে না তাদের মধ্য থেকেও যেমন কিছু কিছু ভাইরাস আছে যারা ডিএনএ সমৃদ্ধ। তবে আরএনএ র পূবেও আরো কিছু হয়তো ছিলো। সৃষ্টিগত গবেষনার চুড়ান্ত পর্যায় হলো ডিএনএ। ২০০৯ সালে আরএনএ ঘরানার বিজ্ঞানীরা একটি বড় ধরণের সমস্যার মুখে পড়ে গেলেন, তারা ধারনা করেছিলেন পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের বিকাশ মোটেও আরএনএ থেকে হয় নি । পৃথিবী সৃষ্টির আদিতে ঠিক কীভাবে প্রাণ সৃষ্টি হয়েছিল তার মূল অনুসন্ধান করতে গিয়ে তারা তাদের মতবাদের পক্ষে প্রাণের মৌলিক উপাদান আরএনএ’র গাঠনিক উপাদান নিউক্লিওটাইড সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হলেন। যে কারণে পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের বিকাশ মোটেও আরএনএ থেকে হয় নি এমন ধারণাই করতে লাগলেন সকলে।
৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪২
অপলক বলেছেন: @কলাবাগান১: বিজ্ঞানের গন্ডিও সীমাবদ্ধ। বিজ্ঞান বেড়ে উঠেছে প্রকৃতির হাত ধরে। প্রকৃতির ব্যাপকতা কত বিজ্ঞান নিজেও জানে না। আমাদের পৃথিবী, মিল্কি ওয়ে বা মিলিয়ন ইয়ারস এগাে ইমেজ/ফটো/ইনফ্রারেড রে ডাটা কোনটাই যথেষ্ট নয়। আপনার জ্ঞানের সীমা কতটুকু সেটা বুঝতে নিচের সাধারন ভিডিওটাই যথেষ্ট...
Infinity in Mathematics and Physics explained
বৃহষ্পতি গ্রহের উপগ্রহ কতটি জানেন? ৯৫টি। একে অপরের সাথে সংঘর্ষের সময় কি হয় জানেন? যা হয় সেটা সাধারন কোন ঘটনা নয়। কিন্তু পদার্থ বিজ্ঞানীরা বা নেভোবিজ্ঞানীরা কয়েকটা মনগড়া ব্যাখা দিয়েছেন। শনিগ্রহের ক্ষেত্রেও তাই। কিন্তু কথা হল, সেগুলোই কে বা কেন সিস্টেম হিসেবে দাড় করিয়ে দিল? অতদূরে যাবার দরকার নেই। সমূদ্রে কত কোটি প্রজাতির প্রানি আছে, বিজ্ঞানীরা সেটাই আজও জেনে উঠতে পারেনি। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি বাচ্চাদের শরীরে ৪৭নম্বর ক্রোমজম কেন থাকে, কিভাবে ঢুকলো, সেটা আজও অজানা।
আমারা পঞ্চ ইন্দ্রীয়ের মানুষ। আমরা বাস করি থ্রি(৩) ডাইমেনশনাল দুনিয়ায়। আরও কত ডাইমেনশনার ওয়ার্ল্ড আছে বিজ্ঞান জানে না। বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানীরা যা কিছু এখন পর্যন্ত আবিষ্কার করেছে, এখানেই তার শেষ নয়। স্টাটিসটিক্যালি বিজ্ঞানের সব কিছুই ১০০% ভ্যালিড নয়।
মনে কিছু নেবেন। আপনাকে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:১৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অন্যকে আঘাত করা যাদের অভ্যাস তাদেরকেও আঘাত করা উচিত।
৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
কলাবাগান১ বলেছেন: শুধু এটাই বলব, এই যে এমন প্রশ্ন গুলি করলেন যা আপনি বিজ্ঞান থেকে পাওয়া জ্ঞান থেকেই করলেন। বিজ্ঞান সীমাবদ্ধ না হওয়াতেই এসমস্ত আরাধ্য প্রশ্ন বিজ্ঞানে উঠে আসে।
