নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পানি একটি অলৌকিক সৃষ্টি। পানি প্রকৃতির সাথে সুক্ষসমন্ময়কৃত, পরিকল্পিত এবং ডিজাইনকৃত একটি উপাদান।

২৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৯



পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করার জন্য স্রষ্টার আরো অদ্ভুদ একটি পদক্ষেপ সেটি হলো পৃথিবীর মধ্যে অলৌকিক সৃষ্টি বিষয় পানি।প্রাণ সৃষ্টি করা এবং প্রাণ টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বিশাল পানিরাশি পৃথিবীর তাপ নিয়ন্ত্রন করে। সারাদিনব্যাপী সুর্যের আলো যে ব্যাপক তাপ ছড়িয়ে দেয় রাতের আধারে সুর্যের অনুপস্থিতেতে বিশাল জলরাশি ভূপৃষ্ঠের মৃত্তিকাকে তাপমুক্ত করে এবং পরবর্তী দিনের তাপ গ্রহনের জন্য প্রস্তুত করে তোলে।আর পানি চক্র পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠকে পূর্নজীবিত করার মতো মহান উদ্যেগ নিয়েছে!সমুদ্রের পানিকে বাষ্পায়িত করে মেঘমালায় জমিয়ে রেখে নিদীষ্ট সময় পর বৃষ্টি রুপে ভূপৃষ্ঠকে সিক্ত করে ভূপৃষ্ঠ, উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলকে টিকিয়ে রাখছে।উদাহরন স্বরুপ বলা যেতে পানি চক্রের মাধ্যমে বৃষ্টিপাত পানি উদ্ভিদের জন্য কার্বনডাইঅক্সাইড সরবরাহ নিশ্চিত করে। অন্য দিকে এবং একই সাথে পৃথিবীতে সৃষ্ট সব প্রাণীর জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে।পানিচক্রের কর্মকান্ডের দিকে গভীর দৃষ্টিপাত করলেই বুঝতে পারবেন যে এই চক্র পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করার মাধ্যমে প্রাণি জগতের টিকে থাকার এবং প্রাণিজগতের স্থায়িত্বের ভিত্তি তৈরি করার একটি অনন্য সিস্টেম হিসেবে পরিগনিত হয়েছে।এটা যেনো প্রকৃতির একটা অপূর্ব দান। প্রকৃতির এই দান শুধু জীবনের উত্থানই নয়,বরং পৃথিবীতে জীবনের বিকাশ ও অস্তিত্ব রক্ষার পূর্বশর্ত হিসেবেও কাজ করছে। একটি কার্যকরী পরিবেশ সৃষ্টি করে পৃথিবীতে জীবনের উত্থান,গঠন,জীবন রক্ষা বা বজায় রাখতে সহায়তা ও সামর্থ্য জোগাচ্ছে।

