নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
আজকের আমার এই লেখার উদ্দেশ্য হলো স্রষ্টা মানুষ সৃষ্টি করেই ক্ষ্যান্ত হন নাই। বরং সৃষ্টির পর থেকেই মানুষের প্রতি প্রতিপালন করে চলেছেন। আর এই কারনে আজেকের মানুষ। বাইবেলে আদমের যে সময়কাল দেওয়া হয়েছে ঠিক সেই সময়কাল থেকেই কিন্তু আধুনিক মানুষের সূচনা। মানুষের এই সভ্যতা কি আপনা আপনি সৃষ্টি হলো? নীচুস্তরের প্রাণী থেকে এ মানুষ যে উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করলো সেটিও একটি পরিকল্পনার ফসল। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে একটি নীচু স্তরের প্রাণীকে এঅবস্থায় নেওয়ার পিছণে ছিলো একটি উদ্দেশ্য! আমি পুর্বেই বলেছি অতি প্রাকৃতিক গজব বা এ্যাস্টিরয়েডের আঘাতে যদি ডাইনোসর প্রজাতি বিলুপ্তি না হতো তবে মানুষ প্রজাতি কখনই পৃথিবীর বুকে অস্তিত্বশীল হতে পারতো না। এই মানব জাতি কখনই উত্থিত হতে পারতো না। রাম রজত্ব করতে পারতো না পৃথিবীতে। বেশ কয়েকটি পদক্ষেপই মানব জাতিকে এ পর্যায়ে এনেছে। যেমন ধরুন নিয়ানডার্থাল দের বিপর্যয় এবং সেপিয়েন্স দের বিশ্ব জয়। মানুষের প্রাগৈতিহাসিক প্রজাতির একটি হচ্ছে-নিয়ানডার্থাল। ৪০ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এ মনুষ্য প্রজাতি নিয়ে নৃতত্ত্ববিদদের অনুসন্ধানের শেষ নেই।
নিয়ানডার্থালের আবাসস্থল ছিল ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্য ও পশ্চিম অঞ্চল। অনেকের মতে, অপেক্ষাকৃত বুদ্ধিমান মনুষ্য প্রজাতি হোমো সাপিয়েন্সের শিকার হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। যদিও অনেকে বলে থাকেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা কোনো মহামারিতে আক্রান্ত হয় বিলুপ্ত ঘটে তাদের। তারপরও প্রশ্ন থাকে কেনো নিয়ানডার্থাল থেকে হবিট মানুষের পূববর্তী কোনো প্রজাতিই টিকেনি পৃথিবীতে? টিকেছে শুধু হোমো স্যাপিয়েন্স! কেনো? মানুষের মধ্যে এই প্রজাতিটির উদ্ভব হয়েছিল দুই লাখ বছর আগে। এ সময় আরও বেশ কয়েকটি প্রজাতির অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে। কোনো প্রজাতিই শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেনি টিকেছে শুধু সেপিয়েন্স। ৭০ হাজার বছর আগে থেকে ৩০ হাজার বছর আগের সময়টাতে সেপিয়েন্সদের নতুনভাবে চিন্তা করার এবং যোগাযোগ করার ক্ষমতার সূচনা হলো যাকে আমরা বুদ্ধিভিত্তিক বিপ্লব বলে অভিহিত করছি। আমরা এখনো সঠিকভাবে জানি না এই বিপ্লব কীভাবে সম্ভব হলো। তবে এর উত্তর হলো পরিব্যক্তি বা মিউটেশন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে শুধু সেপিয়েন্সদের জিনেই কেন এই রূপান্তর হলো, নিয়ান্ডার্থাল বা মানুষের অন্যান্য প্রজাতির ক্ষেত্রে এই রূপান্তর হলো না কেন? এর উত্তরে বলা যায়, মিউটেশন বা জিনের এই রূপান্তরের ব্যাপারটা পুরোপুরি আকস্মিক। ঘটনাক্রমে এটা সেপিয়েন্সদের ক্ষেত্রে ঘটেছে, এটা নিয়ান্ডার্থাল বা মানুষের অন্য কোন প্রজাতির ক্ষেত্রেও ঘটতে পারত। কিন্ত ঘটেনি। সেরকমটা হলে আমরা মানে স্যাপিয়েন্সরা নয়, তারাই আজ পৃথিবীতে রাজত্ব করতো।