আর হ্যা বাচ্চা কিভাবে একটা ক্রমোজম বেশী বা কম পায় অথবা XX থাকার পরও কিভাবে পরুষ হয় বা XY থাকার পরও কিভাবে মেয়ে তা হয়ত আপনি এখনও বুঝেন না তাই এই প্রশ্ন করেছেন। কিন্তু ম্যাকানিজম টা এখন বিজ্ঞান জানে...। না জানলে ইউটিউবে chromosome disjunction/cohesin/shugoshin নিয়ে অনেক ভিডিও আছে, দেখে নিয়েন। বিজ্ঞান সীমাবব্ধ না হওয়াতেই এই প্রশ্নের সমাধান করার জন্য হাজার হাজার বিজ্ঞানী কাজ করছেন।
আপনাদের মত লোকেদের কাছে বিজ্ঞানীদের হাইপোথিসিস কে মনগড়া বলেই মনে হবে, কিন্তু পানির উপরে হাটা, লাটি দিয়ে চাদকে দুভাগ করা, মরা মানুষকে জ্যান্ত করা, পিতা ছাড়া মরিয়ম এর জন্ম, এগুলিকে মন গড়া বলে মনে হবে না। এগুলি ধ্রব সত্য বলে মনে করেন।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:১৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি লিখেছেন “বিজ্ঞান সীমাবব্ধ না হওয়াতেই এই প্রশ্নের সমাধান করার জন্য হাজার হাজার বিজ্ঞানী কাজ করছেন। ” হ্যা ভাই হাজার হাজার বিজ্ঞানী আপনাদের মাতে বিবর্তনবাদীদের কার্যকলাপ দেখে হাসাহাসি করছেন। আপনারা ডারউইনকে বাচাতে ডারউইনকে বাঁচাতে অক্টোপাস ভিনগ্রহে পাঠিয়েছেন। বিজ্ঞানীরা তো হাসছে আমরাও হাসছি। শুনুন একটি গল্প।
১৩ মার্চ ২০১৮, ৩৩ জন গবেষক "Progress in Biophysics & Molecular Biology" Peer Reviewed Journal-এ তাদের গবেষণায় ব্যাখ্যা করেন অক্টোপাস পৃথিবীর প্রাণী নয় অর্থাৎ অক্টোপাস ভিনগ্রহের প্রাণী। তাদের গবেষণায় উঠে আসা এমন তথ্যে বিস্মিত জীববিজ্ঞানীরা। গবেষকরা বলছেন, সেফালোপডা প্রজাতিগুলোর সব জীবই নিজেদের শরীরে নিজেরাই বদল আনতে সক্ষম। সেফালোপডদের এমন আশ্চর্যজনক সামর্থ্য ভাবাচ্ছে জীববিজ্ঞানীদের। কারণ, বিবর্তন তত্ত্বের সাথে এর কোন মিল নেই। তাই গবেষকরা মনে করছেন, শুধু অক্টোপাস নয়, সেফালোপডদের অন্য জীব যেমন- স্কুইড ও কাটলফিশ এগুলিও হয়তো ভিনগ্রহের জীব। গবেষকরা প্রত্যক্ষ করেন, সেফালোপডরা নিয়মিত তাদের RNA প্রতিনিয়ত বদল আনতে সক্ষম। এই RNA-তে আছে জেনেটিক কোড। সাম্প্রতিক RNA editing transcriptome-wide ডেটা সোমাটিক RNA বৈচিত্র্য ম্যাকানিজমের উপর যা সেফালোপডে বিশেষ করে অক্টোপাসে আচরণগত-ভাবে জটিল বা সূক্ষ্ম। এই তথ্যসমূহ প্রকাশ করে A-to-I mRNA editing sites-এ সেফালোপডা কলেওয়ডদের (বিশেষ করে অক্টোপাস) প্রায় প্রত্যেকটি প্রোটিন কোডিং জিন আচরণগত-ভাবে খুবই জটিল যা ব্যাপক বিবর্তনীয় পরিবর্তনে প্রোটেকটেড অর্থাৎ প্রত্যেকটি প্রোটিন কোডিং জিন সূক্ষ্ম ও সংরক্ষিত।
স্কুইড ও বিশেষ করে অক্টোপাসের প্রায় প্রত্যেকটি প্রোটিন কোডিং জিন বিবর্তন সংরক্ষিত A-to-I mRNA editing sites isoform রয়েছে, যার ফলে non-synonymous এমিনো এসিডের পরিবর্তন ঘটে। ইহা এমন একটি মসৃণ এবং ক্রমবর্ধমান বংশানুক্রমিক আণবিক জেনেটিক কৌশল একটি ভার্চুয়াল গুণগত পরিবর্তন, অর্থাৎ এক ধরণের আকস্মিক পরিবর্তন যাকে “great leap forward" বলা হয়েছে। অক্টোপাসের DNA highly rearranged যেখানে অসংখ্য জিন রয়েছে যা লাফিয়ে স্থান পরিবর্তন করতে পারে আর এই