পানি সৃষ্টি না হলে আমরা আজ পৃথিবীতে যে ভাবে আছি হয়তো সেভাবে থাকতে পারতাম না! কোন প্রাণই হয়তো পৃথিবীতে থাকতো না! কারন পানি হলো প্রকৃতির সবচেয়ে রহস্যময় পদার্থ। এখন পর্যন্ত পানির ৬৪টি অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে, যার সমাধান বিজ্ঞানীদের কাছে নেই। পানির আছে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য যা জীবনধারণের জন্য খুবই উপযোগী। এই বিষয়টি প্রথম লক্ষ্য করেন ব্রিটিশ প্রকৃতি বিজ্ঞানী উইলিয়াম হুইওয়েল। তিনি ১৮৩২ সালে তার লেখা ‘Astronomy and General Physics Considered with Reference to Natural Theology’ বইতে তা তুলে ধরেন । তিনি পানির তাপীয় বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা করে দেখতে পান যে, তা কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রকৃতির আইন লঙ্ঘন করে। পানির অস্বাভাবিক তাপ ধারণ ক্ষমতা, যা না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণ টিকে থাকতে পারত না। পানির অস্বাভাবিক দ্রবণ করার ক্ষমতা, যা না থাকলে প্রাণীদের শরীরে পুষ্টির বিতরণ ঠিকভাবে হতো না। পানি বরফ হলে তার আয়তন না কমে উল্টো বেড়ে যায়, যার কারণে নদী, পুকুর, সমুদ্রের উপরের স্তরেই শুধু বরফ হয়, পুরোটা জমে বরফ হয়ে সব প্রাণী মেরে ফেলে না এরকম বহু অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পানি দেখলে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় যে, একে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বানানোই হয়েছে প্রাণ সৃষ্টির জন্য। পানি থেকেই প্রাণ এটি মাথায় রেখেই স্রষ্টা পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক পানিকে পৃথিবীর মধ্যে আর্বিভাব ঘটিয়েছিলেন। এ সকল জটিল ভাবনাচিন্তা বিজ্ঞানী উইলিয়াম হুইওয়েলকে বিব্রত করে তোলে। অবশেষে তিনি সিদ্ধান্তে পৌঁছেন, নিশ্চয়ই পানিকে সৃষ্টি করা হয়েছে জীবনের জন্য বিশেষ উপযোগী করে। তারও প্রায় ১০০ বছর পর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক লরেন্স হেন্ডারসন লিখেন ‘দ্য ফিটনেস অব দ্য এনভায়রনমেন্ট’ বইটি। এখানে তিনি বলেছেন, পানির তাপীয়, ভৌতিক ও রাসায়নিক কিছু বেশিষ্ট্যের কথা। সব তরলই তাপমাত্রা হ্রাসের সাথে সাথে আয়তনে সঙ্কুচিত হয় এবং তাদের ঘনত্ব যায় বেড়ে, এক সময় তারা কঠিন পদার্থে পরিণত হয় । ফলে তরলের চেয়ে তাদের কঠিন রূপটাই বেশি ভারী হয়। পানির ক্ষেত্রে বিষয়টি যে উল্টো। এ কারণে অন্য তরল পদার্থগুলো জমে কঠিন পদার্থে পরিণত হলে এতই ভারী হয় যে, নিচে বা তলানিতে অধঃপ্তি হয় । কিন্তু পানি জমে বরফে পরিণত হলে তা তলানিতে অধঃপ্তি না হয়ে উপরিতলে ভাসতে থাকে ওজন কম হওয়ার কারণে। এইটাই পানির অদ্ভুদ একটি গুনাবলী।পৃথিবীর অনেক জায়গাই আছে, যেখানে শীতকালে তাপমাত্রা ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও নিচে নেমে যায়। যদি পানির ব্যতিক্রান্ত প্রসারণ না থাকত, তাহলে উপরিভাগের পানি ওই তাপমাত্রায় ভারী বরফ হয়ে হয়ে পানির তলদেশে অধঃপ্তি হতো, আর নিচের পানি উপরে উঠে এসে বায়ুমণ্ডলের শীতল তাপমাত্রায় উন্মুক্ত হয়ে পড়ত এবং আবার বরফে পরিণত হতো। এভাবে প্রক্রিয়াটি চলতেই থাকত যে পর্যন্ত না সব পানি বরফ হতো। তাহলে পৃথিবীতে আর কোনো পানি থাকত না। কিন্তু পানির এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে উপরিভাগের পানি বরফ হলেও তা নিচের তরল পানির ওপর ভাসতে থাকে। এ দিকে বরফ ও তুষারের তাপ-পরিচালন কম থাকার কারণে বরফের আস্তরের নিচের পানি উষ্ণই থাকে। আর বরফের আস্তরের নিচে থাকে তরল পানি এবং তাতে বেঁচে থাকে অন্য প্রাণীরা। এ কারণে বাতাসের তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও মেরু অঞ্চলের সিল ও পেঙ্গুইন ঠিকই বরফের নিচের অপেক্ষাকৃত উষ্ণ পানিতে বেঁচে থাকবে, আর বরফের ১ মিটার স্তরের মধ্যেও থাকবে অসংখ্য ফাটল। যদি পানি এ রকম অস্বাভাবিক আচরণ না করত, বরং সেও অন্য তরলের মতো আচরণ করত, তাহলে কী হতো? সমুদ্র, নদী বা হ্রদের পানি ক্রমেই বরফ হয়ে নিচে ডুবে যেত, আর নিচের পানি উপরে উঠে আসত। এরাও বায়ুমণ্ডলে তাপ ছেড়ে দিয়ে বরফ হতো, আর নিচে ডুবে যেত। এভাবে সব পানি বরফ হয়ে যেত, আর এদিকে পানির নিচে যেসব প্রাণী থাকে, তারাও বাঁচত না, পানির নিচের জীবজগতের কোনো অস্তিত্ব থাকত না! কী ভয়াবহ ব্যাপার হতো তাহলে! নাসার Water Cycle নামক একটি প্রবন্ধে পানির এই অদ্ভুদ আচরন নিয়ে বিশেষ কিছু ধারনা দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর ভূমি,মহাসাগর এবং বায়ুমণ্ডলকে একটি সমন্বিত ব্যবস্থায় একত্রিত করতে এই পানি সাহায্য করে বলেই নাসার গবেষনা প্রমান করে। ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিলের রিসার্চ পাথওয়েস ফর নেক্সট ডিকেডে (NRC, 1999) রিপোর্টে বলা হয়েছে: "জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ এবং প্রভাব উভয়ের কেন্দ্রেই রয়েছে পানি।" ঘনীভূত জলীয় বাষ্প সুপ্ত তাপ নির্গত করে এবং এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চালনকে চালিত করে। এই সুপ্ত তাপ মুক্তি পৃথিবীর তাপের ভারসাম্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি গ্রহের শক্তি এবং পানি চক্রকে সংযুক্ত করে।