এই পর্যায়ে এসে অপরিহার্যভাবেই যে প্রশ্নটা মনে আসে সেটা হলো সেপিয়েন্সরা কীভাবে এই ১৫০ জনের সীমা অতিক্রম করে হাজার হাজার সদস্যের সমন্বয়ে গড়ে তুলল নগর বা লাখ লাখ সদস্যের সমন্বয়ে গড়ে তুলল সাম্রাজ্য? কল্পনা বা গল্পের উদ্ভবই সম্ভবত এই রহস্যের সমাধান। একটি লোককথা বা পুরাকাহিনিতে বিশ্বাস করার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ লোক গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে বসবাস করার ক্ষমতা অর্জন করে ফেলে। কোথা থেকে পেলো এই জ্ঞান। কে দিলো এই বুদ্ধিভিত্তিক বিপ্লব? মুহুত্বের মধ্যে অনেককিছুই শিখে ফেলরো। যেহেতু এই কারণ সম্পর্কে আমাদের জানা নেই, তাই এর কারণের চেয়ে এর ফলে কী কী পরিবর্তন হলো সেটা জানাই আমাদের জন্য অনেক বেশি জরুরি। আমরা এই রুপান্তরের নাম দিতে পারি “ জ্ঞান বৃক্ষের রুপান্তর” (Tree of Knowledge Mutation)| এই বুদ্ধিভিত্তিক বিপ্লব মানবজাতিকে একটি গুরুত্বর্পূণ আসনে বসিয়ে দিলো। কে দিলো এই বুদ্ধিভিত্তিক বিপ্লব? আজ থেকে তিরিশ হাজার বছর আগে হোমো ইরেকটাস ও হোমো নিয়ানডারথেলনিস বিলুপ্ত হয়ে গেল। যাদের মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ আয়তন ছিল ১৩০০ থেকে ১৪০০ সিসি পর্যন্ত। টিঁকে গেল ২০০০ সিসির মস্তিষ্কের আয়তন সমৃদ্ধ হোমো সেপিয়েন্স। শুধু মাত্র মস্তিস্কের আয়তন বৃদ্ধির কারনে সেপিয়েন্স টিকে গেলো মস্তিস্কের আয়তন কম থাকার কারনে বিলুপ্ত হয়ে গেলো হোমো ইরেকটাস ও হোমো নিয়ানডারথেল? ঠিক এমনটি ঘটেনি। অনেকে ধারনা করে প্রাকৃতিক বিপর্যয় এই বিলুপ্তির কারন। কিন্তু তার পরেও প্রশ্ন থাকে। তবে কি প্রকৃতিতে জেগে উঠেছিলৈা এমন কোন ভাইরাস যা সেপিয়েন্স বাদে অন্য ডিএনএ নিধনকারী ধ্বংশকারী। রোগ জীবানু দিয়ে আক্রান্ত হতো অন্যরা। সেই নিদীষ্ট ডিএনএ নিধনকারী ভাইরাস কি অন্যদের বিলুপ্তির জন্য দায়ী।
এই বুদ্ধিভিত্তিক বিপ্লব “ জ্ঞান বৃক্ষের রুপান্তর” (Tree of Knowledge Mutation) অথবা গন্ধম ফল খাওয়ার সময়কাল যাই বলুন না এই সময়কাল থেকেই আসলে মানব সভ্যতার প্রকৃত সূচনা। আনুমানিক ৭০ হাজার বছর আগে থেকে সেপিয়েন্সরা তাক লাগানোর মতো কাজকর্ম শুরু করল। এই সময়কালে সেপিয়েন্সরা দ্বিতীয় বারের মতো আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে পড়ে। তবে এইবার তারা নিয়ান্ডার্থাল এবং মানুষের অন্যান্য প্রজাতিকে মধ্য এশিয়া থেকে তো বটেই, এমনকি দুনিয়ার বুক থেকেই পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ায় পেঁৗছে যায়। প্রায় ৪৫ হাজার বছর আগে তারা সাগর পাড়ি দিতে শেখে এবং অস্ট্রেলিয়ায় পেঁৗছে যায়। ছড়িয়ে পড়ে সবর্ত্র। এর আগে এই মহাদেশে কোনো মানুষেরই পা পড়েনি। ৭০ হাজার বছর আগে থেকে ৩০ হাজার বছর আগের এই সময়টাতে সেপিয়েন্স নৌকা, তেলের প্রদীপ, তির-ধনুক এমনকি সুঁই-সুতা আবিস্কার করে ফেলে। শীতের দেশে গরম কাপড় বোনার জন্য এই সুঁই-সুতা খুবই জরুরি ছিল। বেশিরভাগ গবেষকই মনে করেন যে, এতসব গুরুত্বপূর্ণ আবিস্কার পেছনে নিশ্চয়ই সেপিয়েন্সদের বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতার কোনো পরিবর্তন দায়ী। কে দিলো তাদের পোষাক পরার পরিকল্পনা। এতদিনের প্রাগঐতিহাসিক নগ্ন মানুষ কেনোই বা পোষাক পড়া শুরু করলো? কে দিলো তাদের এই বুদ্ধি? গণ্ধম ফল খাওয়া যা ছিলো একটি রুপক। আল্লাই তাকে পোষাক পড়েবার পথ বাতলে দিলো। লজ্জা বোধ সৃষ্টির পথ দেখালো। এখানেও ছিলো কোন মিউটেশন। নতুন কোন হরমোনের আবির্ভাব বা ‘জিন’। বিজ্ঞান বলে- ‘জিন’ (gene) হলো জীবন্ত প্রাণের বংশগতির আণবিক একক। একটি জীবের বংশগতভাবে প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য যা দায়ী, তা-ই জিন। এই জিনগুলোর বিভিন্নতার কারণে একটি জীবগোষ্ঠীর বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে বংশগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। জিনের অভ্যন্তরীণ গঠনের পরিবর্তনকে আমরা বলি জিনের ‘পরিব্যক্তি (Mutation) । জিনের পরিব্যক্তির মাধ্যমে জীবের নির্দিষ্ট কোনো বংশধরে নতুন বৈশিষ্টের উদ্ভব হতে পারে বা পুরোনো বৈশিষ্টের পরিবর্তনও ঘটতে পারে। জিনের কোনো আকস্মিক পরিব্যক্তি (Mutation) তাদের মস্তিস্কে নিউরনের মধ্যে সংযোগের পদ্ধতি পালটে দেয়।
এবারে আগের প্রশ্নে ফেরা যাক। মানুষ সভ্যতা বিকশিত করাটা সর্ম্পূন ভাবে আল্রার কৃতিত্ব। এ কথাটি পুর্বেও বলেছি এখনও বলছি। প্রকৃতিই (আল্লার নিদের্শে) যুগে যুগে অতিন্দ্রিয় শক্তির মাধ্যমে মানব দেহে ঘটিয়েছে মিউটেশন। মানুষের উন্নয়নের সকল ক্ষেত্র একটি আকস্মিক পরিবর্তন ঘটে যায়। যেমন ধরুন কথা বলা শেখা। পোষাক আবিস্কারের পর থেকে শুরু হয় মানুষের কথা বলা বা কথা বলার পরিপূর্নতা অর্জন। এই সময় থেকেই মানুষের আরেকটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন ভাষার আবিস্কারের প্রচেস্টা শুরু হয়। এবং মানুষ ইশারা ইংগিত থেকে বা বিভিন্ন শিষ দেওয়া থেকে শব্দ আবিস্কার করতে থাকে এবং কথা বলা শুরু করে। আল কোরআন ঠিক অনুরুপ ভাবেই বলে “আমি তোমাদের কথা বলিতে শিখিয়েছি”। যার অর্থ দাড়ায় আল্লাই মানুষকে কথা বলিতে শিখিয়েছে। আল্লাহ তার প্রতিনিধি মানুষকে শিক্ষা দিতে যুগে যুগে হায়ার ডাইমেনশনের ফেরেস্তারা আসমান হতে এসেছে এবং আল্লার নির্দেশে একেকসময় একেক নবী রাসুলের মাধ্যমে মানবজাতিকে শিখিয়েছে। কিন্তু কথা বলা শেখা। এছাড়াও তিনি মানুষকে বয়ান বা কথা বলা শিখিয়েছেন। সূরা আর-রহমানে এসেছে: ‘‘দয়াময় আল্লাহ তিনিই শিক্ষা দিয়েছে কুরআন, তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনিই তাকে শিখিয়েছেন ভাব প্রকাশ করতে।’’ এবার আসি আমরা মানব জাতির কথা বলা প্রসঙ্গে।