জিনগুলোকে "jumping genes" বলা হয়। যতক্ষণ না স্কুইড বা অক্টোপাস বংশক্রমানুতে সব নতুন জিন সাধারণ মিউটেশন দ্বারা পূর্ব জিন থেকে প্রকাশিত হয় ততক্ষণ পর্যন্ত স্কুইড অথবা অন্য জীব একই পরিবেশ শেয়ার করে নেয়, এখানে অবশ্যই এমন কোন উপায় নেই যার দ্বারা A-to-I mRNA editing-এর এই বৃহৎ গুণগত রূপান্তর ডারউইন বা নব্য-ডারউইন প্রক্রিয়া দ্বারা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, যদিও horizontal gene transfer ডারউইন বা নব্য-ডারউইনে অনুমতি দেয়া হয় (ডারউইন বা নব্য-ডারউইন horizontal gene transfer ব্যাখ্যা দিতে পারে না)।
এর আগেও সেফালোপডদের ৫০০ মিলিয়ন বছরের একটি ইভল্যুশনারি হিস্ট্রি অঁকন করা হয়েছিল, যদিও তা খুবই বিশৃঙ্খল ও পরস্পরবিরোধী ছিল। অক্টোপাস, স্কুইড ও কাটলফিশে নটিলাস থেকে রূপান্তরিত প্রধান জিনগুলো পূর্বের জীবে সহজে পাওয়া যায় না। এইসব কারণে গবেষকরা দাবী করেন coleoid-রা এলিয়েন বা ভিনগ্রহের বাসিন্দা। গবেষকরা মনে করেছেন, প্রায় ২৭০ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী তৈরির সময় অনেক কিছু মহাকাশ থেকে ছিটকে পড়েছিল যার কিছু ছিল জীবন্ত। আর সেভাবে হয়তো অক্টোপাস অথবা স্কুইডের ডিম সমুদ্রে পড়েছিল যা পরে সমুদ্রের তাপমাত্রায় জীবন পেয়েছে। (১) অক্টোপাসকে এলিয়েন বলার আরো কিছু কারণ রয়েছে নিচে তা ব্যাখ্যা করা হল---
১৩ আগস্ট ২০১৫-তেও নেচার জার্নালে অক্টোপাসের একটি জেনেটিক নকশা তৈরি করা হয় যেখানে গবেষকরা অদ্ভুত ধরনের নকশা প্রত্যক্ষ করেন। গবেষকরা লক্ষ্য করেন, যেখানে মানুষের জিন রয়েছে ২০ হাজার বা তার কিছু বেশি সেখানে অক্টোপাসের রয়েছে ৩৩ হাজার প্রোটিন কোডিং জিন। শুধু তাইই নয়, গবেষকরা লক্ষ্য করেন, এই জিনগুলোর অদ্ভুত ধরণের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অক্টোপাসের দেহের বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা করে প্রায় কয়েক’শ জিন পাওয়া যায় যা অন্য কোনো প্রাণীতে নেই। এই জিনগুলো কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। অক্টোপাসের জটিল স্নায়ুতন্ত্রে বিবর্তনমূলক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার মাধ্যমে ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে। চারপাশে থাকা যেকোনো কিছুর মতো আকার ও রং ধারণ করতে পারে, যাকে বলা হয় “ইনস্ট্যান্ট কেমোফ্লেজ”। অক্টোপাসে আরো রয়েছে, বৃহৎ মস্তিষ্ক, ক্যামেরাদ মত চোখ, নমনীয় দেহ। (২)
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডাঃ ক্লিফটন রাগডেল বলেন, ”প্রয়াত ব্রিটিশ প্রাণী বিজ্ঞানী মার্টিন ওয়েলস দাবী করেছিলেন, অক্টোপাস হলো এলিয়েন। তারপর আমাদের গবেষণাপত্রেও একটি এলিয়েন জিনোমের বর্ণনা দেয়া হয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “অন্য যেকোনো প্রাণী থেকে অক্টোপাস একদমই আলাদা। কোন কিছুকে আঁকড়ে ধরার জন্য আছে আটটি বাহু, চিন্তা করার জন্য আছে বড় মস্তিষ্ক। শুধু তাই নয়, যেকোনো সমস্যা সমাধানেও অক্টোপাসের রয়েছে অদ্ভুত রকমের দক্ষতা।” (৩)