পৃথিবীর পৃথিবীর সঠিক তাপমাত্রা নির্ধারনে গুরুত্বপূন বিষয় হলো পানি চক্র। “পানি এমন এক চক্রভ্রমণকারী প্রাকৃতিক সম্পদ যা ক্রমাগত আকার পরিবর্তনের মাধ্যমে ওপরে এবং নিচে চলাচল করে।” হাইড্রোলজিক্যাল সাইকেল বা পানির চক্রানুযায়ী; পানি হলো মাটির উপরে, নিচে ও আকারে পরিবর্তিত, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে, ভূপৃষ্ঠে, ভূগর্ভে এবং বায়ুমণ্ডলে সঞ্চায়িত পানির একত্রিত সমাহার। অতএব বলা যায়, পানি কখনো বিনষ্ট, ক্ষয়,বিলীন কিছুই হয় না। বরং এটি বাষ্পীভূত হয় বা তরল থেকে গ্যাসে পরিবর্তিত হয় বা জলীয় বাষ্প হয়ে উপরে উঠে যায়।আমরা জানি যে, বায়ু যত বেশি উষ্ণ হবে তত বেশি জলীয়বাষ্প ধারণ করতে পারে। কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতার যতটুকু পরিমাণ জলীয়বাষ্প বায়ুতে থাকলে বায়ু এর চেয়ে বেশি জলীয়বাষ্প আর ধারণ করতে পারে না সেই অবস্থায় ঐ বায়ুকে বলা হয় সম্পৃক্ত বা পরিপৃক্ত বায়ু। এই সম্পৃক্ত বায়ু যখন শীতল হতে থাকে তখন তা আর অধিক পরিমাণে জলীয়বাষ্প ধারণ করতে পারে না। এ পরিস্থিতিতে জলীয়বাষ্পের কিছু অংশ পানিতে পরিণত হয় এবং এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ঘনীভবন। ঘণীভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৃষ্টি, কুয়াশা ও শিশিরে পরিনত হয়। জলীয়বাষ্প উপরে উঠে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে যখন ঘনীভূত হয় তখন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণা ও তুষারকণায় পরিণত হয়। এরপর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে আবার পৃথিবীপৃষ্ঠে পতিত হয়। সূর্যতাপ পানিকে শীতল বায়ুমণ্ডলে টেনে আনে এবং পরে distill করে ভূপৃষ্ঠে ফিরিয়ে দেয়। এই যে প্রকৃতির একটি সিষ্টেম।এটা একটি দৈব বা অদ্ভুত সিষ্টেম। এর সোজাসাপটা অর্থ হলো; পৃথিবীতে আসলে পানির পরিমাণ একই; শুধু এটি নিজেকে কখনও তরল থেকে বাষ্পে রূপান্তরিত করে আকাশে উড়ে যায়। তারপর আবার তরল রূপ ধারণ করে ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। অর্থাৎ পরিমাণ ঠিক রেখে ও নিজেকে সচল রেখে পানির এই চক্র শুধু ওপরে ও নিচে আসা যাওয়া করে। কিন্তু এই যাওয়া আসা করার মাধ্যমে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠকে বৃষ্টি নামক ডিস্ট্রিল পানি সরবরাহ করে উজ্জিবিত কর তোলে বা পূর্নজীবিত করে। ভূপৃষ্ঠকে সতেজ করে। এই যে পানিচক্র নামীয় পৃথিবীর অদ্ভুদ সিষ্টেম কি আমাদের অবাক করে না? এই পানি বা পানির এই চক্রকে যদি আমরা আমরা আপনা আপনি হয়ে গেছে বলে অভিহিত করি তবে কোথায় যেনো একটা অসর্ম্পূণতা থাকে! এই পানি, প্রাণ এবং পৃথিবীর নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রা সব যেনো একটি বিষয় মনে করিয়ে দেয় যে এই বিশাল জলরাশি পৃথিবীতে অস্তিত্বশীল সব প্রাণীর জীবনের প্রতিটি দিককে প্রভাবিত করে। এই যে পানি চক্র! এটি পূর্ব পরিকল্পনার বাইরে আপনা আপনি ঘটে গেছে বললেই কি চলবে? না চলে না কারন এখানে নির্দীষ্ট নিয়ম পরিলক্ষিত করা যাচ্ছে। যে নিয়মের উপর ভর করে টিকে আছে প্রাণের প্রবৃদ্ধি। পানির এই অসাধারণ বৈশিষ্ট্য ও অদ্ভুত আচরণ, অন্য যেকোনো পদার্থের থেকে একেবারেই আলাদা।পানিচক্র নিয়মিত কাজ না করলে এই পৃথিবী বাসযোগ্য হতো না, টিকতো না মানুষ ও প্রনিজগৎ। এই যে সমুদ্রের নোনা পানি বাষ্পায়িত হয়ে মেঘমন্ডলে চলে যায় এবং ডিষ্ট্রিল হয়ে বৃষ্টি রুপে পৃথিবীর জমিনে ভূপাতিত করে জমিনকে সিক্ত করে। পূর্নজীবিত করে পৃথিবীকে।এই যে পানিচক্রের এই নিয়ম!এই নিয়ম কি করে আপনা আপনি তৈরী হয়! এই নিয়মের আর্বিভাব না হলে পৃথিবীতে প্রাণের আর্বিভাব ঘটতো না! পৃথিবীর পানিচক্রের গোটা পরিবেশ ব্যবস্থা এবং তার কার্যক্ষমতা একটি নিদীষ্ট নিয়ম মেনে চলছে! ঠিক যেনো এই পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠকে সতেজ এবং তাপ শোষনের কাজে নিয়োজিত রাখার জন্যই এই নিয়ম নির্ধারন করা হয়েছে!কিন্তু নিয়মগুলো নির্ধারিত হলো কি করে? যার কোন সঠিক ব্যক্ষা আজো অবধি বিজ্ঞান দিতে সক্ষম নই।প্রকৃতির যেনো মাথায় ছিলো এখানে প্রাণ সৃষ্টি করা হবে।অতএব প্রাণ সৃষ্টির পূববর্তী পাদক্ষেপই হলো পানিচক্রের সৃষ্টি!সৃষ্টির ধারাবাহিক প্রক্রিয়া লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় যে মানুষ ও প্রাণী সৃষ্টিটা মাথায় রেখে প্রকৃতি যেনো মহাবিশ্বকে এভাবে সৃষ্টি করেছেন।এতকিছু সৃষ্টির মূল কারন ছিলো প্রাণ সৃষ্টি।