বিশিষ্ট বিজ্ঞানী অধ্যাপক ফোলির মতে " মানুষের কথা বলার জন্য দায়ী এফওএক্সপিটু নামের একটি জিন। স্তন্যপায়ী প্রায় সকল প্রাণীর শরীরেই আছে এই জিন। কিন্তু মানবদেহে যেটি আছে সেটি এর রূপান্তরিত জিন," এই রূপান্তর গবেষণা করেও বোঝা যায় কেন মানুষ কথা বলতে পারে, কিন্তু শিম্পাঞ্জি পারে না। এমনকি নিয়ানডার্থালদের মধ্যে এই জিনটি পুং্খানুপুংখী ভাবে বিকশিত হয় নাই। মানুষের কথা বলার জন্য এই রুপান্তরিত জীনটি কৃতিত্ব বহন করছে। কথা বলা ও ভাষার বিকাশে এই জিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কারণ যেসব মানুষের শরীরে এই জিনটি রূপান্তরিত অবস্থায় থাকে না, তাদের কথা বলতে অসুবিধা হয়।" আর যাদের মধ্যে রুপান্তরিত অবস্থায় থাকে তারাই কথা বলতে পারে। কোন না কোন ভাবে কোন মিউটিশন মানব দেহে এই জীনটিকে রুপান্তরিত অবস্থায় পরিবর্তন করেছিলো। অতএব আল্লার কথাই সত্য আল্লাই মানুষকে কথা বলিতে শিখিয়েছে।
"কথা বলার জন্য আমাদের বক্ষ এবং উদরের মাঝখানে যে ঝিল্লির পর্দা সেটি অন্যদের থেকে আলাদা। আমাদের কাছাকাছি যে প্রাণী, অর্থাৎ বানর বা এইপ, যারা কথা বলতে পারে না, তাদের ঝিল্লির তুলনায় আমাদের ঝিল্লিতে নার্ভের সংখ্যা বহুগুণে বেশি।" এসব নার্ভের অর্থ হচ্ছে "আমাদের স্পাইনাল কর্ড এইপের স্পাইনাল কর্ডের চেয়ে মোটা এবং আমাদের ভার্টিব্রাল কলামও একটু বেশি প্রশস্ত। নিয়েন্ডারথালরা যারা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, যারা ছ'লাখ বছর আগেও পৃথিবীতে বেঁচে ছিল, তাদের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে তাদের স্পাইনাল কলামও প্রশস্ত ছিল। অতএব মানুষ সৃষ্টিটাও পরিকল্পিত। অধ্যাপক ফোলি বলছেন, "কথা হচ্ছে একধরনের শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া। এটা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই আমরা শব্দ তৈরি করে থাকি।" হয়তোবা এই শব্দ তৈরী করার পদ্ধতিটা প্রকৃতিগতভাবে কোন মানুষ উৎপাদিত করে। অথবা ত্রিমাত্রিক রুপি বিরাজ হওয়া কোন ফেরেস্তা জীবরাইলের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছিলো কোন নবী । যার মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার প্রতিনিধি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছিলো।
