নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং তার গ্রান্ড ডিজাইন ব্ইতে উল্লেখ করেছেন “ দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য মহাবিশ্বের এক বিশাল চারণভুমি রয়েছে। অবশ্য আমরা পরের অধ্যায়েই দেখবো, এদের মধ্যে যেসব মহাবিশ্বে আমাদেও মতো জীবনের অস্তিত্বে সম্ভব তারা রীতিমত র্দূলভ। আমরা এমন এক মহাবিশ্বে বাস করি যেখানে জীবনের সম্ভব হয়েছে, কিন্তু এটা যদি একটু সুক্ষভাবেও আলাদা হতো, তাহলে আমাদের মতো সত্ত্বা এখানে টিকতো না। এই যে সুক্ষ সমন্ময় এ থেকে আমরা কি বুঝি? এতে কি প্রমানিত হয় যে মহাবিশ্ব আসলে কোন দয়াময় সৃষ্টিকর্তার মহান নকশার তৈরী? নাকি বিজ্ঞান আমাদের অন্য কোনো ব্যাক্ষা দিতে পারে? ”
স্যার মার্টিন রীস এর লিখিত “দি সিক্স নাম্বার” নামের এ্কটি বইটি বেশ আড়োলন করে তুলেছিলো। তিনি তার বইতে উল্লেখ করেছেন- “এই মহাবিশ্বের কতিপয় ধ্রুবক এর মান এমন কেনো? এতটাই রহস্যময় যে এই ধ্রুবকের মান এমন হওয়ার দরকার ছিলো মানুষের আর্বিভাবের জন্য। যদি এমন না হয়ে অন্যরকম হতো তবে এই মহাবিশ্বটাকে আমরা যেভাবে দেখছি সেভাবে হয়তো দেখা হতো না। ধ্রুবক গুলোর মান এমন না হলে প্রানের নান্দনিক স্পন্দন হতো না এই পৃথিবীতে!”
যেমন ধরুন এই পৃথিবী। যেখানে আমাদের বসবাস। যা সূর্য থেকে ১৪৭,৫৯৭,৮৭০,৭০০ মিটার অথবা ১৫ কোটে কিলোমিটার দুরে অবস্থান করে সুর্যকে কেন্দ্র করে উপবৃত্তাকার পথে ঘুরছে। উপবৃত্তাকার পথে ঘুরতে গিয়ে কোনভাবেই সূর্য পৃথিবীকে কাছে টেনে নিচ্ছে না। পৃথিবী কোনভাবেই তার কক্ষচ্যুত হচ্ছে না। বরং সূর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্ব বরাবর একই রয়েছে। সূর্য ও পৃথিবীর জন্ম থেকেই দুজনেই একই দুরত্বে অবস্থান করছে। যদি সৃষ্টির শুরুতে সূর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্ব কিছুটা কম হতো অথবা যদি কোন কারনে সূর্য থেকে পৃথিবী ১% কাছে অবস্থান করতো তাহলে এই পৃথিবী সূর্যের অত্যাধিক তাপ ও চাপের কারনে জ্বলে পুড়ে শুক্র গ্রহের রুপ ধারণ করতো। ফলে কখনই বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হতো না । যদি বায়ুমন্ডল সৃষ্টি না হতো তাহলে কোনভাবেই এই পৃথিবীতে প্রাণ উতপাদন সম্ভব হতো না। আর যদি পৃথিবী সূর্য হতে ১% দুরে অবস্থান করতো তাহলে সূর্যের তাপ ও চাপ এর অভাবে পৃথিবী হিম শীতল হয়ে মঙ্গল গ্রহের মতো তুষারাচ্ছন্ন হয়ে পড়তো। ফলে প্রাণ উতপাদনের প্রতিটি শর্ত্ই ভঙ্গ হতো। পৃথিবীর নির্ধারিত অবস্থান প্রান উতপাদন ও জীবনের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থানের কারনে সূর্যের পর্যাপ্ত আলো এই পৃথিবীকে টিকিয়ে রেখেছে। টিকিয়ে রেখেছে বৃক্ষমন্ডলী এবং প্রানীকুল। এ যেনো সুক্ষ এক সমন্ময় আর মহাপরিকল্পনার ফসল। নির্ধারিত একটি অবস্থান যে অবস্থানের কারনে পৃথিবী আজ প্রাণময়।
পৃথিবীর অবস্থান যেমন প্রাণীকুলের অস্তিত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি পৃথিবীর আয়তনের উপরও ডিপেন্ড করে মহাজাগতিক এবং প্রাণময় হিসেব নিকেশ। যেমন ধরি পৃথিবী ও তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি। এই মধ্যাকর্ষন শক্তির পরিমান নির্ধারিত হয়েছে পৃথিবীর আয়তন এর উপর। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% বেশি হতো তবে অত্যাধিক মধ্যাকর্ষন এর চাপের কারনে পৃথিবীর বুকে কোন ভাবেই বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হওয়া সম্ভব হতো না। আবার যদি পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% কম হতো তবে পৃথিবীকে ঘিরে বায়ুমন্ডলের বলয় তৈরী না হয়ে বরং তা মহাশুন্যে উড়ে হারিয়ে যেতো। ফলে বায়ুমন্ডলের এই অভাবে পৃথিবীর বুকে কখনই ঘটতো না কার্বন ভিত্তিক নান্দনিক প্রাণের মহাযাত্রা। আমেরিকান ভূতত্ত্ববিদ ফ্রাংক প্রেস এবং সিলভার তাদের গবেষনার মাধ্যমে প্রাপ্ত ডাটার উপর ভিত্তি করে বলেন “পৃথিবীর আয়তন একে জীবনধারনের উপযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যদি পৃথিবীর আয়তন কিছুটা কম হতো তবে এটি এর বর্তমাান বাযূমন্ডল ধরে রাখতে পারত না। কারন এর অভিকর্ষিয় শক্তি গ্যাস সমূহকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হতো নাা। আবার যদি এর ভর কিছুটা বেশি হতো তবে এর শক্তিশালী অভিকর্ষীয় আকর্ষন শক্তির দ্বারা এটি বেশি পরিমান গ্যাস (ক্ষতিকর গ্যাস সমূহ) বায়ুমন্ডলে ধারণ করত। পৃথিবীর আকৃতি এবং অভ্যন্তরের পদার্থ সমহের উপরও প্রাণীকুলের অস্তিত্ব নির্ভরশীল। এইগুলো যদি এক বিন্দু এদিক ওদিক হতো তাহলে কোনভাবেই এ পৃথিবীতেই প্রানিকুলের আবির্ভাব ঘটতো না।