পৃথিবীতে অবস্থিত পানির পরিমান একটি নির্ধারিত পরিমাপে অবস্থান করছে।পৃথিবীতে যে পরিমান পানি বরফ আকারে, তরল আকারে অথবা বায়বীয় আকারে অবস্থান করছে।পৃথিবীতে আসলে পানির পরিমাণ একই; শুধু এটি নিজেকে কখনও তরল থেকে বাষ্পে রূপান্তরিত করে আকাশে উড়ে যায়। আবার কখন সমুদ্রে বা পাহাড়ে তরল জল বরফে পরিনত হয়ে যায়। এই সকল পানি একটি নির্দৗষ্ট পরিমানই রয়েছে। কখনও হাইড্রোজেন অক্সিজেন মিলিত হয়ে পানি উৎপাদিত হচ্ছে না আবার পানির পারমানু ভেঙ্গে পানির পরিমান কমছেও না। আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করুন। সমুদ্রে কিংবা পাহাড়ে পানির বিশাল একটি অংশ বরফে পরিনত হয়ে থাকে। যদি কখনও প্রকৃতির সকল বরফ গলে যায় তবে পৃথিবীটা কি পৃথিবী থাকবে? জমিন কোথাও থাকবে না সমস্তটা সমুদ্রে পরিনত হয়ে যাবে! একটি গবেষনায় দেখা যায় যদি প্রকৃতির সকল বরফ যদি রাতারাতি গলে যায় তাহলে সমুদ্রের পানি প্রায় ২৫০ ফুট উপরে উঠে যাবে। আর এটুকুই যথেষ্ট আমাদের দেশের বড় বড় সব ব্রিজগুলো পুরোপুরি পানিতে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য। এরই সাথে সাথে ভারত এবং বাংলাদেশের অনেক বড় বড় শহর মুম্বাই, গোয়া, চট্টগ্রাম, সিলেট এগুলোর সাথে আরো সাত মহাদেশের অনেকগুলো শহর পুরোপুরি পানিতে ডুবে যাবে। আর তখন না থাকবে মায়ামি শহর আর না থাকবে লন্ডন! এমনকি অস্ট্রেলিয়ার মতো একটি দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ জায়গা পানিতে ডুবে যাবে। এছাড়া আচমকা চলে আসা এই জলস্রোতে ভেনিস এবং নেদারল্যান্ড পৃথিবীর মানচিত্র থেকেই একদম ডুবে যাবে। এই যে পৃথিবীর নির্ধারিত পানির পরিমান যার কিছু অংশ বরফ হয়ে জমে থাকা আর কিছু মেঘ হয়ে আকাশে থাকা। ফলে পৃথিবীতে জমিন থাকে। প্রাণিদের বিচরনের অবস্থান নির্ধারিত হয়। এই যে সুন্দর একটি পরিকল্পনায় পানিকে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে যার একটি অংশ মেঘে পরিনত হচ্ছে আর একটি অংশ বরফ হয়ে জমে থাকছে আর একটি আংশ সমুদ্র হয়ে তরল পানিতে থাকছে। এই যে পানির নির্ধারিত পরিমাপ সেটিও যেনো পারফেক্টনেস নির্ধারিত।লাখ লাখ কোটি কোটি বছরের প্রাণি জগতের ইতিহাস ঘেটে দেখেন কখনও বরফ গলে গিয়ে সকল প্রাণি জগত ধ্বংশ হয় নাই। যদি তাই হতো তাহলে আমরা মানুষেরা অস্তিত্বহীন হতাম না। আমাদের নির্দীধায় টিকে থাকার অর্থ হলো বরফ গলে না কিংবা গলে গেলেও সেটা এতটাই সীমীত পর্যায়ে যে প্রাণি জগতের উপর সেটি খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। ফলে স্পষ্টই প্রতিয়মান হয় এটি একটি সিষ্টেম বা নিয়ম দ্বারা পরিচালিত। যা সৃষ্টির শুরুতে পানি চক্র বা পানির ত্রিরুপ অবস্থায় টিকে থাকার বিষয়টি স্কেল মাফিক নির্ধারণ করা হয়েছেলো। পানি তার অবস্থান পরিবর্তন করে কিন্তু পানির মোট অনুপাতের কোন পরিবর্তন হয় না। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে হয়তো পর্বতের চূড়ার কিছু বরফ গলে পানি হবে কিংবা অতি গরমে সমুদ্রের পানি বেশি উত্তপ্ত হয়ে মেঘের আকারে আকাশে সঞ্চিত হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মোট পানির পরিমাণ একই থাকবে। বলা যায় পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে পৃথিবীতে মোট পানির পরিমাণ একই রয়ে গেছে। রহস্যজনক হলেও প্রশ্নটি করতে হচ্ছে এই মোট পানির পরিমান নির্ধারিত হলো কি করে? এগুলো কি আপনা আপনি নির্ধারিত হলো? কতটুকু পানি বরফে পরিনত হবে-কতটুকু সমুদ্রে তরল আকারে থাকবে আর সমুদ্রের তরল পানি কতটুকুই বা বায়বীয় আকারে মেঘে পরিনত হবে সেটিও নির্ধারিত হয়েছিলো প্রাণিজগতের কথা মাথায় রেখে।জগতের স্থায়িত্বশীলতার কথা মাথায় রেখে প্রাণিজগত সৃষ্টিতে স্রষ্টা একটি ডিসিপ্রিন একটি নিয়ম সুত্র ব্যবহার করে প্রাণিজগতের কথা মাথায় রেখে এই জগতকে মানুষের জন্য অধিনস্থ করে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এটিই যুক্তি সংগত। সুতরাং আপনা আপনি জগত সৃষ্টি হয়েছে এটা না ভেবে বরং এটিকে পরিকল্পিতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে বলেই অভিহিত করাই বাঞ্চনিয়। পৃথিবীতে পানির পরিমান যেমন গুরুত্বর্পূণ এবং অলৌকিক একটি বিষয় ঠিক তেমনি আরেকটি অলৌকিক বিষয় হলো পানির পরিমান। সমগ্র মহাবিশ্বে গ্রহ উপগ্রাহে বিভিন্ন স্থানে তদন্ত করে পানি পাওয়া যায় নাই কিন্তু আমাদের এই পৃথিবীতে পানি এলো কোথা থেকে? হয়তো বলবেন পৃথিবী হেবিটেবল জোন এ অবস্থান করছে! হেবিটেবল জোনে অবস্থান করলে পানি তরল অবস্থান থাকতে পারে। কিন্তু হেবিটেবল জোনের কারনে পানির আর্বিভাব বা সৃষ্টি হতে পারে না! অতএব পৃথিবীতে পানি আবিভূর্ত হয়েছিলো কোন না কোন ভাবে! এবং এই পানিকে পৃথিবীর বুকে আটকে রাখবার জন্য পৃথিবীর নির্দীষ্ট পরিমান মধ্যাকর্ষন শক্তি নির্ধারন করা হয়েছিলো। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তির ক্ষেত্রে একটি প্যারামিটার নির্ধারণ করাটিও স্রষ্টার একটি পরিকল্নপনাই বলা যায়। অতএব এই পানি, এই পৃথিবী এই মহাবিশ্ব কোন কিছু আপনা আপনি সৃষ্টি হতে পারে না। যদি তাই হতো তবে প্রতিটি প্যারামিটার এতটা সুক্ষভা্বে সমন্ময়কৃত হতো না। এটাকে সত্যিই আপনি রহস্যজনক বলেই ভাবতে হবে।