মানুষ সভ্যতা বিকশিত করাটা সর্ম্পূন ভাবে আল্লার কৃতিত্ব। নগর গোত্র গঠন। নগর সভ্যতা বিকশিত করা। নগর সভ্যতা এ্যাস্টিরয়েডের আঘাতে ধ্বংশ করা। অসভ্য জাতি স্বত্তা ধ্বংস করে বাজে বা অসভ্য ডিএনএ বিলুপ্ত করে নতুন ডিএনএ সম্প্রসারন ঘটানো এ সমস্ত ঘটনার মধ্য দিয়েই মানব সভ্যতাকে বিকশিত করা হয়েচে।। জেনিটেক্যালি মানব জাতিকে উন্নত করার পিছনে ইন্টেলেকচুয়েল একটি স্বত্ত্বার হস্তক্ষেপ ছিলো সর্বদাই।
এবার আসি আল কোরআনের ভাষ্যগত মতে মানব জাতির লিখন পদ্ধতি শেখা। যে শিক্ষা মানব জাতি চুড়ান্ত উন্নয়নের শিখরে পৌছে দেয়। সেই লিখন পদ্ধতিও নাকি আল্লাহই মানুষকে শিখেয়েছে। আল কোরআনের এত বড় মাপের চ্যালেঞ্জ। নিশ্চয় যুক্তসংগত। নইলে এতবড় অহং বোধ নিয়ে মানবজাতিকে দেওয়া ঘোষনা অমূলক হয়ে পড়তো। আল কোরআনে সরাসরি বলছে “আল্রাহ মানুষ জাতিকে লিখিতে শিখিয়েছে যা মানুষেরা জানতো না। প্রকৃতপক্ষে মানুষের শ্রেষ্ঠ জীব হওয়ার মূলে যে বৈশিষ্ট্যটি খুবই গুরুত্বের দাবীদার তা হলো জ্ঞান। তিনি মানুষকে জ্ঞানের ভান্ডার দান করেছেন, শুধু তাই নয়, এ জ্ঞানের দ্বারাই মানুষ ফিরিশতাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। এ মর্মে তিনি ইশরাদ করেন: ‘‘পাঠ কর, আর তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।’’
প্রিয় পাঠক, হাইরোগ্রাফিক্স শব্দের অর্থ নিশ্চয় বোঝেন। যার বাংলা অর্থ পবিত্র বর্ণমালা। মিশরীয়রা জানে দেবতারা আকাশ থেকে এসে মানুষকে লিখতে শিখিয়ে দিয়ে গেছে। প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় হায়ারোগ্লিফকে 'মেদু নেতজার' নামে ডাকা হতো, যার অর্থ 'দেবতাদের শব্দ'। কারণ বিশ্বাস করা হতো যে লেখা সরাসরি দেবতাদের কাছ থেকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে। মিশরীয় পুরাণ অনুযায়ী, দেবতা 'থট' মিশরের বাসিন্দাদের মাঝে জ্ঞানের জ্যোতি ছড়িয়ে দেয়া এবং স্মৃতিশক্তিকে শান দিয়ে ধারালো করে তোলার জন্য তাদেরকে লিখন পদ্ধতি শিখিয়েছিল। কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন দেবরাজ 'রা'। তার মতে, মানবজাতিকে লিখন পদ্ধতি শিখিয়ে দেয়ার ফলে তাদের স্মৃতিশক্তি ক্রমশ লোপ পাবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে লোকমুখে কাহিনী ছড়িয়ে দেওয়ার অভ্যাসটাও সভ্যতা থেকে হারিয়ে যাবে মহাকালের গর্ভে। রা'র মতের বিরুদ্ধে গিয়েই থট মিশরীয়দের সবক দিয়েছিল লেখালিখির। বিভিন্ন চিত্র ব্যবহারের কারণে হেরোডোটাস সহ প্রাচীন গ্রিসের বহু বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ মনে করতেন, এগুলো ছিল ঈশ্বরের পবিত্র লিপি। কারণ, হায়ারোগ্লিফ শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ হায়ারো (পবিত্র) ও গ্লাইফো (লিখা) থেকে। কারন সময়কালে ঈশ্বরকে দেবতা থট নামে ডাকা হতো। আপনি যদি ইহুদী পুথি এনখের