পরিশেষে-- অক্টোপাস কোনো এলিয়েন নয়, ডারউইন বা নব্য-ডারউইন দিয়ে এলিয়েনের এমন বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করা যায় না। তাই বিজ্ঞানীরা নানানরকম দাবী ও ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।আদৌ এলিয়েন বলে কিছু আছে কি না, থাকলে তারা দেখতে কেমন, কেমন তাদের বুদ্ধিমত্তা-এ নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। কল্পনার এই ভিনগ্রহী প্রাণী কি বাস্তবেও আছে-সেই কৌতূহলের শেষ নেই। এর মধ্যেই কেউ যদি বলেন, এই পৃথিবীতেই অবাধে বিচরণ করছে এলিয়েনরা। তাহলে চমকে ওঠাটাই স্বাভাবিক। অক্টোপাস এলিয়েন এর স্বপক্ষে তেমন কোনো পোক্ত কোনো এভিডেন্স নেই। শুধুমাত্র ডারউইন ইভল্যুশন দ্বারা এদের (Coleoid) ব্যাখ্যা দেয়া যায় না বিধায় এমন দাবী উত্থাপন করছেন গবেষকরা।
ডারউইনকে বাঁচাতে অক্টোপাস ভিনগ্রহে যাওয়া কারণ সমূহ--
১। অরিজিন অফ স্পিসিসের ৬ষ্ঠ অধ্যায়েই ডারউইন লিখেছেন: “যদি দেখানো যায় যে কোন জটিল প্রাণী আছে যার জটিল কোনো অঙ্গের ব্যাপারে একাধিক, ক্রমান্বয়ে হওয়া, হালকা পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায় না, তবে আমার এ তত্ত্ব পুরোপুরিভাবে ভুল প্রমাণিত হবে।” (৪)
আমরা উপরে যেমটা অক্টোপাসের ক্ষেত্রে দেখেছি। এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও গঠন সম্পূর্ণ ইউনিক। তাই তাদের একাধিক ক্রমান্বয়ে হওয়া হাল্কা পরিবর্তন দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না। অতএব ডারউইনের কথা অনুযায়ী তার তত্ত্ব পুরোপুরিভাবে ভুল প্রমাণিত হয়।
২। অলৌকিক উপায়ে (বা জেনেটিক ধারা ভেঙ্গে) কোন প্রানীর 'সৃষ্টি' হওয়া পর্যবেক্ষণ করা গেলে। তুলনামূলক জেনেটিক্সের তথ্য থেকে একই উপসংহারে পৌঁছনো না গেলে। (৫)
উপরে আমরা যেমনটি দেখলাম। অক্টোপাসের জিন মানুষের চেয়েও বেশি যদিও মানুষের চেয়ে তাদের জিনোম ছোট অর্থাৎ অক্টোপাসের জিনোম অসংখ্য জিনে ভর্তি এবং কয়েক'শ জিন পাওয়া যায় যা অন্য প্রাণীতে নেই। অর্থাৎ অক্টোপাসের জিনোমে 'জেনেটিক ধারা' ভেঙে পড়ে ও জেনেটিক্স তথ্য থেকে একই উপসংহারে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
৪। যদি কোন প্রক্রিয়ার সন্ধান পাওয়া যায় যা পরিব্যক্তিকে পুঞ্জীভূত হতে বাঁধা দিবে। (৫)
উপরে আমরা যেমনটা দেখেছি, অক্টোপাসের প্রায় প্রত্যেকটি জিন evolutionary conserved যা বিবর্তনবাদী পরিবর্তন থেকে সংরক্ষিত। যার প্রতিটা জিন ইউনিক ও প্রয়োজনীয়। এই জিনের পরিবর্তন জীবের জন্য প্রাণঘাতী(lethal) হতে পারে। (৬)
তাই গবেষকরা বলছেন, 'The complex sets of new genes in the Octopus may have not come solely from horizontal gene transfers or simple random mutations of existing genes or by simple duplicative expansions.