সৃষ্টির সময় পৃথিবী পানি পেলো কোথা থেকে? পানির উৎস নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গবেষক বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছেন। কারো কারো মতে পৃথিবী সৃষ্টির সময় বাইরে থেকে উল্কাপিন্ড বা ধুমকেতুর মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে পানির আনয়ন ঘটেছে। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, পৃথিবীর সাগর-মহাসাগরগুলোয় ডিউটেরিয়াম ও হাইড্রোজেনের অনুপাত প্রতি দশ লাখে দেড়শ। এর থেকে পানির উৎস প্রশ্নে গ্রহাণু ও ধূমকেতুর আছড়ে পড়াই বেশি যৌক্তিক বলে মনে করছেন তারা। তাদের মতে, এসব গ্রহাণু ও ধূমকেতু ছুটে আসার সময় মহাবিশ্বের ভারীপানিগুলোকে সঙ্গে করে নিয়ে আসে। এসব পানি পৃথিবীর আকর্ষণের কারণে আর বাইরে যেতে পারেনি। আবার কেউ কেউ বলেন পানি পৃথিবীতেই ছিলো। পৃথিবীর বুকে পানির উৎসের রহস্য সমাধানে বিজ্ঞানীদের আরেকটি ধারনা সেটি হলো উত্তপ্ত পৃথিবী যখন শীতল হতে শুরু করে, তখন এখানকার পাথর আর ধূলোকণাই ভূপৃষ্ঠের সৃষ্টি করে। আর এসবেই আবদ্ধ হয়ে যায় সৌরজগতের জলকণাগুলো। যা পরবর্তীতে মহাকর্ষীয় বলের প্রভাবে জন্ম হয়েছে সমুদ্র-মহাসমুদ্রের। এখন পানি ‍পৃথিবীতেই থাকুক আর উল্কাপিন্ড দ্বারা পৃথিবীতে আসুক সবচেয়ে বড়ো কথা হলো পৃথিবীর বুকে ঠিক নিদীষ্ট পরিমান পানির আর্বিভাবই ছিলো আসলে এ্কটি অলৌকিক বিষয়। এই অলৌকিক ব্যাপারটিই ঘটাই একটি মাত্র কারন ছিলো সেটি হলো পৃথিবীতে ঘটবে প্রাণি জগতের রামরাজত্ব। পানি যদি প্রাণ হয় তাহলে এতক্ষণ পর্যন্ত পানির যে বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচিত হলো, তা থেকে এটা স্পষ্ট যে, পানিকে বিশেষ ডিজাইনে সৃষ্টি করা হয়েছে জীবনের উপযোগী করে। পৃথিবীর তাপমাত্রা, আলো, বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ, বায়ুমণ্ডল, ভূপৃষ্ঠ সবকিছুই জীবনের জন্য উপকারী, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূন যে বিষয়টি সেটি হলো পানি। এটি একটি সূক্ষ্ম ডিজাইনকৃত সৃষ্টি বিষয়। পানি সৃষ্টি হয়েছে প্রাণের কথা মাথায় রেখে। হঠাৎ ঘটে গেছে বা কোনো দুর্ঘটনাক্রমে এটি ঘটেনি, বরং তা সুপরিকল্পিত ডিজাইনকৃত।পানির সৃষ্টি এবং তার কার্যক্রম একটি পরিকল্পনারই ফসল নইলে এতটা সুক্ষসমন্ময়কৃত এবং পারফেক্টনেস হয় কেমন করে?