পুথি পড়েন তবে বুঝতেন ইহুদীদের প্রাচীন নবী যিনি আদমের পরে পৃথিবীতে এসেছিলেন। নাম তার এনখ। তিনি ঈশ্বরের তরফ থেকে লিখন পদ্ধতি পেয়েছিলেন। আকাশ থেকে ঈশ্বর প্রতিণিধি পাঠিয়ে তাকে লিখন পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছিলেন। আর এটি নাকি ঈশ্বরের তরফ থেকে মানুষের জন্য অসামান্য দান। এই এনখ কে খ্রিষ্টিয় ধর্মে এনখ নামেই অভিহিত করা হয়েছে। বাই বেলের ওল্ডটেষ্টামেন্টে এনখ নামেই তাকে ডাকা হয়। কিন্তু এই এনখ মুসলিম ধর্মে এসে ঈদ্রীস নাম পেলো। আল কোরআনে ঈদ্রীস আঃ কে নিয়ে ২ টি আয়াত রয়েছে। তবে হাদীসে ইদ্রিস আঃ সম্পর্কে অনেক কিছুই উল্লেখ আছে। বলা আছে- তিনিই প্রথম মানব যিনি কলমের দ্বারা লিখা ও কাপড় সেলাই আবিষ্কার করেছিলেন। তাঁর পূর্বে সাধারণতঃ মানুষ পোশাকের পরিবর্তে পশুর চামড়া বা গাছের পাতা বা ছাল ব্যবহার করতো। ওজন ও পরিমাপ পদ্ধতি সর্বপ্রথম তিনিই আবিষ্কার করেন এবং অস্ত্র-শস্ত্রের আবিষ্কারও তাঁর আমল থেকেই শুরু হয়। তিনিই অস্ত্র তৈরি করে তা দিয়ে কাবীল সন্ত্রাসী গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। সর্ব বিবেচনায় এখন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছা যায় যে, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও গণিত হলো আল্লাহর তরফ থেকে আসা ঐশী বাণী যা হযরত ইদ্রিস (আ-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রথম বিকাশ ঘটে।
মানুষের মস্তিস্ককে বিকশিত করতে বারেবার মিউটেশন ঘটেছে। পরিবেশকে সেইভাবেই তৈরী করা হয়েছে। মানুষের মস্তিক্সের উন্নত হবার কারুকাজ আল্লার তরফ থেকে করা হয়েছে হয়তো আমরা বুঝিনি। যুগে যুগে অসংখ্য নবী রাসুল এসেছে মিউটেশনের মাধ্যমে তাদের মস্তিস্ক উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে। মানব জাতির জন্য আল্লার তরফ থেকে এসেছে অনর্বণীয় জ্ঞান বিজ্ঞান যা এই সভ্যতাকে বিকশিত করেছে। সুতরাং এই মানুষের অহংকারের কিছুই নেই। সকল জ্ঞান সকল প্রশংসা্ আল্লার। আল্লাই সবময় কর্তৃত্বের অধিকারী।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার কথা যে বেঠিক ঠিক তা নয়। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। জান্নাত শব্দের অর্থ বাগান আমি তো স্বর্গ পেলাম না। আপনি স্বর্গ পেলেন কোথা থেকে? আবার ঈভ শব্দ বা আদমের বৌ হাওয়া নামের কাউকে তো আমি কোরআনে পেলাম না আপনি পেলেন কোথায়? আল কোরআন নিয়েই আমাদের সবচেয়ে বেশি গবেষনা করার দরকার। কারন ইহা বিজ্ঞান ময় কোরআন।