পৃথিবীতে জীবণ বাঁচিয়ে রাখার জন্য এর চারপাশের বায়ুমন্ডলের পরিবেশ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে পৃথিবীর চারিপাশের বায়ুমন্ডল ঐ সমস্ত অক্ষতিকারক এবং প্রয়োজনীয় রশ্মি, দৃশ্যমান আলো, অতি বেগুনী রশ্মি এবং বেতার তরঙ্গ সমুহকেই শুধুমাত্র পৃথিবীতে প্রবেশ করতে দেয় । উল্লেখ্য পৃথিবীতে জীবণ বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই সমস্ত দ্রব্যগুলির বিকীরণের উপস্থিতি অনস্বীকার্য। অতি বেগুনী রশ্মি যার আংশিক পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করতে পারে, এর উপস্থিতি উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষন এবং অন্যান্য জীবণ বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুর্য্য থেকে বিকীরিত অতি বেগুনী রশ্মির অধিকাংশ অংশই পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের ওজন স্তরের মাধ্যমে পরিশোধিত হয়ে শুধুমাত্র সীমিত এবং জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অতি বেগুনী রশ্মির আংশিক বর্ণচ্ছটা পৃথিবীতে এসে পৌঁছে । এই বায়ুমন্ডলের সাথে (ভ্যান এ্যালেন বেল্ট) The Van Allan Belt নামে একটি চুম্বকীয় ক্ষেত্র রয়েছে । যেটা একই ভাবে সমস্ত ক্ষতিকারক বিকীরণের বিপরীতে রক্ষাকবচ বা ঢাল হিসাবে কাজ করে । বিশেষ করে যে সমস্ত বিকীরণ পৃথিবীর জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরুপ । The Van Allan Belt পৃথিবী রক্ষাকারী দূর্গ হিসেবে কাজ করে। এই বুহ্য মহাবিশ্ব থেকে আসা সূর্য এবং অন্যাান্য নক্ষত্র থেকে আসা ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করে। এই The Van Allan Belt মহাবিশ্ব থেকে আসা মাত্র ০.১ % রেডিয়েশন পৃথিবীতে প্রবেশ করতে দেয় এবং বাকী অংশ রেডিয়েশন তা মহাশুল্যে ফেরত পাঠায়। গামা রে, এক্স রে সহ এমন ভয়াবহ ক্ষতিকর রেডিয়েশন যদি ফেরত না পাঠাতো তবে এই পৃথিবীতে প্রাণীকুল এর আর্বিভাব কোনভাবেই সম্ভব হতো না। প্রধানত সুর্য্ এবং বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে ক্রমাগত বিকীরিত হচ্ছে তা পৃথিবীর জীবনের জন্য মৃত্যুকুপ স্বরুপ । যদি পৃথিবীর চারপাশে ভ্যান এ্যালেন বেল্ট না থাকত তবে সুর্যের মধ্যে প্রতি মুহুর্তে যে বিভিন্ন রাসায়নিক গ্যাসের মহাবিস্ফোরণ ক্রমাগত ঘটে চলেছে এবং বিভিন্ন শক্তি নির্গত হচ্ছে, তা মূহুর্তেই পৃথিবীর জীবন ধ্বংস করে দিতে পারতো । ডঃ হাগরস্ ভ্যান এ্যালেন বেল্ট সম্পর্কে মন্তব্য করতে যেয়ে বলেছেন যে ‘প্রকৃতপক্ষে আমাদের পৃথিবীর ঘনত্ব পৃথিবীর সৌরমন্ডলে যে কোন গ্রহ উপগ্রহগুলোর চেয়ে সব থেকে বেশী । পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের বৃহৎ নিকেল ও লৌহ স্তর এই চুম্বকীয় ক্ষেত্রের জন্যই সৃষ্টি হয় বা হচ্ছে । এই চুম্বকীয় ক্ষেত্রই ভ্যান এ্যালেন বিকীরণ ঢাল বা রক্ষাকবচ তৈরী করে । যা পৃথিবীকে সমস্ত ধরনের বিস্ফোরনের ক্ষতিকারক বিকীরণের হাত থেকে রক্ষা করে বা করছে । The Van Allan Belt নামক এই প্রানীকূল রক্ষাকারী বুহ্যটি পৃথিবী হতে ১০০০ কি:মি: পযর্ন্ত বিস্তৃত যা পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত। পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ ভাগ বা এর কেন্দ্রের Iron Core (আইরন কোর) চুম্¦ক ক্ষেত্র তৈরীতে গুরুর্ত্বর্পূণ ভূমীকা রাখে। এই চুম্বক ক্ষেত্রটি পৃথিবীর কেন্দ্রের চুম্বকীয় ধাতু লোহা নিকেল দ্বারা সৃষ্টি হয়। এই Iron Core টির দুটি অংশ আছে Outer Core এবং Inner Core । Inner Core কঠিন পর্দাথ দ্বারা তৈরী এবং Outer Core তরল পদার্থ। এ দুটি লেয়ার পরস্পর বিপরীত দিকে ঘুরতে থাকে এবং তাদের এই ঘুর্ননের কারনে ভূচুম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরী হয়। এই চুম্বকীয় ক্ষেত্র বায়ুমন্ডলের স্তরকে ধরে রাখে এবং মহাজাগতিক কসমিক রেডিয়েশন হতে পৃথিবীকে প্রাণীকুল এবং বৃক্ষজগতকে রক্ষা করে। পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগ সুষম তাপীয় ইঞ্জিন ব্যবস্থা Radioactivity দ্বারা পরিচালিত। যদি এই তাপীয় ব্যবস্থা কিছুটা ধীর গতিতে চলতো তবে কোনভাব্ইে Iron Core ব সৃষ্টি হতো না। আর যদি এই তাপীয় ব্যবস্থা কিছুটা দ্রুতগতিতে হতো তবে এই পৃথিবীতে প্রতিদিন ভূমীকম্প ও অগ্নুপাত হতো। এবং প্রতিদিনের ভূমীকম্পের ফলে পৃথিবীতে প্রাণীকুলের টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠতো। প্রাণীকূলের বিনাশ ঘটতো। আর এই কারনেই আল কোরআনে বলে ““আর আমি আসমানকে সৃষ্টি করেছি একটি সুরক্ষিত ছাদরূপে, কিন্তু তারা তার নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে । (সুরা আম্বিয়া- ২১ : ৩২-আল কোরআন) ।