সূত্র--
১। Click This Link
২। https://www.nature.com/articles/nature14668
৩। Click This Link
৪। Click This Link
৫। Click This Link
৬। Click This Link.
১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
কলাবাগান১ বলেছেন: @রাশিদুল ইসলাম লাবলু
ভাইরাস এর কথা বলেছি কেননা যদি কোন সাইন্টিফিক ম্যাকানিজম ইউনিভার্সাল না হয় সেটাকে বিজ্ঞান গ্রহন করতে চায় না। DNA is DNA. ডিএনএ ভাইরাস এ এক রকম ভাবে কাজ করবে আর বহুকোষী প্রানীতে আরেক ভাবে কাজ করবে তা তো হয় না। তাহলে দুটার নামই ভিন্ন হত
আপনাকে জোড়া হ্যালোস্ক ছাড়া আরো নানা রকম এর ডিএনএ ও যে মানুষের ও আছে তার উধাহরন তো দিলাম।
এনি ওয়ে আর কোন কমেন্ট করব না.........।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:০৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কলাবাগান১, আপনি কিন্তু আড়ি তর্ক্ করছেন জয়ী হওয়ার জন্য। আমি আপনাকে আরএনএ এবং ডিএনএ একটি পাথক্য সম্পর্কে উইকিপিডিয়ার একটি লেখা তুলে ধরলাম।
“ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ইংরেজি: Deoxyribonucleic Acid) একটি নিউক্লিক এসিড যা জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের জিনগত নির্দেশ ধারণ করে। সকল জীবের ডিএনএ জিনোম থাকে। একটি সম্ভাব্য ব্যতিক্রম হচ্ছে কিছু ভাইরাস গ্রুপ যাদের আরএনএ জিনোম রয়েছে, তবে ভাইরাসকে সাধারণত জীবন্ত প্রাণ হিসেবে ধরা হয় না। ”
https://bn.wikipedia.org/wiki/ডিএনএ
ভাইরাসকে যেখানে জীবন্ত প্রাণ হিসেবে ধরাই হয় না সেখানে আপনি ভাইরাসের উদাহরন তুলে ধরে কি আমার সাথে নকশা করছেন? আপনার জ্ঞানের পরিধি আমার বোঝা হয়ে গেছে।
১১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭
জ্যাকেল বলেছেন: @লেখক
অনেক দিন পরে বিজ্ঞানের ওপর ভাল একটি লেখা পড়লাম। আপনার উচিত ভাল একটি পিডিএফ বানানো, বিষয়ভিত্তিক ভেরাইটি নিয়ে।
@কলাবাগান১
জানার জন্য বিতর্ক করলে সেটা সুন্দর। আপনে পান্ডিত্য প্রদর্শন করে তর্ক করতেছেন যাহা আপনার অন্তসারঃশুন্য চিন্তাকেই তুলে ধরছে।
প্রথমতঃ
কুরআন বিজ্ঞানীদের ওপর নাজিল হয়নি যে উহা বিজ্ঞানের ডিটেইলড নলেজ কেরি করবে। কুরআন নাজিল হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। এই সহজ সত্যটা আগে মেনে নেন।
দ্বিতীয়তঃ
কুরআন সাধারণত সহজ সরল বাক্যে বিবৃত হয়েছে। ইহাকে তেনা পেচিয়ে জটিল বিজ্ঞানের ভেতরে নেওয়া মানে মুর্খতা। কারন কন্টেক্সট এর বাইরে যাওয়া জ্ঞানীর কাজ হইতে পারে না।
তৃতীয়তঃ
কুরআনে অনুরুপ একটি সুরা যদি পারেন তাইলে আপনার ভার্সিটির অধীনে থাকা মেইনফ্রেম কম্পিউটার দিয়ে বানিয়ে নিয়ে আসেন। পারলে সুপার কম্পিউটার দিয়ে চেস্টা করেন, বানিয়ে নিয়ে আসেন। তারপরে কুরআনকে ছোট করে কথা বলেন।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: জ্যাকেল ভাই, অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম। খুব ভালো লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৮
কামাল১৮ বলেছেন: মুখে না মেরে ঘাড়ে মারেন।যেটা অনেক মমিন করে।