তবে আপনার কথারও যুক্তি আছে। চারিদিকে যখন হেয় হতে হয় তখন আমাদেরও শখ জাগে। বিজ্ঞানতো আর কারো বাপের সম্পদ নয়।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভাইগো হাদীস নিয়ে আল কোরআনের সায়েন্টিফিকের ইস্যুতে ভূল করেও যাবেন না। কারন রাসুলের মৃত্যুর ৩০০ বৎসর পর হাদীস সংগ্রহ হতে শুরু করে। সেটা উমাইয়া খেলাফত ২য় ওমরের সময় থেকে। রাসুলের মৃত্যুর ৩০০ বৎসর পরের কথা কতটুকু গ্রতণযোগ্য হতে পারে? ৩টি জেনারেশণ পর! হাওয়া ইভ স্বর্গ এসব থেকে দুরে থাকুন। সায়েন্টিফিক ইস্যুতে হাদীসকে এ্যাভোয়েড করুন।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মনে রাখবেন আজ হাদীসের কারনেই নাস্তিকরা আমাদের বিরুদ্ধে এত নোংরা কথা বলার স্পর্ধা রাখে। কিন্তু আল কোরআনের একটা আয়াত দিয়েও নাস্তিকরা আমাদের টু শব্দটি করার ক্ষমতা রাখে না। চ্যালেঞ্জ আল কোরআনের।
২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আদম (আ: )'কে সৃষ্টি করেছিলেন আল্লাহ, বুদ্ধি দিয়েছিলেন আল্লাহ, সেইজন্য তিনি লজ্জা বুঝতে পেরেছিলেন; এর আগেরগুলো নিজেরা নিজদের সৃষ্টি করেছিলো, সেজন্য তারা লেংটু হয়ে ঘর সংসার করতো।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার মতো লেংটু ছিলো। আপনি যেমন লেংটু হয়ে ঘর সংসার করেন।
৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হয়, আদম (আ: ) হোমো-সেপিয়েন্স প্রজাতির ছিলেন; আপনা কি মনে করেন?
২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। আর আপনি যা বলেন সব ঠিকই বলেন!
৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ মহান।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ। আল্লাহু মহান।
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৪৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আদম ছিল ৬০ হাত লম্বা আদমী কত হাত লম্বা ছিল তার কোন রেফারেন্স আছে কি?
২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভাই আপনি বোধ হয় নতুন নাস্তিক। আপনার সাথে কি কথা বলবো? আরো পুরানো হন। আরো শিখুন তারপর আপনার সাথে তর্কে যাবো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১০
জ্যাকেল বলেছেন: মানুষ জাতির প্রতি আল্লাহর অংগীকার কোরআনে পাওয়া যায়। আমাদের প্রথম পুরুষ ও প্রথম নারী আল্লাহর বিশেষ উপায়ে সৃষ্টি করা হইয়াছে এতে কোন সন্দেহ নাই। পৃথিবী আল্লাহ ডেভেলপ করিয়াছেন কোটি কোটি বছর ধরে তাই এইটার মইধ্যে জীবনের বিকাশ, আমাদের ডেভেলপ এর সাথে মিলায় ফেললে কোরআনের কথা অস্বীকার করা হইবে। স্বয়ং আল্লাহ নিজে বলেছেন স্বর্গ হইতে বিতাড়িত করা হইয়াছে আদম ও ঈভ উভয়কে সেইখানে বিজ্ঞানের সাথে মিলানোর এত চেষ্টা আমার কাছে বৃথা পরিশ্রম।
আল্লাহ যদি এত জটিল ব্রেইনের সব প্রাণ সৃষ্টি করতে পারেন তাহা হইলে বিশেষ উপায়ে মানুষ তৈয়ার করা কি আযৌক্তিক কিছু? মহাজগতের এত সুনিপুণ হিসাব দেখলে এর পেছনে আল্লাহ ছাড়া আর কিছু কি পাওয়া যায়? তাইলে তাঁরই সেন্ড করা কিতাবের অন্য ব্যখা খোজার এত কি দরকার?