পাঠক একটু গভীর ভাবে ভেবে দেখুন এই পৃথিবীটা একটু সুক্ষসমন্ময়ের উপর দাাড়িয়ে। যার একচূল এদিক ওদিক হলে এই পৃথিবীর উপর কোনভাবেই প্রানের আর্বিভাব ঘটতো না। পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ ও পৃথিবীর সর্ম্পক টি জটিল এবং একটি গানিতিক হিসাবের নিয়ন্ত্রনে। আমরা জানি পৃথিবী ও চাঁদ একে অন্যকে আর্কষণ করে। এবং এই আর্কষনের কারনে পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটা ঘটে। পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব ৩,৮৪,৪০১ কি.মি. সর্বনিম্ম দূরত্ব ৩,৬৩,২৯৭ কি.মি. সর্বোচ্চ দূরত্ব ৪,০৫,৫০৫ কি.মি. ) এতটা দুরে থেকে আর্কষন এবং প্রভাবিত করে। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ যদি তার অবস্থান থেকে কিছুটা নিকটবর্তী হতো তবে নদী-সমুদ্রের পানি নিমজ্জিত করে রাখতো। আর সমগ্র পৃথিবীজুড়ে যদি পানি আর পানি এর অথই নিমজ্জিত থাকতো তবে কি পৃথিবীতে প্রানের আর্বিভাব ঘটতো ? ঘটতো না। প্রানের এই নান্দনিক আয়োজন অকালেই ভ্রম বলে পরিগনিত হতো অথবা যদি চাঁদ কিছুটা দুরে সরে যেতো তবে এই পৃথিবীটা মরুভূমীতে পরিনত হতো। মেঘচক্র বৃষ্টিচক্র বাধাগ্রস্ত হবার কারনে পৃথিবীর মাাটির পূর্ণবিকাশ ঘটতো না ফলে পাথরময় বালুকাময় একটি প্রাাণসৃষ্টির অনুপযুক্ত একটি গ্রহ বলেই পৃথিবী বিবেচিত হতো। আর তা যখন হয় নাই তাহলে আমাদের এটা মেনে নিতে হবে এই চাঁদের অবস্থানটিও মহাপরিকল্পনাকারীর পরিকল্পনার গানিতিক রুপায়নেরই ফসল। আর এ্ই কারনেই সম্ভবত আল কোরানে বলে “নিশ্চয়ই আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃজন ক্রিয়ার এবং দিন রাতের অনুবর্তনে অর্ন্তদৃষ্টিসম্পন্ন জনদের জন্য বার্তা রয়েছে। যারা দাড়িয়ে বসে ও শুয়ে আল্লাহ সমন্ধে ভাবে এবং আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃজন সম্বন্ধে চিন্তা করে। তাদের কথা হলো; হে আমাদের প্রতিপালক তুমি এর কোনোকিছুই অর্থবর্জিতভাবে সৃষ্টি করনি। তুমি তো সকল ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত! তুমি আমাদেরকে আগুনের যন্ত্রনা থেকে রক্ষা কর!” (২১:১৬-১৭)
বিজ্ঞানীরা সৌরজগত এবং গ্রহ উপগ্রহের একটি মডেল তৈরী করে দেখেছেন আমাদের সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহ উপগ্রহের ভর এবং অবস্থান সুক্ষ পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যর্পূন। আর এই ভর এবং অবস্থানের নিত্যতা ১৪০০ কোটি বৎসরের সৌরব্যবস্থার সাম্যতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমীকা পালন করেছে। নক্ষত্রবিদ্যা থেকে জানা যায় সৌরজগতের গ্রহ উপগ্রহের অবস্থান ও ভর এতটাই পারফেক্ট যে এই পারফেক্টনেসই পৃথিবীর বুকে প্রাণ উৎপাদনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এবং এই সৌরব্যবস্থার উপর নির্ভর করে থাকে আমাদের পৃথিবীর নিরাপত্তা। অন্যান্য গ্রহগুলোও পৃথিবীকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। এবং তাদের অবস্থানের উপর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নির্ভরশীল। যেমন ধরি বৃহস্পতি গ্রহটি। বৃহস্পতি গ্রহটি যেনো সৌর পরিবারে মা এর মতো দায়িত্¦ পালন করে চলছে। এই গ্রহটি এমন একটি অবস্থানে অবস্থান করছে যে এই গ্রহটির বর্তমান অবস্থান অন্যান্য গ্রহগুলোকে তাদের অবস্থানে থাকতে সাাহায্য করছে। পৃথিবীর উপর বৃহস্পতি গ্রহের প্রভার এতটাই বেশি যে তার অবস্থানের উপর পৃথিবীর প্রাণ সৃষ্টির কৃতিত্ব নির্ভর করে। এই গ্রহটি যদি না থাকতো তবে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির শুরুতেই তা ধ্বংশলীলাতে নিপতিত হতো। বৃহস্পতি গ্রহের সৃষ্ট চুম্বকীয় ক্ষেত্র উল্কা এবং ধূমকেতুগুলোর গতিপথ বদল করে আমাদের সৌরব্যবস্থার প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে এবং আমাদের পৃথিবীকে এসব উল্কা এবং ধূমকেতুর হাত থেকে রক্ষা করছে। বৃহস্পতিগ্রহের আরেকটি গুরুত্বপূর্ন কাজের কথা উল্লেখ করেন নক্ষত্রবিদ জর্জ ওয়েদারহিল তার ‘How Special Jupiter Is’ আর্টিকেলে তিনি বলেন “Without a large planet positioned precisely where Jupiter is, the earth would have been struck a thousand times more frequently in the past by comets and meteors and other interplanetary debris. If it were not for Jupiter, we wouldn't be around to study the origin of the solar system.” এই সৌরজগতের সৃষ্টিশীলতা দীর্ঘস্থায়ীত্ব এখন প্রশ্ন সাপেক্ষ! আধুনিক বিজ্ঞান গবেষনা করে পাচ্ছেন যে এই সৌরজগত এর প্রতিটি বস্তুর অবস্থান ভর এতটাই সুক্ষ এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ করে নির্মিত। এ্ই পৃথিবীর প্রাণ সৃষ্টিতে সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহ উপগ্রহের অবস্থান ছিলো পারফেক্ট এবং নিয়ন্ত্রিত। যদি কোন কারনে সৌরজগতের কোন গ্রহ উপগ্রহের অবস্থান একটু পরিবর্তিত হতো তবে প্রাণ সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব হয়ে যেতো। আমাদের পৃথিবী এবং এর উপগ্রহ চন্দ্রের মধ্যে যে সৌর ব্যবস্থা বিদ্যমান তা