এই মহাবিশ্বটি সত্যিই রহস্যময় একটি সৃষ্টি! মহাবিশ্বের সমস্তকিছু আপনা আপনি সৃষ্টি হয়েছে বলে যারা চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় রত আছে তারা প্রকৃত সত্যকে এ্ড়িয়ে যেতে চাই।পৃথিবীকে এমন একটি প্রক্রিয়ায় বা বেশ কিচু চলকের নির্দীষ্ট ও যথাযত অনুপাতে সৃষ্টি করা হয়েছে যার একটু এদিক ওদিক হলে প্রাণ বা প্রাণি জগত পৃথিবীতে সৃষ্টি হতো না। এক্ষেত্রে তাপমাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তাপমাত্রা নির্ধারনের নির্দীষ্ট পরিমাপ সত্যিই অলৌকিক একটি বিষয়।তাপমাত্রা সহ অসংখ্য চলক বা প্যারামিটার যখন আপনা আপনি মিলে যাই তখন বুঝে নিতেই হয় এটি একটি পরিকল্পিত সৃষ্টি ডিজাইনকৃত প্রয়াসমাত্র। যেমন আমাদের গ্যালাক্সিটি মহাবিশ্বের অন্ধকারকূপ খ্যাত ভয়েডের মধ্যে অবস্থিত। কেনো প্রকৃতি আমাদের এই গ্যালাক্সিকে অন্ধকার ভয়েড এর মাঝে অবস্থিত করিয়েছে? মহাবিশ্বের ফিলামেন্ট এলাকা ব্যপক তাপমাত্রার মাঝে যদি আমাদের পৃথিবীটা অবস্থান করতো তবে অত্যাধিক তাপমাত্রার কারনে সবর্দা উচ্চ মাত্রার আলোর কারনে পৃথিবীতে বায়ুমন্ডল, পানিচক্র সৃষ্টি হতে পারতো না। ভুমী শুষ্ক পাথরের মতো হয়ে থাকতো।ফলে পৃথিবীটা মানুষের বসবাসের উপযোগী থাকতো না। সুতরাং আমাদের গ্যালাক্সির ভয়েডে অবস্থান সঠিক তাপমাত্রা নির্ধারনের জন্য কেনো আমাদের সৌরজগতটা আমাদের গ্যালাক্সির অনেক দূরবর্তী স্থানে নির্দীষ্ট তাপমাত্রার মাঝে অবস্থিত হলো? আমাদের সৌরজগৎটি আমাদের গ্যালাক্সি থেকে যথেষ্ট উচুতে অবস্থিত। যার আশে পাশে তেমন কোন নক্ষত্রই নেই। অন্য কোন নক্ষত্র থেকে কোন আলো বা তাপমাত্রা আমাদের সৌরজগতে পৌছায় না।যদি অন্য কোন নক্ষত্র বা বা গ্যালাক্সির কোন অংশ থেকে যদি আলো পৃথিবীতে এসে পৌছতো তাহলে পৃথিবীর দিনরাতের যে সুন্দর বিন্যাস তা নষ্ট হয়ে যেতো।রাতের বেলা দিনের উজ্জল আলোর দরুন পৃথিবীর নির্ধারিত তাপমাত্রা ব্যহত হতো।দিন রাত হতো না।আর দিন রাত না হলে দিন শেষে রাতের ঠান্ডায় মৃত্তিকা ও সমুদ্রের তাপমাত্রা শোষন করার যে ক্ষমতা সেই ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতো ফলে। তাপমাত্রার সামঞ্জস্য বজায় রাখা প্রকৃতির দ্বারা সম্ভব হতো না।ফলে অত্যাধিক তাপমাত্রায় মাটি শুকনো ঠনঠানে হয়ে পড়াতো।পৃথিবীর বুকে কোন উদ্ভিদ জন্মাতো না।শুধু তাই নই অত্যাধিক তাপমাত্রার কারনে পৃথিবীর বায়ুমন্ডল হারিয়ে যেতো।ওজনস্তর ভেঙ্গে যেতো।বায়ুমন্ডলহীন একটি পৃথিবীতে প্রাণ অস্তিত্বশীল হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়তো।সুতরাং আমাদের গ্যালাক্সিতে আমাদের সৌরজগতের অবস্থানও ঠিক যথাযথ।পারফেক্ট! ঠিক যেনো ডিজাইন করে পরিকল্পনা করে সাঠিক তাপমাত্রাময় স্থানে আমাদের পৃথিবীর অবস্থানক্ষেত্র।সৌরজগতে পৃথিবীর অবস্থান ১০০% পরিকল্পিত।একটি নক্ষত্র থেকে ঠিক যতটুকু দুরত্বে অবস্থান করলে একটি গ্রহের পানি তরল আকারে থাকতে পারে আমাদের পৃথিবীটা ঠিক ততটুকুই দুরত্বে আছে। সুর্য থেকে পৃথিবী বেশি কাছে থাকলে উচ্চতা বেড়ে যেতো পানি বায়বীয় হয়ে যেতো বেশি বেশি। যদি দুরে থাকতো তাহলে শীতলতা বৃদ্ধি পেতো পানি তরল আকারে থাকতো না বরফ হয়ে যেতো। আর এই কারনে আমাদের পৃথিবীর অবস্থানকে হেবিটেবল জোন বলা হয়।সুতরাং আমাদের এই পৃথিবীর নির্ধারিত তাপমাত্রা কি আপনি বলতে চান আপনা আপনি হয়ে গেছে? যে নির্ধারিত তাপমাত্রার কারনে আজ আমাদের পৃথিবীটি ফুলে ফলে ভরা সুন্দর মনোরম! আপনা আপনি সৃষ্টি হয়েছে বিষয়টি যদি একটি দুইটি বিষয় হতো তাহলে মেনে নেওয়া যেতো কিন্তু এমন প্যারিমিটার যদি অসংখ্য থাকে তাহলে সেটি অলৌকিক বলেই মেনে নেওয়া উচিত এবং এই সৃষ্টির পিছনে একজন ইন্টেলেকচুয়েল স্বত্ত্বার অস্তিত্বকে স্বীকার করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের লক্ষন বলে পরিগনিত হতো।যেখানে প্রতিটি বিষয়ই রহস্যময় হয় সেক্ষেত্রে এটা স্পষ্ট প্রমান করে যে মহাবিশ্বটা নির্দীষ্ট লক্ষ্য নিয়েই সৃষ্টি করা হয়েছে।আপনা আপনি সব হয়ে গেছে বলে মানুষের মনোজগতে বিভ্রান্ত করে কোন লাভ নেই কারন বাস্তবতা এমন কিছু প্রমান তুলে ধরছে যে প্রমান গুলো স্পষ্টভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টির মূল কারন হিসেবে মানুষকেই দেখিয়ে মানুষ সৃষ্টি করতেই পৃথিবীর বুকে প্রতিটি প্যারামিটারকে এতটা সুক্ষভা্বে সমন্ময়কৃত করতে হয়েছে।যার একবিন্দু এদিক ওদিক হলে পৃথিবীর বুকে প্রাণ তথা মানুষের আবির্ভাব হতো না।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩

নতুন বলেছেন: এই মহাবিশ্বটি সত্যিই রহস্যময় একটি সৃষ্টি! মহাবিশ্বের সমস্তকিছু আপনা আপনি সৃষ্টি হয়েছে বলে যারা চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় রত আছে তারা প্রকৃত সত্যকে এ্ড়িয়ে যেতে চাই।পৃথিবীকে এমন একটি প্রক্রিয়ায় বা বেশ কিচু চলকের নির্দীষ্ট ও যথাযত অনুপাতে সৃষ্টি করা হয়েছে যার একটু এদিক ওদিক হলে প্রাণ বা প্রাণি জগত পৃথিবীতে সৃষ্টি হতো না। এক্ষেত্রে তাপমাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তাপমাত্রা নির্ধারনের নির্দীষ্ট পরিমাপ সত্যিই অলৌকিক একটি বিষয়।তাপমাত্রা সহ অসংখ্য চলক বা প্যারামিটার যখন আপনা আপনি মিলে যাই তখন বুঝে নিতেই হয় এটি একটি পরিকল্পিত সৃষ্টি ডিজাইনকৃত প্রয়াসমাত্র।

American astronomer and astrophysicist Frank Drake এর মতে মহাবিশ্বে প্রায় ১.৪ বিলিওন গ্রহ থাকা সম্ভব যাতে প্রানের শুরু হতে পারে।

আরেকটা জিনিস ধারনা করা হয় মহাবিশ্বে প্রায় 10,000,000,000,000,000,000,000,000 গ্রহ আছে যারা তাদের নক্ষত্রের চারিপাশে ভ্রমন করে। তাই এতো গুলি মাঝে ১টা গ্রহে যদি প্রানের থাকে তবে সেটা পরিকল্পিত ডিজাইন কেমনে হইলো? এটা তো আপনি শুন্যে পাথর ছুড়লে উপরের নম্বারের গ্রহের একটায় পড়লো আর আপনি বললেন যে আপনি ঐটাই টারগেট করে পাথর ছুড়েছিলেন। ঐটাই আপনার পরিকল্পনা ছিলো।

২| ২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: American astronomer and astrophysicist Frank Drake এর মতে মহাবিশ্বে প্রায় ১.৪ বিলিওন গ্রহ থাকা সম্ভব যাতে প্রানের শুরু হতে পারে।
আরেকটা জিনিস ধারনা করা হয় মহাবিশ্বে প্রায় 10,000,000,000,000,000,000,000,000 গ্রহ আছে যারা তাদের নক্ষত্রের চারিপাশে ভ্রমন করে। তাই এতো গুলি মাঝে ১টা গ্রহে যদি প্রানের থাকে তবে সেটা পরিকল্পিত ডিজাইন কেমনে হইলো?


যদি শব্দটি ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত টানেন কি করে? আমি সত্যিই অবাক হই। অন্যান্য গ্রহ যখন প্রাণ আছে তবে আপনি সে গ্রহে যান। বেড়িয়ে আসুন। ঐ গ্রহবাসীদের সাথে ছবি তুলে এনে আমাকে দেখান। তারপর না হয় ভাববো। কিন্তু যদি থাকে, থাকতে পারে, থাকা সম্ভব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো্। আগে প্রমান করুন। অযথা তর্ক করে কি লাভ?

৩| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: আজকে আমরা যা জানি ৩০/৪০ বছর আগের মানুষ এর সিকিও জানতো না।৩০/৪০ হাজার বছরের আগের মানুষ কিছু জানতো বলে কোন প্রমান নাই।
আজকের মানুষ সবকিছু চিন্তা করে দুটি দৃষ্টি কোন থেকে।একটি ধর্মীয় অন্যটি বৈজ্ঞানিক।একটি বিশ্বাস অন্যটি যুক্তি তথ্য প্রমান সহ।যার যেদিকে সুবিধা সে সেই দিকথেকে চিন্তা করে।দুটি চিন্তার ফল একরকম হবার সম্ভাবনা খুবই কম।এই বিতর্ক চলবেই।

২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:২২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আধুনিক বিজ্ঞানের কিচু প্রমান এবং সিদ্ধান্ত পুরানোকে পাশ ফিরিয়ে চলছে। এমন কিছু প্রশ্ন মানুষ করতে শিখেছে যে প্রশ্ন মহাবিশ্বের অস্তিত্বের প্রশ্নে একটি ইন্টেলেকচুয়েল ম্যাথমেটিকসের এবং ইন্টেলেকচুয়েল কনসাসনেসের অস্তিত্বের প্রকাশ পড়ে যাচ্ছে। আগামীতে সমস্তটা মানুষ বুঝে যাবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

৪| ৩০ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ৩ নং মন্তব্যকারী দারুন বলেছেন। এরপর আর বলার কিছু থাকে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.