সৌরজগতের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমীকা পালন করছে। এই দুটির অনুপস্থিতে বৃহস্পতি গ্রহের আকর্ষন শক্তি শুক্র ও বুধ গ্রহের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করত। এই অধার্কষণ শক্তি শুক্র ও বুধ দুটি গ্রহের মধ্যে দুরত্ব ক্রমান্¦য়ে কমিয়ে আনত। ফলে একসময় বুধ সৌরজগত হতে ছিটকে যেতো শুক্রগ্রহের কক্ষপথ পরিবর্তিত হতো। The Astronomical Journal এর 1998 সালের নভেম্বর মাসের সঙ্কলনে বলা হয় “Our basic finding is nevertheless an indication of the need for some sort of rudimentary "design" in the solar system to ensure long-term stability” আল কোরআন বলে “ তিনি তোমাদের কল্যাণের জন্য রাত ও দিন ও সূর্য এবং চন্দ্রকে বশীভূত করে রেখেছেন।এবং সমস্ত তারকাও তারই হুকুমে বশীভূত রয়েছে। যারা বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগায় তাদের জন্য রয়েছে এর মধ্যে প্রচুর নিদর্শন। (আল নাহল-১২)
সূর্য সহ সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহ উপগ্রহ একটি গতিতে ঘুরছে। এই পরিক্রমনের গতিটিও একটি পারফেক্সনেস মেনে সুক্ষ হিসাবের আওতায় আয়ত্বধীন। যদি এই গতিটি একটু এদিক ওদিক হতো তবে এই পৃথিবীর মধ্যে কোন ভাবেই প্রাণ উতপাদন হতো না।
বিগব্যাং এর পর থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রতিটি পর্যায়ে এক পরিকল্পনাকারীর সুষ্ঠ পরিকল্পনার দ্বারা এই মহাাবিশ্ব নিয়ন্ত্রিত। প্রতিটি পদক্ষেপই একটি নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত। সৃষ্টির শুরুতে থেকে একটি উদ্দেশ্য ছিলো প্রাণীজগত এবং মানুষ। এবং এই মানুষ সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কারনে সৃষ্টিকূলে এতটা সুশৃংখলা নির্ধারিত রয়েছে। যদি মানুষ সৃষ্টিই স্রষ্টার উদ্দেশ্য না হতো তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এতটা সুক্ষ সমন্ময় থাকতো না। সুগভীর পরিকল্পনার ছাপ এতটা প্রকট আকারে দেখা দিতো না। গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে বিগব্যাাংগ এর সৃষ্টি হয়েছে একটি বাসযোাগ্য পৃথিবীর জন্য, যা মানুষের বসবাসের উপযোগী। বর্তমানের আধুনিক বিজ্ঞান প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে যে বিগব্যাংগ বা মহাবিস্ফোরনটিও ছিলো হিসেবের নিত্যতা এবং সুক্ষসমন্ময় দ্বারা গড়া একটি মহৎ পরিকল্পনা। বিগব্যাংগ ঘটেছিলো একটি নির্দীষ্ট গতিতে। বিগব্যাং ঘটার পরে মহাবিশ্বটি সম্প্রসারিত হতে থাকে। ষ্ট্যার্ন্ডাড বিগব্যাং মডেল অনুসারে এক মহাক্ষুদ্র আদি ঘনায়িত শক্তি পিন্ড মহাগর্জন করে এক মহাবিস্ফোরনের মাধ্যমে ১০’৪৩ সেকেন্ড সময়কালে সৃষ্টি করে এই মহাবিশ্ব। সৃষ্টির সময় মহাবিশ্ব ১০’৩২ k কেলভিন উত্তপ্ত অবস্থায় ছিলো। অকল্পনীয় শক্তির ঘনায়নে থাকা অবস্থায় এক মহাবিস্ফোরনের সাথে সাথে আশ্চার্য রকম গতিতে মহাসম্প্রসারন হতে শুরু করে। যা আজো পযর্ন্ত সেই মহাসম্প্রসারন চলছে। সেই মহাসম্পসারণটি একটি নির্দীষ্ট গতিতে ঘটেছে বলেই চরম উত্তপ্ত মহাবিশ্বটি গ্যালাক্সি, নক্ষত্র গ্রহ পৃথিবী সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। নিদীষ্ট ও পরিকল্পিত একটি গতিতে মহাবিশ্বটি সম্প্রসারিত হয়েছে। গতিটি ১০০% পারফেক্ট ছিলো বলেই মহাবিশ্ব, পৃথিবী এবং মানুষ সৃষ্টি হতে পেরেছে। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এ্যালেন গুথ মহাবিশ্বের এই সুনিয়ন্ত্রিত সম্প্রসারণ হার দেখে স্তম্ভিত হয়ে বললেন “এই সম্প্রসারনের হার এতটাই সুনিয়ন্ত্রিত, যেখানে ভুলের সম্ভাবনা ১/১০^৫৫। এত সুক্ষ এবং সুনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা বা বা প্রক্রিয়া কোনো হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা হতে পাওয়া অসম্ভব। বিগব্যাং যদি হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো অনিয়ন্ত্রিত ঘটনা হতো তবে এই প্রক্রিয়া এতটা সঠিক এবং উপযুক্ত ভাবে চলতে পারতো না। তাই বলা যায় এটি অবশ্যই একটি নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া।”
বিজ্ঞানীরা যে কোন নক্ষত্রের জন্য একটি নির্দীস্ট দুরত্ব নির্ধারন করেন যে স্থানটি অক্সিজেন হাইড্রোজেন এর সমন্ময়ে পানি উতপাদনের একটি পারফেক্ট স্থান এবং যেখানে পানি তরল অবস্থাায় থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা ধারনা করেন। যে স্থানটির তাপমাত্রা স্বচ্ছ এবং একটি সুক্ষ সমন্মিত নিরাপদ বাসযোগ্য স্থান হিসেবে অনুমান করে থাকেন । বিজ্ঞানীরা সেই স্থানটির নামকরণ করেন “গোল্ডিলকস্ জোন”। কোন নক্ষত্র থেকে ঠিক এতটুকু দুরত্বই প্রাণ বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ন অথচ আমাদের সৌরজগত এবং সত্যি করে বলতে কি আমাদের পৃথিবী ঠিক সেই স্থানেই পড়েছে।
আমাদের অস্তিত্বকে সম্ভব করতে কিছু মৌলিক ধ্রুবককে সুক্ষ সন্নিবেশ করা হয়েছে। মহাবিশ্বের এই ধ্রুবকগুলোর যদি একটু বদলানো যায় তাহলে এই মহাাবিশ্বের ব্যপক পরিবর্তন হতো। অনেক সময় এটা জীবন বিকাশের জন্য অযোগ্য হয়ে যেতো। আমরা এক্ষেত্রে পরমানুর গঠন এর উপর চোখ বুলালে দেখতে পারবো আরেকটি জটিল বিষয়। পরমানুর গঠন উপাদানগুলোর উপর সক্রিয় রয়েছে সবল নিউকিক্লয় বল। নিউক্লিয় বল দুটি প্রোটনকে আকষর্ণ করে। কিন্তু তড়িত চুম্বকিয় শক্তি তাদের এক হতে বাধার সৃষ্টি করে। আর এই কারনে পরমানু এক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আকৃতি গঠন করে। কিন্তু এই দূবর্ল নিউক্লিয় বল আরো বেশি দূবর্ল হতো তবে মহাবিশ্বের সব হাইড্রোজেন হিলিয়ামে পরিনত হতো। ফলে মহাবিশ্বে কোন তারা দেখা যেতো না আর যদি দূবর্ল বল আরো বেশি সবল বা শক্তিশালী হতো তবে সুপারনোভার বিস্ফোরন তার বাইরের আবরনকে ছিন্ন করে ছুড়ে দিতে পারতো না। ফলে জীবন বিকাশের জন্য ভারী মৌল তৈরী হতো না।
আরেকটি অলৌকিক বিষয় হলো মানবদেহ গঠনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় উপাদান কার্বন। এই ছয় প্রোটন বিশিষ্ট কার্বন নিউক্লিয়াস এবং অন্যান্য ভারীমৌল বিশিষ্ট গঠিত হলো ? হ্ইাড্রোজেন, হিলিয়াম এবং অল্প কিছু লিথিয়াম নিয়ে আদি মহাবিশ্ব বিবর্তিত হয়ে এই মহাবিশ্বে রুপান্তরিত হয়েছে আসলে আদি মহাবিশ্বের বলগুলোকে ঠিক এমনটিই হতে হয়েছে যেমনটি হলে আদি মৌল সমূহ থেকে ভারী সমূহ গঠিত হতে পারে। আদি বল সমূহ যেভাবে নক্ষত্র গঠন করলো। আর সেই নক্ষত্রই ছিলো ভারী মৌলসমূহের রান্না করবার চুল্লি। আদি নক্ষত্রগুলোকে এমন ভাবে গঠিত হতে হয়েছে যে তার মধ্যে কিছু কিছু নক্ষত্র জীবনচক্র শেষ করে সুপারনোভা আকারে বিস্ফোরন ঘটে এবং ভারী মৌল বিস্ফোরন হতে ছিটকে বেরিয়ে পড়ে। এবং সেই ছিটকে বেরিয়ে পড়া ভারী মৌলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে জমাট বেধে গ্রহ উপগ্রহ গঠন করে।
কার্বন যাকে বলে প্রানের মূল উপজীব্য। সেই কার্বন অনেকটা অলৌকিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি। নক্ষত্র গুলোর মধ্যে ফিউশন বিক্রিয়ায় কার্বন গুলোর উতপত্তি। বিশেষ করে ফ্রেড হয়েল কার্বন তৈরীর এ প্রক্রিয়া দেখে অসম্ভব বলেই ঘোষনা করেন। নক্ষত্রগুলোর কেন্দ্রে কার্বন অণুগুলো সৃষ্টি হয় দুটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায়। প্রথমত ২ টি হিলিয়াম অনু একত্রীত হয়ে ৪ টি প্রোটন ও ৪ টি নিউট্রন বিশিষ্ট অস্থিতিশীল বেরিলিয়াম অনুর সৃষ্টি হয়। তখন এটি ৩য় হিলিয়াম অনুর সাথে যুক্ত হয়ে ৬ টি প্রোটন ও ৬ টি নিউট্রন বিশিষ্ট কার্বন অনুর সৃষ্টি করে।এই পদ্ধতিতে ১ম অবস্থায় উৎপন্ন হওয়া বেরিলিয়াম অনু পৃথিবীতে প্রাপ্ত বেরিলিয়াম অনুর চেয়ে ভিন্ন ধরনের। কারন আমাদের পর্যায় সারণীতে প্রাপ্ত বেরিলিয়াম অনু একটি অতিরিক্ত নিউট্রন ধারন করে। নক্ষত্রগুলোর মধ্যে প্রাপ্ত এই অস্বাভাবিক বেরিলিয়াম অনু বিজ্ঞানীদের ধাঁধায় ফেলে দেয়। কারন এটি অতিমাত্রায় অস্থিতিশীল। এতোটাই যে এটি তৈরি হওয়ার ১/১০^১৫ বা ০.০০০০০০০০০০০০০০১ সেকেন্ডের মধ্যে বিভাজিত হয়ে যায়। তাহলে এই বেরিলিয়াম অনু কিভাবে কার্বন অনু সৃষ্টি করে, যখন তৈরি হওয়ার সাথে সাথেই ভেঙ্গে যায়? তাহলে কি কাঁকতলিয় ভাবে হিলিয়াম অনু বেরিলিয়াম অনুর সাথে যুক্ত হয়ে কার্বন তৈরি করে? কিন্তু বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে তাও তো সম্ভব নয়। কারন ২ টি অনু আলাদা ভাবে যুক্ত হয়ে ০.০০০০০০০০০০০০০০১ সেকেন্ডের মধ্যে যুক্ত হয়ে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে না। একটি জটিল এবং প্রায় অসম্ভব এক পদ্ধতিতে নিউক্লীয় ফিউশন বিক্রিয়া দ্বারা কার্বন গঠিত হয়। এই বিক্রিয়াটি একটি নির্দিষ্ট হারে এবং নির্দিষ্ট শক্তিতে ঘটে থাকে। সৌভাগ্যক্রমে, এই রেজোন্যান্স খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ঘটে থাকে। নক্ষত্রগুলোর মধ্যে Double Resonance এর মতো একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটে থাকে। প্রথমত ২ টি হিলিয়াম অনু যুক্ত হয়ে বেরিলিয়াম অনু গঠিত হয়। এরপর ১/১০^১৫ সেকেন্ডের মধ্যে এটি ৩য় আরেকটি হিলিয়াম অনুর সাথে যুক্ত হয়ে কার্বন অনুর সৃষ্টি করে। জর্জ গ্রিনস্টেইন ব্যাখ্যা করেন কেন এই Double Resonance অতি অসাধারন একটি প্রক্রিয়া। তিনি বলেন
“There are three quite separate structures in this story—helium, beryllium, and carbon—and two quite separate resonances. It is hard to see why these nuclei should work together so smoothly… Other nuclear reactions do not proceed by such a remarkable chain of lucky breaks…It is like discovering deep and complex resonances between a car, a bicycle, and a truck.
পাঠক আপনি লক্ষ্য করুন তো প্রবন্ধটির শুরুতেই আমি ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং এর বক্তব্য তুলে ধরেছিলাম। “এই যে সুক্ষ সমন্ময় এ থেকে আমরা কি বুঝি? এতে কি প্রমানিত হয় যে মহাবিশ্ব আসলে কোন দয়াময় সৃষ্টিকর্তার মহান নকশার তৈরী? নাকি বিজ্ঞান আমাদের অন্য কোনো ব্যাক্ষা দিতে পারে?” ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং এখনও বিশ্বাস করেন বিজ্ঞান অণ্য কোন পথ দেখাতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞান কি আদৌ কোন পথ দেখাতে সক্ষম হচ্ছে? নাস্তিক্যবাদী বিজ্ঞান এই ফাইন টিউনিং বিষয়টির বিরুদ্ধে মাল্টিভার্স তত্ত্ব দাড় করিয়ে প্রমান করতে চাই অসংখ্য মহাবিশ্নের মধ্যে আমাদের পৃথিবী একটি। কাকতলীয় ভাবে এগুলি মিলে গেছে। এ যেনো হস্তি দর্শনের মতো ব্যাপার! বহুমহাবিশ্ব নামের এই হাইপোথিসিস প্রকাশ ঘটিয়ে আধুনিক বিজ্ঞান আরেক বিপদে পড়েছে। কারন বহুমহাবিশ্ব এখন আবার গোদের উপর বিষফোড়া হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বহুমহাবিশ্ব মানুষকে পরকালের নিত্যতার বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করছে। আগামীর পর্বে আমি এই বহুমহাবিশ্ব এবং পরকালের হাতছানি সংক্রান্ত বিষয় টি বিস্তারিত তুলে ধরবো।
ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং এর কেচ্ছা কাহিনী এবং সর্বশক্তিমান- সর্বজ্ঞানীর জগৎ (পর্ব - ১)
ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং এর কেচ্ছা কাহিনী এবং সর্বশক্তিমান-সর্বজ্ঞানীর জগৎ-পর্ব ২
ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং এর কেচ্ছা কাহিনী এবং সর্বশক্তিমান-সর্বজ্ঞানীর জগৎ-পর্ব ৩
ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং এর কেচ্ছা কাহিনী এবং সর্বশক্তিমান-সর্বজ্ঞানীর জগৎ-পর্ব ৪
০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কথামতো আমি বানান গুলো চেক করলাম।
আর যদি কিছু থেকেই থাকে তবে নতুন লেখক হিসেবে আমার আর কিই বা করার আছে?
ভালো থাকুন
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভাই,বড় লেখায় অল্প সংখ্যক বানান ভুল ব্যপার না। আর আপনার লেখা আমি নিয়মিত পড়ি। আবার আমার কথায় কিছু মনে করবেন না।লিখতে থাকুন ।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: Click This Link
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬
নতুন বলেছেন: পাঠক একটু গভীর ভাবে ভেবে দেখুন এই পৃথিবীটা একটু সুক্ষসমন্ময়ের উপর দাাড়িয়ে। যার একচূল এদিক ওদিক হলে এই পৃথিবীর উপর কোনভাবেই প্রানের আর্বিভাব ঘটতো না।
আমাদের আসে পাশে লক্ষ কোটি গ্রহ আছে যাতে প্রানের আভি`ভাব হয়েছে বলে কোন প্রমান আমাদের কাছে এখনো নেই। কারন হিসেবে বলতে পারি তারা অনুকুল পরিবেশে নাই।
তবে সৃস্টি কতার লক্ষ কোটি গ্রহ তোরির পরে ১টি গ্রহ তৌরি হলো যেটাতে প্রানের বিকাশ সম্ভব?????
অানুমানিক ২০০ বিলিওন গ্যালাক্সি ( বেশিও হতে পারে) এবং তাতে 1,000,000,000,000,000,000,000,000+ গুলি গ্রহ থাকতে পারে....
তাই যদি এতো গ্রহ বানিয়ে শুধু একটাতেই মানুষের বসবাসের যোগ্য হয়েছে... সেটা কিভাবে ডিভাইন ডিজাইন হয়???
০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: “একসময় ভাবা হত মানব জেনোমের ৯৮% কোন কাজের না, মানে ফালতু মাল (junk DNA or junk element)। এই ৯৮ সংখ্যা টা এসেছে ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করতে পারেনা তার পরিমান থেকে। আমরা যদি সম্পূর্ণ ডিএনএ কে একটা বড় সুতার মত ধরি, তবে সুতার কিছু অংশ থেকে প্রোটিন তৈরি হবে আর বেশিরভাগ অংশ থেকে হবেনা। ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করে তাকে বলে জিন, বা প্রোটিন কোডিং ডিএনএ। এই অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারন প্রোটিন তৈরি না হলে কিছুই করতে পারতোনা কোন জীব, এমনকি একটি কোষ। তাহলে মানুষের এই ৯৮% নন-কোডিং ডিএনএ’র কি কোন কাজ নাই?
যখন ডিএনএ আবিস্কার হল এবং বিজ্ঞানীরা দেখলেন যে মানুষের ডিএনএ র প্রায় ৯৮% নন-কোডিং। অর্থাৎ এরা প্রোটিনের তথ্য ধারণ করে না। ব্যস বিবর্তনবাদীরাতো মহাখুশি। ইভোলিউশনিস্টরা বলে বসলেন এগুলো হল Junk DNA. বিবর্তনের বিভিন্ন সময়ে মিউটেশনের ফলে এগুলো নাকি রয়ে গেছে। এর উপর ভিত্তি করে দাড় করানো হল Phylogenetics এর তত্ত্ব সৃষ্টি হল মলিকিউলার ইভোলিউশন শাখা। রিচার্ড ডাকিন্স 'Junk DNA' এর গুরুত্ব নিয়ে 'The Selfish Gene' নামক বই লিখেছেন। বইও বাজারে আছে, আছে ডকিন্স এবং আছে নতুন গবেষণায় প্রাপ্ত 'Junk DNA' এর 'Reality'। এ অবস্থায় নিশ্চয়ই মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন! কি বলেন?? সময়ের প্রবাহে ধীরে ধীরে 'Junk DNA' এর কনসেপ্ট 'মিথ' এর কাতারে সামিল হবে এবং হবে এর প্রবক্তারা।
এই নন কোডিং ডিএনএ এর ব্যপকতা দেখে একসময় নাস্তিক মনা কিছু জীববিজ্ঞানীরা ভেবে বসছিলো ওগুলো জাংক্ ডিএনএ। ওদের কোন কাজ নেই। বিবর্তনের ধারার ফলে ওগুলো রয়ে গেছে। কিন্তু বিজ্ঞান যখন প্রমান করে দিলো কোন ডিএনএ জাংক নয়। প্রত্যেকেই গুরুত্বপুর্ন কাজে রত। ভ্রূণ থেকে আমাদের হাতের আঙুল তৈরির সময় একটা রেগুলেটরি জিন গুচ্ছ কাজ করে, যার নাম হক্স ডি (HoxD)। এই হক্স ডি জিনগুলির এক্সপ্রেশান নির্ভর করে নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সের উপর। এই হক্স ডি জিনগুলির এক্সপ্রেশান নির্ভর করে নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সের উপর। দেখা গেছে এই নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সগুলির কয়েকটির মিল সরীসৃপের সিয়োন্সের সঙ্গেও আছে (স্তন্যপায়ীর কথা বাদই দিলাম)। এই এলাকার নন-কোডিং ডিএনএ’র কোন সমস্যা বিকৃত আঙুল তৈরি করবে।
এখন আমি যেটা বলতে চাইছি কোটি কোটি গ্রহ উপগ্রহ বা গ্যালাক্সি সৃষ্টি কি আপনি পূর্বের বিবর্তণবাদীদের জাংক ডিএনএ এর মতো জাংক বলতে চাইছেন? আপনি কি বলতে চাইছেন এগুলোর কোন প্রয়োজনীয়তা নেই? এতো গ্রহ বানিয়ে শুধু একটাতেই মানুষের বসবাসের যোগ্য হয়েছে। কারন এই একটি বানাতেই এত পর্দাথের প্রয়োজন ছিলো।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: প্রোটিন হল একটি জটিল গঠনের প্রাকৃতিক পদার্থ বা উপাদান যা প্রত্যেক জীব কোষ ও ভাইরাসের গঠন ও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ডি.এন.এ কতৃক নির্মিত হয় একটি এম.আর.এন.এ, যাতে নির্ধারণ করে দেয়া হয় কোন্ এ্যামাইনো এসিডের পর কোন্ এ্যামাইনো এসিড যুক্ত হবে। তারপর এম.আর.এন.একে নিউক্লিয়াসের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তারপর, এম.আর.এন.এ, ডি.এন.এ কতৃক দিয়ে দেয়া ধারা অনুযায়ী একের পর এক এ্যামাইনো এসিড যুক্ত করে একটি লম্বা শেকল তৈরি করে। আর এই শেকলই প্রোটিন। জীব কোষের আভ্যন্তরে ব্যতীত প্রোটিন তৈরি হয়না।
যখন প্রাকৃতিক ভাবে প্রটিনই তৈরি সম্ভব নয়, তখন যে আর.এন.এ প্রটিন তৈরি করে তা কীভাবে প্রাকৃতিক ভাবে হয়ে যেতে পরে? আবার, যেহেতু জিনের জেনেটিক কোড ব্যতীত আর.এন.এ তৈরি হতে পারেনা, তখন আর.এন.এর প্রাকৃতিক ভাবে হয়ে যাওয়ার কথা উচ্চারণই যুক্তিজ্ঞান রহিত হওয়ার লক্ষণ।
মানুষের ডি.এন.এ তে যে পরিমাণ তথ্য রয়েছে তা যদি কাগজে লিপিবদ্ধ করা হয় তবে তা একটি বিশাল লাইব্রেরির রুপ ধারন করবে, যেখানে নয় শত খণ্ডের একটি বিশ্বকোষ রয়েছে যার প্রতিটি পাঁচ শত পৃষ্ঠার।এও কি মহাজ্ঞানী স্রষ্টার একটি নিদর্শন নয়? বিবর্তনবাদি জীববিজ্ঞানী Frank Salisbury, কোষের স্রষ্টা ব্যতীত সৃষ্টি হওয়ার অসম্ভাব্যতা সম্পর্কে বলেছেন, “একটি মধ্যম ধরনের প্রটিনে প্রায় ৩০০ এ্যামাইনো এসিড থাকে। পৃথিবী নিয়ন্ত্রণকারী ডি.এন.এ জিনের শেকলে প্রায় ১০০০ নিউক্লিয়টাইড থাকে। যেহেতু ডি.এন.এতে চার প্রকারের নিউক্লিয়টাইড থাকে, প্রত্যেকটি ১০০০ সংযোগ নিয়ে ৪১০০০ সংখ্যক রূপে অবস্থান করে। সামান্য বীজগণিত ব্যবহার করে আমরা দেখতে পাব যে, ৪১০০০=১০৬০০। দশকে দশ দ্বারা ৬০০ বার গুন করলে ১ এর পর ৬০০ টি শুন্য বিশিষ্ট সংখ্যা পাওয়া যাবে! এ সংখ্যাটি আমাদের বোধগম্যতার সম্পূর্ণ ঊর্ধ্বে।”
জীব বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন একটি যন্ত্র তৈরিতে কতটা জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, ও পরিশ্রমের প্রয়োজন রয়েছে তা এখন নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন। সুতরাং প্রাণ সৃষ্টির জন্য অবশ্যই একজন স্রষ্টা আছেন যিনি জ্ঞানময় যিনি সুপার ইন্টেলেকচুয়েল ইজ্ঞিনিয়ারিং মেধাসম্পন্ন চেতনা।
৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০২
নতুন বলেছেন: আমি বলতে চাইছি যে বিলিওন তীর মেরে একটা লক্ষভেদ করাকে ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন কিভাবে হইলো ?
কারন সৃস্টিকতা` ফাইনটুইন করবেন কেন? তার সবকিছুই হবে নিখুদ.... যেটা সে দাবি করে যে সবার সেরা।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি তো লক্ষ তীরের কিছুই খুজে পেলাম না। ধরুন ৫মন গমের মধ্যে এক কেজি সোনার মোহর লুকিয়ে রাখা। ভিন্ন ভিন্ন বালতিতে একেকজন গম উঠিয়ে নিচ্ছে। যার বালতিতে সোনার মোহরটা পড়লো সেই সোনার মালিক হলো। ঠিক এমন যদি ধরেন । তাহলেও বলা যায় কতটা বালতি গম গেলে মোহরটা উঠবে যে মোহরটা লুকিয়ে রেখেছিলো সে নিশ্চয় এতটুকু অনুমান করেই রেখেছিলো।
অথবা আপনি যদি তীরের কথাই বলেন তাহলে লক্ষ কোটি তীর কেনো গ্রহণযোগ্যতা পেলো না? নিশ্চয় যেই তীরটি লেগে গেছে সেই তীরটি শক্তিসামথ্য তাই সে লাগতে সামথ্য হয়েছে! কেবলমাত্র সেই তীরেরই ছুটে যাওয়ার যোগ্যতা ছিলো। আসলে আপনি যেভাবে তীরের উদাহরন দিচ্ছেন মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। এই উদাহরন শুধু মাত্র শিশু সন্তান জন্মতে কার্যক্ষম। মহাবিশ্ব সৃষ্টিটা একটু ভিন্ন বিষয়।
ধরুন একটি সুপার নোভা বিস্ফোরন। ছড়িয়ে পড়লো অসংখ্য মহাজাগতিক বস্তুু। একপর্যায়ে তারা ঠান্ডা হয়ে তৈরী করলো সৌরজগৎ তথা সূর্য গ্রহ উপগ্রহ। প্রাণ উৎপাদনের যে মাল মসলা তা এই পৃথিবীর ভাগে পড়েছিলো বলেই পৃথিবী প্রাণময়।
সমগ্র গ্যালাক্সিতে সুপার নোভা বিস্ফোরনের কারনে গ্রহ উপগ্রহ সৃষ্টি। প্রাণের উপাদান পৃথিবীকেই আলোকিত করেছে।
বিগব্যাং নামক মহা বিস্ফোরন গ্যালাক্সি সৃষ্টি করে। আর গ্যালাক্সির অভ্যন্তরস্থ্য সুপার নোভা বিস্ফোরন গ্রহ উপগ্রহ সৃষ্টি করে। প্রতিটা বিস্ফোরন এবং তার দুরত্ব এ সমস্তটাই নির্ধারিত বিষয়। স্বাভাবিক চোখে এটা তীরের মতো মনে হলেও গভীরের চোখে তাকালে বোঝা যাবে সমস্তটাই নিয়ন্ত্রিত এবং নির্ধারিত। একটি পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের হিসাব।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কারন সৃস্টিকতা` ফাইনটুইন করবেন কেন? তার সবকিছুই হবে নিখুদ
নিয়মের অধীনে যদি কোন কিছু করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ফাইনটিউন। ধরেন এক বিঘা জায়গা নিয়ে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি আমি বানালাম। প্রাচীর দিয়ে চারিদিকে ঘেরা। চারিদিকে গাছ গাছালি দিয়ে ভরা। আর বাড়ীটা ৪ কাঠা জায়গার উপর অথচ ১৬ কাঠা জায়গা শুধু গাছগাছালি-বাগান। আরো অনেক ছোট খাট ঘর চারিদিকে তৈরা করেছি। যেমন দারোয়ানের ঘর। মালির ঘর।
এখন আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন কেনো আমি ২০ কাঠা জায়গায় উপর বানালেন বাড়িটাতো ৪ কাঠা জায়গায় উপরই হতো। আপনাার এ প্রশ্নের উত্তর আমি কিভাবে দেবো? কারন আপনার এ প্রশ্নেরও গ্রহনযোগ্যতা আছে । আসলেও বাড়িটা ৪ কাঠা জায়গায় উপর হইতো। কিন্তু আমি যে বাড়িটা সৌন্দর্যময় করার জন্য ২০ কাঠা জায়গা ব্যবহার করেছে। আপনার এ প্রশ্নের উত্তর কি দেবো? আসলে এটা আমার ইচ্ছা। তাই আমি ২০ কাঠা জমির উপর বাড়িটা বানেয়েছি।
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৪৫
নতুন বলেছেন: আপনি যখন মনে করবেন যে সুপারনোভার বিস্ফোরনের কোন ভাগে কি কি উপাদান যাবে সেটা সৃস্টিকতা` ঠিক করে দিয়েছেন তবে সেটাই ঠিক.....
কতগুলি ভ্যারিয়েবলস এতে যুক্ত সেটা চিন্তা করেও যদি আপনার কাছে সেটা সৃস্টিকতা`র লেখা হিসাব পান তবে কিছুই বলার নাই।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কতগুলি ভ্যারিয়েবলস এতে যুক্ত সেটা চিন্তা করেও যদি আপনার কাছে সেটা সৃস্টিকতা`র লেখা হিসাব পান তবে কিছুই বলার নাই।
বলার মতো যুক্তি থাকলে তো বলবেন। অবশ্যই অনেকগুলো ভ্যরিয়েবলস এতে যুক্ত। যেমন ধরুন পৃথিবীতে প্রানের আদি বীজ। পৃথিবীতে প্রানের আদি বীজ এসেছিলো বাইরে থেকে। উল্কাপিন্ডের সাথে করে আদি বীজ পৃথিবীতে এসেছিলো। পৃথিবীর অবস্থান ও প্রান উৎপাদনের মতো আবহাওয়া বিরাজিত ছিলো বলেই সেই আদি বীজ প্রান রুপে সৃষ্টি হতে পেরেছে।
প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমি সৃষ্টিকর্তা খুজে পাচ্ছি। সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আমি তো আর যুক্তি পাই না।
এই যেমন ধরেন বিস্ফোরনে সৌরজগৎ যখন সৃষ্টি হয় তখন পৃথিবী সূর্য থেকে কতটুকু দুরে অবস্থান করবে। পৃথিবীর মধ্যার্কষণ শক্তি কতটুকু হবে। পৃথিবীর উপগ্রহ কতটুকু আয়তন হবে। তার আকর্ষন শক্তি কতটুকু হবে? পৃথিবীর বুকে তার আকর্ষন জোয়ার ভাটা হবে। গোল্ডলিংক জোনে অবস্থান করতে হবে। ইত্যাদি ইত্যাদি.....।
আমার দৃষ্টিতে এই প্রকৃতি নিজেই স্রষ্টা। এবং নে নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করেছে একটি সুক্ষ পরিকল্পনা দ্বারা।
৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: লেখা চালিয়ে যান। একদিন সাফল্য আসবেই। ধন্যবাদ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনাদের দোয়া আমার প্রেরণা।
ধন্যাবাদ। ভালো থাকুন।
৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: নতুন পোষ্ট দিবেন কবে ??
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: Click This Link
৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১
সিফটিপিন বলেছেন: নতুন পোষ্ট কই?
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০২
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভাই, অল্প কিছু বানান আছে একটু দেখে নিবেন !! ধন্যবাদ।